অরূপ_জ্যোৎস্না
পর্ব-২
লেখনীতে-তানিয়া শেখ
মোবাইলের রিংটোন বেজে উঠতে ঘুম ভেঙে গেল দুর্জয়ের। সাইড টেবিল হাতরে মোবাইলটা হাতে নিলো। চশমা পরার ঝামেলায় গেল না। ঘুম ঘুম আবছা চোখে স্ক্রিনে ভাসা নামটা দেখল “মনসুর ভাই”। ভুরু কুঁচকে যায়। এই ভোরবেলায় মনসুর ভাই কেন কল করল? কল রিসিভ করে কানের ওপর রেখে ফের চোখ বন্ধ করে। ঘুম জড়ানো গলায় বলল,
“বলেন মনসুর ভাই।”
“আসসালামু আলাইকুম ডাকতর সাব।”
মনসুরের গম্ভীর গলার সালামে ঘুমের মধ্যে মুচকি হাসল দুর্জয়। সালামের জবাব দিতে মনসুর বলল,
“আপনাকে যে এক্ষুণি একটু সৈয়দ বাড়ি আসতে হয় ডাকতর সাব। সৈয়দ সাহেবের বিপি বেজায় বেড়েছে। ম্যাডাম বলল আপনাকে জরুরি তলব করতে।”
দুর্জয় আর্থিক দৈন্যদশা ঘুচানোর পাশাপাশি মানবসেবার ব্রত নিয়েই ডাক্তারি পাশ করেছে।
কিন্তু এই মুহূর্তে ওর বিছানা ছাড়তে বড়ো কষ্ট হচ্ছে। শরীরটা অবসন্ন। রোগি দেখে গতকাল মধ্য রাতে বাসায় ফিরেছে৷ এরপর এটা-সেটা করতে করতে ঘুমাতে আরও দেরি। হয়তো দু ঘণ্টা ঘুমিয়েছে কি না সন্দেহ। জোর করে শরীর টেনে বিছানা ছাড়ল। গোসল সেরে তৈরি হয়ে গাড়ি করে রওয়ানা হলো সৈয়দ বাড়ির উদ্দেশ্যে।
বছর তিনেক হয় সে ইকরাম আজাদের পারিবারিক ডাক্তার হয়েছে। ওর এই ত্রিশ বছরের জীবনে ইকরাম আজাদের অবদান অনেক। মেডিকেলে চান্স পাওয়ার পর যখন অর্থ সংকটে পড়েছিল, ওর কৃষক পিতা এই ইকরাম আজাদের সামনে এসে হাত জোড় করে কেঁদেছিল। লোকে বলে ইকরাম আজাদের দয়ার হৃদয়। বাল্যকাল থেকেই মানুষকে তিনি মানুষ বলেই ভালোবেসেছেন। তরুণ বয়সেই জনসেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেন। অসহায় মানুষকে সাহায্য করতে কার্পণ্য করেননি কোনোকালেই। ওকেও ফিরিয়ে দেননি সেদিন। ডাক্তারি পড়ার যাবতীয় খরচ বহন করেছিলেন। ইকরাম আজাদের সাথে সাথে এই ব্যাপারে তাঁর মরহুম বড়ো ভাইয়ের প্রতিও কৃতজ্ঞ দুর্জয়।
আজ দুর্জয় ডাক্তার। সম্মান বা টাকার অভাব আজ আর নেই। কৃষক বাবার দুঃখ দুর্দশা ঘুচেছে। গ্রামের কুঁড়ে ঘর ভেঙে দালান গড়েছে সে। বাবা-মা ভাই-বোনগুলো সুখেই আছে। ওদের সুখেই দুর্জয় সুখী। যার জন্য এতকিছু পেল তাঁকে কিছু না দিলে হয়? তাইতো ইকরাম আজাদ যখন মুখ ফুটে তাঁকে পারিবারিক ডাক্তার করতে চাইল সে না করতে পারেনি। হাসপাতাল, চেম্বার বা যত জরুরি কাজই থাক না কেন ইকরাম আজাদের এক ডাকে ছুটে আসে দুর্জয়। কৃতজ্ঞতাবোধে আসতেই হয় ওকে।
তিনতলার পুরোনো বাড়ির গেটে এসে থামল দুর্জয়ের মারুতি। এই বাড়িটিতে সৈয়দরা চারপুরুষ ধরে বাস করে আসছে। আগে অবশ্য দ্বিতল ছিল। ইকরাম আজাদ তৃতীয় তলা বানিয়েছেন নিজ প্রয়োজনে। সেখানে তাঁর রাজনৈতিক কাজকর্ম, দলের লোকের আনাগোনা ইত্যাদি বাহিরের কাজগুলোর হয়। ইকরাম আজাদ এই তল্লাটের ধনাঢ্য ব্যবসায়ী ও একজন বিশিষ্ট রাজনৈতিক নেতা। যেমন লোকের সমীহ পান তেমন শত্রুও কম নয়। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ, ব্যবসায়িক প্রতিদ্বন্দ্বী ইত্যাদি নানান শত্রু। নিরাপত্তা বেষ্টনীতে ঘেরা তাই বাড়িটি। দারোয়ান ওর গাড়ি চেনে। সালাম দিয়ে গেট খুলে দিলো। অথচ, একদিন এই গেটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে দারোয়ানের হাত-পায়ে ধরার পর গেট উন্মুক্ত হয়েছিল। সেইদিন আর এইদিন! দুর্জয় তবুও অতীত ভাবে।
সদর দরজায় কলিং বেল তিনবার টিপতে মনসুর দরজা খুললো। চল্লিশোর্ধ্ব, মাঝারি গড়নের, মাথায় কাঁচা পাকা চুল, চোখ দুটো তীক্ষ্ণ। ইকরাম আজাদের বিশ্বস্ত চাকর সে। সব সময় মুখটা গম্ভীর। হাসলেও গম্ভীরতা থেকে যায়। প্রথম প্রথম লোকটাকে ভয় পেত দুর্জয়। তেমনই তো তীব্র চাহনি। এখন অবশ্য মনসুরকে ওর ভালো লাগে। মনে হয় মনসুরের এই কাঠিন্য কেবল বাইরের। ভেতরে সে খুব কোমলপ্রাণ। দুর্জয় সালাম দিলো। মনসুর জবাব নিলো, হাসল না। আজ কোনো কারণে তার মনটা ভার। দুর্জয় প্রশ্ন করতে চেয়েও করল না। মনসুর সোজা ইকরাম আজাদের শোবার ঘরে নিয়ে এলো। বিছানায় শুয়ে আছেন তিনি। দীর্ঘদেহি, উজ্জ্বল গায়ের রঙ। যৌবনে ভীষণ সুদর্শন ছিলেন। এখনও কি কম? ক্ষমতা, প্রতিপত্তির জৌলুশ ও ঠাঁট তাঁর সর্বাঙ্গে প্রকাশ পায়। পঁয়তাল্লিশ কেবল সংখ্যা তাঁর ক্ষেত্রে।
“আজ আপনাকে বড্ড বেশি অসুস্থ দেখাচ্ছে সৈয়দ সাহেব।” চেয়ার টেনে বসল দুর্জয়। ইকরাম আজাদ বিমর্ষ মুখে বললেন,
“আজ আমি সত্যি অসুস্থ ডাক্তার। শরীর ও মন দুইয়ে।”
নিজের সীমানা দুর্জয়ের জানা। কোনো প্রশ্ন করল না। বিপি মাপতে মাপতে বলল,
“আপনাকে তো নিষেধ করেছি এতটা স্ট্রেস নেবেন না। ওমন একটা দায়িত্ববান ভাতিজা থাকতে এত কি চিন্তা করতে হয় আপনাকে বলুন তো? ওকে সামনে পেলে হয়। আচ্ছা মতো বকে দেবো। কাকাকে এই বয়সে এত স্ট্রেস নিতে কেন দেয়?”
“যার গুনগান করছ সেই যে আমার এই অসুস্থতার কারণ ডাক্তার।”
ভুরু কুঁচকে তাকায় দুর্জয়।
“এহসাস!”
“ওর নাম নিয়ো না আমার সামনে। ওর কারণে বিপি বেড়েছে। হার্ট অ্যাটাক করিয়ে ছাড়বে ওই ছেলে আমার। অ্যাটেম্প টু মার্ডার আর ডাকাতির চার্জ লেগেছে মহাশয়ের ওপর। নিজের ভবিষ্যতের সাথে সাথে আমার মান ইজ্জত পায়ে পিষে ফেরারি এখন সে।”
দুর্জয় নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারছে না। বিস্ময়হত হয়ে রইল কিছুক্ষণ। এহসাস গুন্ডামি মাস্তানি করতে পারে, কিন্তু কাওকে খুন করতে পারে এই কথা কেন যেন দুর্জয় মানতে পারে না।
“ও কেন কাওকে খুন করতে যাবে?” বিস্ময় আবেগে বলেই ফেললো। একরাম আজাদ থম ধরে পরে ক্রুদ্ধ কণ্ঠে বললেন,
“সে ওই জানে। এখন তার হদিস পর্যন্ত পাচ্ছি না। শুনেছি যাকে গুলি করেছে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। মরে মরে অবস্থা। ওই ছেলে মরলে এহসাসের বাঁচাও দায় হয়ে যাবে ডাক্তার। বাপ-মা মরা ছেলেটা। নিজে কোলেপিঠে মানুষ করেছি। এই চোখে ওর সর্বনাশ হতে দেখি কী করে বলো তো? ওর চিন্তায় আমার যে শ্বাস আঁটকে আসে ডাক্তার।”
ইকরাম আজাদের শ্বাস সত্যি অস্বাভাবিক হতে লাগল। দুর্জয় কী বলবে বুঝে ওঠে না। এহসাস এমন একটা কান্ড ঘটাবে হজমই হচ্ছে না। ইকরাম আজাদ একসময় নিজ থেকেই শান্ত হলেন। এই মানুষটাকে মাঝে মাঝে বুঝতে পারা দায়। এই যেমন এখন তাঁর গম্ভীর মুখ দেখে ভেতরে কী চলছে বোঝা মুশকিল। দুর্জয় ঔষধ দিলো। ওর পরামর্শে শান্ত হয়ে শুয়ে পড়লেন আবার ইকরাম আজাদ। একটু পরেই ঘুমিয়ে গেলেন।
ইকরাম আজাদের রুম থেকে বেরোতেই তাঁর যুবতি স্ত্রীর সম্মুখে পড়ল দুর্জয়। অনিন্দ্য সুন্দরী মেয়েটি। যেমন গায়ের রঙ তেমন রূপ। যে কোনো পুরুষের চোখে ধাঁধা লাগিয়ে দেবে সেই রূপ। কিন্তু দুর্জয় জানে এই রূপ মরীচিকা। এই মেয়ে মরীচিকা। যার মোহে ইকরাম আজাদরাই কেবল পড়ে। অন্যরা হয় ভয়ে নয় আফসোসে মরে। দুর্জয় প্রথম পক্ষের দলে।
“এখন কেমন আছেন উনি?” প্রশ্ন করল ইকরাম আজাদের নববধূ ক্যামেলিয়া। গলাটা ফ্যাসফ্যাস করছে। কেঁদেছে কি? দুর্জয় অন্যদিকে তাকিয়ে বলল,
“এখন ভালো। ঘুমিয়েছেন। ঘুম ভাঙলে কিছু খাইয়ে ঔষধ খাইয়ে দেবেন। মনসুর ভাইকে দিয়ে পাঠিয়ে দেবো ঔষধ।”
ক্যামেলিয়া মাথা নাড়াতে দুর্জয় সামনে পা বাড়ায়।
“নাশতা দিতে বলি বুলুর মাকে।” বলল ক্যামেলিয়া। দুর্জয় থামল না। বলল,
“আজ থাক। একটু তাড়া আছে। চলি।”
হনহন করে সিঁড়ি বেয়ে নিচে নেমে এলো। তাড়া-টারা অজুহাত। এ বাড়িতে যতক্ষণ থাকে কেন যেন অস্বস্তি হয়। ক্যামেলিয়ার সামনে আরও বেশি।
“বাবাকে কেমন দেখলেন?” থেমে যায় ওর পা। কপালের কুঞ্চন সমান হয়। ঠোঁটে ক্ষীণ হাসি দেখা দেয়। কিন্তু মুহূর্তে আবার গোপন করে।
“বললেন না?”
মেয়েটি সামনে এসে দাঁড়ায়। সদ্য কৈশোর পেরিয়ে এলেও সেই চঞ্চলতা এখনও ওর মধ্যে বিদ্যমান। ভোর স্নিগ্ধ কিন্তু সকাল স্নিগ্ধতর, নির্মল। ঘুম থেকে জেগে উঠেই সামনে এসেছে বোধহয় ও। ঘুম জড়ানো ফোলা ফোলা চোখ, শুকনো গোলাপি ঠোঁট, পিঠ আর কাঁধে ছড়ানো এলোমেলো কোঁকড়া চুল। ওড়নাটা পর্যন্ত ভুলে এসেছে। ওর সামনে দাঁড়িয়েই হা করে হাই ছাড়ল। এই মেয়ের আক্কেল বলতে কিছু নেই আর হবেও না। কোনো যুবকের সামনে এমন উদ্ভট বেশে একজন মেয়ে আসতে পারে? মেয়ে নয় বাচ্চা মেয়ে। নিজেকে সতর্ক করে দুর্জয়। তবুও ফ্রেশ হয়ে, চুল আঁচড়ে পরিপাটি বেশে মার্জিত ভঙ্গিতে এলে ওর কি জাত চলে যেত! দুর্জয় একজন ভ্যালুলেস পার্সন সেটা দেখানোর জন্যই কি এমন করে আসা?
“ভালো।” বলেই পাশ কেটে আবার হাঁটতে লাগল।
“ভালো! কেমন ভালো?” পিছু নিলো মেয়েটা।
“গিয়ে দেখে এলেই তো পারো।”
“না, পারি না। বাবার রুমে এখন ওই ডাইনিটা আছে। জানেনই তো ওই ডাইনি, রাক্ষসীকে আমার চোখে সয় না। ওর সামনে গেলে কি মনে হয় জানেন? মনে হয় আমাকেও বাকিদের মতো গিলতে চায়।”
দুর্জয় আচমকা থামতে মেয়েটি ওর গায়ের ওপর ধাক্কা খেল। টাল সামলাতে ওর পিঠ খামচে ধরে। দুর্জয়ের সমস্ত দেহ ঝিনঝিন করে উঠল। ছিটকে সরে দাঁড়ায়। মেয়েটি বোকার মতো তাকিয়ে রইল। তারপর একবার পলক ফেলে বলল,
“আমি কি বিদ্যুৎ? এভাবে সরে গেলেন কেন?”
“বিদ্যুতের চেয়ে কম কীসের।” মনে মনে বললেও মুখে বলল,
“দুচোখ আল্লাহ পাক দেখে চলার জন্য দিয়েছে। বন্ধ করে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে চলতে বলেনি। এত অগোছালো কেন তুমি, ঈপ্সা? আর উনাকে ডাইনি কেন বললে? হাজারহোক মা হয়_”
“সৎমা।” ঈপ্সা ঝাঁঝিয়ে ওঠে,” তাঁকে ডাইনি বলাতে আপনার আঁতে লাগল কেন? ভালো লাগে খুব, না? লাভ নেই। আমার বাপের মতো টাকা এবং ক্ষমতা না থাকলে ও আপনার হবে না।”
দুর্জয় কটমট করে তাকাল। এগিয়ে এলো দুকদম। মেয়েটি ঠাঁই দাঁড়িয়ে আছে। চোখ স্থির। দুর্জয় ওর চোখে চোখ রেখে বলল,
“টাকা দিয়েই সব দেখো তাই না, ঈপ্সা? তা দেখবে না কেন। টাকাওয়ালা বাপের মেয়ে তুমি। তোমরা আসলে ভালোবাসা কি কোনোদিন বুঝবে না। লোককে শাসন করার ক্ষমতা তো আছে তোমাদের, কিন্তু ওই লোকদের হৃদয়ের ভালোবাসা পাওয়ার ক্ষমতা কোনোদিন হবে না। সারাজীবন টাকা টাকা করেই শেষ হয়ে যাবে। টাকার কাঙ্গাল।”
ঈপ্সার চোখ জ্বলতে লাগল। লজ্জায় ফর্সা গাল অরুণ রাঙা হয়ে যায়। দুর্জয় বড্ড বেশি বলে ফেলেছে আজ। বাবার আদরের দুলালি এখন যদি কেঁদে কেঁদে ওর নামে বিচার দেয় তবে দুর্জয় শেষ। ইকরাম আজাদের এক আঙুলের ইশারায় যথেষ্ট ওকে নিশ্চিহ্ন করতে। সেই ভয়ের পাশাপাশি ঈপ্সার কম্পিত ঠোঁটে চেয়ে অপরাধবোধও কম হলো না। চট করে ঘুরে হনহনিয়ে বেরিয়ে গেল এই বাড়ির বাইরে। ঈপ্সা সজল চোখে সেই পথপানে চেয়ে রইল। তারপর অস্ফুটে বলল,
“কত খারাপ এই ডাক্তার! বদ ডাক্তার কোথাকার! আমাকে না কাঁদালে আপনার পেটের ভাত হজম হয় না, না? দোয়া করি আপনার বউ আপনাকে যেন উঠতে বসতে কাঁদায়। কাঁদতে কাঁদতে আপনার পেটে গ্যাস হউক, লুজ মোশন হউক। তবুও যেন বউটা কাঁদিয়েই যায়।”
“আম্মাজান।”
পেছন থেকে মনসুর ডাকল।
“কী হয়েছে?”
চিৎকার করে ওঠে ঈপ্সা। মনসুর ভুরু কুঁচকে বলে,
“আপনে কান্দেন ক্যান আম্মাজান? কে কী কইছে খালি কন দেহি একবার।”
“বললে কী করবে? তার বুক চিড়ে হৃদপিণ্ড এনে দিতে পারবে?”
“হ, পারমু। খালি কইয়া দেখেন।”
“কাটখোট্টা, বদমেজাজি লোকের হৃদপিণ্ড দিয়েই বা করব কি। লোকটা একটু ভালোবাসতে শিখুক তারপর না হয় তোমাকে নাম বলব।”
হাতের উলটো পিঠে চোখ মুছে বলে,
“দাদাভাইয়ের কোনো খোঁজ পেলে মনসুর চাচা?”
“না গো মা। তবে জলদি পাইয়া যামু। হতাশ হইলে আল্লাহ নারাজ হয়। আপনে__”
ঈপ্সার বাকি কথা শুনতে ইচ্ছে করে না। রুমের দিকে যেতে যেতে বলে,
“আজ আমি সারাদিন রুমে থাকব। আমাকে যেন কেউ ডিস্টার্ব না করে মনসুর চাচা। আজ আমার কান্নার দিবস। দিনরাত কাঁদব। এইজন্য দুজন ব্যক্তি দায়ী। এক দাদাভাই, আরেকজন ওই ডা… শ্রাবণের বর্ষার মতো আমার দুচোখে বারি ঝরুক।”
চলবে,,,
এহসাস(এহ্+ছাছ)। নামটি আমার কাছে বিশেষ তাৎপর্যবহন করে। কোনো হিন্দি সিরিয়াল ফিরিয়াল দেখে রাখা নয়। আমার এক মরহুমা বান্ধবীর প্রিয় নাম এটি। ওর অকাল মৃত্যু আজও আমায় দুঃখভারাক্রান্ত করে। নামটি ওর স্মরণেই ব্যবহার করা। আশা করব নামটি নিয়ে আপনারা অভিযোগ উঠাবেন না।