#ওঁ_ফিরে_এসেছে (পর্বঃ ৩)
#Written_by_M.H (Dp)
.
.
আলিশার এয়া বড় নোকের আঁচড়ে ক্ষতো বিক্ষতো করে দেয় ড.শামীমের বুক। নোকের আঁচড়ে বুকের অনেকটা মাংস উঠে যায়, বুক দিয়ে রক্ত ঝড়ে পরছে, যন্ত্রণায় ফ্লোরে ছটপট করতে তাকে শামীম…।।
শামীমের যন্ত্রণাদায়ক করুণ অবস্থা দেখে… উচ্চ স্বরে হেসে উঠে আলিশা…!!
স্ত্রীকে চিৎকার করে ডাকতে তাকে শামীম কিন্তু কোনো সারা শব্দ পারচ্ছে না। স্ত্রীর উপর অনেক টা রেগে উঠে, হাতের কাছে ফেলে ধরে দু একটা আচার দিতো কিন্তু পারছে না আলিশার নিকট থেকে রক্ষা না পারচ্ছে স্ত্রীর কোনো পাত্তা….দু টানাই পরে শরীরের যন্ত্রণা দ্বিগুন বেরে গেছে…!!
আলিশার অট্ট হাসির শব্দে পুর রুমটা কাঁপতে লাগল….
মুহূর্তে ই আলিশার ভয়ঙ্কর রুপ দেখে ড.শামীমের ভয় আতঙ্কে জোরে জোরে”” বাচাঁও বাচাঁও”” বলে চিৎকার করতে তাকে।
মুখের বিবস্ত্র চেহারা, মুখের মাংস গলে গলে পরছে, কোঁচকোঁচে কালো মণি বিহীন চোঁখ দিয়ে টপটপ করে রক্ত পরছে…. এ যেনো এক ভয়ঙ্কর চেহারা দেখে ভয়ে শরীর কাঁটা দিয়ে উঠে…… ভয়ঙ্কর রুপে ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছে “”” অতৃপ্ত আত্মা আলিশা”””
শামীম – না আলিশা আমার কাছে আসবে না, আমাকে মেরো না। আমি ভুল করেছি আমাকে তুমি ক্ষমা করে দাও প্লিজ আলিশা প্লিজ..(কান্না করুণার স্বরে)
আলিশা – (অট্ট স্বরে হেসে) ক্ষমা করবো তোর মতো জানোয়ার কে, মনে পরে যখন আমার নগ্ন দেহ টাকে জানোয়ারের মতো খুঁবলে খুঁবলে খাচ্ছিলি ভোগ করেছি আমার সত্বীতকে,, তখন যন্ত্রণায় আমি ছটপট করছিলাম…বল তখন তুই আমায় ছেড়ে দিয়ে ছিলি, বল উওর দে…???(ভীষণ রেগে বলে)
বলেই আবার নোক দিয়ে আঁচড় কাটে বুকে….
শামীম – (যন্ত্রণায় ছটপট করে) আ আ আমি ভুল করেছি, আমাকে ক্ষমা করে দাও।।
আলিশা – (অট্ট হেসে) ক্ষমা তোকে, তোর মতো জানোয়ার কে কখনোও না।।
তোর এই চোঁখ দিয়ে আমার দেহটা কে কুটিয়ে কুটিয়ে দেখে ভোগ করেছিলি তাই না , তোর এই চোঁখ দুটি আমি……
বলেই চোঁখ দুটি উপড়ে ফেলে… তখন যন্ত্রণায় ছটপট করে উঠে, রক্তে মেখে যায় পুর ফ্লোর।
বুকে হাত ঢুকেয়ে দেয়ে আলিশা,, হাতের মুঠি চেপে ধরে শামীমের হৃদপিন্ড…মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসে আত্ম চিৎকারের.. সাথে বেরিয়ে আসে রক্তের স্রুত….
হঠাৎ হৃদপিন্ড ছিনিয়ে আনে শামীমের বুক থেকে…. দেহটা ধরফর করে লাফাতে তাকে ফ্লোরে ভীষণ যন্ত্রণার তাগিদে….আস্তে আস্তে দেহটা ছটপট করা বন্ধ হয়ে মারা যায় ড.শামীম।
হঠাৎ করে দরজা খুলে শামীমের ক্ষতো বিক্ষতো দেহটা ফ্লোরে পরে তাকতে দেখে জোরে চিৎকার দিয়ে উঠে তার স্ত্রী …………!!
অট্ট হাসিঁর ধ্বনিতে..হৃদপিন্ডটা হাতে নিয়েই হাওয়াই বিলিন হয়ে যাই আলিশার অস্তিত্ব ……………
.
.
.
এদিকে ফারজানা বেলকুনির দাঁড়িয়ে নাবিলের ফোন আলাপ থেকে শুনতে পাই……..
নাবিল – সত্যি বলছি রিয়া (নাবিলের গার্লফ্রেন্ড)… আমি তোমাকেই ভালবাসি, বিলিভ মি……!!
রিয়া – স্টপ ইট নাবিল। যেখানে তোমরা বাসর করে ফেলেছো, দু দিন পর বাবা হতে যাবে আর আমাকে বলছো তুমি ভালোবাসো।
প্রেম করলে আমার সাথে আর বিয়ে করলে ঐ শাকঁচুন্নি মেয়ে টাকে, বেইমান বিশ্বাসঘাতক। শুন তুমি আমাকে আর ফোন করবে না………..
নাবিল – প্লিজ প্লিজ রিয়া..এভাবে বলো না। বিশ্বাস কর শুধুমাএ আব্বুর জোরাজোরিতে এই বিয়ে টা করতে বাধ্য হয়েছি। (কথাটা মিথ্যে বলে)
(৫ বছরের সম্পর্ক ফারজানার সাথে, অঘাত সম্পত্তির মালিক সে। তাই পারিবারিক ভাবেই বিয়েটা করে ফেলে নাবিল…আর ফারজানার দৃষ্টির অগচরে অবৈধ্য সম্পর্ক গড়ে তুলে নাবিল)
রিয়া – আমি বিশ্বাস করি না, তুমি মিথ্যে বলছো।তুমি আমার সাথে এমনটা করতে পারলে নাবিল (ফুপিয়ে কান্না করে)
নাবিল – প্লিজ রিয়া কান্না বন্ধ কর। বিলিভ মি….!!
ওকে ফাইন আমাদের মাঝে ফারজানা পথের কাটা তো….সরিয়ে ফেলবো, প্রয়োজনে মেরে ফেলবো…………
এটুকু শুনেই ফারজানা কান্নাই ভেঙ্গে পরে। নিজের কানে বিশ্বাস করতে পারছে না, যাকে বিশ্বাস করে ভালবেসে বিয়ে করেছিল, আজ সেই মনের মানুষটি নিজের স্বার্থে তার প্রান প্রিয় স্ত্রীকে মেরে ফেলতে চেয়েছে…..ভাবতেই পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে যায় ফারজানার। ভেঙ্গে টুকরু টুকরু হয়ে যায় সাজানো সুখের স্বপ্ন গুলো…..কান্নাই ভেঙ্গে পরে ফারজানা…………….!!
– (রিয়ার সাথে নাবিলের সম্পর্ক শুধু মিথ্যে ভালবাসায়। নাবিলের উদ্দেশ্য রিয়ার মধুমাখা স্লীম সুন্দর্য্য দেহটা ভোগ করা আর কিছুই নয়।
তাই তো নাবিলের নিখুঁত অভিনয়ে মুগদ্ধ হয়ে রিয়া তার মায়া জালে পা দেয়।
রিয়া একজন সাধারণ মডেল তারুকা, যা নাবিলের হাত ধরেই মিডিয়াতে প্রবেশ)
ফোনে কথা বলা শেষ হতেই না হতে অদ্ভূত কান্নার আওয়াজ শুনতে পাই নাবিল।
রুমে ঢুকে দেখে ফারজানা জানালার রেলিং ধরে ফুপিয়ে কাঁদছে…….
এমন কান্নার কারণ কি হতে পারে ভাবতেই…আতকে উঠে নাবিল, এই ভেবে যে ফোনে কথাগুলো শুনে ফেলেনি তো আবার……..??
নাবিল সাধু সেজে ফারজানার কাছ থেকে জানতে চায়…কখন হসপিটাল থেকে এলে? কি হয়েছে কাঁদছো কেনো?
অনেক কথা বলে কিন্তু ফারজানা কোনো কথা বলে না শুধু কাঁদতে তাকে………..
চুপ হয়ে তাকতে দেখে নাবিল পিছন দিক দিয়ে কোমড় জড়িয়ে ধরে ফারজানা কে।
চুলের কারণে ফারজানার মুখটা ডাকা ছিল, উনমুক্ত ছিল ফারজানার ফর্সা পিট কিছু অংশ।
ফর্সা পিটে নাবিলের ঠোঁটের স্পর্শে কেঁপে উঠে ফারজানার শরীর… বন্ধ হয়ে যায় কান্নার আওয়াজ।
চুলের মিষ্টি ঘ্রাণে মাতাল হয়ে জামার চেইন টা খুলে দেয়, উনমুক্ত হয়ে যায় ফারজানার ফর্সা পিট…. ঘারে, পিটে নাবিলের ঠোঁটের চুমুর স্পর্শে
মাতাল করে তুলে ফারজানাকে……….
এভার ফারজানার রেসপন্সে নিজেকে কন্ট্রোল হারিয়ে ফেলে নাবিল….
গায়ের টি শার্টটি খুলে ছুরে ফেলে দেয় ফ্লোরে, দু হাতে ঘুরে দাঁড় করায় ফারজানাকে।
মুখ ঢাকা কালো চুলের আবরণ সরাতেই ভয়ে আতকে উঠে নাবিল…ফারজানার বিবস্ত্র ভয়ঙ্কর চেহারা দেখে।
রাগে ক্ষোভে ফুসতে তাকে ফারজানা…মুহূর্তে ই
হাতের নোক দিয়ে আঁচড় বসিয়ে দেয় নাবিলের বুকে।
ছিটকে পরে যন্ত্রণায় কুখাতে তাকে নাবিল।
নাবিল – আ.আ…ফারজানা আমাকে মারছো কেনো..?
ফারজানা – তোকে মারার জন্যেই তো “ফিরে এসেছি আমি” বলে অট্ট হাসিতে মেতে উঠে ফারজানা।
অদ্ভূত কন্ঠ শুনে ভেবে নেয় এটা ফারজানা নয় অন্য কেউ।। ফারজানা রুপে কোনো বহুরুপী শয়তান, কে সে…..??
ফারজানা – কিরে চুপ করে দাড়িয়ে আছিস কেন, আমাকে আদর করবি না…. আই আমার কাছে আই।
নাবিল – না,, কে তুমি.. সত্যি করে বল…?
ফারজানা – আমাকে চিন্তে পারছো না, আমি তোমার স্ত্রী ফারজানা।
নাবিল – না, আমি বিশ্বাস করি না,, তুমি আমার স্ত্রী হতে পারো না,, হলে তুমি আমার বুকটা কে জানোয়ারের মতো আঁচড় কাটতে না.. কে তুমি…?
ফারজানা – দেখতে চাও আমি কে, তাহলে দেখ…..
বলেই ভয়ঙ্কর চেহারা ধারণ করে ফারজানা….
মাথা ফেটে ফাক হয়ে রক্ত টগবগ করে বেরিয়ে আসছে, চোঁখ দুটি মণি হীন কালো… মুখের মাংস গলে পরছে…. হাতের নোক গুলো কালোটে লম্বা হয়ে উঠে…
ভেসে আসে অন্য একটি চেহারা…. নাবিল ফারজানার এমন চেহারা দেখে ভয়ে শরীর কাটা দিয়ে উঠে,,,,
ভয়ে আতঙ্কে ধরফর করে কাঁপতে থাকে…..
হঠাৎ করে ফারজানার দেহ থেকে মাথাটা ছিটকে পরে ফ্লোরে।
রক্তে মুখ ভিজে যায় নাবিলের…….
ভয়ে চিৎকার করে উঠে, চোঁখ বন্ধ করে ফেলে ভয়ে…..!!
ফারজানা দেহ থেকে কিকরে মাথা আলাদা হয়ে যায়? মনে হচ্ছে মাথাটা কেউ দাড়ালো ছুরি দিয়ে কেটে দেহ থেকে মাথা আলাদা করে ছুরে ফেলে দেয়…..এমনটা ভাবতেই ভয়ে কলিজা শুকিয়ে আসে……
– চোঁখ বন্ধ করে আছিস কেন, চোঁখ মেলে তাকিয়ে দেখ আমাকে….বলেই অট্ট হাসিতে হাসতে তাকে…….
ভয়ে আতঙ্কে মিটিমিটি চোঁখে তাকাতেই নাবিল……….?
.
.
.
এদিকে মাইশা ঘুম ভাঙ্গে ফোনের রিংটনে….!!
ফোন হাতে নিয়ে দেখে তার বেস্ট ফ্রেন্ড রুহি।
মাইশা – হুম..রুহি বল (ঘুমের স্বরে)
রুহি – কি রে মাইশা আজ তো তোর কোনো পাত্তাই নেই, ফোনেও দিলিনা… ক্যাম্পাসে এলি না যে?
মাইশা – কিছু না শরীরটা ভালো না তাই।
রুহি – ও,, তা এ কখন কেমন আছিস।
মাইশা – হুম ভালো আছি। তুই এখন কোথায়?
রুহি – বাসায়। আর শুন রাত ৮ টায় মিলি পার্টি দিসে, তোকে আসতেই হবে…!!
মাইশা – ও রেলি,, নিশ্চয় রাহুল মিলির প্রপোজাল এক্সেপ্ট করসে,,সে জন্যেই পার্টি দিচ্ছে… কি তাই তো?
বলে হাসতে তাকে…..
রুহি – এতো হাসিস না..! ঐ নাইট ক্লাবে মিলি পার্টি দিচ্ছে।সময় মতো এসে পরিস…বাই দেখা হচ্ছে….!!
মাইশাকে কোনো কথা বলার সুযোগ না দিয়েই ফোন কেটে দেয়।
কিছুটা মন খারাপ করে মাইশা… তার সাথে কথা বলেতে খুব ভালো লাগল ছিল। ফোন কেটে দেওয়ার মন খারাপ করে আবার শুয়ে পরে….
( ঐ ক্লাব বলতে শহরের অদূরে সেই স্টার নাইট ক্লাব বলা হয়েছে,,, অদ্ভূত সেই ক্লাব…. কি চলে সেই ক্লাবে….?)
.
.
.
এদিকে রুহি মাইশা কে নিয়ে গভীর এক সরযন্ত্রের জাল বুনতে লাগল ক্লাবে। রুহি আজ তার পথের কাটা দূর করবে….. ভাবতেই খুশিতে আত্মহারা রুহি………
রাতে কি হতে যাচ্ছে মাইশার সাথে………??
।
চলবে………..
★ এটা হরর গল্প। রহস্যে আবৃত্ত এই গল্পে আলিশার নির্মম অমানবিক অত্যাচারে নিসংশয় ভাবে হত্যার মধ্য দিয়েই এ গল্প সাজানো হয়েছে।