আড়ালে_ভালোবাসি পর্ব ২+৩

#আড়ালে_ভালোবাসি
#নুসরাত_জাহান_অংকুর
#পার্ট_২_৩

মেয়েটা ভয়ে ভয়ে বলে

“তেমন কিছু না স্যার আমরা ট্রুথ dare খেলছিলাম কিন্ত এই আপু (নিশাত ) ভুল বুঝে এখানে আসছে

তখনই ফিহা চেচিয়ে বলে

“আমি বলেছিলাম না আংকেল আমরা কিছু করিনি

প্রিন্সিপাল স্যার বলে উঠে

“এটা কি ধরনের খেলা এমন খেলা কেউ করে নেক্সট টাইম থেকে তোমাদের নামে যেনো কোনো অভিযোগ না আসে আর এইসব খেলা বাদ দাও এটা খেলার জায়গা না

নিশাত আর নেহা বোবা হয়ে সব দেখছে মেয়েটা মিথ্যে কেনো বললো । ফিহা যাবার আগে নিশাত কে একটা রাগী লুক দিয়ে গেলো।নিশাত নেহার দিকে তাকিয়ে আছে

প্রিন্সিপাল স্যার এবার নিশাতের দিকে তাকালো নিশাত সাহস নিয়ে বললো

“স্যার আমি

নিশাত কে বলতে না দিয়ে স্যার বলেন

“আমি জানি তুমি মিথ্যে বলার মেয়ে না তোমার আব্বু কে আমি চিনি নিজের একটু খেয়াল রাখো আর ফিহার থেকে সাবধানে থেকো

“জি আচ্ছা (মাথা নিচু করে)

“কোনো সমস্যা হলে জানিও

নিশাত মাথা নাড়িয়ে বেরিয়ে আসে নেহা ধমক দিয়ে উঠে

“তোকে কে বলছে মাতবারি করতে খুব বড়ো নেতা হয়ে গেছিস জানিস ওরা কে

“আমি কি করলাম আমি just

“শুন তোকে বারণ করছি এসবের মধ্যে পড়িস না এখন থেকে আমি তোর হাত ছাড়বো না

কথাটা বলে নেহা নিজের ওড়নার মাথা দিয়ে নিশাতের হাত বেধে দেয় । নিশাত হা হয়ে দেখছে

“এটা কি ?

“এটা তোকে বেধে রাখলাম আংকেল তোর দায়িত্ব আমাকে দিয়ে গেছে আমি চাই না তুই কোনো ঝামেলায় পড়িস ওই ফিহা প্রিন্সিপাল এর ছেলের হবু বউ ওর কথা মত সবাই চলে আমাদের ওদের কোনো বেপারে নাক গলানোর দরকার নেই মাস্ক পড়ে নাক নিজের কাছে রাখ

“তোর মত পাগল আমি একটা দেখি নী এভাবে কে করে

“কেনো একটা গান আছে না

আঁচলে বাঁধিয়া রাখিব তোমাকে আঁচলে বাঁধিয়া রাখিব

নিশাত মাথায় হাত দিয়ে বলে

“তোরে নিয়ে আমি কই যামু

“আপাতত বাসায় চল

নিশাত আর নেহা কথা বলতে বলতে বাসার দিকে যায় ।

এদিকে
ফিহা প্রিন্সিপাল এর রুম থেকে বেরিয়ে রাগে ফুসছে

রিয়া বলে উঠে

“তুই রাগ করিস না তো দুলাভাই কে বল দেখবি দুলাভাই সব ঠিক করে দিবে

ফিহা ফোন আছার মেরে বলে

” ঠিক আজ কে একবার ও ফোনে দেওয়া হয়নি

ফিহা ফোন তুলে একজনকে ফোন দেয় কয়েক বার রিং হয় কিন্ত কেউ ধরে না আবার দেয়।



বাস্কেট বল হাতে নিয়ে ঘুরাচ্ছে একটা ছেলে তখনই আরিয়ান নামের একটা ছেলে বলে

” আমার আপাতত ব্রেক এখন না পরে আবার খেলবো

কথাটা বলে আরিয়ান গিয়ে বসে তখনই ফোন বেজে উঠে আরিয়ান ফোন দেখে চেচিয়ে বলে

” আরহান তোর ফোন

বাস্কেট বল হাতে নিয়ে উত্তর দেয় কে। আরিয়ান চোখ মেরে বলে

“তোর বডিগার্ড

আরহান কিছুটা বিরক্ত নিয়ে তাকায় আরিয়ান বুঝে যায় আরহান কি বলবে তাই আর কোনো কথা না বলে নিজে ফোনটা ধরে

“হ্যা ফিহা বলো

” এতক্ষণ লাগে ফোনটা ধরতে আর আর আরহান কোথায় ?( কিছুটা রেগে)

“সে তো একটু ব্যাস্ত আছে তুমি কিছুক্ষণ পর ফোন দাও

কথাটা বলে আরিয়ান ফিহা কে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে কেটে দেয় । এতে ফীহার রাগ বেড়ে যায় । ফিহা ফুঁসতে ফুঁসতে বাসায় চলে যায়

কিছুক্ষণ পর আরহান এসে আরিয়ানের পাশে বসে। আরিয়ান আরহান এর দিকে কিছুটা ঝুঁকে বলে

” তুই কি সত্যি ফিহা কে বিয়ে করবি ?

আরহান সামনের দিকে তাকিয়ে জবাব দেয়

“হুম gf হিসেবে পারফেক্ট যেমন দেখতে সুন্দর তেমন অ্যাটিটিউড আর আমাদের পরিবারের সাথে মানায় আমার সব কথা শুনে চলে

” gf হিসেবে পারফেক্ট কিন্ত বউ হিসেবে বিয়ে ছেলে খেলা না ভেবে চিন্তে ডিসিশন নে এখন অনেক সময় বাকি আছে

“আরহান আবরার যা বলে তাই করে ফিহা আমার জন্য পারফেক্ট আর এই নিয়ে আমি কোনো কথা বলতে চাই না

কথাটা বলে আরহান উঠে চলে যায় বাঁধন, আবির আর আশিক এসে আরিয়ানের পাশে বসে

বাঁধন ঘাড়ে হাত দিয়ে বলে

“কি এত ভাবছিস ?

“ভাবছি আমার আরহান এর জন্য এমন মেয়ে দরকার যে আরহানকে সম্পূর্ণ বদলে দেবে ভালোবেসে ওকে গুছিয়ে তুলবে

আশিক হেসে উত্তর দেয়

“ফিহা নিজের মেকাপ সামলাবে নাকি আরহান কে (হাসতে হাসতে)

আরিয়ান আর কিছু বলে না

(আরহান আবরার নিশাতের ভার্সিটির প্রিন্সিপাল জামাল উদ্দিন এর এক মাত্র ছেলে । আরহান দেখতে handsome কিন্ত শান্ত সভাবের সবার সাথে বেশি কথা বলে না সব সময় চুপচাপ থাকে। কারোর কথা শুনে না মদ পার্টি মেয়েদের সাথে সময় কাটানো সব ধরনের খারাপ কাজ তার মধ্যে আছে বলতে গেলে শয়তানের কারখানা বাকিটা গল্প পড়তে পড়তে জানতে পারবেন)

নিশাত বাড়িতে যেতেই ঈশা নিশাত কে জড়িয়ে ধরে কান্না করে । নিশাত কিছু বুঝতে পারছে না হটাৎ এমন কান্না করছে কেনো নিশাত ঈশা কে শান্ত করার চেষ্টা করে

“ইশু কি হয়েছে তোর আমাকে বল আপি কে বলবি না এমন ভাবে কান্না করছিস কেনো বল কি হয়েছে ঈশু আর কান্না করিস না

“অপি আমি এখানে থাকবো না কেউ ভালো না কেউ না (কান্না করতে করতে )

“ঈসু কি হয়েছে আপু কে না বললে বুঝবে কি করে বল আমায়

“আপু কাকী আমাকে মেরেছে এই দেখ (নিজের পিঠ দেখিয়ে )

নিশাত দেখে নিজের চোখে পানি চলে আসে পিঠে লাল হয়ে আছে । নিশাত নিজের চোখের পানি মুছে পিঠে হাত বুলিয়ে বলে

“তুই কি করেছিস যে তোকে এইভাবে মারলো ??

“বিশ্বাস কর আপু আমি কিছু করিনি রাহুল(নিশাতের কাকীর ছেলে ক্লাস ৭ এ পড়ে) ভাইয়ার সাথে খেলছিলাম তখন ভাইয়া আমার চুল ধরে টান দেয় আমি শুধু ধাক্কা দি আর তখন কাকী আমাকে মারে (কান্না করতে করতে )

“ইসু তুই এখন বড়ো হচ্ছিস সামনে এসএসসি দিবি এমন ছেলে মানসী করলে কি চলে তোকে তো বলেছি আমি না আসা পর্যন্ত ঘরে বসে পড়বি

“কিন্তু

“কোনো কিন্ত না যাদের আব্বু আম্মু নেই তাদের বাচার লড়াই নিজেদের করতে হয়

“আপু আমাদের সাথে কেনো এমন হয় আর কাকী তো আমাদের বাসায় থাকে আব্বু সব টাকা কাকী নিয়েছে তাহলে আমাদের সাথে এমন করে কেনো আল্লাহ আমাদের

আর কিছু বলার আগেই নিশাত বুকে জড়িয়ে ধরে ।

“ইসু কাকী এমন সেটা তো তুই জানিস আর আল্লাহ কোনো কিছু কেরে নিলে তার থেকে ভালো কিছু দেয় দেখ আম্মু কে কেড়ে নিয়ে তোকে দিয়েছে আর আমার সব কিছু তো তোকে ঘিরে । আল্লাহ আমাদের হাত পা সব দিয়েছে সুস্থ ভাবে চলা ফেরা করতে পারছি খেতে পড়তে পারছি কত মানুষ তো এই টুকু পায় না সেই দিক দিয়ে আমরা খুব ভাগ্যবান আর হা যা আছে তাতেই সন্তুষ্ট থাকতে হয় কাকী আমাদের মায়ের মতো

“না মা কখনো এমন করে না

“তোর মাথা গরম তাই এইসব উল্টা পাল্টা ভাবছিস ওযু করে আয় তুই রাকাত নফল নামাজ পড়বি দেখবি সব ঠিক হয়ে যাবে

“পরে পড়বো এখন আমার ভালো লাগছে না (নিশাতের কোলে মাথা দিয়ে)

“পরের কাজ শয়তানে করে যেটা পরে করবি সেটা এখন করলে কি সমস্যা যা কোনো কথা না

ঈশা কিছু একটা ভেবে উঠে ওযু করে নামাজ পড়ে নেয়। নিশাত ফ্রেশ হয়ে ভাবতে থাকে

“সামনে ইসুর এক্সাম এখন যদি এইসব নিয়ে মন খারাপ থাকে তাহলে ওর ছোট মনে দাগ কাটবে

বাচ্চারা কাদার মত যে যেভাবে গড়বে সেই ভাবে হবে।তাই বাচ্চাদের সামনে এমন কোনো কিছু বলা যাবে না যেটা তাদের জন্য ঠিক না আজ যে কথা বাচ্চার সামনে বলা হবে কিছু দিন পর সেই কথা বাচ্চা ফেরত দিবে ।

নিশাত অনেক ভেবে নেহা কে ফোন দিলো

“হ্যা নিশু বল

“বলছি আজ একটু বাইরে যাবি ঈশুর মত ভালো না ওকে নিয়ে একটু ঘুরতে যাবো

“আচ্ছা ঠিক আছে তুই রেডী থাকিস আমি নিতে আসবো

“ওকে

নিশাত খুশি মনে ওর চাচার রুমে যায় দেখে ওর চাচা নেই চাচী টিভি দেখছে আর রাহুল পড়ছে

“কাকী আসবো

নিশাত এর কাকী টিভি তে চোখ রেখে বললো

“হ্যা তোর কাছে আমার কিছু দরকার ছিল

“হ্যা বলো

“রাহুল এর নানুর শরীর ভালো না আমি আর রাহুল কিছু দিন এর জন্য তোর চাচা বাসায় থাকবে বাড়ি দেখে রাখবি আমি নেই বলে কোনো কাজ করবি না সেটা কিন্তু মেনে নেবো না

“আচ্ছা

একটা কথা বলার ছিল

“বল

“ভাবছি ইসু কে নিয়ে একটু বের হবো (মাথা নিচু করে )

নিশাত এর কাকী কিছু বলছে না দেখে নিশাতের খুব ভয় হচ্ছে

“এখন কি বকবে তাহলে কি করবো না যাই হোক কাকী কে মানতে হবে (মনে মনে)

আসলে আমি

নিশাত কে থামিয়ে দিয়ে বলে

“যাবি যা কিন্তু সন্ধার আগে ফিরে আসবি আর রাহুল কে নিয়ে যাস ওর কিছু অ্যাসাইনমেন্ট এর কাগজ কিনতে হবে যাওয়ার সময় টাকা নিয়ে যাস

“আচ্ছা কাকী (খুশি হয়ে)

নিশাত মনে মনে অনেক খুশি হয় ওর কাকী আর যায় করুক ওদের খাওয়া দাওয়া কোনো কিছুর কষ্ট দেয় না । ঈশার উপবৃত্তির টাকা দিয়ে ঈশার পড়া লেখা চলে যায় আর নিশাত এর আব্বু ব্যাংকের ম্যানেজার হবার কারণে ওদের টাকা নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয় না ।অন্য মেয়েদের মত নিশাতের কোনো সখ আহ্লাদ নেই শুধু বোনকে হ্যাপি রাখা ওর আসল কাজ।

বিকালে
নেহা এসে ওদের নিয়ে যায় ঈশা এখনো রাহুল এর সাথে কথা বলে না । রাহুল ঈশা আর নিশাত কে নিজের বোনের মতো দেখে। রাহুল অনেক বার কথা বলার চেষ্টা করছে কিন্ত ঈশা নেহার হাত ধরে ঘুরছে

রাস্তায় হালকা কিছু খেয়ে নিশাত ওর চাচির জন্য আলু পুরি নিয়ে যায় । নিশাত কাকী আলু পুরি খুব পছন্দ করে ।

এদিকে

আরহান দাড়িয়ে স্মোক করছে আর ফিহার কথা শুনছে । ঐপাশ থেকে ফিহা বকবক করেই যাচ্ছে

কিছুক্ষণ পর
ফিহা বলে উঠে

“বেবি আমি সব সময় বলি আর তুমি শুনো আমার সাথে কথা বলতে কি তোমার ভালো লাগে না (নেকা কান্না করে)

“আমার তোমার কথা শুনতে ভালো লাগে আর তুমি তো জানো আমি কম কথা বলি

“love u baby

“love u too

“তাহলে কাল কিন্ত আমাকে নিতে আসবে

“হুম

দূরে দাঁড়িয়ে আরিয়ান সব দেখছে ফিহার সাথে কথা বলতে বলতে আরহান এক প্যাকেট শেষ করে ফেলছে আবার নিতে আরিয়ান এসে আটকায় । আরহান ভ্রু কুচকে তাকায়

” আর খাস না

“ছাড় তো

” রাতে পার্টি আছে তুই কি আসবি ফিহা কে নিয়ে

“হুম ফিহা কে ও নিয়ে আসবো

“এটা only boys পার্টি

“হুম

আরিয়ান আর কিছু বলল না আরহান এর গম্ভীর মুখ সহ্য হয় না

রাতে নিশাত শুয়ে পড়ছে আর ঈশা ঘুমিয়ে আছে । রাত জেগে পড়া নিশাতের একটা অভ্যাস

অনেকক্ষণ পড়ে নিশাত ঘুমায় । সকালে উঠে আবার কাজ করতে হবে নিশাতের চাচী আজ যাবে ।

সকালে নিশাতের চাচী যেতেই নিশাত ঈশা কে খাইয়ে ভার্সিটিতে চলে যায়।


সারারাত পার্টি করে আরহান ঘুমাচ্ছে ।আরহান এর আম্মু ডেকে গেছে কিন্তু উঠার নাম নেই হটাৎ ফোনের আওয়াজে আরহান বিরক্তি নিয়ে ফোন হাতে নিয়ে দেখে ফিহা

আরহান ফোন না ধরে রেডী হয়ে বেরিয়ে পড়ে ফিহা কে বাড়ি থেকে নিয়ে ভার্সিটিতে যায় ।

ভার্সিটিতে

আরহান এর বন্ধুরা আর ফিহার বন্ধুরা এক সাথে দাড়িয়ে আড্ডা দিচ্ছে ওর মধ্যে আরিয়ান ,আশিক একটু দূরে

নেহা আর নিশাত গল্প করতে করতে যাচ্ছে তখনই ফিহার ফ্রেন্ড ডাক দেয় নিশাত যেতে নিলে নেহা বলে

“শুন বেশি কথা বলবি না আর টেরা উত্তর দিবি না

“চুপ থাক তো

নিশাত আর নেহা ওদের সামনে যেতেই ফিহা বলে

“কাল তো খুব পটোর পোটর করছিলি আজ চুপ কেনো

নিশাত কিছু বলতে গেলে নেহা হাত ধরে বলে

“আসলে কাল ভুল বুঝাবুঝির জন্য হইছে আর আমরা একই ভার্সিটিতে পড়ি ঝামেলা করে কোনো লাভ আছে আপনারা তো আমাদের বড়ো

“নাম কি?

“আমার নাম নেহা আর ওর নাম নিশাত আনজুম

ফিহা ঢং করে বলে

“বেবি কাল এই মেয়েটা আমাকে তোমার আব্বুর কাছে বকা খাইয়েছে (আরহান এর হাত ধরে)

আরহান ফোন টিপছিল ফিহার কথা শুনে সামনে তাকিয়ে দেখে একটা চোখ ছোট ছোট করে তাকিয়ে আছে আরহান নিশাত কে ভালো করে দেখছে তখনই নিশাত বলে

” আপনি ভুল করছিলেন তাই বকা খেয়েছেন আর সেইজন্য আপনার বেবি আমাকে কিছু করতে পারবে না । ভালো কাজ করলে ত কেউ বকা দেয় না তবে আমি জানতাম বাচ্চাদের কেউ বকা দিলে আব্বু আম্মু বা বড়দের কাছে নালিশ করে কিন্ত আপনি তো বেবির কাছে নালিশ দেন তবে বেবিটা কিন্ত অনেক বড়ো (আরহান এর দিকে তাকিয়ে)

এতক্ষণ আরিয়ান আর আশিক সবটা শুনছে তবে নিশাত এর শেষের কথা শুনে সবাই হেসে দেয় আর ফিহা রাগে ফুঁসছে । আরহান এর কোনো রিয়াকশন নেই সেই শুধু দেখছে

আরিয়ান বুঝতে পেরে বলে

“ক্লাস এর টাইম হবে তোমরা যাও

নিশাত আর নেহা চলে যায় । যাওয়ার আগে নিশাত ফিহা কে দেখে কিলার স্মাইল দেয়

ফিহা বলে

“দেখছো আমাকে কিভাবে অপমান করলো এর প্রতিশোধ আমি নেবই তুমি কিছু বলছো না কেনো ?

আরহান এখনো নিশাত এর দিকে তাকিয়ে আছে আরিয়ান ব্যাপারটা বুঝতে পেরে বলে

“মেয়েটার তেজ আছে নাম কি ??

“নিশাত না ফিশাট

আরহান অস্পষ্ট স্বরে বলে

“নিশা পাখি

আরহান চলে যায় ফিহা নিজে ও রেগে চলে যায় ।

ক্লাস শেষে নেহা বের হবার আগে নিশাত বের হয় আর ওর সামনে হটাৎ কেউ যায় ফলে নিশাত কিছুটা ভয় পেয়ে যায় ।

চলবে

(গল্পটা বড়ো করে দিচ্ছি কেমন হচ্ছে জানাবেন আর কালকের ভুলের জন্য সত্যি সরি এবার থেকে ওমন ভুল হবে না আশা করি সেই ভুলের জন্য গল্পটা খারাপ হবে না শেষের দিকে আমি সব ঠিক করে দেবো একটু অপেক্ষা করুন হ্যাপি রিডিং)

#আড়ালে_ভালোবাসি
#নুসরাত_জাহান_অংকুর
#পার্ট_৩

নিশাত কিছুটা পিছিয়ে বলে

“আপনি কি পাগল এভাবে কেউ সামনে আসে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম (বুকে হাত দিয়ে)

আরিয়ান হেসে উত্তর দেয়

“আমি তো ভেবেছিলাম তুমি খুব সাহসী কিন্ত (হাসি দিয়ে)

“সাহসের ব্যাপার না যে কোনো মানুষের সামনে হুট করে চলে আসলে সে একটু নার্ভাস হবেই এটা স্বাভাবিক

“বাহ কথা গুছিয়ে বলতে ভালোই পারো

নিশাত কিছু না বলে শুধু হাসলো

“তোমাকে আগে তো কখনো দেখিনি (পকেটে হাত দিয়ে)

“আসলে কিছু পার্সোনাল কারণে আসা হয়নি

“ওহ আচ্ছা আমি আরিয়ান আহমেদ (হাত বাড়িয়ে)

“নিশাত আনজুম (হাত মিলিয়ে)

“ভার্সিটির বাকি দের থেকে তুমি একটু আলাদা তাই পরিচিত হতে আসলাম আর ফিহার জন্য সরি আসলে ও একটু এমন

“অন্যের জন্য সরি বলার দরকার নেই সে ভুল করলে আমিও তার জবাব দিছি হিসাব বরাবর

“হুম এখানে দাড়িয়ে থাকবে নাকি সামনে যাবে ?

“আসলে আমার ফ্রেন্ড আসবে তো তাই wait করছি

নিশাত আর আরিয়ান দাড়িয়ে কথা বলছে তখন নেহা আসলো নেহা আরিয়ানকে দেখে অনেকটা অবাক হয়েছে ।নেহা আর নিশাত কথা বলে আরিয়ানের থেকে বিদায় নিয়ে বাসায় যায় ।

এদিকে
আরিয়ান ফিহা কে না নিয়ে একা একটা ফাঁকা জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে। নিশাত কে দেখে আরহান এর কিছু ভালো লাগছে না সব কিছু উল্টা পাল্টা লাগছে ।

আরহান দাড়িয়ে স্মোক করছে তখনই পিছন থেকে আরিয়ান বলে

“এত কি ভাবছিস ??

আরহান কিছু বলে না দেখে আরিয়ান আবার বলে

“ফিহা কে এত কিছু বলল তুই কিছু বললি না কেনো ? তবে যাই হোক নিশাত কে আমার ভালো লাগছে খুব স্ট্রং একটা মেয়ে

আরিয়ানের কথা শুনে আরহান হেসে দেয়

“স্ট্রং আর নিশা পাখি

“কি বললি (অবাক হয়ে)

আরহান নিজেকে ঠিক করে বলে

“তুই যা আমার ভালো লাগছে না যা

আরিয়ান কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে বাকা হেসে চলে যায় আর আরহান ভাবতে থাকে ৫বছর আগে কথা

আরহান গাড়ি করে যাচ্ছে তখনই রাস্তায় একজনের অ্যাকসিডেন্ট হয়ে দেখে সবাই আরহান এর গাড়িতে করে হসপিটাল নিয়ে যায় । আরহান ভেবেছিল হসপিটাল নিয়ে গেলেই কাজ শেষ কিন্ত ওকে পেশেন্টের পরিবারের হয়ে সই করতে হয় সব শেষ করে ফিরে আসার সময় একটা মেয়ে কান্না করতে করতে আরহান কে না দেখে ধাক্কা দিয়ে চলে যায় ।

আরহান মেয়েটাকে দেখে স্তব্ধ হয়ে যায় কান্না করার ফলে চোখ নাক ঠোঁট লাল হয়ে গেছে । মেয়েটির কান্না মাখা মুখ আরহান এর মনে দাগ কাটে আরহান পিছু পিছু গিয়ে দেখে মেয়েটা একটা কেবিনের সামনে দাড়িয়ে পাগলের মত কান্না করছে চারিদিকে কি হচ্ছে সেটা মেয়েটার কিছু যায় আসছে না সে নিজের মতো কান্না করছে

আরহান দাড়িয়ে দেখছে হটাৎ মেয়েটা কিছু একটা ভেবে উঠে ওযু করে হসপিটালের করিডোরে নামাজ পড়ে । আরহান অবাক চোখে তাকিয়ে দেখছে সামনে যেতে যাবে তখনই আরহান এর ফোন আসে । আরহান বিরক্ত নিয়ে ফোন ধরে কথা বলতে বলতে বেরিয়ে আসে

তার কিছু দিন পর আরহান একটা রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল তখন আবার সেই মেয়েটাকে দেখে গাড়ি দাড় করায় মেয়েটার পিছু পিছু গিয়ে দেখে মেয়েটা একটা কবরের সামনে কান্না করছে আরহান এর বুকটা খা খা করছে কিছু একটা শূন্যতা আরহান কে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে আরহান যেতে গিয়েও কি ভেবে ফিরে যায় । তারপর থেকে প্রতিদিন আরহান ওই জায়গায় যেত কিন্ত মেয়েটাকে আর দেখেনি মেয়েটার কান্না মাখা মুখ আরহান কে পাগল করে দিচ্ছিল বার বার মেয়েটার মুখ ভেসে উঠতো । সেদিনের সেই মেয়েটি ছিল আজকের নিশাত ।

আজকে নিশাত কে দেখে আরহান অবাক হয়ে যায় সেই দাগ কাটা মানুষটা আজ হটাৎ সামনে এসে দাঁড়াল কিন্ত আরহান কিছু বলতে পারলো না ।

“ভাবনার বাইরে এমন কিছু সামনে এসে দাড়ালে ফিলিং শূন্য হয়ে যায়

সিগারেটের শেষ টান দিয়ে আরহান ফেলে দিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে।

নিশাত বাসায় এসে দেখে ইসু নিজে নিজে সব রান্না করছে নিশাত অনেকটা অবাক কারণ ঈশুকে কখনো নিশাত রান্না ঘরে আসতে দেয়নি

নিশাত কোমরে হাত দিয়ে ঈশার দিকে তাকিয়ে আছে ঈশা নিশাত কে জড়িয়ে ধরে বলে

” আপু তুই এভাবে তাকিয়ে আছিস কেন? রোজ তো তুই কত কষ্ট করে রান্না করিস আজ না হয় আমি করলাম

“তুই পারলি কি করে?

“ইউটিউব দেখে এখন ফ্রেশ হয়ে এসে খেয়ে বল কেমন হইছে আমার কিন্তু খুব খুদা লাগছে

“যাচ্ছি (চুল টেনে )

নিশাত ফ্রেশ হয়ে এসে খায় সত্যি খুব ভালো হইছে শুধু একটু লবণ বেশি হইছে তাও নিশাত মুখে হাসি নিয়ে খেয়ে নিলো

“তুই আমার জন্য প্রথম রান্না করলি যদি কিছু হতো তেল পড়ত তখন বাড়িতে কেউ ছিলো না তো

“আরে আপু না কাকী কাজের লোক রেখে গেছে সেই আপু আমাকে একটু একটু হেল্প করছে

“ওহ ঠিক আছে তুই যখন কষ্ট করছিস তাহলে তোর তো কিছু একটা পাওনা তাই না

নিশাতের বলতে দেরি কিন্ত ঈশার ছুটে যেতে দেরি না

“ইসু আস্তে পড়ে যাবি দ্বারা আমি আসছি

ঈশা নিশাতের ব্যাগ চেক করছে নিশাত এসে নিয়ে নেয়

“আপু দেখি না কি আনছিস আমার জন্য দে না প্লীজ

“না আগে চোখ বন্ধ কর

“ধুর চোখ বন্ধ করলে মনে হয় ডাবল হয়ে যাবে

“তুই বন্ধ করবি (চোখ রাঙিয়ে)

“ওকে ওকে

নিশাত ব্যাগ থেকে বের কর নিশাতের সামনে ধরে

“এবার খুল

ঈশা চোখ খুলতে লাফিয়ে নিশাত কে জড়িয়ে ধরে

“আপু তুই জানলি কি করে আমার এই ড্রেসটা পছন্দ (খুশিতে জড়িয়ে ধরে)

“আমার ছোট বোনটার কিছু ভালো লাগছে আর সেটা আমি না দিয়ে পারি কেমন হইছে পড়ে দেখে আর এক চকোলেট টা তোর

“থ্যাঙ্কু আপু তুই বেস্ট আপু

“পড়ে দেখ

ঈশা নাচতে নাচতে ওয়াশরুমে যায় নিশাতের খুব ভালো লাগছে ওর ছোট বোনের মুখে হাসি ফুটাতে পারছে । বোনটা খুব কষ্ট করছে নিশাত তাও আম্মু আব্বুর ভালোবাসা পাইছে কিন্ত ঈশা জন্মের পর আম্মুর মুখ দেখি না আর কিছু বছর পর তো আব্বুকে হারিয়েছে তাই নিশাত ওর ছোট বোনকে সব খুশি দিতে যায় নিশাতের দুনিয়া বলতে ঈশা

নিশাত আব্বু আম্মুর ছবির সামনে দাড়িয়ে হাসছে এখন আর নিশাত কান্না করে না চোখের পানি শুকিয়ে গেছে নিজের বোনের জন্য হলেও শক্ত হতে হইছে ।

“আজ যদি তোমরা থাকতে তাহলে হয়তো আমাদের জীবন অন্যরকম হতো ইসু মায়ের ভালোবাসার জন্য ছটফট করে বাকি বাচ্চারা যখন মা বাবার সাথে ঘুরতে যায় তখন আমার বোনটা এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে সব কিছু দিলেও তোমাদের শূন্যতা কখনো পূরণ করতে পারবো না

পৃথিবী যার আব্বু আম্মু নেই তার মতো অভাগা আর কেউ নেই ।

নিশাত বিছনায় বসে তখনই ঈশা আসে

” আপু দেখ একটা লুস হইছে

নিশাত ভালো করে দেখে বলে

“খাওয়া দাওয়া করবি না তো কি হবে আজ থেকে বেশি বেশি করে খাবি

“নিজে যেনো কত খায়

“তোর থেকে ভালো আছি আর তোর অ্যাসাইনমেন্টের কি সব শেষ ?

“ওহ হা তুই একটা লেখচিত্র আঁকিয়ে দিবি ওটা হলে এই সপ্তাহের জন্য শেষ

“রাতে করবো এখন আমি একটু ঘুমাবো

“আচ্ছা ঘুমা আমি রিমি কে দেখিয়ে আসি

“বেশি দূর যাস না

নিশাত খুব ক্লান্ত লাগছে দেখে শুয়ে পড়ে শুয়ে পড়তেই ঘুমের রাজ্যে চলে যায় ।

ফিহা নিজের ঘরে বসে বালিশ ছুঁড়ছে আর বিড়বিড় করছে

“আরহান ওই মেয়েটাকে কিছু বললো না কেন তাহলে কি মেয়েটাকে পছন্দ করে না না এটা হতে পারে না আরহান শুধু আমার শুধু আমার ওকে আর কারোর হতে দেবো না কিছুতেই না আরহান আবরার তুই শুধু আমার শুধু আমার

পরের দিন ভার্সিটিতে যেতে নিশাত কে কিছু ছেলে ডাকে নিশাত সামনে যেতেই একটা ছেলে বলে উঠে

“কিগো মামনি আমাদের দেখে ও পাত্তা না দিয়ে চলে যাচ্ছ সিনিয়ররা কি সেটা কি জানো না

আরেকজন বলে

“আরে বাচ্চা মেয়ে হয়তো জানেন সিনিয়রদের পাওয়ার

বলে সবাই হাসতে শুরু করে এক পাশে ফিহা আরহান দাড়িয়ে সব দেখছে

নিশাত জোড়ে নিশ্বাস নিয়ে বলে।

“ঠিক আমি জানিনা সিনিয়র কি কারণ আমি যেটা জানি সেটা তো কোথাও দেখতে পাচ্ছি না সিনিয়র জুনিয়রদের হেল্প করে তাদের সাহায্য করে সিনিয়র বলতে বড়রা আর বড়দের দেখে বাকিরা শিখবে কিন্ত এই ভার্সিটিতে তো চুল কাঁটা মিথ্যে বলা রাগিং করা এই সব শেখানো হয় যেটা এখানে আপনারা শিখাচ্ছেন সেটা যদি নিজের ভাই বোন করে তাহলে ভালো লাগবে তো

পাওয়াফুল দের পা চাটা আর অসহায়দের ডাসবিনে ফেলে দেওয়া এটাই তো বর্তমানে ফ্যাশন

ফিহা পাশ থেকে চিল্লিয়ে বলে

“বড়দের সাথে তর্ক করা মুখে মুখে কথা বলা যে খারাপ সেটা কি কেউ শিখায় নি

“তেমন বড়ো হওয়া দরকার তাহলে সম্মান ভালোবাসা দুইটা দেবো বড়রা অসম্মানের কাজ করলে কি চুপ করে থাকবো

পাশ থেকে ছেলেটা বলে উঠে

“বাহ মুখে তো বুলি আছে ভালোই

কথাটা বলে সিগারেট এর ধোয়া নিশাতের মুখের উপর ছাড়ে। নিশাত চোখ বন্ধ করে

আরহান হাত মুঠ করে ফেলে । নিশাত ছেলেটার হাত থেকে সিগারেট নিয়ে সেই ছেলেটার হাতে বসিয়ে দেয় ছেলেটা চিৎকার করে উঠে

“কি এখন মজা লাগছে আর আপনাদের আমি কি বলবো নিজের মৃত্যুর ব্যাবস্থা তো নিজেরাই করছেন আমার তো কিছু করা লাগবে না

নিশাত এর কথায় আরহান ভ্রু কুচকে তাকিয়ে আছে

“সিগারেট খেলে যে নিজের এবং পাশের মানুষের ক্ষতি সেটা জেনেও খাচ্ছেন তাহলে নিজের মৃত্যুর ব্যাবস্থা নিজের করছে

একটা ছেলে নিশাত কে চর মারতে গেলে আরহান এগিয়ে আসার আগেই একটা হাত নিশাত কে বাচিয়ে নেয় নিশাতকে কে ছেলেটা মারতে যাচ্ছিল সেই ছেলেটার গালে চর পড়ে। নিশাত তাকিয়ে দেখে আরিয়ান রেগে তাকিয়ে আছে

“এখানে কি হচ্ছে এইসব একটা মেয়েকে পেয়ে এই ভাবে অসম্মান করা হচ্ছে সব জেনে নিশাত আমার ফ্রেন্ড আর আমার ফ্রেন্ড এর সাথে খারাপ ব্যাবহার আমি সহ্য করবো না নিশাত তুমি ক্লাসে যাও (নিশাতের দিকে তাকিয়ে)

নিশাত কোনো কথা না বলে চলে যায় ফিহা তেড়ে এসে বলে

“এটা তুমি ঠিক করলে না ওই মেয়ের জন্য আমাদের ব্যাচের ফ্রেন্ড দের মারলে দোষ তো ওই মেয়ের ছিল তুমি জানো না ওই মেয়ে আমার সাথে কতো খারাপ ব্যাবহার করেছে আমি

আর বলতে না দিয়ে আরিয়ান বলে

” ব্যাস ওই মেয়ে ওই মেয়ে কাকে বলছ ওর নাম নিশাত আর এখানে কি হইছে সব টা আমি দেখেছি নিশাত কে আমি হয়তো বেশি চিনি না কিন্ত তোমাকে ত চিনি লজ্জা তো তোমার করা উচিত একটা মেয়ে হয়ে আরেকটা মেয়ের সাথে কেউ অসভ্যতামি করছে আর তুমি দাড়িয়ে মজা নিচ্ছো তোমার থেকে কিছু আশা করি বেকার

আরিয়ান চলে যেতে নিলে আরহান বলে

“আলতু ফালতু মেয়েদের জন্য এত দরদ ভালো না যার তার জন্য নিজের ফ্রেন্ড এর মধ্যে ঝামেলা করছিস কেন? (শান্ত কণ্ঠে )

আরহান এর কথায় ফিহা খুব খুশি হয়

“তার মানে আরহান এর মনে নিশাত একটা ফালতু মেয়ে অন্য কিছু না আমি জানতাম আরহান এর মনে শুধু ফিহা আছে (মনে মনে)

” যার তার জন্য না নিশাত আমার ফ্রেন্ড আর ফ্রেন্ডের জন্য জীবন দেওয়া তো তোর কাছ থেকে শিখেছি

কথাটা বলে আরিয়ান চলে যায় আরহান রেগে গাড়ি নিয়ে যায় ফিহা বডিগার্ড এর মত আরহান এর পিছন পিছন যায় কিন্তু বেশি লাভ করতে পারেনি ফিহার কথা না শুনে আরহান গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পরে ফিহা হা করে তাকিয়ে আছে ।

ক্লাসে নেহা বকবক করে নিশাত কে এটা ওটা বুঝাচ্ছে কিন্ত নিশাতের মন আজকের ঘটনা ভাবছে

” নেহা ঠিক বলে আমি একটু বেশি করছি ওরা যা খুশি করুক আমার তাতে কি আমি আসছি পড়া লেখা করতে না না আমাকে এখন থেকে সাবধানে চলতে হবে ভার্সিটিতে এসেই সিনিয়র দের সাথে ঝামেলা ঠিক হচ্ছে না নিজের জন্য না হলে ইশুর কথা চিন্তা করতে হবে আমি ছাড়া ওর কেউ নেই (মনে মনে)

নিশাত এর সমানে নেহা তুরি বাজিয়ে বলে

“ও হেলো ম্যাম কোথায় আপনি ? আমি যে কিছু বলছি আপনার কানে যাচ্ছে না কখন থেকে বকবক করছি উত্তর দিচ্ছিস না কেনো ??

“কি বলছিলি

“আল্লাহ গো কোন রাজকুমারের চিন্তায় মগ্ন আমি যে কিছু বলছি কানে যাচ্ছে না

“চুপ কর তো ভালো লাগছে না

“আমি আবার কি করলাম (অবাক হয়ে)

আরহান গাড়ির উপর বসে মদ খাচ্ছে চোখ মুখ লাল হয়ে আছে যেনো এক্ষুনি সব ভেঙ্গে চুরমার করবে

“না না আরিয়ানের নিশার সাথে এত কি আমাকে আটকাতে হবে ওদের মধ্যে কোনো কিছু হতে পারে না (মাথায় হাত দিয়ে) ছি আমি কেনো এসব ভাবছি ওই মেয়ে যা খুশি করুক আমার তাতে কি আমি কেনো ভাববো আমার কিছু যায় আসে কিছু না (চিৎকার করে )

আরহান হাতের বোতলটা ফেলে দিয়ে সিগারেট ধরাতে যাবে তখনই নিশাতের মৃত্যুকে ডেকে আনার কথা মনে পড়ে যায়

আরহান মুচকি হেসে সিগারেট ফেলে দেয় কিন্ত পরক্ষণেই সব মনেপড়ে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যায় ।

এদিকে

আরহান এর করা সব কাজ একজন ভিডিও কল এ দেখছে আর বাকা হাসছে

চলবে

(গঠনমূলক কমেন্ট করে জানিয়ে দিন গল্পটা কেমন হচ্ছে nc,nxt, দেখতে দেখতে চোখ গেছে গল্পটা কি এতই খারাপ হচ্ছে যে ভালো কমেন্ট করা যাচ্ছে না সমস্যা নেই ৪,৫দিনের ব্রেক নিলে হবে

হ্যাপি রিডিং)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here