অন্তরালের কথা পর্ব ৩৯

#রিপোস্ট
#অন্তরালের_কথা
লেখা – জান্নাতুল ফেরদৌস মাটি
পর্ব – ৩৯
.
.
” বেয়াইকে ভাই বলে ডাকছ এটা কি রেগে যাওয়ার যথেষ্ট কারণ নয়? আমি এসেছি ছেলেকে বিয়ে করে বেয়াই বেয়ান বানাতে, ভাই-বোন বানাতে নয়। অনেক ভাই-বোন আছে আমার নতুন করে বানানোর শখ নেই। ”
ফিরোজ আলম হো হো করে হেসে বললেন,
” ওহ্! আচ্ছা, এই কথা। ”
” হুম। জীবনে বেয়াইর সাথে মশকরা কী জিনিস সেটা তো বুঝলামই না। বড় ছেলেকে বেশ সাধ করে বিয়ে করিয়েছিলাম মনের মতো বেয়াই বেয়ান পাবো বলে। কেননা তারা খুবই আন্তরিক ছিলেন সেই সাথে অত্যন্ত ভদ্র মানুষও। কিন্তু বেয়াই বেয়ান পাবার আগে বৌমা তার বাবা মা’কেই চিরতরে হারিয়ে ফেলল। তুমিতো এসকল কথাই জানো। বেশ আফসোস হয় মেয়েটির জন্য। আমরা যতই নিজের মেয়ের মতো দেখি না কেন! আবহাওয়া পরিবর্তন করে মেয়েটির বুক জড়ানো জায়গা যে দিনশেষে ফাঁকা রয়েই যায়। ”
” থাক ভাই। এসব কথা মনে না করাই ভালো। এ খুশির আমেজে হঠাৎ করে মেয়েটা বাবা-মায়ের কথা শুনতে পেলে যে বড্ড কষ্ট পাবে। ”
” হুম। ”
ফিরোজ আলম কথার প্রসঙ্গ উল্টোনোর জন্য ঠাট্টা করে বললেন,
” তো বেয়াই মশাই আজ কি এখানে দাঁড়িয়েই দিন পার করার ইচ্ছে আছে নাকি? ”
” ইচ্ছে তো আছেই তোমার জন্য নতুন করে পাত্রী সন্ধান করব বলে। ”
” কি! হা… হা…”
” হ্যাঁ। হা.. হা.. ”
” চলেন ভাই, সবাই হয়তো না খেয়ে বসে আছে আমাদের জন্য। ”
” হুম, চলো। ”
.
তানহা খাবার টেবিলে বসে এক লোকমাও মুখে না দিয়ে খাবার নেড়েই যাচ্ছে। তানহা যখনি খাবার মুখে পুড়তে যায় তখনি চোখমুখ উল্টে খাবার মুখ থেকে নামিয়ে প্লেটে রেখে দেয়। আর একটি একটি করে খাবার নাড়তে থাকে। আবার খাবার নাড়ার মাঝেও কেমন যেন একটা অভক্তির ছাপ ফুটে উঠে। এভাবেই চলছে প্রায় ১০ মিনিট। পাশে বসে অতল সবকিছুই বেশ নিখুঁতভাবে লক্ষ্য করছে।আশেপাশে সকলেরই খাবার প্রায় শেষের পথে। অতল স্থির গলায় বলল,
” খাচ্ছ না যে? ”
তানহা খাবার নাড়তে নাড়তে বলল,
” ভালো লাগছে না। ”
” ওহ্! ”
” হুম৷ ”
কোনো কথা না বলে অর্ধ খাওয়া প্লেটের মাঝেই হাত ধুয়ে অতল উঠে পড়ল। তানহা যে তার এ কান্ড দেখে ড্যাবড্যাবিয়ে তাকিয়ে আছে সেদিকেও পরোয়া করল না। সোজা চলে গেল ফিরোজ আলমের কাছে। আর বলল,
” আংকেল! ”
” হ্যাঁ বাবা, বলো। ”
” আমার শরীরটা তেমন একটা ভালো ঠেকছে না। বিয়ে বাড়ির কাজ তো বুঝেনই। শরীরটা অসার হয়ে আসছে। ক্ষানিকটা বিশ্রাম নিলে হয়তো ভালো হতো। তাই বলছিলাম যে…”
” সামান্য একটি কথার জন্য এতো ঘুরিয়ে বলতে হয় বাবা? আমরা কি পর তোমার যে, বিশ্রাম নেয়ার জন্যও জিজ্ঞেস করতে হবে? ”
” না মানে…”
” আর কিচ্ছু বলতে হবে না। গেস্ট রুম চেনো তুমি? ”
” জ্বি আংকেল। ”
” সেখানে গিয়ে দরজা লক করে বিশ্রাম করো। আর আমি সবাইকে বলে দিচ্ছি কেউ যেন তোমাকে বিরক্ত না করে। কেমন? ”
” ধন্যবাদ আংকেল। ”
” আরে বাবা ধন্যবাদের কি আছে? আমরা আমরাই তো। ”
” জ্বি। ”
” যাও বাবা। রুমে গিয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নাও। ”
” আচ্ছা আংকেল। ”
ফিরোজ আলমের সাথে কথা শেষ করে অতল সোজা চলে গেল গেস্ট রুমে। তবে পেছন পেছন যে তানহাও আসছে সেটি বুঝতে পারেনি অতল। রুমের ভেতর ঢুকে দরজা লক করতে নিলেই দরজায় হাত পড়ে তানহার। তাই দরজা না লাগিয়েই অতল রুমের ভেতর চলে যায়। পেছন থেকে তানহা রুমে এসে দরজা লক করে অতলের উদ্দেশ্যে বলল,
” কি হয়েছে তোমার? কেন এরকম করছ? ”
অতল পেছনে অর্থাৎ তানহার দিকে না ফিরে জানালার বাহিরে মুখ করে দাঁড়িয়ে বলল,
” এই একই প্রশ্নটা যদি আমি তোমাকে করি তানহা? ”
” মানে! ”
” কিছু না। আমার অভ্যেস নেই সব বিষয় নিয়ে মাতামাতি করার। তাইতো কোনো কিছু না বলে চুপচাপ একা ঘরে নিজের মতো করে ক্ষানিকটা সময় কাঁটাতে চেয়েছিলাম। ”
” তুমি কী বলতে চাইছ অতল? ”
” আমার মনে হয় তুমি এতটাও অবুঝ নয়। ”
” তোমার কথার মানে কিন্তু আমি কিছুই বুঝতে পারছি না অতল। ”
এবার অতল আর নিজেকে আটকে রাখতে পারল না। তানহার কাছে এসে তানহাকে এক ঝটকায় নিজের বুকের সাথে মিশিয়ে রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে বলল,
” আমি কি তোমায় ভালোবাসি না তানহা? কোনো কমতি কি পেয়েছ আমার ভালোবাসায়? নাকি তোমার মনের মতো করে ভালোবাসতে পারছি না? কোনটা? ”
” এসব কী বলছ অতল? ”
” ঠিকই বলছি। ”
এমনিতেই তানহার শরীরটা বেশ খারাপ লাগছিল। এরমাঝে অতলের কথাগুলো শুনে মাথাটা যেন ঘুরে যাচ্ছে তানহার। তারপরও নিজেকে যথেষ্ট শক্ত রাখার চেষ্টা করে আধো ভাঙা গলায় বলল,
” আমি কী করেছি অতল? ”
” কাঁদছিলে কেন…..”
অতলের কথা শেষ হবার আগেই তানহা হুট করে নিজের ভর ছেড়ে দিল। মাথার ভর ছেড়ে দিতেই ঘাড় কাত হয়ে পড়তেই অতল পেছন থেকে তানহার মাথা ধরে ফেলল। আর বলল,
” তানহা! এই তানহা! কী হয়েছে তোমার? কথা বলছ না কেন? এই তানহা!”
এভাবে বারংবার ডেকেও তানহার কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে অতল ঘাবড়ে যায়। তানহাকে পাজ কোলে নিয়ে বিছানায় শুয়ে দিয়ে বিছানার সাইড টেবিল থেকে পানি ভরতি গ্লাসটি হাতে নিয়ে ফোঁটা ফোঁটা পানি আঙুল দিয়ে ছিটাতে লাগল তানহার চোখেমুখে অতল। মিনিট দুয়েক বাদেই তানহা মিটমিট করে চোখ দুটো মেলতে আরম্ভ করে। তানহা পরিপূর্ণ ভাবে তাকাতেই অতলের মনের গহীনে লুকিয়ে থাকা ভয়ের পাহার গুলোকে দূরে সরিয়ে কান্না ভেঙে পড়ে তানহাকে বুকে জড়িয়ে।
.
রাত ৮ টা ১৩ মিনিট। বিদায়ের মুহূর্তের সকল কান্নাকাটির পালা শেষ করে কেবলই অতল ও নিদ্রা গাড়িতে উঠেছে।
পেছনে বুক ফেটে কাঁদছে আইরিন বেগম ও ফিরোজ আলম। একমাত্র মেয়ে যে অন্যের ঘর আলো করতে নিজেদের ত্যাগ দিয়ে চলে যাচ্ছে। কাঁদতে কাঁদতে দুচোখ ফুলে গিয়েছে নিদ্রার মা আইরিন বেগমের। কিন্তু আজ এই মায়ের চোখের জল দেখার মতো কেউ নেই। এ কান্নার মাঝেও যে সুখ লুকোনো। তাহলে কী করে চোখের জল আটকাবে তার! তাইতো নিদ্রাদের গাড়ি ছুটে যাচ্ছে মায়ের আর্তনাদকে পেছনে ফেলে।
দুটো মানুষ যে গাড়িতে বসে আছে সামনের সিট থেকে না তাকালে এ জগতের কারো বুঝার সাধ্য নেই। দু’জনই মুখ গোমড়া করে বসে আছে। আর চোখের দৃষ্টি রয়েছে জানালার বাহিরে। অবশ্য নিদ্রার মুখ গোমড়া থাকলে কী হয়েছে সে এই নিয়ে বহুবার চেষ্টা করেছে তিহানের সাথে কথা বলতে। নিদ্রা যে চুপচাপ থাকতে পারে না। দম বন্ধ হয়ে আসে তার। তাই নতুন বউ হয়েও কথা বলার এতো চেষ্টা করেছে। কিন্তু তিহানের মাথা এতটাই বাকিয়ে রেখেছে নিদ্রা কিছু বলতেই পারল না।
মুখ গোমড়া করে বসে থাকতে থাকতে কখন যে শ্বশুর বাড়ি এসে পৌছে গিয়েছে নিদ্রা বুঝতেই পারেনি। কারো হাতের স্পর্শ নিজের কাঁধে পেতেই নিদ্রা চমকে উঠল!
এদিকে নিদ্রাকে চমকাতে দেখে তানহা মুচকি হেসে বলল,
” ভুত আসেনি যে এতো চমকাতে হবে। এসো বাহিরে এসো। ”
নিদ্রা প্রথমে চমকালেও তানহাকে দেখে স্বাভাবিক হয়ে গেল। নতুন বউদের মতো লাজুকলতা নিয়ে কথা না বলে স্বাভাবিক ভাবেই বলল,
” আমরা কি চলে এসেছি? ”
” হুম। তাও অনেকক্ষণ হলো। ”
” তাহলে গাড়ির ভেতর এতক্ষণ বসেছিলাম কেন? ”
” সেটা তো আপনি জানেন ছোট গিন্নী। ”
নিদ্রা কিছুটা চিন্তিত ভঙ্গিতে বলল,
” আমি! আমি কী করে জানব? ”
” তুমি জানবে না তো কে জানবে? গাড়ির ভেতরেতো তুমিই ভাবলেশহীন ভঙ্গিতে বসে রয়েছিলে। যার ফলে এতগুলো ডাকও তোমার কানে যায়নি। ”
” ওহ্! আচ্ছা। ”
” জ্বি। এবার কি নামবে গাড়ি থেকে নাকি গাড়িতে বসেই গল্প করবে? সবাই যে অপেক্ষা করছে তোমার জন্য। ”
তানহার কথা শুনে নিদ্রা চোখ দুটো বড় বড় করে জিহবায় কামড় দিয়ে দিল। অস্থিরতার সাথে গাড়ি থেকে নামতে নামতে বলল,
” অনেক দেরি করে ফেলেছি তাই না? ইশ! সবাই কী ভাববে! ”
” আরে আরে, তুমি এতো অস্থির হচ্ছো কেন? বোকা মেয়ে। এ বাড়ির সবাই ভীষণ ভালো। তোমার এইটুকুনি দেরিতে কেউ কিচ্ছু ভাববে না। বুঝলে? ”
” কিন্তু… ”
” এখন কথা না বাড়িয়ে সামনে এসো। ঘরে গিয়ে যত ইচ্ছে কথা বলো। কেননা নতুন বউ ঘরে যাবার আগেই এতো কথা বললে তখন সবাই কিছু না কিছু ভাববে। বুঝলে? ”
” এই নাও তাহলে আমি চুপ। এক্কেবারেই চুপ। ”
বলেই নিদ্রা নিজের ঠোঁট জোড়া শক্ত করে চেপে রাখল।
এদিকে তানহা নিদ্রার বাচ্চাসুলভ আচরণ দেখে ফিক করে হেসে দিল। আর মরিয়ম বেগমের উদ্দেশ্যে বলল,
” মা! ”
” হুম বলছি। বাবা তিহান…..”
মরিয়ম বেগমের কথার মাঝেই তিহান কড়া গলায় বলল,
” তুমি কী বলবে তা আমি জানি। তাই আগে থেকেই বলে দিচ্ছি। আমি এতো বেহায়াপনা পছন্দ করি না মা। ”
” কী বলছিস এসব তুই? ”
” হুম। আমি কাউকে কোলে টোলে নিতে পারব না। যার ইচ্ছে হয় হেঁটে ঘরে আসবে যার ইচ্ছে হয় আসবে না। এতে আমার করার কিছু নেই। ”
” তুই কী জানিস না আমাদের বাড়ির বউরা প্রথম দিন পায়ে হেঁটে ঘরে প্রবেশ করে না। ”
” পায়ে হেঁটে না আসতে পারলে পালকিতে চড়িয়ে নিয়ে এসো। আমাকে বলছ কেন? ”
” তিহান… ”
” অকারণে দাঁড়িয়ে থাকার কোনো মানে দেখছি না। ভীষণ ক্লান্ত লাগছে আমি চললাম ঘরে। ”
তিহান হনহন করে ঘরের ভেতর চলে গেল। পেছনে যে এতগুলো চোখ তার যাওয়ার পথের দিকে ক্ষীপ্র দৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছে সেদিকে পরোয়া করল না সে। নিজের ইচ্ছেকে প্রাধান্য দিয়ে সবার দৃষ্টিগোচরে চলে গেল।
তিহান যেতেই অতল সবার মুখের দিকে একবার তাকালো। সবার মুখ যেমন তেমন তবে নিদ্রার চোখেমুখে যে চিন্তার ছাপ ফুটে উঠেছে এটা বেশ বুঝতে পারছে অতল। এতটুকু মেয়ে নতুন জীবনের প্রথম দিনই চিন্তার সাগরে হাবুডুবু খাবে এটা মানতে পারছে না অতল। তাই তানহার দিকে একবার তাকিয়ে মায়ের উদ্দেশ্যে বলল,
” তোমার ছোট ছেলে চলে গিয়েছে তো কী হয়েছে? আমি আছি না, নতুন বউ ঘরের ভেতর না হেঁটে গেলেই তো হলো তাই না?”
ভ্রু দুটো কুচকে মরিয়ম বেগম বললেন,
” কেন তুই কী করবি? ”
নিদ্রার কাছে গিয়ে হুট করে নিদ্রাকে পাজ কোলে নিয়ে অতল দাঁত কেলিয়ে বলল,
” আমার ছোট্ট বোনটির বর তো লজ্জায় বউকে ফেলেই চলে গিয়েছে। কিন্তু তার ভাই কি পারবে বোনকে ফেলে যেতে? পারবে না তো। তাই বড় ভাই-ই নাহয় বোনকে কোলে করে ঘরে নিয়ে যাবে! কী বলো নিদ্রা। ”
নিদ্রা হাসোজ্জল মুখ করে বলল,
” ইয়াপ! ভাসুর ভাই। ”
অতল চোখ দুটো বড় বড় করে বলল,
” ভাসুর ভাই? ”
” হ্যাঁ। আপনি তো আমার ভাসুর ভাই। ”
নিদ্রার কথা শুনে সবাই হেসে দিল। আর অতল তো হাসতে হাসতে কুটি কুটি হয়ে যাচ্ছে। এই হাসির মাঝেই বলল,
” হুম। ভাসুর ভাই। হা…হা….”
বলেই অতল ঘরের দিকে এগুতে লাগলো নিদ্রাকে পাজ কোলে নিয়ে।
.
তানহা মিনিট দশেক ধরে আলমারির ড্রয়ার খুলে দাঁড়িয়ে আছে। অতল কিছু জিজ্ঞেস করলেই আলমারি ঠাস করে লাগিয়ে লক করে দেয়। আবার অতল অন্যমনস্ক হলেই তানহা ড্রয়ার খুলে দাঁড়িয়ে থাকে। তানহা হয়তো ভাবছে অতল ব্যাপারটি লক্ষ্য করছে না। কিন্তু অতল যে খুব সুক্ষ্মভাবে ব্যাপারটি লক্ষ্য করছে তানহা আন্দাজ করতে পারেনি। অতল বিষয়টি আরও ক্ষানিকটা শিউর হওয়ার জন্য তানহাকে বলল,
” এই শুনছো? ”
“হুম, হুম বলো। ”
” আমি একটু বাহির থেকে আসছি। তোমার ঘুম পেলে শুয়ে পড়ো। কেমন? ”
অতল কথাটি বলতেই তানহার চোখেমুখে হাসির ঝলক ফুটে উঠল। যেন সে এই সময়টির জন্যই অপেক্ষা করছিল এতক্ষণ যাবৎ। বিশাল একটা হাসির রেখা ফুটিয়ে তানহা বলল,
” আচ্ছা যাও। তবে তাড়াতাড়ি এসো কেমন! ”
” হুম। ”
দরজা বাহির দিয়ে আজিয়ে অতল ঘরের বাহিরে চলে গেল। তবে এ ভাবনা কেবল তানহার জন্য। আসলে যে অতল কোত্থাও যায়নি। দরজার বাহিরে দাঁড়িয়ে দরজার হালকা ফাঁক দিয়ে তানহার দিকে তাকিয়ে রয়েছে।
এদিকে তানহা সেতো মহাখুশি অতল বেরিয়ে যাওয়ার ফলে। কাজটা কত দ্রুত করে ফলাফল জানবে সেই ভাবনায় দিশেহারা। অতল ঘর ছেড়ে বেরোতেই তানহার শুরু হলো ছুটোছুটি করা। বিছানার নিচ থেকে ওয়ান টাইম প্লাস্টিকের গ্লাস হাতে নিয়ে মুচকি একটা হাসি দিল। তারপর আলমারি খুলে ড্রয়ার থেকে একটি খাকি কাগজে মড়ানো প্যাকেট হাতে নিয়ে পা বাড়ালো ওয়াশরুমের দিকে। হঠাৎই আবার থমকে দাঁড়ালো তানহা। মনে মনে ভাবলো,
” প্যাকেটসহ ওয়াশরুমে নিয়ে গেলে প্যাকেট ফালাবে কোথায়!
তার থেকে বরং প্রয়োজনীয় জিনিসটি নিয়ে প্যাকেটগুলো আলমারিতেই রেখে যাই। হ্যাঁ তাই করি। ”
.
.
চলবে….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here