#শালিক_পাখির_অভিমান
#পর্ব_৩০ (অন্তিম পর্ব)
#অধির_রায়
পরিবারে সবার মাঝে আনন্দের ফোয়ারা বয়ে যাচ্ছে৷ নতুন সদস্যের আগমনে সকলে মুখরিত। সময়কে থামিয়ে রাখা তো যায়না৷ ফাইনাল পরীক্ষার রুটিন পড়ে গেছে৷ এক মাসই আমার এইচএসসি পরীক্ষা। লেখাপড়া চলছে পুরো ধমে৷ আমার খুঁজ রাখছেন স্বয়ং আফসানা চৌধুরী। উনার কড়া সিদ্ধান্তে চলতে হচ্ছে আমায়৷ কখন কি খাবো? তিনিই ঠিক করে দেন৷ আমার জন্য রাখা হয়েছে আলাদা আরও একজন কাজের মহিলা৷ আমার পাশ থেকে আফসানা চৌধুরী উঠে যেতে না যেতেই মায়া ফুপির আগমন৷ আমাকে একটা মিনিটের জন্য একা ছাড়ে না৷ ওয়াসরুমে গেলে দরজা বন্ধ করা নিষেধ। আমি এতো প্যা”রা নিতে পারছি না৷
পরীক্ষা শুরু হয়ে গেছে৷ পেটের আয়তন অনেকটা ভেড়ে গেছে৷ আমার সাথে পানি, পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার দেন৷ আমাকে একা পরীক্ষার কেন্দ্রে যেতে দেন আমার আমার সাথে দুইজন মহিলা যাবে৷ আফসানা চৌধুরী, মায়া ফুপি আমাকে চোখে হারান৷ যতক্ষণ পরীক্ষা দিব কড়া রোদের মাঝে দাঁড়িয়ে থাকবেন৷ কপাটের দিকে তাকিয়ে থাকতেই হবে৷ আমার যেন কোন কষ্ট না হয় পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগে যেসব স্যারদের ডিউটি পড়েন তাদের সাথে কথা বলেন৷ আমাকে যেন আমার ইচ্ছামতো লিখতে দেওয়া হয়৷ আফসানা চৌধুরীর ঘোর আপত্তি আমাকে পরীক্ষা দিতে হবে না৷ সামনের বছরে পরীক্ষা দিলে মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যাবে না৷ আমি জিতের কাছে হার মেনেছেন৷ ভাবতেই বুকের মাঝে সূক্ষ্ম ব্যথা অনুভব হয়৷ আমার কপালে এতো সুখ সইবে তো৷
দেখতে দেখতে পরীক্ষা শেষ হয়ে গেল৷ ছোঁয়া, নীরা, অর্পির সাথে যোগাযোগ আগের মতো হলো না৷ একদিন দুইদিন পর পর ফোনে একটু আধটু কথা হয়। বুঝতে পারলাম সময় আমাদের অন্য জায়গায় নিয়ে গেছে৷ ত্রিশ সপ্তাহ পর্যন্ত সুস্থ থাকতে পারলেও এখন ভাবী অসুস্থ। ধরতে গেলে বিছানা বাসী হয়ে গেছি৷ একা একা হাঁটতে ভয় লাগে৷ কিছু খেতে পারিনা৷ বমি চলে আসে। রাতে ঘুমাতে পারিনা৷ বাবুর প্রায় সারারাত নড়াচড়া করে৷ মাঝে মাঝে এমন দ্রুত নড়াচড়া করে জীবন পেরিয়ে যায়৷ রাতের গভীরে ঘুম ভেঙে যায়৷ আমি ইহানের পায়ে কাছে বসে কান্না করে যাছি৷ আমার ঘুন ঘুন কান্নার শব্দ ইহানের কান অব্ধি পৌঁছাতেই ইহান জেগে উঠে৷ উত্তেজিত কন্ঠে বলল,
“শালিক তুমি তুমি কি করছো? এভাবে কান্না করছো কেন? তোমার কি খুব কষ্ট হচ্ছে!”
“আমি ইহানের টি শার্ট খা”ম”চে ধরে ভেজা গলায় বললাম,
” আমি পারছি না সহ্য করতে৷ আমাকে এক ফোঁটা বিষ এনে দেন৷ আমি ব্যথায় মারা যাচ্ছি৷”
ইহান আমাকে বিছানায় বসিয়ে দেন৷ আমার হাত ধরে বলল,
“সন্তান হলো নাড়ী ছেঁড়া ধন৷ মহান আল্লাহ তায়ালা মেয়েদের পরম ধৈর্যশক্তি দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। মেয়েদের ধৈর্য শক্তির কাছে সবকিছু তুচ্ছ৷ একটু ধৈর্য ধারণ করো৷ আল্লাহ জানে ছেলেদের ধৈর্য শক্তি খুবই কম৷ সন্তানের ধারণের কষ্ট ছেলেরা সহ্য করতে পারে না৷ সেজন্য মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের সন্তান ধারণের ক্ষমতা দেননি৷ ছেলেরা হাড্ডি ভাঙা পরিশ্রম করে সন্তানের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য। সন্তানের কথা মনে পড়ছে খাওয়া বন্ধ হয়ে যায়৷”
আমি ইহানের হাত চেপে ধরে বললাম,
“আপনার ছেলে খুবই দুষ্টু হয়েছে৷ ঠিক আপনার মতো৷ আমার মেয়ে হলে শান্তশিষ্ট থাকতো৷”
আমার কথায় ইহানের ঠোঁটে কিঞ্চিৎ হাসির রেখা ফুটে উঠে। আমার পেটে ভালোবাসার পরশ একে বলল,
“বাবা দেখো তোমার আম্মু কতো পচা৷ তোমাকে দুষ্টু বলছে৷ তুমি লক্ষী ছেলের মতো শান্ত হয়ে যাও৷ মা আর তোমাকে বকা দিবে না৷”
“আমি বাহিরে হাঁটতে যাব৷ ধম বন্ধ হয়ে আসছে রুমে৷ হাসফাস লাগছে আমার৷”
ইহান আমাকে ফোনের স্কিন দেখিয়ে বলল,
“সময় দেখো৷ রাতের বেলা এমন অদ্ভুত চিন্তা আসে কোথা থেকে? আমি তোমার মাথায় হাত ভুলিয়ে দিচ্ছি ঘুমিয়ে পড়ো৷”
“আপনি ঘুমান৷ আমি ঘুমাতে পারব না আমি একাই হাঁটতে বের হলাম৷”
“শালিক তুমি কিন্তু খুব অবাধ্য হয়ে যাচ্ছো৷ এমন জিৎ ধরে না৷ আমার কথা বুঝার চেষ্টা করো। আমি কোন বিপদ বাড়াতে চাইনা৷ মা যদি জানতে পারেন তাহলে রণক্ষেত্র বানিয়ে ছাড়বে৷”
“মা কিছুই বলবে না৷ মা বলেছেন আমার যখন যা করতে ইচ্ছা করবে আমি তাই করতে পারব। সেজন্য সাথে কাউকে নিতে হবে৷ এখন সবাই ঘুমিয়ে পড়েছে৷ আপনি আমার সাথে যাবেন৷”
“আমি তোমাকে একটা খুশির সংবাদ দিব৷ তবুও এমন করো না৷”
“আমি জানি। আগামীকাল আমার আম্মা আসছেন৷ আপনার আগে আমি জানি৷ অনেক আগেই মা আমাকে খুশির কথা বলে দিয়েছে৷ বরং আমি আপনাকে খুশির খবর দিলাম৷ এখন আমাকে নিয়ে বের হোন৷”
ল্যামপোস্টের মৃদু ঝাপ্সা আলোতে বসে আছি৷ মৃদু হালকা শীতল হাওয়ায় আমার অবাধ্য দেশগুলো ইহানের মুখে যাচ্ছে৷ মুখে বিরক্তির ছাপ নেই৷ মন মনে আমার অবাধ্য কেশের সু*গ*ন্ধ উপভোগ করে যাচ্ছে৷ মন মাতোয়ারা করা পরিবেশ ইহানের কাঁধে মাথা রেখে ইহানের ভালোবাসা উপভোগ করে যাচ্ছি শীতল হওয়ার গা ঠান্ডা হয়ে আসলেও খুব ভালো লাগছে৷ ইহান বলল,
“শালিক আমাদের ছেলের নাম কি রাখবে?”
“ইহানের কথায় কিছুটা ভ্যা’বা’চ্যা’কা খেলাম৷ সন্দিহান দৃষ্টিতে উনার দিকে পলক ফেললাম। আস্তে করে বললাম,
” আমি আমার ছেলের নাম এখনও ঠিক করিনি৷ আপনি কি নাম রাখতে চান? আপনার পছন্দের নামই আমি রাখব৷”
“না! নাম রাখার দায়িত্ব একমাত্র আপনার৷ আমি আপনার হাতে ছেড়ে দিলাম৷”
“তুমি মা! সেজন্য তুই রাখবে তোমার ছেলের নাম৷”
“আমি আমার বাবার নামে রাখতে চাই৷ সাদমান চৌধুরী হবে তার নাম৷ আপনার কোন আপত্তি থাকলে রাখব না৷”
উহান আমার কপালে তার ওষ্ঠদ্বয় স্পর্শ করে চুমু দিয়ে বলল,
“অনেক সুন্দর নাম৷ তোমার উপর আমার কোন উপভোগ নেই৷ তোমার উপর আমার সম্পুর্ন আস্তা, ভালোবাসা আছে৷”
দেখতে দেখতে ডেলিভারির তারিখ এগিয়ে আসছে৷ দেহে রক্তের পরিমাণ খুবই কম৷ শ্রুতি ভাবী আর আমার রক্তের গ্রুপ এক৷ শ্রুতি ভাবী রক্ত দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। উনাকে কিছু বলতে হয়নি৷ সবার মতো শ্রুতি ভাবী খুব খুশি। আমার ছেলের জন্য নিজেই বাহারি রকমের খেললা এনেছেন৷ সেদিন সন্ধ্যায় আমার ভীষণ মন খারাপ ছিল৷ আমার ছেলের জন্য বড় বড় কিছু টেডিবিয়ার কিনে এনেছেন৷ ইহান, ইমন ভাইয়া, শ্রুতি ভাবী টেডিবিয়ারের উপর উঠে বাচ্চাদের মতো লাফিয়েছে৷ হরিণ সিংহের যুদ্ধ হয়েছে তাদের মাঝে৷ তাদের কর্মকাণ্ড দেখে পরিবারের সবাই হাসিতে মেটে উঠেছিল৷ প্রতিটি সদস্য নতুন সদস্যের জন্য কতোটা আকুলতা সেদিন বুঝতে পেরেছি৷
প্রেগন্যান্সির পেইনে অপারেশন থ্রিয়েটারে ছটপট করছি৷ ইহান কিছুতেই বন্ডে সাইন করবে না৷ তার ছেলে চাইনা৷ ইহান চিৎকার করে বলল,
“আমি ছেলে চাইনা৷ আমি আমার শালিলকে চাই৷ শালিক পাশে থাকলে আমাদের সন্তান আরও হবে৷”
ইহানের কথা আমার কানে স্পর্শ আসছে৷ ডক্টর বলল,
“আমরা চেষ্টা করব মা ছেলে উভয়কে বাঁচানোর জন্য৷ আমি ডাক্তারের হাত ধরে বললাম,
” স্যার আমার ছেলেকে বাঁচান। সে কোন অন্যায় করেনি৷ আমি তার সাথে অন্যায় করতে পারব না। আমি কিছুতেই হ*ত্যা করতে পারব না৷ আমার সমস্ত আয়ু তাকে দিয়ে দেন৷”
ডক্টর বিচলিত কন্ঠ বলল,
“কিন্তু আপনার স্বামী.. ”
“আজ যদি আপনি মা হতেন৷ আপনি কি পারতেন ছেলেকে মেরে ফেলতে৷”
ডক্টর ছলছল চোখে জবাব দিলেন,
“চিন্তা করবেন না৷ আমি আমার সমস্ত দিয়ে চেষ্টা করব। বাকিটা আল্লাহর হাতে ছেড়ে দেন।”
কখন জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছি জানা নেই৷ রক্তশূণ্যতার জন্য মেজর অপারেশন হচ্ছে৷ শরীফ চৌধুরী, ইমন ভাইয়া, ইহান মসজিদে সালাত আদায় করছেন আর আল্লাহ কাছে কান্নাকাটি করছেন৷ হসপিটালের করিডরে অপেক্ষা করছে বাড়ির সমস্ত মহিলা সদস্য। সকলের কন্ঠে ধ্বনিত্ব হচ্ছে আল্লাহর গুণগান। শ্রুতি ভাবী, আর দারোয়ান কাকার ছেলে আমাকে রক্ত দান করেছেন৷
ডক্টর অপারেশন থ্রিয়েটার থেকে বের হয়ে বলল,
“মা ও সন্তান দু’জনেই সুস্থ আছেন৷ আপনার এবাদত বিফলে যায়নি৷ ইমন ভাইয়া দৌড়ে ইহানের কাছে জান৷ ইমন খুশিতে মেতে উঠেন৷ আল্লাহ কাছে শুকরিয়া প্রকাশ করেন৷ দৌড়ে এসে ডক্টরকে জড়িয়ে ধরেন৷ উত্তেজিত কন্ঠে বলল,
” শালিকের সাথে কখন দেখা করতে পারব? আমরা শালিকের সাথে দেখা করতে চাই৷”
“জ্ঞান ফিরলেই দেখা করতে পারবেন৷ আমরা এখন শালিকে অবজারভেশন রাখব৷ আশা করছি চব্বিশ ঘন্টার মাঝে জ্ঞান ফিরে আসবে৷”
উপস্থিত সবাই দীর্ঘশ্বাস ফেললেন৷ চোখ মেলে দেখে দেখতে পেলাম ইহান আমার হাত ধরে হাঁটু গেঁড়ে বসে আছেন৷ নেত্রদ্বয় রক্তবর্ণ। ফোটা ফোটা চোখ৷ উসকো কেশ৷ হাতের আঙ্গুল নড়তেই ইহান উত্তেজিত কন্ঠে বলল,
“কোন কথা নয়৷ একদম চূপ করে শুয়ে থাকো৷ আমাদের ফুটফুটে রাজপুত্র হয়েছে৷ তোমাকে দেওয়া যাবে না৷ ইমন ভাইয়া, শ্রুতি ভাবী কিছুতেই কোল ছাড়া করছেন না৷ তারা জানিয়ে দিয়েছেন এটা তাদের সন্তান। আমাদের কোন অধিকার নেই৷ মমের কোলে এক মিনিটের জন্য দিয়েছিলেন৷”
আমি কোন কথা বললাম না৷ শ্রুতি ভাবীও সন্তান নিতে চাচ্ছে। উনার মাস্টার্স শেষ৷ চাকরির জন্য আবেদন করছেন বিভিন্ন জায়গায়। চাকরি হলেই তিনিও মাতৃত্বের স্বাদ গ্রহন করবেন৷ মুখ ভেঙে বললাম,
“কথা বলবেন না৷ আপনি আমার সাদমান কে মেরে ফেলতে চেয়েছিলেন। আপনার প্রতি ভীষণ অভিমান জমেছে৷”
“আমার কাছে তুমিই আমার সব৷ তুমি পাশে থাকলে আমার কিছু লাগবে না৷ আমার পৃথিবী তুমি৷ তুমি পাশে থাকলে আমি হাসতে হাসতে জীবন উৎসর্গ করতে পারি৷”
“আপনি বেরিয়ে যান৷ আমি আমার সোনার টুকরো সাদমানকে এক পলক দেখতে চাই৷”
সারাদিন পর আমি আমার সোনার টুকরো সন্তানের মুখ দেখতে পেলাম। সকল কষ্ট মুহুর্তের মাঝে উধাও হয়ে গেল৷ মুচকি হেঁসে বললাম,
“ড. সাদমান চৌধুরী।”
_____
ইহান অঝোরে কান্না শুরু করল৷ এক ধ্যানে তাকিয়ে আছেন শালিকের কবরে৷ কবরের চারপাশে বাহারী রকমের ফুলের গাছ৷ কাচা ফুলের সৌরভ চারিদিকে মৌ মৌ করছে৷
সাদমান তার বাবা ইহানের চোখের জল মুছে বলল,
“তারপর কি হলো বাবা? মা মারা গেলেন কেন?”
“ইহান তার ছেলে সাদমানকে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ধরে বলল,
” সেদিন ভোর রাতে শালিকের সমস্ত দেহে কাঁপন শুরু হয়৷ ডক্টররা অনেক চেষ্টা করলেন৷ আমার শালিককে আমার কাছে ফিরিয়ে দিতে পারেননি৷”
সাদমান তার বাবাকে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ধরে বলল,
“আমি ডক্টর হয়ে কি করব? যে ডক্টর আমার মাকে বাঁচাতে পারেননি, যে ডক্টর আমার মায়ের প্রাণপ্রিয় বাবাকে বাঁচাতে পারেন না৷ আমি আমি ডক্টরের চাকরি রিজাইন করে দিব৷”
ইহান ছেলেকে নিজের থেকে দূরে সরিয়ে দেন৷ কষিয়ে থা’প্প’ড় বসিয়ে বলল,
“আমি শালিকের স্বপ্ন কিছুতেই ভাঙতে দিব৷ এজন্য আটাইশটি বছর অপেক্ষা করেছি৷ কবে তুমি ডক্টর করে তোমার মায়ের স্বপ্ন পূরণ করবে৷ শালিক প্রতিটি মানুষের মাঝে বেঁচে আছে৷”
সাদমান তার বাবা ইহানকে আবারও জড়িয়ে ধরল। ভেজা গলায় বলল,
“আমি মায়ের স্বপ্ন থেকে এক পা পিছপা হবো না৷ আমি আমার মায়ের স্বপ্ন পূরণ করব৷ আমি তোমার চোখে পানি দেখতে পারব না৷”
ইহান হাটু গেড়ে বলল ভেজা আহত কন্ঠে বলল ,
“শালিক পাখি! শালিক পাখি উঠনো না৷ তোমার সোনার টুকরো সাদমান আজ ডক্টর হয়েছে৷ তুমি তাকে দোয়া করবে না৷ তাকে বুকে জড়িয়ে নিবে না৷ আমার সাথে কি আজও অভিমান করে থাকবে৷”
ইহানের চোখের অশ্রুতে রঞ্জিত হয়ে যাচ্ছে চারপাশ৷ ইহানের কষ্টে পৃথিবীর কষ্টে জর্জরিত। চোখের জল বাঁধ মানছে না সাদমানের৷ মায়ের নিষ্ঠুর পরিণতির জন্য দায়ী ভাবছে৷ সাদমান তার বাবা ইহানের কাঁধে হাত রেখে হাঁটু গেড়ে বসল৷ ইহান মাটিয়ে আঘাত করে চিৎকার করে বলল,
“শালিক উঠো না৷ আমার কতো অভিমান করে থাকবে৷ আজও কি শালিক পাখির অভিমান ভাঙবে না?”
সমাপ্ত…