সাবিহার বিয়ে”
লেখক :-শ্রাবণী ঘোষ
পর্ব -৯
সাবিহা যখন বিকেলে হসপিটালে পৌছাল
ইমারজেন্সীতে যে রোগীর
ফলোআপ নিবে তার কেবিনের সামনে
পৌছেই দেখল ওর শাশুড়বাড়ির লোকজন
সবাই বসে আছে। খুব বিরক্ত হল ও কারন
ও বুঝছিল যে ওকে মানাতে এসেছে
তারা, তাছাড়া ও চায় না এখনি ওর পার্সোনাল
ব্যাপারে হসপিটালের কলিগরা জানুক,এতদিন
তো সংসারের নামে সবাইকে মিথ্যা
বলে আসছে, এখন যদি এই নাটক
দেখে তখন কি বলবে??? কিন্তু তাই
বলে এত লোকজন?? ওর শাশুড়িকে
কাঁদতে দেখে তার কাছে এগিয়ে
গেল। সবাই যখন ওকে দেখল ওর ননদ
ওকে ধরে কাঁদতে কাঁদতে বলল –
দেখো না ভাবি ভাইয়া এ্যাকসিডেন্ট
করেছে, মাথায় খুব ব্যাথা পেয়েছে।
ওর শাশুড়ি বলল-মা, তুই যখন এসেছিস
আমার মেহবুব সত্যিই এবার সুস্থ হবে।
আমাকে যেভাবে সুস্থ করছিলি, ওকেও
সুস্থ করে তোল মা।
-ডা.কি বলেছে?
-ভাবি, ডা. এখনও কিছু বলে নি শুধু
বলেছে প্রচুর রক্ত গেছে, জরুরী
ভাবে রক্ত দেয়া হইছে। তবে এখনও
জ্ঞান ফিরে নি।
-আচ্ছা আমি দেখছি।
এই বলে ও কেবিনে গেল, মেহবুব
বিছানায় শোয়া, এখনও জ্ঞান ফিরে নি।
-বাবাহ্, মেহবুব সাহেব! আপনার কথার ঝাঁঝ
কৈ গেল?আহারে আপনি আপনার সিংহাসন
ছেড়ে এই হসপিটালে কেন?আপনাকে
তো ভাব ছাড়া এভাবে মানায় না, ব্যাটা
শয়তান। বোঝ মজা এবার। —মনে মনে
ভাবতে ভাবতে বিছানার পাশে গেল।
পুরো ফলো আপ নিল, কন্ডিশন
আসলেই খারাপ। নার্সকে ঘুমের
ইঞ্জাকশন দিতে বলল।দেখল মেহবুব
চোখ হালকা খুলছে আর ওর কি হা করে
তাকিয়ে আছে।
ও চোখ কুচঁকে মেহবুবের দিকে
তাকিয়ে মনে মনে বলল
-আসলেই তো ব্যাটার মনে জোড়
আছে, এত কিছু হল তারপরও এত তারাতারি
জ্ঞান এল???ভাবিস্ট দেখি জাতে মাতাল
তালে ঠিক।… ভাবছিল ব্যাটা কিছুদিন থাকুক
বিছানায় শুয়ে।
ও করল কি নার্সকে সিরিয়াস মুখে বলল –
আরও এক ডোজ বেশি পাওয়ার ঘুমের
ঔষুধ দাও ওনাকে, ওনার পুরো বেড
রেস্ট দরকার।
এই বলে মুচকি মুচকি হাসতে হাসতে
হাসতে কেবিন থেকে বেরিয়ে ওর
শাশুড়ির কাছে গেল, গিয়ে পুরো
গম্ভীর মুখে বলল -মা, ওনার মাথার যখম
বেশি,তবে পুরোপুরি আশংকা মুক্ত। ওনার
পুরো বেড রেস্ট চলবে কিছুদিন।
আপনি টেনশন নিবেন না।
-আমি জানতাম মা, তুমি আসলেই ও ঠিক
হবে। তুমি ওর কাছ থেকে কোথাও যাবা
না, তাহলে আমার ছেলে আবার অসুস্থ
হবে।
হাহ্ আপনার ছেলে তো আমাকে
দেখতেই চায় না ভাবল।
রাতের দিকে মেহবুবের কলিগরা আর
ওর কিছু বন্ধুবান্ধব আসল দেখতে।তারা
ওকে দেখবে কি সাবিহাকেই সবাই
দেখতে চায়, কথা বলতে চায়।বিয়ের
সময় সবাই দেখেছিল ওকে, পরে সবাই
ওকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দাওয়াত দিলেও
মেহবুব ওকে নেয় নি।
ও ও মনের রাগ ভুলে তাদের সাথে কথা
বলেছে।কাউকে বুঝতেই দিল না
ওদের মধ্যে কোন সমস্যা আছে।
সবাই যাবার পর, ওর শশুড় বাড়ির সবাইকে
বাসায় পাঠিয়ে দিল- -ওনার তো সকালের
আগে জ্ঞান ফিরবে না, আপনারা বাসায়
চলে যান। কোন সমস্যা হলে আমি বাবা
বা ভাইয়াকে ফোন দিব।এই বলে ও
জোড় করে সবাইকে বাসায় পাঠাল। আর
ওর অসহ্যও লাগছিল, তারা থাকলে তাদের
সাথে কথা বলা লাগত আর এখন ওর মন বা
মেজাজ কিছুই ঠিক নেই কোন ফর্মালিটি
পালন করার।তাছাড়া সকাল থেকে তাদের
ছেলে ওর সাথে যা যা করছে এখন
মেহবুবের পাশাপাশি ওর ফ্যামিলির প্রতিও
বিরক্তি এসে গেছে, যেন এখন সবাই
গেলেই বাঁচে।
ডা.লাউঞ্জে ফিরে এল ও,ভাবল মুমুকে
ফোন দিবে। -হ্যালো মুমু আমি না আজ
ফিরব না, তুই চিন্তা করিস না।
-কেন তুই কোথায়?
-হসপিটালে একটা জরুরী কাজ পরে
গেছে রে।
-আমি বললাম না তোকে কাজ দিয়ে ছুটি
নিতে?
-হ্যা নিব তো আর হ্যা শোন আমি
সকালে ডিউটি শেষে আপুর বাসায় যাব।
আন্টিকে বলিস যে মা বাবার সাথে আমিই
কথা বলব সে যেন টেনশন না করে,
পরে কি হয় আমি তোকে জানাব।
-ওকে বাই, টেক কেয়ার।
-বাই।
সাবিহার মনটা খারাপ লাগছিল মেহবুবের
মায়ের জন্য, ছেলেটা যাই হোক ওর
পরিবারপরিজন কখনই ওকে অবহেলা
করে নি বিয়ের পর থেকে।
টেবিলে বসে বসে ভাবতেছিল ও
বিয়ের পরদিন থেকে কি না সহ্য
করছে। ওই তো একসময় ছিল
সবকিছুতে নাক কুঁচকানো, রাগচটা।যে
অন্যের কোন উল্টো কথা শুনতেই
পারত না, চিৎকার চেঁচামেচি করে বাসা মাথায়
নিত। ওর দুলাভাই বলত -আমার শশুরের কষ্ট
আছে এই মেয়ের বিয়ে দিতে।
হ্যা আজ ও কথা শুনে কিন্তু চুপ
করে,মেহবুবের। ছোটবেলা
থেকেই ওর শপিংয়ের খুব ইচ্ছা। প্রতি
সপ্তাহে ওর শপিং করা লাগবেই। মা বাবা
কিছুই বলত না। কি বা বলবে একমাএ ছোট
মেয়ে ও। ও খরচ করবে না তো কে
করবে??? কিন্তু বিয়ের পর এই নিয়ে
কথা শুনতে হবে তা কোনদিন ভাবেই নি।
ভাবল সে দিন যে দিন ওর শাশুড়ি
মেহবুবকে বলল -সাবিহাকে নিয়ে
শপিংয়ে যা। দিনটা ছিল বিয়ের এক সপ্তাহ
পর।ও ভাবছিল মেহবুবের সাথে কিছুটা
সময় কাটাতে পারলে হয়ত ওকে বুঝতে
পারবে। যেই ভাবা সেই কাজ। সেজে
গুজে বের হল ওর সাথে। শপিং মলে
গিয়ে ও বাড়ির জন্য সবার জন্য কিছু না কিছু
কিনল। মেহবুব পুরোটা সময় কোন
কথাই বলল না। এক রাশ বিরক্ত নিয়ে ওর
পিছু পিছু হাটতে ছিল।
[6/5, 3:27 PM] Promity: । এক বার একটা
ব্যাগ হাতে নেবার কথা বলেছিল, ওর
দিকে এমন ভাবে কটমট করে তাকিয়ে
ছিল যেন কোন কাজের লোকের
কাজ করে দেয়ার কথা বলছিল তখন ওর
হাতে ক্রেডিট কার্ড দিয়ে বলেছিল –
আমি গাড়িতে গিয়ে বসলাম তুমি কাজ শেষ
করে এসো।
ও তখন সবার জন্য কেনার পাশাপাশি
মেহবুবের জন্যও একটা নীল পাঞ্জাবি
কিনল। কিন্তু নিজের জন্য কিছুই কিনল না
মেহবুবের টাকা দিয়ে কারন ওর ইচ্ছা ছিল
মেহবুব নিজে থেকে যেদিন ওকে
কিছু কিনে দিবে সেইদিনই ওর থেকে
নিবে তার আগে না। শপিং সেরে বাসায়
যাবার পথে মেহবুবকে ওর পাঞ্জাবির
প্যাকেটটি দিল, খুলার পর ওটা দেখেই
ওর দিকে ছুড়ে দিয়ে বলল -এটা কোন
রং হল?? আমি এসব পড়ি না।আর এত দেরি
কেন আমি কি তোমার পিয়ন??
এরকম লজ্জাকর অবস্থায়ওকোন দিন
পরে নি সাবিহা, না পারছিল কাঁদতে না পারছিল
গাড়ি হতে নেমে যেতে। সারাটা পথ মাথা
নিচু করে বাসায় পৌছাল। বাসায় সবার পোশাক
দিল। সবাই খুবই পছন্দ করল।কিন্তু মন
ভরবে কি???কি লাভ হলো সবাইকে খুশি
করে? যার জন্য করছে, সে ওর সাথে
কি বিহেব করল?
রূমে গিয়ে পা দেয় কি দেয় নি
শুনতেছে মেহবুব কাকে যেন
বলছে ফোনে -এই মেয়ে সংসার
করার মত না, আজ আমার হাজার হাজার টাকা
নস্ট করছে। এমন ভাব করছে যেন
মলে কোনদিন যায় নি,ছোটলোক!!!
সাবিহা ছোটলোক!! যে নিজের হাতে
ইনকাম করে!!! ও কিছুই না বলে ওর ব্যাগটা
নিয়ে বাসা হতে বের হয়ে যায়
হসপিটালে ডিউটি আছে বলে, আসলে
ডিউটি ছিল না, বাসায় থাকবে না ভেবেই
হসপিটালে ওভার টাইম করবে,
“সাবিহার বিয়ে”
লেখক:- শ্রাবণী ঘোষ
পর্ব -১০
রাতে কয়একবার সাবিহা মেহবুবের
কেবিনে গেল, ওকে দেখতে। ও
তখন বেঘোড়ে ঘুমুচ্ছে, মাথায়
ব্যান্ডিজ বাঁধা,মুখটা ব্যাথার যন্ত্রনায়
কুঁচকিয়ে রয়েছে। আজ সাবিহা প্রথম
খেয়াল করল লোকটার মুখে একটা মায়া
আছে, ও আগে শুনত যে ঘুমুলে
মেয়েদের মুখটা মায়াকারা হয় কিন্তু
ছেলেদেরও হয় তা আজ প্রথম জানল।
ভাবল এখন যেন ও ঘুমিয়ে তাই এমন
লাগছে যদি জেগে থাকত তাহলে নিশ্চই
এখন ওকে দেখলে বাজে বিহেব
করত, দূর দূর করে তাড়িয়ে দিত। একথা
ভাবতেই ওর মনটা বিষিয়ে উঠল। ও রুম
থেকে বেরিয়ে কড়িডোরে হাঁটছে
আর ভাবছে যে বিয়ের পরদিন থেকে
যতই মোহবুবকে ছাড়ার কথা মনে
হয়েছে ততবারই একের পর এক ঘটনা
ঘটেছে। প্রথম ওর মা, সে সুস্থ হবে
হবে করে যখন সুস্থ হল, যখন সব কিছু
শেষ করবে তখন মেহবুব নিজে না জানি
এ নিয়ে কতদিন ঝুলতে হয়।কাল হয়তো
ওর নিজের ফ্যামিলিকেও মেহবুবের
অসুস্থতার কথা জানাতে হবে কারন
যাইহোক চক্ষুলজ্জা তো আছে ওর।
ওর জখম দেখে মনে হচ্ছে
কয়েকদিন হসপিটালে থাকতে হবে, আর
যতদিন থাকবে ওর ফ্যামিলির ইমোশনাল
অত্যাচার চলতেই থাকবে। ভাগ্যেরও কি
লিলা মেহবুব ওরই পেশেন্ট হল শেষ
পর্যন্ত!!! আর কি কেউ ছিল না?কত ডা. ই
তো থাকে ইমারজেন্সীতে। কাল
সকালে যখন মেহবুবের হুশ হবে তখন
ওকে দেখেই তো আবার ভ্রু
কুচঁকাবে। না পারছে অন্য ডা.এর হাতে
পেশেন্ট ট্রান্সফার করতে না পারছে
নিজে দেখতে কারন ওর কলিগরা সবাই
ইতিমধ্যে জেনে গেছে।আর ও
নিজেই এই মেডিকেলের এক্স
স্টুডেন্ট, সবাই চিনে ওকে, ওপাশ
থেকে ওপাশ হলেই সবাই ওর
পারসোনাল জীবন সম্পর্কে জেনে
যাবে,যে ব্যাপারে ও খুবই সেনসিটিভ।
তখন আর মুখ দেখতে পারবে না,
ওকে এখানের চাকরি ছাড়তে হবে। আর
সবথেকে বড় কথা মেহবুবের চাচা
এখানের কলেজের প্রফেসর। যার
কারনেই আজ যত ঝামেলার জন্ম। কাল
সে এখানেও ছিল ওএকবারের জন্যও
তার দিকে তাকায় নি অভিমানে।যে স্যার
ছিল ওর মেডিকেল লাইফের আর্দশ,যার
হাত ধরে পাশ করেছে, যাকে দেখে
ওর মনেও সাধ জাগত যে ও ও একদিন
টিচার হবে, ও ও স্যারের মত করে
পড়িয়ে ওর স্টুডেন্টদের ডা. বানাবে।
আজ তাকে দেখলেই ইচ্ছে করে
জানতে -আপনি জেনে শুনে কেন
আমার সাথে এমনটা করলেন???
কিন্তু ও তো আর মেহবুব না যে সবার
সাথে বেয়াদবি করবে।
পরদিন সকালে ওর ডিউটি শেষ কিন্তু
তারপরও ও হসপিটাল ছাড়তে পারছে না।
ডা.লাউঞ্জে ঢুতেই ওর এক কলিগ বলল –
আহারে নুতন বউয়ের দেখি এক রাতেই
চোখের নিচে কালি তার মেজরের
চিন্তায়।
আরও একজন বলল-ইস্ কি রোমান্টিক না??
জামাই বউয়ের পেশেন্ট। সাবিহা তোমার
হাত কাপে নি ভাইয়াকে দেখার সময়??
-সাবিহা তোমার পেমেন্ট হিসেবে কি কি
নিবা লিস্ট করে নাও।
সেই কথার উওরে আরও একজন বলল-
ইস্ আমার জামাইটা একটু অসুস্থ হতে পারত
না।
এ কথা শুনার পর সবাই হো হো করে হাসা
শুরু করছে,সাবিহার অবশ্য রাগে গা
জলছিল। মনে মনে ভাবছে -আমার
জামাইর মত তোমাদের হলে বুঝতা এই
ভাবতে ভাবতে ওর পারসোনাল ফোনটা
অন করে কাল মুমুর সাথে কথা বলার পর
ফোনটা ওফ করে রাখছিল,বাসায় ফোন
দিবে। মায়ের সাথে আজ ২দিন কথা হয়
নি, ওমিন ও দেখে ওর বোন ফোন
করেছে।
-কি রে কি হয়েছে তোর? ফোন
অফ ক্যান?
-চার্জ ছিল না।
-তুই জানিস তোকে ফোন দিতে দিতে
হয়রান আমরা, আজকে সকালে মা বাবা
আসছে মেহবুবের খবর শুনে।
-কি বল?? তোমরা কিভাবে জানলে?
-মায়ের সাথে কবে কথা বলেছিস মনে
আছে তোর?বাসায় বসে কান্নাকাটি
করছে, তখন বাবা মেহবুবের বাবাকে
তোর খবর জানার জন্য ফোন দিসে
তখন শুনে এসব কাহিনী।
-তাদের টেনশন করতে নিষেধ কর উনি
ঠিক আছে।
-শোন আমরা আসতেছি হসপিটালে। বাই।
যাহ্!! বার বার চেয়েছিল এই লোকটার
কথা নিজের ফ্যামিলিকে জানাবে না ,
ডির্ভোসের টেনশনই কিভাবে দিবে
তাই ভেবে পাচ্ছিল না এখন আবার আগে
এই টেনশন দিতে হচ্ছে। না জানি মা বাবার
অবস্থা কি হয়েছে শুনে? শত হলেও
তারা তো মেহবুবকে জামাই হিসেবে
মানে।
নিচে ওর ফ্যামিলির লোকজন এসে
ওকে ফোন দিল। অনেকদিন পর ওর
মাকে দেখে এত ভাল লাগছিল।
-আহারে আমার ছোট মা, দেখ
শরীরের কি অবস্থা হয়েছে।–মা বলল
-আরে মা ও কিছু না, তুমি জানো না রাতে
ডিউটি করা কত কস্টের??ঘুম হলে সব
ঠিক হয়ে যাবে।
-মেহবুব কোথায়?
-উনি এখনও ঘুমে।
-চল দেখি ওকে।
-না মা। এখনই কেবিনে যাওয়ার দরকার
নেই। উনার এখন সম্পূর্ণ বেড রেস্ট
প্রয়োজন।
-দেখ আমার মেয়ে আমার সাথে কি
রকম ডা. এর মত কথা বলছে। হাহাহা.. খুব
ভাল মা। তুই অল্পতেই নিজ দায়িত্ব বুঝে
নিছিস।
-ধূর মা ও সব কিছুই না, আমি কাল ওনার
ফ্যামিলিকেও দেখা করতে দেই নি।
ওনার মা তো খুব কান্নাকাটি করছে
তারপরও।উনি আস্তে একটু রিকভারি হোক
তখন দিব নইলে ওনার ডিস্টার্ব হবে, মাথায়
জখম তো।
পরক্ষনে ভাবল না থাক দেখা করিয়ে
দেই, মেহবুবের তো কোন হুশ
নেই, বরং হুশ থাকলে মা বাবা তো তার
সাথে কথা বলতে চাইবে তখন মেহবুব
কি না কি বলে!!! তখন মা বাবা ওর বোনটা
খুবই কষ্ট পাবে আর এর জন্যই তো
এতদিন ওদের দূরে রাখছে যাতে ওরা
কষ্ট না পায়। তাই ভেবে ও তাদের
মেহবুবের কেবিনে নিয়ে গেল।