Story :#রাত_যখন_গভীর
writer:#jannatul_mawa_moho
writer :
Part :05
তখন দেখে একটা খুব সুন্দর মেয়ে। সম্ভব প্রিন্সের চেয়ে বয়সে ৩,৪ বছরের ছোট হবে।
হাবিব বলেঃ এটা হলো ইনতিয়াজ(প্রিন্স) এর বোন।আর প্রিন্সের সবচেয়ে বড়ো দূর্বলতা! জীন মেয়ে টির নাম হচ্ছে শাম্মি। জান্নাত আর সুমি আবার খেয়াল করে দেখে। আরে এই মেয়েকে কলেজ এ দেখে ছিলাম। ইন্টারমিডিয়েট এ মেয়েটি বিজ্ঞান বিভাগের ছাএী ছিল।
লাবু বলেঃ আরে এ কি কান্ড,
জীন ও দেখি মানুষের লগে পড়া লেখা করা শুরু করছে।
অর্ক বলেঃ তাহলে এখন আমারা জেনে গেছি প্রিন্সকে আমাদের কাছে আনতে হলে তার প্রাণের প্রিয় বোন শাম্মি ই যথেষ্ট। সুমি শোন হাবিব এর কাজ কমপ্লিট। এবার কিন্তু সুমি তোর পালা!
সুমি বলে ঃ ওকে লিডার।
অর্ক বলেঃ ভালো করে দেখ।শালার প্রিন্স আসে পাশে আছে নাকি?
সুমি চোখ জোড়া বন্ধ করতেই দেখার চেষ্টা করছে আশেপাশে অশরীর বা প্যারানরমাল কিছু আছে নাকি? সুমি হঠাৎ দেখতে পেল কেউ একজন খুব চেষ্টা করছে ঘরের ভেতর প্রবেশ করার।কিন্তু সে আগন্তুক চাইছে না সে সাজিয়ে রাখা বৃত্তে তার প্রবেশ হোক!
অন্য দিকে এদের সবার কান্ড দেখতে দেখতে রিনি ঘুমিয়ে পড়লো।
রাবেয়া বলেঃ রিনি এই রিনি!!!!ঘুমাই গেলি নাকি? সারাদিন শুধু ঘুম।আমরা আছি তুর চিন্তায়। আর তুই পড়ে পড়ে ঘুমাচ্চিস?তুরে তো ঘুমের মধ্যে পানিতে ফেলে দিলে ও তুই জানবি না।
কামাল বলেঃআহ! রাবেয়া। মেয়ে টা কে কেন বকাবকি করছো?রিনি মা তুই ঘুমিয়ে পড়।তুর মার স্বভাব ই এমন জানস তো।সারাদিন খালি বকবক করা। তুমি যে বলছো পানিতে ফেলে দিলে ও রিনি জানতে পারবেনা। ওর সাথে এর চেয়ে মারাত্মক কিছু হয়েছিল এবং হচ্ছে সে তো তার ও কিছু জানে না।
না জানি আমার কোন পাপের শাস্তি আল্লাহ এইভাবে আমার আদরের মেয়ে কে দিচ্ছে।
কথায় আছে, মা বাবা কোন দোষ করলে নাকি তার প্রভাব সন্তানের উপর পড়ে।
কামার আবার বলেঃ আর রাবেয়া, একটা জিনিস লক্ষ্য করু,রিনি কিন্তু আগের মতো গুলুমুলু নেই। আমার সুন্দর দেখতে মেয়ে টার শরীর অার স্বাস্থ্য কেমন জানি হয়ে গেছে। শালা,জীন ইনতিয়াজ(প্রিন্স) কে হাতের কাছে পাইলে হবে।শেষ করে দিবো শালা কে।রাতের পর রাত, রাত যখন গভীর হয় আমার মেয়ে সাথে সে, আমার মেয়ে রিনির অজান্তেই এক নষ্টামি খেলায় মেতে উঠে। আমি না রাবেয়া একটা জিনিস কিছু তেই মিলাতে পারছিনা।রাতে এতকিছু হয় কিন্তু রিনি কিছুই জানে না কেন?
আসলে রাবেয়া মেয়ে র স্বাস্থ্যের দিকে একদম খেয়াল করেনি।কামাল বলার পর লক্ষ্য করে দেখে। আসলেই কামাল যা বলছে ভুল কিছু বলেনি। এরপর
রাবেয়া বলেঃ ওগো। আসল ব্যাপার হচ্ছে, আমরা সবাই টেনশনে আছি।খাওয়া,দাওয়া রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে।আর নবাবজাদি ঘুমাচ্ছে তাই দেখে বকে দিছিলাম।আর একটা কথা কি জানো,রিনির ও জেগে থাকতে হবে, রিনির ও জানা দরকার কি হয় ওর সাথে রাতে আঁধারে।আর রাত যখন ঠিক গভীর হয়ে আসে।কামাল তুমি একটা জিনিস বুঝতে পারছো না আর আমাকে দেখ!
আমি আরও হাজার টা প্রশ্নের উত্তর পাচ্ছি না।
রাহাত হুজুর বলেঃ আরে তোমরা বউ জামাই ঝগড়া বিবাদ কেন বাধাচ্ছো?রিনি এখন ঘুমাক।প্রিন্স আসলেই।এমনিতে ও স্বজাগ হবে।আর তোমাদের সব প্রশ্নের উত্তর প্রিন্স কে হাতের মুঠোয় করে নিতে পারলে পেয়ে যাবে।আর কামাল আপনি আর ভাবি আর ঝামেলা করিয়েন না।লাবু ভাবির মত চুপ করে বসে থাকেন।
লাবু বলেঃ হুহ্ কি করবো?কি বলবো? বুঝতে না পেরে চেয়ে আছি। আপনাদের সবার দিকে।
অর্ক বলে উঠলো ঃসুমি তোর কাজ শেষ। জান্নাত তোর কাজের পালা।কাজ শুরু করে দে।
জান্নাত বলেঃতাহলে তুরা সবাই চুপ থাক।আমি জীন রাজা কে ডাকার চেষ্টা করি।
জান্নাত অনেকক্ষণ চোখ জোড়া বন্ধ করে জীনের রাজার নাম ধরে ডাকে। জীনের রাজা রশিদ। আপনি কি আমাকে শুনতে পারছেন?
শুনতে পেলে আমার ডাকে সাড়া দিন।আমার খুব জরুরি কাজে আপনাকে দরকার। বেশ কিছু সময় চলে গেল ।আর জান্নাত হতাশ হয়ে যাই। কেন সাড়া দিচ্ছে না জীন রাজা।
রাহার হুজুর বলেঃ ধৈর্য রাখতে। তিনি আরও বলেছেন,
কথায় আছে, আল্লাহ পাক ধৈর্য শীল ব্যক্তিকে বেশি পছন্দ করে।
জান্নাত আবার ধৈর্য ধরে আবার ডাকতে শুরু করে।
আলহামদুলিল্লাহ বলে উঠে জান্নাত।
রাহাত হুজুর বলেঃ আপনার ডাকে কি সাড়া দিচ্ছে?
জান্নাত বলে ঃ উনি এখন আমাদের সামনে আসবেন। আর যথা সম্ভব সাহায্য করবেন বলেছে।
একটু পর জীন রাজা।উপস্থিত হয়ে গেল।
জীন রাজা রশিদ বলে ঃ কী হলো জান্নাত?সমস্যা টা বলো?আর কি করতে পারি তোমার জন্য?
জান্নাত একে একে সব বলে।
আর হাবিব বলেঃ ওই জীন প্রিন্স এর ছবি আমার স্ফটিকে আছে। দেখেন যাহা পনা????
রাজা রশিদ যেন অবাকের চূড়ান্ত সীমাই পৌঁছে যায়।
রাজা বলেঃ এটা আমার ছেলে প্রিন্স ইনতিয়াজ।সে এত নিচু কাজ করতে পারে আমি ভাবতেই পারছিনা
আমি ওকে সুশিক্ষা দিয়েছি।নিশ্চয়ই কোন কারণ আছে না হয় সে এমন করার কথা নয় বরং প্রশ্ন ও উঠে না।
রাজা রশিদ বেশ কয়েক বার তার ছেলে কে ডাক দেই। কিন্তু সাড়া দিচ্ছে না।
তখনই হাবিব বলেঃজীন যাহা পনা গোস্তাকি মাফ করবেন। আমরা আপনার ছেলের দূর্বলতা জানি।আর তার দূর্বলতা তার আদরের বোন শাম্মি।শাম্মি তো আপনার মেয়ে।যদি আপনার মেয়ে কে এখানে আনা হয় তাহলে প্রিন্স নিজে থেকে ধরা দিবে।
রাজা রশিদ বলেন ঃ আমি ও চাই সে তোমাদের কাছে আসুক।
রাজা রশিদ তার মেয়ে শাম্মি কে ডাক দেই। সাথে সাথে চলে আসলো।
হাবিব মনে মনে বলে বাহ! মেয়ে টা দেখি বাবার বাধ্য মেয়ে। হাবিব আরেক পলকে শাম্মির দিকে ফিরে তাকাই।
হাবিব মনে মনে বলছে ঃবাহ! বেশ সুন্দর জীন মেয়ে টা।কোমর অবধি ছুয়ে আছে কালো কালো চুল। আর গাঁয়ের রং হালকা গোলাপি। যেন আল্লাহ ওকে বানানোর সময় দুধের সাদা রঙের মধ্যে হালকা গোলাপি রঙ ডেলে দিয়ে ছিল ।বেশ সুন্দর। আর নীল রঙের শাড়িতে আরও আকৃষ্ট করেছে। এককথায় মেয়ে টা যেন একটা অপরূপা সুন্দরী।
তখনই,
জান্নাত কে দেখে শাম্মি অবাক।
শাম্মি বলেঃবাবা উনি তো আমার কলেজ এর batchmate।!!! আমি বিজ্ঞানে ছিলাম আর জান্নাত ব্যবসায়ি বিভাগে।
উনি কেন এখানে?আর তোমার না এখন রেস্ট নেওয়ার কথা ছিল। তুমি কেন এখানে? আর এই মানুষ গুলো কারা?আর আমরা এই বৃত্তের ভেতরে ঢুকে আছি কেন?
রাজা রশিদ বলেন ঃ মা তুই এতগুলো প্রশ্ন করতে থাকলে উত্তর কেমনে দিবো?
হঠাৎ অর্ক বলেঃ আমি বলছি আপনাকে পুরো ব্যাপার।পুরো ব্যপার শুনে,
শাম্মি যেন অবাক হয়ে যাই। আমার ভাই ইনতিযাজ এমন করতেই পারেনা।It’s just impossible….
অর্ক বলেঃ আপনার ভাই এমনটাই করেছে। তাই আমাদের মেয়ে রিনির এই পরিস্থিতির স্বীকার।
শাম্মি বলেঃwait wait… আপনারা এতক্ষণ মেয়ে মেয়ে বলে কাহিনী টা বুঝালেন? নামটা বলেননি কেন?রিনি আমার পরিচিত। মেয়ে টা অনেক ভালো। আমি মাঝে মধ্যে ওকে দেখতেই আমার রাজ্য থেকে এখানে আসতাম। রিনি আমাকে একদিন বিপদ থেকে রক্ষা করে ছিলো।তাই রিনির প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।আমি ওকে সাহায্য করবো।আর আমিও জানতে চায় আমার ভাই কেন এমন করছে? আমি ভাইকে ডাক দিচ্ছি।
রাজা বলেঃ আমি ডাকলাম। তুর বজ্জাত, হতচ্ছাড়া, কেয়ার লেস,বান্দর ভাই সাড়া দেয় নি।
শাম্মি অনেকক্ষণ ডাকলো।সে জানে তার ভাই কারো ডাকে সাড়া না দিলে ও তার ডাকে সাড়া দিবে। কারণ প্রিন্স তার বোনকে তার প্রাণের ছেয়ে বেশি ভালবাসে। আসলে ভাই বোনের ভালোবাসা গুলো এমনই হয়ে থাকে।
তখনই সবাই দেখে……….
চলবে…..