“অদ্ভুত_মুগ্ধতা” ৭ম পর্ব

“অদ্ভুত_মুগ্ধতা”
৭ম পর্ব
মিশু মনি
.
তানিন সন্ধ্যাবেলা সবাইকে ফোন দিয়ে বলল দ্রুত বাসায় চলে আসতে।ওর কথামত সকলে সন্ধ্যার মধ্যেই ফিরলো।মর্ম এখনো ফেরেনি।
সকলে বাইরে যাওয়ার জন্য সাজগোজ করছে।বিকেলে ই মিশু চলে এসেছে।সাফায়েত উল্লাহ সাহেব ওকে দেখে খুব খুশি হয়েছেন! কোনো এক অজানা কারণে মিশুকে ওনার খুব ভালো লেগেছে।
মিশু মর্ম’র ঘরে লাইট নিভিয়ে শুয়ে আছে।তানিন ওকে ও সাথে নিয়ে যাবে।তাই সাজুগুজু করে বসে থাকতে থাকতে শুয়ে পড়েছে।বাড়িটায় অনেক লোকজন তবুও খুব শান্ত আর নিরিবিলি। এক ধরণের শান্তি বিরাজ করছে পুরো বাড়িতে।
এমন সময় মর্ম এসে ঘরে ঢুকল।খুব ক্লান্ত ও।সকালে শর্টফিল্ম টার শুটিং শেষ করে সেটার ইডিটিং নিয়ে ব্যস্ত ছিল সারাটাদিন।এখন মাথা ধরেছে ভীষণ।ঘর অন্ধকার সেদিকে ওর কোনো ভ্রুক্ষেপ ই নেই।ও দ্রুত ঘরে ঢুকেই আন্দাজে বিছানার কাছে চলে এসে ধপ করে শুয়ে পড়লো।
মিশু বিছানাতেই শুয়ে ছিল।মর্ম’র মাথাটা পড়েছে ওর হাতের উপর! ভয় না পেলেও চমকে উঠল মিশু! আস্তে করে হাতটা বের করার চেষ্টা করলো।মিশুর হাতটা যখন মর্ম’র গায়ের নিচ দিয়ে আস্তে আস্তে সরে যাচ্ছিল তখন মর্ম’র শরীর একদম কাটা দিয়ে উঠল। ও ভাবল বিছানায় সাপ শুয়ে ছিল! এখন সেটা মর্ম’র উপস্থিতি টের পেয়ে চলে যাচ্ছে!
ভয়ে মর্ম’র গলা শুকিয়ে গেলো।বিছানায় সাপ এলো কোথ থেকে! কিন্তু মুখে টু শব্দ টিও করলো না।সাপ যদি শব্দ শুনলেই ছোবল মেরে দেয়? দম বন্ধ করে থাকার চেষ্টা করলো।সাপের ভয়ে কাচুমাচু হয়ে শরীর টা একটু উপরে তুলে শুয়ে আছে।উঠে বসলে যদি সাপের গায়ে বসে পড়ে এই ভয়ে।পকেট থেকে মোবাইল বের করার ও সাহস পাচ্ছেনা।আলো জ্বাললেই সাপ যদি কামড়ে দেয়? দাতে দাত চেপে শরীর হালকা করে শুয়ে আছে ও।লাইট জ্বালিয়ে ঘরে ঢুকার মর্ম টা বুঝতে পারছে মর্ম।এতক্ষণে সাপ টা গায়ের নিচ থেকে চলে গেছে।
মর্ম’র শরীর থেকে সেন্টের গন্ধ ভেসে আসছে।মর্ম ও মৈত্রী একই পারফিউম ব্যবহার করে।কাজেই মিশু ভাবল, “এটা নিশ্চয় ই মৈত্রী! ও হয়ত জানেনা আমি এখানে শুয়ে আছি।আসার আগে তো ওকে ফোন ও দেইনি।আজ আমি রাগ করে আছি।কথা বলবো না ওর সাথে।”

“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন



এসব ভেবে টুক করে একটা চিমটি বসিয়ে দিলো মর্ম’র গায়ে।মর্ম এদিকে সাপের ভয়ে প্রায় দম বন্ধ হওয়ার জোগাড়। মিশু চিমটি কাটতেই ও চিৎকার করে উঠল, “সাপ,সাপ! মাগো সাপে কেটেছে আমায়।উহ মা বাবাগো কি বিষ! আমি মরে যাবো এখন। আব্বু,আম্মু,ভাইয়া,প্লিজ ডক্টর! সাপে কামড়েছে আমায়!”
মর্ম’র এমন উথাল পাথাল চিৎকার শুনে মিশু ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে অন্ধকারেই আন্দাজে ওর মুখ চেপে ধরে বলল,চুপ।একদম চুপ।
মর্ম’র শরীর একদম ঠাণ্ডা হয়ে গেলো। একি! সাপ টা মানুষের রূপ ধারণ করেছে! এটা কি তাহলে কাল নাগিনী? সিনেমায় দেখায় সাপ মানুষ হয়ে যায়?
মিশু ওর মোবাইল এর টর্চ টা জ্বালাল।দেখল মর্ম’র ভয়ে মরমর অবস্থা! এটা যে মর্ম সেটা চিনতে ওর অসুবিধা হল না।ও খিলখিল করে হেসে উঠল।
এমন ঝুনঝুনির বাজনার মত হাসির শব্দ শুনে মর্ম’র মরমর অবস্থা একটু কমে আসলো। ও নিজেকে কিছুটা সামলে নিলো।এমন অপূর্ব একটা মেয়ে কখনো সাপ হতেই পারেনা।ভুত পেত্নী ও নয়।তবে কি পরি? কিন্তু মর্ম এসব ভূত টুতে বিশ্বাস করেনা।তাহলে কে এই মিষ্টি মেয়েটি?
এতক্ষণে বাসার সব লোক এসে হাজির হল রুমে।সাফায়েত উল্লাহ সাহেব এসেই আলো জ্বালিয়ে দিলেন রুমের।তারপর সবাই অবাক হয়ে দেখল,মর্ম দাঁড়িয়ে আছে মেঝেতে।আর বিছানায় বসে আছে মিশু! লাল টুকটুকে জামায় ওকে একদম লাল পরি দের মত লাগছে!
বাবা জিজ্ঞেস করলেন, কোথায় সাপ?
মর্ম কিছু বলার আগেই মিশু বলল,আমি তাড়িয়ে দিয়েছি।
– কিভাবে!
সকলে উৎসুক হয়ে তাকাল।মিশু বলল,সাপের মাথাটা ধরে একটা চটকানি মেরেছি।এক চটকানিতে বেচারা ভয়ে সুড়সুড় করে পালালো।
মর্ম থতমত খেয়ে মিশুর দিকে তাকাল।সকলের দৃষ্টির ফাকেই মিশু চোখ মারল ওকে।এতে ওর বিস্ময় আরো বেড়ে গেলো। এই মেয়েটাকে মর্ম কোনোদিনও দেখেনি।সে এখানে কি করছে?
সবাই মিশুর প্রশংসা করতে লাগলেন।
খুজিন্তা বলল,ভাইয়া যে বললেন ওনাকে সাপে কামড়েছে?
মিশু হেসে বলল,আরে নাহ।সাপ দেখে উনি ভয়েই অন্যদিকে তাকিয়েছেন।আমি তখন সাপটাকে তুলে আছাড় দিয়েছি। সাপ চলে যাবার পর আমি নিজেই ওনাকে ভয় দেখাবার জন্য একটা চিমটি কেটেছি।উনি এতটাই ভয় পেয়েছিলেন যে চিমটি আর ছোবলের তফাৎ টা বুঝতে পারেন নি।
সবাই হো হো করে হেসে উঠল। মর্ম অবাক হয়ে তাকাচ্ছে মিশুর দিকে! সত্যিই কি তাই ঘটেছে? অন্ধকারে এসব ঘটল কিভাবে, আর এটা হলে ও অবশ্যই বুঝতে পারতো। অন্ধকারেও মেয়েটা দেখতে পায় নাকি গুল মারছে সবাইকে?
মিশু আবারো চোখ মারল।এবার সবকিছু স্পষ্ট হয়ে উঠল মর্ম’র কাছে।আসলে এসব কিছুই হয়নি।মেয়েটা ওর ভয় পাওয়ার সুযোগ নিয়ে এভাবে গুল মারছে।সবাই হয়ত ওকে অনেক সাহসী ভাব্বে এতে।মর্ম মুখ টিপে হাসল।
সকলেই নানান কথা বলতে বলতে ঘর থেকে বেড়িয়ে গেলো।মিশু মৈত্রীর দিকে একবার ও তাকায় নি।ওর সাথে আড়ি করেছে।সবাই বেড়িয়ে যাবার পর মিশু বিছানা থেকে নেমে দরজার দিকে যেতেই মর্ম ওর সামনে এসে দাঁড়াল। হেসে বলল,
– কে তুমি ললনা? পরিচয় টা বলোনা?
– আমার নাম পাখি,ওই নারকেল গাছে থাকি।
– হা হা হা,তাই বুঝি! আমার বিছানায় কি করছিলে? নাকি আমার বিছানাকে নারকেল গাছ ভেবে ভুল করেছ?
– উহু,আপনাকে বাচাতে এসেছি।
– বড় বাচা বাঁচিয়েছ। কিন্তু আমিতো বাচিনি গো ললনা,মরেছি।
– মানে!
– সবাই ভাবছে আমাকে সাপ ছোবল দেয়নি।কিন্তু এই মিষ্টি মেয়েটা যে হৃদয়ে ছোবল মেরে দিলো তা কি কেউ জানে?
মিশু খুব মজা পেলো কথাটা শুনে।অট্টহাসিতে ফেটে পড়লো।সেই হাসি ঝুনঝুনির মত বাজতেই লাগলো। মিশুর হাসি দেখে মর্ম’র ও হাসি পেয়ে গেলো।
মিশু বলল,আপনি মাত্রা ভাইয়ার বিয়ের ওয়েডিং প্লানার।
– বাহ! খুব ভালো।সাপ ধরার এক্সপেরিয়েন্স আছে দেখে ভালো লাগলো।
মিশু হাসতে হাসতে করিডোর ধরে ছুটে যেতে লাগলো। ওর হাসি ঝুনঝুনির মত মর্ম’র কানে বেজেই চলেছে।মর্ম আবারো ধপ করে বিছানায় শুয়ে পড়লো। এখন আর একদম ই ক্লান্ত লাগছে না।বরং মেয়েটার সাথে কথা বলে মনটা অনেক চাঙা হয়ে গেলো! বয়সে অনেক ছোট্ট একটা মেয়ে,অথচ ওয়েডিং প্লানার! তবে যাই হোক,নিশ্চয় ই এ বাড়িতে বিয়ের পরদিন পর্যন্ত থাকবে! বেশ জব্দ করা যাবে ওকে।এমন বান্দর মেয়েকে জব্দ করতে কার না ভালো লাগে?
মৈত্রী একটা কালো শার্ট পড়ে বাইরে আসলো।কালো রংটা ওর খুব ভালো লাগে।এই রঙ যেন করুণ সুন্দরের উদাহরণ!
মিশু চুপচাপ বসে মোবাইল টিপছিল।মৈত্রিকে দেখে মুখ বাকা করে অন্যদিকে তাকাল।ব্যাপার টা বুঝতে পেরে ও এসে মিশুর পাশে বসলো। জিজ্ঞেস করলো,
– এত অভিমানের কারণ কি জানতে পারি?
– না, পারেন না।রাইট নাই।
– বাব্বাহ! রাগ করার অধিকার আছে অথচ কারণ জানার অধিকার নাই?
– না নাই।আপনাকে এই কালো শার্টে একদম ব্লাক বেঙ্গল ছাগলের মত লাগছে।
– সে তো ভালো। এদেশে এই ছাগলের অনেক ডিম্যান্ড।
– কিন্তু আমার কুচকুচে কালো ভালো লাগেনা মোটেও।দূর হোন তো আমার সামনে থেকে।
মিশুর এমন বাচ্চাদের মত অভিমান করতে দেখে মৈত্রীর অনেক মজা লাগলো।ও হেসে বলল,একটা ভ্যানিলা আইসক্রিম এ রাগ ভাংবে?
মিশু চমকে উঠল। আইসক্রিম ওর খুব প্রিয়। ভ্যানিলা ফ্লেভারকে তুচ্ছ করার মত কোনো কিছুই ঘটেনি।ও শান্ত স্বরে জিজ্ঞেস করলো, কয় টাকা দামের?
– আড়াইশো নাকি দুইশো টাকায় একটা ভ্যানিলা আছেনা?
একথা শুনে নিমেষে মিশুর রাগ বরফের মত গলে হাওয়াই মিঠাই এর মত হাওয়ায় ভাসতে ভাসতে শূন্যে মিলিয়ে গেলো।
হেসে বলল,হ্যা।খুব মজা খেতে।আপনি খেয়েছেন কখনো?
– নাহ।আমার আইসক্রিম খেলে দাতে পোকা হয়।
– আগেও হয়েছে?
– হ্যা,
– কি পোকা?
মৈত্রী ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলো। পোকার নামও বলতে হবে! বাবা রে বাবাহ!

খুজিন্তা খুব সুন্দর করে সাজল।আজ ওর সুখের সীমা নেই।শ্বশুর বাড়িতে এসেই দ্বিতীয় দিনে সবার সাথে ডিনারে যাওয়া! চরম ভালোলাগা।ও গুনগুন করে গান গাইতে গাইতে চুল আচড়াতে লাগলো।পাশের রুম থেকে শ্বাশুরি মায়ের চেঁচামেচি কানে আসছে।ও বাইরে এসে শোনার চেষ্টা করলো ঘটনাটা কি?
ঘটনাটা রোজই ঘটে।আজকেও সাফায়েত উল্লাহ সাহেব ও তার স্ত্রীর ঝগড়া বেধেছে।উনি হেসে হেসে বললেন,
– তিন্নি তুমি দিনদিন নায়িকার মত হয়ে যাচ্ছ।
– সত্যি!
– এত খুশি হয়ো না।তোমাকে আলিয়া ভট বলিনি।তুমি দিন দিন নায়িকা ময়ূরীর মত মোটা হয়ে যাচ্ছো।
এ কথা শুনে ওনার স্ত্রী ক্ষেপে গিয়ে বললেন, কি বললে তুমি! আমি মোটা?
– হ্যা।শুধু মোটা নও,একেবারে হাতির বাচ্চা।
– আবার আমার বাবাকেও হাতি বলা হচ্ছে?
– অবশ্যই।তোমার আব্বা তো ছোটখাটো হাতি।
– ছি ছি সাফায়েত।আজ বুড়ো বয়সে এসে তুমি আমাকে আর বাবাকে এভাবে গালি দিলে!
– হ্যা।ইয়ং বয়সে গালি দিলে যদি ছেড়ে চলে যাও।তাই দেইনি।এখন তো বুড়া হইছি,গেলেও আর অসুবিধা নাই।
ওনার স্ত্রী’র রাগ আরো বেড়ে গেলো। দাত কটমট করে বললেন, এভাবে আমাকে তাড়িয়ে দিচ্ছো! আমি মরলে তোমার সুখ হয় তাইনা?
– নাহ।তুমি মরলে আমার প্রচুর কান্না পাবে।
– ন্যাকামি করবে না।আমাকে তুমি একটুও ভালোবাসো না।
– বাসি,অল্প একটু।
শ্বাশুরি মা রাগে ফুঁসছেন। ঝগড়া দারুণ জমে গেছে।খুজিন্তা হা করে দেখছিল।বেশ মজা লাগছে ওর এমন ছেলেমানুষি ঝগড়া দেখতে।
এমন সময় তানিন এসে ওকে বলল,অবাক হচ্ছো ভাবিমনি? এটা এদের রোজকার ঘটনা।
– বলো কি!
– হ্যা।এরা রোজ এভাবে ঝগড়া করে।শেষ টায় আব্বু জিতে যায়।আর তারপর একগাদা চকোলেট কিনে এনে আম্মুর কাছে হার স্বীকার করে নেয়।
খুজিন্তা অবাক হয়ে তাকাল।তারপর দুজনেই হেসে উঠল উচ্চস্বরে।

রেস্টুরেন্ট এ যাবার জন্য বেড়িয়ে পড়লো সবাই।একটা গাড়িতেই সকলে যাবে।গাড়ির ড্রাইভারের আসনে বসেছে মৈত্রি।সবাই গাড়িতে উঠে পড়লো।মৈত্রীর পাশের সিটে বসেছে তানিন।পিছনের সিটে চারজন। সাফায়েত উল্লাহ সাহেব,ওনার স্ত্রী, মাত্রা ও খুজিন্তা।
কিন্তু কিছুতেই মর্ম ও মিশুর জায়গা আর হচ্ছেনা।এই গাড়িতে এর চেয়ে বেশি লোক উঠাও যাবেনা।মিশু গাড়ির দরজায় কোমরে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
মর্ম এসে বলল,আমি আমার বাইক টা নিয়ে যাচ্ছি।কিন্তু এই মেয়েটা কিসে যাবে?
সাফায়েত উল্লাহ সাহেব চোখ তুলে তাকালেন।কিছু একটা বলতে যাচ্ছিলেন এমন সময় তানিন বলে উঠল, আমি ভাইয়ার সাথে বাইকে যাচ্ছি।মিশু আমার সিটে বসো।
মিশু কিছু না ভেবেই হুট করে জবাব দিলো, আমি ওর সাথে বাইকে যাবো।
বলেই আঙুল তুলে মর্মকে দেখিয়ে দিলো।সাফায়েত উল্লাহ সাহেব মুচকি হেসে স্ত্রী’র দিকে তাকালেন।মনে মনে ভাবলেন, মিশুর লাল জামা দেখে মর্ম বাবাজী ও লাল পাঞ্জাবি পড়ে ফেলেছে! বেশ মজার ব্যাপার।কিছু একটা রহস্যের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।রুমেই মর্ম’র মুখ দেখে মনে হচ্ছিল মিশু ওর কেল্লাফতে করে দিয়েছে।যে ছেলে ভার্সিটি লাইফে কারো প্রেমে পড়েনি,ফিল্মের জগতে এসে কত শত স্টার দের সাথে কাজ করে তবুও ওকে কখনোই এমন প্রেমিক দের মত দেখায় নি।ও বেচারা সবসময় ফিল্ম নিয়েই পড়ে থাকে।তাহলে কি মিশুকে দেখেই লাভ অ্যাট ফার্স্ট সাইট হয়ে গেলো! হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়।কিন্তু মিশু তো মৈত্রি সূত্রে এ বাড়িতে এসেছে।তাহলে মৈত্রীর ও এমন কিছু হওয়াটা স্বাভাবিক। যদি কখনো এমন হয়,আমার দুই ছেলেই এই মেয়ের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে তখন দেখতে কেমন লাগবে? কথাটা ভাবতেই সাফায়েত উল্লাহ সাহেবের হাসি পেয়ে গেলো। বাবা হিসেবে ওনার তখন খুবই খারাপ লাগবে,কিন্তু একজন দর্শক হিসেবে বেশ মজার হবে ব্যাপার টা।মর্ম ও মৈত্রী সহজে কারো উপর আকৃষ্ট হয়না।কিন্তু এই মেয়ের মাঝে এমন কিছু আছে,যা ওদের কে ওদের নীতির বাইরে যেতে বাধ্য করবে।কোনো অজানা কারণে একদিনের পরিচয়ে মিশুকে সাফায়েত উল্লাহ সাহেবের ও খুব ভালো লেগেছে।ও মেয়েটা মায়াবিনী! জাদুবিদ্যা জানে!
গাড়ি হাইওয়ে তে ওঠা মাত্র সাফায়েত উল্লাহ সাহেব চমকে উঠলেন। গাড়ি কখন ছেড়ে দিয়েছে উনি টের ই পান নি।জানালা দিয়ে বাইরে দেখার চেষ্টা করলেন,মর্ম কতদূর?
চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here