#উমা [কপি করা নিষেধ]
#৪র্থ_পর্ব
উমার ঘুম ভাঙ্গলো গোলের আওয়াজে। সকালের কিরণের সাথে সাথেই চেয়ারম্যান বাড়িতে লোকের ঝটলা লেগেছে। উমার পরণে এখনো গতরাতের বেনারসি, খোপা বাধতে বাধতে কক্ষের দরজা ধরে দাঁড়ালো সে। ঝটের কারণ বুঝছে না। তবে কম হলেও ছ থেকে সাত জন মানুষ এসেছে। উপরের রেলিং ধরে দাঁড়ায় উমা। তখন কানে আসে,
“রুদ্র নিখোঁজ, কাল রাত থেকে ওরে কেউ দেখে নি।”
উমা বিস্ময়ের সাথে তাকিয়ে রইলো। অভিনব সিংহ রায় বেতের চেয়ারটিতে বসে রয়েছেন। চোখ মুখে পাংশু বর্ণ, ছেলের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না কথাটা তাকে প্রচন্ড ভাবাচ্ছে। গ্রামের প্রত্যন্ত এলাকায় টেলিফোনের জনপ্রিয়তা ততটাও পায় নি, মোবাইল তো কল্পনা। তাই যোগাযোগের তেমন কোনো সুবিধা নেই। এখন অপেক্ষার পালা। রুদ্রের বন্ধু শাবীব বললো,
“চাচা, কাল রাতে রুদ্রের সাথে বাজারে দেখা হয়েছিলো। ও আমাদের ডেকেছিলোও কিন্তু ক্লান্ত ছিলাম বলে ওর সাথে যাই নি। এখন আপনি খবর দিলেন তাই ছুটে এলাম। সাধারণত রুদ্র যেখানে থাকে বা আড্ডা দেয় সেখানের কোথাও আমরা তাকে পাই নি।”
শাবীবের কথাগুলো ভাবাচ্ছে অভিনব সিংহকে। এই গ্রামে তার শত্রু নেই। কিন্তু ইহজীবনে শত্রুর অভাব ও নেই তার। আজ ভাতকাপড়ের আনুষ্ঠানিকতা না থাকলে হয়তো সেও খুজতো না রুদ্রকে। আচার অনুষ্ঠানের ব্যাপারে অভিনব সিংহ অতি সচেতন। কিন্তু এখন তো মহা মুসিবতের সম্মুখীন হতে হচ্ছে তাকে। ছেলেকেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পুজোর ঘর থেকে বের হতেই লক্ষী দেবীর কানে যায় কথাগুলো। ছেলে তার দূর্বলতা। সেই দূর্বলতায় আঘাত অপছন্দ তার। তেড়ে গেলে অভিনব সিংহের কাছে। রোষাগ্নি স্বরে বললেন,
“আমি জানি না কিছু, আমার ছেলেকে চাই। সেটা এনে দিবেন।”
অভিনব সিংহ কিংকর্তব্যবিমূঢ়। কি করা উচিত ঠিক বুঝে উঠতে পারছেন না। তিনি চুপ করে বসে রইলেন। উপর থেকে উমা সকল কিছুই অবলোকন করছে। মনে বিষ্ময় উঁকি দিলেও মনটা শান্ত। রুদ্রের নিখোঁজ হওয়া তাকে ভাবাচ্ছে না। বসার ঘরের গোল বাড়ছে। মানুষের সমাবেশ বাড়ছে। শাশ্বত ব্যাগ নিয়ে ওখানে উপস্থিত হলো। আজ তার ঢাকা পাড়ি দেবার সময়। এর মাঝেই এই পরিস্থিতি। যাবে কি না বুঝতে পারছে না। মামা মশাই এর কাছে এসে দাঁড়ায় সে। ধীর স্বরে বলে,
“মামামশাই, আজ্ঞা দিলে রওনা দিতাম”
“বাবা শাশ্বত, রুদ্রকে নাকি পাওয়া যাচ্ছে না। আমার তো মস্তিষ্ক কাজ করছে না।”
অভিনব সিংহের কাতর দৃষ্টি এবং হতাশায় নিমজ্জিত আকুতিকে ফেরাতে পারলো না শাশ্বত। কাঁধ থেকে ব্যাগটা নামিয়ে বললো,
“আপনি চিন্তা করবেন না মামামশাই, সে গ্রামেই থাকবে। আর কোথায় যাবে? আমি দেখছি।”
মালিনী, লক্ষী দেবীকে সামলাতে ব্যাস্ত। লক্ষী দেবী আকুল হয়ে পড়েছেন ছেলের জন্য। এদিকে একটা ভয় উঁকি দিচ্ছে! রুদ্র ঠিক আছে তো! ছেলেটা নেশা করে বিপদ ঘটালো না তো! ভয়ে, চিন্তায় মূর্ছা যাচ্ছেন বারংবার। মালিনী দেবী তাকে সামলাচ্ছেন নিপুন হস্তে। মনে একটা চিন্তা উঁকি দিচ্ছে, কেমন বউ উমা! বর নিঁখোজ অথচ মেয়েটি একটিবার দোতালা থেকে নামলোও না! পড়ে পড়ে কি ঘুমোচ্ছে!
উমা নিজের কক্ষে ঢুকে গেলো। অনুভূতি গুলো স্তব্দ। বেরং অনুভূতিকে নাম দিতে পারছে না সে। কি নাম দিবে! ভয়? চিন্তা? আনন্দ? নাকি বিষাদ? তার এই অনুভূতিগুলো সত্যি ই জানা নেই। কাপড়ের ব্যাগ থেকে সুতির শাড়িটা বের করে নিলো সে। বাড়িতে কলপাড়ে গোসল সারতে হতো তার। কিন্তু এই বাড়ি আধুনিকতার ছোয়া রয়েছে। কিছু বছর পূর্বে শহরের ভালো বাড়ির নকশায় বাথরুমগুলো মেরামত করেছেন অভিনব সিংহ। এক দিক থেকে চিন্তা করলে আয়েশের বেশ ব্যাবস্থা রয়েছে। উমা তার গোসল সারলো। নিচের হট্টগোলের আওয়াজ ক্ষীন হয়ে আসছে। কক্ষে ফুলির মা নেই, হয়তো সে রান্নাঘরে। লাল দেয়ালের ছোট আয়নায় নিজেকে দেখলো উমা। সিঁদুরখানা পড়তে গিয়ে হাত কাঁপলো তার। আয়নায় নিজের প্রতিবিম্বকে কুৎসিত কীটের মতো মনে হলো তার। সারাটা জীবন কীটের মতো কাটাবে? এই বাড়ির লাল ইটের দেওয়ালেই কি আটকে যাবে চিরটাকাল? ভাবতেই বুকটা বিষাদের ঢেউ তুললো! কিশোরীর মন কেঁদে উঠলো। বিছানায় বসে কিছুসময় কেঁদে নিলো সে। এই বিয়ে, শ্বশুরবাড়ি শিকলের ন্যায় তার মনে হতে লাগলো। স্বপ্ন দেখা উমাটিকে গলা টিপে মেরে ফেলতে হবে তার, এই কক্ষের বাহিরে এক অন্য জগৎ সেই জগতের সাথেই তাল মেলাতে হবে তার। এটাই তার নিয়তি।
সকাল গড়িয়ে দুপুর, ফুলির মার পাশে বিমর্ষচিত্তে বসে আছে উমা। ফুলির মা তরকারি কাটছে। আজ কর্তামা রান্নাঘরে ঢুকবে না। ছেলের চিন্তায় তিনি মূর্ছা যাচ্ছেন। মালিনী শুধু তারটাই রান্না করলো, সে আমিষ ছোঁয় না। উমাকে নির্বিকার দেখে মালিনী মুখ ভেঙ্গালো, হিনহিনে স্বরে বললো,
“নতুন বউ দেখি একেবারেই নাদান! বর হাওয়া অথচ তার হুশ নেই!”
কথাটা কটাক্ষ করে বললেও উমার গায়ে বিধলো না। তার চামড়া নিখিলের বাড়ি থাকতেই মোটা হয়ে গিয়েছিলো। রতী কম তো গালমন্দ করতো না। অলক্ষী, অপোয়া! এগুলো ষোল বছরে বহুবার শুনেছে সে। তাই ততটা গায়ে লাগে না আজকাল এই কটুবচন। ফুলির মা তরকারি কাটতে কাটতে উত্তরে বললো,
“বিয়ে হইলো এক রাত, এর মধ্যে কি পিরিত জন্মাবে? যার বর মাতাল! তার খামোখা চিন্তা করনে লাভ কি? তাই না মালিনীবু?
“আজকাল বেশ মুখ চালাচ্ছো দেখি ফুলির মা?”
“সত্য কথা কইলাম! ছ্যাকা লাগছে নি?”
মালিনী কথা বললো না, কাজের মেয়ের সাথে এতো কথা বলে লাভ কি! অহেতুক তাকেই অপমানিত হতে হবে। রান্নাটা উমা করলো। এসব ঘরের কাজে বহুপটু সে। তাই রান্না করতে খুব একটা কষ্ট হলো না তার। মালিনী তার রান্না সেরে বেড়িয়ে গেলো।
রান্না শেষে ঘেমে নেয়ে রুমে ফিরলো উমা। ফুলির মার রুমটি অতি ছোট। ফ্যান আছে কিন্তু বিদ্যুতের সংযোগ নেই আপাতত। প্রত্যন্ত গ্রামে বিদ্যুতের খুব ঝামেলা। সংযোগ থাকলেও বিদ্যুত পাওয়া ভার। উমার আয়েশ করে বসতেই ফুলির মা এসে হাসির। চাঁপা স্বরে বললো,
“যাও, গোসল করে আসো। সবাই খেতে বসবে। আজ খাবার তুমি বেড়ে দিবে।”
যে বাড়ির ছেলে নিখোঁজ সে বাড়িতে খাওয়ার তোড়জোড় দেখে বেশ অবাক হলো উমা। ধীর স্বরে বললো,
“আমার স্নান শেষ, রান্নাঘরে যাবার আগেই করেছি।”
“তাই একটা ভালো শাড়ি পিন্দো, কর্তা খাইতে বইবে”
“কিন্তু….”
“কর্তা শহরে যাবে, কর্তা মা ডাকছে।”
উমা খানিকটা অবাক ই হলো, ছেলে নিখোঁজ অথচ বাবার চিন্তা হচ্ছে না। তারা খাবার খেতে ব্যাস্ত। রুদ্রের খোঁজ মিললো না। কাল রাত সে কোথায় গেছে, কি হয়েছে! ব্যাপার গুলো কানাগোসা চলছে। কেউ কেউ অভিনব সিংজের আড়ালে ঠাট্টা করছে। বেওয়ারা ছেলেকে অভিনব সিংহ সামলাতে পারছেন না। ব্যাপারটা তাদের হাসির কারণ। এসব ঠাট্টা বেশ গায়ে লাগছে অভিনব সিংহের। শাশ্বত তাকে আড়ালে নিয়ে বললো,
“মামা, রুদ্র গ্রামে নেই। পুলিশ খবর দিতে হবে।”
অভিনব সিংহ কথা বললেন না। একটু পূর্বে একটা ফোন পেয়েছে সে গুদামে। তার শহরে যেতে হবে। এবং সেটা এখন ই। লক্ষী দেবী আবেগপ্রবণ হলেও চেয়ারম্যান পত্নী হিসেবে নিজেকে সামলে নিয়েছেন। ভাবটা এমন যেনো ছেলে কোনো যুদ্ধে গেছে, ফিরবে। নিজের কক্ষ থেকে বের হতেই উমার সাথে দেখা মিললো তার। তার যে মোটেই উমাকে পছন্দ নয় সেটা উমার জানা। খানিকটা বিরক্ত মেশানো কন্ঠে বললেন,
“সং সাইজে না ঘুরে খাবার দেও। তোমার শ্বশুর শহরে যাবেন।”
উমা মাথা কাত করলো, সে ব্যাটারিচালিত পুতুলের ন্যায় কাজ করতে লাগলো। যেনো অনুভূতিগুলো শূন্য হয়ে গিয়েছে।
বিকেল গড়াচ্ছে, ছাঁদের এক কোনে বসে রয়েছে উমা। ডুবন্ত শান্ত সূর্য দেখতে ভালো লাগে তার। মেঝেতে হাটুগেড়ে বিমর্ষচিত্তে বসে রয়েছে উমা। চুল খোলা, মাটিতে গড়াচ্ছে সাপের ন্যায় চুলগুলো। স্মিয় হাওয়া মুখে লেপ্টে পড়ছে। দুপুরে বেশ বর্ষা হয়েছিলো, তাই হাওয়াটা শীতল। সন্ধ্যায় গ্রামের বউ দের বউ দেখতে আসার কথা ছিলো। সেটা বাতিল করা হয়েছে। একেই রুদ্রের নিখোঁজ উপরন্তু অভিনব সিংহের শহরে যাবার জন্য সব কিছু বন্ধ। তবে উমার ধারণা রুদ্র কোথায় অভিনব সিংহ জানেন। কারণ দুপুরের ফোন আসার পর থেকেই তিনি শান্ত হয়ে গিয়েছেন। লক্ষী দেবী যেনো ভুলেই গেছে ছেলে গায়েব। তাই আজ সব বাতিল। আজ রাত থেকে রুদ্রের ঘরেই থাকবে উমা, লক্ষী দেবী বলে দিয়েছেন। এক দিনেই বহু কিছু যেনো ঘটে গেলো উমার সাথে, বিয়ে হলো, বর নিখোঁজ হলো। উমার বুক চিরে দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এলো, এটা তো কেবল সূচনা। এর মাঝেই একটা পায়ের শব্দ কানে আসে উমার। ঘাড় গুড়াতেই দেখলো ছাঁদের কর্নিশ ঠেশ দিয়ে এক যুবক দাঁড়িয়ে আছে। হাতে জ্বলন্ত সিগারেট, দৃষ্টি পশ্চিমের রক্তিম আকাশে। যুবকটিকে উমার চেনা, এই যুবকটি ই তাকে বাঁচাতে চেয়েছিলো। শাশ্বতকে ভালো করে দেখে নি কখনো উমা, সূর্যের নিভু কিরণে খুতিয়ে দেখতে লাগলো তাকে। শ্যাম বর্ণের ছিপছিপে গড়নের পুরুষ, গাল ভর্তি খোঁচ দাঁড়ি। চোখ জোড়া স্বচ্ছ, যে চোখে ভয়ের কনা নেই। উমার ইচ্ছে হলো যুবককে ধন্যবাদ জানাবে। এটা বাকি ছিলো তার। এরই মাঝে শাশ্বতের দৃষ্টি পড়ে তার দিকে। দুজনের দৃষ্টি বিনিময় হতেই উমা চোখ নামিয়ে নেয়। এক অস্বস্তি ভর করে তার। শাশ্বত সিগারেট ফেলে দেয়, তার জানা ছিলো না উমার দর্শন মিলবে। বেশ অস্বস্তিকর এক পরিবেশ তৈরি হলো। শাশ্বত আর দাঁড়িয়ে থাকতে বিব্রত বোধ করলো। তাই নিচে যাবার জন্য পা বাড়ায় সে। তখন ধীরস্বর কানে আসে,
“ধন্যবাদ”
“কিছু বললে?”
“সেদিনের জন্য ধন্যবাদ।”
শাশ্বত অবাক হলো, মেয়েটির মাঝে ক্ষীন জড়তা থাকলেও তার কন্ঠ স্পষ্ট। মেয়েটির কোমল মুখের আড়ালে এক উজ্জ্বল তীক্ষ্ণতা রয়েছে। এক ধারালো চাহনী, এক সুপ্ত উদ্দীপ্ততা। মেয়েটাকে এগিয়ে নিলে বেশ সুন্দর ভবিষ্যত হলো তার। অথচ কুড়ি থাকতেই তাকে উপড়ে ফেলা হলো। হেসেলের দায়িত্ব এবং এ বাড়ির মানুষ ফরমাইশ খাটটে খাটটেই তার জীবনটা বেরং হয়ে যাবে। কথাটা ভাবতেই করুনা হলো শাশ্বতের। ধীর স্বরে বললো,
“লাভ কি তাতে, বাঁচাতে তো পারি নি। আচ্ছা তুমি কেনো চেষ্টা করলে না বলতো! তুমি ও চেষ্টা করতে পারতে। হয়তো সত্যি বাঁচাতে পারতাম”
“তারপর?”
“হ্যা?”
“তারপর কি হতো? বের হতে পারতাম কি এ জঞ্জাল থেকে!”
“পালিয়ে যেতে, আমি সাহায্য করতাম”
“পালানো কি সত্যি সোজা? আমার ভাইবোন, বাবা! তাদের কি হতো? আপনার ধারণা আপনার মামা তাদের ছেড়ে দিতেন! এতো সোজা নয়, শাশ্বত বাবু! এতো সোজা নয়!”
উমা দাঁড়ালো না। চোখের নোনা জল আড়াল করে নেমে গেলো সিড়ি বেয়ে। শাশ্বত সেখানে দাঁড়িয়ে রইলো। এই একই কথাটা রকিবুল মাষ্টার ও বলেছিলো গতকাল। মামামশাই এর প্রতি এক ক্ষীন সন্দেহ উঁকি দেয় শাশ্বতের। যে মামাকে সে চিনে সেটা কি তবে মিথ্যে! মুখোশের আড়ালে কি অন্যরুপ রয়েছে!
৪.
রুদ্রের রুমে উমার প্রবেশ ঘটেছে। লক্ষী দেবীর নিজেই নিয়ে এসেছেন। কঠিন স্বরে বলেছেন,
“এখন থেকে এখানেই থাকবে তুমি, রুদ্রের ভালো লাগা মন্দ লাগার ভার তোমার। ছেলেটা আমার অতি আদরে খানিকটা বিগড়ানো। তাই তো রাগ করে ঘর ছেড়েছে, এসে যাবে। আর সত্যি বলতে পুরুষ মানুষ বিগড়ানোই হয় উপরন্তু জমিদার বংশ। বুঝতেই পারছো। এখন তোমার বরকে কিভাবে সামলাবে সেই দায়িত্ব তোমার!”
লক্ষী দেবীর কথাগুলো স্বাভাবিক ভাবেই হজম করলো উমা। তিনি চলে যাবার পর আশেপাশটা দেখলো উমা। রুদ্রের ঘরটা বিশাল বড়। ফুলির মার ঘর থেকে দ্বিগুন। বেশ বিলাসিতাও রয়েছে। কিন্তু একটা আফসোস, প্রশান্তির বড় অভাব।
রাত বাড়ছে, সারাদিনের ধকলে ক্লান্ত শরীর ঘুমে জড়িয়ে গেছে উমার। হঠাৎ কারোর স্পর্শ পেতেই আৎকে উঠলো সে। সে ঘরে একা, তাই চিৎকার করতে যায় সে। তখনই মুখ আটকে ধরে কেউ। ধীর স্বরে বলে,
“চেঁচিয়ো না, আমি…..
চলবে
[