অ্যাটলাস শৃঙ্গে লেখনীতে : নাফিসা তাবাসসুম খান ২৩.

অ্যাটলাস শৃঙ্গে
লেখনীতে : নাফিসা তাবাসসুম খান
২৩.

ফাতিহ যখন রাতে নিজের বাড়ি ফিরলো তখন সে অনুভব করলো তার সম্পূর্ণ বাড়ি কেমন অবসাদের ছাঁয়ায় ঢাকা পড়ে আছে। ল্যায়লার তার বাসায় স্থায়িত্ব খুব অল্প দিনের জন্য ছিলো। কিন্তু তবুও এই বাসার প্রতিটা কোণা যেন তার শূণ্যতার জানান দিচ্ছে।

ফাতিহ নিজের শরীর টেনে ধীর পায়ে ল্যায়লা যেই রুমটাতে ছিলো সেই রুমের দিকে অগ্রসর হয়। দরজা খুলে ভিতরে প্রবেশ করতেই তার চোখ সর্বপ্রথম পরে বেডসাইড টেবিলে রাখা একটা রঙিন কাগজে মোড়ানো বাক্সের দিকে।

ফাতিহ এগিয়ে গিয়ে সেই বাক্সটা হাতে নিয়ে বিছানায় বসে। প্রাণহীন দৃষ্টিতে সে বাক্সটা থেকে আবিষ্কার করা একটা পেন আর চিরকুটের দিকে তাকিয়ে থাকে। চিরকুটে গোটা ইংরেজিতে লেখা,

” তুমি আমাকে আমার জীবন ফিরিয়ে দিয়েছো। কিন্তু একজন সেলিব্রিটিকে দেওয়ার মতো আমার কাছে তেমন কিছু নেই। তবুও নিজের শুভাকাঙ্ক্ষীদের অটোগ্রাফ দেওয়ার ক্ষেত্রে হয়তো তোমার প্রয়োজন হতে পারে ভেবেই এটা দেওয়া। ”

ফাতিহ ফিচলে হাসে। মেয়েটা উপহার দেওয়ায় বড্ড কাঁচা। বিছানায় গা এলিয়ে দিয়ে চোখ বুজে রাতের সোনালী চাঁদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুড়ে,

” বলতো চাঁদ, অনুশোচনার অনল বেশি তপ্ত নাকি ফের হারানোর বেদনা? ”

__________

ল্যায়লা দেশে ফিরেছে আজ প্রায় অনেক দিন। দেশে ফিরে সে আর ফারদিনের বাড়ি ফিরে যায় নি। হোটেলে উঠেছে। উত্তরাধিকার সূত্রে রাদিফের যা প্রোপার্টি ছিলো সেইসব বর্তমানে ল্যায়লার নামে সংরক্ষিত আছে। সেই প্রোপার্টির একটি অংশ হিসেবে রাদিফের বাড়িটাও ল্যায়লার ভাগে এসেছে। কিন্তু ল্যায়লা সেই বাড়িতে ফিরতে চায় না। না সে ফারদিনের বাড়িতে ফিরতে চায়। এই দুটো বাড়িই তার কাছে আজাবখানা থেকে কোনো অংশে কম নয়। এজন্যই তো সে দেশে ফিরে রাদিফের বাড়ি বিক্রি করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। ভাগ্য সুপ্রসন্ন হওয়ায় খুব দ্রুতই ল্যায়লা সেই বাড়ি সেল করতে সক্ষম হয়।

অত:পর নিজের একা থাকার জন্য আলাদা একটি ফ্ল্যাট ক্রয় করে বসুন্ধরায়। টুকটাক প্রয়োজনীয় জিনিসপাতি দিয়ে নিজের ঘর নিজের মতো করে ছিমছাম ভাবে সাজিয়ে নেয়। জীবন থেমে থাকে নি তার। চলছে আপন গতিতে। তবে বদলেছে খানিকটা অভ্যাস। জীবনে সোশ্যাল মিডিয়া এডিক্টেড না হওয়া মেয়েও আজকাল কাঙ্ক্ষিত মানুষের ইন্সটাগ্রাম আইডিটা দিনে বেহিসাব বার চেক করে। কখনো খেলার প্রতি ঝোঁক না থাকা ল্যায়লা কি-না প্রায়ই মাঝরাতে টিভির সামনে বসে ক্লাব ফুটবল ম্যাচও দেখা শুরু করেছে। কখনো ম্যাচ শেষে ফেলা আসা মানুষটার হেরে যাওয়া বিপন্ন মুখশ্রী দেখে নিজের মনে দুঃখ পালে তো কখনো সেই মানুষটার করা গোলে উল্লাস সরূপ ঠোঁটের কোণে হাসি আঁকে।

__________

ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়। ল্যায়লা দেশে ফিরে এসেছে প্রায় দু-মাস হতে চললো। নিজের নতুন জীবন এবং ঘর এখন তার অনেকটাই সাজানো হয়ে গিয়েছে। ফাতিহকে দেওয়া কথা সে রেখেছে। সুইসাইডের চিন্তা আর মাথায় আনে নি সে। দেশে ফিরে নিজের ড্রপ দেওয়া সেমিস্টারটাও আবার নতুন করে শুরু করে। আপাতত এটাই তার জীবন।

পরের মাসেই ল্যায়লা আবার নিজের ক্যামেরা নিয়ে জঙ্গলে নিরুদ্দেশ হবে। সেইজন্যই সন্ধ্যায় বেরিয়েছিলো কিছু প্রয়োজনীয় জিনিসপাতি কিনতে। বাসায় ফেরার জন্য বের হতেই সে কি তুমুল বৃষ্টি! এখন তো বর্ষাকাল না। তবে এই অসময়ে বৃষ্টির আগমন কেনো ঘটলো? প্রকৃতিও হয়তো মাঝেমধ্যে অবাধ্য আচরণ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে।

ল্যায়লা আর তেমন একটা মাথা ঘামায় না। আপাতত সে বাসায় ফিরতে পারলেই হাফ ছেড়ে বাঁচে। বৃষ্টি তার অপছন্দের। চরম অপছন্দের! আশেপাশে কোনো রিকশা খুঁজে না পেয়ে সে বর্ষণ মাথায় নিয়েই বাসার দিকে রওনা হয়৷ কেবল পনেরো মিনিটের রাস্তা।

__________

বাংলায় একটি প্রবাদ বাক্য আছে। আমি যাই বঙ্গে, কপাল যায় সঙ্গে। ল্যায়লারও হলো একই দশা। একেতো এই অনাকাঙ্ক্ষিত উইন্টার রেইন, তার উপর আবার তাড়াহুড়ো করে বাসার কাছাকাছি আসতেই সে আচমকা পা পিছলে পড়ে যায়। এতো খারাপের মাঝে এক ভালো হলো এই মুহুর্তে আশেপাশে কেউ নেই। নাহয় কি লজ্জাজনক এক পরিস্থিতি সৃষ্টি হতো।

হাতের কুনুইয়ের এদিকে বেশ খানিকটা ছিলে গিয়েছে। প্রচন্ড জ্বলছে। পায়ের দিকে তাকাতেই ল্যায়লা দেখে জুতোর একটা বেল্টও ছিড়ে গিয়েছে। ল্যায়লার মনে পড়ে যায় ফাতিহর বলা কথাটা,

” জুতোর ফিতে আজীবন শক্ত করে বাধবে। নাহয় প্রতি কদমেই হোঁচট খেয়ে পরবে। ”

ফাতিহর কথা মনে পড়তেই আনমনে হাসে সে। আচমকা নিজের সামনে ব্রেক কষা গাড়ির আওয়াজ এবং হেডলাইটের আলোয় ল্যায়লার ধ্যান ভাঙে। সে চোখ কুচকে সামনে তাকায়। তীব্র বর্ষণে গাড়ি থেকে যেই পুরুষ নামে সে আর কেউ নয় বরং ইয়াসির।

এতো বছর পর ইয়াসিরকে দেখেও সাথে সাথে তাকে চিনতে পারে ল্যায়লা। এই চেহারা যে সে জীবনে ভুলতে পারবে না তা তার ভীত মুখ দেখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে।

ইয়াসির নিজের সামনে রাস্তায় পড়ে থাকা ল্যায়লাকে দেখে সাহায্যের জন্য এগিয়ে যেতে গিয়েও আর আগায় না। ল্যায়লার ভীত চেহারা দেখে তার অনুশোচনা বোধ আবার জেগে উঠে। মেয়েটা আর আগের মতো নেই। হাতে পায়ে বেশ লম্বা হয়েছে। ছোটবেলার গোলগাল মুখটায় যেন কোনো মাংস অবশিষ্ট নেই। গায়ে পরিহিত থ্রি পিসটা যেন বলে দিচ্ছে সে আর ওই বাচ্চা ল্যায়লা নেই। সে এখন একজন সম্পূর্ণ নারী।

ইয়াসির নিজের দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে এক কদম সামনে আগাতে নিলেই ল্যায়লা মাটিতে বসে থাকা অবস্থায়ই হাতে ভর দিয়ে খানিকটা পিছিয়ে যায়। বিড়বিড়িয়ে বলতে শুরু করে,

” আমি আর আপনার বাসায় থাকি না। দয়া করে যেতে দিন আমাকে। ”

” আমি তোমার ক্ষতি করবো না ল্যায়লা। উঠে এসো। ”

কথায় আছে, কিছু খারাপ স্মৃতি মানুষের জীবনে দুঃস্বপ্নের থেকেও ভয়ংকর হয়। ইয়াসির হচ্ছে ল্যায়লার জীবনের সেই ভয়ংকর দুঃস্বপ্ন। আঘাত পেতে পেতে ল্যায়লা যতই শক্ত হয়ে যাক না কেন ইয়াসির নামক দুঃস্বপ্নের কথা মনে পড়লেও সে এলোমেলো হয়ে যেতো সবসময়। সেই দুঃস্বপ্ন আজ এতো বছর পর আবার তার সামনে এসেছে। অতীতের তিক্ত স্মৃতি ভুলে এমন অবস্থায় নিশ্চয়ই তার স্বাভাবিক থাকার কথা নয়?

হয়েছেও তাই। ল্যায়লা উন্মাদের মতো আচরণ করে। নিজের হাতে থাকা ব্যাগ ফেলে কোনোরকমে উঠে দাঁড়িয়ে সে ইয়াসিরকে পাশ কাটিয়ে ভোঁ দৌড় দেয়। ইয়াসির কিছু বলে না। না সে ল্যায়লাকে পিছু ডাকে। কেবল রাস্তায় পড়ে থাকা দু তিনটে শপিং ব্যাগ এবং ক্ষণিক আগে ল্যায়লার ছিড়ে যাওয়া জুতা টার দিকে তাকিয়ে রয়।

__________

কাধে থাকা নিজের পার্স থেকে কোনোমতে ল্যায়লা ফ্ল্যাটের চাবি বের করে দরজা খুলে ভেতর থেকে ভালো করে দরজা লোক করে দেয়। এতটুকুতেই সে শান্ত হয়না। অন্ধকারের মাঝেই দৌঁড়ে নিজের রুমে গিয়ে সেটার দরজাও ভিতর থেকে লক করে দিয়ে দরজায় হেলান দিয়ে সে ফ্লোরে বসে পড়ে। তার হৃৎপিণ্ড যেন যেকোনো সময়ই লাফ দিয়ে তার হাতে এসে পড়বে এমন অস্বাভাবিক গতিতে লাফাচ্ছে। হাতের ছিলে যাওয়া অংশটাও জ্বলছে খুব।

কিন্তু ল্যায়লার সেদিকে ধ্যান নেই। সে দু’হাতে শরীর গুটিয়ে দ আকৃতিতে বসে আছে। ভয়ে টপটপ করে চোখ দিয়ে পানি পড়ছে। চারিদিকের অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিবেশ আর তার সাথে বাহিরে তুমুল বজ্রপাতের শব্দ যেন আগুনে পেট্রোল ঢালার মতো কাজ করছে।

আচমকা বজ্রপাতে সম্পূর্ণ রুম এক মুহুর্তের জন্য আলোকিত হয়ে উঠলে ল্যায়লা তার সোজা বরাবর দেয়ালের সাথে দাঁড় করানো বড় আয়নায় নিজের চেহারা দেখতে পায়। সাথে সাথে সে ভড়কে যায়। নিজের চেহারার মাঝে সে আমালকে দেখতে পায়। ল্যায়লা ভয়ে হাঁটুতে মুখ গুটিয়ে আর্তনাদ করে উঠে,

” আল্লাহ। আল্লাহ আর না। রহম করো তুমি আমার উপর। ”

__________

প্র্যাকটিস সেশন শেষ হতেই ফাতিহ রেস্টরুমে গিয়ে নিজের গায়ের ঘর্মাক্ত গেঞ্জিটা খুলে একটা পানির বোতল নিয়ে বসে পড়ে। দুই ঢোক পানি খেয়ে বাকিটা পানি সে মাথায় ঢেলে দেয় নিজের। মুহুর্তেই তার শরীরে জমে থাকা বিন্দু বিন্দু ঘাম আর পানি মিলে একাকার হয়ে যায়।

ইসাম নিজের গলায় ঝুলন্ত টাওয়াল দিয়ে মুখের ঘাম মুছতে মুছতে ফাতিহর পাশে এসে বসে। বিরক্তি মিশ্রিত সুরে সে বলে উঠে,

” শালার অসভ্য মার্কা ক্লাবে খেলি। প্র্যাকটিসের নামে এরা মানুষ খুন করে তবেই দম নিবে। ”

ফাতিহ নিজের ভেজা চুলগুলো কপাল থেকে সরিয়ে উলটে দেয় হাতের সাহায্যে। ইসাম একহাতে নিজের ফোন সুইচড অন করে। সাথে সাথে নোটিফিকেশনের শব্দে তার কানে তীক্ষ্ণ শব্দ হয়। সর্বপ্রথম সে কল লিস্টে ঢুকে একটা নাম্বারে কল দেয়। অপরপাশ থেকে কল রিসিভ হতেই ইসাম আদুরে গলায় বলে,

” সরি ডার্লিং। কিন্তু এই দুনিয়া তোমার আমার প্রেমের শত্রু। শান্তিতে শালার প্রেমটাও করার সুযোগ পাই না। ”

ফোনের অপরপাশ থেকে নাহাল ঝাঁঝালো স্বরে বলে উঠে,

” আর ৮ দিন পর আমাদের বিয়ে। তুমি কি কবুল বলার আগ মুহুর্তে এসে পৌঁছাবে? ”

” আর দুইটা দিন অপেক্ষা করো। ফিরে আসছি তো। সোমবারের ম্যাচটা শেষ হতেই আমি সোজা এয়ারপোর্টে যাবো এবং দেশে ল্যান্ড করেই আগে তোমার কাছে আসবো। ”

নাহাল একই স্বরে আবার বলে,

” হামিদ দাদা ঠিক বলে। তোমার কাছে তোমার ওই ফুটবলই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। বিয়ে আর বাসর তোমার ওই ফুটবলের সাথেই করো তুমি। ”

কথাটা বলেই নাহাল ফোন কেটে দেয়৷ ইসাম মুখ কালো করে বলে,

” জীবনে এক হামিদ দাদা কম ছিলো যে ঘুরেফিরে আমার জন্য নিজের লেডি ভার্সনকেই পছন্দ করেছে। প্রেমের জ্বালা বড় জ্বালা মাইরি। ”

ফাতিহ বিদ্রুপ করে বলে,

” যখন প্রেমে পড়েছিলি তখন তো আর জানতি না যে দাদা এই মেয়েটাই তোর জন্য ঠিক করে রেখেছে। এখন সব দোষ দাদার হয়ে গেলো? ”

” প্রেমে বহু জ্বালা ভাই। পুরো জীবন মেয়েরা আগে পিছে ঘুরতো। আর এখন এমন এক মেয়েকে ভালোবাসলাম যে কি-না আমার হাই বাজেটের চেহারাকে পাত্তাও দেয় না। তুই বুঝবি না ভালোবাসার যন্ত্রণা। ”

শেষের কথাটা বলেই ইসাম বোকা বনে যায়। ইতস্ত হয়ে সে ফাতিহর দিকে তাকায়। ফাতিহ বেশ স্বাভাবিক ভঙ্গিতেই বসে আছে। ইসাম আড়ষ্ট স্বরে বলে,

” সরি ব্রো। ”

ফাতিহ ফিল্ডের উদ্দেশ্যে যাওয়ার জন্য উঠে দাঁড়িয়ে বলে,

” শালা ঠিকঠাক প্র্যাকটিসে মন দে। বিয়ের জন্য কোপা আমেরিকার সেমি ফাইনাল ম্যাচটা অন্তত ডুবিয়ে দিস না। প্রথম বারের মতো কোনো আফ্রিকান দেশ এই সুযোগ পেয়েছে। এতো দূর পর্যন্ত এসে ফাইনালটা না খেলতে পারার আক্ষেপ বেশ যন্ত্রণাদায়ক হবে। ”

__________

সকাল সকাল রিংটোনের শব্দে ল্যায়লার ঘুম ভাঙে। গতরাতে কাঁদতে কাঁদতে সে ফ্লোরেই ঘুমিয়ে পড়েছিলো। সোজা হয়ে বসতে নিয়েই ল্যায়লা দেখে তার পুরো শরীর ব্যথা করছে। এই ঠান্ডার মাঝে ভেজা শরীরে ফ্লোরে থাকার ফল হিসেবে যে গা কাঁপিয়ে জ্বর আসার পূর্বাভাস এটা তা বুঝতে আর তার বাকি থাকে না। হাতটাও এখনো জ্বলছে।

আবার ফোনের শব্দ কানে আসতেই ল্যায়লা পার্স থেকে নিজের ফোনটা বের করে। তাদের ফ্ল্যাটের দারোয়ান আংকেলের কল। ল্যায়লা ফোন রিসিভ করে সালাম দিয়ে বলে,

” জ্বি আংকেল বলেন। ”

” ম্যাডাম একজন আসছে। আপনার কাছে নাকি কাজ। হাতে আপনার জিনিসপাতিও দেখলাম আছে।… ”

ল্যায়লার মনে পড়ে যায় সে কিছু জিনিস অর্ডার করেছিলো। আজকে ডেলিভারি আসার কথা। ল্যায়লা উনাকে থামিয়ে দিয়ে বলে,

” পাঁচ মিনিট পর উপরে পাঠিয়ে দেন চাচা। ”

ফোন রেখেই ল্যায়লা তাড়াতাড়ি উঠে তিন মিনিটের মধ্যে নিজের জামা বদলে নেয়। ফোনে আরেকবার প্রাইজ ডিটেইলস চেক করে সে রুম থেকে বের হয়ে গিয়ে মেইন দরজা খুলে। তখনই তার দরজার অপরপাশে অবস্থিত লিফটের দরজা খুলে যায়৷ লিফট থেকে বের হওয়া মানুষটাকে দেখেই ল্যায়লা জমে যায়৷ মানুষটা কোনো কথা না বলে ল্যায়লার সামনে এসে দাঁড়ায়। পরপরই তার হাতে গতকালের সেই ছিড়ে যাওয়া জুতোটা ধরিয়ে দিয়ে বলে,

” যতক্ষণ ইচ্ছা এই জুতো দিয়ে আমাকে পিটাবে আজকে। ”

চলবে…

[ কপি করা কঠিনভাবে নিষিদ্ধ ]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here