#শালিকা_যখন_বউ
#part_21+22(last)
#Written_by_Adnan_Sami_Raj
আমি সেখানে গিয়ে আরো বেশি অবাক হয়ে যাই কারন এটা আর কারো না আমার বাবার কম্পানী। যার সাথে আমাদের মিটিং হবে। আমি কি করবো তাই ভাবে পাচ্ছিলাম না। একবার মনে করলাম যে মিটিং টা এটেন্ট করবো না কিন্তু পরক্ষনেই কি যেন হলো আমি মিটিং প্লেস এ চলে গেলাম।
।
।
সেখানে গিয়ে আমি দেখি আমার বাবা একটা চেয়ার বসা আছে। আর তার চেহারা টা কেমন যেন শুকিয়ে গেছে। তো আমি সেখানে গিয়ে সবার সাথে মত বিনিময় করলাম। আর আমি যখুনি বাবার কাছে গেলাম তখন বাবা আমাকে দেখা মাত্র জড়িয়ে ধরলো,আর বলল।
আব্বুঃ কোথায় ছিলি বাবা এতদিন। আমাদের কথা কি তোর এতটুকুও মনে পরে নাই(কান্না করে কথা গুলো বলল)
আমিঃ হুম বাবা অনেক মনে পরেছে কিন্তু আমি যে অপারক ছিলাম( আমিও কান্না করেই কথা গুলো বললাম)
আব্বুঃ এখন আমার সাথে তুই বাসাই যাবি। তোকে দেখলে তোর আম্মু অনেক খুশি হবে ( বলে আমাকে নিয়ে যেতে লাগল)
আমিঃ হুম আব্বু আমি যাবো তার আগে এই মিটিং টা শেষ করে নিই।
আব্বুঃ সত্যি বলছিস তো।
আমিঃ হুম সত্যি।
এতক্ষন সবাই আমাদের দিকে তাকিয়ে ছিল আর বোঝার চেষ্টা করছিল যে কি হচ্ছে এগুলো। এমনি নীলাও অবাক হয়ে গিয়েছে কারন সেও আমার বাবা কে চিনে না। তাই সে আমার কাছে এসে বলল।
নীলাঃ তুমি বিজনেস ম্যান নাজমুল সাহেব এর ছেলে(অবাক হয়ে বলল)
আমিঃ হুম।
নীলাঃ তুমি এতবড় বিজনেস ম্যান এর ছেলে হয়ে আমাদের কম্পানী তে একজন সাধারন স্টাফ হয়ে কাজ কেন করছিলে।
আমিঃ এর একটা কারন আছে যেটা তুমি জানো না।
নীলাঃ কি কারন আছে রাজ।
আমিঃ মিটিং শেষ হোক তারপর না হয় বলি।
নীলাঃ ওকে ঠিক আছে।
নীলার অবাক হওয়াই স্বাভাবিক কারন এই পাচ বছরে আমি নীলা কে এক বার এর জন্যও আমার আসল পরিচয় টা বলি নাই। যদিও সে জানতো আমাদের একটা কম্পানী আছে।
।
।
তারপর আমরা মিটিং শেষ করে বাইর হলাম আর তখুনি আমার চোখ গেল একটা বাচ্চার ওপর বয়স আর কত হবে ৫-৬ বছর হইতো। কিন্তু ওকে দেখে মনে হচ্ছে কতদিন এর না চেনা। তাই আমি ওর কাছে যাই আর বলি।
আমিঃ বাবা তোমার নাম কি।
কিন্তু ছেলেটা আমাকে অবাক করে দিয়ে পাপা বলে আমাই জড়াই ধরে।
আমিঃ কে তোমার পাপা।
সেঃ তুমিই তো আমার পাপা। আমার মামনি বলছে। আর জানো পাপা তোমার জন্য আমার মামনি প্রতিদিন কান্না করে।
আমিঃ কে তোমার মামনি বাবা।
তখন ছেলেটি হাত দিয়ে একজন কে দেখিয়ে দেই আর সেটা আর কেউ না সেটা হলো নিশি। মানে ছেলেটি আমার আর নিশির সন্তান। তার জন্যই কি ওর জন্য এতটান অনুভব হইতে ছিল। তখুনি নিশি আমাদের সামনে চলে আসে আর আমাকে দেখে সে খানিক টা স্তব্ধ হয়ে যাই কিন্তু পরক্ষনেই আমাই জড়িয়ে ধরে কান্না করে দেই।
।
।
কিন্তু তখন হঠাৎ নীলা কোথাই থেকে যেন চলে আসে আর নিশি কে আমার বুকে দেখে ও নিশি কে তুলে ওর গালে দুটো চর বসাই দেয় আর বলে।
নীলাঃ এই মেয়ে তোমার লজ্জা করে না অন্যের স্বামি কে জড়াই ধরতে।
নিশিঃ অন্যের স্বামি মানে(অশ্রুসিক্ত চোখে)
নীলাঃ হ্যা তুমি যাকে জড়িয়ে ধরেছো সে আমার হাজবেন্ড হয়।
নিশিঃ ওহ সরি আমার ক্ষমা করে দিয়েন। আর মিস্টার রাজ আপনার ছেলে কে দেখে রাখবেন ( এই কথা বলেই নিশি বাইরে দৌড় দিল)
আমিও নিশির পিছু পিছু গেলাম কিন্তু আমি যেতে একটু দেড়ি করে ফেলেছিলাম কারন নিশি একটা কারের হাতে ধাক্কা খেয়েছে আর ওর মাথা থেকে প্রচুর ব্লিডিং হচ্ছে আমি কি করবো কিছুই বুঝতে পারছিলাম না আর…..
চলবে…..
#শালিকা_যখন_বউ
#part_22_and_last
#Written_by_Adnan_Sami_Raj
বাইরে এসে দেখি নিশির মাথা থেকে প্রচুর ব্লিডিং হচ্ছে। আমি কি করবো না করবো কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। আমার মনে হচ্ছিল যেন আমি আমার জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান কিছু হারারে যাচ্ছি। তাই আমি গিয়ে নিশিকে আমার কোলে তুলে নিই আর হসপিটাল এর দিকে দৌড়াতে শুরু করলাম আর তখন কে যেন একটা কার নিয়ে এসে বলল উঠতে তাই আমি দেড়ি না করে কারে উঠে বসি আর কিছক্ষন এর মধ্যেই হসপিটালে পৌছে যাই। আর ডক্তর রা নিশি কে নিয়ে OT তে চলে যাই।
।
।
তাই আমি কার ওয়ালা কে ধন্যবাদ দিতে যাই আর গিয়ে দেখি সেটা আর অন্য কেউ না আমার বন্ধু মামুন। আর মামুন কে দেখা মাত্র আমি কান্নাই ভেঙ্গে পরি। আর বলি।
আমিঃ আমার নিশির কিছু হবে নাতো,,ওর যে কিছু হলে আমি বাঁচাবো নারে।(কান্না করতে করতে)
মামুনঃ নিশির কিছু হবে না,,আর তুই এভাবে ভেঙ্গে পরছিস কেন।
আমিঃ আজ আমার জন্য নিশির এই অবস্থা,, কেন যে আমি আবার দেশে ফিরে আসলাম।
মামুনঃ এক থাপপাড় দিবো যদি আর এক্টিও বাজে কথা বলিস,, আর নিশির কিচ্ছু হবে না। আর তুই এখানে শান্ত হয়ে বস।
তারপর মামুন আমাকে এক জায়গায় বসিয়ে দেই আর কোথায় যেন চলে যাই। কিছক্ষন পরে দেখি মামুন আমার ছেলে কে নিয়ে আসছে আর ও আমাকে দেখে বলে।
মেহমেতঃ বাবাই মাম্মাম এর কি হয়েছে।
আমিঃ তোমার মাম্মাম এর কিছু হয়নি বাবা তুমি আমার কাছে এসো তো।
তারপর আমি আমার ছেলে কে বুকের মাঝে জড়াই ধরি।
।
।
কিছুক্ষন পরে ডক্টর ওটি থেকে বাহির হয় আর বলে।
ডক্টরঃ আপনাদের ভাগ্য অনেক ভালো বলতে হবে নইতো রুগিয়ে যে অবস্থায় এখানে আনা হয়েছিল আমরা তো মনে করেছিলাম ওনাকে বাঁচানো সম্ভব হবে না। কিন্তু আল্লাহর অশেষ রহমতে ওনি এখন সুস্থ আছে।
আমিঃ আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ডক্টার সাহেব আমার নিশিকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য। (ডক্টর এর হাত ধরে বললাম)
ডক্টরঃ আরে এটা তো আমাদের কর্তব্য।
আমিঃ আমি কি ওর সাথে দেখা করতে পারি।(অনুরোধ এর সুরে)
ডক্টরঃ নাহ,,, আপনি ৬ ঘন্টা পরে ওনার সাথে দেখা করতে পারবেন,, আর তাছাড়া ওনার এখন সেন্স নেই।
আমিঃ ওকে ডক্টর।
ডক্টর এর সাথে কথা শেষ করে এসে আমি আমার ছেলের কাছে বসি।
।
।
আমি আর আমার ছেলে বসে আসি তখন কেউ পেছন থেকে আমার নাম ধরে ডাক দেয়। তাই আমি পেছনে তাকায় কে ডাকছে দেখার জন্য,, তখন দেখতে পাই আব্বু আর আম্মু দাড়াই আছে। আর আম্মু আমাকে দেখে আর স্থির থাকতে পারলো না আমার কাছে এসে কান্না শুরু করে দিলো। আর বলল,
আম্মুঃ কোথায় ছিলি বাবা এতদিন,, আমাদের কথা কি তোর এতটুকুও মনে পরে না (কান্নার সুরে)
আমিঃ হুম আম্মু মনে তো সবসময়ই পরতো কিন্তু আসার উপায় ছিলো না,, আর এইযে দেখ আমি এসে গেছি আর কোথাও যাবো না।
আম্মুঃ সত্যি তো,,
আমিঃ হুম সত্যি..
তখন একজন নার্স এসে খবর দিলো যে নিশির সেন্স ফিরেছে।
।
।
তাই আমি আর দেরি না করে নিশির কেবিনে ঢুকে গেলাম আমার পিছু পিছু বাঁকি সবাই ও চলে এসেছে। কিন্তু নিশি আমাকে দেখে তার মুখটা অন্য দিকে ঘুরিয়ে নিল। সবাই নিশির সাথে কথা বলছে আর নিশি সেগুলোর উত্তর শুধু হ্যা অথবা না তে দিচ্ছে কিন্তু সে আমার দিকে একবারও তাকাচ্ছে না। এতে আমার অনেক টাই খারাপ লাগে তাই আমি সবাই কে বলি।
আমিঃ আমি আর নিশিকে একা কথা বলতে চাই তাই প্লিজ সবাই যদি একটু বাইরে যেতে।
সবাইঃ হুম অবশ্যই,,,
তারপর সবাই বাইরে চলে যাই আর আমি নিশির পাশে গিয়ে বসি আর ওর হাত আমার হাতের মুঠোর মধ্যে নিই আর বলি।
আমিঃ নিশি,,আমি সরি।
নিশিঃ…….(নিশ্চুপ)
আমিঃ কথা বলবে না আমার সাথে।
নিশিঃ……… (তাও নিশ্চুপ)
আমিঃ ঠিক আছে তাহলে আমি চলে যাচ্ছি।
আমি যখুনি উঠতে যাবো তখন নিশি আমার হাতটা ধরে ফেলে আর আমি ওর দিকে তাকিয়ে দেখি ও কান্না করছে।
আমিঃ আরে পাগলী কান্না করছো কেন (ওর চোখের জল মুছে দিয়ে)
নিশিঃ আপনি খুব খারাপ শুধু আমায় কষ্ট দেন(বুঝলাম মনের ভেতর অনেক অভিমান জমা হয়ে আছে)
আমিঃ হুম গো আমি খুব খারাপ,,আর আমি ওয়াদা করছি আজকের পর থেকে তোমায় আর কখন ও কষ্ট দিবো না।
নিশিঃ এভাবে বললে তো আমি বিলিভ করবো না।
আমিঃ তাহলে কিভাবে বলব।
নিশিঃ কান ধরে বলেন।
আমিঃ ওকে সোনা বউ এইতো কান ধরালাম(নিশির কান দুটো ধরে)
নিশিঃ ওই ফাজিল আমি কি আমার কান ধরতে বলেছি নাকি হুম।
আমিঃ তো কি হলো। (ওর নাক টেনে বললাম)
নিশিঃ আর ছেড়ে যাবেন নাতো।
আমিঃ কখনও না ( ওকে জরিয়ে ধরে)
পাগলীটাও আমার বুকের মধ্যে মিসে গেল। ঠিক তখুনি নীলা কেবিনে আসল আর নিশি নীলা কে দেখা মাত্র আমাকে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো ওর মতে ও যদি আমায় ছেড়ে দিলেই হারিয়ে যাবো।
নীলাঃ ভয় পেয় না নিশি আমিতো শুধু ক্ষমা চাইতে এসেছি। আসলে আমি যানতাম না যে তুমি রাজে কে হও তাই ওই কথা কথা গুলো বলেছিলাম।
নিশিঃ its okey..
নীলাঃ Thank you nishi..and good bye..
বলে নীলা চলে যাই। তখন আমি নিশি কে বলি।
আমিঃ বাবু তুমি এখন রেষ্ট নাও তুমি এখনও অনেটাই উইক।
তারপর নিশি আমার হাতটা ধরেই বাচ্চা দের মতো ঘুমিয়ে পরে। প্রায় ১৫ দিন পর নিশি কে রিলিজ দেওয়া হয়। আর নিশির পুরোপুরি সুস্থ হতে প্রায় ১ মাস সময় লাগে। আর এই ১ মাস কেটেছে নিশির সাথে দুষ্টুমি করতে করতে!
।
।
একদিন রাতে আমি আর নিশি ছাদে বসে ছিলাম তখন নিশির কি যেন মনে হলো আর সে আমার কোলের উপর উঠে এসে বসলো আর আমার গাল জড়াই ধরে বলল।
নিশিঃ আমার না একটা ফুটফুটে মেয়ে চাই দিবেন।
আমিঃ হুম দিবো( আমি ওর ঘারে আমার নাক ডুবিয়ে গন্ধ নিচ্ছি আর কথা গুলো বলছিলাম কেমন যেন নেশা ধরানো গন্ধ)
তখন নিশি হঠাৎ করে ওর দুহাত দিয়ে আমার মাথা উচু করে ওর ঠোট আর আমার ঠোট এক করে দেই আর পাগলের মতো চুষতে থাকে। নিশির এমন কাজ দেখে আমি খানিকটা অবাক হলেও পরক্ষনেই নিজেকে সামলে নিই আর ওর কোমরটা জড়িয়ে ধরে নিজের দিকে টেনে আনি আর ওর ঠোট চুষতে থাকি। এভাবে প্রায় ১০ মিনিট ছিলাম। তারপর আমি নিশি পাজকোলে তুলে নিয়ে রুমের মধ্যে আসি আর পা দিয়ে দরজাটা লাগিয়ে দিই।
তারপর নিশিকে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে নিজের শার্ট এর বোতাম গুলো খুলি আর শার্ট টা দূরে ছুরে মারি। তারপর নিশির ওপর উঠে ওর গার সহ সাড়া শরিরে কিস করি সাথে হালকা কামর দিই ফলে নিশি হাল্কা চিৎকার করছিল। তারপর আমি আস্ত আস্তে নিশির ব্লাউজ এর হুক খুলি আর নিশি আবেশে আমাকে জড়াই ধরে।
তারপর আর কমু না সবাই নিজে থেকেই বুঝে নেন গা।
……………The story is end…………..
(কেউ একজন আমাকে বলেছিল আমি নাকি আন-রোমান্টিক। তাই গল্পটা রোমান্টিক ভাবেই শেষ করলাম যার ফলে গল্প একটু বেশিই ১৮+ চলে এসেছে তাই সবাই আমাকে ক্ষমা করে দিয়েন আর গল্পটা কেমন ছিল জানাবেন)