#আমি_সেই_তনু
পর্ব 2
জান্নাত উল ফেরদৌস
হঠাৎ অনুভব করলো কেউ ওর গায়ের চাদর টেনে দিয়ে যাচ্ছে আকাশ হাত টেনে ধরলো…..
আকস্মিক হেছকা টানে তনু তাল সামলাতে না পেরে বিছানায় বসে পড়লো, সামনে ছোটো চুল গুলো মুখের ওপর পরিবেষ্টন করলো….
আকাশ: তনুবাবু (মুচকি হেসে)
তনু: ভ্রু কুচকে….(মনে মনে) আমি কি এখনও তনু বাবু আছি! আমি তো বড় হয়ে গেছি কেনো আমায় তোনুবাবু বললো ভাইয়া!!
আকাশ: কি তনু বাবু চকোলেট খাবা ?
তনু: ইস আমি মোটেও বাবু না আমি অনেক বড় হয়ে গেছি (মুখ বাকা করে) যদিও চকোলেট খেতে ইচ্ছা হচ্ছিলো সম্মান রক্ষার্থে টা আর প্রকাশ করলো না তনু 😄
জাই হোক আমি হটাৎ আপনাকে দেখে চিনতে পারিনি ভাইয়া সেই ছোটবেলা দেখেছি তাই খালামনি বললো আপনি আকাশ ভাইয়া তাই sorry বলতে এসে দেখি আপনি ঘুমিয়ে পড়েছেন তাই চলে যাচ্ছিলাম।
এক নিশ্বাসে বলে যাচ্ছে তনু আখাস মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে দেখছে, সেই বাচ্চা মেয়ে টা কত কথা বলতে শিখেছে! আগে প্রতিদিন কোলে করে বাজারে নিয়ে চকোলেট না দিলে প্রতিদিন কান্না জুড়ে দিত….
তনু বিভিন্ন ভাবে বোঝাচ্ছে সে অনুতপ্ত দুপুরে অভাবে বলা ঠিক হয় নি আকাশ ভাইয়া কে…
তনুর মুখে চুল গুলো খেলা করছে পাতলা চঞ্চল ঠোঁট গোলাপী অভা থুতনিতে একটা দিল কোমল চেহারা আকাশ কোথায় যেনো হারিয়ে গেছে…..
তনু কথা বলতে বলতে হঠাৎ আকাশ এর দিকে চোখ পড়তে ই তনু লজ্জায় কুকড়ে গেলো…. মাথা নিচু করে বললো ভাইয়া আসি বলে উঠতে গেলে আকাশ বললো একটু দাড়া এই বলে অনেক গুলা চকোলেট দিলো।
তনু ছো মেরে চকোলেট গুলো নিয়ে পালালো…
আকাশ তনুর পালানোর দৃশ্য দেখছে, বড্ডো লাজুক হয়েছে মেয়েটা বলে একটু মুচকি হাসলো আকাশ….
সারাদিন আর তনু আকাশের সামনে আসে নি একা একা ভেবেছে, তনু জানে এই তাকিয়ে থাকার মানে 😊
(এই গল্পঃ সবার আগে পেতে Jannat Ul Ferdous এর সাথে ই থাকুন)
রাতে সবাই কে গিফট দিচ্ছে আকাশ মায়ের জন্য শাড়ি ভারী ভারী গয়না আকাশের মা হেসে বললো এসব পরার কি আর বয়স আছে পাগল ছেলে , কেনো নেই তুমি সবসময় সুন্দর মা (আকাশ) বাবার জন্য পাঞ্জাবি দামী ঘড়ি….. সবার গিফট দেয়া শেষ এ তনুর খোঁজ এই তনু , তনু দেখ তোর আকাশ ভাইয়া কি এনেছে …
লতিফা হাসি চেপে বললো…
তনু ওড়না দিয়ে বউ এর মত ঘোমটা দিয়ে এসে দাড়ালো দেখে সবাই এনেছে তবে কিছু ই তনুর লাগবে না সব ছোটো হয়ে যাবে!
অনুর মনে মেঘ জমলো!
আকাশ: আমি তো বুঝি নি আমাদের তনু বাবু এত বড় হয়ে গেছে 😏
তনুর মুখ ভার….
আকাশ আচ্ছা সকালে রেডি থাকিস তোকে নিয়ে বের হবো জাবি ঘুরতে ? ঘুরতে যাওয়ার কথা শুনে তনুর মনে আনন্দের রেখা…. মাথা নিচু করে ই মুচকি হেসে মাথা নাড়লো…..
সবাই খেয়ে ঘুমাতে গেলো আজ তনুর চোখে ঘুম নেই আকাশ ভাইয়া এত সুন্দর দেখতে কেনো, আমার দিকে অমন করে তাকায় আমার খুব লজ্জা লাগে… কই আগে ত অমন লজ্জা লাগতো না কেনো এমন লজ্জা লাগে…. ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে গেলো তনু….
সকাল হয়েছে আকাশের অভ্যাস সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠা…. উঠে ই মায়ের কাছে গেলো গিয়ে দেখে লতিফা কুরআন পড়ছে…. আকাশ বাবা শরীর ভালো তোর বাবা? (লতিফা) হা মা শরীর ভালো….
এতো সকাল সকাল ?
আকাশ এমনি ঘুম ভেঙে গেলো।
আমি একটু ছাদে জাই মা দেখি একটু ভালো লাগে কিনা…
বলতে বলতে মায়ের রুম থেকে বেরুতে উকি দিয়ে দেখে পাশের রুম এ তনু ঘুমাচ্ছে….
আকাশ ভেতরে গেলো কি নিষ্পাপ মেয়েদের মত ঘুমাচ্ছে আকাশ চুল গুলো সরিয়ে তনু কে দেখে কিসের একটা ঘোর লেগে গেলো, তনু চোখ খুললো আকাশ ভাইয়া কে এভাবে দেখবে ভাবে নি বিস্ময় এর চোখ নিয়ে ধপ করে উঠলো চোখে মুখে লজ্জা…
তনু কিছু বলতে হবে তখনই আকাশ তনুর ঠোঁটে আঙ্গুল দিয়ে চুপ করিয়ে দিল……
চলবে?