আলো আঁধারের লুকোচুরি পর্ব -১৭

#আলো_আঁধারের_লুকোচুরি
#Part_17
#Writer_NOVA

দরজা দিয়ে বেরুনোর আগেই রুহানির হাত টেনে ধরলো ইয়াসফি। কিছু বুঝার আগেই তার গালে টুপ করে চুমু খেয়ে বসলো। রুহানি চোখ বড় বড় করে তাকালো। ইয়াসফি পাত্তা দিলো না। এক হাতে কোমড় পেচিয়ে নিজের সাথে মিশিয়ে নিলো। রুহানি চোখ পাকিয়ে বললো,

‘আরে আরে করছো কি? কেউ দেখে ফেলবে ছাড়ো।’

ইয়াসফির কোন হেলদোল নেই। সে মুচকি হেসে রুহানির দিকে তাকিয়ে আছে। রুহানির বুক কেঁপে উঠলো। এটা ভালো লক্ষ্মণ নয়। যেকোনো সময় তার উপর চুমুর বর্ষণ হবে। এর আগেই মানে মানে কেটে পরতে হবে। রুহানি মোচড়ামুচড়ি করতে করতে বললো,

‘মা ডাকছে।’

ইয়াসফির হাসি আরো প্রসারিত হলো। ভ্রু নাচিয়ে বললো,

‘এখন কোথায় যাবে? খুব তো বলেছিলে আমার মতো মশার সাথে পেরে উঠবে। এখন একটু জড়িয়ে ধরায় এমন সাপের মতো মোড়াচ্ছো কেনো?’

রুহানি উত্তর দিলো না। অসহায় মুখ করে চোখ পিটপিট করলো। তার এখন সত্যি এখান থেকে সরে যেতে হবে। নয়তো তার দুষ্ট জামাই যে কি করবো সেটা সেও আন্দাজ করতে পারবে না। সকালবেলা খুব ভাব দেখিয়ে বলেছিলো,

‘তোমার মতো মশার সাথে ফাইটিং করা কোন ব্যাপার হলো?’

রুহানি নিজেও জানে ইয়াসফির কাছে সে নিজেই মশার সমান। শক্ত, সামর্থ্য চৌত্রিশ বছরের পুরুষের কাছে তার মতো সাতাশ বছরের মেয়ে খুব একটা পেরে উঠবে না। তবুও ভাব নিতে গিয়ে বলে ফেলেছে। এখন এর উসুল তো সামলাতেই হবে। ইয়াসফি নিজের ডান হাতের দুই আঙুলের সাহায্যে রুহানির গাল শক্ত করে ধরলো। রুহানি চোখটাকে গোল গোল করে ঘুরালো। তার স্বামী মতিগতি ঠাওর করতে পারছে না। ইয়াসফি টাইট করে তার অন্য গালে চুমু খেলো। রুহানি সরতে চাইলে আরো শক্ত করে নিজের সাথে মিশিয়ে ধরলো। রুহানি শরীর খিচে দাড়িয়ে রইলো। ইয়াসফি নাকের ডোগায় হালকা করে কামড় বসাতেই রুহানি চোখ খুললো। রুহানি নাকের পাটা ফুলিয়ে তাকাতেই ইয়াসফি উচ্চশব্দে হেসে উঠলো। হাসির তোড় কমলে রুহানির কানের কাছে ফিসফিস করে বললো,

‘এমন করে তাকিয়ো না। খেয়ে ফেলতে ইচ্ছে করে।’

রুহানির কপট রাগ হাওয়ায় মিলিয়ে গেলো। চোখ, মুখে হঠাৎ করে উড়ে এলো লাজুকতা। চোখ নামাতেই লজ্জায় গাল দুটো লাল হয়ে উঠলো। এখন দেখলে কেউ বিশ্বাসই করবে না এই মেয়ে কিছু মাস পুলিশের চাকরি করেছে। স্বামীকে খুঁজতে কতগুলো যুদ্ধ জয় করেছে৷ ইয়াসফি মিটমিট হাসতে হাসতে রুহানির মাথাটা বুকের সাথে চেপে ধরে বললো,

‘আমার রুহ।’

রুহ আবারো হালকা কেঁপে উঠলো। ইয়াসফির মুখে ‘আমার রুহ’ শুনলেই তার ভেতরটা কেঁপে ওঠে। শ্বাস-প্রশ্বাস ভারী হয়ে যায়৷ চাইলেও স্বাভাবিক থাকতে পারে না। ইয়াসফি ততক্ষণে রুহানি মাথায় আরো দুটো চুমু খেয়েছে। রুহানি এতক্ষন পর নিজ থেকে ইয়াসফিকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো। মনে মনে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করলো,

‘এই মানুষটাকে আমার কাছ থেকে আর কেড়ে নিও না।’

মিশি বেগম একা হাতে রান্না করছেন। মেয়ের জামাই এসেছে। তার আপ্যায়নের কোন ত্রুটি রাখতে চান না। পিয়াল গিয়েছে মাসুমের সাথে দই, মিষ্টি কিনতে। জামাই এতোদিন পর এসেছে দই, মিষ্টি দিতে হবে না! পলাশ হায়দার একটু আগে বাজার থেকে ফিরলেন। তিনি সব আনলেও কাঁচামরিচ আনতে বেমালুম ভুলে গিয়েছিলেন। মিশি বেগম কপট রাগ দেখিয়ে ফের বাজারে পাঠিয়েছেন। বাজার বেশি দূর নয়। মাত্র সাত মিনিটের পথ। কিন্তু শরীরের ভারে আগের মতো তাড়াহুড়ো করতে পারেন না। সোফায় বসে একটু জিড়িয়ে নিলেন। মিশি বেগম চিংড়ি মাছ কষাতে কষাতে মেয়েকে ডেকে উঠলেন।

‘রুহানি, একটু এদিকে আসিস। একা হাতে পারছে না বাপু।’

দ্বিতীয় বাক্যটা লঘুস্বরেই বললো। যা পলাশ হায়দার ছাড়া রুহানির কানে পৌঁছাবে না। পলাশ হায়দার কিঞ্চিৎ বিরক্ত হলো। তার স্ত্রীর কি কান্ডজ্ঞান নেই? কতদিন পর মেয়েটা তার স্বামীকে ফিরে পেলো। যেখানে পাওয়ার কোন চান্স ছিলো না। এখন ওরা একটু একা থাকুক। নিজে এগিয়ে গেলেন স্ত্রীকে বেশ কয়েকটা কড়া কথা শোনানোর জন্য। রান্নাঘরের দরজার সামনে দাঁড়াতেই তার মন নরম হয়ে গেলো। কড়া কথা শোনানোর জন্য যে সে এখানে এসেছিলেন তাও ভুলে গেলেন। মিশি বেগম ঘেমে-নেয়ে একাকার। এক হাতে সামলাতে পারছে না। স্ত্রী যে তার পেরে উঠতে না পেরে বাধ্য হয়ে মেয়েকে ডেকেছে তাও বুঝতে পারলেন। পাশে দাঁড়িয়ে মৃদুস্বরে ডাকলেন।

‘মিশি!’

‘কিছু বলবে?’

স্ত্রীর মেজাজ ঠান্ডা দেখে পলাশ হায়দার কিছুটা অবাক হলেন। সাধারণত একা হাতে সব কাজ করতে গেলে মিশি বেগমের মেজাজ হাই হিটে গরম থাকে। অথচ আজ ঠান্ডা।

‘দাও আমি মেয়ের কাজ করে দিচ্ছি।’

মিশি বেগম কপাল কুঁচকে স্বামীর দিকে তাকালো। পলাশ হায়দার জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললো,

‘কি হলো?’

‘রুহানিকে ডেকে দাও। তোমার এখানে কাজ নেই।’

পলাশ হায়দার জোর দিয়ে বললেন,
‘আছে। মেয়েটা ইয়াসফিকে সময় দিচ্ছে। ওদেরকে ওদের মতো ছেড়ে দাও। আমি তোমাকে একটু সময় দেই।’

মিশি বেগম মনে মনে হাসলেও উপরে চোখ রাঙালেন। পলাশ হায়দার আমতাআমতা করে বললো,

‘আরে হাতে হাতে সাহায্য করার কথা বলছি। তুমিও না কি যে ভাবো।’

বোলের মাংস নিয়ে বেসিনে ধুতে লাগলো। মিশি বেগম খুশি হলেন। তবে তা প্রকাশ করলেন না। মুখ টিপে হেসে তরকারিতে গরম পানি ঢেলে দিলেন।

খেতে বসেও রুহানিকে শান্তি দিচ্ছে না ইয়াসফি। পা দিয়ে কখনও খোঁচাচ্ছে, কখনও পা ঘষছে। রুহানি চোখ পাকিয়ে তাকালে ঠোঁট চোখা করে চুমু দেখাচ্ছে। এই ছেলে বোধহয় আজ পণ করেছে তার বউকে জ্বালিয়ে মারবে। রুহানি পারছে না উঠে যেতে আবার বসে থাকাও সম্ভব হচ্ছে না।

‘কি খবর মাসুম?’

‘আমার খবর ভালোই ভাই।’

‘বিয়ে-থা করবে না?’

‘আপনারা বড় ভাই-ব্রাদার। ছোট ভাইয়ের জন্য মেয়ে খোঁজা আপনাদের কাজ। আমি কি নিজের জন্য মেয়ে খুঁজতে পারি?’

পিয়াল চট করে বললো,
‘আজকে নিজের বউ নিজেই খুঁজতে হয়। অন্যের আশায় বসে থাকতে নেই।’

মিশি বেগম পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। সে সবাইকে খাবার পরিবেশনা করে দিচ্ছেন। ছেলের কান টেনে ধরে বললো,

‘ওরে হতচ্ছাড়া! তুই কি কাউকে আগে থেকেই পছন্দ করে রেখেছিস।’

‘আরে মা তেমন কিছু না। আমি শুধু উদাহরণ দিলাম।’

মা-ছেলের কান্ড দেখে সবাই হো হো করে হেসে উঠলো। সেই ফাঁকে রুহানিকে চোখ মেরো বসলো ইয়াসফি। রুহানি চোখ গরম করে শাসালো। ইয়াসফি মাছি তাড়ানোর মতো করে হাত নাড়িয়ে মাসুমকে বললো,

‘তুমি চাইলে আমার ছোট বোন তুষ্টির সাথে তোমার একটা হিল্লে করে দিতে পারি। আমাদের তুষ্টি ভীষণ ভালো মেয়ে। শুধু সারাক্ষণ থ্রিলার উপন্যাস নিয়ে বসে থাকে। বিয়ের পর এগুলো চলে যাবে। সংসারে মন দিলে বই পড়ার সময় কোথায়। তবে আমি বলবো বিয়ের পরেও পড়ুক। বই পড়লে কেউ কখনো দেউলিয়া হয় না।’

মাসুম মুখরাকে ইনোসেন্ট বানিয়ে বললো,
‘কিন্তু বই কিনতে কিনতে আমি তো দেউলিয়া হয়ে যাবো।’

মাসুমের কথায় সবাই হো হো করে হেসে উঠলো। পলাশ হায়দার মাসুমের কথার জের ধরে বললো,

‘ইয়াসফি ভুল বলেনি। সংসারে মন দিলে বই পড়ার দিক থেকে মন উঠে যাবে৷ আমার ছোট শালীটাও ছিলো ভীষণ বউ পড়ুয়া। এখন এমন উঠেপড়ে সংসারে মন লাগিয়েছে শেষবার যখন দেখা হলো জিজ্ঞেস করলাম কিরে কয়টা বই শেষ করছিস। হেসে বললো, দুলাভাই কি যে বলেন না। এখন কি বই পড়ার সময় আছে?’

মিশি বেগম জোর করে ইয়াসফির পাতে গরুর মাংস তুলে দিলেন। ইয়াসফি হৈ হৈ করে উঠলো।

‘মা করছেন কি? খেতে পারবো না।’

‘এতটুকু খেতে পারবে বাবা।’

‘আপনিও বসে পরুন মা।’

‘আমি তোমাদের খাওয়া শেষ হলেই খাবো।’

রুহানি ভেংচি কেটে মুখ বাঁকিয়ে বললো,
‘না, তোমার নিরীহ মেয়েটার দিকেও একটু তাকিয়ো৷ জামাইকে পেয়ে মেয়েকে তো ভুলেই গেছো। তরকারি ছাড়া যে শুধু ভাত খাচ্ছি সেদিকে নজর নেই।’

পিয়াল কপাল কুঁচকে বললো,
‘তুই নিয়ে নিতে পারিস না?’

রুহানি টেবিলের নিচ দিয়ে ভাইলে কষিয়ে লাথি মারলো। পিয়াল উহ করে চেচিয়ে উঠলো। মিশি বেগম এগিয়ে এলো।

‘কি করলি ছেলেটাকে?’

রুহানি মুখ বাঁকিয়ে বললো,
‘লাথি মেরেছি। আমার ভাই হয়ে বোন জামাইয়ের পক্ষে কথা বলে কেন?’

ইয়াসফি বললো,
‘তোমার হিংসে হচ্ছে?’

মাসুম বললো,
‘তা আর বলতে?’

মাসুম, ইয়াসফি দুজনে হেসে উঠলো। রুহানি পলাশ হায়দারকে নালিশ করলো।

‘বাবা, তুমি কিছু বলো।’

পলাশ হায়দার হাসলেন। এখন সে মেয়ে, মেয়ের জামাইয়ের ভেতর ঢুকতে চাচ্ছেন না। তাহলে মিশি বেগমের তোপের মুখে পরবে। ইয়াসফি পানি পান করে সবাইকে উদ্দেশ্য করে বললো,

‘বাবা-মা আমরা সামনের সপ্তাহে বালিতে যাচ্ছি।’

পলাশ হায়দার ভ্রু কুঁচকে বললো,
‘কেনো?’

ইয়াসফি এক পলক রুহানির দিকে তাকিয়ে বললো,
‘এতো এতো ঝামেলা গেলো। রুহানিকে সময় দেওয়া হলো না। তাই ভাবলাম দুই-তিনদিন একসাথে ঘুরে আসি। কাজে ব্যস্ত হয়ে গেলে আর সময় পাবো না।’

পলাশ হায়দার বুঝদারের মতো মাথা নাড়িয়ে বললো,
‘হ্যাঁ, তাই করো।’

মিশি বেগম বললেন,
‘সাবধানে চলাফেরা করবে। আমার মেয়েটা যে উড়ানচন্ডী স্বভাবের। একে দেখেশুনে রাখবে।’

ইয়াসফি রুহানির দিকে তাকিয়ে বাঁকা হাসি দিয়ে বললো,

‘অনেক দেখেশুনে রাখবো মা। এতোটা দেখেশুনে রাখবো যে খুব শীঘ্রই নানী ডাকটাও শুনতে পাবেন।’

ইয়াসফির কথায় রুহানি লজ্জায় কুঁকড়ে গেলো। ছেলেটা কি লজ্জাশরন সব ঘাস কাটতে গেছে নাকি? শ্বশুর-শাশুড়ির সামনে সব বলে দিচ্ছে। মিশি বেগম তরকারির কথা বলে সেখান থেকে কেটে পরলো। পলাশ হায়দার মাথা নিচু করে ফেললো। তবে সেও মিটমিট করে হাসছে।

ইয়াসফির বুকের ওপর মাথা রেখে শুয়ে আছে রুহানি। ইয়াসফি পরম যত্নে ওর চুলে হাত বুলিয়ে দিচ্ছে। ইয়াসফি লঘুস্বরে ডাকলো,

‘রুহ!’

‘হুহ!’

‘একটা কথার উত্তর দিবে?’

‘বলো।’

‘বৃষ্টির মধ্যে মেয়েদের দালাল হিরনকে মেরেছিলে কেনো?’

রুহানি চমকে মাথা উঠিয়ে স্বামীর মুখপানো তাকালো। এই কথা ইয়াসফি জানার কথা নয়। স্থির চোখে তাকিয়ে প্রশ্ন করলো,

‘তুমি হিরনের কথা জানলে কি করে? তোমার তো জানার কথা নয়।’

‘আমার জানার কি কোন সোর্স নেই?’

‘আছে মন্ত্রী সাহেব।’

‘তাহলে বলো।’

হঠাৎ করে রুহানির চেহারার আদল বদলে গেলো। মুখে চাপা ক্ষোভ প্রকাশ পেলো। চোয়াল শক্ত করে বললো,

‘মেয়ের দালালটা আমার দিকে কুনজর দিয়েছিলো। তাই হারামজাদাকে শিক্ষা দিয়েছি। চিন্তা নেই ওর চিহ্ন আমি মিটিয়ে দিয়েছি। ওর নাম-নিশানাও কেউ খুঁজে পাবে না। কত মেয়ের সর্বজন করেছে৷ আল্লাহ আমার হাতে ওর পতন লিখে রেখেছিলো।’

রুহানির কথা শুনে ইয়াসফির মেজাজ খারাপ হয়ে গেলো। রুহানি না মারলে ইয়াসফি নিজেই হিরনকে মেরে ফেলতো। ইয়াসফি আরো কিছু জিজ্ঞেস করতো। কিন্তু তার আগেই ওর মোবাইল বেজে উঠলো। অসময়ে কল দেওয়ায় বিরক্ত হলো। রিসিভ করে মোবাইল কানে দিতেই তার চোখে হালকা আতংক দেখা দিলো। রুহানিকে সরিয়ে উঠে গেলো। বারান্দা থেকে কথা বলে এসে ওয়ারড্রব থেকে পাঞ্জাবি পরতে লাগলো। রুহানি অবাক হয়ে শুধালো,

‘কোথায় যাও? কে কল করেছিলো।’

‘আমার একটু যেতে হবে।’

‘কেথায় যাবে? আর কেন যাবে?’

ইয়াসফি হাতে ঘড়ি পরতে বললো,
‘মাহমুদ পালিয়েছে।’

রুহানি চমকে উঠলো।
‘মানে?’

‘হ্যাঁ, হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ তাই জানালো। সেখানকার এক ওয়ার্ড বয়কে মাথা ফাটিয়ে জখম করে সে পালিয়েছে।’

রুহানি ইয়াসফির পথ রোধ করে দাঁড়ালো।
‘তুমি কোথাও যেতে পারবে না। আমি তোমাকে হারাতে চাই না।’

ইয়াসফি রুহানিকে কাছে টেনে কপালে গাঢ় চুমু খেয়ে বললো,

‘তুমি চিন্তা করো না। আমি রাতের মধ্যে ফিরে আসবো।’

রুহানির মন মানছে না। ইয়াসফি রুহানির ঠোঁটে হালকা করে চুমু খেয়ে আর কোন কথা না শুনে তাড়াহুড়ো করে মোবাইল ওয়ালেট নিয়ে বেরিয়ে গেলো। রুহানি বুকে হাত দিয়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করলো।

‘আমার স্বামীকে সহিসালামত আমার কাছে এনে দিও মাবুদ।’

এরপর দুদিন কেটে গেলো। ইয়াসফির কোন খোঁজ নেই। রুহানির মন্ত্রী সাহেব লাপাত্তা!

#চলবে

(দুদিন প্রচুর ব্যস্ত ছিলাম। তাই গল্প দেওয়া সম্ভব হয়নি। রি-চেইক দেওয়া হয়নি। ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here