#আধারের_মায়াবী_ডাক
#লেখক_তুষার_আহমেদ_কাব্য
#পর্ব_১৯( কাব্য সমাপ্তি)
তামিমের মাথায় তলোয়ারের আঘাত করবে ঠিক তখনই..
:থামো?(???)
রাজা জ্যাক সহ সবাই ঘুরে তাকায়। জ্যাকের মেয়ে প্রিন্সেস লায়লা দাঁড়িয়ে আছে।
:উফ আপনি এলেন, আরেকটু দেরী হলেই(K)
:হুম নাটক শেষ এবার আমাদের উপর নজর রাখার কেউ নেই(লায়লা)
সবাই উঠে দাঁড়ায়।
:k নাও blue blood (লায়লা)
তামিম আগে হাতে নেয় blue blood লকেট।
তারপর লায়লা সবাইকে নিয়ে গ্রামে ফিরে আসে।
গ্রামে ফিরতেই দেখে তারিন,কথা,তিথি আর আয়েশা মাঠে বসে আছে।
তাদের দেখেই তারিন চমকে উঠে, বিশেষ করে K কে দেখে।
:তোমরা বেচে আছো? না মানে আমি খুব,আমরা খুব চিন্তাই ছিলাম।আর কাব্য বেচে?(তারিন)
:ঘাবড়ে গেলে তারিন? নাটক তো তোমরা একাই পারো তাই না(নাদিয়া)
শুনে তারিন ক্ষেপে যায়। রেগে একটা চিৎকার দিয়ে উঠে আর তার পেছন থেকে হাজার হাজার মুখহীন দানব আর সেই প্রানী আসতে থাকে।
:এবার বেচে দেখাও!(তারিন)
k” হেসে এগিয়ে আসে। তামিম ও এগিয়ে সামনে আসে।লায়লা ও প্রস্তুত।
:তুষার! চল(তামিম)
সবাই তামিমের দিকে তাকায়। তুষার তো মারা গেছে তাহলে…
K” আর তামিম এগিয়ে আক্রমণ করে। k নিজের বন্দুক দিয়ে আর তামিম তার ভ্যাম্পায়ার শক্তি দিয়ে। লায়লা তার শক্তি দিয়ে অনেক প্রানী মেরে ফেলে।
কিন্তু তারা সংখ্যায় অনেক। তারিনের মুখে হাসি। হঠাৎ পেছন থেকে কিছু একটা সব ধ্বংস করতে করতে এগিয়ে আসে।
তারিন দেখল এটা কাব্যের তলোয়ার।
তলোয়ার টা সামনে ধোয়ার মধ্যে চলে যায়।
আর তখনই ধোয়া থেকে বেরিয়ে আসে কাব্য।
তার শরীর থেকে বেরিয়ে আসছে বেগুনি রঙের আলোর আভা।
এটা দেখে তামিম আর k দ্রুত সরে যায়।
তারিন সরবার সময় পায়না
বেগুনি আভা সব দিকে ছড়িয়ে পড়ে আর দেখতে দেখতে সব ছাই হয়ে যায়। পুরো গ্রাম ছাই হয়ে যায়। সবাই মারা যায়।
কিছুক্ষণ পর কাব্য সবার সামনে আসে।
হঠাৎ তার পেছন থেকে গ্রামবাসী বেরিয়ে আসে। তাদের কেউ লুকিয়ে রাখা হয়েছিলো।
।
:এবার বলো তামিম আর কাব্য! এইসব কি হচ্ছিলো?(লায়লা)
কাব্য এগিয়ে আসে।
” শুরুটা প্রথমদিন থেকে হয়,তারিন কখনো মাঠে আত্নহত্যা করতে যায়নি। সে তো তার বাড়ির পেছনেই সেই রাতে আত্নহত্যা করে। আর তার কারিন যুক্ত হয় অনুরাধার সাথে। তাদের রাগ ছিলো মেয়েদের সাথে হওয়া এই অন্যায় এর প্রতি যা কাজে লাগাতে চায় কিছু তান্ত্রিক। আমরা গ্রামে যাবার পর এসব এজন্য করা হয় যাতে আমাদের নজর শুধু অই প্রানীর উপর থাকে। এর ফাকে তারিন আরো কারিন যোগ করতে থাকে দলে। তারিনের মারা যাবার পর তার লাশ ও চুরি করে সেই রাতেই মন্ত্র আর কারিন দ্বারা তাকে ডাইনী বানানো হয়। এসব করে রাজন যে কিনা একজন বড় মাপের তান্ত্রিক। তার ইচ্ছে ছিলো এদের ব্যবহার করে সে সব দিকে তার ক্ষমতা ফলাতে পারবে। কিন্তু তারিন যখন অনুরাধার সাথে যুক্ত হতে মাঠে যায় তখন তার দেখা আমারর সাথে কিন্তু তা মাত্র ২ সেকেন্ড এর । তারপরই তুষারের সাথে দেখা।
তারপর রাতে যখন তারিন দেখে যে তুষারের ভেতরের কাব্য মানে আমাকে তার চাচাকে মেরে ফেলে তখন সে ছলনা করে আমাকে ডাকার নামে দুই ডাইমেনশনের গেট খুলে দেয়।
এরপর শুরু হয় একের পর এক অত্যাচার। আমরা এসব তখনই বুঝলাম যখন কাব্যকে প্রথমবার দেখে তারিন ভয় পেলেও সে এক ফোটাও ঘামেনি। শুধু তাই না আমার বিড়াল কে বাঘের রুপে দেখে তারিন ভয় না পেয়ে ঘাবড়ে যায় ।
আর রাতে যখন আমরা বের হই তখন তারিনের হাতেই লাইট ছিলো না। সে সাধারণ মানুষ হয়েও একদম স্বাভাবিক ভাবেই হাটছিলো।
তারপর আমাদের ঘোরাতে নানা রহস্যময় ঘটনা ঘটায় তারিন আর অনুরাধা। তাতে যোগ দেয় ওই ডাইমেনশনের মায়াবতী। যে কিনা কারিনকে সম্পুর্ণ মানুষ রুপে আনতে পারে।
সে তারিন কে এমন ভাবে মানুষের রুপ দেয় যে আমিও ধোকা খেয়ে যাই।
তাই আমাই পরীকে ডেকে আনি।সে দেখেই বুঝে যায় এসব। তাই আমরাও একটা নাটক শুরু করি।
আমাকে পরী মারে আর তারিন ওই ডাইমেনশনে সবার উপর নজর রাখে।
আর আমাদের সাহায্য ছাড়াই তারিন এখানে চলে আসে। আর হ্যাঁ কথাই হচ্ছে মায়াবতী। আর এইজন্যই ওরা blue blood এর জন্য গিয়েছিলো যাতে তোমাকে নিয়ে আসতে পারে।
এখানে রাজন ছাড়া কেউ ভুল না। সমাজে মেয়েদের স্থান অনেক নিচে নেমে গেছে। ভোগের পন্য বানিয়ে ফেলেছে। তোমাদের কি মনে হয়। যারা এই গল্প টা পড়েছে তারা কোন শব্দ টা দেখে ক্লিক করেছে?নিজ চাচা দ্বারা ধর্ষন। কেউ রেগে পড়েছে। প্রতিবাদী মনের যারা। কেউ আবার মজা নিতে । ভুল কার? তোমাদের কি মনে হয় ফেসবুকে ফেমাস হওয়া অশ্লীল গল্প গুলো ভাইরাল কেন? আমাদের সাথে ঘটনা যে এই সিরিজের বাইরে হবে না কেন বলতে পারে। মানুষ এখন যেখানে অশ্লীলতা দেখে,সেখানে চলে যায়। একটা মেয়ে, যে আমাদের জন্ম দেয়,আমাদের লালনপালন করে,খারাপ সময় সাহস যোগায় তাদের নিয়ে খারাপ কিছু হতে দেখলে সেটা নিয়ে আগে মজা না হয় একটা পোস্ট। আর হ্যাঁ যারা এই গল্প টা কপি করে নিজেদের নাম বানাতেই পোস্ট করছেন। একটু লজ্জা বাচিয়ে রাখুন। আর এই গ্রামে নয় সারা দেশে এমন হওয়া চাই। অনেকেই ভাবছিলেন এর শেষ টা অনেক কুল হবে কিন্তু সরি।”
বলেই কাব্য হাটা শুরু করে আর ধোয়ায় মিলিয়ে যায়।
:ওকি চলে গেলো?(নাদিয়া)
:হুম আর কি?(তামিম)
লায়লা হেসে উঠে।
:এবার চলো।(আয়েশা)
:কিন্তু কিছু প্রশ্ন থেকেই যায়(তিথি)
:থাপ্পড় খাবি(মাইশা)
:এরপরে কি?(নাদিয়া)
হাটতে শুরু করে সবাই
:এরপর? (তামিম)
তখনই পাশ থেকে সেই বিড়াল টা বাঘের রুপ নেয়।আর বলে উঠে
“আধারের মায়াবী ডাক সিজন ২”
বলেই উধাও!
:নাহ নাহ ভাই আমি অনেক ক্লান্ত(আয়েশা)
:চল মজা হবে, এবার রাজবাড়ীর কেসে যাবো(তামিম)
:হুর(মাইশা)
:কাব্য আসবে?(নাদিয়া)
:অবশ্যই!! (তামিম)
সমাপ্ত ⭕