শালিক পাখির অভিমান পর্ব -১১

#শালিক_পাখির_অভিমান
#পর্ব_১১ ( শালিক ইহানের খুনসুটি)
#অধির_রায়

অঝোরে অশ্রু ঝড়ে যাচ্ছে অনবরত দুই নয়ন থেকে৷ নিজেকে শাক্ত রাখার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি৷নিজেকে শান্ত রাখা তো দূর, মন খুলে কান্নাও করতে পারছিনা৷ পায়ে হাজারও ব্যথা কষ্ট সহ্য করে নিজের চোখের জল মুছে ফেললাম৷ ইচ্ছা করছে শ্রুতি ভাবীর পা ভেঙে দিতে৷ রাতে ফুপি নিজ হাতে খাইয়ে দিলেন৷ মায়া ফুপি মা বাবার অভাব বুঝতে দেননি৷ নিজের মেয়ের মতো আমাকে সব সময় ভালোবাসেন৷ কখনও অন্য চোখে দেখেননি৷ এই মানুষটা যখন জানতে পারবে আমার মা বাবা বেঁচে আছেন তখন উনি কি আমায় আগের মতো ভালোবাসতে পারবে? ভাবতে পারছি না অন্য কিছু। বা*জে চিন্তায় মগ্ন হয়ে বসে আছি৷ ইহান ভাইয়া কখন আমার সামনে এসেছেন খেয়াল নেই৷ কয়েকবার কাশি দিয়ে জানানোর চেষ্টা করছেন৷ আমি এক ধ্যানে আকাশ পাতাল ভেবেই যাচ্ছি৷ আমার কাঁধে হাত রাখতেই চমকে উঠলাম৷ ভয়ার্ত দৃষ্টিতে তাকালাম৷ আহত কন্ঠে,

“আপনি এখানে কখন আসছেন? এভাবে তাকিয়ে আছেন কেন?”

ইহান ভাইয়ার মুখে বিরক্তর ছাপ। ক্ষোভ নিয়ে অগ্নিমূর্তির ন্যায় দাঁড়িয়ে আছেন৷ চোখে মুখে রাগ স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে ! সাথে মায়াভরা ভালোবাসা। চোখের অগ্নিতে জ্বালিয়ে দিবে মনে হচ্ছে৷ গুরু গম্ভীর কন্ঠে বলল,

“দেখে কাজ করতে পারো না৷ তোমাকেই কেন সব কাজ করতে হবে? বাড়িতে আর কোন লোক নেই৷”

ভাইয়ার কথা শুনে মনে হচ্ছে বাড়িতে হাজারটা কাজের লোক আছে৷ আমি আর মায়া ফুপি ছাড়া বাড়িতে তেমন কোন কাজের লোক নেই৷ আফসানা চৌধুরী মাঝে মাঝে নিজে রান্না করেন৷ বাড়ির সকল কাজ আমি আর মায়া ফুপি করি৷ শ্রুতি ভাবী এক গ্লাস পানি ঢেলেও খান না৷ প্রশ্ন সূচক দৃষ্টি ইহান ভাইয়ার দিকে৷ আহত কন্ঠে বললাম,

“বাড়ির সকল কাজ আমি আর মায়া ফুপি করে থাকি৷ বাড়িতে বেশি কাজের লোক দিয়ে কি করবেন? আমাকে তাড়িয়ে দিতে চান৷”

আমার কথায় ইহান ভাইয়ার ভীষণ রাগ হলো৷ তিনি চোখ বন্ধ করে নিজের রাগ লুকানোর চেষ্টা করলেন৷ ভালোবাসা মিশ্রিত রাগী গলায় বলল,

“বেখালিভাবে কাজ করলে পা ভেঙে রেখে দিব৷ তোমার জায়গা হবে বাড়ির বাহিরে৷ নিজের পায়ে কখনও দাঁড়াতে হবে না৷ ভাঙা পায়ে ঘরে বসে মানুষের উপর নির্ভর করবে৷ মানুষের মনোভাব ভাঙতে হবে না৷ কালো মানুষ অপয়ার কারণ হতে পারে না৷”

ইহান ভাইয়া আমার জবাব না নিয়েই হনহন করে চলে যান৷ ভাইয়ার ভাবনা দেখে আমি নিজেই অবাক হয়ে যায়৷ ভাইয়া আমার জন্য একটু বেশিই চিন্তা করেন৷ আমি গরিব বলে আমাকে দয়া দেখান না তো৷ আমি বিছানার নিচ থেকে নুপুর নিয়ে বসে পড়লাম৷ ভাইয়া সেদিন নিজ হাতে আমাকে নুপুর পড়িয়ে দিয়েছে৷
আমার ডাকে ভাইয়ার ধ্যান ভাঙে৷ আমার দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে৷ ভাইয়ার চাহনি দেখে কেমন নেশাক্ত মনে হচ্ছে৷ আমি মাঝে মাঝে ভুলে ভাইয়া নাকি অন্য কেউ৷ ইহান ভাইয়াকি আমার প্রতি দুর্বল? পরক্ষণে ভাইয়ার মেজাজ দেখে মনে হয় আমার ভাবনা ভুল৷ ভাইয়া নেশা ভরা দৃষ্টিতে আমার খুব অস্বস্তি লাগছে৷ ভাইয়া এগিয়ে এসে আমার খোপা খুলে দিলেন৷ ঘন কালো কেশ কোমর পর্যন্ত ছড়িয়ে গেল৷ অপলক দৃষ্টিতে মেলে বলল,

“এখন ঠিক আছে৷ একদম পারফেক্ট লাগছে৷ খোলা কেশে তোমাকে বেশ ভালো লাগে তোমাকে সব সময় খোলা কেশে দেখতে চাই৷”

ভাইয়ার কথায় লজ্জা পেয়ে গেলাম৷ ভাইয়া সব সময় আমার নামে একটু বাড়িয়ে প্রশংসা করে৷ আমার কন্ঠ শালিক পাখির মতো সুন্দর। আমার সুর কোলিক পাখির মতো৷ আমি বাইকে উড়ে আলতো করে ভাইয়াকে জড়িয়ে ধরলাম৷ কড়া নির্দেশ বাইকে বসলে ভাইয়াকে আলতো করে জড়িয়ে ধরতে হবে৷ বাতাসে উড়ছে আমার কেশ৷ লুকিং গ্লাসে মাঝে মাঝে নিজেকে দেখছি৷ কখনও কখনও অবাধ্য কেশ মুখে আসছে৷ বি’র’ক্ত লাগলেও ভাইয়ার কথা ভেবে ভালো লাগছে৷ আজ প্রাণ খুলে বলতে ইচ্ছা করছে “KK” এর সেই বিখ্যাত গানটি,

❝আকাশের নীড়ে
নেঘে ঢাকা তাঁরা
খুঁজে পাওয়া
মুখের মিছিলে ধীরে ধীরে
ধরা পড়ে যাওয়া
বল আর…..
কী হলে বেশ হয়
ঠিক মনের মতো।

ওওও..
এই পথ
যদি শেষ না হয়
তবে কেমন হতো৷❞

ভাইয়ার সাথে চলে আসলাম দিয়া বাড়ির বিখ্যাত কাশবনে৷ চারিদিকে সাদা কাশফুল৷ প্রকৃতির এক অপরুপ সৌন্দর্য বিরাজ করছে এখানে৷ সবাই প্রাণ খুলে নিঃশ্বাস নিচ্ছে৷ একে অপরের হাত ধরে হাটাহাটি করছে৷ ফুল ছিঁড়ে বিভিন্ন ভাবে ছবি তুলছে৷ আমারও খুব ইচ্ছা হলো অবাধ্য হাত দিয়ে ফুলগুলো স্পর্শ করতে৷ আমি কিছু ফুল আলতো ভাবে ছুঁয়ে দিলাম৷ আমাদের গ্রামে কাঁচা রাস্তার দুইপাশে কাশফুলের গাছ ছিল৷ তখন কাশফুল দেখার তেমন ইচ্ছা ছিল না৷ রেগুলাই প্রায় কাশফুল দেখতাম৷ কাশফুল তুলে এনে বাচ্চাদের দিতাম৷তেমন ভালো লাগত না৷ কিন্তু এখানে কাশফুলের সমাহার। মন ভয়ে যায় এতো কাশফুল দেখে৷ কাশফুলের পাতা হুট করেই হাতে লেগে কেটে গেল। রক্ত ঝরতে থাকল৷ ভাইয়া দৌড়ে এসে আমার আঙ্গুল মুখে নিলেন৷ ভাইয়ার এমন আচরণে আমি চমকে উঠি৷ হাত সরিয়ে নিতে চাইলে আরও চেপে ধরে৷ উত্তেজিত কন্ঠে বলল,

“অনেকটা কেটে গেছে৷ একটু সাবধানে চলতে পারো না৷৷ সব সময় বেখালিভাবে চলাচল করা ঠিক নয়৷ কতোটা কেটে গেছে৷”

আমি ভাইয়ার কাছ থেকে হাত সরিয়ে নিলাম৷ হাত থেকে রক্ত ঝড়ে যাচ্ছে৷ হাত চেপে ধরে বললাম,

“সামান্য একটু কেটে গেছে৷ এখনই রক্তপাত বন্ধ হয়ে যাবে এসব নিয়ে চিন্তা করতে হবে না৷ রান্না করার সময় এর থেকে কতো বেশি কাটে৷”

আমার কথায় ভাইয়ার চোখ বড় হয়ে গেল৷ ব্রু নাচিয়ে বলল,

“হাত কেটে পড়ে গেলেও তো কিছুই হয়নি বলবে৷ কবে নিজের দিকে খেয়াল রাখা শিখবে? তোমার খেয়াল রাখার জন্য অন্য কাউকে লাগবে? চল ফুসকা খেতে যাই৷ ফুসকা খাওয়ার পর তোমার জন্য নিশাল একটা সারপ্রাইজ আছে৷”

আমি চকিত হয়ে বললাম,

“সারপ্রাইজ! আমার জন্য সারপ্রাইজ আছে। আমার মন উরুউরু করছে জানার জন্য৷ দয়া করে বলেন কিসের সারপ্রাইজ?”

“হুম তোমার জন্য সারপ্রাইজ আছে৷ চল ফুসকা খাই৷ ফুসকা খাওয়ার পরই বলব।”

ইহান ভাইয়া এক প্লেট ফুসকা অর্ডার করল৷ ইহান ভাইয়া কখনও এক প্লেট ফুসকা অর্ডার করে না৷ আজ কি ভাইয়ার কাছে তেমন টাকা নেই? টাকা সব সময় মানুষের কাছে থাকে না৷ আমার জানা মতে ভাইয়ার কাছে সব সময় অনেক টাকা থাকে৷ বাড়িতে টাকা ফেলে আসেনি তো৷ আমি মামাকে বললাম,

“মামা ফুসকা খাবো না৷ আমাদের জন্য ফুসকা বানাতে হবে না৷”

“না মামা এক প্লেট ফুসকা বানান৷”

ভাইয়া আমাকে একটু দূরে টেনে নিয়ে গেলেন৷ আমি ভাইয়াকে ফিসফিস করে বললাম,

“আপনি কি ফুসকা খাবেন না? আমি একা একা ফুসকা খেতে পারব না৷ অর্ডার করলে দুই প্লেট অর্ডার করেন৷ না করলে নাই৷”

ভাইয়া অহংকারী ভাব নিয়ে বলল,

“আমি শুধু নিজের জন্য ফুসকা অর্ডার করেছি৷ তোমাকে এখানে ঘুরতে নিয়ে এসেছি এটাই অনেক৷ বাসায় কি খাবার কম দেওয়া হয়? বাহিরে এসেও হাজার টাকা খেতে হবে৷”

ভাইয়ার কথা বি*ষা*ক্ত তীরের মতো লাগল৷ আপনার মানুষের কথা ভীষণ গায়ে লাগে। আমি এতোটাই নাছোরবান্দা হয়ে গেছি৷ আমি কেন বার বার ভুলে যায়! একজন কাজের লোকের কখনও শখ আহ্লাদ থাকে না৷ টুপ করে দুই ফোঁটা জল গড়িয়ে পড়ল। ভাইয়ার চোখ আড়াল করে চোখের জল মুছে নিলাম। আমি সদূরে দাঁড়িয়ে আছি৷ ভাইয়া হাতে ফুসকা নিয়ে আমার দিকে এগিয়ে আসলেন৷ আমার সামনে দাঁড়িয়ে বলল,

“শালিক পাখি রাগ করো না৷ তোমাকে সব সময় দয়া দেখাতে পারব না৷ আমি ক্লান্ত হয়ে পড়েছি তোমাকে দরদ দেখাতে দেখাতে। আমি ফুসকা শেষ করে তোমার সাথে কথা বলছি৷”

চোখের অবাধ্য অশ্রু আর বাঁধ মানল না৷ অঝোর ঝড়ে যাচ্ছে৷ ইহান ভাইয়া কখনও আমার সাথে এমন করতো না৷ আজ ইহান ভাইয়া আমার জায়গা ভালো করেই বুঝিয়ে দিল৷ বরাবর শ্রুতি ভাবীকে দো*ষী ভাবতাম৷ শ্রুতি ভাবীর মনে যা আছে তিনি সেটাই আমার সামনে দেখান৷ কিন্তু ইহান ভাইয়া সামনে এক পিছনে অন্য৷ হুট করেই আমার মুখে ফুসকা ভ*রে দিল৷ সাথে চোখ রসে গোল্লার মতো হয়ে গেল৷ আমি ফুসকা খাবো না৷ ভাইয়া আমার মুখ ধরে রেখেছেন৷ রাগী গলায় বলল,

“ভালোভাবে ফুসকাটা খেয়ে নাও৷ জোর করে ফুসকা খাওয়ালে খারাপ কিছু হবে৷”

না চাওয়া সত্ত্বেও ফুসকা খেয়ে নিলাম৷ আমার হাতে প্লেট দিয়ে বলল,

“এবার তুমি নিজ হাতে আমাকে খাইয়ে দিবে৷ আমি তোমাকে খাইয়ে দিছি৷”

ভাইয়ার কথা শুনে আকাশ থেকে পড়লাম। ভাইয়া আমার মতো অপয়ার হাতে খাবার খাবেন৷ চকিত দৃষ্টি ভাইয়ার মুখ প্রাণে৷ ভাইয়া পুনরায় বলল,

“কি হলো আমি সারাক্ষণ হা করে বসে থাকব? আশেপাশের লোকজন দেখছে৷”

চারিপাশ তাকিয়ে দেখলাম সবাই ড্যাবড্যাব করে আমাদের দিকে তাকিয়ে আছেন৷ আমি বাধ্য মেয়ের মতো ভাইয়ার মুখে একটা ফুসকা দিলাম৷ ভাইয়া পরম তৃপ্তি নিয়ে ফুসকা খেলেন৷ চোখ বন্ধ করে অন্য দুনিয়ায় চলে গেছেন৷ ভাইয়ার অভিনয় দেখে মনে হচ্ছে তিনি ফুড রিভিউ দিচ্ছেন৷ আঁখি মেলে বলল,

“আমি তোমাকে খাইয়ে দিব৷ তুমি আমাকে খাইয়ে দিবে।”

কিছুটা অভিমান নিয়ে বললাম,

“দু’জনে যেহেতু খাব তখন দুই প্লেট অর্ডার কারার দরকার ছিল৷ আমি অনেক সংকোচবোধ করছি৷ আপনাকে খাইয়ে দিতে পারব না৷”

আমার গা ঘেঁষে দাঁড়ান। কানে ফিসফিস করে বলল,

“এখানে এক প্লেট করেই অর্ডার করা হয়৷ এটা প্রেমের ক্ষেত্র। সবার ধারণা এক প্লেটে খেলে ভালোবাসা বৃদ্ধি পাই”

ভালোবাসার কথা শুনে একটু দূরে সরে দাঁড়ালাম৷ আমরা সেদিন তিন জন আসছিলাম৷ তখন তো আমরা আলাদা আলাদা প্লেটে ফুসকা অর্ডার করেছি। কথা না বাড়িয়ে ভাইয়ার কথা মেনে নিলাম৷ তবে ভাইয়ার উপর ভীষণ অভিমান জমেছে৷ ভাইয়া কিভাবে আমার সাথে এমন করতে পারলেন? আমাকে নিচু করে আমার আহ্লাদ দেখাতে আসছে৷ ফুসকা খাওয়ার পর আমি নির্জন একটা জায়গায় দাঁড়ালাম। ভাইয়া আমার সামনে হাঁটু গেড়ে বসল৷ আমার চোখ কপালে৷ আমার দিকে মুষ্টিবদ্ধ হাত বাড়িয়ে দিলেন৷ হাতে কি আছে জানা নেই? জানার জন্য হাত বাড়িয়ে দিলাম৷ ভাইয়ার হাতে দুইটা নুপুর৷ নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারলাম না৷ মিষ্টি মধুর স্বরে বলল,

“নুপুর তোমার পছন্দ হয়নি। আমি শুধু তোমার মুখের হাসি ফুটানোর জন্য নিয়ে এসেছি৷ শালিক পাখির অভিমান আছে আমার উপর?

হাসিমুখে জবাব দিলাম,

“আমার খুব পছন্দ হয়েছে৷ আমার কাছে শ্রেষ্ঠ উপহার হয়ে থাকবে৷”

ভাইয়া আমার পা নিজের উরুতে নিয়ে পরম যত্ন সহকারে পড়িয়ে দিলেন৷ ভাইয়ার স্পর্শে দেহে বিদ্যুৎ বয়ে গেল৷ খিঁচে চোখ বন্ধ করে ফেললাম৷ মনের মাঝে দখিনা বাতাস বইতে লাগল৷ সমস্ত দেহে কম্পন শুরু হলো৷ আমার হাতে আলতো করে ভালোবাসার পরশ একে দিল৷ মায়া ফুপি রুমে আসতে আসতে বলল,

“কি রে শাকিল।চোখ বন্ধ করে নুপুর নিয়ে বসে আছিস কেন? তোকে নুপুর কে দিয়েছে?”

ফুপি নুপুর দেখে ফেলেছে৷ আমি কিভাবে বলব ইহান ভাইয়ার আমাকে নুপুর দিছে? মিথ্যা হাসি দিয়ে ছয় নয় বুঝিয়ে বললাম,

“আমার বন্ধু আশা নুপুর কিনে দিয়েছে৷ ভাবতেছি নুপুর পড়লে আমাকে কেমন লাগবে? কোনদিন নুপুর পড়া হয়নি।”

ফুপি উজ্জ্বল হাসি দিয়ে বলল,

“মাশাল্লাহ। তোকে খুব সুন্দর মানাবে৷”

প্রতিদিন সকালে ফুপির সাথে হাটাহাটি করি৷ পায়ে এখন অনেক জোর৷ নিজ থেকে হাঁটতে পারি৷ ফুপি একা হাঁটতে দেননা৷ রান্নার পর ছাঁদে অনেকক্ষণ হাঁটাহাটি করি৷ রেগুলার পায়ের যত্ন নেওয়াতে পা একদম ঠিক হয়ে গেছে৷ পরীক্ষার রেজাল্ট দিছে। আল্লাহর রহমতে আমার রেজাল্ট খুব ভালো হয়েছে৷ ভালো রেজাল্ট করার জন্য পরিবারের সবাই খুশি৷ শ্রুতি ভাবীর মন জয় করতে পারলাম না৷ ছাঁদে কাপড় নেড়ে চলে আসতে নিলেই….. (দুঃখময় মুহুর্ত)

চলবে…..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here