#অজানা_অনুভূতি
#পর্বঃ ১৬
#লেখিকাঃ আদ্রিতা খান অদ্রি
স্যারের সাথে আমরা মার্কেটে পৌঁছে গেলাম।
আমি আর আবির যাচ্ছি গিফট কিনতে। আদ্রিতা আলো তানহা তোমরা ডেকোরেশন এর জন্য কিছু জিনিস কিনে নেও। (আরিয়ান)
ওকে স্যার (আলো)
তারপর আরিয়ান স্যার আর আবির চলে গেলেন। এইদিকে আমরা ডেকোরেশন এর জিনিস কিনছি।
*****
সাজ্জাদ যখন খবর পেয়েছে আদ্রিতা আরিয়ানের সাথে মার্কেট গিয়েছে তখন সাজ্জাদ ও মার্কেট ও প্রবেশ করেছে। কিন্তু সাজ্জাদ হুডি আর মাস্ক পরা। তাই হঠাৎ করে কেউ সাজ্জাদকে দেখলে চিনতে পারবে না।
*****
ডেকোরেশন এর জিনিস কিনা শেষ আগে থেকে লিস্ট করা ছিলো তাই বেশি সময় লাগে নি। কিন্তু আরিয়ান স্যার আর আবির এখনো আসে নি।
দোস্ত চল কোনো একটি দোকান থেকে ঘুরে আসি। (তানহা)
হ্যাঁ চল দেখ ঔই দোকানর জিনিস গুলো কতো সুন্দর। দেখে আসি একবার(আদ্রিতা)
কিন্তু টাকা আছে তোদের কাছে? (তানহা)
আরে পছন্দ করে আসি পরে না হয় একদিন এসে কিনে নেবো।চল যাই।(আদ্রিতা)
না না স্যার এখনই এসে পড়লে আমি যাবো না।(আলো)
আরে কিছু হবে না চল। এই কথা বলে আমরা ৩ জন একটি দোকানে গেলাম। দোকানটি বেশ বড়ো। চারদিকে বিভিন্ন রকমের গহনা, চুরি, কানের দুল, ড্রেস আর ও অনেক কিছু।
আদ্রিতা,তানহা,আলো দোকানে যাওয়ার পর সাজ্জাদ ও তাদের পিছনে গেলো। কিন্তু ততোক্ষণে মাস্ক খুলে ফেলেছে।
তাড়াতাড়ি চলো এতোক্ষণে মনে হয় ওদের ডেকোরেশনের জিনিস কেনা হয়ে গেছে। আমাদের জন্য হয়তো অপেক্ষা করছে। (আরিয়ান)
জ্বি স্যার। (আবির)
কি ব্যাপারে এই দোকানে ত ওরা নেই কোথায় গেলো?(আরিয়ান)
আবির একটু আশে পাশে তাকিয়ে বললো, স্যার ও ওই দেখুন অন্য দোকানে গিয়েছে। আমারা মনে হয় ওদের ডেকোরেশন এর জিনিস কেনা শেষ। তাই নিজেদের জন্য কিছু জিনিস কিনতে গিয়েছে। (আবির)
চলো আমরা ওইখানে যাই এখানে দাঁড়িয়ে থেকে কি করবো। (আরিয়ান)
আরিয়ান আর আবির আদ্রিতারা যেই দোকানে গিয়েছে সেই দোকানে ডুকেছে।
দোস্ত দেখ এই চুরিটা কতো সুন্দর (আদ্রিতা)
হ্যাঁ রে আমার ও অনেক পছন্দ হয়েছে। (আলো)
হ্যাঁ, ঠিক বলেছিছ সুন্দর অনেক। কিন্তু আমাদের কাছে ত এটা কিনার মতো টাকা নেই। (তানহা)
হ্যাঁ, এই চুরির সেটের দাম নাকি ২০০০।আমাদের কাছে এতো টাকা নেই। (আদ্রিতা)
আমার ত একটা ড্রেস ও পছন্দ হয়েছে কিন্তু টাকা নেই।কি করি আমরা (তানহা)
হ্যাঁ ওই লাল লেহেঙ্গাটা দেখ কতো সুন্দর। আমার অনেক ভালো লেগেছে। (আদ্রিতা)
ওই লেহেঙ্গাতে কিন্তু আদ্রিতাকে একদম বউ বউ লাগবে। কথাটি বলে আলো আর তানহা হেসে উঠলো। আদ্রিতা কিছুটা লজ্জা পেলো।
হয়েছে আর লজ্জা পেতে হবে না। এমনি ও কোনো একদিন এক রাজপুত্র এসে আমার বান্ধবীকে নিয়ে যাবে। (আলো)
অনেক হয়েছে থাম তোরা, না আমার কাছে টাকা আছে আর না কোনো রাজপুত্র আমার জীবনে আসবে। কিন্তু লেহেঙ্গাটা সুন্দর 🥲 দোস্ত কিনে দে লেহেঙ্গা(আদ্রিতা)
বিয়ে করে নেই জামাইের টাকা দিয়ে কিনে দিবো নি 🥲 লেহেঙ্গা ত আমার ও পছন্দ হয়েছে। (আলো)
হয়েছে আর স্বপ্ন দেখতে হবে না টাকা নেই আমাদের কাছে। (তানহা)
ওরা এতোক্ষণ খেয়াল করে নি পেছনে আবির আর আরিয়ান স্যার দাঁড়িয়ে আছে।
তানহার মাথায় বাড়ি মেরে টাকা নেই ত দোকানে এসেছিছ কেনো?(আবির)
উফফফ সব সময় বিরক্ত করিছ। (তানহা)
আমরা পিছনে তাকিয়ে দেখলাম। আরিয়ান স্যার দাঁড়িয়ে আছে।
তোমাদের কি আরো দেড়ি হবে? (আরিয়ান)
না স্যার এখনোই বের হবো। (আলো)
কথাটি বলে আমরা বের হতে নিলাম।
আরিয়ান একটু আমাদের সামনে এসে আবিরের হাতে গিফটের প্যাকেট দিয়ে বললো, তোমরা বাইরে গিয়ে দাঁড়াও আমার একটু কাজ আছে।
ওকে স্যার। কথাটি বলে আমরা ৪ জন বাইরে গিয়ে দাঁড়ালাম।
এতোক্ষণ সবার কথাই শুনছিলো সাজ্জাদ। আদ্রিতারা বাইরে যেতেই সাজ্জাদ দোকানের মালিককে বললো,
এই চুরির সেটটি প্যাকেট করে দিন (সাজ্জাদ)
আদ্রিতারা যাওয়ার পর আরিয়ান পিছনে ফিরে দেখলো, সাজ্জাদ সেই চুরির প্যাকেটটি কিনছে। এটি দেখে আরিয়ানের রাগ বেড়ে গেলো। নিজের রাগ সংযত রেখে বললো,
আরে সাজ্জাদ তুই?(আরিয়ান)
হ্যাঁ, একটু কেনাকাটা করতে এসেছিলাম। (সাজ্জাদ)
ও আচ্ছা, কিন্তু চুরি কেনো রে দোস্ত প্রেমে পরেছিছ নাকি? (আরিয়ান)
সাজ্জাদ কথাটি শুনে হেসে বললো, হ্যাঁ ধরে নে এরকম কিছুই।
আরিয়ান দোকানের মালিককে বললো, এরকম আর একটি চুরির সেট প্যাকেট করে দিন।
সাজ্জাদ বুঝতে পারলো, ওরা এইটি পছন্দ করেছে দেখেই আরিয়ান চুরির সেটটি কিনছে। সাজ্জাদ নিজের রাগ নিয়ন্ত্রণে রেখে বললো,
তুই কার জন্য চুরি কিনলি? (সাজ্জাদ)
আমার প্রিয়তমার জন্য। (আরিয়ান)
নাম কি তোর প্রিয়তমার? (সাজ্জাদ)
সময় হলে জেনে যাবি। অদ্ভুত না দেখ আমাদের দু’জনের পছন্দের মানুষের জন্য একই রকমেন চুরি কিনলাম। (আরিয়ান)
সাজ্জাদ মুচকি হাসলো। লাল রঙের লেহেঙ্গা দেখিয়ে বললো এইটি ও প্যাক করে দিন সাথে একটি হিজাব দিবেন। আর ও কিছু কসমেটিকস দেখিয়ে বললো প্যাক করে দিন। (সাজ্জাদ)
তোর আর আমার প্রিয়তমার পছন্দ যেহেতু এক। তুই যা যা কিনেছিছ আমি ও সেগুলো কিনে নেই।আশা করি আমার প্রিয়তমা ও খুশি হবে। (আরিয়ান)
কথাটি বলে সাজ্জাদ যা যা কিনেছে আরিয়ান ও সেগুলো দেখিয়ে বললো প্যাক করে দিতে। ব্যাপারটা সাজ্জাদের পছন্দ হলো না। কিন্তু কিছু বলার ও নেই।
আরিয়ান মার্কেট থেকে বেরিয়ে গেলো। আরিয়ান বের হওয়ার কতক্ষণ পর সাজ্জাদ দোকান থেকে বেরলো কিন্তু মার্কেট থেকে পরে বের হবে। সাজ্জাদ চাচ্ছে না আদ্রিতার সাথে এখন দেখা হোক।
সরি সরি একটু বেশি ক্ষন দাঁড় করয়ে রেখিছি তোমাদের। (আরিয়ান)
না স্যার সমস্যা নেই। (তানহা)
আরিয়ান স্যারের হাতে ব্যাগটি আদ্রিতা খেয়াল করলো। কিন্তু কিছু বললো না। সবাই বাসায় যাওয়ার জন্য রওনা হলো।
অন্যদিকে ~
ইউনিভার্সিটির ক্লাস শেষে সামিরা দাঁড়িয়ে আছে বাসের জন্য। তপ্ত দুপুরে ক্লান্ত চেহারায় অসাধারণ লাগছে সামিরাকে।
হেই সামিরা, (স্বাধীন)
হঠাৎ পিছন থেকে ডাক শুনে কিছুটা চমকে উঠলো সামিরা। নিজেকে স্বাভাবিক রেখে জবাব দিলো, হাই।
এই দুপুরে এখানে দাঁড়িয়ে আছেন যে? (স্বাধীন)
বাসের জন্য দাঁড়িয়ে আছি। (সামিরা)
ও আচ্ছা, বিয়ে করে নিন তাহলে আপনার হাসবেন্ডই সব জায়গায় আপনাকে নিয়ে আসা যাওয়া করবে বাসের জন্য দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না।(স্বাধীন)
সামিরা কিছুটা বিরক্ত হয়ে বললো, আপনি বিয়ে করলে বুঝি আপনার বউকে সব জায়গায় নিয়ে যাবেন? একা ছাড়বেন না? (সামিরা)
আমার বউকে আমি একা ছাড়ি ও না। (স্বাধীন)
কি? আপনার বউ আছে? (সামিরা)
না মানে মেয়ের বাসায় কথা বলা আছে। এখন সঠিক সময়ের অপেক্ষা। (স্বাধীন)
কেনো জানি সামিরার স্বাধীনের বিয়ের বিষয়টা ভালো লাগছে না। সেদিন পার্কে অনেকটা সময় একসাথে কাটানোর পর স্বাধীনের প্রতি পজিটিভ ধারণা তৈরি হয়েছে।
ভালো ত, তাহলে যান আপনার বউকে আনা নেওয়া করুন। আমাকে বিরক্ত করবেন না। কথাটি বলে সামিরা চলে গেলো।
যাক বাবা রেগে হেলো কেনো। স্বাধীন একা একা কি করবে সেও চলে গেলো।
*****
আরিয়ান প্যাকেটটি নিজের আলমারিতে রেখে দিলো আনমনে বলে উঠলো, প্রিয়তমা তোমার বাসার ঠিকানা আমার কাছে নেই।চাইলে আমি কলেজ থেকে তোমার ঠিকানা নিতে পারি। কিন্তু আমি চাই বিয়ের পর নিজ হাতে তোমাকে এই গিফটটা দিবো।
****আদ্রিতার বাসায় ~
আদুরি পড়তে বস। (সামিরা)
দি পড়ে টিভি দেখতেছি। তুই পড়তে যা। (আদ্রিতা)
আমি আর দি সোফার রুমে বসে আছি। আমি টিভি দেখতে চাচ্ছি আর দি পড়তে বসতে বলছে। এমন সময় হঠাৎ কলিং বেল বেজে উঠলো
#অজানা_অনুভূতি
#পর্বঃ ১৭
#লেখিকাঃ আদ্রিতা খান অদ্রি
আদ্রিতা সোফায় বসে আছে। সামিরা গিয়ে দরজা খুলে দিলো।
আপনাদের বাসায় আদ্রিতা নামের কেউ আছে? আদ্রিতার নামে পার্সেল এসেছে। ( ডেলিভারি ম্যান)
জ্বি, আপনি আমাকে দিয়ে দিন আমি ওর বড় বোন।(সামিরা)
সামিরাকে পার্সেলটি দিয়ে লোকটি চলে গেলো।
আদুরি তোর পার্সেল এসেছে। অনলাইন থেকে কিছু কিনেছিছ নাকি? (সামিরা)
না দি আমি কিছু কিনি নাই মনে হয় আলো, তানহা বা আবির কিছু কিনেছে আর আমার বাসায় পাঠিয়ে দিয়েছে। (আদ্রিতা)
হ্যাঁ, তাই হবে। যা রুমে রেখে দে। (সামিরা)
দি আমি এখন পারবো না। সোফায় রেখে দে(আদ্রিতা)
শুধু এমনি বড় হযেছিছ, কোনো কাজ ঠিকমতো করতে পারিছ না। (সামিরা)
আদ্রিতা সামিরার কথা কানে তুলল না মন দিয়ে টিভি দেখতে থাকলো
সামিরা আদ্রিতার রুমে পার্সেলটি রেখে আসলো।
রাতের খাবার খেয়ে রুমে আসলাম ঠিক করলাম গ্রুপে জিজ্ঞেস করি এটা কার পার্সেল। নিশ্চয়ই আন্টিকে না জানিয়ে কিনেছে তাই আমার বাসায় পাঠিয়ে দিয়েছে।
ফোন চেক করে দেখি ২য় নাম্বারটি থেকে মেসেজ সেখানে লেখা,
মায়াপরী লাল লেহেঙ্গা পরলে কিন্তু তোমাকে অনেক মানাবে। অনেক মায়াবী লাগবে। তোমার কলেজের অনুষ্ঠানে তোমাকে এই লেহেঙ্গাতে তোমাকে দেখতে চাই। আমার পাশে দাঁড়িয়ে যখন ছবি তুলবে। তখন তোমাকে একদম লাল টুকটুকে বউ লাগবে। আমার ভালোবাসা মিশ্রিত আছে এই ড্রেসটিতে। ড্রেসটি নিজে পরবে ত নাকি আমার হাতে পরিয়ে দিতে হবে? তুমি নিজে না পড়লে কিন্তু আমি ঠিকই তোমার বাসায় এসে পড়িয়ে তারপর তোমাকে আমার সাথে নিয়ে যাবো। বাসার সবার সামনে নিশ্চয়ই অন্য ছেলের কোলে করে যেতে ভালো লাগবে না। তাই সুন্দর ভাবে সেজে যা যা দিয়েছি সেগুলো দিয়ে সাজবে। হিজাবটা অবশ্যই পরবে। আমি চাই না তোমার ঘন কালো চুল আমি বাদে কেউ দেখুখ। তোমার ঠোঁটের লাল রঙে আমার ঠোঁট রাঙাতে চাই।
মেসেজটি পড়ে বুকের হার্টবিট বেড়ে গেলো দ্রুত প্যাকেটটি খুললাম। প্যাকেটে সেই লেহেঙ্গাটি রয়েছে যেটা আমি তখন পছন্দ করেছিলাম সাথে একটি হিজাব আর ও অনেক কিছু। সব গুলো জিনিসই অনেক সুন্দর। আবার সেই চুরির সেটটি ও রয়েছে। কিন্তু এটি কে দিবে আমাকে? সাজ্জাদ? কিন্তু সাজ্জাদ ত জানে না আজকে আমি মার্কেটে গিয়েছিলাম বা এইটা ও জানে না আমি এই জিনিস গুলো পছন্দ করেছি। কিন্তু মেসেজের যেই ভাষা এটা ত সাজ্জাদ ছাড়া আর কারোর পক্ষে বলা সম্ভব না।কিন্তু সাজ্জাদ কিভাবে জানবে। তার মানে কি আরিয়ান স্যার? স্যারের হাতে একটি প্যাকেট দেখেছিলাম এই প্যাকেটটা ত ঔই প্যাকেটের মতো। তার মানে কি স্যার আমাকে পছন্দ করে? কিন্তু এটা কি করে সম্ভব? এইজন্যই কি সাজ্জাদের সাথে আসা যাওয়ার ব্যাপারে কথা বলেছে। আমি এখন এই লেহেঙ্গাটি কি করবো? আরিয়ান স্যার দিয়েছে নাকি এটি সম্পূর্ণ ভাবে সিউর না হয়ে আমি স্যারকে কিছু বলতে পারবো না। প্যাকেটটি আবার আগের মতো গুছিয়ে রেখে দিলাম।
বিষয়টি না জেনে কারোর উপর সন্দেহ করা যাবে না। হয় সাজ্জাদ না হয় আরিয়ান স্যার দু’জনের কেউ একজন মেসেজ গুলো করছে। এগুলো চিন্তা করতে করতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়লাম খেয়াল নেই।
*****পরেরদিন সকালে*****
আদ্রিতা তোর কলেজের অনুষ্ঠান শেষ হলে পরের সপ্তাহে সামিরার বিয়ের কেনাকাটা করতে তুই সামিরা আর বাকিরা যাবে। (আদ্রিতার বাবা)
বাবা আমি না হয় না গেলাম বাকিরা যাক (আদ্রিতা)
না যাওয়ার কারন?(আদ্রিতার বাবা)
(সামিরা ঠিকই বুঝতে পারছে আদ্রিতা কেনো যেতে চাচ্ছে না। কিন্তু কিছু না বলে চুপ থাকা ছাড়া সামিরার কাছে ার কিছু করার নেই।)
যাবি না কেনো? বোনের বিয়েতে কি তুই ড্রেস কিনবি না? আর যেহেতু সেদিন সব কেনাকাটা হবে তাই তোর ও যা যা প্রয়োজন কিনে ফেল। এমনি বিয়ের আর এক মাস ও বাকি নেই। (আদ্রিতার মা)
মা বিয়েতে ত আলো তানহা ওরা ও আসবে। আমি ওদের সাথে শপিং এ যাবো। (আদ্রিতা)
আমি চাই তুই যেনো ওদের সাথে যাস (আদ্রিতার বাবা)
আর কিছু না বলে চুপচাপ বললাম ওকে বাবা আমি যাবো। (আদ্রিতা)
আদুরি একটু আমার রুমে চল। (সামিরা)
দির সাথে রুমে গেলাম।
তুই এই বিয়েটা মানতে পারবি ত? (সামিরা)
দি আমি এই ব্যাপার নিয়ে কথা বলতে চাই না। তোরা সুখি হ এইটা আমি চাই। আমি যাই কলেজ আছে। বাকিরা অপেক্ষা করছে (আদ্রিতা)
কথাটি বলে আদ্রিতা চলে গেলো। এদিক দিয়ে কালকে স্বাধীনের সাথে কথা বলার পর থেকে সামিরার মনটা অস্থির অস্থির করছে। এক অজানা অনুভূতি গ্রাস করছে সামিরাকে। এই অজানা অনুভূতির মানে জানা নেই সামিরার কাছে।
*****
মায়াপরী তোমাকে কাছে পাওয়ার ইচ্ছেটা তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। তোমার সেই ভয়ার্ত চেহারা, হাসিমাখা মুখ সব কিছু যেনো আমাকে পাগল করে তুলছে। আর কয়েকটি দিন তারপর থেকে তুমি আমার। পিচ্চি পরীটা আমার।
******
স্বাধীন ভেবে পাচ্ছে না তার অসময়ী বৃষ্টি তাকে চাই নাকি না। আর স্বাধীনকে পাওয়ার পর অসময়ী বৃষ্টির মনের অবস্থা কি হবে জানা নেই স্বাধীনের কাছে।
অফিসে কাজের জন্য রাখা হয়েছে কারোর কথা ভাবার জন্য না। (সাজ্জাদ)
স্বাধীন কথাগুলো ভাবছিলো ঠিক তখনই রুমে সাজ্জাদের আগমন।
চিল ব্রো সব সময় কাজ ভালো লাগে না (স্বাধীন)
কাজের সময় বাড়তি কথা পছন্দ না। (সাজ্জাদ)
নিজে ত সারাক্ষণ একজনের কথা চিন্তা করতে থাকছ আর আমি চিন্তা করলেই দোষ? (স্বাধীন)
সাজ্জাদ কথাটি শুনে আর কিছু বললো না।
আমি বুঝতে পারি না একটি হাস্যজ্বল মেয়ে তোর মতো একটি গম্ভীর মানুষের প্রেমে কিভাবে পড়লো? ভাবতে অবাক লাগে। (স্বাধীন)
যেইভাবে তুই একটি গম্ভীর মেয়ের প্রেমে পড়লি।(সাজ্জাদ)
আরে দোস্ত হঠাৎ কি হয়ে গেলো বুঝতে পারলাম না। কেনো আমার সাথে মানাবে না? (স্বাধীন)
মানাবে। কিন্তু (সাজ্জাদ)
কিন্তু কি?(স্বাধীন)
মেয়ে কতটুকু মানতে পারবে ভাবনার বিষয়। সব মেয়েরই বিয়ে নিয়ে অনেক কল্পনা স্বপ্ন অনেক কিছু থাকে। S.R দের জন্য দুটি মেয়ের অনেক স্বপ্ন হয়তো পূর্ণ হবে না। বিয়ের পর এমন ভাবে রাখতে হবে যেনো কোনো আফসোস করতে না পারে। (সাজ্জাদ)
হ্যাঁ, তোর কথা বুঝতে পেরেছি। চিন্তা করিছ না বিয়ের পর কোনো ধরনের সমস্যা পড়তে দিবো না।(স্বাধীন)
সে আমাকে মানতে পারবে ত? (সাজ্জাদ)
ভালোবাসে তোকে অবশ্যই মানবে। (স্বাধীন)
সাজ্জাদ আর কিছু বললো না দীর্ঘশ্বাস ফেললো।
সাজ্জাদ মনে মনে ভাবছে, না জানি আদ্রিতার মনের উপর কি ঝড় বয়ে যাচ্ছে।
চল বের হয় আজকে একটু ঢাকার বাইরে যেতে হবে। তুই যাবি নাকি আমি একা যাবো?
আদ্রিতা কে একা রেখে কি যাওয়া ঠিক হবে? দুবছর ওর সাথে যোগাযোগ ছিলো না তখন একবারের জন্য ও ওর কোনো ক্ষতি হয় নি। আর এখন এই কয়েকদিনের ভিতর ওর উপর দু’বার হামলা হয়েছে। আমি ওকে একা রেখে কোথাও যেতে চাচ্ছি না। তুই একা চলে যা।(সাজ্জাদ)
ওকে তাহলে আমি এখনই বের হচ্ছি।(স্বাধীন)
****কলেজে*****
আমি আলো আর তানহা মাঠে বসে আছি। আলোকে এখনো ও ঔই লেহেঙ্গার ব্যাপারে বলি নি।
এই আদ্রিতা কি এতো ভাবছিছ। (তানহা)
মনে হয় ওর স্বপ্নের রাজকুমারের কথা ভাবছে।(আলো)
দুর সেরকম কিছু না এমনি তোরা কি যেনো বলছিলি বলতে থাক আমি শুনছি।
এমন সময় আবির ৪টি বার্গার কিনে আনলো।
দোস্ত আমার জন্য নিশ্চয়ই এনেছিছ, দে এমনি ও অনেক ক্ষিদা লেগেছে। (তানহা)
আমার কি আর কাজ নেই? যে তোর জন্য খাবার আনবো? (আবির)
হয়েছে হয়েছে আর ঝগড়া করতে হবে না। কি কিনে এনেছিছ দে এইবার (আলো)
তারপর আবির ওদের সবাইকে বার্গার দিলো।
তোরা বস আমি রুম থেকে পানি নিয়ে আসি।(আদ্রিতা)
হ্যাঁ, তাড়াতাড়ি যা (আবির)
দৌড়ে যেতে গিয়ে হঠাৎ নিচে পড়ে গেলাম
আদ্রিতাতাতা কথাটি বলে আলো তানহা আর আবির দৌড়ে আসলো।
ঠিক আছিছ তুই? (আলো)
পা মচকে গেছে দাঁড়াতে পারছি না। (আদ্রিতা)
কি করবি এখন? (তানহা)
অনেক ব্যথা করছে। (আদ্রিতা)
আদ্রিতা দাঁড়াতে চেয়ে ও দাঁড়াতে পারছে না।
#চলবে
[