#রাজমহল
#লেখিকা-শারমিন আঁচল নিপা
#পর্ব-৩
এর মধ্যে সন্ধি তড়িৎ গতিতে জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিয়ে বলল
– আমি ফ্যানে ঝুলে পড়েছিলাম এটা একদম সত্য। আমি যখন ফ্যানে ঝুলে পড়লাম তখন মনে হলো আমি ফ্যানে না একটা ফুলের দোলনায় ঝুলছি। একটা বড় গাছ। গাছটা কি গাছ জানি না। তবে সে গাছে দঁড়ি দিয়ে একটা দোলনা ঝুলানো ছিল। সেই দোলনাটা ফুল দিয়ে সাজানো গোছানো ছিল।খেয়াল করলাম আমি সেখানে দুলছি। চারদিক থেকে ফুলের সৌরভ ভেসে আসছে। পাখির কিচিরমিচির ডাক শোনা যাচ্ছে। সূর্যটা তখন পশ্চিম দিকে হেলে পড়ে আকাশটা লালচে হয়ে ছিল।শুভ্র বাতাস চারদিকে বইতেছিল। অসম্ভব এক মায়াময় পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে যা বলে বর্ণণা করা দুষ্কর।
এর কিছুক্ষণ পর কেউ একজন আমার সামনে আসলো। আমি তাকিয়ে দেখলাম লোকটা কালো লুঙ্গি টাইপ কিছু পরে আছে। মুখে আবার জাদলেরি গোফও আছে। বলিষ্ঠ দেহের ভয়ংকর মুখ অবয়ব বিশিষ্ট। লক্ষ্য করলাম হাতে ছুরি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আমার কাছে এসে হুংকার দিয়ে বলল
– আরেকবার যদি মরার চেষ্টা করিস তাহলে তোর কপালে অনেক দুঃখ আছে। একদম মরার চেষ্টা করবি না। তবে একবার যখন মরার চেষ্টা করেছিস এখন তোকে শাস্তি না দিলে আবার এমন ভুল করবি। তাই তোকে ছোট করে একটা শাস্তি দিব।
লোকটার কথাগুলোতে যেন মাটিও কাঁপছিল। আমি বেশ ভয় পেয়ে গেলাম। গলার পানি শুকিয়ে গেল আমার। লোকটা আমার দিকে এগিয়ে আসতে লাগল। আমি ভয়ে দোলনা থেকে নামতে নিলে লোকটা আমায় ধরে আমার চোখদুটো উপরে দিল। কি যে এক অবস্থা বলে বুঝাতে পারব না। আমার প্রাণ যায় যায় অবস্থা। আমার চোখ দিয়ে তখন রক্ত গড়িয়ে পড়তে লাগল। আমি ব্যাথায় কাতর হয়ে কাঁপতে লাগলাম।তারপর চোখটা বন্ধ করলাম।
চোখ বন্ধ করার সাথে সাথে মনে হলো কোথাও আঁচড়ে পড়লাম আমি। ভালো করে তাকিয়ে দেখলাম আমি বিছানায় শুয়ে আছি। বন্ধ ফ্যানটা প্রবল গতিতে চলছে। গলার উড়নাটা পাশে পড়ে আছে। উড়নায় রক্ত দেখে হালকা ভয় পেয়ে গেলাম। রক্তটা ভালো করে খেয়াল করতে গিয়ে দেখলাম আমার চোখ বেয়ে রক্ত পড়ছে। মনে হলে এখনো গা টা শিউরে উঠে। বলেই সন্ধি চোখটা বন্ধ করে নীচের দিকে তাকিয়ে পড়ল।
সন্ধির কথাগুলো শোনে আমার বুকটা ধকধক করছিল। হার্টবিট যেন প্রবল ভাবে উঠানামা করছিল। সন্ধির চোখগুলো ওমন হলো কি করে সে বিষয়টাও ভাবাচ্ছিল। ভয়ে ভয়ে সন্ধির কাঁধে হাত দিতেই সন্ধি আমার দিকে তাকাল। সন্ধিকে এবার দেখে আমি শিউরে উঠলাম। গায়ের লোম কাঁটা দিয়ে উঠল। সন্ধির এভ্রোথেভ্রো পাহাড়ের মত ফুলা চোখটা দিয়ে অজোর ধারায় রক্ত বের হচ্ছে। যে বিষয়টা একটু আগে সন্ধি বর্ণনা করল ঠিক সেভাবে। আমি একটা চিৎকার দিয়ে নীচের দিকে তাকালাম।
আমার চিৎকার শোনে পাশের রুম থেকে সায়রা আপু দৌঁড়ে আসলো। আপু এসে আমাকে ধাক্কা দিতে দিতে বলল
– কি হয়েছে তোর? এমনভাবে চেঁচিয়ে উঠলি কেন?
আমি কোনো কথার জবাব দিতে পারছিলাম না। নীচের দিকে তাকিয়ে জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিতে লাগলাম।নিঃশ্বাস ক্ষণে ক্ষণে গভীর হতে লাগল। আপু আমার কথার জবাব না পেয়ে সন্ধিকে জিজ্ঞেস করতে লাগল।
– কি রে সন্ধি তন্দ্রা হুট করে চেঁচিয়ে উঠল কেন?তুই কি কিছু করেছিস?
সন্ধি হালকা ঢুক গিলতে গিলতে বলল
– জানি না কি হলো তন্দ্রা আপুর। কেনই বা চেঁচিয়ে উঠল জানি না। আমি সত্যিই কিছু করেনি।
সন্ধির কথা শোনে ভাবতে লাগলাম সায়রা আপু সন্ধির চোখের অবস্থা কি দেখেনি? দেখলে এতটা স্বাভাবিক ভাবে সন্ধির সাথে কথা বলছে কীভাবে? এসব ভেবে নিজের মনে সাহস জুগিয়ে মাথাটা উপরে তুলে সন্ধির দিকে তাকালাম। বেশ অবাক হলাম। কারণ সন্ধি একদম স্বাভাবিক আর সন্ধির চোখও একদম স্বাভাবিক । তাহলে ঐটা আমার ভুল ছিল নাকি এখনের বিষয়টা ভুল। সায়রা আপু আমাকে সন্ধির দিকে ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে থাকতে দেখে সন্ধিকে ধমক দিয়ে বলল
– তুই নিশ্চয় ওকে কিছু করেছিস। নাহয় ও তোকে এভাবে দেখছে কেন? কি করেছিস ওকে আর এভাবে ও চেঁচিয়ে উঠল কেন? তোরা এত লাগতে পারিস। সকালে উঠেই মারামারি শুরু করে দিয়েছিস।আমার হয়েছে যত জ্বালা।
সন্ধি আপুর কথা শোনে অসহায় দৃষ্টিতে তাকাল আমার দিকে। আমি ততক্ষণে নিজেকে সামলে নিয়ে বললাম
– আপু ও কিছু করেনি। আমার যে কি হলো। তেলাপোকা দেখে এভাবে চেঁচিয়ে উঠেছিলাম। সন্ধি কিছু করেনি।
আপু তেলাপোকার কথাটা শোনে বিরক্তি নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে বলল
– তোরা পারিস ও। সারাটা দিন কি গুজোর গুজোর ফুসোর ফুসোর করিস রে।
আপুকে কি উত্তর দিব বুঝতে পারছিলাম না। আমি আর সন্ধি দুজন দুজনের দিকে তাকালাম পরক্ষণে আপুর দিকে তাকিয়ে আমি বললাম
– আরে কি যে বলো না। সন্ধি জানই তো কেমন আমার পিছনে লাগে।
সন্ধি চোখগুলো বড় বড় করে বলল
– আপু আমি কিছু করিনা তন্দ্রা আপু আমার সাথে শুধু ঝগড়া করে।
আমাদের একে অপরের দোষ দেওয়ার বিষয়টা আপু দেখে বলল
– হয়েছে আর একে অন্যকে দোষ দিতে হবে না। এখন হাত মুখ ধুয়ে পড়তে বস। এক ঘন্টা পড়বি। তারপর খাবার টেবিলে যাবি। যা বলেছি তাই করবি। কথার নড়চড় যেন না হয়।
আমি আর সন্ধি দীর্ঘ শ্বাস নিয়ে মুখটাকে বাঁকা চাঁদের মতো প্রশস্ত করে বললাম
– আচ্ছা ঠিক আছে।
সায়রা আপু রুম থেকে বের হলো। সায়রা আপু বের হওয়ার সাথে সাথে সন্ধি বলে উঠল
– কি রে তোর কি হয়েছিল? এভাবে চেঁচিয়ে উঠলি কেন?
– জানি না কি হয়েছে। তোর চোখগুলো দিয়ে কমন জানি রক্ত বের হচ্ছিল তখন তাই। সত্যিই কি তোর সাথে এমন হয়েছে নাকি স্বপ্ন দেখেছিস?
সন্ধি আমার কথাটা শোনে পাশ থেকে উড়নাটা নিয়ে সেটা প্রশস্ত করে হাত দিয়ে একটা জায়গা নির্দেশ করে দেখিয়ে বলল
– আমি একদম সত্যি বলছি কোনো মিথ্যা বলছি না। যদি এটা আমার স্বপ্ন হত তাহলে এ উড়নায় রক্তের দাগ কি করে আসলো বল। আমি জানি না আমার সাথে কী হচ্ছে। কীভাবে প্র্যাগন্যান্ট হলাম সেটাও আমার জানার অন্তরায়। নিজেকে শেষ করে দিতে চাইলাম তাও হলো না। কী যে হলো আমার আর কেন হচ্ছে জানি না।
বলেই হালকা কেঁদে দিল ও। আমি উড়নার দিকে তাকিয়ে দেখলাম সত্যিই উড়নাটাতে ঘন রক্ত জমাট বেঁধে হালকা কালো কালো হয়ে আছে।মনে হচ্ছে রাতে কেউ এতে রক্ত মেখেছে আর সারা রাতে সেটা শুকিয়ে এমন জমাট বেঁধে আছে। আমি ও বুঝতে পারছিলাম না আমার সাথে এসব কি হচ্ছে। বারবার এসব অভান্তর আজগুবি জিনিসেই বা কেন দেখছিলাম। মনে হচ্ছে বিষয়টাতে কোনো রহস্য আছে। থাকলেই বা সেটাতে কি রহস্য। বেশ অদ্ভূত লাগছে বিষয়টা। সন্ধির দিকে তাকিয়ে দেখলাম সন্ধি ততক্ষণে কেঁদে চোখ ভাসিয়ে একাকার করে ফেলেছে। সন্ধির কান্না দেখে তাকে হালকা ধমক দিয়ে বললাম
-একদম কাঁদবি না।এখন এভাবে কাঁদলে সায়রা আপু সন্দেহ করে বসবে। চল ফ্রেশ হয়ে নিই। ডাক্তারের সাথে কথা বলে গর্ভপাতের ব্যবস্থা করব। আমার কাছে জামনো কিছু টাকা আছে। তোর কাছে কোনো টাকা থাকলে দে।
সন্ধি চোখটা মুছতে মুছতে তার ব্যাগ থেকে জমানো কিছু টাকা বের করে আমার হাতে গুজে দিল। তারপর দুজন ফ্রেশ হয়ে নিলাম। আপুর কথা মতো একঘন্টা পর খাবার টেবিলে গেলাম। দুজনেই খেয়ে নিলাম। বান্ধবীর বাবাকে দেখার কথা বলে দুজন আবার বের হয়ে ডাক্তারের চেম্বারের দিকে রওনা দিলাম।
অবশেষে ডাক্তারের কাছে পৌঁছালাম। ডাক্তারকে অবশ্য বলিনি সন্ধি বিবাহিত না। ডাক্তারকে বলেছিলাম সন্ধি বিবাহিত।
ওহ তখন তো ডাক্তারের পরিচয় দেওয়া হয়নি৷এখন দিয়ে দিই তাহলে। ডাক্তারের নাম রাহনুমা পারভীন।
আমি আর সন্ধি ডাক্তার রাহনুমা পারভীনের চেম্বারে ঢুকতেই উনি একটা হাসি দিয়ে বলল
-কি ব্যপার আজকে আবার আসলেন। আমি তো বলেছিলাম একমাস পর চেক আপ করতে আসতে।কোনো সমস্যা হয়েছে কি?
আমি হালকা ঢুক গিলতে লাগলাম দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সন্ধিও আমার পাশে নীরব হয়ে দাঁড়িয়ে রইল। গর্ভপাতের বিষয়টা কীভাবে বলব সেটাও ভাবতে লাগলাম। ভয় হচ্ছিল ভেতরে। কথা বলতে গিয়েও যেন গলা কেঁপে উঠছিল। আমাকে আর সন্ধিকে এভাবে নীরব হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে উনি হালকা ডেকে বলল
– কি ব্যপার নীরব হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন কেন? আপনার বোনকে নিয়ে চেয়ারটা টেনে বসুন। আর বলুন কি সমস্যা।
আমি আর সন্ধি চেয়ারটা টেনে বসলাম। তারপর ডাক্তার রাহনুমার দিকে তাকিয়ে বললাম
– সন্ধির বয়স অল্প। আমরা চাচ্ছি না সন্ধি এখনেই বাচ্চার মা হোক। আমার বাবা, মা কেউ নেই আর সন্ধিরও বাবা মা কেউ নেই। হয়তো তারা থাকলে বিষয়টা তারা দেখত। এখন সন্ধির ইচ্ছা এ বাচ্চা জন্ম না দেওয়ার। গর্ভপাতের ব্যবস্থা কি করা যায় না?
ডাক্তার আমার কথা শোনে একটু ভেবে বলল
– গর্ভপাত করানোর আগে একটু ভেবে দেখেন। কারন অনেকে বাচ্চা পায়না। আপনার বোন দুটো বাচ্চার মা হতে চলেছে বাচ্চা নষ্ট করা কি ঠিক হবে?
– ম্যাম ওর বসয় কম। আমাদের বড় কোনো অভিভাবকও নেই। এখন বাচ্চা নিলে লালন পালনেরও একটা বিষয় আছে।শ্বশুড় বাড়িতে ওকে কেউ এখনো মেনে নেয়নি। প্রেমের বিয়ে। একটা বাচ্চার দায়িত্ব নেওয়া অনেক রিস্ক হয়ে যাবে। ও এখনো স্টুডেন্ট। ওর পড়াশোনাও ব্যাঘাত ঘটবে। মানসিক দিক দিয়েও ও প্রস্তুত না। সব দিক বিবেচনা করে আমরা কেউ চাচ্ছি না সন্ধির বাচ্চাটার জন্ম হোক।আপনি গর্ভপাতের ব্যবস্থা করুন।
ডাক্তার রাহনুমা এবার আমার কথা শোনে কিছুক্ষণ ভেবে বলল
– যে বিষয়টা বলেছেন সেটা যদিও ঠিক। তবে অভিভাবক ছাড়া গর্ভপাত করা সম্ভব না। উনার স্বামীকে নিয়ে আসবেন। উনার স্বামী ব্যাতীত গর্ভপাত করতে পারব না। এক সপ্তাহ পর উনার স্বামীকে সহ নিয়ে আসবেন। আর কিছু টেস্ট লিখে দিলাম এগুলো করে রাখবেন। উনার বয়স কম তিনমাস হয়ে গেছে প্র্যগানেন্সির গর্ভপাতেও বেশ ঝুঁকি হতে পারে ভেবে চিন্তায় আসবেন।
– হ্যাঁ তা আসা যাবে। কিন্তু হাসপাতালে কি থাকা লাগবে?
– নাহ থাকা লাগবে না। সকালে করলে রাতেই নিয়ে যেতে পারবেন। সারাদিন থাকতে হবে আরকি।
– আচ্ছা ঠিক আছে ম্যাম। আমরা উঠলাম।
বলেই ডাক্তারের চেম্বার থেকে বের হলাম।রিকশা নিলাম বাসার উদ্দেশ্য। অভিভাবক কোথায় পাব এটা ভেবেই অস্থির হচ্ছিলাম।
অনেক ভেবে হাসিবকে কল দিলাম। হাসিব আমার বয়ফ্রেন্ড। অনার্স চতুর্থ বর্ষে পড়ে। আমার কল ধরতেই ওকে সবটা খুলে বললাম। ওকে সন্ধির অভিভাবক হতে বললাম। স্বামী সাজিয়ে নিয়ে যাব বললাম।ও রাজি হতে চায় নি তবে আমাদের বিষয় বিবেচনা করে রাজি হলো।
বাসায় আসার পর সবকিছু এলোমেলো লাগছিল।দুই দুইটা বাচ্চা খুন করতে হবে ভেবেই যেন আনমনা হচ্ছিলাম বারবার। আপুকে বলব কীভাবে সেটাও বুঝতে পারছিলাম না। বলা উচিত হবে কিনা বুঝতে পারছিলাম না।তবে আপু জানলে প্রাণে মেরে ফেলবে।তাই আপুকে বলা থেকে বিরত থাকলাম।এদিকে সন্ধির বাচ্চার বাবা কে সেটাও বের করতে পারেনি এখনো। তার উপর এত সব ঘটনা সব যেন মনটাকে এলোমেলো করে তুলছিল।এলোমেলো সব প্রশ্ন নিয়েই সারাদিন পার করলাম।
পরদিন সকালে কলেজে না গিয়ে সন্ধিকে নিয়ে গেলাম টেস্ট করাতে। সাথে হাসিবকে নিয়ে গেলাম।হাসিবও সব শোনে অবাক হলো। আমার মতো হাসিবের ও একই প্রশ্ন সন্ধির বাচ্চার বাবা কে? কিন্তু সন্ধি সেটা বলতে নারাজ। তবে এটা নিয়ে ভাবলে তো আর হবে না সন্ধির মান সম্মানটা আগে বাঁচাতে হবে। তাই সন্ধির সকল টেস্ট শেষে কলেজের সময় পর্যন্ত আর সন্ধির স্কুলের সময় পর্যন্ত বাইরে কাটিয়ে বাসায় আসলাম। হাসিব ও চলে গেল।
সন্ধি কেমন জানি মনমরা হয়ে গেছিল। হবেই বা না কেন নিজের সন্তান খুন করতে যাচ্ছে এর থেকে কষ্টের আর কি হতে পারে। আমার ভেতরটাও জ্বলে পুড়ে যাচ্ছিল। দুইটা বাচ্চা খুন করব ভেবেই যেন আকুল হয়ে যাচ্ছিলাম। নিজেকে সামলাতে চেয়েও পারছিলাম না। সারাদিন অসহ্য গ্লানির যন্ত্রণা নিয়ে পার করলাম। রাতে খেয়ে দুজনেই শুয়ে পড়লাম। সন্ধি ওপাশ ফিরে হালকা হালকা কাঁদছে। আমি এপাশ ফিরে আনমনে এসব নিয়ে ভাবছি। ভাবতেই ভাবতেই চোখটা বুজে এলো। এমন সময় ফোনটা বেজে উঠল। আমি ফোনটা হাতে নিতেই দেখলাম রাত তিনটে বাজে আর হাসিব কল দিয়েছে। আমি ঘুম ঘুম চোখে হাসিবের কলটা ধরে হ্যালো বলতেই হাসিবের কন্ঠস্বর শোনে ভয় পেয়ে গেলাম।
চলবে?