#অন্যরকম_ভালোবাসা
#আফসানানীতু
#পর্ব_১২
অন্তরা সবে ঘুমাবে বলে বেড সুইচ অফ করেছে ওমনি মোবাইলটা বেজে উঠে। স্ক্রিনে স্পন্দনের নাম দেখে কলটা রিসিভ করে অন্তরা। কল ধরতেই স্পন্দন ভরাট কণ্ঠে বলে,
– হ্যালো , কি কর বৌ ?
ওই ডাকটা পাগলটার মুখে এত মানায় যে মুহূর্তেই অন্তরার মনটা ভালো হয়ে যায়। স্মিত হেসে বলে,
– কিছু না , ঘুমাতে যাচ্ছিলাম ।
-আমারে গুড নাইট না বলেই !!!
-আহা, একদিন না বললে কি হয় !
ওপাশে স্পন্দন খানিকক্ষণ চুপ থেকে গম্ভীর কণ্ঠে বলে,
-অন্তু, আমি কদিন ধরেই খেয়াল করছি তোমার মনটা বেশিরভাগ সময়েই খারাপ থাকে। কী হইছে, আমাকে বলবা না?
– নারে, বলার মত তেমন কিছুই হয় নাই।
– অবশ্যই হইছে , আঙ্কেল যেদিন অসুস্থ হল সেদিন থেকে দেখছি তুমি চুপচাপ হয়ে গেছো। তুমিও কি আঙ্কেলের স্ট্রোকের জন্য আমাকেই দায়ী ভাবো?
– ছিঃ তুমি এমন ভাবতে পারলা!!
– নয়তো প্রবলেমটা কি সেটা বলবা তো? আংকেল যেদিন অসুস্থ হলো, সেদিন থেকে তুমি একবারও নিজ থেকে কল দিসো বা চ্যাটের জন্য নক করসো ? আমি আগে ভাবছিলাম আঙ্কেল হসপিটালে তাই হয়তো তুমি ব্যস্ত। কিন্তু এখন তো উনি বাসায় চলে এসেছেন, তারপরও তোমার একই অবস্থা! অন্তু বিশ্বাস করো সেদিন পিয়ন বদি আমাকে নিজে বলছে যে আঙ্কেল এতটা সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠে সকালেই অসুস্থবোধ করছিলেন । আঙ্কেলের এই অবস্থার দায় ভার পুরোটা আমার না।
স্পন্দনের শেষের কথাগুলো অন্তরার কানে আর্তনাদের মত শোনালো।
– আহ্ , তুমি কি পাগল হয়ে গেলে ? আমি তোমাকে আব্বার অবস্থার জন্য দায়ী ভাববো এমনটা তুমি ভাবলে কি করে!!
– তাইলে বল তোমার কি হইসে , বল প্লীজ !
অন্তরা এবার থেমে থেমে শান্তকণ্ঠে বলে,
– আসলে স্পন্দন… আমি নিজেই দোটানায় পড়ে গেছি। তুমি তো জানো আম্মা প্রথম থেকেই তোমার আমার সম্পর্কে নারাজ , ভেবেছিলাম আব্বা সব ঠিক করে দেবে হয়তো। অথচ কি হল দেখো? এদিকে আম্মা সারাদিনে সুযোগ পেলেই আমাকে তোমার ব্যাপারে কথা শোনায়। তোমার আমার সম্পর্কে আম্মা রাজী না, আব্বাও রাজী হবে না বুঝতে পারছি। আমি তাদের একমাত্র সন্তান, তাই তাদের অমতে কিছু করতে মন সায় দেয় না। আবার আমি তোমাকে পাগলের মত ভালবাসি, তাই তোমাকে ছেড়ে থাকার কথাও ভাবতে পারছি না। আমি কী করবো বলতে পারো?
শেষের কথাগুলো বলতে বলতে অন্তরা ফুঁপিয়ে ওঠে। স্পন্দন অন্তরার মনের অবস্থা বুঝতে পেরে খানিকটা লজ্জিত বোধ করে। সত্যিই তো ব্যাপারটা এমন একটা পর্যায়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছে যে বেচারী অন্তরাকে নিজের বাড়িতে একটা অস্বস্তিকর পরিবেশের মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে। এই মুহূর্তে অন্তরাকে কতটা মানসিক এবং পারিবারিক চাপ নিতে হচ্ছে সেটা বোঝার চেষ্টা না করে স্পন্দন এতক্ষণ স্বার্থপরের মত শুধু নিজের কথাই ভাবছিলো! অন্তরার কান্নার শব্দে স্পন্দনের বুকের ভেতর হৃদয়টা দুমড়ে-মুচড়ে যেতে থাকে, ইচ্ছে হয় দৌড়ে গিয়ে তাকে বুকে আগলে ধরতে। সে আদুরে কন্ঠে অন্তরাকে বোঝাবার চেষ্টা করে,
– ধুর পাগল , এটা কোন মন খারাপের বিষয় হল! অন্তু, সবসময় লাইফ আমাদের মনের মত স্মুথলি যাবে এমন তো কোন কথা নেই তাই না? জানি এখন একটা অস্থির সময় যাচ্ছে। কিন্তু যেহেতু আমরা একে অপরকে ভালবাসি তাই আমাদের এই সময়টাতে ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে হবে, একে অপরকে বুঝতে হবে, তুমি কি ভাবছো… আমি কি ভাবছি…অনুভূতিগুলো শেয়ার করতে হবে, এ সময় একা কষ্ট পেলে হবে? একটু ধর্য্য ধর, সব ঠিক হয়ে যাবে। শুধু তুমি আমি ঠিক থাকলেই হবে। তুমি যেমন একমাত্র সন্তান বলে তাদের কষ্ট দিতে চাইছো না তেমনি তারাও নিশ্চই তাদের একমাত্র সন্তানের মনোকষ্টের কারণ হতে চাইবেন না। আজ অথবা কাল আমাদের অবশ্যই মেনে নেবেন তারা দেখে নিও। শুধু তুমি কথা দাও মাঝপথে আমার হাত ছেড়ে দিবানা।
স্পন্দন সবসময় ছেলেমানুষী করে তাই ওর মুখে এমন বুঝদারের মত কথা শুনে অবাক হয় অন্তরা। আবার ভালোও লাগে এমন একটা নির্ভরযোগ্য ছেলেকে ভালোবেসেছে বলে , যার কাঁধে প্রয়োজনে মাথা রেখে কাঁদা যায়। অন্তরার মনটা ভালো হয়ে যায়। সে গাঢ় স্বরে বলে,
– হাতটা ধরেছি কি ছাড়বো বলে?
– এইতো আমার বিল্লো রানীর মত কথা বলসো! আচ্ছা শোনো , তখন কান্নাকাটির জন্য শেষ লাইনটা কি বলসিলা ঠিকমতো শুনতে পাইনি?
– কোনটা ?
– ওই যে তুমি আমারে কি জানি করো পাগলের মত ?
– তুমি মাইর খাবা বুঝসো , সব সময় ফাজলামি!!
স্পন্দন দরাজ গলায় হাসতে থাকে, শুনে অন্তরাও হাসে । হাসতে হাসতে বলে ,
– আস্ত একটা ভোন্দু !!
দুদিন পর ….
– অন্তু প্লীজ, একটু বুঝতে চেষ্টা কর! এমনিতেই একবার শুধু দেখা করতে গিয়েই আঙ্কেলের এই অবস্থা, আর এখন তো উনি অসুস্থ ! আর কটাদিন যেতে দাও , তারপর না হয় দেখা করে আসবোনে।
-আরে বাবা , তুমিও একটু বুঝার চেষ্টা কর। আব্বা আমাকে তোমার সঙ্গে দেখা করার কথা আগেও একদিন বলসে, আমি পাত্তা দেইনি। কিন্তু এখন তো দেখলেই ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে কেবল ওই একই কথা! আব্বা বারবার বলতেছে তার অফিসের ছুটি নাকি শেষের দিকে তাই ছুটি শেষ হওয়ার আগেই যেনো তোমাকে একদিন বাসায় আসতে বলি ।
– কিন্তু আবার যদি কোনো সমস্যা হয় তখন ?
– দেখো, আব্বা এখন যথেষ্ট সুস্থ । আর তাছাড়া এবার আমি থাকছি তো সাথে, সমস্যা হবে না দেখো।
ফোনের ওপাশে কিছুক্ষণ চুপ করে কিযেনো ভাবে স্পন্দন। তারপর একটা দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলে বলে,
-আচ্ছা ঠিক আছে আসবো , হলো ?
অন্তরা হেসে বলে,
-খুব হলো। শোনো … আবার পাগলের মত যা খুশি তাই পরে চলে এসো না কিন্তু, ভদ্রভাবে আসবা প্লীজ !
– ওকে আসবো , আগে luv U বল …….
***
স্পন্দন অন্তরাদের ড্রইং রুমে এসে বসে আছে প্রায় আধা ঘণ্টা হতে চললো। এতক্ষণে একমাত্র তাদের কাজের মেয়ে বানু ছাড়া আর কাউকে ভুলে উঁকিও দিতে দেখা যায়নি। বানু মেয়েটা যে একটু ফাজিল পদের সেটা তার এই আধাঘণ্টার কর্মকাণ্ডে বেশ বুঝতে পারছে স্পন্দন। আসার পর থেকেই মেয়েটা বিভিন্ন ছুতোয় ওর সাথে কথা বলতে আসছে।
শেষবারের কথোপকথন অনেকটা এমন ….
– দুলাভাই কফি খাইবেন ? আমি ভালো কফি বানাইতে পারি।
– দুলাভাই !!! কে তোমার দুলাভাই !!!
– সরি, ভুলে বলসি! তয় আপনে তো হাফ পদের দুলাভাই’ই হন। খালুজানের টেবিলে আপনের আর আপার ছবি দেকসি আমি। আবার আপা যে আপনেরে ভালা পায় সেইটাও আমার জানা।
কথোপকথনের এই পর্যায়ে বানু ওড়না দিয়ে মুখ চেপে হাসে। অন্যসময় হলে বানুর ঠাট্টার জবাবে স্পন্দন নিজেও হয়তো এম্নি কিছু মজা করতো , তবে আজ ও খুবই টেনশনে আছে। তাই এহেন মজা করতে দেখে একপ্রকার বিরক্ত হয় স্পন্দন। কিন্তু কিছুই করার নেই , শ্বশুরবাড়ির কুকুরকেও নাকি সমঝে চলতে হয় আর এতো তার হবু শ্বাশুড়ীর হেল্পিং হ্যান্ড ! তাই কিছু না বলে চুপচাপ বসে থাকে স্পন্দন।
বসার ঘরে এসে অন্তরা দেখে স্পন্দন লক্ষ্মী ছেলের মত সোফায় বসে আছে। আজকে ওকে সত্যিই খুব সুন্দর লাগছে! সাদা প্যান্ট আর আকাশী টিশার্টে ওকে বেশ মানিয়েছে!
অন্তরা মুখ টিপে হেসে বলে,
– বাহ্ , তোমাকে তো ভদ্রবেশে বেশ লাগছে !! এতদিনে মনে হচ্ছে জামাইটা আমার আসলে অতটা দেখতে খারাপ না!
– করো করো… তুমিও যা মজা করার করে যাও! এতক্ষণ তোমাদের ওই ফাজিল কাজের মেয়ে দুলাভাই দুলাভাই ডেকে অস্থির করে রেখে গেছে আর এখন আবার তুমি শুরু করলা।
অথচ, বাহ্ জাতীয় শব্দ তো আমার বলার কথা ! তুমি বললা তুমি বাসায় থাকবা , এসে দেখি তুমি নাই ! পুরো আধা ঘণ্টা ধরে বসে আছি অথচ এরমধ্যে তোমাদের ওই ফাজিল মেয়েটা ছাড়া আর কাউকে দেখার সৌভাগ্য হয় নাই!
অনুযোগ ফুটে উঠে স্পন্দনের কণ্ঠে।
– সরি , হঠাৎ হসপিটাল থেকে ডাকলো। না গিয়ে পারলামই না।রাগ কোরো না প্লীজ , এসে পড়েছি তো।
অন্তরার কথার মাঝেই মুশফিক সাহেব আর সাবিনা ঘরে ঢুকলেন। উনাদের ঢুকতে দেখে অন্তরা থেমে গেলো।
স্পন্দন উঠে দাঁড়িয়ে তাদেরকে সালাম দেয় । মুশফিক সাহেব সালামের জবাব দিয়ে নিজে বসে স্পন্দনকেও ইশারায় বসতে বললেন,
– সরি, তোমাকে অনেকক্ষণ বসিয়ে রাখলাম। আসলে তুমি আসার একটু আগেই আমি হুট করে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম, তাই ওরা আর কেউ ডাকার সাহস করেনি।
– না না , ঠিক আছে।
– অন্তরা তুই না হয় ফ্রেশ হয়ে আয়, তারপর কথা বলি ?
– না আব্বা কোনো সমস্যা নেই , তুমি বলো।
বলেই অন্তরা স্পন্দনের মুখোমুখি একটা সোফায় বসে পড়ে, যাতে প্রয়োজনে স্পন্দনের সঙ্গে চোখাচোখিটা সহজ হয়। আসলে ভেতরে ভেতরে অন্তরা ভয়ে মরে যাচ্ছে , যদি ওর অনুপস্থিতিতে আবার গোলমেলে কিছু ঘটে যায় ?
সাবিনা ঘরে ঢোকার পর থেকে এই পর্যন্ত একটা কথাও বলেননি , শুধু চেয়ে চেয়ে দেখছেন ছেলেটাকে। স্পন্দন হঠাৎ উনার দিকে ফিরে বেশ সাভাবিক ভঙ্গিতে জিজ্ঞেস করে,
-কেমন আছেন আন্টি ?
সাবিনা একটু ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলেন , তারপর আমতা আমতা করে বললেন,
-এইতো আছি ভালই , তুমি ভালো আছো তো ?
– আর আন্টি ভালো ! সেদিন আঙ্কেল যা ভয় পাইয়ে দিয়েছিলেন ! আঙ্কেলের কত সাহস বলুন তো ? একা একা অতগুলো সিঁড়ি টপকানো যা তা কথা এই বয়সে !
স্পন্দনের সাবলীল ভঙ্গীতে কথা বলাটা ভাল লেগে গেলো সাবিনার । মনে মনে ভাবলেন ছেলেটা অতো ফেলনাও নয় , যতই হোক তাদের অন্তরার পছন্দ বলে কথা …..
মুশফিক সাহেব এতক্ষণ চুপ করে ওদের কথা শুনছিলেন।এবারে গলা খাঁকারি দিয়ে সবার মনোযোগ আকর্ষণ করলেন , তারপর গুরুগম্ভীর কণ্ঠে বললেন,
– দেখো স্পন্দন অন্তরা আমার একমাত্র সন্তান। ছেলেবেলা থেকেই ওকে আমরা খুব আদরে মানুষ করেছি । আমি কখনোই ওর কোন ইচ্ছাতে বাধা দেইনি । তোমার বায়োডাটা আমি চেক করেছি। তোমার রেজাল্ট শুধু ভালো না, বেশ ভালো! তোমাদের ফেমিলি ব্যকগ্রাউন্ডও ভালো , শুধু তোমার ওই বসে থাকার ব্যপারটা আমরা ঠিক মেনে নিতে পারছিনা।
– না ,না আঙ্কেল আমি তো শুধু দুই বছরের …..
এটুকু বলেই স্পন্দন থেমে যায় , দেখে অন্তরা চোখ মটকে তাকে না করছে বলতে। ব্যাপারটা বুঝতে পেরে স্পন্দন নিজেও খানিকটা দমে যায়,ভাবে… একবার ছুটির কথা বলতেই ভদ্রলোক হাসপাতালে যাত্রা করেছিলেন আর এখন তো উনি অসুস্থ। সুতরাং এসব বোধহয় না বলাই ভালো এখন। তাই সে কথা ঘুরিয়ে বেশ স্বতস্ফূর্ত মেজাজে বলে,
– আঙ্কেল, আমি আমার বাবার ব্যবসাই দেখবো। তাই আপনি নিশ্চিন্তে থাকেন। আমি খুব শীঘ্রিই কাজে নামবো। এমনিতে আমি ঘরে বসে থাকার ছেলে না একদম, তার উপর যেই কাজে হাত দেই সেটা অবশ্যই মনোযোগ দিয়ে ভালোভাবে করার চেষ্টা করি। সুতরাং আপনি আমার ক্যারিয়ার নিয়ে নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন।
– হুমম, মানলাম। এ কয়দিনে আমিও খুব ভেবেছি। ভেবে দেখলাম যেই ছেলে শুধু তার ভালোবাসা বাঁচাতে আমার মত ভারী বোঝা কাঁধে নিতে পারে সে তার ভালোবাসার বোঝাও দায়িত্বের সাথে বহন করতে পারবে আশা করা যায়। কি… পারবে তো বাবা আমার আদরের মেয়েটাকে মাথায় করে রাখতে?
স্পন্দন অন্তরা দুজনেই অবিশ্বাস ভরা নয়নে তাকিয়ে থাকে মুশফিক সাহেবের দিকে। একটু আগেও যেটা অসম্ভব মনে হচ্ছিলো সেটা যে এত তাড়াতাড়ি সমাধা হয়ে যাবে ভাবতেও পারেনি ওরা। মুশফিক সাহেব দুজনের চেহারার দিকে তাকিয়ে স্মিত হাসেন, তারপর ওদের চমকে দিয়ে গাঢ়স্বরে বলেন ,
– তবে আমার একটা শর্ত আছে।
মুশফিক সাহেবের কথায় স্পন্দনের মনে হল ঘরে যেন বিনা মেঘে বজ্রপাত ঘটলো। ওদের সম্পর্ক নিয়ে তার আর কোন সমস্যা নেই শুনে যেই স্বস্তিটুকু তাকে পেয়ে বসেছিল মুহূর্তেই সেটা বুদবুদের মত উবে যায়। সে শুকনো কন্ঠে জানতে চায়,
– শর্ত !?
– হুমম , তবে তার জন্য তোমার বাবা মায়ের সাথে কথা বলতে হবে।
মুশফিক সাহেবের একের পর এক আক্রমণাত্মক প্রস্তাবে স্পন্দন মনে মনে বলে,বেশ বুঝতে পারছি আমাকে ডেকে এনে সবার সামনে পজিটিভলি হালাল করার ধান্দায় আছেন আপনারা, তবে আমিও এত সহজ পাত্র নই। দেখা যাক, এবারের খেলায় কে জেতে।
চলবে …..