story :#রাত_যখন_গভীর
writer:#jannatul_mawa_moho
writer :
part :04
ঠিক তখনই লালচে বৃত্তটির প্রবেশ ঘটে রুমে। অর্কের মুখে যেন হাসি ফুটে উঠে।সে মনে করেছি যে সে নিমিষেই লালচে বৃত্তটিকে নিজের অধীনে আনতে পারবে। কিন্ত একটু পর, হাসি মুখটা যেন নিমিষেই কালো হয়ে গেছে। লালচে বৃত্তটির তীব্রতা অনেক বেশি যার ফলে অর্ক,লাবু,রাবেয়া, রাহাত হুজুর, কামাল সবারই তাকিয়ে থাকতে কষ্ট হচ্ছে। এক পর্যায়ে তাদের সবার চোখ জোড়া জ্বলতে শুরু করে ।আর যার ফলে সবাই চোখের জ্বালা সহ্য করতে না পেরে সেন্সলেস হয়ে যাই।
রাত যখন শেষের পথে সবার প্রথমে অর্কের চোখ খোলে।তখনই দেখে রিনি ঘুমাচ্ছে তবে তারা যে বৃত্তের ভেতরে রিনিকে আবদ্ধ করে রেখেছিল সেই বৃত্তের অস্তিত্ব আর নেই। তাহলে তাদের সবার চোখের আড়ালে আবার সেই এসে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছে।অথচ রিনি বেচারি কিছুই জানেনা।কিন্তু রিনিকে দেখে একদম বুঝা সম্ভব হচ্ছে না যে তার সাথে কেউ কাল রাতে অবিশ্বাস্য কিছু করেছে।অথচ মেয়ে টি যেভাবে ঘুমিয়ে ছিল ঠিক একইভাবে এখনো শুয়ে আছে। অর্ক যেন আর কিছু ভাবতেই পারছে না।
এর কিছু সময় পর সবাই জেগে ওঠে। অর্ক লাবুকে নাস্তা রেডি করতে বলে। আর কামাল আর রাবেয়া কে রেস্ট নিতে বলে। আর রিনি কে ঘুম থেকে না জাগাতে বলে।
আর অর্ক বলেঃ রাহাত হুজুর আসেন।আমাদের ওয়ার্কিং রুমে যাই।খুব গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে হবে।
অর্ক আর রাহাত হুজুর এখন বসে আছে। একটা অন্ধকার রুমে।যেটা তাদের কাজ করার রুম।
তারা ধ্যান করছে।অর্ক বিড়বিড় করে মন্ত্র উচ্চারণ করেছে। আর রাহাত হুজুর কুরআন শরীফ পড়ে।তার অনুগত জীনকে ডাক দিচ্ছে।
অর্ক তার শক্তি দিয়ে বুঝার চেষ্টা করছে কি হয়েছে।
আর রাহাত হুজুর জীনকে উপস্থিত করার চেষ্টা করছে। অতঃপর রাহাত হুজুরের জীন হাজির হয়।
আর রাহাত হুজুর জিগ্যেস করলো ঃ রিনির সাথে এমন কেন হচ্ছে? আর কি হচ্ছে?
আর আমরা কিছু করতে পারছিনা কেন?এই এত বছর হলো এই পেশাতে যুক্ত আছি ।এমন কখনো হয়নি বরং সব কেইস আমি আর অর্ক খুব ভালো ভাবে সমাধান করতে পেরেছি ।তাহলে রিনির কেইসের ক্ষেত্রে এমন হচ্ছে কেন?
জীন বলেঃ হুজুর মাপ চাই।আমি কিছু বলতে পারবোনা। তবে আমি জানি কি হয়! কে করছে এসব।তবুও বলতে পারবোনা।
যদি আমি মুখ খুলে ফেলি।জীন রাজ্যে প্রবেশ বন্ধ হয়ে যাবে আমার জন্য।
রাহাত হুজুর বলেঃ তুই ও এমন করলে।আমরা রিনি কে কেমনে বাঁচাবো?
জীন বলে ঃ হুজুর গোস্তাকি মাফ করবেন। আমি আজ আসি।
রাহাত হুজুর জীন যাওয়ার পর আরো বেশ কয়েক বার ডাকলো তাকে কিন্তু জীন কোন সারা দিলো না।
রাহাত হুজুর চিন্তায় পড়ে যায়। কি করবে তারা এখন? কামাল অনেক আশা নিয়ে সাহায্য চাইলো! কিন্তু তারা কি না কিছুই করতে পারছে না।
অর্ক বলেঃ রাহাত হুজুর আমি কিছু তথ্য সংগ্রহ করতে পেরেছি! আমি কিছু দেখতে পাচ্ছি।
অর্ক চোখ জোড়া বন্ধ অবস্থাই এসব বলছে।
রাহাত হুজুরের মুখে যেন হাসি ফুটে উঠেছে।
অর্ক বলেঃ যে রিনির সাথে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হচ্ছে। সে খুব শক্তি শালী।আর সে হচ্ছে জীন রাজ্যের রাজার একমাত্র ছেলে ইনতিয়াজ।আর তার কাছে জীন রাজা আর রানীর উভয়ের শক্তি আছে। যার ফলে সে সব কিছু করতে পারে। রাহাত হুজুর আমি আর কিছু তথ্য দেখতে পাচ্ছি কিন্তু মুখ খুলে বলতে পাচ্ছি না।এমন কেন হচ্ছে!!!আর আমার শরীর অবস হয়ে যাচ্ছে।
তখনই অর্ক সেন্সলেস হয়ে পড়ে যাই। রাহাত হুজুর অর্ককে কোলে করে ড্রইং রুমে নিয়ে গেল। আর সবাইকে ডাক দিলো। এভাবে অর্কের নিথর শরীরটা বেশ কিছুক্ষণ পড়ে ছিলো।গ্রামে ডাক্তার ও তেমন নেই। কিন্তু আরও কিছু সময় পর অর্ক একটু সুস্থ হয়ে উঠলো ।
রাহাত হুজুর এখন বুঝতে পারছে। এই কারণে তার জীন তাকে কিছু বলতে নারাজ ছিল। অর্কের এই অবস্থা না জানি জীনের কি হতো!!
আর এই জন্য হয়তো পরে বেশ কয়েক বার ডেকে ও সারা দিলো না জীনটা।
অর্ক বলেঃ রাহাত হুজুর একাজে সাহায্য লাগবে। খুব জটিল একটা কাজ।আমি আর আপনি একা কিছু করতে গেলে প্রাণ যাবে নিশ্চিত।
রাহাত হুজুর বলেঃ কার থেকে সাহায্য নিবে? কে করবে সাহায্য???
অর্ক বলেঃ মনে আছে। আমার ২ টা বান্ধুবীর কথা বলছিলাম। সুমি আর জান্নাত!!!!
আর একটা বন্ধু হাবিব!!!
রাহাত হুজুর বলেঃ আরে মনে আছে। কিন্তু ওদের এমন কি power’s আছে যে আমাদের সাহায্য করতে পারবে?
অর্ক বলেঃ ওদের Powers আছে শুধু আমি জানি। তবে কেউ কে না বলতে বলেছিলো।এখন এই পরিস্থিতিতে না বলে পারলাম না।
শুনেন তাহলে ওদের ৩ জনের মধ্যে কি power’s আছে।১.সুমির কাছে প্যারানরমাল জিনিসের অবস্থান কোথায় তা চোখ জোড়া বন্ধ করতেই দেখার ক্ষমতা আছে। ২.জান্নাত এর কাছে জীন রাজ্যের সাথে যোগাযোগ করার ক্ষমতা আছে। আর জীন রাজার বিশেষ অতিথি।
৩.হাবিব এর কাছে একটা স্ফটিক আছে। যার দ্বারা অতীত দেখা যাই।
কামাল রিতিমত আশ্চর্য। একসাথে তাদের সাথে ভার্সিটি শেষ করেও এই বিষয়ে একদম অবগত ছিলোনা। আর লাবু তো একদম নিরব হয়ে আছে। এটা শুনে।।
রাহাত হুজুর বলেঃ আর দেরি না করে ওদের ডেকে আনো।কালকে সেই প্রিন্স অনেক রেগে ছিলো। তাই লালচে বৃত্তটির রশ্মি বেশি ছিল আমি যতোটুকু বুঝতে পারলাম । সে রাগের মাথায় রিনি মার ক্ষতি করতে পারে।
অর্ক বলেঃ আমি ওদের সকাল ৮ টার দিকে কল দিবো।তার আগে চলো সবাই কিছু খেয়ে নি।আর লাবু রিনি কে একটু ডেকে আনো। একসাথে নাস্তা করে একটু গল্প করি সবাই মনটা একটু ভালো হবে।
বিকাল ৪ টার দিকে দরজার মধ্যে কে যেন কড়া নাড়ে?
অর্ক দরজা খুলে দেখে হাবিব, জান্নাত, সুমি হাজির
সবাই মিলে রাতের খাবার শেষ করে। কাজে নেমে যাই।
তবে আজ রিনিকে আবদ্ধ করে রাখা হয়।রাহাত হুজুরের নামাজ আদায় করার ঘরে। আর সামনের জায়গায় ৩ টি বৃত্ত। একটাতে আছে কামাল,রাবেয়া, লাবু।অন্যটিতে আছে অর্ক,রাহাত হুজুর, জান্নাত, হাবিব, সুমি।আর অন্য টি খালি রাখা হয়েছে। ঘরের প্রত্যেক কোনায় কোনায় দোয়ার পানি দিয়ে সুরক্ষিত করা হলো যাতে কাউকে কোনভাবে ক্ষতি করতে না পারে।আর ঘরের কোন কোনায় যাতে লুকিয়ে না থাকে।
কিন্তু খালি বৃত্ত টিতে দোয়ার পানি দেয় নি।কারণ প্যারানরমাল যে কোন কিছু এসে ওইটাতে অবস্থান করতে পারে মতো ।
হাবিব বলেঃ আগে একটু অতীতে গিয়ে দেখে আসি প্রিন্সের(ইনতিয়
াজের) দূর্বলতা কি?না হয়।ইনতিয়াজকে(প্রিন্সকে) এখানে আনা সম্ভব হবে না।
তখই দেখে,,,,,,,,
চলবে,,,,,,,