ওঁ ফিরে এসেছে পর্ব ৪

#ওঁ_ফিরে_এসেছে (পর্বঃ ৪)
#Written_by_M.H (Dp)
.
.
– চোঁখ বন্ধ করে আছিস কেন..? চোঁখ মেলে তাকিয়ে দেখ আমাকে
বলেই অট্ট হাসিতে মেতে উঠে……..!!
ভয়ে আতঙ্কে মিটমিটিয়ে চোঁখে তাকাতেই আঁতকে উঠে নাবিল..।
ফারজানার একি হাল দেখে নাবিল ভয়ে আতঙ্কে কলিজার পানি শুকিয়ে যাচ্ছে। বুকে হৃদপিন্ড ধুবধুকানি করছে নাবিল তাকিয়ে দেখে….
ফারজানার দেহ থেকে আলাদা হওয়া মাথার মোন্ডুটা ফারজানা তার ডান হাতে ধরে আছে তার মাথাটা।
হাতে রাখা মাথার মোন্ডু থেকে রক্ত ছুয়ে পরছে ফ্লোরে। এমন ভয়ঙ্কর বিধ্বস্ত ফারজানার ভয়ংকর রুপ দেখে নাবিলের জ্ঞান হারিয়ে ফেলার উপক্রম।
ভয়ে নাবিলের পুরো শরীর কাঁপছে। নিজের প্রাণ বাঁচাতে উঠে দৌড় দেয় নাবিল কিন্তু রুমের
দরজা কিছুতেই খুলতে পারছে না, না পারছে জানালা খুলতে কাউকে ডাকতে ।
হঠাৎ নাবিলের কাঁধে শীতল হাতের স্পর্শে ঘাড় ঘুরে তাকাতেই লাফ দিয়ে দৌড়ে বেডের উপরে উঠে দাঁড়ায়
এখন নাবিল দেখতে পারছে ফারজানার মাথাটা ঠিক টাক আছে, রক্তিম বর্ণের চোঁখ ধারণ করে তার দিকে অদ্ভুত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। যেনো তার চোঁখে প্রতিশোধের আগুন দাউদাউ করে জ্বলছে।
নাবিল চিন্তা করে ফারজানার উপর কোনো প্রেতাত্মা ভর করেনি তো?? যার কারণে ফারজানা আমার সাথে এমনটা করছে।
নাবিল দৌড়ে ফারজানাকে জড়িয়ে ধরে……
নাবিল – কি হয়েছে তোমার। কেনো এমনটা করছো আমার সাথে? তোমার শরীরে কোনো প্রেতাত্মা ভর করেনি তো?
কথা বলা শেষ হতেই নাবিলের ঘাড়ে কামুড় বসিয়ে দেয় ফারজানা।
চিৎকার করে উঠে নাবিল। যন্ত্রণায় ছটফট করতে তাকে, ফারজানাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয় নাবিল।
ভীষণ যন্ত্রণায় ঘাড়ে কামুড় দেওয়ার স্থানে হাত লাগিয়ে দেখে, ঘাড়ে গর্ত হয়ে গেছে রক্ত গড়গড় করে বেরিয়ে আসছে পানির স্রোতের মতো পুরো শরীর ভিজে যায় তার দেহের রক্তে। ভয়ে কষ্টে যন্ত্রণায় ফারজানার দিকে তাকাতেই বিষম খেয়ে যায় নাবিল।
তার ঘাড়ের মাংসটা.. মানুষ খেকো পিশাচের মতো মাংসটা চিবিয়ে খাচ্ছে সে।
নাবিল – কে তুমি? কেনো আমাকে মারছো? কি অপরাধ করছি আমি,কেন এমন করে যন্ত্রণায় দিয়ে মারছো?
ফারজানা – তোকে তোর পাপের শাস্তি দেওয়ার জন্যেই তো আমি ফিরে এসেছি। ছাড়বো না তোদের কে মেরে ফেলবো সবাই কে। দেখতে
চাস কে আমি, তাহলে দেখ তাকিয়ে……
ফারজানা শূন্যে উঠে যায় ফারজানার চেহারাতে একটা ভয়ঙ্কর অভায়ক চেহারা ভেসে উঠতেই..
নাবিলের মুখ দিয়ে অস্ফুট স্বরে বেরিয়ে আসে…আলিশা….!!
নাবিল – আমাকে মেরো না, ক্ষমা করে দাও আলিশা..আর কখনোও এমন জঘন্য কাজ করবো না, সব আবিরের দোষ.. মেরো না আমাকে (ভয়ে শরীর কাঁপতে থেকে বলে)
আলিশা – না, কিছুতেই তোর মতো জানোয়ার কে বাঁচিয়ে রাখবো না। মেরে ফেলবো
বলেই অট্ট হাসিতে মেতে উঠে আলিশা………
হঠাৎ আলিশা হাসি বন্ধ করে নাবিলের গলা টিপে ধরে শূন্যে উঠিয়ে আনে।
গলা টিপে ধরাই মুখ দিয়ে জিব্বাহ বেরিয়ে আসে নাবিলের। বা হাতে আলিশা নাবিলের মুখের জিব্বাহ টেনে ধরে জোরে টানতে তাকে।
যন্ত্রণায় নাবিলের জিব্বাহ আরো বেরিয়ে আসে। এক সময় নাবিলের সমস্ত মুখের জিব্বাহ বের করে চিরে আনে আলিশা। হাতে ছুরে মারে নাবিলের দেহ টাকে, দেওয়ালে ছিটকে পরে। নাবিলের মুখ দিয়ে
শরীরের সমস্ত রক্ত যেনো গলগল করে বেরিয়ে আসে, দেহটা মাছের মতো লাফাতে তাকে নাবিলের দেহটা।
এক সময় সব কিছু স্তব্ধ হয়ে যায়, রুমের সমস্ত জিনিস গুলো যেমনটা ছিল ঠিক সেমনটাই রইয়ে যায় কিন্তু থেকে যায় নাবিলের বিধ্বস্ত ক্ষতো বিক্ষতো দেহটা।
হঠাৎ করে সেই মুহূর্তে রুমে ঢুকে ফারজানা…. (নাবিলের কথা শুনে কান্না করে রুম থেকে চলে গেছিল ফারজানা, যা নাবিল তাকে দেখতে পাই নি, নাস্তা করার জন্য ডাকতে আসে ফারজানা)
রুমে ঢুকতেই ফ্লোরে নাবিলের ক্ষতো বিক্ষতো বিধ্বস্ত চেহারা দেখে একদম বাকরুদ্ধ হয়ে যায় ফারজানা। চোঁখ দিয়ে দুফোটা জল গরিয়ে আসে তার চোঁখ দিয়ে।
চোঁখের সামনে এ কাকে দেখছে…? বিশ্বাস করতে পারছে না, নাবিলের লাশটা এমন করে পরে আছে। নিজ চোঁখে দেখা যেনো তার কাছে স্বপ্ন মনে হচ্ছে।
মুহূর্তে জোরে চিৎকার করে উঠে ফারজানা। দৌড়ে গিয়ে নাবিলে দেহটাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে লাগল………
শূন্যে দাঁড়িয়ে আলিশা দেখছে নাবিলের লাশটা,, মনে তৃপ্তি পাচ্ছে নাবিলের মতো জানোয়ার টাকে মেরে তার প্রতিশোধ নিতে পেরে অট্ট হাসিতে মেতে উঠে অদৃশ্য হয়ে যায় আলিশা।
নাবিলের দেহটা জড়িয়ে তাকা কালিন রুমের মধ্যে কেউ বলার কথা শুনতে পায় ফারজানা “”প্রতিশোধ নিয়েছি মেরে ফেলেছি তাকে, ছাড়বো না কাউকে “”………..?
.
.
.
৫০ লাক্ষ টাকা পেয়ে খুঁশিতে আত্মহারা অনিক।
কিছু দিন আগে, মাফিয়া গট ফাদার তার ছোট ভাইকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায় রেপ কেইসে।
ধর্ষিত মেয়েটি যখন আদালতে তার সমস্ত ঘটে যাওয়া ঘটনা শিকারক্তি তুলে ধরলে, তার কথায় হস্তক্ষেপ করে আসামির পক্ষের উকিল অনিক।
সত্যকে মিথ্যা বানিয়ে বক্তব্য তুলে ধরে আদালতের সামনে অনিক।
মিথ্যা কলঙ্কের দাগ ছুরে মারে ধর্ষিত মেয়েটার উপর। কলেজের কথা নাম করে বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে রাত কাটায়, সবার দৃষ্টি অগচরে নিজেকে কলগার্ল হিসাবে নাম খ্যাতিঅর্জন করে, আরো মিথ্যে অপবাদ দেয় ধর্ষিত মেয়েটার উপর।
মেয়েটার চরিএের উপর কালি মেখে শান্তো হয়নি অনিক বরং পিতা মাতার উপর কলঙ্কের দাগ মেখে দেয়।
মিথ্যের জয়ে অনিক লাফিয়ে উঠে, মুক্তি পায় মাফিয়ার ভাই।
সমাজে এমন অনেক উকিল আছে তারা অর্থের লোভে সত্যকে চেপে রেখে মিথ্যে চক্ররান্তের কাছে সত্য হেরে যায়।
ন্যায় বিচার এখন আর কেউ পায় না।
যার টাকা আছে -সে সবকিছু করতে পারে আর যার টাকা পয়সা নেই নিরুপায় তারা ন্যায় বিচার পাবে দূরের কথা, মিথ্যে অপবাদ নিয়ে বেচে থাকতে হয় সমাজে।
তেমনটাই অনিকের মিথ্যে অপবাদে কারণে ধর্ষিত মেয়েটি সহ তার বাবা মা সবাই একএে আত্মহত্যা করে। কি করে বেচে তাকবে সমাজের মানুষ গুলো যে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়ে ধর্ষিতা কলঙ্কীনির বাবা যাচ্ছে। সমাজের মানুষের কানাঘুষা আর
মিথ্যে অপবাদ সহ্য করতে না পেরে তারা আত্মহত্যার পথ বেচে নেয়।
এমন করে নিসংশয় ভাবে ধ্বংস হয়ে যায় একটি আদর্শ পরিবার।

মাফিয়ার ভাই মুক্তি পাওয়াই অনিক কে ৫০ লাখ টাকা দেয়ে মাফিয়া ডন। সেই টাকা পেয়ে খুশিতে গান গেয়ে নাচতে নাচতে বাসায় আসে অনিক।
বাসায় ঢুকে অনিক চমকে যায় সোফায় বসা ১৮ বছরের বয়সী সুন্দরী মেয়েকে দেখে।
অনিকের সহকারী এসে দাঁড়ায় তার সামনে। অনিক – মেয়েটি কে? এখানে কি চাই মেয়েটা?
সহকারী – স্যার.. মেয়েটা বিপদে পরে আপনার কাছে এসেছে । মেয়েটার ভাই মিথ্যে টাকা চুরি দায়ে পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে যায়, সে ব্যাপারে মেয়েটা আপনার সাথে কথা বলতে আসছে।
অনিক- ওকে বলো কাল সকালে আসতে সন্ধ্যা ৭ টা বাজে এখন কোনো ক্লায়েন্টের সঙ্গে কথা বলতে পারবো না……
এই বলে অনিক সিড়িঁ বেয়ে তার বেড রুমে চলে যায়।
সহকারী গিয়ে মেয়েটাকে অনেক বুঝায়, স্যার আজ দেখা করতে পারবে না কিন্তু মেয়েটি তার কথা শুন্তে নারাজ।
কোনো কথায় না শুনাই অনিকের সহকারী
রাগ দেখিয়ে চলে যায় তার কাজে। মেয়েটা সিড়িঁ দিয়ে বেয়ে উপরে যেতে লাগল।
হঠাৎ করে সহকারী এসে দেখে মেয়েটা নেই, সিড়িঁর দিকে তাকাতেই হক চকিয়ে উঠে, চোঁখ বড়বড় করে তাকিয়ে দেখে মেয়েটা হাওয়াই উড়ে উড়ে যাচ্ছে।
এটা কি করে সম্ভব, একটা মানুষ উড়ে কি করে যেতে পারে….??

অনিক ফ্রেশ হয়ে এসে দেখে নিচের ঐ মেয়েটা তার বেডে শুয়ে আছে, দেখে
অনেকটা রেগে যায় অনিক………
অনিক মেয়েটার কাছে এসে দেখে থ হয়ে দাঁড়ায়। মেয়েটার শরীরের গঠন দেখে কামনার লোভ জেগে উঠে, জিব্বাহ টা বের করে ঠোঁট দুটি ভিজিয়ে নেয়।
ঝাপিয়ে পরতে ইচ্ছে করে মেয়েটার মিষ্টি শরীরের সাধ ভোগ করতে।

মেয়েটি – স্যার.. আমার ভাইকে বাচান স্যার। প্লিজ স্যার আমার ভাইকে বাঁচান?
মেয়েটার কথাই ঘোর কাটে অনিকের। এতক্ষণ মেয়েটার শরীরের দিকে তাকিয়ে এমনটা ভাবছিল সে।
ইতস্তত হয়ে অনিক জিঙ্গাস করে…..
অনিক – কি হয়েছে তোমার ভাইয়ের?
মেয়েটি – স্যার পুলিশ আমার ভাইকে মিথ্যে চুরি দায়ে তাকে ধরে নিয়ে গেছে। আপনি তো স্যার শহরের বড় উকিল তাই আপনার কাছে আসছি, আমার ভাইকে বাঁচিয়ে দেন স্যার।
মেয়েটার কথা শুনে অনিক প্ল্যান করে তার ভাইকে বাঁচাবে বিনিময়ে তার শরীর টাকে ভোগ করতে দিতে হবে – মেয়েটার শরীরে তাকিয়ে মনে মনে এমনটা প্ল্যান করে বসে।
অনিক – শুনো মেয়ে, জানো তো আমার কাজের বিনিময়ে কিছু দিতে হয়… তুমি কি পারবে কাজের প্রতিদান দিতে?
মেয়েটা – বলোন স্যার, আপনার কাজের জন্য..আমায় কি প্রতিদান দিতে হবে?
অনিক – আমার সাথে একটি রাত কাটাতে হবে.. পারবে? যদি পারো তাহলে বলো তোমার ভাইকে আমি বাঁচাবো, নয়তো…………
মেয়েটা তীক্ষ্ণচোঁখে অনিকের দিকে কিছু একটা ভেবে বলে………
আমি রাজি স্যার। আমার ভাইকে বাঁচাতে আমার সত্বীতকে আপনার হাতে তুলে দিব….
বলেই কিছুটা করুনা রাগি চোঁখে তাকাই অনিকের দিকে।
বিস্ময় চোঁখে তাকিয়ে মনে মনে বলে অনিক- এমন মেয়েও হয়, ভাইয়ের জন্য নিজের সত্বীতকে বিলিয়ে দিবে আশ্চর্যের ব্যাপার তো… আর হবেই না কেনো, এছাড়া তো কোনো উপায় নেই যে তার।

অনিক খুশিতে গদোগদো হয়ে উঠে মেয়েটার কথা শুনে। একদিকে ৫০ লাখ টাকা পেয়ে আর অন্যদিকে আজ রাতে এই মেয়ে টাকে নিয়ে ফূর্তি করবে – ভাবতেই খুশিতে নাঁচতে মন চায়ছে।
মুহূর্তে মেয়েটাকে ঝাপটে ধরে বেডে নিয়ে শুয়ে পরে অনিক।
মিষ্টি সুগন্ধিত ঘ্রাণ তুলতুলে মেয়েটার শরীর ভাবতেই শরীরের এক অজানা শিহরণ বয়ে যায় অনিকের।
মেয়েটার ঘাড়ে গলায় ঠোঁটে চুমু দিয়ে জাগিয়ে তুলে মেয়েটার শরীর।
হঠাৎ করে অনিক ঘাড়ে তীব্র ব্যথা অনুভব করে।
মেয়েটার ঘাড় থেকে অনিক তার মুখ তুলে মেয়েটার দিকে তাকাতেই -ভয়ে আঁতকে উঠে সে।
মেয়েটাকে বিবস্ত্র মুখ, রক্তাক্ত মণিহীন চোঁখ দেখে মেয়েটাকে ধাক্কা দিয়ে বেড থেকে উঠে দাঁড়ায় অনিক।
রক্তে ভিজে যাওয়ার নিজের বুকটা দেখে হতভম্ব হয়ে যায় অনিক…। ইতি মধ্যে ঘাড়ে চিনচিন করে ব্যথা অনুভব করছে, খুব যন্ত্রণা হচ্ছে ঘাড়ে।
ঘাড়ে গর্ত হয়ে যাওয়া অনুভূতি বুঝতে পেরে মেয়েটার মুখে তাকিয়ে দেখে- তার ঘাড়ের গর্তের মাংসটা মেয়েটা চিঁবিয়ে কাচ্ছে।
হঠাৎ করে অনিকের চোঁখের সামনে মেয়েটা শূন্যে হাওয়া উঠে দাঁড়ায় ভয়ঙ্কর রাগি দৃষ্টিতে তাকাই মেয়েটা অনিকের দিকে।
এমন দৃশ্য চোঁখের সামনে দেখতে পেয়ে ভয়ে পুরো শরীর কাঁপতে তাকে। ভয়ে গলা কাঠ হয়ে গেছে, মুখ দিয়ে কোনো কথা বের হচ্ছে না
কপালে ঘাম জমে গেছে ভয়ে আতঙ্কে………….!!
হঠাৎ করে মেয়েটি অনিকের গলা চেপে ধরে শূন্যে
উঠিয়ে আনে… হাত পা লাফালাফি করতে লাগল মেয়েটার হাত থেকে রক্ষা পেতে।
হঠাৎ করে মেয়েটি……………….?
.
.
.
ঠিক ৮ টায় চলে যায় মাইশা ঐ ফাইভ স্টার নাইট ক্লাবে। রুহিকে ফোন দেয় মাইশা……
রুহি – হে মাইশা বল।
মাইশা – আমিতো আসছি কিন্তু তোরা কোথায় বল?
রুহি – আমি আর মিলি ক্লাবের ভিতরেই আছি তুই ভিতরে ঢুকে সিড়িঁ বেয়ে ৯ নম্বর রুমে নক কর আমরা ঐ রুমেই আছি।
রুমের কথা বলেই মাইশা বেশ অবাক হয়। পার্টি না করে রুমে কি করে রুহি। নাকি তার জন্য ঐ রুমে কি কোনো সারপ্রাইজ অপেক্ষা করছে? মনে মনে বেশ খুশি হয়।
মাইশা ক্লাবে ঢুকে অদ্ভুত জিনিস লক্ষ্য করে, কেমন যেনো ছেলে মেয়ে গুলো তার দিকে অদ্ভুত ভাবে তাকাচ্ছে, মনে হচ্ছে সে ভিন গ্রহের কোনো প্রাণী যে ভুল করে তাদের ক্লাবে ঢুকে পরেছে।
সেদিকে মাইশা ভ্রুক্ষেপ না করে রুহির কথা মতো ৯ নম্বর রুমে নক করে।
রুহি দরজা খুলে মাইশাকে দেখে মুচকি হেসে জড়িয়ে ধরে তাকে।
রুমে স্যামলা কালো বর্ণে দুটি তরুণ যুবক দেখে চমকে যায় পাশে মিলি দাঁড়িয়ে আছে,মাইশা রুহিকে ছেড়ে তাকে প্রশ্ন করে এরা কারা ছেলে দুটি উদ্দেশ্য করে বলে….
রুহি মুচকি হেসে বলে এরা তোর সুভা কাঙক্ষী।
মাইশা – হোয়াট রুহি..কি বলছিস তুই। সুভা কাঙক্ষী মানে?
রুহি – হে সুভা কাঙক্ষী। তুই কি ভাবছিলি তোকে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য এনেছি, না আমি তোর সর্বনাশ করতে এনেছি। (অগ্নিমূর্তি ধারণ করে রেগে বলে)
মাইশা – এসব কি বলছিস রুহি আমার সর্বনাশ করতে মানে, ভুলে জাসনা আমি তোর বেস্টফ্রেন্ড (অবাক হয়ে)
রুহি – রাখ তোর বেস্টফ্রেন্ড। সত্যিই তুই আমার বেস্টফ্রেন্ড হলে আমার সিয়াম কে আমার কাছ থেকে ছিনিয়ে নিতে পারতি না। (রুহির বয়ফ্রেন্ড)
মাইশা – তুই আমায় ভুল ভাবছিস রুহি,সিয়াম কে কেন আমি তোর কাছ থেকে ছিনিয়ে নিবো? বরং সিয়ামেই আমার পিছে ঘুরঘুর করে আর এমনেই তেই তাকে আমি কোনো পাত্তা দেই না, না ওকে ভালোবাসি। ও তোর বয়ফ্রেন্ড জেনেও আমি কেন তোদের সম্পর্ক ফাটল ধরাতে যাবো। সিয়াম ভালো ছেলে না, ও তোকে নয় বরং অন্য কাউকে ভালোবাসে বুঝেছি।
এই বলে মাইশা পা বারাই চলে যাওয়ার জন্য,,, নিজের কাছে ঘৃণা হচ্ছে এ কাকে বেস্টফ্রেন্ড বানিয়েছে সে, যে কিনা……….
মাইশার পথ আটকে দাঁড়ায় রুহি।
ছেলে দুটিকে ইশারা দেয় মাইশাকে ধরতে।
দু হাত দু দিকে শক্ত করে চেপে ধরে ছেলে গুলো। রেগে যায় মাইশা
মাইশা – ভালো হবে না রুহি, ছেড়ে দিতে বল ওদের কে?
রুহি অট্ট হাসিতে মেটে উঠে মাইশার কথা শুনে।
মিলি দাড়িয়ে শুধু তাকিয়ে দেখছে দুজনের কায্য কলাপ।
রুহি – ছেড়ে দেওয়ার জন্যে তো তোকে এখানে ডেকে আনি নি। তোর সুন্দর শরীরে আজ কলঙ্কের দাগ লাগাবো। তোর রেপ ভিডিও ছড়িয়ে দিবো.. যাতে করে তোর ফর্সা মুখটা না দেখাতে পারিস। আমার সিয়ামকে কেড়ে নেওয়ার তোর শাস্তি। দেখ দেওয়ালের চার কোণে সিসি ক্যামেরা লাগানো আছে…. নিয়ে যাও ওকে, এমন হাল করো যাতে আর কোনো দিন মুখ দেখাতে না পারে….
বলেই হো হো হো করে হাসতে লাগলো রুহি…!!
মাইশা রুহিকে অনেক অনয় বিনয় করে তার এতো বড় সর্বনাশ না করতে। মিলিকে হাত জোর করে বলে তাকে ছেড়ে দিতে….
কিন্তু মিলি কিছুই বলেনি রুহিকে বরং মুখ ঘুরিয়ে নেয় মিলি।
ছেলে দুটির কাছে মাইশাকে ফেলে রেখে রুহি রুমের দরজা বন্ধ করে চলে যায় কন্ট্রোল রুমে, সেখানে মাইশার রেপ ভিডিও দেখতে পারবে।
রুহি একজন বদমেজাজি, ছাএ নেতার সাধারণ সম্পাদক বিদায় তার বেশ ক্ষমতা আছে। মাইশা বড়লোকের মেয়ে বিদায় সে অনেক কিছু করতে পারে কিন্তু রুহি তা পরোয়া করে না।
((সিয়ামের প্রপোজাল মাইশা এক্সেপ্ট না করাই, রুহির কাছে মাইশার সম্পর্কে বলে তাকে মাইশা ভালোবাসে। রুহি এতে কাটা হয়ে দাঁড়ালে সে কাটা উপড়ে ফেলে দিবে, রুহি শুনে তেলে বেগুনে জ্বলে যায়। সিয়াম দুজনের মধ্যে ঝগড়া বাধিয়ে রুহির নেতার পদ টা হাতিয়ে নেওয়ার কৌশল। তাই রুহি মাইশাকে উচিৎ শিক্ষা দেওয়ার জন্যেই এই ষড়যন্ত্র করে))
মাইশা চিৎকার করছে তাকে কেউ বাঁচাতে কিন্তু তাকে কেউ আসবে না বাঁচাতে কারণ সবাই জানে মাইশার সাথে এমনটা হবে……
তাই তো মাইশা আসার সময় তাকে অদ্ভুত চোঁখে দেখছিল।
ছেলে দুটি হিংস্রো জানোয়ারের মতো ঝাপিয়ে পরে মাইশার উপর।
ভিডিও তে মাইশার চিৎকার চেচামিছি শুনে হেসে উঠে রুহি…..
মাইশার জামা কাপড় অনেকটা ছিরে যায় দস্তাদস্তিতে,,এ দেখে চোঁখ বড় বড় করে তাকাই ছেলে দুটি।
হঠাৎ করে মাইশার চিৎকার করে ওঠে.. মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসে কুচকুচে কালো ধোঁয়া, বিছানায় অজ্ঞান হয়ে পরে মাইশা। পুরো রুম কালো ধোঁয়াটে ডেকে ফেলে। কাশতে কাশতে চোঁখ লাল হয়ে যায় ছেলে দুটির….
হঠাৎ করে ছেলে দুটির ঘাড়ে… কে যেনে শক্ত করে চেপে ধরে আছে।
পিছে ঘাড় ঘুরাতেই ছেলে দুটি আত্মচিৎকার করে উঠে প্রচন্ড ভয়ে………….??
.
.
চলবে………..

(( আর দুইটা পর্ব হবে, যা আলিশার রহস্যের কাহিনি লিখে গল্পটা শেষ করে দিবো))

((ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন))

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here