#অদ্ভুত_সুখানুভূতি
#সাদিয়া_আহমেদ_রোজ
#পর্ব_০৫
কলেজ ক্যাম্পাসের বড় গাব গাছটার নিচে বসে বই পড়ছে নীলয় আর নিভি। রোজ ক্যাম্পাসের রাস্তা ধরে পাইচারি করছে। আলিজা রোজকে একনজর দেখে ক্লাসের দিকে যেতে লাগলো। তখনই আরাভ এসে ওর সামনে দাড়ায়।
আরাভ : আলিজা আমার উত্তর।
আলিজা : বাড়িয়ে প্রস্তাব পাঠান।
আরাভ : কিন্তু উত্তর.? আমাকে ভালোবাসো কিনা সেটার উত্তর টা দাও। যদি হ্যা হয় তাহলে কালই বাবা আর মা কে বলবো যেতে। প্লিজ বলো,, চুপ করে থেকো না। কিছু তো বলো
রোজ দূর থেকে আলিজাদের খেয়াল করে ওদের কাছে গেলো।
রোজ : কি হয়েছে এখানে।
আরাভ : তুমি যাও। ইট্স পার্সোনাল।
রোজ : নাহ মানে কলেজে একটা মেয়ের সাথে এভাবে জড়াজড়ি পার্সোনাল.? আপনারা অন্য কোথাও দেখা করতে পারতেন।
আরাভ : এক্চুয়ালি আমি ওকে পছন্দ করি। অনেক আগে থেকে কিন্তু ও আমাকে কোনো উত্তরই দেয়নি। বার বার বলছে বাড়িতে প্রস্তাব পাঠাবে।
রোজ : তাই আপু.?
আলিজা : আসলে।
রোজ : আমি এর মানে ক্লিয়ার করে দেই,, আসলে আপুও আপনাকে পছন্দ করে। আপনি হয়তো জানেন আমরা মেয়েরা অনেক লাজুক টাইপের হই। ভালোবাসার কথা মুখে বলতে লজ্জাটা সবাই বেশিই পায়। তাই আপনাকে বলেছেন বিয়ের প্রস্তাব দিতে। ভালো যদি নাই বাসতো আর যদি আপনাকে অপছন্দ করতো তাহলে আপু এমন বলতো না। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
আরাভ : থ্যাংকইউ বোন।
রোজকে আলতো করে জরিয়ে ধরে সামনের দিকে ছুটতে থাকলো আরাভ। রোজ আরাভের এমন দৌড় দেখে হেসে ফেললো সেই সাথে অভিমানও পাহাড় ছাড়িয়ে আকাশ স্পর্শ করছে,, এতো বড় একটা কথা এতো দিনের একটা কথা আলিজা রোজের কাছ থেকে চেপে গেলো।
আলিজা : রোজজ
রোজ : এতোদিন যখন জানাও নি এখনো কিছু জানাতে বা বলতে হবে না। শুধু একটা কাজ করে দিও বাড়ি থেকে রোজের নামটা মুছে ফেলো।সাদিয়া নামটা ফর্মালিটির জন্য রাখতে পারো। তবে আমি চাই না আমার পরিচয় এখন এই কলেজের কেউ জানুক। এইটুকু ফেবার করো প্লিজজজ।
নিভিদের দিকে হাটা শুরু করলো রোজ। আলিজা অসহায়ের মতো দাড়িয়ে রোজের চলে যাওয়া পথের দিকে তাকিয়ে আছে।
নিভি : কি রে মিস এক্সপার্ট তোর মুখটা বাংলার পাঁচের মতো হয়ে আছে কেন.?
রোজ : আপিলা প্রেম করে আই মিন একজনকে ভালোবাসে এটা আমার কাছ থেকে চেপে গেলো.? এটা করতে পারলো আপিলা..?
নীলয় : সে কি রে.? তার মানে তোর এই ডি মাইন্ডের চোখে আপু ধুলা দিয়ে দিলো। গুড নিউজ। আজকে তো আমার তরফ থেকে একটা ট্রিট পাবিই তোরা।
রোজ : কথায় বলে নাহ,, সুখে থাকতে ভুতে কিলায়। আজ প্রমাণ পাবি তুই।
রোজ পাশ থেকে একটা লাঠি কুড়িয়ে এনে নীলয়কে মারতে লাগলো। সারা সেটা দেখে প্রিন্সিপালকে ডাকার জন্য কেবিনের দিকে ছুটলো।
নীলয় : রোজ থাম। সারা মে বি তোকে পানিশ করার সুযোগ পেয়ে গেছে। আমাদের দেখে স্যারের কেবিনে দৌড় দিলো মাত্র। স্প্রে দে ফার্স্ট দাগগুলো রিমুভ করতে হবে নাহলে কেসটা জন্ডিস হয়ে যাবে।
রোজ : ওই তিন চুন্নির কাজই হলো আমার পিছে লাগা,, নে স্প্রে কর। ওদের জন্য মন মতো কাউকে মারতেও পারবো না অসহ্য। নিভি তোর Bf রে ভালোমতো স্প্রে কর। দরকার পড়লে ওকে গুড়ো করে বোতলে ঢুকিয়ে দে।যত্তসব।
নিভি : মার তো খেলো নীলয়, তাহলে সিনিওর আপু দৌড়ায় কেন,,,চক্কর কি.?
রোজ : তোর কলিজার বুকটা অনেক বড় সেটার প্রমাণ দিলো,, দেখছিস কলেজে ঢুকতে না ঢুকতেই আরেকটা মেয়ে জুটিয়ে নিলো। ওয়াহ ভাই ওয়াহ।
নীলয় : এমনিই আগুন জ্বলে গেছে আর তুই তাতে ঘি ঢালছিস.? কোন দুইনাম্বারির শোধ নিচ্ছিস.?
রোজ : আমাকে রেখে তোরা ডেটে গেছিলি,, ক্যান্ডেল লাইট ডিনার। আবার আমার নাম বলে আমাকে কেস খাইয়েছিলি তার হিসাবটি বরাবর করে দে কলিযুগের মজনু।
প্রিন্সিপাল : এই মেয়ে তুমি নাকি এই ছেলেটাকে মেরেছো..?
রোজ : কই স্যার। আমি তো মারি নি। আর মারবোও বা কেন ও তো আমার বেস্ট ফ্রেন্ড। কিন্তু হঠাৎ এমন বলছেন কেন.?
সারা : না স্যার ও মিথ্যা বলছে আমরা নিজের চোখে দেখেছি ওই লাঠিটা দিয়ে ছেলেটাকে জোরে জোরে মারছিলো। আমরা সাক্ষী আছি।
রোজ : নীলয় আমি তোকে মেরেছি.?
নীলয় : না স্যার আমরা তো মজা করছিলাম। ও আমাকে মারেনি। আপু আপনারা ভুল বুঝেছেন।
সারা : স্যার ওর হাত পা চেক করুন মারের দাগ নিশ্চই পাবেন।
প্রিন্সিপাল : সত্যি বলো নীলয়।
নীলয় : সত্যি স্যার রোজ আমাকে মারে নি। এই দেখুন হাত। কোনো দাগ কি দেখতে পাচ্ছেন.?
প্রিন্সিপাল রোজের দিকে একবার তাকিয়ে সারার সামনে গেলেন।তারপর রাগি গলায় বললেন,,
প্রিন্সিপাল : এরপর থেকে না জেনে হুটহাট করে আমাকে ডাকবে না সারা। আর এই মেয়েটাকে এতো হ্যারাস করছো কেন তোমরা.?অনেক হয়েছে আর না। তোমরা কেউ ওকে আর ডিস্টার্ব করবে না। আর তোমরা,, তোমরা ক্লাসে যাও।
নিভি : ওকে স্যার।
প্রিন্সিপাল স্যার চলে যাওয়ার পর সারাও যাওয়ার জন্য পা বাড়ালো,, তখনই রোজ ডাক দিলো।
রোজ : আপু শোনো ,, ও ( নীলয় ) আমার বেস্ট ফ্রেন্ড। ওকে মারি বা কাটি তাতে তোমার কি.? তোমার এতো জ্বলে কেন.? তুমিও কি এমন মার টেষ্ট করতে চাও তাহলে বলো কয়েক ঘা দিয়ে দেই। আর যদি না চাও তাহলে আমার কাজে বাঁধা দিও না। আমার থেকে একটু ডিসটেন্স মেইনটেইন করে চলো। অকে বাই। সি ইউ এগাইন।
সারা রেগে কোনো কথা না বলে চলে গেলো।
নিভি : ব্যাপারটা কেমন হলো..? যার জন্য করলো চুরি সেই বললো চোর। বেচারি
রোজ : চুরি করা মহাপাপ। সেটা যে কাজের জন্যই হোক না কেন। এবার মজা বুঝুক। এটাকে কি বলে জানিস যেচে বাঁশ নেওয়া। আমি যদি আগের ক্যারেক্টারে ফিরতাম তাহলে এগুলো পরিষ্কার করতে আমার দুসেকেন্ডও সময় লাগতো না।
নীলয় : ক্লাসের টাইম হয়ে গেছে চল।
।
।
।
সেকেন্ড পিরিওডে ছুটি হয়ে গেছে আজ। রোজ ঠিক করেছে আজই কলেজের খুটিনাটি বিষয়ে জানবে। তাই নিভির কাছে ব্যাগ দিয়ে ও কলম নিয়ে বেড়িয়ে পড়লো,,
নিভি : কলম নিয়ে ঘুরবি.?
রোজ : সাধারন পেন না এটা। এটায় হিডেন ক্যামেরা আছে। পরে সবকিছু ডিটেইলসে দেখতে হবে তার প্লানিং। আর শোন আমার ফোন সুইচ্ড অফ করা,, অন করার দরকার নাই।
নিভি : আসবি কখন..?
রোজ : কাজ শেষ হলেই চলে আসবো। বাই।
মেঘ সিড়ির কাছে বসে আয়াশের সাথে কথা বলছে। তখনই ওর নজর বাইরে রোবটের মতো হেটে চলা মেয়েটার দিকে যায়। আয়াশ রোজকে দেখে খুশিতে গদগদ ভাব নিয়ে বসে আছে।
আয়াশ : রোজ ওভাবে হাটছে কেন.?
মেঘ : তাতে তোর কি.?
আয়াশ : মনে হয় রাস্তা হারিয়ে ফেলেছে আমি গিয়ে হেল্প করি..
মেঘ : কোনো দরকার নেই সোজা বাড়ি যা। যদি আমার কথার নড়চড় হয়য়য়
আয়াশ : হবে না। বাই।
।
।
।
মেঘ : এই মেয়ে শোনো,, রিটোজ, রিটোজ।
রোজ : (উফ এই আপদটা আবার কই থেকে উদয় হলো,, ওয়েট ওয়েট ওয়েট,, নিরামিষ আমাকে ডাকছে.? কাহিনি কি.?) জি বলুন।
মেঘ : ছুটির পর কলেজে কি.?
রোজ : ক্রিকেট,, না না ফুটবল,, আসলে বাস্কেটবল খেলবো তাই বল খুজতেছি।
মেঘ : ইনগ্রসিং,, ভেরি ইনগ্রসিং। দুমুঠো খেতে পায়না যারা তারা আবার বাস্কেটবলের শখ মেটানোর জন্য,ছুটির পর কলেজে ঘুরে বেড়ায়।
রোজ : কৌতুহলের কিছু নাই। গরীব ঘরের মেয়ে হয়েছি তাতে কি। আমার শখ আর স্বপ্নের লিস্ট অনেক।
মেঘ : যদি চাও বলের সাথে পার্টনারও পেতে পারো। আমারও বাস্কেটবল খেলতে মন চাচ্ছে। চলো খেলি।
রোজ : ( ওপস শিট। এই কলেজের সবাই এমন কেন.? শুধু আমার কাজের পেছনে পড়ে আছে। ডিস্টার্ব করা ছাড়া কোনো মেজর কাজ টাজ নেই নাকি এদের। ) না মানে
মেঘ : সত্যিটা বলো। কি জন্য ঘুরছো।
রোজ : আমি তো আপনাকে
মেঘ : আমাকে কি.?
রোজ : আপনাকে দেখার জন্য ঘুরছি। আসলে আমি আপনাকে পছন্দ করে ফেলেছি। যদিও কাজটা ভুল করেছি তবুও মাফ করে দিবেন প্লিজ। আমি আসছি। & এগাইন সরি।
মেঘ : দাড়াও।
রোজ : সরি বললাম তো।আবার কি?
মেঘ : উত্তর শুনবে না.?
রোজ : ( শোনার মতো কোনো আগ্রহ নেই মিস্টার নিরামিষ কারন কথাটা টোটালি বানানো।প্রায় চলেই যাচ্ছিলাম পিছু ডেকে দিনটাই অশুভ করে দিলেন। উফ।) আমি জানি তো। আপনি বলবেন ” বামুন হয়ে চাঁদে হাত দিতে যেও না। পুড়ে ছাই হয়ে যাবে। হ্যানত্যান,, দ্যাট্স ইট বাই ”
মেঘ : যদি বলি আমি তোমাকে ভালোবাসি।
রোজ : একটা চুম্বকে আকর্ষন বিকর্ষণ দুইটাই থাকে। এটার ক্ষেত্রেও তেমন সো ওসব বলে লাভ নাই। আমার কোনো ( কি যেন বলে ওটা,, কি চাই না,, নিভি রে কি বলতিস ভাই তাড়াতাড়ি মনে করতে সাহায্য কর। হ্যা মনে পড়ছে সিমপ্যাথি ) সিমপ্যাথি চাইনা।
মেঘ: আই এম টেলিং দ্যা ট্রুথ। আই এম ইন লাভ উইথ ইউ।
রোজ : নো। আই ডোন্ট।
মেঘ : এই মাত্র তো বললে তুমি আমাকে পছন্দ করো।
রোজ : ( বলেই তো বুঝলাম খাল কেটে কুমির ডেকে এনেছি ) না মানে পছন্দ আর ভালোবাসা তো এক না।
মেঘ : পছন্দ করেছো ওটাই এনাফ। ভালোবাসা আমি আদায় করে নিবো । শুধু একটা সুযোগ দাও।
রোজ : আমার আব্বু রিকসা চালায়। আম্মু নেই। অভাবের সংসার আমাদের এমন মিথ্যা স্বপ্ন দেখাবেন না প্লিজ। ( কি ঝামেলায় পড়লাম। ধুরর।আমার ভিডিও রেকর্ডিং টাও বন্ধ হয়ে গেলো। এই ছেলের মতলব কি.? )
মেঘ : স্বপ্ন দেখাচ্ছি না। যেটা সত্য আর বাস্তব সেটা বলছি। তুমি এখনো ছোট তাই তোমাকে বিয়ের প্রস্তাব দিচ্ছি না। আরেকটু বড় হও তারপর নাহয় তোমাদের বাড়ি যাওয়া যাবে।
রোজ : আমরা বস্তিতে থাকি।
মেঘ : সমস্যা নেই।
রোজ : আগে তো চুপচাপ থাকতেন। এখন এতো কথা বলেন কেন.? পাগল হয়ে গেলেন নাতো.?
মেঘ : তোমার প্রেমে শুধু পাগল কেন.? মরতেও রাজি আমি।
রোজ : ( ছেলেরা যে মারাত্নক ঢপবাজ তার জলজ্যান্ত প্রমাণ এটা। চেনে না জানে না আমার জন্য উনি মরতেও রাজি। ন্যাকামি) আমি হোস্টেলে ফিরবো।
মেঘ : চলো তোমাকে পৌছে দেই।
রোজ : আমার পা আছে আমি হেটেই চলে যেতে পারবো। আপনার আসার কোনো দরকার নাই। বাই
মেঘ : ( কে তুমি.? কি তোমার পরিচয় সেটা আমি জেনেই ছাড়বো রোজ। তুমি যতই সবার থেকে নিজেকে আড়াল করো। আমার কাছে তুমি আসবেই তোমার পরিচয় জানাতে। )
।
।
।
রোজ ওখান থেকে সোজা নীলয়দের বাড়ি চলে যায়। নীলয় কিছু মানুষের ছবি নিয়ে ঘাটাঘাটি করছে। মেহেক রোজকে নীলয়ের রুমে যেতে দেখে কফি বানাতে লাগলো।
রোজ : কি রে বুঝতে পারলি কিছু.?
নীলয় : ফটোগুলো ঝাপসা উটেছে। কোনো কিছুই ঠিকঠাক বোঝা যাচ্ছে না।
রোজ : যাক ভালো হয়েছে। আমি তোকে একটা কথা জানানোর জন্য এসেছি,,
নীলয় : কি.?
রোজ : আজ থেকে মিশনে আমি একা থাকবো। আমি চাইনা এসবের মধ্যে তোরা জড়াস। ফিউচারে প্রবলেম হলে
মেহেক : কি প্রবলেম।
রোজ : আরে মেহেক আপু। কেমন আছো।
মেহেক : ভালো আছি। তুমি কেমন আছো।।
রোজ : ফার্স্ট ক্লাস। ব্লাক কফি রাইট?
মেহেক : হ্যা। তোমাদের পছন্দের কফি। উইথআউট সুগার।
রোজ : কিহহ। আমি তো চিনি ছাড়া খেতে পারিনা। ওটা দাভাই খায়। তুমি দাভাই এর পছন্দের সাথে আমাকে ঘুলিয়ে ফেলেছো।
মেহেক : পুরোনো অভ্যাস তো তাই। চিনিও এনেছি যতটুকু লাগবে নিয়ে নাও।
রোজ : এক্চুয়ালি আমি একটা কথা বলার জন্য এসেছি। মেহেক আপু বিয়ে করবে.?
নীলয় : রোজ লে** হলি কবে.?
রোজ : তুই এটা দ্বারা প্রমাণ করলি যে তুই গে। হারামির ঘরের হারামি।আমি মেহেক আপুর আর দাভাই এর কথা বলছি।
মেহেক : তোমরা থাকো আমি টিউশনে যাবো।
রোজ : দাভাই নিজের ভুল বুঝতে পেরেছে। ও তোমাকে চায় আপু। তুমি প্লিজ মানা করো না। আমার জন্য হলেও রাজি হয়ে যাও। আমি না তোমার বোনের মতো.?
মেহেক :এসব নিয়ে ভাবি না এখন.
রোজ : ( দাভাই কি করেছে আল্লাহই জানে। আপু রাজি হচ্ছে না কেন.? ) আব বড় চাচ্চুরা আসবে।
মেহেক : মানা করে দাও। নীলয় ওকে পৌছে দিস কলেজে।
রোজ : কেসটা কি হলো.? নীলয় জানু কিছু জানিস.?
নীলয় : নাহহ তো। কিন্তু তুই এতোক্ষন যা বললি.?
রোজ : বানিয়ে বলছি। মেহেক আপুর রিয়াক্শন দেখার জন্য। কিন্তু আপুর তো কোনো হেল দোলই নেই। অন্য কোথাও
নীলয় : মনে হয় না আপু অন্য কাউকে পছন্দ করে। দাভাই রিফিউজ করার পর তো ও পড়াশোনাতেই মন দিয়েছিলো।
রোজ : বাদ দে ওসব… ল্যাপটপ বের কর। আজকের রেকর্ডিং টা দেখবো । মেঘ বলে ছেলেটার ব্যাপারে খোজ নিতে বলেছিলাম নিয়েছিস.?
নীলয় : কলেজের সেকেন্ড ওনারের একমাত্র ছেলে। কলেজের টপার। অলঅয়েজ চুপচাপ আর গম্ভির মুখ করে থাকে । প্রচন্ড রাগি। এ পর্যন্ত কোনো মেয়ের ধারে কাছে ওকে ঘেসতেও দেখা যায়নি,,, অথচ ওর পেছনে পোষা বিল্লির মতো সব মেয়েরা মিউ মিউ করে।
রোজ : ইন্টেরেস্টিং। ও আজ আমাকে ভালোবাসার কথা বলেছে,, টোটালি ফ্লট বয়। প্রচুর ভাব ওর,,, দেখলে গা জ্বলে যায়।
নীলয় : সিরিয়াসলি..? এই প্রথম কোনো ছেলের প্রতি তোর ফিলিংস জমলো,, জল অনেকদুর গড়াবে মনে হচ্ছে।
রোজ উঠে জামার হাতা গোটাতে লাগলো,, এটুকুই নীলয়কে রুম থেকে বের করার জন্য যথেষ্ট। রোজ বসে ফুটেজ অন করলো,, আর কিছু একটা দেখে চমকে গেলো। তারপর তাড়াতাড়ি ল্যাপটপ বন্ধ করে মাথা ঝাকি দিয়ে দাড়ালো
রোজ : ছি!!
চলবে..?