হৃদয়ের শুভ্রতা পর্ব ৭

#হৃদয়ের_শুভ্রতা🌸🌸

(পর্ব-৭)

#ফাবিহা_নওশীন❤

🌺🌺
শুভ্রা কানে হেডফোন গুঁজে গান শুনে নিজেকে ঠান্ডা করার চেষ্টা করছে।কানে হেডফোন লাগিয়ে চোখ বন্ধ করে সোফায় পা তুলে শুয়ে আছে।হৃদ অফিস থেকে ফিরে শুভ্রাকে এভাবে দেখে ওর মেজাজ বিগড়ে গেলো।।
—-যখনি দেখো কানে হেডফোন লাগানো।কানের বারোটা বাজাবে নাকি।ওর এই হেডফোনে আগুন যদি না দিয়েছি আমার নাম হৃদ না।

সবাই মিলে ডিনার করছে।শুভ্রা চেয়ার টেনে বসতে গিয়ে হৃদের চোখে চোখ পড়ায় চেয়ার জায়গা মতো রেখে বললো,
—–মাম্মা আমি খাবোনা।ক্ষিদে নেই।

শাওরিন শুভ্রার হাত ধরে বললো,
—-চুপচাপ বস।বা খেয়ে এক পা নড়বিনা।

শুভ্রা জানে বলেও লাভ হবেনা।ওর পেয়ারি মাম্মা না খেয়ে যেতে দিবেনা।ওর বারবার এটা ভেবে রাগ হচ্ছে শুভ্রা অনুর সাথে ভাব কেন জমাবে?
শুভ্রা নিজের প্লেটে পানি ঢেলে উঠে গেলো।
হৃদ রোজকে বললো,
—–রোজ ছোবড়ার কি হয়েছে রে?

রোজ ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে বললো,
—-আমি কি জানি?মেবি পুড়ছে?

হৃদ বিচলিত হয়ে বললো,পুড়ছে মানে?

—–আগুন আগুনে পুড়েছে।কেন গন্ধ পাচ্ছোনা?

হৃদ রোজের কথার আগামাথা খোজে পাচ্ছেনা।
—–খোলাসা করে বলতো কি হয়েছে?কিসের আগুন?কিসের গন্ধ?

রোজ মনে মনে বলছে,হ্যা এখন আমি তোকে বলি তারপর তুই আমার চুল ছিড়ে ফেল।নেভার।

রোজ বললো,আমি কি করে বলবো।আমি যেটুকু জানি সেটুকুই বলেছি।

হৃদ বোনের দিকে কিছুক্ষণ চেয়ে রইলো।তারপর বললো,
—-দুটোই গেছে।কি সব ভুলভাল বলছে।

শুভ্রা নিজের হেডফোন পুরো রুম,পুরো বাড়ি খোজেও পায়নি।বেচারি আজ আর গান শোনা হবেনা।মাথা ঠান্ডা কিভাবে হবে?ঘুম কিভাবে আসবে?

ফুল আর রোদ কিছু নিয়ে কথা বলছিলো রোজ ওদের বেডে পা ঝুলিয়ে চিপস খাচ্ছে।
রোজ চিপস শেষ করে বললো,
—-রোজ ইজ হেয়ার টু সলভ ইউর প্রব্লেম মাম্মা।

রোজের মাম্মা পাপা দুজনের দৃষ্টি রোজের দিকে।
—–বাড়িতে মডেল থাকতে তোমরা মডেল খোজছো।ওই মেয়ে র‍্যাম শো করবেনা তো কি।আমাদের চোখের সামনে তো মডেল আছে।

দুজনের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি যখন রোজের দিকে তখন রোজ বললো,
—-ওয়েট ওয়েট আমি নিজের কথা বলছিনা।আমি তো শুভ্রাপুর কথা বলছি।শুভ্রাপু তো এসব বিষয়ে এক্সপার্ট।তাছাড়া শুভ্রাপু আর ভাইয়া একসাথে কাজ করলে কিছু হলেও হতে পারে।

দুজনেই মেয়ের বলা কথা নিয়ে ভাবছে।রোজ কথাটা খারাপ বলে নি।শুভ্রা আর হৃদ একসাথে থাকতে পারবে।রোদ বললো,
—-না,,শুভ্রার উপর চাপ পড়ে যাবে।সামনে ফাইনাল ইয়ারের এক্সাম তাছাড়া নাচের স্কুল নিয়েও বিজি আছে।ওকে এতো প্রেশার দেওয়া উচিত হবে না।ওকে অফিসে বারবার যেতে হবে,প্যাক্টিস করতে হবে।

শুভ্রা দরজার সামনে দাড়িয়ে বললো,
—–তোমরা আমাকে নিয়ে কথা বলছো?

রোজ সুযোগ বুঝে শুভ্রার কাছে গিয়ে হাত ধরে ভিতরে এনে বললো,
—-হুম তোমাকে নিয়েই কথা হচ্ছে।একচুয়ালি আমাদের কোম্পানির বায়ারদের জন্য একটা র‍্যাম শো করা হবে।সেখানে একজন শর্ট।আমি তোমার কথা বলেছি।পাপা বলছে তোমার উপর চাপ পড়ে যাবে,বারবার অফিসে যেতে হবে।ধরো প্রায়ই তোমাকে অফিসে যেতে হতে পারে,অফিসে কিছুক্ষণ থাকতে হতে পারে।কাজ করতে হবে।মানে অফিসে প্যাক্টিস।
রোজ ইচ্ছে করেই বারবার অফিস শব্দটা উচ্চারণ করছে।

শুভ্রা কিছু একটা ভেবে বললো,
—-বাবাই আমি করতে চাই।আমার কোনো সমস্যা হবে না।

—-আর ইউ শিওর?

—-২০০%।

রোজ ভাবছে,
—–কেয়া বাত হে রোজ।তুনে তো কামাল কার দিয়া।ইউ আর জিনিয়াস।
আব মে লাইভ টম এন্ড জেরি দেখবো।হাও সুইট।বাট রোজ আগামীকাল থেকে তো ভার্সিটির ক্লাস শুরু।তুই কি করে টম এন্ড জেরি দেখবি।তোর কপালটাই খারাপ।
রোজ গালে হাত দিয়ে অসহায় ফেস করে চিপস খাচ্ছে।

হৃদ নিজের কেবিনে কাজ করছে।শুভ্রা জিন্স,শর্ট টপস,গলায় স্কাপ পড়া,হাতে হ্যান্ড ব্যাগ,খোলা চুল,চোখে সানগ্লাস পড়ে অফিসে গিয়ে হাজির।

হৃদ একটা ফাইল দেখছিলো।হটাৎ ওর চোখ আটকে যায় বাইরে।হৃদ ফাইল রেখে উঠে দাড়ালো।গ্লাস দিয়ে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে শুভ্রাকে।শোর দায়িত্ব যার উপরে তার সাথে কথা বলছে।মনে হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা বলছে।হৃদ ভাবছে,
—-এই ছোবড়া এখানে কি করছে?অফিসে ওর কি দরকার থাকতে পারে?রোজের কাছে এসেছে?কিন্তু রোজ তো ভার্সিটিতে।আর রোজকে খোজতে এখানে কেন আসবে?তাহলে কেন এসেছে?

স্যার,,
হৃদের পিএ ইউসুফ হৃদকে ডাকলো।হৃদের দৃষ্টি বাইরে শুভ্রার দিকে দেখে বললো,
—-স্যার উনি নিউ মডেল শুভ্রতা।

ইউনুস ৬মাস যাবত অফিসে এসেছে আর শুভ্রাও অফিসে তেমন আসেনা তাই শুভ্রাকে চিনেনা।পুরনো কিছু স্টাফ মাত্র শুভ্রাকে চিনে।

হৃদ ওর পিএর কথা শুনে অবাক হলো।
শুভ্রা আমাদের মডেল?কই বাড়িতে কেউ আমাকে কিছু বললো না কেন?মাম্মাও কিছু বলে নি।আর রোজ ভাংগা রেডিও সারাদিন কানের কাছে এসে বকবক করে অথচ এটা বলে নি।
যাক ভালো হয়েছে।শুভ্রার গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা যাবে।এ মেয়ে চায় কি?

শুভ্রা কথা শেষ করতেই হৃদকে চোখে পড়ে।চোখাচোখি হতেই শুভ্রা চোখ ফিরিয়ে নেয়।তারপর নিজের মতো ওর গন্তব্যে এগিয়ে যায়।
হৃদ দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললো,
—-তুই কি চাস শুভ্রা?সত্যিই কি তোর মনে আমার জন্য আর জায়গা নেই।

শুভ্রার চোখ শুধু অনুকে খোজছে।অনুকে দেখতে চায় ও।কিন্তু না শুভ্রা অনুকে চিনে আর না কাউকে জিজ্ঞেস করতে পারছে।যেসকল ইয়াং মেয়ে দেখছে তাকেই অনু মনে হচ্ছে।
শুভ্রা বসে বসে কফি খাচ্ছে আর আড়চোখে সব মেয়েদের উপর চোখ বুলাচ্ছে।একটা মেয়েকে দেখে বললো,
—-এই যে আপু শুনছেন?

সাদা ড্রেস পড়া মেয়েটি হাসি মুখে এগিয়ে এসে বললো,
—-জ্বি মেম বলুন।

—-মেম বলবেন না প্লিজ।আমার নাম শুভ্রতা।আপনার নামটা কি?

—–আমার নাম রাফিয়া ইসলাম।

শুভ্রা আমতা আমতা করে বললো,
—–একচুয়ালি আমি অনুকে খোজছিলাম।ও কোথায় বলতে পারবেন?

মেয়েটা ঘাড় ঘুড়িয়ে এদিক সেদিক তাকিয়ে পিংক কালার ড্রেস পড়া একটা মেয়েকে দেখে বললো,
—-ওই তো অনু।

শুভ্রা বললো,কোথায়?

—-ওই যে পিংক ড্রেস।

শুভ্রতার চোখ চকচক করে উঠলো।
টেবিলে কফির মগ রেখে বললো,
—-ধন্যবাদ আপু।

শুভ্রা অনুর দিকে এগিয়ে গেলো।অনুকে পা থেকে মাথা পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করে নিলো।মেয়েটি বেশ সুন্দরী।তারপর মনে মনে মেয়েটিকে গালাগাল করলো।
মেয়ে তুই যদি হৃদের দিকে হাত বাড়াস তবে আমি তোর হাত কেটে ফেলবো নয়তো আমার নাম শুভ্রতা না।
শুভ্রা অনুকে ভালো করে দেখে ব্রেইনে সেইভ করে নিলো।
তারপর বিরবির করে বকতে বকতে ভার্সিটির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলো।
আজকে আপাতত কোনো কাজ নেই।

রোজ ভার্সিটি গিয়ে ক্লাশের দিকে যাচ্ছে।এ ভার্সিটি নতুন করে দেখার কিছু নেই।পাপার সাথে অনেক বার এসেছে।
রোজ ক্লাসের দিকে যেতেই ওড়নায় টান পেলো।
রোজ ঘুরে দাঁড়িয়ে দেখে একটা ছেলে কুৎসিত দৃষ্টি নিয়ে ওর দিকে তাকিয়ে আছে আর এক হাতে ওড়না ধরে রেখেছে।
রোজের মেজাজ খারাপ হয়ে গেলো।
—-কি হলো ওড়না ধরে রেখেছেন কেন?

—-নিউ নাকি?

—-তো!!

—–আমরা তোমার সিনিয়র।

রোজ ওড়না টেনে নিজের হাতে নিয়ে নিলো তারপর বললো,
—-সিনিয়রা ওড়না ধরে টানাটানি করে বুঝি?এমন বেয়াদব হয়?

রোজের কথা শুনে ছেলেটা রোজের দিকে হাত বাড়াতেই রোজ ভয় পেয়ে ঘুরে যায়।তখনই ঠাস করে থাপ্পড়ের শব্দ পায়।রোজ ঘুরে দাড়িয়ে দেখে ছেলেটি গালে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
ওর সাথের ছেলেগুলো মাথা নিচু করে আছে।
পাশেই একটা সুদর্শন যুবক রক্তচক্ষু নিয়ে দাড়ালো।রোজ কিছুই বুঝতে পারছেনা। ও কিছু বুঝার আগে সুদর্শন যুবকটি ওই ছেলেটার গলা ধরে টেনে নিয়ে যাচ্ছে আর রোজকে বললো,
—-ফলো মি।

রোজ বুঝতে পারছেনা ফলো করবে কিনা।

রোজ,বখাটে ছেলেটা আর সুদর্শন ছেলেটি ডিপার্টমেন্ট হেড এর রুমে দাড়িয়ে আছে।

—–স্যার নিউ ইয়ার তাই র‍্যাগ দিচ্ছিলাম।মেয়েটা ত্যাড়ামি করছিলো,,

রোজ খপ করে দাঁড়িয়ে বললো,
—-একদম মিথ্যে বলছে স্যার।আমাকে কোনো র‍্যাগ দেয়নি।আমি ক্লাসে যাচ্ছিলাম আর আমার ওড়না টেনে ধরেছে।ওড়না ধরে টানাটানি করা কোনো র‍্যাগের আওতায় পড়ে বলে মনে হচ্ছে না।

স্যার সুদর্শন ছেলেটির দিকে তাকিয়ে বললো,
—-অরিত্র মেয়েটি ঠিক বলছে?

অরিত্র বললো,
—-জ্বি স্যার।দূর থেকে দেখলাম বেয়াদবি করছিলো তাই আমি থাপ্পড় মেরে আপনার কাছে নিয়ে এসেছি।

বখাটে ছেলেটি বললো,
—-স্যার ভাইয়া দূর থেকে কি দেখেছে জানিনা,হয়তো বুঝার ভুল হবে।আমি ওড়না ধরে টানাটানি করিনি।

রোজের ইচ্ছে করছে থাপড়িয়ে তেলে ভাজতে।রোজ ঝাঝালো কন্ঠে বললো,
—–আপনি বলতে চাইছেন আমি মিথ্যা বলছি?আমি কেন বলবো আপনি আমার ওড়না ধরে টানাটানি করছেন?আমি ভদ্র,সুশীল পরিবারের মেয়ে।আমার পাপা এই ভার্সিটির ফিজিক্স ডিপার্টমেন্টের হেড।

স্যার অবাক হয়ে বললো,
—–তুমি রোদ্দুরের মেয়ে?

—-জ্বি স্যার।

—-আই সি।তুমি রোজ।

—-জ্বি স্যার রুহানি খান রোজ।

অরিত্র আড়চোখে একবার রোজকে দেখে নিলো।রোজ যেনো রোজের মতোই সুন্দরী।তারপর মুচকি হাসলো।

স্যার বখাটে ছেলেটিকে বললো,
—–রোজকে সরি বলো।মেয়েদের সাথে র‍্যাগিংয়ের নামে নোংরামি চলছে।

বখাটে ছেলেটি রোজকে বললো,সরি।আর এমন হবেনা।

রোজ ভ্রু কুচকে বললো,
—-আশা করি ভবিষ্যতে এমন করবেন না।মেয়েদের সম্মান দিয়ে চলবেন।

বখাটে ছেলেটিকে বলে স্যারের দিকে তাকিয়ে বললো,
—-স্যার পাপা যেনো না জানতে পারে।পাপা জানলে হয়তো স্যার হিসেবে ভদ্রতার খাতিরে দুচার কথা বলে ছেড়ে দিবে।কিন্তু ভাইয়া শুনলে হাংগামা হয়ে যাবে।প্লিজ স্যার।

স্যার মুচকি হেসে বললো,ওকে।ইউ ক্যান ট্রাস্ট মি।

—-থ্যাংক ইউ স্যার।আমি এখন যেতে পারি?প্রথম দিনই লেইট করতে চাইনা।

—-বেস্ট অফ লাক।ইউ ক্যান গো নাও।

রোজ মুচকি হেসে অরিত্রকে বললো,
—-থ্যাংক ইউ ভাইয়া।

অরিত্র রোজের মুখে ভাইয়া শুনে কিছুটা রেগে গেলেও বাইরে প্রকাশ করলো না।
—-ইটস মাই প্লেজার।প্রয়োজনে জানাবে।

—-অবশ্যই।

শুভ্রা নিউ হেডফোন নিয়েছে।সেটা কানে দিয়ে গান শুনছে।হৃদ শুভ্রার কানে নিউ হেডফোন দেখে রাগে ফুসফুস করছে।
—-ছোবড়ার বাচ্চা নিউ হেডফোন নিয়েছে।কানে হেডফোন লাগিয়ে রাখা ছাড়া দুনিয়ায় আর কাজ নেই নাকি?এইবার হেডফোন না তোকে জ্বালাবো।

হৃদ নিজের রাগ কন্ট্রোল করতে না পেরে শুভ্রার সামনে গিয়ে ওর হেডফোন এক টানে খোলে নিলো।শুভ্রা চোখ মেলে দেখে হৃদের হাতে হেডফোন।চোখ বড়বড় করে বললো,
—-আমার হেডফোন আপনাকে কি করেছে?হেডফোন দিন।

হৃদ কোনো কথা না বলে কিচেনের দিকে যাচ্ছে।শুভ্রা কিছুই বুঝতে পারছেনা হেডফোন নিয়ে কোথায় যাচ্ছে।শুভ্রা হৃদের পিছনে পিছনে যাচ্ছে।হৃদ কিচেনে গিয়ে চুলা অন করে তার উপরে হেডফোন রাখছে।শুভ্রা হা করে ওর কান্ড দেখছে তারমানে আগের হেডফোনটা হৃদ নিয়েছে।শুভ্রা হৃদের হাত থেকে হেডফোন ছু মেরে নিয়ে নিলো।হৃদ শুভ্রার হাত ধরে ফেললো।শুভ্রা অবাক হয়ে নিজের হাতের দিকে চেয়ে আছে।
এতবছর পর এই প্রথম হৃদের ছোয়া পেলো।শুভ্রা হাত ঝাড়া দিয়ে নিজের হাত ছাড়িয়ে নিয়ে বললো,
—-এই শুভ্রার হাত কেউ ধরতে পারেনা যতক্ষণ না শুভ্রা চায়।

হৃদ দাতে দাত চেপে বললো,
—-এই হৃদের কারো পারমিশনের প্রয়োজন নেই।হৃদ চাইলেই ধরতে পারে কিন্তু হৃদের মানসিকতা এতটা চিপ নয়।তার প্রমাণ আগেই দিয়েছি।

চলবে….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here