শালিক পাখির অভিমান পর্ব -১৯

#শালিক_পাখির_অভিমান
#পর্ব_১৯
#অধির_রায়

উদাসীন মন নিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘ শ্বাস নিলাম৷ এলোমেলো হেঁটে রুমে প্রবেশ করলাম৷ শ্রুতি ভাবীর মাথার পাশে বসে ঘুম ভাঙার জন্য অপেক্ষা করছি৷ সকাল এগারোটার দিকে শ্রুতি ভাবী পিনপিন করে আঁখি মেলে৷ ঘুমের মাঝে কতোই মায়াবী লাগছিল৷ ঘুম থেকে উঠে ঝাঁঝালো কণ্ঠে বলল,

“আমি কতোদিন না করছি আমার রুমে আসবি না৷ তোর কালো মুখ দেখলে আমার দিন ভালো যাইনা৷ ইহানের বউ বলে তোকে ছেড়ে দিব ভাবিস না৷ তুই আমার চোখে কাজের মেয়ে ছিলি আজও কাজের মেয়ে হয়ে থাকবি৷”

শ্রুতি ভাবীর কথা শুনে ভীষণ হাসি পাচ্ছে৷ ঠোঁট কা**ম*ড়ে হাসি আটকানোর চেষ্টা করলাম৷ আমার ঠোঁট প্রসারিত দেখে শ্রুতি ভাবী তেলেবেগুনে জ্বলে উঠে৷ রাগী স্বরে বলল,

“শ্রুতি একদম হাসবি না৷ আমার রাগ উঠাবি না সকাল বেলা৷ আমার রাগ উঠলে আমার থেকে খারাপ কেউ হবে না৷”

আমি মুচকি হেঁসে বললাম,

” একবার ঘরের চারদিকে তাকাও৷ আমি তোমার রুমে যাইনি৷ তুমি আমাদের রুমে আসছো৷ তোমার ভাগ্য ভালো ইহান কিছু করেনি৷ আমি ইহানকে আটকিয়ে রেখেছিলাম৷ ইহান আজ সকল অপমানের প্রতিশোধ নিত।”

শ্রুতি ভাবী মাথা নিচু কোমল গলায় বলল,

“সরি শালিক! আমি রাতে কখন ঘুমিয়ে পড়েছি জানা নেই? আমি বুঝাতে পারিনি এটা তোমাদের ঘর৷”

শ্রুতি ভাবী মুখটা মুহুর্তের মাঝেই উদাসীন হয়ে যায়৷ চোখ দু’টো গোল হয়ে গেছে৷ দেখে মনে হচ্ছে নাকের ডগায় রাগ৷ ফর্সা চেহারা ফ্যাকাশে হয়ে গেছে। শ্রুতি ভাবী তড়িঘড়ি করে চলে যেতে নিলেই আমি গম্ভীর গলায় প্রশ্ন করলাম,

“কি খুঁজতে আমাদের রুমে এসেছেন? আমাদের বিয়ে ভাঙার জন্য কাবিনমানা নাকি অন্য কিছু৷ আমাদের অনুপস্থিতে কিসের সুযোগ নিতে চাও? ”

আমার কথাগুলো উনার বুকে তীরের মাতো লাগল৷ পিছনে ঘুরে আমার দিকে আহত দৃষ্টি নিক্ষেপ করেন৷ কোলম মলিন কন্ঠে বলল,

“কারোর জীবন থেকে সুখ কেঁড়ে নেওয়ার অধিকার আমার নেই৷ আমি তোমাদের সংসার ভাঙতে আসিনি৷ না জেনে কাউকে কিছু বলবে না৷”

“চো*রে*র মতো পালিয়ে যাচ্ছেন কেন? আপনি ভুল না করলে আপনার উত্তর সহজ সরল হতো৷ আমি আপনাকে বিশ্বাস করিনা৷ আপনি সব সময় আমার ক্ষতি করতে চেয়েছেন৷ হতেও তো পারে এখানে টাকা গহনা লুকিয়ে রেখে আমাকে চো*র বানাবেন৷”

শ্রুতি ভাবীর মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ল৷ আমি এমন চড়া কথা বলব তিনি ভাবতেই পারেননি৷ আমার কথা শুনে উনার চোখে অশ্রু চিকচিক করে৷ এমন অবস্থায় বুকের মাঝে সূক্ষ্ম ব্যথা অনুভব করলাম৷ কেন জানি শ্রুতি ভাবীর জন্য কষ্ট হচ্ছে? আমার সাথে এতো খারাপ ব্যবহার করার পরও উনার প্রতি দুর্বল হয়ে পড়ছি৷ নিজের চোখ বুঝে নিলাম৷ শ্রুতি ভাবী ভেজা গলায় বলল,

“এটা ভেবে নাও আমি তোমাকে চো*র প্রমাণ করতে আসিনি৷ তোমার আগে আমি এ বাড়িতে এসেছি৷ আমি কোথায় যাব? সে কৈফিয়ত তোমাকে দিব না৷”

শ্রুতি ভাবী চোখের জল মুখে ছু*টে পালিয়ে যান৷ আমি ওয়াসরুম থেকে বের হয়ে দেখি ইহান একাধিক ফোন দিয়েছেন৷ ফোন সাইলেন্ট থাকার জন্য শুনতে পারিনি৷ আমি তড়িঘড়ি করে উনার ওখানে ফোন দিলাম৷ অপর পাশ থেকে উত্তেজিত কন্ঠে আওয়াজ আসল,

“শালিক তুমি ঠিক আছো? চিন্তায় আমি ম’রে যাচ্ছি। কি বলব ভেবে পাচ্ছি না? আমি তো বাড়ির দিকে ছুঁ*ট দিচ্ছিলাম৷”

উনার কথা শুনে চমকে উঠি। উনি এতো উত্তেজিত কেন? আমার জন্য কি উনার চিন্তা হচ্ছে? ভাবতেই মনের মাঝে শীতল হাওয়া বয়ে গেল৷ আমতা আমতা করে বললাম,

“আপনার কি হয়েছে? এভাবে হাঁপাচ্ছেন কেন? আপনি ঠিক আছেন তো!”

“আমার কিছু হয়নি৷ তুমি ফোন তোলনি কেন?”

“আমি ওয়াসরুমে ছিলাম৷ ওয়াসরুম থেকে এসে অনেকগুলো মিসকল দেখে আপনাকে ফোন দিলাম৷ আমার কিছু হয়নি৷”

“তোমাকে আজ কলেজে ভর্তি করে দিব৷ আমি মেসেজ করে ঠিকানা পাঠিয়ে দিচ্ছি চলে আসো৷”

ইহান কি যেন বলতে চেয়েও বলল না? মনের মাঝে রেখে দিল কথাগুলো৷ আমি মেসেজ দেখে যথাস্থানে যথা সময়ে চলে গেলাম৷ আমার জন্য উনি কলেজের সামনের অপেক্ষা করছেন৷ আমাকে দেখে উনার ঠোঁটের কোণে হাসির রেখা ফুটে উঠে৷ আমাকে কলেজে ভর্তি করে দেন৷ ভর্তির পর উনার সাথে অন্য কোথাও ঘুরতে যাচ্ছে৷ আমাদের কোন গন্তব্য নেই৷ মন যেখানে যাবে আমরা সেখানেই যাব৷ দক্ষিণা বাতাসে আমার অবাধ্য কেশগুলো উঠছে। উনি বার বার লুকিং গ্লাসে আমাকে অপলক দৃষ্টিতে দেখছেন৷ বড় একটা নদীর তীরে আমাদের বাইক থামে৷ চারদিকে দেখে কৃতিম মনে হচ্ছে৷ সব মানুষের তৈরি। উনি গাড়ি পার্ক করে আসেন৷ আমার হাত ধরে পার্কের ভেতরে নিয়ে যান৷ উনার কাছ থেকে জানতে পারি এখানে মেলা বসে প্রতিবছর৷ বাহারী রকমের জিনিস নিয়ে বসে আছে। একদিকে শাড়ির দোকান৷ আমাকে নিয়ে তিনি শাড়ির দোকানে নিয়ে যান৷ বরাবর শাড়ি পরতে ভালো লাগে৷ উনার পছন্দমতো আমাকে তিনটি শাড়ি কিনে দিলেন৷ আমার চোখ চড়ুক গাছ৷ এতো দামী শাড়ি কিনল তাও তিনটা৷ ভারী গলায় বললাম,

“এতো টাকা খরচ করার কোন দরকার আছে! কম দামী অনেক শাড়ি
ছিল তো৷”

ইহান মুচকি হেঁসে বলল,

“তোমার মুখের হাসি আমার কাছে সব থেকে দামী৷ বাকি সবকিছু তুচ্ছ। তোমার মানুষের মুখের হাসি দেখার জন্য চাতক পাখির মতো চেয়ে থাকি৷”

উনার কথায় ভীষণ লজ্জা পেলাম৷ মাথা নিচু করে ফেললাম৷ মাটির সাথে মিশে যেতে ইচ্ছা করছে৷ উনি আমার হাত আলতো করে সামনে নিয়ে আসেন৷ বাহারি রকমের কাঁচের চুড়ি দেখে ঠোঁটের কোণে হাসি ফুটে উঠে৷ উনি নিজ হাতে আমার হাতে সোনালী রঙের কাঁচের চুড়ি পড়ে দেন৷ উনার স্পর্শে প্রতিটি আমার মাঝে ভূমিকম্প নাড়া দেয়৷ চোখ বুঝে উনার স্পর্শ উপভোগ করতে থাকলাম৷ কাঁচের চুড়ি, বাহারি রকমের টিপ, লিপস্টিক কিনে দিলেন৷ সব শেষে কিনে দিলেন কাজল। মায়া ভরা কন্ঠে বলল,

“তোমার কাজল কালো ডাগর আঁখি আমি বারংবার প্রেমে পড়ি৷ তোমার চোখের মায়ায় পড়ে যায়৷ মন আমার কেন তোমাকে এতো ভালোবাসে জানি না? আমি নিজেকে অনেক নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করেছি৷ আমি পারিরি৷ আমার মাঝে এক অদ্ভুত আকর্ষণ তোমার মাঝে কাজ করে৷”

আমি মুচকি হেঁসে উনার কথার জবাব দিলাম৷ বিকেলটা এতো সুন্দর হবে ভাবতেও পারিনি৷ অফিসের ফাঁকে ফাঁকে উনি আমাকে নিয়ে ঘুরে বেড়ান৷ উনাকে ভালো না বেসে থাকা যাইনা৷ আমিও উনার ভালোবাসা মুগ্ধ। নয়ন ভরে উনাকে আমি লুকিয়ে লুকিয়ে দেখি৷ কখনও বুঝতে দেয়নি আমার ভালোবাসা।
____
ঘুমন্ত ইাহনকে দেখে খুব হিংসা হচ্ছে৷ উনার ঠোঁট আমাকে বারবার আকর্ষণ করে৷ আলতো করে উনার ঠোঁটে ছুঁয়ে দিতে ইচ্ছা করছে। ঘুমালে মানুষকে এতো সুন্দর লাগে আগে কখনও দেখিনি৷ নাকি ভালোবাসার মানুষের সবকিছু সুন্দর লাগে৷ ঘুম আসছে না কিছুতেই। একঘেঁয়েমি কাজ করছে৷ ধীর পায়ে ছাঁদে চলে আসলাম৷ এখন ইমন ভাইয়াকে তেমন ভয় পাইনা৷ ছাঁদে বিভিন্ন স্থানে লুকিয়ে রাখা আছে নানা রকম লাঠি৷ নিজের আত্মরক্ষার জন্য সব প্রস্তুতি রেখেছি৷ ছাঁদে আসতেই কানে আসে কান্নার শব্দ। প্রথমে ভয় পেয়ে যায়৷ এতো রাতে কান্নার শব্দ আসছে কেন? ভু’ত পে’তা’ত্মা হতে পারে৷ আয়াতুল কুরসি তেলাওয়াত করতে থাকলাম৷ বুকের মাঝে ফু দিয়ে নিচে চলে আসতে নিয়েও আসলাম না৷ কান্নার রহস্য ভেদ করার জন্য ছাঁদে পা রাখি৷ চাঁদের কিরণ শেষের দিকে। ঝাপসা আলোয় কাউকে দেখতে পেলাম৷ আকাশ প্রাণে দাঁড়িয়ে থেকে কান্না করে যাচ্ছে৷ দূর থেকে চিনতে পারলাম না৷ কাছে এসে শ্রুতি ভাবীকে দেখে বুকের মাঝে চিনচিন করে ব্যথা শুরু হলো৷ উনার কাঁধে হাত রাখতেই উনি কেঁপে উঠল৷ চোখের অশ্রু মুছে বলল,

“কে?”

পিছন ঘুরে ভুত দেখার মতো করে বলল,

“শালিক এতো রাতে এখানে কি করছো? তুমি কখন ছাঁদে আসলে?”

“আমারও একই প্রশ্ন! আপনি ছাঁদে আকাশপ্রাণে চেয়ে কান্না করছেন কেন? কি হয়েছে? ইমন ভাইয়ার আপনার সাথে কিছু করেছে!”

বুকে কষ্ট চেপে রেখে নিজেকে শান্ত রাখার চেষ্টা করল৷ মুচকি হেঁসে বলল,

“না তেমন কিছুই না৷ মায়ের জন্য মন খারাপ করছিল৷ আমাকে ছেড়ে না ফেরার দেশে চলে গেছেন৷ মায়ের ভালোবাসার কথা মনে পড়লে কষ্ট হয়৷ অনেক রাত হয়েছে ঘুমিয়ে পড়৷”

শ্রুতি ভাবী পাশ কাটিয়ে চলে যেতে নিলেই বললাম,

“আড়াল করে লাভ নেই৷ আমি সব জেনে গেছি৷ সবাইকে অন্ধকারে রাখলেও আমাকে রাখতে পারবেন না৷”

শ্রুতি ভাবী হুট করেই আমাকে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কেঁদে দিল৷ এমন ঘটনায় ভে’বা’চে’কা খেলাম৷ আমি তো কিছুই জানি না৷ কেন ভাবি এভাবে কাঁদছেন? উনার কান্না দেখে মনে হচ্ছে কাউকে খুব খুঁজে চলছে৷ মিনিট পাঁচেক পর উনি শান্ত হোন৷ শান্ত গলায় বললাম,

“ভাবী কান্না করবেন না৷ সব ঠিক হয়ে যাবে৷ ইমন ভাইয়া কোথায়? উনাকে আসার পর দেখতে পেলাম না৷ আমি চলে যাওয়ার দুইদিনের মাঝে কি হয়েছে?”

শ্রুতি ভাবি আমার হাত ধরে নিজের রুমে নিয়ে যান। রুমে ইমন ভাইয়া নেই৷ বুঝতে বাকী রইল না তাদের মাঝে ঝগড়া হয়েছে৷ আমি শ্রুতি ভাবীকে বললাম,

“সেদিন ইমন ভাইয়া আপনাকে কিছু বলছে! আমি জানি ভাইয়ার আরও একটা রুপ আছে৷ আমি উনার রুপ জেনে গেছি৷”

উত্তেজিত কন্ঠে বলল,

“তুমি ইমনকে বা*জে ছেলে বলেছিলে তার কোন প্রমাণ আছে৷ ইমন আমাকে হুমকি দিয়েছে তার বিরুদ্ধে প্রমাণ দেখাতে না পারলে আমাকে ডিভোর্স দিবেন। আমি ইমনকে খুব ভালোবাসি। উনাকে ছাড়া আমি এক মুর্হুতও চিন্তা করতে পারি না৷ উনি রাগ করে বাড়ি থেকে চলে গেছেন৷ এখনও বাড়ি ফিরেন নি৷ মায়ের কাছ থেকে জানার চেষ্টা করছি উনি কোথায়? মা সব সময় বলেছেন ‘ইমনের খবর একমাত্র শালিক জানে।’ আমার ইমনকে আমার কাছে ফিরিয়ে দাও৷”

“আপনার ইমন আপনার কাছে ফিরে আসবে৷ তার আগে আপনাকে একটা কথা দিতে হবে৷”

ভাবুক দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকান৷ মাথা নাড়িয়ে সম্মতি জানান। তিনি আমার কথা মেনে নেন৷ আমার শর্তে শ্রুতি ভাবী রাজি৷

“ইমন ভাইয়ার খবর ম্যাডাম জানেন৷ আর ইমন ভাইয়া অনেক রানীর প্রতি আসক্ত। আমি শুনেছি উনি আরও একটা বিয়ে করেছেন৷ আপনি যখন বাড়িতে চলে যান তখন তিনি উনাদের বাসায় থাকেন৷ মা সবকিছু জানেন৷ তবুও না জানার ভান করে থাকেন৷”

শ্রুতির ভাবীর পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে যায়৷ শ্রুতি ভাবীর একটা স*তি*ন আছে৷ অঝোরে কান্না করতে থাকেন৷ হাতে উপর হাত রেখে বললাম,

“নিজেকে শান্ত করেন৷ ইমন ভাইয়াকে আপনি শাস্তি দিবেন৷ আপনার সাথে অনেক অন্যায় করেছে৷ আপনাকে দিনের পর দিন অবহেলা করেছে৷ সমাজে এমন কিছু মানুষের জন্য পুরো পুরুষজাতিকে খারাপ ভাবে। আপনি মেয়ে বলে আপনার সাথে অন্যায় করবে৷ মেয়ে বলে আপনার আত্মসম্মান নেই৷ আপনাকে ঘুরে দাঁড়াতেই হবে৷”

শ্রুতি ভাবী ভেজা গলায় বলল,

“আমি উনাকে শাস্তি দিতে পারব না৷ না পারব উনাকে ছেড়ে থাকতে৷ উনাকে শাস্তি দেওয়া মানে আমার নিজের কলিজাকে শাস্তি দেওয়া৷”

“ভাবী আপনার কোন বোনের সাথে এমন অন্যায় হলে আপনি বসে থাকতে পারতেন? আপনার বোন কারো কাছে ধ’*র্ষি*’ত হলে আপনি তাকে ছেড়ে দিতেন! যেসব মেয়ে ইমম ভাইয়ার কাছে ধ’র্ষি’ত হয়েছে তারা কারোর না কারো বোন৷ তাদের কথা ভেবে ইমন ভাইয়া শাস্তি দেন৷ একদম বিশুদ্ধ মন নিয়ে ইমন ভাইয়া আপনার কাছে ফিরে আসবে৷”

শ্রুতি ভাবী চোখে রাগ নিয়ে বলল,

“আমি আর পাপীর জন্য চোখের পানি ফেলব না৷ আমিও উনার শাস্তি কামনা করি৷ তুমি উনাকে কঠিন থেকে কঠিনতম শাস্তি দাও৷ আমি তোমাকে সব বিষয়ে সাহায্য করব৷ আমার স্বামী বলে অন্যায় করে পার পাবে না৷ অন্যায় করলে শাস্তি পেতেই হবে৷”

চলবে….

লাইক কমেন্ট করার চেষ্টা করবেন৷ রিচ নেই বললেই চলে৷

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here