“আকাশী”
পর্ব ৩.
‘আচ্ছা ভাইয়া, মেয়েরা বিয়ের পরেই কেন মা হয়? এর আগে কেন হয় না?’
এই প্রশ্নে চমকে উঠে অপূর্ব বই থেকে মুখ তোলে তাকায়, ‘মানে?’
বিভা না থাকায় আকাশীর যেন প্রশ্ন করতে সুবিধা হয়েছিল। বিভা অপূর্বকে মাইনে চুকিয়ে বলেছিল, ‘ভাইয়া, আকাশী বাসায় পড়ে না। মা বলেছে ওকে আরও কিছুক্ষণ পড়াতে।’ সে চলে গিয়ে যেন ভালোই করেছে। নইলে পড়ার বাইরের প্রশ্ন করলে নির্ঘাত মা শুনলে বকুনি দিত।
আকাশী বলল, ‘আমার আসল প্রশ্ন কিছুটা এই ধরনের। আমার বান্ধবী ফারাবিকে ওর মা কম বাবাই বেশি শাসন করে। এটা কি উনার অধিকারে সত্যিই আছে? আমাদেরকে তো শুধু মায়েরা জন্ম দেয়। তাহলে বাবারা কেন কর্তৃত্ব দেখাতে আসে? বাবাদের সাথে তো রক্তের সম্পর্ক নেই। আর মেয়েরা বিয়ের পরই কেন মা হয়?’
অপূর্ব নিজেকে সামলাতে না পেরে উচ্চস্বরে হো হো করে হেসে উঠল। সানজিদা দৌড়ে এলেন বাহির থেকে, ‘কী হয়েছে? এভাবে রাক্ষসের মতো করে হাসছিস কেন?’
‘মা, ও মাঝে মাঝে এমন প্রশ্ন করে না –কি যে বলব!’
‘যেমনই প্রশ্ন করুক, ওভাবে হাসবি না। উনি শুনলে আমাকেই বকবেন।’
অপূর্ব মুহূর্তেই গম্ভীর হয়ে গেল। তার খেয়াল হলো, বাসায় এভাবে হাসা যায় না। আকাশী চুপ হয়ে গেছে।
অপূর্ব বলল, ‘কিছু প্রশ্নের উত্তর দেওয়া যায় না, বুঝেছ? সময় হলে আপনা থেকেই বুঝে যাবে। এগুলো নিয়ে এখন মাথা ঘামিয়ে লাভ নেই। একচুয়ালি, ছোটবেলায় আমারও কিছুটা এমন ধারণা হতো। পরে গুছে গেছে। তোমারও জানা হয়ে যাবে। শুধু এটুকু জেনে রাখ আমাদের শরীরে বাবাদেরও রক্ত থাকে।’
আকাশী একদমই চুপ হয়ে গেল। অপূর্ব ভাইয়া যা বললেন, তা মান্য করা ছাড়া উপায় নেই। সময় হলে মানে সময়টা কখন আসবে? এগুলো জানার আবার সময় কেন থাকে?
আকাশীর বাড়িতে যাওয়ার সময় মনে পড়ল, সে যে প্রশ্নটা করার কথা ভেবেছিল, সেটা না করে আরেকটিই করে এসেছে। ভেবেছিল, বিবিজান নামকরণের ইতিহাস জেনে আসবে। অগত্যা ঠোঁট বাঁকিয়ে বাড়িতে চলে গেল।
বাবা বিদেশ থেকে ফোন করেছেন। সপ্তাহের দুটো দিন আত্মীয়স্বজন সবার সাথেই আজম কথা বলেন। আকাশীকে ফোন দেওয়ার পর সে সালাম দিলো। বাবার সাথে কথা বলতে খুব মজা হয়। কেননা বাবা শুধু লেখাপড়া নিয়েই কথা বলেন না। ড্রয়িং কেমন করে, গান কেমন গায়, কেমন নাচে, সাজসজ্জায় সে কেমন সবকিছুরই খবর নেন। এখানে কেউই লেখাপড়া ব্যতীত কিছুই জিজ্ঞেস করে না। অথচ বাবার সাথে কথা বললে বুঝা যায়, লেখাপড়াই একমাত্র পেশা নয়। যারা লেখাপড়ায় নেই, তারাও অনেকসময় অনেক কিছু করিয়ে দেখাতে পারে। বাবার সাথে কথার খই ফোটার সময় তার একটি প্রশ্ন মনে পড়ল, যা করব করব করে করা হয়নি। বলল, বাবা, আপুদের নামগুলোতে কত মিল! আভা প্রভা বিভা। আমার নামটা ভিন্ন কেন?
ওপাশটা কিছুক্ষণ নীরব রইল। তারপর আজম বললেন, ‘আসলে তুই একটু ভিন্ন তো। আমার বাকি মেয়েগুলো তো তোর মায়ের মতোই হয়েছে। ওদের বিয়ে দিতেও কষ্ট হয়েছে। আমার মতো তো কেবল তুই’ই হয়েছিস। এজন্য তোর নাম ভিন্ন রেখেছি।’
একটি প্রশ্ন করতে গিয়ে সে আটকায়, জন্ম তো আমাকে মা দিয়েছেন, তবে আমি আপনার মতো কেন হয়েছি? ভাইয়ার একটি কথা মনে পড়ায় প্রশ্নটা সে করেনি। তিনি বলেছিলেন, আমাদের কাছে বাবারও রক্ত থাকে। সেদিক থেকেই হয়তো সে বাবার মতো।
পরদিন স্কুল ছুটির পর যথারীতিতে সে অনিকদের সাথে খেলতে যায়। অনিক আকাশীকে লক্ষ করে বলল, কিরে তোর কিছু হয়েছে নাকি?
‘না তো।’
অপূর্ব ভাইয়ার উপদেশটা সে মেনে নিতে শিখছে। অথচ এখনও লাগছে, এই অনিক আর ফারাবির মধ্যে কোনো তফাৎ নেই। ফারাবি ফ্রক পরে, আর অনিক প্যান্টের সাথে শার্ট বা গেঞ্জি। অনিকের প্রশ্নের উত্তর সে না দিয়ে প্রশ্ন করল, ‘আচ্ছা, আমাদের বাড়িটার নাম বিবিজানের বাড়ি কেন?’
‘বাড়ির নামকরণের পেছনে কোনো না কোনো কারণ থাকে। এটারও হয়তো কারণ আছে। আমি দাদির কাছে শুনেছিলাম, বিবিজান একজন মহিলা। ওটা উনার নাম ছিল না। তবে এটা ধরেই তাঁকে সবাই ডাকত। এরেচেয়ে বেশিকিছু জানি না।’
‘বাড়িতে কত মানুষই না থাকে! একজনের নামে কেন হতে যাবে বাড়ির নাম?’
‘আমি কি জানি!’
উত্তরে আকাশী সন্তুষ্ট হলো না। সশব্দে বলল, ‘কী জানিস তুই? অথচ তুই আমার চেয়ে দুই বছরের বড়।’
‘হাঁ তো বড় হলে ক্ষতি কি! দু’জনের মেধা তো একি। দু’জনই সমাপনী দিব।’
আকাশী হঠাৎ বলল, ‘ছেলেদের বুকে লোম থাকে। তোর নেই কেন?’
অনিক হকচকিয়ে গেল। মেয়েটি অনেক সময় এমন প্রশ্ন করে যে, সামনের মানুষটা তাকে নিয়ে আজেবাজে ভাবতে বাধ্য। তবে অনিক ভাবল না। আকাশীকে সে চেনে। যেগুলো বুঝতে তার অসুবিধা হয় সেগুলোই জিজ্ঞেস করে।
‘লোম বড়দের উঠে। আমার এখন উঠবে না।’
‘বড় কখন হবি?
‘এইতো আস্তে আস্তে হচ্ছি। শোন ফুলি, তুই যেসব প্রশ্ন করিস, সেগুলো যাকে-তাকে করিস না। অপরিচিত কারো কাছে তো একদমই না।’
তাহলে প্রশ্নও ভিন্ন ভিন্ন মানুষকে করতে হয়। তার মানে যেকোনো ধরনের প্রশ্ন অজানাদের করা যায় না। প্রশ্ন খারাপ হলে পরিচিতরা ক্ষমা করে দেয়, কিন্তু অপরিচিতরা উল্টো খারাপ ভাবে।
সারাবছরে যতটুকু লেখাপড়া করেনি, আকাশী তারচেয়েও অধিক লেখাপড়া করেছে পরীক্ষার আগের মাসে। কারণ তখন ড্রয়িং-এর খাতাটা মায়ের কাছে ছিল। পড়া ব্যতীত বিনোদনমূলক কোনো কাজ করাও নিষিদ্ধ ছিল। তাই মনটা পুরোপুরি পড়ায় লাগিয়ে দিতে হয়েছিল। সে আবিষ্কার করেছে, সারাবছর এভাবেই যদি লেখাপড়া করত, তবে বিভা তাকে খোঁচা দেওয়ার সক্ষমতা রাখত না। এটাই পার্থক্য বিভা আর তার মাঝে। বিভা লেখাপড়া ব্যতীত কিছুই পারে না বিধায় পড়ালেখা সে মন দিয়ে করে এবং তাতে সে খুব ভালো ফল আনে। কিন্তু আকাশীর মন তো কেবল পড়ালেখার দিকে নয়, অনেকদিকেই ঝুঁকে যার কারণে সে এভাবে রাতদিন করে লেখাপড়া করে না। অথচ সে অনেক ভালো করে পড়া অনুধাবন আর মুখস্ত করতে পারে। সারাবছর পড়ালেখা ভালো একটা না করাতে আকাশীর মোটেও আপসোস নেই। কারণ ওই সময়ের পড়াগুলো সে একমাসেই কভার করার চেষ্টা করেছে। সেই আকাশী সবাইকে অবাক করে দিয়ে বাড়ির একমাত্র স্কুলের শীর্ষস্থানীয় চারজনের মধ্যে একজন হয়ে দেখাল।
অপূর্ব এই খবর পাওয়ার পর কেবল মুচকি হাসি হেসেছিল। সে জানত এমন কিছু হওয়ার সম্ভাবনা আছে। কারণ সে আকাশীর ভেতরের স্পিরিটের সম্বন্ধে অনেক আগেই ধারণা করেছিল। মেয়েটি কমিটমেন্ট রাখতে না পারলেও অনেককিছু করতে পারে। এজন্য সে তার ওপর অতিরিক্ত পড়ার চাপ দিত না। সর্বোপরি তার সকল প্রশ্নের উত্তর সুষ্ঠুভাবে দিত, যাতে আকাশী উত্তর পেয়ে মুক্ত মনে পড়ালেখা করতে পারে। অপরদিকে আকাশী এই জয়ে অতিরিক্ত খুশি নয়। টপ করার খুশি কেমন হয়, তা তার জানা নেই। তবে এটুকুতে খুশি হয়েছে যে, যারা তাকে অকর্মা ভাবত, তাদের সবাইকে তার মেধাটা দেখিয়েছে। এখন তাকে কেউ কম কিছু ভাববে না।
বিভা অষ্টম এবং ষষ্ঠ শ্রেণিতে ওঠার পর আকাশী অপূর্বের কাছে পড়তে আসার পর খুশিতে আরও আটখানা হয়ে গেল। অষ্টম শ্রেণিতে দ্বিতীয় হয়ে উত্তীর্ণ হওয়া উপলক্ষে সে বিভাকে দামি একটি খাতা আর কলম উপহার দিয়েছে। আকাশীকে দিলো ড্রয়িং-এর জন্য বড় একটি খাতা আর পেন্সিল। আগের খাতাটিও সে অপূর্বের কাছে পেয়েছিল। শুধু তাই নয়, সেরা হওয়া উপলক্ষে প্রতিটি বাড়িতে মিষ্টি দিতে গিয়ে আকাশী নিজেও অনেক মিষ্টি খেয়েছে, অনেকে চকলেট দিয়েছে, অনেকে জড়িয়ে ধরেছে। বিভার চেয়ে সেই অধিক খুশি। ধন্যবাদ ওই বছরটিকে, যার দরুন সে এতো এতো প্রতিবেশীর নৈকট্য লাভ করেছে।
পড়ার ফাঁকে অপূর্ব বলল, ‘তোমরা এখন থেকে অন্য কোনো টিউটর খোঁজার চেষ্টা করো। আমি আগামী বছর এইচএসসি দিয়ে টাউনে স্যাটেল হয়ে যাব। এরপর এখানে মাঝে মাঝেই বেড়াতে আসা হবে। এই বছরের পর থেকে পড়ানো সম্ভব না।’
আকাশী বলল, ‘চলে কেন যাবেন?’
বিভা বলল, ‘ছোটচাচুরাও কি যাবে?’
‘হ্যাঁ, আমরা তিনজন ব্যতীত আর আছেই বা কে? গ্রামে সুশিক্ষার ব্যবস্থা কম। চেয়ারম্যানকে তাও বাবা সাহায্য করেছিলেন বলেই হাইস্কুল দিতে পেরেছে। চেয়ারম্যানের পদ শীঘ্রই বাবার হবে। তখন তিনি আরও উন্নতি আনবেন। আর অতদূরে ভার্সিটিতে গিয়ে পড়ালেখা করতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। যাওয়া-আসায় যত্তসব ঝামেলা! আর তাছাড়া দাদু গ্রামের বাড়িটা ছাড়তে চাননি বলেই এতবছর এখানে আমাদের থাকতে হয়েছে। নইলে আমরা জয় ভাইদের সাথে সেই কবেই চলে যেতাম। বাবা এই বছরে সবকিছু মিটমাট করে নেবেন। তারপর চলে যাব। এরপর ওখানেই পড়াশোনা চালিয়ে যাব। কষ্টও কম হবে।’ অপূর্ব দীর্ঘশ্বাস ফেলল।
‘আমরা টিচার পাব কই?’
‘স্কুলের কোন শিক্ষক সবগুলো সাবজেক্ট পড়াতে পারবেন খোঁজ-খবর নাও। নইলে আমি নিজেই খোঁজ-খবর নিয়ে আসব। বিভার জন্য কোনো সমস্যা নেই। আকাশীই পড়ালেখা কম করবে বলে চিন্তা।’
অপরাধীর ন্যায় আকাশী মুখ নামিয়ে ফেলল। দু’জনই আগের মতো করে পড়তে লাগল। ছুটির পর বিভা চলে যাওয়ার সময় আকাশী বলল, ‘ভাইয়া, একটি কথা জিজ্ঞেস করার ছিল।’
বিভা চলেই গেল। বোনকে সাথে করে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন বোধ করল না। অপূর্ব বলল, ‘কী?’
‘আমাদের বাড়ির নামকরণটা পেছনের কারণ কী? আর এই বিবিজানটা কে?’
‘এসব জেনে কী করবে?’
‘এমনিই, কৌতূহল জেগেছে।’
‘ওগুলো অনেক আগের কথা। লোকমুখে অনেক কথাই পরিবর্তিত হয়েছে। এখন যতটুকু শুনেছি এবং জানি, তা বলি। বিবিজান এখানের প্রথম আর একমাত্র ধনাঢ্য ব্যক্তির স্ত্রী ছিলেন। লোকটির অনেক বড় বাড়ি ছিল। বাড়িতে অনেক চাকর-বাকর ছিল। অনেকদিন বিয়ে করেননি তিনি। একদিন কোথা থেকে যেন একটি মেয়েকে বিয়ে করে আনলেন। মেয়েটি ছিল অপরূপ সুন্দরী। মানুষের মুখ থেকে শোনা, এই পুরো বাড়িসুদ্ধ আশেপাশের চারপাঁচটা গ্রাম মিলিয়ে এমন সুন্দর মেয়ে ছিল না। মেয়েটি শাড়ি পরে ঘুরত। তার সাজসজ্জাই নাকি বেশি পছন্দ ছিল। লোকটি স্ত্রীকে বিবিজান বলেই পরম আদর করে ডাকতেন। তিনি পছন্দ করতেন না কেউ স্ত্রীকে নাম ধরে ডাকুক। এগ্রাম-ওগ্রাম থেকে যারাই তাঁর স্ত্রীকে দেখতে আসত, সবার মুখের মাধ্যমে ওর নাম বিবিজান রটে গেছে। আসল নাম কারো জানাই নেই। এরপর ওই সুন্দর মহিলা একদিন মারা যান।’
আকাশীর কৌতূহলী চোখে বিষাদ খেলে গেল। বলল, তারপর?
‘লোকটা আর বিয়ে করেননি। স্ত্রীর স্মৃতিতেই বাড়ির নাম বিবিজানের বাড়ি করে দিলেন।’
‘লোকটা এখন কোথায়?’
‘ওগুলো অনেক বছর আগের কথা। লোকটি মারা গিয়েছিলেন। ছেলেরা ওঁর বাসাবাড়ি ভেঙে জায়গা বিক্রি করে কোথায় কোথায় যেন চলে গিয়েছিল।’ একটু হেসে অপূর্ব বলল, ‘উনার পর এই বাড়িতে বাবাই দ্বিতীয় ধনাঢ্য ব্যক্তি।’
আকাশী কিছুক্ষণ চুপ করে রইল। তারপর বলল, বিবিজান কেমন সুন্দর ছিলেন?
‘এই প্রশ্ন অন্য কারো কাছে করলে উত্তর দিতে পারত কিনা জানি না। তবে আমি উত্তর দিতে পারব। আমি তখন অনেক ছোট ছিলাম। আমার দাদুর চেয়েও অধিক বৃদ্ধ এক লোক ছিলেন তখন এখানে। বাবা কী কাজে যেন আমাকে সাথে করে তাঁর কাছে গিয়েছিলেন। সেই সুবাদে বিবিজানের সম্বন্ধে একটু জেনেছিলাম। উনিই ভালো জানতেন। এখানের অধিকাংশই প্রায় মিথ্যা মেশানো গল্পটা বলবে। আমি যা বলছি, তা ওই বৃদ্ধ আমাকে বলেছিলেন। আমারও কৌতূহল জেগেছিল। উনি বিবিজানের সাদাকালো অত্যন্ত ঝাপসা ছোট একটা ছবি দেখিয়েছিলেন। তাঁকে আমার অতো বেশি নজরকাড়া সুন্দর মনে হয়নি। তোমার মতো পরিষ্কার রং হয়তো ছিল না। চোখমুখেও বোকা টাইপ লেগেছিল। এরচেয়ে বেশিকিছু মনে নেই।’
‘ওহ্’, এতক্ষণে অস্ফুট একটা শব্দ করল আকাশী।
এরপর চিন্তিত হয়ে বেরিয়ে গেল। অপূর্ব এর মানে বুঝতে পারল না। তবে মনের মধ্যে যেন খটখট করে একটা শব্দ হলো, এই মেয়ের মনে হয়তো কিছু একটা চলছে। কোনো বড় প্রশ্নের উত্তর জানার পর মেয়েটি একটু আরেকটু করে বদলে যায়। না জানি এই বিবিজানের গল্প আকাশীর মধ্যে কীরকম প্রভাব ফেলছে।
(চলবে..)
লেখা: ফারিয়া কাউছার