অজানা অনুভূতি পর্ব -৪৮+৪৯

#অজানা_অনুভূতি
#পর্বঃ ৪৮
#লেখিকাঃ আদ্রিতা খান অদ্রি

সকাল সকাল সবাই উঠে পড়েছে। ডিসেম্বর মাস শীতের সময়। আদ্রিতার উঠার কোনো ইচ্ছেই হচ্ছে না। তাও বাধ্য হয়ে উঠলো আজ সামিরার বিয়ে বলে কথা। কিন্তু আদ্রিতা ঘুম থেকে উঠে কিছুটা অবাক হলো

যতদূর মনে আছে আমি নিচেই বসে ছিলাম তাহলে বিছানায় আসলাম কিভাবে?মনে হয় বিছানায় পরে শুয়ে পড়েছিলাম কিন্তু এখন মনে নেই। ( আদ্রিতা কথাগুলো মনে মনে ভাবতে বিছানা থেকে উঠলো)
কালকে রাতে আদ্রিতার বাবার কথা মনে পড়তে আদ্রিতার উপর মনে হচ্ছে যেনো কালো ছায়া নেমে এসেছে। পরে মনে পড়লো সাজ্জাদ ত আজকে অন্য কারো হয়ে যাবে। তাহলে আদ্রিতার অন্য কোথাও বিয়ে করতে দোষ কি? হ্যাঁ আদ্রিতা ও বিয়ে করে নিবে।। কথা গুলো ভাবতে ভাবতে আদ্রিতা ফ্রেশ হয়ে নিচে নেমে আসলো

তাড়াতাড়ি হালকা রেডি হয়ে নে কিছুক্ষণ পর পার্লারে যেতো হবে ( মুন)

আচ্ছা আপু ( আদ্রিতা)

বাড়ির মেয়েরা তৈরি পার্লারে যাওয়ার জন্য। সকলে পার্লারের উদ্দেশ্য বেরিয়ে পড়লো।

আপু একটু ভালো করে সাজিয়ে দিন ত আমার ছোট বোনটাকে ( মুন পার্লারের আপুর উদ্দেশ্য বললো)

সামিরাকে সাজানো শুরু করলো। তখন পার্লারের আপুর কাছে একটা কল আসলো। জয়া ( পার্লােরের আপুর নাম) কল পেয়ে কিছুটা অবাক হলো। জয়া সামিরাকে সাজানোর মধ্যে মধ্যে মুনের সাথে অনেক গল্প করছে।

আপু আপনি কি কনের আপন বোন? ( জয়া)

না আমি ওর কাজিন ( মুন)

ও ওর আপন কোনো বোন নেই? ( জয়া)

এইযে ও হচ্ছে কনের আপন বোন। আদ্রিতাকে দেখিয়ে মুন কথাটি বললো।

কনের আপন বোন হয়ে এতো চুপচাপ বসে আসো যে?
( জয়া)

ও এমনই নতুন জায়গায় গেলে একদম চুপচাপ ( মুন)

তোমরা সাজবে না? ( জয়া)

না বাবা এখন আমি এই ভারি সাজের মধ্যে নাই। বাসায় যেয়ে অনেক কাজ করতে হবে। বুঝোই ত মেয়ে মানুষের বিয়ের সময় কতো কাজ করতে হয়। ( জয়া)

তাহলে কনের বোন সাজবে না? ( জয়া)

হ্যাঁ, ওকে সাজিয়ে দিন এমনি ও ঘরের কোনো কাজ করে না।( মুন)

না আপু আমি সাজবো না। ( আদ্রিতা)

না কনের বোন নাকি সাজবে না এইটা কোনো কথা নাকি? ( জয়া)

কিন্তু.. ( আদ্রিতা)

জয়া আদ্রিতার কোনো কথা শুনলো না সামিরাকে সাজানোর পর আদ্রিতাকে জোর করে সাজিয়ে দিলো।
আদ্রিতা খেয়াল করে দেখলো না মন্দ লাগছে না। খুব বেশি সাজিয়েছে এমনটা নয়। কিন্তু অসাধারণ লাগছে।

মনে ত হচ্ছে আমার ২ বোনেরই বিয়ে। ( মুন)

জয়া হেঁসে উঠলো হ্যাঁ আপু এমনই লাগছে। মুন ওদের বড় খালামনিকে কল দিলো। ওদের বড় খালামনি আসলো। সবাই সেন্টারের উদ্দেশ্য বেরিয়ে পড়লো। এদিকে জয়া কাউকে কল দিয়ে বললো, ভাইয়া আপনার কাজ হয়ে গেছে কনের ছোট বোনকে ব্রাইডাল সাজ দিয়ে দিয়েছে।

গুড ঠিক সময় তোমার পেমেন্ট পেয়ে যাবে। ( ফোনে থাকক ব্যক্তি)

আচ্ছা ভাইয়া ( জয়া)

অপর পাশের লোকটি ফোন কেটে দিলো। হ্যাঁ জয়াকে কেউ কল দিয়ে বলেছিলো যেনো আদ্রিতাকে সাজিয়ে দেয়। এ জন্য ভালো পরিমাণ টাকা জয়াকে দিবে। তাই জয়া সাজিয়ে দিয়েছে।

*****

দুরররর বিয়ের দিন কে কাজ করতে আসে? ( স্বাধীন)

সাজ্জাদ কাজ থেকে একবার চোখ তুলে তাকালো। কড়া গলায় স্বাধীনকে বলরো, বুঝতে পারছিছ াজকে S.R দেশে ফিরবে। কতটা রিস্ক আমি সিউর আমার বিয়েতে S.R ঠিকই আসবে। (সাজ্জাদ)

সেন্টারের পাশে গার্ডের ব্যবস্থা কর( স্বাধীন)

গার্ডের ব্যবস্থা ত আগেই করেছি। ( সাজ্জাদ)

তাহলে এতো চিন্তা করিছ না। যা হবে ভালোই হবে। কিন্তু আজকে বিয়ের মঞ্চে কি নাটক হয তা বুঝতে পারছি না। ( স্বাধীন)

হুম বাবা আর আংকেলকে সব বুঝিয়ে বলে এসেছি। তাও দেখি কি হয়।, ( সাজ্জাদ)

হুম কিছুক্ষণ পরই বোঝা যাবে যে কি হবে। ( স্বাধীন)

সব থেকে ভয়ের বিষয় আদ্রিতার কালকে জন্মদিন ১৮ বছর পূর্ণ হবে। ( সাজ্জাদ)

সাজ্জাদের শেষ কথাটি শুনে স্বাধীন ও অসেক চিন্তায় পড়ে গেলো।

ওদের সেন্টারে আসার সময় প্রায় হয়ে এসেছে চল আমরা বেরিয়ে পড়ি ( সাজ্জাদ)

ওকে ( স্বাধীন)

সাজ্জাদ আর স্বাধীন সেন্টারে যাওয়ার উদ্দেশ্য বেরিয়ে পড়লো।

*******

আদ্রিতার বাড়ির প্রায় সবাই সেন্টারের উদ্দেশ্য বেরিয়ে গেছে। কিছু সদস্য বাকি আদ্রিতার বাবা আদ্রিতার মা কে একটু রুমে আসতে বললো,

হ্যাঁ বলো কি বলবে? বাইরে এতো কাজ এর মধ্যে না ডাকলে চলছে না কি? ( আদ্রিতার মা)

শান্ত হয়ে একটু বসো আমার কিছু কথা আছে। ( আদ্রিতার বাবা)

আদ্রিতার মা বসলো তারপর বললো হ্যাঁ বলো কি কথা? ( আদ্রিতার মা)

তুমি আমাকে ভরসা করো ত?( আদ্রিতার বাবা)

হঠাৎ এমন কথা কেনো? অবশ্যই আমি তোমাকে ভরসা করি। হ্যাঁ গো সামিরার বিয়েতে কোনো সমস্যা হয়েছে কি?
( আদ্রিতার মা)

না তেমন কোনো ব্যাপার না। ( আদ্রিতার বাবা)

তাহলে কি হয়েছে?বলো( আদ্রিতার মা)

আদ্রিতার বাবা সব খুলে বললো। আদ্রিতার মার মাথায় যেনো আকাশ ভেঙে পড়লো।

এতো সব কাহিনি কবে হয়ে গেলো? ( আদ্রিতার মা)

অনেক আগেই ( আদ্রিতার বাবা)

এখন কি করবে? ( আদ্রিতার মা)

তোমাকে ত বললাম কি করবো আমরা ( আদ্রিতার বাবা)

আদ্রিতার মা আর কথা বাড়ালো না আদ্রিতার বাবার কাজে সম্মতি দিলো।

*****

সাজ্জাদের বাবা ও সাজ্জাদের মাকে সব খুলে বললো। সাজ্জাদের মা সব শুনে দ্বিধায় পড়ে গেলো। কিন্তু খুশি হয়েছে সাজ্জাদের মা যেটি চেয়েছিলেন সেটি পূর্ণ হবে।

******

সাজ্জাদের পরিবারের সবাই স্বাধীন সাজ্জাদ আর স্বাধীনের পরিবার ও এসেছে। আদ্রিতারা সেন্টারে পৌঁছে গেলো। আদ্রিতার পরিবারের সদস্যরাও এসে পড়েছে। বলতে গেলে প্রায়ই মেহমান এসে পড়েছে। সাজ্জাদ একবার ওদের দিকে তাকালো আদ্রিতাকে দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলো। স্বাধীন পেছন থেকে ধাক্কা দিয়ে বললো ব্রো তোমার শালিকার দিকে এইভাবে তাকিয়ে থেকো না। ওই পাশে তাকিয়ে দেখো তোমার শালিকাকে বিয়ে করার জন্য আদ্র দাঁড়িয়ে আছে। সাজ্জাদ রাগী চোখে স্বাধীনের দিকে তাকালো। সামিরা স্টেজে বসলো। আদ্রিতা পাশেই বসেছে। সাজ্জাদ বন্ধুদের সাথে কথা বলছে ফাঁকে ফাঁকে আদ্রিতার দিকে তাকাচ্ছে। একে একে মানুষ এসে সামিরার সাথে কথা বলছে। এমন সময় আদ্র াসলো,

আপু এখন ত ভাবি বলতে পারি? ( আদ্র)

সামিরা হেঁসে বললো হ্যাঁ বলতে পারো।

আচ্ছা ভাবি ( আদ্র)

মিস বকবক কেমন আছো? ( আদ্র)

ভালো আপনি? ( আদ্রিতা)

বাহ এখন দেখি মিস বকবক বলাতে রাগ করো না। ( আদ্র)

আদ্রিতা হাসলো আর কিছু বললো না। আদ্র আর আদ্রিতা টুকটাক কথা বলে যাচ্ছে। সাজ্জাদ সব বিষয় খেয়াল করছে আর রেগে যাচ্ছে। সেন্টারে আসার পর থেকে একবার ও আদ্রিতা সাজ্জাদের দিকে তাকায় নি।আদ্রিতান বাবা স্টেজে উঠলো হাতে মাইক নিয়ে বললো,

Attention please

সবাই আদ্রিতার বাবার দিকে তাকালো। আদ্রিতার বাবা বললো, একটি বিশেষ ঘোষণা আজকের এই আনন্দের দিনে আমি আমার ছোট মেয়ের বিয়ে ও দিতে চাই একই মঞ্চে।

কথাটি শুনে সবাই চমকে উঠলো। আদ্রিতার মাথায় যেনো আকাশ ভেঙে পড়লো। আদ্রিতার বাবা আদ্রিতার বিয়ে আজকেই দিতে চাইবে তা আদ্রিতা ভাবতে পারে নি….

#চলবে#অজানা_অনুভূতি
#পর্বঃ ৪৯
#লেখিকাঃ আদ্রিতা খান অদ্রি

আলো তানহা আবির সেন্টার প্রবেশ করে শুনতে পেলো আজকে আদ্রিতার ও বিয়ে। সবাই অবাকের চরম পর্যায়ে চলে গেলো।

বাবা তুমি কি বলছো? আজকে আদুরির বিয়ে মানে? ( সামিরা)

মা একটু শান্ত থাক আমি বলছি সব ( আদ্রিতার বাবা)

বাবা আমি তোমাকে বলছিলাম আমার কোনো পছন্দ নেই তার মানে এইনয় যে তুমি আজকেই আমার বিয়ে দিবে ( আদ্রিতা)

মা একটু শান্ত থাক আমি বলছি ( আদ্রিতার বাবা)

আদ্রিতার বাবা আবার মাইক নিয়ে সবার উদ্দেশ্য বললেন,

আপনার নিশ্চয়ই বিয়ের কার্ডে পাএ এবং পাএীর জায়গায় দেখেছেন ২ জোড়া পাখির ছবি আঁকা। আর আমি বলেছিলাম বিয়ের দিনই আমার মেয়ের জামাইের সাথে পরিচয় করিয়ে দিবো। আমার বড় মেয়ের হাসবেন্ড হচ্ছে স্বাধীন চৌধুরী। আর আমার ছোট মেয়ের হাসবেন্ড হচ্ছে সাজ্জাদ হোসেন। কথাটি শুনে সবাই অবাকের চরম পর্যায়ে চলে গেলো। একজন বলে উঠলো আমরা যে সামিরা আপুর জন্য সাজ্জাদ ভাইয়াকে হলুদ দিয়ে আসলাম?

এইটাই টুইস্ট ছিলো বিয়ের একদম শেষ সীমায় এসে তোমরা জানতে পেরেছো কার সাথে কার বিয়ে হবে। আগে পর্যন্ত সবার জন্যই এটি সারপ্রাইজ ছিলো।( আদ্রিতার বাবা)

দি এই সব কি হচ্ছে? ( আদ্রিতা)

আমার মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে সব। ( সামিরা)

যদি তাদের ইচ্ছে এটি ছিলো তাহলে আমাদের আগে বললো না কেনো? (আদ্রিতা)

কিছুই বুঝতে পারছি না। ( সামিরা)

তোর সাথে এতোদিন সাজ্জাদের বিয়ের কথা হচ্ছিলো আর এখন এক মুহূর্তে সব বদলে গেলো কিভাবে? ( আদ্রিতা)

আদ্রিতা আর ও কিছু বলতে চেয়েছিলো সাজ্জাদ চোখের ইশারায় থামিয়ে দিলো। আদ্রিতা চুপ হয়ে গেলো।কিন্তু মনে শত শত প্রশ্নের দেখা মিলছে ৷ এদিকে আদ্রর মন ভেঙে গেলো। তানহা আবির আলো আদ্রিতার কাছে আসলো

হ্যাঁ রে আদ্রিতা কি হচ্ছে এসব? ( আলো)

আমি নিজেই বুঝতে পারছি না তোকে আর কি বলবো। ( আদ্রিতা)

আমার আগেই মনে হয়েছিলো সাজ্জাদ ভাইয়া তোকে ভালোবাসে ( তানহা)

তাহলে সরাসরি বিয়ের প্রস্তাব দিতে পারতো এতো নাটক কেনো করলো? ( আবির)

সেটাই প্রশ্ন একদম শেষ মুহূর্তে এসে সব বদলে দিলো। ( আলো)

সাজ্জাদের সাথে কথা বলা না পর্যন্ত কিছুই বুঝতে পারবো না ( আদ্রিতা)

সবাই আদ্রিতার কথায় সম্মতি প্রকাশ করলো।

শুভ কাজের আর দেড়ি করতে চাচ্ছি না। ( সাজ্জাদের বাবা)

স্বাধীনের মা বাবা ও একই কথা বললো। আদ্রিতা আর সাজ্জাদকে একসাথে আর স্বাধীন আর সামিরাকে একসাথে বসানো হলো। কাজী বিয়ে পড়ানো শুরু করলো। ৪টা মানুষ পবিএ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে গেলো। পূর্ণতা পেলো সবার ভালোবাসা। সবাই একসাথে আলহামদুলিল্লাহ বলে উঠলো। আদ্রিতা আর সামিরার মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে সব। সবার দুপুরের খাবার খাওয়া শুরু হলো। আদ্রিতা, সাজ্জাদ, সাসিরা,স্বাধীন স্টেজে বসে আছে। একে একে মানুষ আসছে আর সাজ্জাদ আর স্বাধীন কথা বলছে।

মা এইসব কি আমি কিছুই বুঝতে পারছি না (আদ্রিতা)

সাজ্জাদ তোকে পরে সব খুলে বলবে ( আদ্রিতার মা)

কেনো রে মা আমার ছেলেটাকে বুঝি তোর পছন্দ হয় নি? ( সাজ্জাদের মা)

না আন্টি তেমন কোনো ব্যাপার না কিন্তু… ( আদ্রিতা)

আন্টি কি রে? মা ডাকবি এখন থেকে ( সাজ্জাদের মা)

আদ্রিতা মাথা নেড়ে সম্মতি দিলো। স্বাধীনের মা ও স্টেজে উঠে আসলো। সামিরার থুতনি ধরে সামিরার মুখ উঁচু করলো,

মাশাল্লাহ আমার ছেলের পছন্দ আছে বলতে হবে। ( স্বাধীনের মা)

সামিরা মুচকি হাসলো। আজ সামিরার খুশির সীমা নেই। আদ্রিতা ও খুশি কিন্তু কি হচ্ছে কিছুই বুঝে উঠতে পারছে না।

*****

এতোক্ষণ খবর হযে গেছে যে আদ্রিতার বিয়ে হয়ে গেছে। S.R সব ভাংচুর করছে। কোনোভাবেই নিজেকে শান্ত করতে পারছে না।

তোদের বলেছিলাম সব ঠিক খবর দিতে তোরা থাকতে এমন কিভাবে হলো? (S.R)

বস আমরা ত ছিলাম কিন্তু তবু ও মেডামের বিয়ে কিভাবে হয়ে গেলো আমরা জানি না ( মিন্টু)

রাগে ঘরের টিভিটি ভেঙে ফেললো। আমি কোনো কথা শুনতে চাই না আর আজকে রাতের মধ্যে আদ্রিতাকে আমার কাছে চায়৷ (S.R)

কিন্তু বস মেডাম এখন সাজ্জাদ ওয়াইফ মেডামকে তুলে আনতে গেলে সাজ্জাদ হাত পা ভেঙে দিবে।( মিন্টু)

এইসব কোনো কথা বলবি না আদ্রিতাকে চায় মানে চায়। (S.R)

ওকে বস। (মিন্টু)

S.R এর লোকরা আদ্রিতাকে তুলে আনার উদ্দেশ্য বেরিয়ে পড়লো।

******

তারপর বলো মিসেস সাজ্জাদ হয়ে কেমন লাগছে? ( সাজ্জাদ)

আদ্রিতা নিশ্চুপ।

রাগ করে আছো বুঝি? ( সাজ্জাদ)

এমন নাটক কেনো করলেন? ( আদ্রিতা)

এই নাটকটি ছাড়া আর উপায় ছিলো না। ( সাজ্জাদ)

কেনো? ( আদ্রিতা)

তুমি অনেক কিছু জানো না। তোমাকে সব বলবো। আমাদের প্রথম দিন দেখা হওয়া থেকে সব তোমাকে আমি বলবো। একটু সময় দেও। ( সাজ্জাদ)

আদ্রিতা নিরবে সম্মতি প্রকাশ করলো। আদ্র সাজ্জাদের কাছে আসলো,

এটা কি করলি ব্রো? আদ্রিতাকে আমি পছন্দ করতাম। ( আদ্র)

আমার পিচ্চি বউয়ের দিকে নজর দিস না ( সাজ্জাদ)

আদ্র নিরাশ হয়ে চলে গেলো।

কালকে আমার ফোন কেটে দিয়েছিলেন কেনো?( আদ্রিতা)

এই কয়েকদিন আদ্রর সাথে বেশি মিশেছো না? তার ফল ( সাজ্জাদ)

আদ্রিতা ভেঙচি কাটলো।

অসময়ী বৃষ্টি ( স্বাধীন)

ডাকটি শুনে সামিরার মধ্যে আলাদা শিহরণ বয়ে গেলো। আপনি আমাকে এই নামে ডাকেন কেনো? ( সামিরা)

পরে জানতে পারবে ( স্বাধীন)

সামিরা মুচকি হাসলো।

মায়াপরী নাম দিয়ে কি আপনি আমাকে মেসেজ দিতেন? ( আদ্রিতা)

হুম ( সাজ্জাদ)

তাহলে ২টি নাম্বার থেকে মেসেজ দেওয়ার দরকার কি ছিলো। একটি নাম্বার থেকে দিলেই পারতেন। ( আদ্রিতা)

আদ্রিতার কথা শুনে সাজ্জাদ কিছু বলবে এর আগে বাকিরা এসে বললো এখন কনে আর বরদের খাবারের সময় হয়ে গেছে।

আদ্রিতা,সামিরা,সাজ্জাদ স্বাধীন সবাই একসাথে বসে খেয়ে নিলো। মেহমানরা আস্তে আস্তে যেতে শুরু করেছে। কান্না কাটির পর্ব শেষ করে। সাজ্জাদ আর আদ্রিতা একটি গাড়িতে উঠলো সাজ্জাদের বাসায় যাওয়ার জন্য। সামিরা আর স্বাধীন অন্য একটি গাড়িতে উঠলো স্বাধীনের বাসায় যাওয়ার জন্য। এর আগেই সাজ্জাদের বাবা তাদের কাছে অনুরোধ করে বলেছে যেনো তার ২মেয়ের খেয়াল রাখে তারা দু’জন। তারা ভরসা দিয়েছে আদ্রিতা বা সামিরার কোনো ক্ষতি হতে দিবে না। আদ্রিতার বাবার বিশ্বাস আছে সাজ্জাদ আর স্বাধীনের উপর। গাড়ি চলতে শুরু করেছে সাজ্জাদ আদ্রিতাকে জ*ড়িয়ে ধরে রেখেছে। আর এটা সেটা বলে যাচ্ছে আদ্রিতা নিশ্চুপে শুনে যাচ্ছে। ঠিক সেই সময় একটা গুলির শব্দ শুনতে পেলো আদ্রিতার আর সাজ্জাদ চমকে উঠলো….

#চলবে

[৷ বাস্তবে সাজ্জাদকে পেযে গেলে এ জীবনে আর কোনো আফসোস থাকতো না 🤎 ]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here