অদ্ভুত সুখানুভূতি পর্ব ১২

#অদ্ভুত_সুখানুভূতি
#সাদিয়া_আহমেদ_রোজ
#পর্ব_১২

বিছানায় শুয়ে ফোন টিপছে রোজ। মেঘ এক কোনায় মুখ বাঁকিয়ে বসে আছে। রোজ ফোন রেখে মেঘের দিকে তাকিয়ে ভ্রু নাচিয়ে বললো,,

রোজ : ওভাবে কি দেখছো..?? আমি জানি আমি অনেক সুন্দর তাই এভাবে দেখার দরকার নাই। নজর লাগবে আমার

মেঘ : আজ ১৪ দিন।

রোজ : এখনো একদিন বাকি।” ডোন্ট টাচ মি ” রুলস মনে রাখো। একটু এদিক ওদিক হলেই পানিশমেন্ট ডাবল করে দেবো

মেঘ : এই সব হিসাব আমি পরশু রাতে নিবো। ওয়েট করো তোমার হচ্ছে,,

রোজ : হওয়ার জিনিস হবে না.? তাছাড়া,,,,,,, ওপস সরি । আসলে আমিও দেখতে চাই কিভাবে হয়,, গুড নাইট।

মেঘ : বউ,, ও বউ,, শোনো না।

রোজ : কিচ্ছে..?এতো মিষ্টি করে ডাকছো কেন..?? মতলব কি..??

মেঘ : বলছি আমাদের বিয়ের তো অনেক দিন হয়ে গেছে তাইনা..?? তোমারও তো ১৯ বছরের বেশি হয়ে গেছে।

রোজ : তোহ..? ২২ বছরের আগে বেবির চিন্তা করতে মানা করেছে আমার মামনি।মানে তোমার আম্মু।

মেঘ : আম্মু..?? হ্যা ভালোই তো বলেছে। কিন্তু আমরা সেফটি নিয়ে।

রোজ : ঘুম পাচ্ছে আমার। কাল সকালে বইলো কি বলবা।

মেঘ : আমার দিকে নজরই দেয় না কেউ। কেউ ভালোবাসে না আমাকে।

রোজ : বেয়াদব।

মেঘ : কি বললা.?

রোজ : আগে লুচ্চা ছিলা। এখন বেয়াদব হচ্ছো। সকালে মামনিকে কি বলছিলে মামনির জন্য তোমার বউ তোমার কাছে আসার সুযোগ পায় না। এটাকে বেয়াদবি বলে।

মেঘ : মজা করে বলছি। আম্মুও হাসলো এতে বেয়াদবির কি দেখলে.? তুমি ইদানিং আমার সবকিছুতে দোষ খোজো। আমাকে পছন্দ করো না সেটে বলে দিলেই পারো। থাকো তুমি আমি গেলাম। যেদিন বুঝবে এই বেয়াদবটাও এমন একজন যে তোমাকে

রোজ : এমন বাচ্চাদের মতো স্বভাব কেন হ্যা..?তোমার মতো ফাজিল ছেলে এলাকায় আর একটাও নেই,, তুমি বুঝো না কেন কিছুদিন পর আমাদের বেবি হবে। তারা তাদের বাপির কাছ থেকে এসব শিখবে.? লাগাম ছাড়া কথাবার্তা।

মেঘ : বেবিদের আসার সম্ভাবনা দেখছি না বলেই বলার সুযোগ পাচ্ছি…ওরা আসলে আর বলবো না।

রোজ : আমি এতোকিছু বলি তা কি তোমার মনে থাকে না..??

মেঘ : শুধু ঝারি মনে থাকবে কিভাবে দুএকটা কিস হাগ দিলে মনে থাকতো। কথায় বলে শুকনো কথায় চিড়ে ভেজে না তাহলে শুধু ঝারি মনে থাকে কিভাবে..?

রোজ : এ কোন পাগলের ঘরে এসে পড়লাম। আচ্ছা তোমার শাস্তি শেষ। তবে ডিসটেন্স মেনে চলবা।

মেঘ : ব্লাংকেট নিবো.?

রোজ : লাইট অফ করে আসো। তোমার মতো দশা হয়েছে আমারও,, আলোতে ঘুম আসে না।

মেঘ : এখন ঘুমাবা.?

রোজ : নাহহ ফুটবল খেলবো। তুমি খেলবা..? তাহলে চলো মাঠে যাই।

মেঘ : রেগে যাচ্ছো কেন। আচ্ছা ঘুমাও। আমি লাইট অফ করে দিচ্ছি।

মেঘ লাইট অফ করে পাশ ফিরে শুয়ে পড়লো। ওদিকে রোজের মাথায় এতোক্ষন ধরে যে টপিক ঘুরপাক খাচ্ছিলো সেটা সল্ভড হয়ে গেছে। সারাটা বিকাল ধরে এই কারনে ওর মেজাজ তুঙ্গে উঠে ছিলো। মেঘের সাথে রুড বিহেভ করার কারনও এটা।

রোজ : মেঘরোদ্দুরের কোনো সাড়াশব্দ নেই কেন.? রাগ করলো না তো। আমি কি বেশি বেশি বলেছি?? নীলাদ্রি দুরে গিয়েও আমাদের মধ্যে ঝামেলা ঝুলিয়েই রেখেছে। যত্তসব।

রোজ মেঘের গায়ের ওপর হাত তুলে দিলো। মেঘ তা দেখে কিছুটা দুরে সড়ে গেলো। রোজ মেঘের হাত ধরে নিজের দিকে ফেরানোর চেষ্টা করলো কিন্তু কাজ হলো না। রোজ মজা করে বেশ কয়েকটা চিমটি দিলো।

মেঘ : ঘুমাও রোজ। ভালো লাগছে না আমার।

রোজ : সরি মেঘরোদ্দুর। আমার ভুল হয়ে গেছে। রেগে গিয়ে ওভাবে বলে ফেলেছি মাফ করে দাও।

মেঘ : ঠিকই বলেছো সব।

রোজ : সরি বললাম তো। এবার আর রাগ করে থেকো না। আমার দিকে ফেরো।

মেঘ : রাগ করিনি।

রোজ : তাহলে আমার দিকে ফিরছো না কেন..? দেখো আমি কিন্তু কেঁদে দিবো এবার।

মেঘ : নাও ফিরেছি…. কি বলবা বলো। ( ঝারি দিয়ে বললো )

রোজ : ঝারি দিচ্ছো কেন.?

মেঘ : ঝারি না। আরে আরে কাঁদছো কেন.? আমি ঝারি দেই নি। তুমি চুপচাপ ছিলে তাই তোমার মুড ভালো করার জন্য দুষ্টুমি করছিলাম।সরি রে বাবা। আর জোরে কথা বলবো না এবার শান্ত হও।

রোজ : সবাই বকো আমাকে,, আমি তো পচা। আমিই খারাপ,,, আমি একটু বেয়াদব বলেছি বলে আমাকে ঝারি দিচ্ছে আমি কালই বাবাইকে বলবো।

মেঘ : আচ্ছা ঠিক আছে এবার ঘুমাও। আর রাতের বেলা বেবিদের সাথে বকবক বন্ধ করো নাহলে সত্যিই ধরে বেধে বেবির মাম্মা বানিয়ে দিবো।

রোজ : মানে..?

মেঘ : তুমি রাতে বেবিদের ঘুম পাড়ানো গান গাও,, গুনগুন করো,, হাসো। মুন মৌ এর নাম ধরে ডাকাডাকি করো। নাকি এগুলো আমাকে বোঝানোর জন্য করো.?

রোজ : তুমি আসলেই

মেঘ : আসলেই..??

রোজ : অসভ্য।

মেঘ : বউ এর সামনে এইটুকু অসভ্য হলে ক্ষতি কি.? এর কিন্তু অনেকগুলো লাভ আছে,, এই যে তুমি লজ্জা পাচ্ছো জেনেরালি এমন লজ্জা পেতে তোমাকে খুব কম দেখি তাই সুযোগটা কাজে লাগে।তুমি কম হাসো কিন্তু এমন সময় তুমি ঠোট কামড়ে হাসো এটাও কিন্তু আমাকে তোমার প্রতি

রোজ : ঘুমাও বলে ঘুমাতে দিচ্ছো,না। এটা কেমন কথা.? আমি ঘুমাবো তো। আর শোনো তোমার ওই মেঘলাকে একটু আসতে বলো তো। দরকার আছে।

মেঘ : পারবো না।

রোজ ঘুরে মেঘের গলায় মুখ গুজে ফিসফিস করে বললো।

রোজ : বউ এর জন্য তার প্রধান শত্রুকে ইনভাইট করতে যদি না পারো তাহলে বাসর করার আগে ডিভোর্স দিয়ে দিবো। বুঝতে পেরেছো.? রোজ কিন্তু তার কথা রাখে।

মেঘ : ওর কথা পরে ভাববো আগে নিজেরটা ভাবি। নীলাদ্রির খবর পেয়েছি কাল যাবো। তুমি তৈরি তো ওকে শেষ করার জন্য.?

রোজ : অলঅয়েজ।

মেঘ রোজকে বালিশের ওপর ফেলে দুহাত চেপে ধরে রোজের দিকে এগোলো।

মেঘ : আমি কি আমার অধিকার বুঝে নিতে পারি মিসেস আহমেদ.? অনুমতি দিলে খুশি হতাম। তোমাকে বলেছিলাম তোমার অনুমতি ছাড়া কিছু করবো না। তখন বুঝিনি এমন নিষ্ঠুর তুমি। প্লিজ অনুমতি দাও বউ।

রোজ চোখ মোটা করে মেঘের দিকে তাকালো। তারপর মুচকি হেসে চোখ নামিয়ে নিলো।

সকালে দুজনেই গোসল করে সবে নিচে নেমেছে।

আরাভ : মেঘ শোন।

মেঘ : বল।

আরাভ : এতো সকালে গোসল কেন ভাই.? কাহিনি কি.? নাকি আমাকে প্যারা দেওয়ার জন্য নিজেরা আরেকজন আনার প্লানিং করছিস,, দেখ নিজের ছেলেটাই তো নিয়ে নিছিস তোদের টাকে অন্ততো আমাকে দিস। বাচ্চা থাকতেও মনে হয়না বাপ হইছি। এখন তোদের টিম দেখায় আশায় আছি

মেঘ : তোর মুখ আর মাথা দুইটাইই

আরাভ : কি.?

মেঘ : তোর বউ আসছে যা। নাহলে আলিজার সামনে তোর এক্সগুলোর ডিটেইলস দিয়ে দিবো। বুঝবি বউ এর ঝারি আর বারি দুইটা কেমন লাগে। আর শোন তুই যা ভাবছিস সেটা ঠিক। ভাই হয়ে এইটুকু সত্য জানার অধিকার তো তোর আছেই

মেঘের কথা শুনে আরাভ বরফের মতো জমে গেলো। এতোক্ষন ইয়ার্কি মেরে এমন একটা তথ্য পাবে আশা করেনি ও। আর মেঘ আরাভের অবস্থা দেখে ভ্রু নাচিয়ে রোজের সাথে ইশারায় কথা বলতে লাগলো। রোজ ওদের দেখে খানিকটা অবাক হয়।

রোজ : তোমরা কি নিয়ে কথা বলছো.?

মেঘ : আসলে আরাভ গোসলের কারণ জিজ্ঞেস করছিলো। সেটাই বলেছি। বেচারা শকটা নিতে পারেনি।

রোজ : অসভ্য কোথাকার। মুখে কোনো লাগাম নাই.? সরি! ভাইয়া খেতে আসো। আর তুমি তোমার ব্যাবস্থাও ফিরে এসে করবো। বেয়াদব ছেলে

আরাভ : না না ঠিক আছে। তোমরা কি নীলাদ্রির কাছে যাবে.?

রোজ : হ্যা। তুমি যাবে.?

আরাভ : অবশ্যই। খবর টা তো আমিই দিলাম। আমি না গেলে কিভাবে চলে.? আমি আগে রেডি হয়ে আসি।

রোজ : তুমি ভাইয়াকে ওসব বললা কেন.?

মেঘ : আরাভ কি বাচ্চা.? কিছু বোঝে না.? আমি ওকে তেমন কিছুই বলিনি। আর শোনো এক বাচ্চার বাপ ও, ওকে কিছু বলার দরকারই হয়না।

রোজ : তোমার মতো গাল কাটা মানুষের সাথে কথা বলাই বেকার। স্বভাব পাল্টাও নাহলে কিন্তু বেবি নিয়ে চলে যাবো আমি।

মেঘ : তুমি সিউর ওরা আসবে.?

রোজ : আল্লাহ একে একটু লজ্জা দাও। আমার মান সম্মানের ফালুদা করে দিলো,, যত্তসব।

রোজ রেগে খাবার বাড়তে চলে গেলো। মেঘ তখনও দূরে দাড়িয়ে হাসছে। আরাভ রেডি হয়ে নিচে নামতেই সবাই ব্রেকফাস্ট করে নিলো।

কলেজের ঠিক পেছনে একটা পুরোনো ছাত্রনিবাস আছে। অনেক পুরোনো সেজন্য কেউ থাকে না ওখানে। আরাভ মেঘরোজকে ঠিক সেদিকেই নিয়ে যাচ্ছে। আসার পথে আরাভ সেদিনের অসম্পূর্ণ কাজের অর্থাৎ আয়াশকে কিভাবে মারা হয় তার ভিডিও দেখায় রোজকে। এই কদিন রোজের মেন্টাল স্ট্রেসের জন্য রোজকে শুধু জানানো হয়েছিলো যে আয়াশকে মেরে ফেলেছে মেঘ। আর আজ তার প্রমাণ পেয়ে দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেললো রোজ। কারন ও আরো একজনকে মারতে যাচ্ছে আজ।

রোজ : আমরা এদিকে এসেছি কেন.?

আরাভ : নীলাদ্রির লোকেশন বারবার এখানেই দেখাচ্ছে। আর গার্ডস বললো এখানে রাতে শব্দ হয়। মানুষের গলাও শোনা যায়। বিশেষ করে একটা মেয়ের

মেঘ : গার্ডস বিবাহিত.?

আরাভ : আরে হ্যা।আমার কি মনে হয় জানিস.? মনে হয় উনা নিজের বউ এরই গলা শোনে,, বউদের যে ক্যারক্যারে গলা।

রোজ : হুসসসস। কারোর গলা শোনা যাচ্ছে। চুপ করে আসো তো। মেঘ গান বের করো, ভাইয়া তুমি পেছনে থাকো। একবার এক্সিডেন্ট হয়েছে আমি চাইনা ওটা আবার হোক।

মেয়েটি : অনেক হয়েছে নীলাদ্রি। আমি আর কিচ্ছু শুনতে চাই না। আমি শুধু মেঘকে চাই,,, তুমি রোজকে আমার পথ থেকে সড়ানোর জন্য যে টাকা নিয়েছো যে ফেবার নিয়েছো প্রয়োজন পড়লে তার ডাবল দিবো। তুমি শুধু আমার কাজটা করে দাও। রোজকে মেরে ফেলো।

রোজ : বাহ। তোমার লাইলি দেখি আমাকে মারার প্লান করছে। আমি যে সকাল সকাল এতো সুন্দর একটা নিউজ পাবো সেটা তো ভাবতেই পারি নি। থ্যাংকস ভাইয়া।

আরাভ : মেঘলা এখানে কি করছে.?

রোজ : দেখছো না? মেঘের মেঘলা হওয়ার চেষ্টা করছে। তো মেঘরোদ্দুর তোমার কি ইচ্ছা.? সেকেন্ড বউ আনার ব্যবস্থা করি.? তুমি তো আরো বউ চাও তাইনা.?

মেঘ : সেদিন তো মজা করেছিলাম। তুমি এভাবে বলছো কেন.? এতো শান্ত থাকছো কিভাবে.? ওর নজর তোমার বরের দিকে কিছু বলবে না.? কিছু করবে না.?

রোজ : কি করবো.? গিয়ে চুল ছেড়াছেড়ি করবো.?

মেঘ : তা করলেও তো পারো। অন্ততো এটা বুঝতাম তুমি আমাকে একটু হলেও পছন্দ করো।

আরাভ : আমি কি কোনো কমেডি শো তে এসেছি.? তোরা এমন বাচ্চাদের মতো করছিস কেন.? রোজ তোমার হলো কি?

মেঘ : তোর শালি জ্বলতেছে রে ভাই। দেখছিস না কাজের কথা ভুলে গিয়ে মেঘলাকে নিয়ে পড়ে আছে। মেয়েরা এতো হিংসুটে হয় আগে জানা ছিলো না।

রোজ রেগে তাকালো মেঘের দিকে । আরাভ ঠোট বাঁকিয়ে হাসছে । ইদানিং রোজ মেঘের ব্যাপারে অনেক সেন্সিটিভ হয়ে গেছে। রাগের থেকে বাচ্চামি বেশি করে, এখন মেঘ ছাড়া কোনোকিছুই ওর মাথায় থাকে না। গতকাল মেঘের সেফটি নিয়ে টেনশনে ছিলো কিন্তু কেসটা পুরো উল্টো ওরা মেঘকে নয় রোজকে মারতে চায়। রোজ দেওয়ালের সাথে হেলান দিয়ে দাড়ালো।

নীলাদ্রি : আমি কি কম চেষ্টা করেছি.?কলেজের প্রথমদিন থেকে রোজের ওপর নজর রেখেছি। যে মা* একবার দেখলে চোখ ফেরাতেই মন চায়না। ভেবেছিলাম ইরার মতো ওটাকেও চেখে দেখবো কিন্তু তোমার মেঘ সবটা নষ্ট করে দিলো। তুমি কি করছিলে হ্যা.? সেদিন আমি না থাকলে ছাদ থেকে পড়ে উপরে চলে যেতে। এতোটুকু কৃতজ্ঞতা নেই তাইনা.? সারাদিন মেঘ মেঘ। শোনো এসব প্যান প্যান করা বন্ধ করো। কাজের কথায় আসো। মেঘদের অফিস থেকে সব পেপার্স আনতে পেরেছো.?

মেঘলা : হ্যা। সব রেডি শুধু মেঘের একটা সাইন লাগবে। তারপর সব ফিফটি ফিফটি ( একবার রোজ আমার পথ থেকে সড়ে যাক। তারপর তোমাকে কিভাবে সড়াতে হয় তা আমার ভালো করেই জানা আছে।)

আরাভ : আমাদের অফিসের পেপার মানে.?

রোজ : মেঘ বন্দুক দাও।আজ দুইটাকেই আমি

মেঘ : এখন মারবে কেন.?

রোজ : মারবো কেন মানে.?তাহলে চুঁমু দিবো। তাইনা.? পিরিত উতলায় পড়ছে.? চল তোকে মেঘলার কাছে দিয়ে আসি।

মেঘ : আমি কি সেটা বলেছি.?আমি গান দিবো তবে আমি যা চাইবো আমাকেও সেটা দিতে হবে।

রোজ : অকে ডান। এবার গান দাও আমার এই দুইটাকে একদম সহ্য হচ্ছে না।

মেঘ : আচ্ছা তাহলে তুমি এদিকটা ক্লিয়ার করো আমি একটা ফোন করে আসি।

রোজ মেঘের হাত থেকে গান নিয়ে মেঘলাদের রুমের দরজায় গিয়ে দাড়ালো। মেঘলাদের কথা বলার কোনো সুযোগ না দিয়েই রোজ পরপর কয়েকটা শুট করলো।আরাভ ছুটে এসে রোজের হাত চেপে ধরলো।

আরাভ : একি একি মেরে দিলে কেন..?

রোজ : মারার জন্যই তো এসেছি। তাহলে মারবো না কেন.?

আরাভ : তুমি মুভি দেখো না..?? হিরোহিরোইন ভিলেনদের মারার আগে ওদের সামনে যায়। এতোদিনের সব রহস্য জানে,, কোথায় কি করেছে জিজ্ঞেস করে। ফিল্মি দু একটা কথা বলে। ভিলেনদের সাথে মারামারি করে। তারপর ভিলেনদের শেষ করে। আর তুমি.? ঘরে এসেই শুটিং প্রাকটিস শুরু করে দিসো।

রোজ : তুমি হয়তো ভুলে গেছো ভাইয়া যে আমি রোজ । আর আমি অযথা নাটক পছন্দ করিনা । ওদের তো সেদিনই শেষ করতাম কিন্তু পালিয়ে গেলো। সেদিন ওদের কপাল ভালো ছিলো,,এতোদিন তো ওদের বাঁচার কথা ছিলো না,, আর আজ খামখা নাটক করে ওদের মুক্তি প্রাপ্তিতে দেরি করবো কেন.? ওরা এখন নিশ্চিন্তে কবরে গিয়ে ইহকালের হিসাব করুক আমরা বরং বাড়ি যাই। তোমার ভাই কি প্লানিং করছে সেটা জানতে হবে তো।

চলবে..?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here