#রিপোস্ট
#অন্তরালের_কথা
লেখা – জান্নাতুল ফেরদৌস মাটি
পর্ব – ৪০
.
.
তানহা খাকি কাগজের মোড়কটা খুলছে। মোড়কের ভেতর থেকে একটি হালকা গোলাপি রঙের প্যাকেট বের হলো। অতল ভালো করে প্যাকেটে থাকা লেখাটি লক্ষ্য করতেই চোখ যেন তার ছানাবড়া হয়ে গেল। তার যেন বিশ্বাসই হচ্ছে না প্যাকেটের লেখাটি দেখে। এতটা উত্তেজনা নিজের মাঝে কাজ করছিল যে আড়ালে থাকতে না পেরে হুট করে ঘরের ভেতর গিয়ে তানহাকে জড়িয়ে ধরে বলল,
” তানহা! আমি বাবা হবো?”
অতলকে এরকম আচমকা ঘরের মাঝে আসতে দেখে তানহা থতমত খেয়ে যায়। চোখেমুখে আতংকের ছাপ ফুটিয়ে ডুগ গিলে বলল,
” তুমি এখানে কী করছ? তোমার না বাহিরে যাবার কথা ছিল? ”
” সেকথা পড়ে হবে আগে তুমি বলো আমরা কি প্রেগন্যান্ট? ”
অতলের কথা শুনে তানহা ভ্রু কুচকে বলল,
” আমরা প্রেগন্যান্ট? আমরা…? ”
” তো আমরা না তো কি অন্যরা ? আমরাই তো। ”
তানহা বেশ বুঝতে পারছে অতলের অস্থিরতা ও উত্তেজনার জন্য কথা বলায় ভুল হচ্ছে। তাই মুচকি হেসে বলল,
” হুম, আমরাই প্রেগন্যান্ট। ”
” তুমি শিউর তানহা! ”
” শিউর না তবে আন্দাজ করছি। ”
” তাহলে দেরি করছ কেন? তাড়াতাড়ি টেস্ট করিয়ে ফেলো। ভেতরটা যে অস্থির অস্থির লাগছে। ”
” তোমার অস্থিরতার জন্যই লুকিয়ে লুকিয়ে টেস্ট করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু কোথায় আর করতে পারলাম তুমিতো এসেই পড়লে। ”
” আসব না তো কী করব! তোমার হাতে টেস্ট কিট দেখেই তো হার্টবিট ১০ গুন বেড়ে গিয়েছে। এ অবস্থায় কি নিজেকে দূরে রাখতে পারি? ”
তানহা কোমড়ে দু’হাত দিয়ে ধরে রাগী লুক নিয়ে বলল,
” তুমি জানলে কীভাবে আমার হাতে টেস্ট কিট ছিল? ”
” আমি জানলাম কীভাবে? দাঁড়াও। আমি জেনেছি… আমি জেনেছি…. ”
” মিথ্যে কথা বানাতে পারছ না তাইতো? ”
অতল চুপটি করে দাঁড়িয়ে আছে।
অন্যদিকে অতলের চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকা দেখে তানহা বলল,
” কী হলো চুপ করে আছ যে? ”
” তো কী করব? তুমি তো এখানে দাঁড় করিয়ে আমাকে জেরা করছ সমানে। ”
” আমি জেরা করছি? ”
” করছই তো। কী করে তোমার হাতে টেস্ট কিট দেখেছি সেই বিষয় নিয়ে। আচ্ছা, দরজার আড়াল থেকে দেখেছি তো কী হয়েছে বলতে পারো? নিজের বউকেই তো দেখেছি অন্য কাউকে নয়। তার জন্য এভাবে কোমড়ে হাত দিয়ে রাগী রাগী ভাব নিয়ে প্রশ্ন করতে হয়? ”
” বুঝলাম বউকে দেখেছ অন্য কাউকে না কিন্তু, বউকে আড়াল থেকে দেখার কারণ কী? ”
” কারণ? কারণটা হচ্ছো তুমি। ”
” আমি! ”
” হ্যাঁ, তুমি। তুমি যদি নিজের বরের সামনে প্রেগন্যান্সির কিট বের করতে ইতস্ততবোধ করো তাহলে আমার দরজার আড়ালে না গিয়ে কি উপায় ছিল? ”
তানহা এবার কিছুটা নরম স্বরে বলল,
” আমি ভয় পাচ্ছিলাম। যদি প্রেগন্যান্সি টেস্ট নেগেটিভ আসে তুমিতো কষ্ট পাবে। তাই লুকিয়ে টেস্ট করতে চেয়েছিলাম। আর ভেবে রেখেছিলাম রেজাল্ট পজিটিভ আসলে তোমাকে সারপ্রাইজ দিব আর নেগেটিভ আসলে কিট ছুঁড়ে ডাস্টবিনে ফেলে দিব। ”
” এসব কী বলছ তুমি? আর নেগেটিভই বা ভাবছ কেন? পজিটিভও তো হতে পারে তাই না? হতে পারি কী বলছি! তুমি দেখে নিও পজিটিভই হবে ইনশাআল্লাহ। ”
” হুম, ইনশাআল্লাহ। তবে কী জানো অতল…..”
” এখন আর অন্য কোনো বিষয় নিয়ে কথা হবে না তানহা। এবার শুধু আমাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা হবে। বুঝতে পেরেছ? ”
” হুম। ”
” এবার চলতো টেস্ট টা করে ফেলি। ”
তানহা চোখ দুটো বড় বড় করে বলল,
” তুমি কি সত্যি প্রেগন্যান্ট অতল? ”
” কি! কি বলছ এসব? ”
” হুম। আমার তো তাই মনে হচ্ছে। কিছুক্ষণ আগে বললে আমরা প্রেগন্যান্ট। এখন আবার বলছ টেস্ট করে ফেলি। এ কথাগুলো দ্বারা কী বুঝা যায় বলতো? ”
উফফ! আমিও যে কী না! আর তুমিও কথাগুলো ধরছ? বুঝতে পারো না অতিরিক্ত উত্তেজনার থেকে কথাগুলো বলছি। ”
” সেটা তো বুঝতে পেরেছি। ”
” তাহলে? ”
” তাহলে আর কি? কিছুই না। এবার আমি যাই টেস্ট টা করে আসি? ”
” হুম যাও। তবে টেস্ট কিন্তু আমি করব। তুমি জাস্ট ইউরিন নিয়ে এসো। বাকিটা আমার কাজ। ”
এ পর্যায়ে তানহা অতিরিক্ত পরিমাণ খেপে যায়। আর ক্ষানিকটা উঁচু গলায় বলল,
” আর একটা কথা যদি বলো আজ তোমার একদিন কি আমার একদিন। ”
তানহার মেজাজ চড়া দেখে অতল আর একটি কথাও বলল না। সুবোধ বালকের ন্যায় চুপটি করে দাঁড়িয়ে রইলো ওয়াশরুমের দরজার বাহিরে।
মিনিট দশেক যেতেই ওয়াশরুমের দরজা ঠেলে বের হয়ে এলো তানহা। অতলের মুখ জুড়ে বিরাজ করছে অস্থিরতা ছাপ। সেই অস্থিরতার হ্রেস ধরে তানহা ওয়াশরুম থেকে বের হতেই অতল কাঁপা গলায় বলল,
” সবকিছু ঠিক আছে তো? না মানে..আমি বাবা হবো তো তানহা? ”
তানহা কী বলবে বুঝে উঠতে পারছে না। চোখ থেকে কেবল নোনা পানি পড়ছে।
এদিকে অতলের বুক চিনচিন ব্যাথা করে মোচড় দিয়ে উঠল তানহার চোখের জল দেখে। অসহায় শিশুদের ন্যায় দৃষ্টি করে তানহাকে বলল,
” রেজাল্ট নেগেটিভ এসেছে? আমাদের বাবু হবো না তাই না? ”
নোনা জলে ভরা টলটলে চোখ নিয়ে কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইলো তানহা অতলের চোখের দৃষ্টির মাঝে। তানহা অনেক চেষ্টা করছে অতলকে কিছু বলতে কিন্তু মুখ দিয়ে টুশব্দটি বের হচ্ছে না। তাই মুখে কিছু না বলে হুট করে ঝাঁপিয়ে পড়ল অতলের জামাবিহীন ঘন লোমে আবৃত বুকের মধ্যেখানে। আর আদুরে গলায় বলল,
” আমাদের বাবু হবে অতল। আমাদের বাবু হবে। আর তুমি….তুমিও বাবা হবে। আমার সন্তানের বাবা। আমার বাবুর আব্বু। ”
বলেই অতলের বুকে মুখ লুকিয়ে চাপা কান্নায় ভেঙে পড়ল তানহা। তবে আজ অতল তানহাকে আটকাচ্ছে না। আর আটকাবেই বা কি করে সে যে নিজেও কাঁদছে। বুক ফেঁটে কাঁদছে। সেই কারণে অতল জানে, তানহার এই চোখের জল কষ্টের জন্য নয় বরং সুখের জন্য। জীবনের বড় প্রাপ্তির হাতছানি অনুভব করার জন্য এ সুখময় নোনা জল।
অতল চোখের জল ফেলে তানহার কপালে চুমু খেয়ে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বলল,
” আজ আমি বড্ড খুশি তানহা। বড্ড খুশি। এ জীবনে আজকের থেকে বেশি খুশি এর আগে কখনো হয়েছি কি-না আমি জানি না। আর এই চিরস্মরণীয় খুশির দিনটি দিয়েছ তুমি আমায়। এই দিনটি যে আমি কখনো ভুলব না তানহা! কখনো না। চিরঋনী হয়ে থাকব তোমার কাছে। চিরঋনী…..”
বলেই অঝোরে চোখের জল ফেলতে লাগল অতল।
অতলের অনবরত চোখের জল ফেলা দেখে অতলের বুকে মুখ লুকানো অবস্থাতেই তানহা লাজুক কন্ঠে বলল,
” বয়স তো কম হয়নি। বাবুর আব্বুও হয়ে যাবে কিছুদিন পর। তারপরও কাঁদছ! লজ্জা করছে না? ”
তানহার কথা শুনে অতল কান্নার মাঝেই তানহার মুখ নিজের বুকের উপর থেকে উঠিয়ে তানহার দু’গালে আলতো করে ধরে দুষ্টু হাসি দিয়ে বলল,
” বাবুর আব্বু হওয়ার প্রসেস করতে যখন লজ্জা পাইনি, তাহলে সেই প্রসেসে সাকসেস হওয়ার খুশিতে কাঁদতে লজ্জা পাবো কেন! ”
” ধ্যাৎ! কি যে বলো না। ”
বলেই অতলের বুকে সমানে কিল-ঘুষি দিতে লাগল তানহা।
হাসতে হাসতে তানহার হাত দুটো নিজের আয়ত্তে এনে হাতের তালুতে চুমু খেয়ে বলল,
” এখানে দাঁড়িয়ে দুষ্টুমি করলেই চলবে, নাকি বাবা-মায়ের কাছেও যেতে হবে? কোনটা? ”
” যেতে তো হবেই। তবে এখন না কাল সকালে ইনশাআল্লাহ। ”
অতল ভ্রু কুচকে বলল,
” কেন কেন? কাল সকালে কেন? ”
” আরে বুদ্দু, সবাইতো ভীষণ ক্লান্ত আর এতক্ষণে হয়তো ঘুমিয়েও পড়েছে। এখন যদি তুমি চিৎকার চ্যাঁচামেচি করে তাদের ঘুম ভাঙিয়ে দাও ব্যাপারটা কেমন হবে? ”
” যা হওয়ার হোক। তাই বলে কি এতো বড় সুখবরটা এতগুলো ঘন্টা নিজের মাঝে চেপে রাখব? ”
” এছাড়া আর কি করার আছে বলো। ”
” না না, আমি পারব না। আমার দ্বারা সম্ভবই না। ”
” ইচ্ছে থাকলে অবশ্যই সম্ভব হবে। ”
” কিন্তু আমার তো সেই ইচ্ছটাই নেই! ”
” তাহলে ইচ্ছেটাকে জন্মাও নিজের ভেতর। ”
” আমি কি মেয়ে মানুষ নাকি, ইচ্ছে করলেই জন্মাতে পারব? ”
” উফ্ অতল! এবার কিন্তু বড্ড বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে। ”
” হতে দাও না বাড়াবাড়ি। আজকের দিনে বাড়াবাড়ি না করলে কবে করব? ”
বলেই তানহার গালে হুট করে চুমু খেয়ে ছুটে ঘরের বাহিরে চলে যেতে নিলেই পেছন থেকে তানহা বলল,
” প্লিজ যেও না অতল। অনেক রাত হয়েছে তারপর আবার তিহান ও নিদ্রার বাসর রাত। এতো রাতে সবাইকে ঘুম থেকে উঠিয়ে উল্লাস করাটা মোটেও শোভনীয় দেখায় না। আমার কথাটা বুঝার চেষ্টা করো প্লিজ। ”
অতল কিছুক্ষন চুপ থেকে এগিয়ে গেল দরজার কাছে। আস্তে করে দরজার ছিটকিনি লাগিয়ে তানহার কাছে ফিরে এসে তানহাকে পাজ কোলে নিয়ে সামান্য পরিমাণ হেঁটে বিছানায় শুয়ে দিল। তানহাকে শুয়ে বিছানার এপাশ থেকে ওপাশে গিয়ে ঘরের লাইট নিভিয়ে নিজেও শুয়ে পড়ল। তানহার মাথার নিচে বালিশের পরিবর্তে অতল নিজের হাত রেখে তানহাকে নিজের দিকে চাপিয়ে এনে তানহার চুলে নাক ডুবিয়ে চোখ বুজে নেশা ধরানো কন্ঠে বলল,
” তোমার চুলে কী আছে গো? কেমন যেন নেশা নেশা লাগিয়ে দেয়। ”
” সত্যি কি তাই? ”
” কেন? দেখে বুঝো না? ”
” বুঝি না তো। ” আদুরে গলায় বলল তানহা।
” জানো তানহা, দিনে যতবার তোমার চুলে নাক ডুবাই ততবারই যেন মনে হয় এ এক নতুন তুমি। যে তুমিতে আমি মত্ত। যে তুমিতে আমি হীনতায় অপূর্ণ। বারবার ইচ্ছে হয় এই তুমিতে ডুব দিয়ে সৃষ্টি করি এক নতুন ভালোবাসার ভুবন। আর হারিয়ে যাই সেই ভুবনের আনাচে-কানাচে। ”
” যাওনা হারিয়ে। নিষেধ তো করিনি। ”
” যেতে তো চাই তবে…..”
” তবে কি? ”
” তবে বাবু যে চায় না। সে যে বারবার করে বলছে, বাবাই তুমি কিন্তু আম্মুকে এখন মোটেও আদর করবে না। আগে আমাকে একটুখানি বড় হতে দাও তারপর আম্মুকে আদর করো। এসব কথা শুনলে কি করে হারিয়ে যাই বলো। ”
” তুমি না আসলেও একটা পাগল। কখন যে কি বলো নিজেই হয়তো জানো না। ”
” পাগল হবো কেন? আর পাগল হওয়ার মতোই বা তুমি কি দেখলে? ”
” এই যে কীসব আবল তাবল বলছ। এগুলো কি যথেষ্ট প্রমাণ নয় যে, তুমি আস্ত একটি পাগল? ”
” উম্ম! হতে পারে তবে..কেবল তোমাদের জন্য। ”
” আমাদের জন্য মানে? ”
” মানে আবার কি? তুমি আর আমার পুটুসের জন্য। ”
” পুটুস! এটা আবার কে? কার কথা বলছ তুমি? আর নামটাই বা এরকম কেন? ”
” ওমা! কে আবার হবে? আর কার কথাই বা বলতে পারি জানো না? আমাদের অনাগত সন্তানের কথা বলেছি। যাকে আমি আদর করে পুটুস বলব। বুঝলে? ”
” ওরে বাব্বাহ! কিছুক্ষণের মাঝে নামও ঠিক করে ফেলেছ। তুমিতো দেখছি বহু ফাস্ট। ”
” ফাস্ট না হলে কি উপায় আছে? বউ যে কপালে ঝাঁটার বাড়ি দিয়ে চলে যাবে। ”
” হা…হা…বেশ বলেছ। ট্রাই করে দেখতে হবে। ”
” কি! ”
” জাস্ট জোকিং। এবার ঘুমোওতো আর আমাকেও ঘুমোতে দাও। ”
” এক্ষুনি ঘুমিয়ে পড়বে? ”
” হুম। রাত তো কম হয়নি। আর ভোর হলেই যে ছুটোছুটি করতে হবে। বাড়িতে নতুন বউ এসেছে বলে কথা! ”
” তাও ঠিক। আর এ অবস্থায় তোমার শরীরেরও তো রেস্ট প্রয়োজন। ”
” হুম। ”
” আচ্ছা, ঘুমিয়ে পড়ো বউ। আর রাত জাগতে হবে না৷ আমি মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছি তুমি ঘুমিয়ে পড়ো। ”
কথা না বাড়িয়ে তানহা মুচকি হাসি দিয়ে অতলের বুকে মুখ লুকিয়ে প্রশান্তিময় এক নিঃশ্বাস নিয়ে চোখ বুজে ফেলল।
.
রাত ১২টা বেজে ১৭ মিনিট।
নিদ্রা নতুন বউয়ের ন্যায় একহাত ঘোমটা দিয়ে বিছানার ঠিক মাঝখানে হাঁটু ভাজ করে বসে আছে। তবে বাসর ঘরে বরের জন্য অপেক্ষা নতুন বউদের মতো করছে না। বলতে গেলে অপেক্ষা জিনিসটাই নিদ্রার মাঝে প্রতিফলিত হচ্ছে না। কেবল গুরুজনদের হুকুমজারির জন্য সে বসে আছে অপেক্ষায়মান ভঙ্গিতে। তবে নিদ্রার ভীষণ বিরক্ত লাগছে এভাবে চুপচাপ বসে থাকতে। তাই মনে মনে হাজারো বকাঝকা দিয়ে গুষ্ঠিশুদ্ধো উদ্ধার করছে তিহানের। হঠাৎ করে একটা খট করে শব্দ নিদ্রার কানে ভেসে এলো। ভ্রু দুটো কুচকে ঘোমটা সরিয়ে দরজার দিকে তাকাতেই দেখে তার বর এসেছে। তবে উল্টো হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে।
তিহান কেবলই ঘরে প্রবেশ করল। ডানেবামে না তাকিয়ে সোজা বিছানার দিকে ঘুরে দাঁড়ালো। ডানেবামে তাকালে যে চোখের সাদা অংশ লাল রঙে ধাবিত হবে। আর ফ্রি নোনা পানিতো আছেই জনমভর। তাই সোজা বিছানার দিক মুখ করে কঠিন গলায় বলল,
” স্ত্রী দায়িত্ব পালন করার জন্য অভিনেত্রীর ন্যায় বসে থাকতে হবে না। রাত অনেক হয়েছে ড্রেস চেঞ্জ করে ঘুমিয়ে পড়ো। ”
.
.
চলবে….