অজানা অনুভূতি পর্ব -৫০+৫১

#অজানা_অনুভূতি
#পর্বঃ ৫০
#লেখিকাঃ আদ্রিতা খান অদ্রি

সাজ্জাদের গাড়ি থেকে অনবরত গুলির শব্দ শুনা যাচ্ছে। সামনে দিয়ে কিছু গাড়ি এসে ঘিরে ধরেছে। আদ্রিতা ভয়ে সাজ্জাদের হাত খামছে ধরলো লোকরা বেশিক্ষণ স্থায়ী থাকতে পারলো না। সাজ্জাদের গার্ডরা চলে আসায় S.R এর অনেক লোক পালিয়ে গেলো আর অনেক লোক আহত হলো সাজ্জাদের গার্ডের জন্য। আদ্রিতা সাজ্জাদের কাঁধে মাথা এলিয়ে দিলো

ওরা কারা? কেনো এমন করছে আমাদের সাথে?( আদ্রিতা)

বাসায় চলো তোমাকে অনেক কিছু বলার আছে ( সাজ্জাদ)

ওকে ( আদ্রিতা)

***** স্বাধীনের বাসায় *****

স্বাধীন, সামিরা প্রবেশ করলো।

এসো মা ( স্বাধীনের মা)

সামিরা ভিতরে আসলো। স্বাধীনের মা সামিরাকে সোফায় বসালো।

মা জানি বিয়েটা তোমার সাজ্জাদের সাথে হওয়ার কথা আছিলো কিন্তু হুট করে স্বাধীনের সাথে হয়েছে মানিয়ে নিতে পারবে ত? ( স্বাধীনের মা)

জ্বি আন্টি পারবো। ( সামিরা)

আন্টি কিরে? মা ডাকবি আর তুই আমার ছেলের বউ না আমার মেয়ে তাই তুই করেই বলছি ( স্বাধীনের মা)

আচ্ছা মা ( সামিরা)

হ্যাঁ বউমাকে পেয়ে নিজের ছেলেকে ভুলে গেছো ভালোই। ( স্বাধীন)

হ্যাঁ আজ থেকে সামিরা আমার মেয়ে ( স্বাধীনের মা)

সামিরা মুচকি হাসলো। স্বাধীনের আত্মীয় স্বজনরা সামিরাকে দেখে অনেক প্রশংসা করছে। সামিরা ও টুকটাক সবার সাথে কথাবার্তা বলছে।

*******

একদিনেই বাড়িটা কেমন খালি হয়ে গেলো। আমার ২ মেয়েই চলে গেলো। ( আদ্রিতার মা)

তুমি চিন্তা করো না ওরা ভালো থাকবে। (আদ্রিতার বাবা)

আমো ওদের মা আমার চিন্তা হয়। ( আদ্রিতার মা)

আমি ২ মেয়ের ভালো বুঝেই ওদের বিয়ে দিয়েছি। S.R এর নজর আদ্রিতার উপর আদ্রিতার ক্ষতি করার জন্য সেদিন রাতে আমাদের বাসায় এসেছিলো সামিরার গলায় ও কিন্তু ছুরি ধরেছিলো বলা যায়না যদি এক মেয়ের জন্য আমরা অন্য মেয়েকে হারিয়ে ফেলতাম তখন? আমি আমার ২ মেয়ে ভালো চাই। আদ্রিতার মাএ ১৮ বছরে বিয়ে দিয়েছি তা একটু ভুল করেছি বুঝলাম। কিন্তু সাজ্জাদ আর স্বাধীনের কাছে ওরা সম্পূর্ণ নিরাপদ। ( আদ্রিতার বাবা)

আমার ২ মেয়ে ভালো থাকুক তাই আমি চাই। দোয়া করি কোনো কষ্ট যেনো ওদের গ্রাস না করে। ( আদ্রিতার মা)

আমিন ( আদ্রিতার বাবা)

আস্তে আস্তে আদ্রিতাদের বাড়ি থেকে মেহমানরা বিদায় নিলো। কালকে ও যেই বাড়িটি ২টি মেয়ে দ্বারা পরিপূর্ণ ছিলো তা আজ সম্পূর্ণ খালি। মেয়েদের জীবন কতো অদ্ভুত তাই না? নিজের চিরচেনা বাড়ি ছেড়ে সব মেয়েকেই চলে যেতে হয়। যে বাড়িতে এতো ছোট থেকে বড় হয়েছে সেই বাড়ি ছেড়ে নিজের মা বাবাকে ছেড়ে চলে যেতে হয় অন্য একটি পরিবারে। সত্যি অদ্ভুত মেয়েদের জীবন 🌸

***** সাজ্জাদের বাসায় *****

আদ্রিতা সাজ্জাদের বাসায় প্রবেশ করলো।

মেয়ে ত দেখি মাশাল্লাহ কিন্তু সাজ্জাদের থেকে মনে হচ্ছে ভালোই ছোট ( এক আত্মীয়)

আমাদের ধর্মে বিয়ের ক্ষেএে বয়সের কোনো নির্দিষ্টতা দেয় নি। তাই বয়সের দিক দিয়ে আমরা যাচাই না করি? আর এমনি ও ওর মতো লাখে একটি (সাজ্জাদের মা)

অন্য আরেক আত্মীয় বললো,

না মেয়ে দেখতে সুন্দর আছে বলতে হবে।

মাশাল্লাহ ( সাজ্জাদর মা)

আদ্রিতা সোফায় বসে আছে। সাজ্জাদের আত্মীয় স্বজনরা আসছে আর টুকটাক কথা বার্তা বলছে। আদ্র নিরাশ হয়ে চলে গেছে। সাথে অনেক মেহমানরা ও চলে গিয়েছে বিয়ে শেষ তাই।

*****

স্বাধীন সাজ্জাদকে কল দিলো,

ব্রো বিয়ে করে ও লাভ হলো না। ( স্বাধীন)

কেনো কি হয়েছে? ( সাজ্জাদ)

বউকে কাছেই পাচ্ছি না আসার পর থেকে কোথা কোথা থেকে যে মানুষ আসছে জানি না। শুধু মানুষ আসছে আর সামিরার সাথে কথা বলছে। আরে বউ আমার আমাকেও কথা বলার সুযোগ দেওয়া উচিত ( স্বাধীন)

সাজ্জাদ হো হো করে হেঁসে উঠলো। আমার বাসায় ও একই অবস্থা আসার পর থেকে একবার ও আদ্রিতাকে পাচ্ছি না। ( সাজ্জাদ)

যাক ভালোই হয়েছে তার মানে আমরা দুবন্ধু কেউ কারোর বউকে পাচ্ছি না। ( স্বাধীন)

রাতে সামিরাকে সব খুলে বলিস। আর আমাদের আসল পরিচয় খুলে বলার ও সময় চলে এসেছে।( সাজ্জাদ)

হুম আমাদের আসল পরিচয় আজকে রাতেই বলবো। ( স্বাধীন)

সব খুলে বলিছ আমার আর আদ্রিতার কেনো দেখা হয়েছিলো কেনো আমরা এই বিয়ের নাটক করলাম সব কিছু বলিছ। ( সাজ্জাদ)

আচ্ছা সব বলবো। ( স্বাধীন)

ওরা আর ও কিছুক্ষণ কথা বার্তা বলে ফোন রেখে দিলো।

****** রাতের বেলা ******

খাওয়া দাওয়ার পর্ব শেষ করে স্বাধীনের কাজিনরা সামিরাকে স্বাধীনের রুমে রেখে আসলো। চারদিকে ফুল সামিরাকে খাটে বসিয়ে স্বাধীনের কাজিনরা চলে গেলো। কিছুক্ষণ পর স্বাধীন রুমে প্রবেশ করলো, সামিরা কিছুটা কেঁপে উঠলো। স্বাধীন এসে খাটে বসলো। সামিরা তোমাকে কিছু কথা বলার আছে আমি জানি তোমার মনে অনেক প্রশ্ন কিভাবে আমাদের বিয়ে হলো। কেনো আমরা এই নাটকটি করলাম। এইরকম অনেক প্রশ্ন তোমান মনে আছে। আজ সব তোমাকে খুলে বলবো। সামিরা মাথা নেড়ে সম্মতি দিলো। সামিরা ও শুনতে চায় সব।

তোমাকে আমি প্রথম দেখেছিলাম প্রায় ৩ বছর আগে ( স্বাধীন)

৩ বছর আগে প্রথম দেখেছিলাম কথাটি শুনে সামিরা চমকে উঠলো

কোথায় দেখেছিলেন? ( সামিরা)

৩ বছর আগে একদিন অনেক বৃষ্টির সময় হেঁটে যাচ্ছিলাম হাতে ছাতা ছিলো বরাবরই আমার বৃষ্টি অপছন্দ। সামনে তাকিয়ে দেখলাম একটি মেয়ে কি সুন্দর বৃষ্টিতে পথশিশুদের সাথে খেলা করছে। প্রথমে জিনিসটা বিরক্ত লাগলে ওপরে অনেক ভালো লাগলো। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মেয়েটির খেলা দেখতে লাগলাম। কখন যেনো ছাতাটি ফেলে দিয়ে আমি ও বৃষ্টি উপভোগ করতে লাগলাম। ততক্ষণে মেয়েটি চলে গেলো। কিন্তু মেয়েটির প্রতি একরাশ ভালোলাগা কাজ করলো। জীবনে প্রথমবার কারোর প্রতি #অজানা_অনুভূতি সৃষ্টি হলো। সেদিন তোমাকে প্রথম দেখার পর আর দেখতে পাইনি। কাজের চাপে কখন ও প্রেম করা হয় নি। কিন্তু মনে মনে তোমাকে ও ভুলতে পারছিলাম না। সাজ্জাদ যেদিন প্রথম তোমায দেখতে এসেছিলো সেদিন সাজ্জাদের কাছে তোমার ছবি দেখে অবাক হয়েছিলাম। পরে সাজ্জাদকে সব খুলে বললাম। যদি ও সাজ্জাদ আদ্রিতাকে ভালোবাসতো। জাস্ট ছোট একটা কারণে বিযের নাটকটি করেছে। আর আমি তোমাকে পছন্দ করতাম দেখে তোমাকে বিয়ে করে ফেললাম। আর ৩বছর আগে থেকেই তোমাকে আমি একটি নাম দিয়েছি তা হচ্ছে অসময়ী বৃষ্টি ( স্বাধীন)

শেষ কথাটি শুনে সামিরা লজ্জায় লাল হয়ে গেলো। আমার বাবা সব কিছু জানতো? ( সামিরা)

হুম আংকেল না মানে বাবা সব জানতো। ( স্বাধীন)

আদ্রিতা আর সাজ্জাদের ব্যাপারটা কি? ( সামিরা)

স্বাধীন সাজ্জাদের সাথে আদ্রিতার কি কি হয়েছে + স্বাধীনের আসল পরিচয় খুলে বললো। সামিরা অবাকের চূড়ান্ত সীমায় পৌঁছে গেলো।

আপনি তাহলে? ( সামিরা)

হুম ( স্বাধীন)

তার মানে বাবা সব জানতো? ( সামিরা)

হুম আচ্ছা চলো আগের কথা বাদ দেই। ( স্বাধীন)

আমার কিছু বলার ছিলো। আমি জানতাম আদ্রিতা সাজ্জাদকে ভালোবাসে। যখন শুনেছি সাজ্জাদের সাথে আমার বিয়ে হবে বিষয়টি সহ্য করতে পারি নি। আর সাজ্জাদকে আমি বড় ভাইয়ের নজরে দেখেছি। কিন্তু আপনার সাথে কথা বলতে বলতে আপনার উপর দুর্বল হয়ে পড়ি। আর তারপর আপনার বিয়ের কথা শুনে অনেক রাগ হয়েছিলাম। কিন্তু মনে পড়লো আমার রাগ বৃথা। কিন্তু বুঝতে পারে নি আমার ভাগ্য এতো ভালো যে আমি আপনাকে আমার জীবনসঙ্গী হিসেবে পেয়েছি। ( সামিরা)

স্বাধীন এক হাত দিয়ে সামিরাকে জড়িয়ে ধরলো। সামিরা পরম শান্তিতে স্বাধীনের কাঁধে মাথা রাখলো।

****** সাজ্জাদের বাসায় ******

আদ্রিতা সাজ্জাদের রুমে বসে আছে। অনেকক্ষণ হয়ে গেলো সাজ্জাদ আসার কোনো নাম নেই। কতক্ষণ পর আদ্রিতা দরজা খোলার শব্দ পেলো…..

#চলবে #অজানা_অনুভূতি
#পর্বঃ ৫১
#লেখিকাঃ আদ্রিতা খান অদ্রি

সাজ্জাদ রুমে প্রবেশ করলো। আদ্রিতা গুটিশুটি মেরে খাটে বসে রইলো।

ড্রেস চেঞ্জ করো নি কেনো? যাও ফ্রেশ হয়ে এসো ( সাজ্জাদ)

আদ্রিতা নিশ্চুপে উঠে ফ্রেশ হয়ে নিলো। সাজ্জাদ ও ফ্রেশ হয়ে নিলো।

রাতে খেয়েছো? ( সাজ্জাদ)

হুম মামনি ( মানে সাজ্জাদের মা) খাইয়ে দিয়েছে। আপনি খেয়েছেন….? ( আদ্রিতা)

হুম। আস্তে আস্তে একটু দেরি হয়ে গেলো। ( সাজ্জাদ)

নতুন বউ রেখে বাইরে এতো কিসের আড্ডা? ( আদ্রিতা)

বাহ একদিনে এসেই শাসন শুরু করে দিয়েছো?( সাজ্জাদ)

কালকে রাতে যখন বললাম বাবা আমার বিয়ে ঠিক করেছে ফোন কেটে দিলেন কেনো? ( আদ্রিতা)

আদ্রর সাথে এতো কথা এতো দুষ্টামি কেনো করেছিলে? ( সাজ্জাদ)

বেশ করেছি এইটা করে আপনি ত আমার দিকে বিয়ে করতে যাচ্ছিলেন। ( আদ্রিতা)

হুম করতাম পরে ভাবলাম তোমার দি ভদ্র আছে যেকোনো কেউ বিয়ে করবে। কিন্তু তোমার মতো পাগল মেয়েকে কেউ বিয়ে করবে না তাই আমি শেষ পর্যন্ত বিয়েটা করে নিলাম ( সাজ্জাদ)

সত্যি করে বলুন না আপনার দির সাথে বিয়ে হওয়ার কথা ছিলো। তাহলে এগুলো কিভাবে হলো আর বাবা আগে থেকে সব কিছু জানতো?বাবা কেনো মেনে নিলো সব কিছু? আর আমাদের পরিবার সবাই যদি সব জানতো তাহলে আমাদের কেনো কিছু বলা হয় নি ? ( আদ্রিতা)

এতো প্রশ্ন একবারে কিভাবে করো?সামিরার সাথে বিয়ে হলে খুশি হতে বুঝি? ( সাজ্জাদ)

না কিন্ত কিভাবে কি? আপনি আমাদের বিয়ে করবেন তা আগে থেকে বলেন নি কেনো? ( আদ্রিতা)

তোমাকে বলছি সব শুরু থেকে খুব নাটকীয় ভাবেই বলতে গেলে আমাদের দেখা হয়েছে। ( সাজ্জাদ)

আদ্রিতা মন দিয়ে কথা বুঝার চেষ্টা করছে।

আমি আর স্বাধীন ২জনই আর্মির সিক্রেট অফিসার।( সাজ্জাদ)

কথাটি শুনে আদ্রিতা চমকে উঠলো। মানে কি বলছেন আপনি না বিজনেসম্যান? ( আদ্রিতা)

সেটি দুনিয়ায় সামনে। আমি সিক্রেট অফিসার। তাই কাউকে পরিচয় দিতে পারি না। আমি জানি তোমার মনে অসেক প্রশ্ন রয়েছে আমি একে একে সব বলছি একটু অপেক্ষা করো। ( সাজ্জাদ)

আদ্রিতা মাথা নেড়ে সম্মতি প্রকাশ করলো। সাজ্জাদ বলা শুরু করলো,

আজ থেকে ২ বছর আগে যেদিন প্রথম তোমার সাথে দেখা হয়েছিলো সেদিন মাফিয়া S.R এলাকায় এসেছিলো। ( সাজ্জাদ)

মাফিয়া S.R কথাটি শুনে আদ্রিতা কেঁপে উঠলো। সাজ্জাদ এক হাত দিয়ে আঁকড়ে নিলো তারপর আবার বলতে শুরু করলো,

সেদিন রেস্টুরেন্টে আমার একটা মেয়ে ফ্রেন্ড এসেছিলো তোমার মনে আছে? ওর নাম মিম(সাজ্জাদ)

হুম মনে আছে আগে বলুন ত আপনার মেয়ে ফ্রেন্ড কয়টি? কতোজন এইভাবে এসে আপনাকে জড়িয়ে ধরে? ( আদ্রিতা)

আরে ও কানাডায় ছিলো আর ওইখানের পরিবেশ ত জানোই তাই আর কি ( সাজ্জাদ)

জড়িয়ে ধরার পর আপনাকে ত অনেক খুশি খুশি লাগছিলো ( আদ্রিতা)

আরে উল্টো পাল্টা কিছু ভেবো না মিমের হাসবেন্ড আছে। ( সাজ্জাদ)

ও আচ্ছা🥲 ( আদ্রিতা)

আর মিম ও একজন আর্মি সিক্রেট অফিসার। ( সাজ্জাদ)

কি আপু ও অফিসার? ( আদ্রিতা)

হুম এখন শুনো কি হয়েছিলো আগে ( সাজ্জাদ)

হুম বলুন ( আদ্রিতা)

২ বছর আগে তুমি রাস্তায় দাঁড়িয়ে ব্যাগ থেকে একটি চেইন বের করেছিলে হঠাৎ একটি মেয়ের সাথে ধাক্কা থেয়ে তুমি পরে যাও। মেয়েটি তাড়াহুড়ো করে তোমাকে সরি বলে উঠে দৌঁড় দেয়। এ বিষয়টি মনে আছে?( সাজ্জাদ)

আদ্রিতা একটু মনে করার চেষ্টা করলো কতক্ষণ পর মনে পড়লো হ্যাঁ কোচিং থেকে বেরিয়ে আলোর বাসায় যাওয়ার আগে আদ্রিতার একটি ফেভারিট চেইন ছিলো সেটি পড়তে নিয়েছিলো ঠিক তখনই একটি মেয়ের সাথে ধাক্কা খেয়ে আদ্রিতা পরে যায়।মেয়েটি তাড়াহুড়ো করে সরি বলে চলে যায়। ( আদ্রিতা)

তুমি নিচ থেকে উঠে S.R যেই দিকে ছিলো ওইদিকে হাঁটা শুরু করো। আর আমি ও S.R এর জন্য সেদিকে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ দেখলাম তুমি খু*ন করার দৃশ্যটি দেখে ফেলেছো। S.R লোকরা ও তোমাকে দেখে ফেলেছিলো সেদিন আমি না থাকলে হয়তো সেদিনই তোমার শেষ দিন হতো। কিন্তু তুমি আমাকে ও দেখে ভয় পেয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলো। সেদিন আমার সাথে কিছু মহিলা পুলিশ ছিলো তারা তোমাকে গাড়িতে শুইয়ে দেয়। তোমার নাম ঠিকানা না পেয়ে হসপিটালে নিয়ে যায়। আমি সারারাত হসপিটালে ছিলাম। মিম কিছুক্ষণ ছিলো তারপর চলে যায়। পরেরদিন তোমার জ্ঞান ফিরলে আমি তোমাকে তোমার স্কুলে পৌঁছে দিয়ে চলে আসি। মিমের কাছে একটি চেইন ছিলো যেটিতে একটি ছোট ক্যামেরা ফিট করা ছিলো। যাতে আমরা খুন হওয়ার দৃশ্যটি রেকর্ড করতে পারি আর S.R কে ধরতে পারি। তোমার সাথে ধাক্কা খাওয়ায় তোমার আর মিমের চেনটি বদলে যায়। তুমি যখন খুন হওয়ান দৃশ্যটি দেখছিলে তখন সেইটি তোমার চেইনে রেকর্ড হয়ে যায়। অজান্তেই তুমি এক বিশাল প্রমাণ নিয়ে ঘুরছিলে। কারণ সেদিন S.R আমাদের সিক্রেট হেড অফিসারকে খু*ন করে। তোমার থেকে যেইভাবেই হোক না কেনো সেই চেইনটি আমার নেওয়া লাগতো তাই তোমাদের কোচিংএ স্যার হিসেবে আসি। তুমি প্রথমে আমাকে ভয় পেলে ও আস্তে আস্তে অনেক ফ্রি হয়ে উঠো আমার সাথে। তোমার বয়স তখন মাএ ১৫ বছর চলছিলো তুমি তখন খুনের সাক্ষী দিতে পারতে না।এর জন্য তোমার ১৮ বছর হওয়ার অপেক্ষা করতে হতো। আমি চারদিকে গার্ডের ব্যবস্থা করেছিলাম তোমার জন্য তুমি আমার কাছাকাছি থাকতে বলে সহজেই S.R তোমার খবর পাচ্ছিলো। তারপর পিকনিকের ঘটনাটি ঘটলো এক পবিএ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে গেলাম আমরা। সেদিন তুমি এতো চাপ সহ্য করতে না পেরে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলে পড়ে যেতে নিলে আমি তোমাকে আঁকড়ে ধরি। প্রথম স্পর্শ ছিলো সেটি। তখন এক #অজানা_অনুভূতি গ্রাস করে আমাকে। বাধ্য হয়ে তোামকে উঠিয়ে নিয়েছিলাম। দিন যেতে থাকলো হয়তবো পবিএ বন্ধনের কারণেই তোমার প্রতি আমার অনুভূতি তীব্র হতে থাকলো। সেই ১৫ বছর কিশোরীর প্রেমে পড়ে গেলাম। প্রকাশ করতে পারি নি। কারণ ততদিনে শুনলাম S.R নাকি তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছে S.R এর কথা যেই মেয়ে একা একা S.R এর হাতে খু*ন হতে দেখেছে সেই মেয়ে অনেক সাহসী তাকেই S.R জীবনসঙ্গী হিসেবে চাই। ( সাজ্জাদ)

সাজ্জাদ একটু থামলো আদ্রিতা অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো। একজন মাফিয়া আমার প্রেমে পড়েছিলো?( আদ্রিতা)

হুম কেনো? একজন আর্মির সিক্রেট অফিসার ও তোমার প্রেমে পড়েছিলো। ( সাজ্জাদ)

আদ্রিতা গাল ফুলিয়ে বললো কিন্তু আপনি আমাকে সেদিন অনেক অপমান করেছিলেন। ডিভোর্স দিয়েছিলেন। ( আদ্রিতা)

শেষ কথাটি বলার সময় আদ্রিতার চোখ থেকে এক ফোঁটা জল গড়িয়ে পড়লো। সাজ্জাদ সযত্নে তা মুছিয়ে দিয়ে বললো আমাদের কখনো ডিভোর্স হয় নি…

#চলবে

[

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here