শালিক পাখির অভিমান পর্ব -০৪

#শালিক_পাখির_অভিমান
#পর্ব_০৪
#অধির_রায়

ঘন অন্ধকারে হেঁটে হেঁটে বাসস্ট্যান্ডে আসলাম৷ পা চলছে না। দেহ ক্ষীণ হয়ে আসছে৷ ঠিকমতো না খাওয়ার জন্য শরীর খুব দুর্বল৷ মাঝ রাস্তায় এসে টিউবওয়েলের পানি পান করার ফলে একটু শক্তি পেয়েছি৷ বাসের সি-১ সিটে বসে আছি৷

বাড়িতে কান্নার ধুম পড়ে গেল৷ বিয়ে বাড়ি হয়ে উঠল শোকের বাড়ি৷ দাদীর খবর পেয়ে শাকিলা, সাদাফ ভাই চলে আসছেন৷ শাকিলাকে থামানো যাচ্ছে না৷ তার কান্নার বেগ ক্রমাগত বেড়েই যাচ্ছে৷ তাকে কেউ শান্ত করতে পারছে না৷ মা, বাবা, ভাই, বাড়ির সকলেই কান্না করে যাচ্ছে৷ তবুও অনেকের মুখে শোনা যাচ্ছে চো’র, চো*রের মা এক সাথেই মারা গেছে৷ আল্লাহ যা করে ভালোর জন্যই করে৷ সবার মৃত্যু হলেও এই অপয়ার মৃত্যু নেই কেন? আল্লাহ এই অপয়া মেয়ের শাস্তি দিচ্ছেন না কেন?
ইহকালের প্রতি সমস্ত মায়া কেটে গেছে৷ নিজেকে শেষ করে দিতে ইচ্ছা করছে৷ আমি ভীতু হওয়ায় আ*ত্ম*হ*ত্যা করতে পারছি না৷ তার উপর মা দিব্যি দিয়েছে, আমি যদি আত্মহত্যার চেষ্টা করলে মা সেদিন নিজেকে শেষ করে দিবেন৷ সন্ধ্যার দিকে ফুপি আর দাদীকে জোড়া কবর দেওয়া হয়৷ বাড়িতে খাঁ খাঁ বিরাজ করছে৷ শাকিলার কান্না দেখে চোখের অশ্রু ধরে রাখতে পারলাম না৷ সারাদিন অনেক চেষ্টা করে চোখের অশ্রু ধরে রেখেছি৷ বুক ফেটে কান্না চলে আসল৷ বাবার হরমুর করে ঘরে ঢুকেন৷ গম্ভীর কন্ঠে বলল,

“চো*রের মুখে কান্না শোভা পাইনা৷ তোর জন্য আমার মা, বোন আজ পৃথিবীতে নেই৷ তোর কোন বেঁচে থাকার অধিকার নেই৷ বাবা টানতে টানতে আমারে উড়ানে নিয়ে আসেন৷ শাকিলা বাবার পায়ে পড়ল। শাকিলার কোন কথা বাবার কান অব্ধি যাচ্ছে না৷ শাকিলাকে বড় খালা টেনে ঘরে নিয়ে যান৷ আমাকে টানতে টানতে বাবা বড় সড়কের মাথায় নিয়ে আসেন৷ বাবার পিছন পিছন কাউকে আসতে মানা করে৷ বাবা পকেট থেকে কিছু একটা বের করে আমার হাতে দেন৷ অশ্রুসিদ্ধ নয়ন ভেজা গলায় বলল,

” মা তুই গ্রাম থেকে চলে যা৷ তুই গ্রামে থাকলে সবাই তোকে পাথর নিক্ষেপ করে মে*রে ফেলবে৷ আমি বাবা হয়ে সহ্য করতে পারব না৷ এখানে কিছু টাকা আর বাসের টিকেট আছে৷ তোর দাদীর কাফনের কাপড় কিনার সময় তোর জন্য ঢাকা যাওয়ার টিকেট কাটছি৷ এখানে একটা ঠিকানা আছে৷ তার কাছে গেলে তোর কোন একটা ব্যবস্থা করে দিবে।”

আমার উত্তর না শুনে বাবা চোখের অশ্রু হাতের উল্টো পীঠ দিয়ে মুছতে মুছতে চলে গেল৷ আমি মুগ্ধ দৃষ্টিতে বাবার দিকে তাকিয়ে আছি। আমি কালো বলে বাবা কোনদিন মন খুলে আমায় আদর করেনি৷ বাবার আরও একবার প্রমাণ করে দিলেন শাকিলার মতো আমাকেও বাবা মনের গহীন থেকে ভালোবাসেন৷ আমার বিয়ের যৌতুকের জন্য বাবা সর্বত্র হারিয়েছে৷ তবুও আক্ষেপ ছিল না৷ আরও টাকার জন্য যখন আমাকে শারিরীক, মানসিক নির্যাতন করত তখন ভেঙে পড়তেন৷ কখনও বুঝতে দিতেন না৷ বিয়ের কাবিননামায় বেশি টাকা উল্লেখ না থাকায় তার বিরুদ্ধে মামলা করেও কোন ফল পাইনি৷ বাবা মিশে অন্ধকারের সাথে একাকার হয়ে গেল৷ বাবার একটু আদর ভালোবাসা পেলেই সব ব্যথা ভুলে যায় মেয়ে মানুষ৷

বাস চলছে আপন গতিতে। পাশের সীটে বসেছেন এক ভদ্র মহিলা৷ উনার ছোট বাচ্চার খুব লাফালাফি করছে৷ মাঝে মাঝে জোরে লাথি দিচ্ছে আমায়৷ পেটে জোরে লাথি দেওয়ার অগ্নি দৃষ্টিতে উনার দিকে তাকালাম৷ গম্ভীর কন্ঠে বললাম,

“আপনার ছেলে আমাকে আর একবার লা’থি দিলে আমি তাকে জানালা দিয়ে ফেলে দিব৷ সন্তান সামলাতে পারেন না জন্ম দিছেন কেন? আপনি সন্তান নিয়ে ঢাকা যাবেন দুই সিট নিতে পারলেন না!”

ভদ্র মহিলা আমার দিকে অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন৷ আমার চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন৷ তিনিও খুব বিরক্ত। রেগে ভদ্র মহিলা নিজের বছর তিনেক খাচ্চাকে জোরে থা*প্প*ড় বসান৷ আমার খেলাল হলো আমি খারাপ ব্যবহার করেছি৷ আমি বাচ্চাকে হাত বাড়িয়ে নিতে চাইলাম৷ তিনি সরিয়ে নিলেন৷ মলিন মিহি কন্ঠে বলল,

“আমার বাচ্চাটা খুব দুষ্টু৷ আপনার দিকে আর হাত পা ছুঁড়ে মা*র*বে না৷ আমি তাকে ঘুম পাঠিয়ে নিচ্ছি৷”

কথা বলার শক্তি পাচ্ছি না৷ মহিলার সাথে আর কথা বাড়ালাম না৷ বাহিরের দিকে তাকিয়ে আছি এক ধ্যানে৷ শীতল বাতাসে অবাধ্য চুল গুলো উড়ছে। সমস্ত দেহ ঠান্ডা হয়ে গেছে৷ জানালার কাঁচ বন্ধ করার শক্তি পাচ্ছি না৷ ভদ্রমহিলা আমাকে দুইবার বলেছেন জানালা বন্ধ করতে৷ উনার কথা কান অব্ধি পৌঁছালেও জানালা বন্ধ করার শক্তি নেই৷ উনি আমাকে হালকা ধাক্কা দিয়ে বললেন,

“আপনার কি হয়েছে? উদাসীন মন নিয়ে বসে আছেন৷ দুনিয়ায় দিকে কোন খেয়াল নেই৷ শীতে গুটিশুটি হয়ে গেছেন৷ তবুও জানালা বন্ধ করছেন না৷”

কথা বলতে ইচ্ছা করছে না৷ ভদ্রতার খাতিরে বললাম,

“তেমন কিছু হয়নি৷ ঝড় বয়ে গেলে প্রকৃতি শান্ত হয়ে যায়৷ আমি ঝড়ের কবল থেকে মুক্ত শান্ত পাখি৷ ঝড় সবকিছু কেঁড়ে নিয়েছে৷ কিন্তু বাঁচিয়ে রেখেছে আমাকে৷ নিষ্ঠুর পৃথিবীতে আমাকে একা করে সবাই চলে গেছে৷”

মহিলাটি চোখ বুঝে দুঃখ প্রকাশ করল। জোরে শ্বাস নিয়ে কথা বলার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করল৷ চোখে ভয় নিয়ে মলিন কন্ঠে বলল,

“আমার আত্মীয় স্বজন কেউ নেই৷ না মানে একা মেয়েকে এতো রাতে একা আসতে দিল৷”

মহিলার কথা শুনে চোখ ভিজে উঠল। কোন জবাব না দিয়ে পুনরায় দক্ষিণা বাতাস উপভোগ করতে লাগলাম৷ কিছু বলতে গিয়েই থেমে গেল। আধ ঘন্টার জন্য বাস বিরতি দিয়েছে৷ বাসের সকল যাত্রী যে যার মতো প্রাকৃতিক কাজ সেরে আসছে৷ কেউ ঠান্ডা হাওয়ায় ধোঁয়া উঠা চা খাচ্ছে৷ কেউ কেউ তাদের অমৃত সিগারেট খাচ্ছে৷ উপরে ধোঁয়া উঠিয়ে প্রশান্তি পাচ্ছে। ধোঁয়ার মতো আমার জীবন। ধোঁয়া ধীরে ধীরে বিলীন হয়ে যাচ্ছে৷ আমিও মানুষের মন থেকে ধীরে ধীরে বিলীন হয়ে যাব৷ শাকিলা, আরাফ ভাই আমায় কি মনে রাখবে? তারা ভুলে যাবে না তো শালিক নামে তাদের একটা বোন ছিল৷ ভাবনার মাঝে ভদ্র মহিলার ছেলেটি হাতে আমের জুস নিয়ে বলল,

“আন্টি এটা আপনার জন্য৷”

ছেলেটির মুখ প্রাণে এক পলক তাকিয়ে ভদ্রমহিলার দিকে তাকালাম৷ মিষ্টি মধুর স্বরে বলে উঠলেন,

“জুসটুকু খেয়ে নাও৷ ভালো লাগবে৷ আমি তোমার উদরে এক ফোঁটা দানাও পড়েনি৷”

মি*থ্যা হাসি দিয়ে বললাম,

“না আপু৷ আমার ক্ষেতে ইচ্ছা করছে না৷ আমি কিছু খাবো না৷”

মিনতি স্বরে বলল,

“প্লিজ খেয়ে নাও৷ তুমি জুস না খেলে কান্না শুরু করবে৷ এখন কান্না শুরু করলে তাকে আর থামানো যাবে না৷ সে দুষ্টামি করলে বাসের সকল যাত্রীর অসুবিধা হবে৷”

আমি মুচকি হেঁসে ছেলেটার হাত থেকে জুস নিলাম৷ ভালোবাসার মায়াজালে যেন ফেঁসে যাচ্ছি। সে তার মায়ের হাত থেকে অন্য জুস নিয়ে খেতে থাকে। তাকে মাঝখানে বসিয়ে বললাম,

“তোমার নাম কি?”

ভালোবাসার মায়াভরা কন্ঠে বলল,

“আমার সীমান্ত। আপনার নাম কি?”

সীমান্ত শব্দটা শুনে মনের মাঝে শীতল হাওয়া বয়ে গেল। নিমিষেই যেন সকল দুঃখ লাগাম হলো৷ আমিও স্বপ্ন দেখতমা৷ আমার একটা ছোট রাজপুত্র হবে৷ তার নাম রাখব সীমান্ত। নিজের দিকে তাকিয়েই মনটা খারাপ হয়ে গেল৷ আমার স্বপ্ন আদোও পূরণ হবার নয়৷ দীর্ঘ শ্বাস নিয়ে জানালা বন্ধ করে দিলাম৷ কখন চোখ লেগে এসেছে জানি না? মহিলার ডাকে ঘুম ভাঙে৷ তিনি বললেন,

“আমরা ঢাকা এসে পড়েছি৷ আপনি কোথায় যাবেন?”

ঘুম ঘুম চোখে হাই তুলে বললাম,

“জানি না৷ আমার নির্দিষ্ট কোন গন্তব্য নেই৷ যেদিকে দু’চোখ যায় সেদিকেই যাব৷”

চকিত হলে বলল,

“এসব কি বলছো? ঢাকা শহর একদম ভালো নয়৷ তোমাকে একা পেলে জানোয়ারের মতো ছিঁড়ে খাবে৷”

হাতের কাগজটা এগিয়ে দিয়ে বললাম,

“আমাকে এই ঠিকানায় পাঠিয়ে দেন৷ এ অচেনা শহরে আমার আপন বলতে কেউ নেই৷ উনি বাবার পরিচিত। আমার কাছে অচেনা অজানা শহর ঢাকা৷”

ভদ্রমহিলার ঠিকানা নিয়ে ইশারায় যেতে বলল। আমি উনার ছেলের হাত ধরে উনার পিছন পিছন যাচ্ছি৷ উনি একটা সিএনজি ডেকে আনেন৷ সিএনজি ওয়ালাকে বাসার ঠিকানা দেন৷ সাথে গাড়ি ভাড়াও দিয়ে দেন৷ আমাকে সিএনজিতে উঠতে বলেন৷ আমি উঠতেই হাতে একটা কার্ড দিয়ে বললেন,

“কোন দরকার পড়লে এই নাম্বারে ফোন দিবে৷ কাজ না পেলে তেমার কাছের ব্যবস্থা হয়ে যাবে৷”
সিএনজি ভাইয়াকে বলেন,
“একদম গেইটের সামনে নামিয়ে দিবেন ভাই৷”

সিএনজি ভাইয়া মাথা নাড়িয়ে জবার দেন৷ আপন গতিতে গাড়ি চলছে৷ সকাল বেলা অন্য কোন গাড়ির চলাচল নেই৷ ইয়া বড় বড় বিল্ডিং। দয়া দরুদ পড়তেছি৷ আমার উপর যেন ভেঙে না পড়ে৷ উনি আমাকে ইয়া বড় বাড়ির সামনে নামিয়ে দিলেন৷ কাগজটা আমার হাতে দিয়ে বললেন,

“আফা নামেন৷ চলে আসছি৷”

কাগজটা হাতে দিয়েই সিএনজি ওয়ালা চলে গেল৷ বিশাল বাড়ির বিশাল গেইট৷ গেইটটা সিলভারে মোড়ানো স্টিল দিয়ে তৈরি৷ পাশে ছোট একটা গেইট আছে৷ সে গেইট খেলা৷ ঢুকতে নিলেই দাড়োয়ান আমার পথ আটকায়। সন্দেহ চোখে বলল,

“কে আপনি? আপনাকে এখানে ঢুকতে দেওয়া যাবে না৷”

আমি কাঁপা কাঁপা হাতে উনার দিকে কাগজটা বাড়িয়ে দিলাম৷ মধ্য বয়সী একজন লোক দৌড়ে আসলেন৷ তিনি কিছুটা বিরক্তি নিয়ে বললেন,

” করিম চাচা উনি আমার পরিচিত৷” আমার দিকে ঘুরে আমাকে উদ্দেশ্য করে বলেন,

” তোমার নাম শালিক?”

আমি মাথার ওড়না ঠিক করে নিচু স্বরে বললাম,

“জ্বি। আমার নাম শালিক৷ বাবা আমাকে আপনার কাছে পাঠিয়েছে৷”

ভদ্রলোক আমার হাত ধরে একটু দূরে নিয়ে গেলেন৷ ফিসফিস করে বললেন,

“কাউকে কিছু বলতে হবে না৷ আমি বলেছি তেমার মা বাবা মা*রা গেছে৷ তোমার বাবা বেঁচে আছে জানতে তোমাকে কাজ দিবে না৷ আমি এখানে বাগান দেখাশোনা করি৷”

ভদ্রলোকটির পিছন পিছন যেতে লাগলাম৷ বাড়ির কলিং বেল বাজালেই একজন ধবধবে ফর্সা সুন্দর মহিলা দরজা খুলেন৷ আমাকে দেখে একটু নাক ছিঁটকালেন৷ অহংকারী স্বরে বলল,

“এসব রাস্তার মেয়ে কোথায় পাও জুবায়ের। পোশাকের কি অবস্থা?
তোমার স্যার না বললে আমি এই মেয়েকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিতাম৷”

উনার কথা শুনে মনে হলো উনি বাড়ির মালকিন৷ আঙ্কেল মাথা নিচু করে বলল,

“ম্যাডাম তার মা বাবা সবাই মা*রা গেছে৷ সে বেঁচে আছে আল্লাহর কাছে হাজার হাজার শুকরিয়া। যে কাজ দিবেন মন দিয়ে করবে৷”

উচ্চ স্বরে মায়া মায়া বলে ডাক দিলেন৷ একটা মাঝ বয়সী বৃদ্ধ মহিলা দৌড়ে আসেন৷ মিহি কন্ঠে বলল,

“মায়া এই মেয়কে কিছু পড়ার জন্য জামাকাপড় দাও৷ এমন নোংরা পোশাকে যেন আমার সামনে না আসে৷ আজ থেকে তোমাকে রান্নার কাজে সাহায্য করবে৷”

আনন্দের সাথে বলে উঠলেন,

“আমি তাকে সব কাজ বুঝিয়ে দিব৷”

আমি উনার পিছন পিছন গেলাম৷ উনি আমাকে নতুন কয়েকটি থ্রি পিচ দিলেন৷ সবগুলো বানানো৷ একদম আমার মাপের৷ আমি এখানে আসবো জেনেই আগে থেকে নতুন থ্রি পিচ বানিয়ে রেখেছে৷ বাহ বাহ৷ ভদ্রতার সাথে বললেন,

“আমাকে আজ থেকে খালা বলে ডাকবি। আমারও কেউ নেই৷ তুই এখন থেকে আমার সাথে থাকবি৷”

খালা ডাকটা বুকের মাঝে তীরের মতো লাগল৷ সকল ঘনটা চোখের সামনে প্রতিছবি হয়ে ভেসে উঠল৷ সারা দেহ কেঁপে উঠল৷ আমি তড়িঘড়ি করে বললাম,

“আমি খালা ডাকতে পারব না৷ আমি আজ থেকে আপনাকে ফুপি বলে ডাকব৷”

“তোর যা ইচ্ছা তাই বলতে পারিস৷ এখান থেকে একটা পোশাক পড়ে রান্না ঘরে আয়৷ আমি চা বসিয়ে রেখেছি৷ সবাইকে চা দিতে হবে৷”

কিছু সময়ের জন্য নিজেকে সুখী মনে হলো৷ একটু পরেই প্রমাণ পেলাম আমার জীবনে সুখ নামের শব্দটা নেই৷ মনে হচ্ছে বর্তমানে নরগে বাস করছি৷ বড়লোক হলেও মানুষগুলোর মাঝে ভদ্রতা নেই৷
বর্ণ পরিচয়ে মানুষ হিসেবে জন্মগ্রহন করে না। কিন্তু লোক সমাজে ফর্সা ত্বকের দাম বেশি৷ কালো ত্বকের চেহারা মানেই পৃথিবী অন্ধকার।

চলবে….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here