একজন সঙ্গে ছিলো পর্ব ৪

#গল্প
#একজন_সঙ্গে_ছিলো
#লেখাঃনিপা
পর্ব-৪
৭.
পুরো ঘরে নিরবতা বিরাজমান। দুজনের কেউ কোনো কথা বলছে না। ফারজানা হঠাৎ নিরবতা ভেঙে বলল,
-জানেন রিশিতা এতো বছরে আমি এই কথাগুলো কাউকে বলিনি। সবাই ভাবতো আমি খুব সুখী, অবশ্য সেটা ভাবার কারণ আমিও ফয়সালের মতো অভিনয় ভালো জানতাম। সুখী থাকার নিখুঁত অভিনয় করতাম। অনেকে আমাকে দেখে হিংসে করতো, আমার কপাল দেখে হিংসে করতো। কিন্তু ওরা যদি একবার সত্যিটা জানতো তবে কখনও হিংসে করা তো দূরের কথা আমার কথা ভাবলেই শিউরে উঠতো।
-আপনার ছেলে?
-আমার ছেলের নাম ফারদিন। ৭ বছর বয়স, বাবা ছেলে দুজন দুজকে প্রচন্ড ভালোবাসে।
কথাটা বলে ফারজানা একটু হাসল। রিশিতার কাছে হাসিটা খুব রহস্যজনক মনে হলো।
-আপনাকে কেনো বললাম কথাগুলো জানেন?
-হয়তো কোনো কারনে আমাকে আপনার ভালো লেগেছে তাই!
ফারজানা মুচকি হেসে বলল, না!
-তাহলে?
-আপনার রিপোর্ট গুলো দেখলাম, সেটা দেখে জানতে পারি যে আপনার রোগটা শুরু হয়েছে আপনার ছেলের জন্মের সপ্তাহ খানেক পর থেকে। কিন্তু হয়তো আপনার একটা অতীত আছে যেটা আপনার অসুখ টার সাথে রিলেটেড! এই অতীত সম্পর্কে আপনার হাজবেন্ড কিছুই জানেনা বলে তার বক্তব্য। আর ডঃ কামাল হোসেনের সাথে আলোচনা করে জানতে পারি যে, প্রেমঘটিত কিছু ব্যাপার আছে।
রিশিতা আমাদের আশেপাশে এমন মানুষ আছে যাদের দেখে মনে হয় প্রচন্ডরকম সুখী মানুষ। কিন্তু অনেক সময় হাসির আড়ালেও একটা কালো অতীত থাকে যেটা তাকে প্রতিনিয়ত তাড়া করে বেরায়।
আমার এখানে এসে সাজানো ঘর দেখে আপনার মনে হয়েছে আমি সংসারী মানুষ, আমার পরিপাটি রুপ আর চেহারার স্নিগ্ধতা দেখে মনে হয়েছে আমি খুব সুখী। আসলে কি তাই??
ঘর সাজানো বা সংসারের কাজ যেটাই করিনা কেনো সেটা কিন্তু আমি ভালোবেসে করিনা বরং নিজেকে ব্যস্ত রাখার জন্যে করি।
আর সাজগোজ বা পরিপাটি থাকার কারন হচ্ছে, কেউ যেন আমাকে দেখে ঘুনাক্ষরেও টের না পায় যে আমি কষ্ট পাচ্ছি বা কষ্টে আছি। সেজন্য এতো লুকোচুরি।
আমার কেনো যেনো নিজের অভিনয়টুকু আপনাকে দেখাতে ইচ্ছে করলো না তাই বলে ফেললাম।
রিশিতা চুপ করে শুনছে…
-আপনাকে দেখেই আমার মনে হয়েছে যে আপনি যতই সুখী থাকার চেষ্টা করেন না কেনো আপনি আসলে সুখে নেই। আপনি কি আপনার গল্পটা আমাকে বলবেন????
-রিশিতা মাথা নাড়লো।
৮.
আমি আমার বাবা মায়ের চতুর্থ সন্তান। আমার আগেও আমার বাবা মায়ের তিনজন মেয়ে ছিলো, তিনজনের নামই ছিলো ইশিতা। একজনের মৃত্যুর পর যখন অন্যজন জন্ম নিতো তখন আমার বাবা নাম রাখতো ইশিতা। পর পর তিনজন ইশিতা মারা যাওয়ার পর যখন আমার জন্ম হলো, তখন আমার ফুপু আর ইশিতা নাম রাখতে দিলো না। তার ধারণা হলো মৃত বোনদের নামে আমার নাম রাখলে আমিও মারা যাব তাই আমার নাম রাখা হলো রিশিতা।
আমার জন্মের ঠিক তিনমাসের মাথায় হুট করে মা মারা গেলেন। মা মারা যাওয়ার তিনদিন পর বাবা আমাকে ফুপুর কাছে রেখে নিরুদ্দেশ হয়ে গেলেন।
ফুপুর বাড়িতে আমি মানুষ হতে লাগলাম। ফুপুর পরিবার ছিলো একান্নবর্তী পরিবার। সেখানে আমি নিজের মতো একাই বড় হতে লাগলাম। ফুপুর বাড়িতে বাড়ির লোকজনকেও যেরকম দেখা হতো, কাজের লোককেও সেরকম দেখা হতো। তাই আমার খুব একটা সমস্যা হতো না।
ছোট বেলা থেকেই পড়াশোনা তে আমি খুব ভালো ছিলাম। মাধ্যমিক পরিক্ষায় আমি জেলায় প্রথম হয়েছিলাম। সেখান থেকেই মূলত আমার জীবনের গল্পটা শুরু,,,,,,,
কলেজে পড়ার জন্য আমি মফস্বলে গেলাম। ফুপু আমার পড়াশোনা নিয়ে কখনও দ্বিমত করেনি, বরং চেয়েছিল পড়াশোনা ভালো করে করি তাহলে বিয়েতে খরচ কম হবে।
যাইহোক আমার কলেজ লাইফ শুরু হলো। প্রথম দিন হোস্টেল থেকে যখন কলেজে যাচ্ছিলাম তখন ভুল করে রাস্তা হারিয়ে ফেলি। কোনদিক থেকে কোনদিকে যাব সেটা কিছুতেই বুঝতে পারছিলাম না। আমি রাস্তায় দাড়িয়ে থাকলাম রিকশার জন্যে। একটা ছেলে তখন এগিয়ে এসে বলল,
-কলেজ ড্রেস আর আইডি কার্ড দেখে মনে হচ্ছে আপনি ***কলেজের স্টুডেন্ট। আপনি কি রাস্তা হারিয়ে ফেলেছেন?
আমি হ্যাঁ সূচক মাথা নাড়লাম। ছেলেটা আমায় কলেজে পৌছে দিলো, আর আমি ধন্যবাদটুকুও দিলাম না।
কলেজে সবাই আমার অপরিচিত। আমি কারো সাথে আগ বাড়িয়ে মিশতে পারি না। তাই আমি একা একা থাকতাম। গ্রুপ ক্লাসগুলো তেও আমি একা থাকতাম, কেউ আমার সাথে মিশতো না। একদিন ল্যাব শেষ করে যখন বের হতে যাব তখনই সেই ছেলেটার সাথে দেখা হয়ে গেলো। ছেলেটা আমাকে দেখেই বলল,
-আপনিও সায়েন্স?
আমি মাথা নাড়লাম। ছেলেটা জিজ্ঞেস করলো আমার নাম কি?
আমি নাম বলার পর ছেলেটাও ওর নাম বলল।
ওর নাম ছিলো শুভ্র।
মাঝপথে থামিয়ে দিয়ে ফারজানা বলল, ছিলো বলতে?
-আপনি পুরোটা শুনে তারপর প্রশ্ন করবেন প্লিজ
-ওকে।
সপ্তাহ খানেক পর একদিন ইংরেজি পিরিয়ডে স্যার এসে জিজ্ঞেস করলো, পঞ্চগড় থেকে কি কেউ এখানে পড়তে এসেছে?
আমি তখন দাড়ালাম। স্যার আমাকে বললেন মাই ডিয়ার তুমি কি একটু সামনে আসবে??
আমি সামনে যাওয়ার পর স্যার সবাইকে উদ্দেশ্যে করে বললেন, এই যে মেয়েটাকে দেখছো এর নাম হচ্ছে রিশিতা। ও যেখান থেকে উঠে এসেছে সেখানে এখনও আধুনিকতার ছোয়া পৌছায় নি। নানারকম প্রতিকুলতার সাথে লড়াই করে নিজের চেষ্টায় জেলায় প্রথম হয়েছে ও। সেদিন পুরো ক্লাসরুমে প্রত্যেকটা ছেলেমেয়ের চোখে মুখে আমি বিস্ময় আর মুগ্ধতা দেখতে পেয়েছি শুধু একজন ছাড়া!
সেই একজন হলো শুভ্র!
কলেজ থেকে আমাকে জানানো হলো, আমার দুইবছরের পুরো খরচ কলেজ বহন করবে। আমি নিশ্চিন্ত মনে পড়াশোনা করতে শুরু করলাম। কলেজে আমার কোনো বন্ধু ছিলো না, যাও বা ছিলো তা হলো ওই হাই হ্যালো টাইপ। আমি কলেজের টপ গার্ল ছিলাম বলে ওরা আমাকে একটু ভয় পেত। আমার সাথে যদিও বা ভাব করতে আসতো তবে সেটা পড়া বোঝার জন্যে।

হাফ ইয়ারলি পরিক্ষায় আমি ফার্স্ট হলাম আর শুভ্র হলো সেকেন্ড। আমি বুঝতে পারলাম শুভ্র আমার মতোই পড়াশোনাতে খুব ভালো। আমার সাথে শুভ্রর শুধু পড়াশোনাতে না, আরও অনেক ব্যাপারে মিল আছে। আমরা দুজনেই ছিলাম একা, শুভ্রর জন্মের তিন বছর পর শুভ্রর মা ওর দুসম্পর্কের মামার সাথে পালিয়ে যায়। তারপর ওর বাবা আরেকটা বিয়ে করার পর ও ওর নানা নানির সাথে থাকতে শুরু করলো। পার্থক্য শুধু ছিলো, শুভ্রর বাবার অনেক টাকা ছিলো, যেটা আমার বা আমার বাবার ছিলো না।
শুভ্রও আমার মতো কারো সাথে মিশতো না, তাই ওর ও তেমন বন্ধু ছিলো না।
লাইব্রেরী রুমে প্রায়ই আমার মনে হতো শুভ্র আমার দিকে তাকিয়ে থাকতো, কিন্তু আমি যখন তাকাতাম তখন দেখতাম ও বইয়ের দিকে তাকিয়ে আছে।
আর আমিও শুভ্রর সাথে কথা বলার জন্যে মুখিয়ে থাকতাম। কিন্তু আমার মনে এক ধরনের সুক্ষ্ম অহংকার ছিলো। আমি কলেজ টপার, দেখতেও মোটামুটি সুন্দরী, আমি কেনো ছেলেদের সাথে আগ বাড়িয়ে কথা বলবো! আমি চাইতাম সবাই আমার পেছনে লেগে থাকুক।
আমার জীবনের মোড় বদলে গেলো কলেজে নতুন একটা ছেলে আসার পর। সে ছিলো প্রনব!
প্রনবকে দেখার পর আমার বুকের মধ্যে কেমন যেন মোচড় দিয়ে উঠল।
আমি যখনই প্রনবকে দেখতাম তখনই আমি নার্ভাস হয়ে যেতাম, আমার গলা শুকিয়ে যেতো। প্রনব কে দেখে আমার যেটা হলো সেটা হচ্ছে লাভ এট ফার্স্ট সাইট। কলেজে যেখানে সব ছেলেরা আমার সাথে কথা বলার জন্যে বাহানা খুঁজতো সেখানে প্রনব আমাকে পাত্তাই দিতো না। যেটা আমার ইগোতে খুব লেগেছিল। অন্যসব মেয়েদের সাথে ও খুব হেসে হেসে কথা বলতো, কিন্তু আমাকে যেন দেখতোই না।আমি মনে মনে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম যেভাবেই হোক এই ছেলেকে আমি আমার পেছনে দৌড় করাবো।
এতটুকু বলে রিশিতা ফারজানার দিকে তাকিয়ে বলল, আমাকে আপনার খারাপ মনে হচ্ছে?
-না! আপনি যে বয়সে ওরকম করেছেন সে বয়সে সবাই ভুল থেকে আস্তে আস্তে সবকিছু শিখতে থাকে। আপনি বলতে থাকুন,,,,,

আমি আমার ক্লাসমেটের কাছ থেকে প্রনবের ফেসবুক আইডি নিয়ে ওকে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট দিলাম। প্রনব এক্সেপ্ট করে আমাকে নিজে থেকেই মেসেজ করলো। এরপর প্রায়ই দীর্ঘ সময় আমাদের চ্যাট হতো, কিন্তু কখনও সামনাসামনি কথা হতো না। আমি প্রনবের চোখে স্পষ্ট প্রেম দেখতে পেতাম। কিন্তু ও আমাকে কখনও কিছু বলতো না।
একদিন কলেজ ছুটির পর প্রনব আমাকে ডেকে বলল, রিশিতা হাসলে তোমাকে ভীষণ সুন্দর লাগে! তুমি হাসোনা কেনো?
আমি বলেছিলাম, হাসলে চেহারার লাবন্যতা নষ্ট হয়ে যায় তো তাই!
এটা বলে আমরা দুজনেই একসাথে হেসেছিলাম। তারপর কিভাবে কিভাবে যেন আমাদের প্রেমটা হয়ে গেলো। অল্পবয়সী প্রেমগুলো যেরকম হয় আর কি! কলেজ ফাকি দিয়ে ঘুরতে যাওয়া, রাত জেগে ফোনে কথা বলা, এভাবেই চলতে লাগল।

ইয়ার ফাইনাল পরিক্ষায় আমি সেকেন্ড আর শুভ্র ফার্স্ট হলো। সেটাকে কেউ তেমন পাত্তা দিলো না, শুভ্র আর আমি পড়াশোনাতে দুজন প্রায় একরকমই ছিলাম তাই। আমিও তেমন পাত্তা দিলাম না, কিন্তু আমার পড়াশোনার বারোটা ততদিনে বেজে গিয়েছিল।

প্রনবের সাথে আমার সম্পর্ক দুইমাস ঠিক ছিলো। তারপরই ঝগড়া শুরু হতে লাগল। ঝগড়াটা হতো একতরফা, আমি কথা শোনাতাম আর প্রনব শুনতো কখনও কিছুই বলতো না।
-ঝগড়া কেনো হতো?
-আমি ছোটবেলা থেকে একা একা মানুষ হয়েছি। আমার কোনো বন্ধু ছিলো না তাই আমি জানতাম না বন্ধু কিরকম হয়! প্রনব কে দেখতাম কিভাবে জান, প্রান উজাড় করে বন্ধুদের ভালোবাসতো যেটা আমি সহ্য করতে পারতাম না। এটা নিয়ে বিভিন্নরকম মেন্টাল টর্চার করতাম। প্রনব সেটা সহ্য করে নিতো কিন্তু কখনও ওর বন্ধুদের ছেড়ে যায় নি। প্রনবের কিছু মেয়ে বন্ধুও ছিলো, যাদের সাথে ও একসাথে স্কুলে একসাথে পড়তো। আমাকে ফ্রেন্ডদের সাথে গেট টুগেদারেও নিয়ে যেতো সেখানে ওদের বন্ডিং দেখে আমি ভিতরে ভিতরে খুব ইনসিকিউর ফিল করতাম। আমি চাইতাম প্রনবের সবকিছু জুড়ে শুধুই আমি থাকবো আর কেউ না।
একদিন ঝগড়ার এক পর্যায়ে আমি প্রনবকে বললাম, হয় আমি নয় তোমার বন্ধুরা যেকোনো একদিক তোমাকে বেছে নিতে হবে।
প্রনব রাগে সেদিন ফোন রেখে দিয়ে আমার সাথে দুদিন কোনো কথাই বলেনি। দুদিন পর আমি কলেজে গিয়ে প্রনবকে সরাসরি জিজ্ঞেস করলাম আমাকে ইগনোর করার কারণ কি?
প্রনব তখন বলল, আমি তোমাকে ভালোবাসি রিশিতা কিন্তু তাই বলে তোমার জন্যে বন্ধুদের ছাড়তে পারবো না। আমি হিতাহিত জ্ঞান ভুলে সেদিন প্রনবকে যা নয় তাই শুনিয়েছিলাম। এমন কথা শুনিয়েছিলাম যেটা এখন আপনাকে বলাও সম্ভব নয়। সেদিন কলেজের সবাই আমার ওই রুপ দেখে বিস্মিত হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে ছিলো।
সবাই সেদিন জেনেও গিয়েছিল যে আমরা রিলেশনশিপে ছিলাম। আর প্রনব! একটা কথাও বলেনি শুধু মাথা নিচু করে শুনছিলো।
কলেজে তারপর আমাকে নিয়ে সবাই খুব গসিপ করতো যেটা আমি সহ্য করতে পারতাম না। তার জন্যেও আমি প্রনব কে কথা শোনাতাম।
মানসিক চাপের জন্যে আমি প্রি টেস্ট পরিক্ষা দিলাম না। আমাকে কলেজ থেকে ওয়ার্ন করা হলো, আমি যদি ঠিকঠাক পড়াশোনা না করি তো আমাকে টেস্ট পরিক্ষা দিতে দেয়া হবে না।
প্রনব তার ডিসিশন থেকে এক পা ও নড়েনি। ওর বন্ধুরা আমাকে বোঝাতে আসলে তাদেরও আমি যা তা বলে অপমান করি। সেদিন প্রনব বলেছিল, তুমি কি একটু বেশী বাড়াবাড়ি করছো না!
আমি সেদিন বারবার ফোন করছিলাম আর প্রনব ফোন কেটে দিচ্ছিলো। এক পর্যায়ে প্রনব ফোন রিসিভ করার পর আমি এক নাগাড়ে ওকে কথা শুনাচ্ছিলাম কিন্তু ফোনটা সেদিন প্রনব না ধরে, ধরেছিলো ওর বাবা।
ওর বাবা আমাকে বিভিন্ন ধরনের থ্রেট দিলো, আমার ফুপুকে জানালেন, এমনকি আমার প্রিন্সিপালকেও জানালেন।
আমাকে প্রিন্সিপাল ডেকে বললেন, কলেজ পড়াশোনার জায়গা, বেহায়াপনা করার জায়গা নয়।
আমার ক্লাসের ছেলে মেয়ে গুলো যারা আমার আড়ালে কথা শোনাতো তারা এরপর থেকে আমার সামনে কথা শোনানো শুরু করলো।
প্রচন্ডরকম মানসিক চাপ নিয়ে পরিক্ষা দিয়ে আমি প্রথমবারের মতো তিন সাবজেক্টে ফেইল করলাম।
ফুপু আমাকে সরাসরি বলে দিলেন তার ঘরে আমার আর জায়গা নেই।
আমার এতো দুঃখের মধ্যে সবাই ছেড়ে গেল, প্রনব, ফুপু, আমার টিচাররা সবাই।
কিন্তু একজন এসে আমার পাশে দাড়ালো।
শুভ্র!!!
,,,,,, চলবে,,,,,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here