ওঁ ফিরে এসেছে পর্ব ৬

#ওঁ_ফিরে_এসেছে (পর্বঃ ৬)
#Writer_Mubarak_Hossain (Dp)
#স্পেশাল_পর্ব

আলিশা রাগে অগ্নিশর্মা হয়ে ছুটে আসে আবিরের ডেস্কে! আবিরের শার্টের কলার ধরে দাঁড় করিয়ে ঠাসসস ঠাসসস করে দু গালে থাপ্পড় বসিয়ে দেয় আলিশা।
সঙ্গে সঙ্গে পাঁচ আঙ্গুলের দাগ বসে যায় আবিরের গালে। গালে হাত রেখেই আলিশার দিকে জিঙ্গাসু দৃষ্টিতে তাকায় আবির?
রাগে অগ্নিচোঁখে আবিরের দিকে তাকিয়ে বলে
আলিশা – তোর সাহস তো কম না, শেয়ার হোল্ডারদের কাছে বলেছিস আমি তোর হবু স্ত্রী! ইডিয়েট কোথাকার তুই জানিস আমি রুহান কে ভালোবাসি আর কিছু দিন পর আমাদের এনজেগমেন্ট আর তুই কিনা ছি আবির ছি আমার ভাবতেই প্রচন্ড ঘৃণা হচ্ছে তোর উপর যে কিনা তুই আমার বিজনেস পার্টনার।।

আবির ব্যাপারটা বুঝতে পেরেছে তাই আলিশার হাত জোর করে বলে।
আবির – প্লিজ আলিশা তুমি বুঝার চেষ্টা করো! আমি সেই কলেজ লাইফ থেকে তোমাকে ভালোবাসি আসছি। কেনো বার বার রুহান রুহান করো? কি পেয়েছো তার মধ্যে যে তুমি আমার মধ্যে পাওনা? যেভাবে আমরা বিজনেস পার্টনার ঠিক তেমনটা আমি চাই তোমার লাইফ পার্টনার হতে….
ঠাসসস ঠাসসস করে আবারো থাপ্পড় বসিয়ে দেয় আবিরের গালে।
আলিশা – একটা কথা ভালো করে মনে রাখিস, আমি শুধু রুহানের অন্যকারো না! বুঝেছিস..? জোরে ধাক্কা দিয়ে আবিরকে ফেলে দিয়ে আলিশা অফিস থেকে চলে যায়।
.
.
আবির আর আলিশা দুজনেই বিজনেস পার্টনার। আবির কতো বার যে আলিশাকে প্রপোজ করেছে তার কোনো হিসাব নেই। পাগলের মতো ভালোবাসে! যেনো আলিশাকে ছাড়া সে কিছুই বুঝেনা। আর আলিশা ও দেখতে খুবেই সুন্দরী, শিক্ষিত নম্র স্মার্ট একটা মেয়ে!! যে কেউ তাকে দেখে প্রেমে পড়তে চাইবে!! তাইতো চাই আবির তার লাইফ পার্টনার হতে কিন্তু বিপত্তি ঘটে রুহান কে নিয়ে।
রুহান হচ্ছে আলিশার বাবার বন্ধুর ছেলে উচ্চ পরিবারের সন্তান সে! সেও একজন বিজনেসম্যান। রুহানো ও আলিশা কে প্রচন্ড ভালোবাসে। দু দিন পর রুহান লন্ডন থেকে ফিরে আসলেই তার সাথে আলিশার এনগেজমেন্ট হবে। আগের থেকেই কথা বার্তা ছিল রুহানের সাথে আলিশার বিয়ে দিবে কিন্তু আবির তা কিছুতেই ব্যাপারটা মানতে পারছে না! কি করে পারবে যে কলেজ লাইফ থেকে আলিশার প্রতি মনের মধ্যে একটু একটু করে তার প্রতি ভালোবাসা বারতে লাগে! সে চাই না রুহান কে সে বিয়ে করোক। যে কোনো বিনিময়ে সে আলিশাকে চাই, ধরকার হলে রুহান কে তাদের পথ থেকে সরিয়ে ফেলেদিবে তবুও আলিশাকে চাই।।
তাই তো মিটিং রুমে প্রত্যেক শেয়ার হোল্ডারদের কে বলে দেয়.. আলিশা হচ্ছে তার হবু স্ত্রী।
তাই রাগে আলিশা এমনটা ব্যবহার করে আবিরের সাথে।।

আলিশা বাসায় চলে যায়। প্রচন্ড ঘৃণা হচ্ছে আবিরের উপর। সে চাই না রুহানের সাথে তার বিয়ে হোক। তাই আলিশা ডিসিশন নিয়ে ফেলে আবিরের সাথে আর ব্যবসা করবে না! ভেঙ্গে দিবে তার সাথে পার্টনারশিপ, তার ভাগের সমস্ত শেয়ার বিক্রি করে দিয়ে রুহানের সাথে সুখের সংসার গড়ে তুলবে।

রাত বারোটা
আলিশা ঘুমিয়ে আছে! হঠাৎ করে কে যেনে তার মুখে গরম নিঃশ্বাস ফেলছে। চোঁখ মেলে তাকাতেই ভয়ে আঁতকে উঠে আলিশা। যেই ভয়ে জোরে চিৎকার করবে তখনেই তার মুখ কে যেনো চেপে ধরে।
আলিশার কানে কানে বলে – হ্যাপি বার্থডে টু ইউ মাই ডিয়ার আলিশা।
চমকে উঠে আলিশা! এটা আর কেউ নয় তার রুহান।
শক্ত করে রুহানকে জড়িয়ে ধরে আলিশা। খুশিতে আত্মহারা হয়ে অসংখ্য চুমুতে বরিয়ে দেয় রুহানের দু গালে।
হঠাৎ কি মনে করে লজ্জাই দু হাতে মুখ ঢেকে নেয় আলিশা।
রুহান দু হাত সরিয়ে দিয়ে বলে
রুহান – কি ব্যাপার.. আমার সোনাপাখিটা লজ্জা পেয়েছে বুঝি!
আলিশা বেশ লজ্জায় পড়ে রুহানকে জড়িয়ে ধরে।
রুহান তাকে স্থির করে বসিয়ে টেবিল থেকে এক টুকরো কেক হাতে নিয়ে আলিশাকে খাইয়ে দেয়। আলিশাও তাকে খাইয়ে দেয়।
আলিশা – আমার সত্যিই মনে নেই আজ আমার জন্ম দিন..থ্যাংক ইউ সো মাচ,, কিন্তু রুহান তুমি এখানে কেন? তোমার তো লন্ডনে তাকার কথা?
রুহান – সারপ্রাইজ বেবি জান। ঘন্টা কানেক আগে দেশে আসছি,তাই তো সোজা তোমার এখানে চলে আসছি…।
আলিশা – কাজটা একদম ঠিক করনি! আমাকে অন্তত জানাতে পারতে…তুমি আসছো?
রুহান – না বলে আসায়টা তোমার জন্মদিনের সারপ্রাইজ। এখন সরু তো আমি ঘুমাবো… বলেই আলিশাকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে পরে।
আলিশা – এই কি করছো ছাড়ু আমাকে! এ্যা আসছে আমার সাথে শুতে! আগে বিয়ে করো তারপর… ওকে!
এখন বাসায় যাও আঙ্কেল আন্টি হয়তো চিন্তা করছে।
রুহানকে কথা বলার সুযোগ টুকুও দেয়নি সোজা মেইন ডোর খুলে রুহান কে হালকা ধাক্কা দিয়ে গুড নাইট বলে মুচকি হেসে দরজা বন্ধ করে দেয়ে।
বেচারা রুহান মন খারাপ করে দাঁড়িয়ে তাকে। কিছুক্ষণ পর দেখে আলিশা দরজা খুলে মিট মিট করে হাসছে তার ফ্যাকাশে চেহারা দেখে। ধীরে ধীরে আলিশা রুহানের কাছে এসে দাঁড়ায়, চোঁখ রাখে দুজনের চোঁখের দিকে! আস্তে আস্তে চার ঠোঁট এক করে দেয়। ডুবে যায় ভালোবাসার অতল সাগরে। হঠাৎ আলিশা রুহান করে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিয়ে বলে “অনেক বেশি হয়ে গেছে, এবার লক্ষ্মী বাবু সোনা বাসায় ফিরে যাও ”
মুচকি হেসে চলে আলিশা।
রুহান অনেক খুশি হয় তার সারপ্রাইজে সেও একটা স্পেশাল কিছু পেয়েছে। রুহান চলে যায় তার বাসায়।
এসব দৃশ্য আড়াল থেকে দেখছিল আবির। প্রচন্ড রাগ হচ্ছে রুহানের উপর। মন চায়ছে এখনেই রুহানকে গলা টিপে মেরে ফেলতে। কি করে তার ভালোবাসার মানুষটার সাথে লিপ কিস করে! ভাবতেই রাগে শরীর জ্বলে যাচ্ছে আবিরের। হাতে তাকা কেক টা দেওয়ালে ছুরে মারে! যেটা আলিশার জন্য এনে ছিল। রাগে গজগজ করতে করতে চলে যায় আবির।

সকালে ঘুম থেকে উঠে আলিশা ভূত দেখার মতো তাকিয়ে তাকে আয়নার দিকে!
এ কাকে দেখছে আয়নাই রুহান কে। চোঁখ কেচলিয়ে দেখে স্বপ্ন না সত্যি রুহান তার পেছনে তার দিকে তাকিয়ে আছে।
মুহূর্তে ই আলিশা পেছনে ঘুরে মুখ হা করে তাকিয়ে তাকে “রুহান তুমি, এই সাত সকালে? ”
রুহান – আসবো না কাল রাতে যে হারে গালে চুমু দিলে, ঠোঁটে যে তোমার লিপস্টিক ছিল সেটা আব্বু আম্মু দেখে টের পেয়ে গেছে আমি তোমার কাছ থেকে ফিরছি! বাস সকাল হতেই সোজা কান ধরে তোমাদের বাসায়।
আলিশা লজ্জায় পরে যায়। কিছু বলতে পারছে না রুহান কে! খুব নার্ভাস ফিল করছে। তাই উপায় না পেয়ে দৌড়ে ওয়াশরুমে ঢুকে যায় আলিশা।
এদিকে হেসে গড়াগড়ি খাচ্ছে রুহান। ওয়াশরুমের দরজার কাছে গিয়ে বলে “এই যে মহা রাণী, তাড়াতাড়ি তৈরি হয়ে নীচে আসেন, আপনার হবু শ্বশুর শাশুড়ী দেখতে আসছে।
একথা শুনে বেশ লজ্জা পেয়ে যায় আলিশা। তাই ফ্রেশ হয়ে হালকা সেঁজে নীচে যায় আলিশা।

রুহান মুখ হা করে তাকিয়ে আছে আলিশার দিকে। হালকা সাজে এত্তো সুন্দর লাগে আলিশা কে যেনো তার সামনে কোনো অপ্সরী দাঁড়িয়ে আছে।
“”ভাই সাহেব.. আমি আর এক মুহূর্ত দেরি করতে চাই না! আমার ছেলে যে আপনার মেয়েকে পাগলের মতো ভালোবাসে তা দেখেই বুঝা যাচ্ছে “”
মায়ের কথা শুনে রুহান লজ্জায় জড়োসরো হয়ে বসে থাকে।
তা দেখে আলিশা মিট মিট করে হাসছে…..
আলিশা কে নিয়ে বসায় রুহানের মায়ের পাশে। হিরার আংটি পড়িয়ে দেয় রুহানের মা। আংটি টা রুহান স্পেশাল ভাবে অর্ডার করে বানায় আলিশার জন্য।
আংটি টা দেখে অবাক হয় আলিশা ,,,খুব সন্দর করে খুদায় করা দুইটা দু পাশে অক্ষর। যা তাদের দুজনের নামের প্রথম অক্ষর।
রুহানের দিকে তাকাতেই চোঁখ টিপ মারে! লজ্জা পেয়ে মাথা নীচু করে নেয় আলিশা।
দুপরিবারে সহ মতে বিয়ের ডেট ঠিক করে।

এদিকে আলিশার বিয়ের ঠিক হয়েছে জেনে মাথায় রক্ত উঠে যায় আবিরের। আলিশা যদি তার না হয় তাহলে সে কারো হতে দিবে না! মনে মনে প্রতিজ্ঞা করে বসে আবির।

সাত দিন পর রুহানে সাথে লং ড্রাইভে ঘুরাঘুরি করে ফিরে এসে জয়েন করে অফিসে আলিশা।
অফিসে এসে জানতে পারে আবির তাদের সমস্ত শেয় বিক্রি করে টাকা সে তার একাউন্টে জমা করে! অথচ তার একাউন্টে তার ভাগের টাকা জমা দেয়নি।
রাগে আলিশা, আবিরের ডেস্কে গিয়ে তার কলার ধরে টেনে বলে “আজকের মধ্যে আমার ভাগের টাকা চাই,,আর যদি না পায় তো……. ”
আঙ্গুল দেখিয়ে বলে চলে যায়।
প্রচন্ড রেগে আছে আবির। অফিসের স্টাফদের সামনে তাকে অপমান করলো? শুধুমাএ টাকা তার একাউন্টে জমা দেওয়া হয়নি বলে? আবির মনে মনে আবার প্রতিজ্ঞা করে.. এর উচিত শিক্ষা দিবে আলিশা কে।
তিনদিন পর আলিশা জানতে পারে আবির তার টাকাতো জমা দেয়নি বরং আলিশার ৫০% কোম্পানির মালিকানা বিক্রি করে দেয় আবির। দলিলে আলিশার স্বাক্ষর নিয়ে সে এই কাজটা করে।
রাগে আলিশা অগ্নিশর্মা হয়ে ছুটে যায় আবিরের বাসায়।
তখন রাত ৮ টা বাজে। দেখে আবির ও তার বন্ধুরা মিলে মদ খাচ্ছে। আবিরের কলার ধরে টেনে ঠাসসস ঠাসসস করে থাপ্পড় বসিয়ে দেয়। আবির সহ সবাই চমকে উঠে আলিশার কর্মকান্ড দেখে।
আবির রাগে শরীর জ্বলছে! এই পর্যন্ত সে অনেক গুলো থাপ্পড় খেয়েছে। আজ প্রতিটা আঘাতের ক’রায় গন্ডায় সেই থাপ্পড়ের প্রতিশোধ নিভে।
অগ্নিদৃষ্টিতে তাকিয়ে এ সব ভাবছিল আবির।
আলিশা – (ধাক্কা দিয়ে) কি ভেবেছিস কি! আমার মালিকানা বিক্রি করে টাকা নিয়ে পার পেয়ে যাবি! নো নেভার…কালকের মধ্যে আমার সমস্ত টাকা না পেলে জেলের ঘানী টানতে হবে! কথাটা মনে রাখিস….
আলিশা চলে যেতে চাইলে আবির হ্যাঁচকা টান দিয়ে তার বুকে জড়িয়ে ধরে।
আলিশা প্রচন্ড রেগে কষে চড় মারে আবিরের গালে।
রাগে ক্ষিপ্ত হয়ে আলিশাকে কাঁধে তুলে ধরে নিয়ে যায় আবির তার বেডরুমে।
আবিরে বাবা মা আজ বাসায় নেই। তাই এই সুযোগে আবির তার কাজটা সেরে ফেলতে চাই।
বিছানায় ফেলে দেয় আলিশাকে! দরজা বন্ধ করে দেয় আবির। হিংস্রো জানোয়ারের রুপ ধারণ করে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে আবির.. আলিশার দিকে।
খুব ভয় পাচ্ছে আলিশা। বিছানা থেকে উঠে আবির কে সাবধান করছে তার কাছে না আসতে। আলিশা এক পা দু পা করে পিছিয়ে যাচ্ছে! দেওয়ালে ঠেকে যায় তার পিট, দু হাত শক্ত করে চেপে ধরে আবির এসে। আলিশা নিজেকে ছুটাতে দস্তাদস্তি করতে লাগে কিন্তু আবিরের শক্তিতে পারছে না আলিশা। ভয়ে করুণায় আবিরের কাছে বার বার বলছে তাকে ছেড়ে দিতে কিন্তু আবির যেনো হিংস্রো জানোয়ার হয়ে উঠেছে।

আলিশা কে দু হাতে কোলে তুলে নেয় আবির। বিছানায় শুয়ে দেয় আলিশাকে! শক্ত করে হাত দুটি বিছানায় চেপে ধরে আবির।।
আলিশা – প্লিজ.. আমাকে ছেড়ে দাও আবির, আমার এতো বড় সর্বনাশ করো না….! (কান্না করে)
আবির – আজ আমি তোর প্রত্যেকটা থাপ্পড়ের পাল্টা জবাব দিবো। তকে এমন অবস্থা করবো যাতে করে তোর রুহান তোর দিকে ফিরেও তাকাবে না। ( অট্ট হাসিতে মেতে উঠে)
আলিশা – প্লিজ আবির তুই এমনটা করিস না! চাই না আমার টাকা, প্লিজ আমাকে ছেড়ে দে। (কান্না করে)
আবির – কি করে ছেড়ে দেই তোকে..বল..! তোর সেক্সি ফিগারটা যে আমাকে টানছে! মিশে যেতে ইচ্ছে করছে তোর শরীরের সাথে! তোর শরীরে মিষ্টি গন্ধে আমাকে পাগল করে তুলছে…… মুখ থেকে জিব্বাহ বের করে নিজের ঠোঁট দুটি ভিজিয়ে নেয় আবির।
আলিশা – কুত্তার বাচ্চা.. বেইমান বিশ্বাসঘাতক, তোকে আমি মেরেই ফেলবো….!
বলে দস্তাদস্তি শুরু করে আলিশা।
এতে করে আবির হিংস্রো জানোয়ারের মতো ঝাঁপিয়ে পরে আলিশার উপর। টেনে হিচড়ে জামা কাপড় ছিরে ফেলে আবির। শরীরে কামছি দিয়ে কামড়ানো শুরু করে আবির। যেনো কতো দিনের ক্ষুধাত্ত সে, ছিরে খাচ্ছে আলিশার ফর্সা নরম তুলতুলে শরীরটা কে।
যন্ত্রণায় চিৎকার করে আলিশা। হিংস্রো জানোয়ারের মতো যৌন সঙ্গম করতে লাগল আবির।

দরজার পাশে দাড়িয়ে আবিরের সঙ্গমের কার্যক্রম শুনছে আবিরের বন্ধুরা।

দীর্ঘ ৩০ মি. পর আবির শান্ত হয়। বিছানা থেকে উঠে দাঁড়ায় আবির। মরার মতো বিছানায় চিৎ হয়ে শুয়ে থেকে আলিশা । ফর্সা শরীর টাকে নকের আঁচরে ক্ষতো বিক্ষতো করে ফেলে! বিছানার চাদরটা রক্তে অনেকটা অংশ ভিজে যায়। যন্ত্রণায় ছটফট করতে লাগে আলিশা।
নিজের শরীরের এমন অবস্থা দেখে ডুকরে কেঁদে উঠে। নিজেকে শেষ করে দিতে মন চাইছে! কি নিয়ে দাঁড়াবে রুহানের সামনে? জানোয়ারটা যে তার সত্বীত কে হরণ করেছে! খুঁবলে খুঁবলে খেয়েছে তার শরীর টাকে। চিৎকার করে কেঁদে উঠে আলিশা।

আবির রুম থেকে বের হতেই দেখে তার বন্ধুরা লালসার চোঁখে তাকিয়ে আছে তার দিকে। সে বুঝতে পারছে তার বন্ধুরাও চাই আলিশার শরীর টাকে ভোগ করতে। আবির মুচকি হেসে তাদের কে বলে “” যাও..যত খুশি ফূর্তি করো! আজ আমার তরফ থেকে তোমাদের স্পেশাল গিপ্ট””
আবিরের কথা শেষ না হতেউ দৌড়ে ছুটে গিয়ে জানোয়ার গুলো ঝাঁপিয়ে পরে আলিশার উপর। যন্ত্রণায় ছটফট করে উঠে.. রুম থেকে আত্মচিৎকার ভেসে আসে আলিশার।
সোফায় বসে সিগারেট খাচ্ছিল আবির, আলিশার চিৎকার শুনে অট্ট হাসিতে মেতে উঠে সে।

ঘন্টা দু এক পর যখন আবিরের বন্ধুরা সিড়িঁ দিয়ে নেমে আসে সবাই অট্ট হাসি হেসে। আবির সহ সবাই খুশিতে মেতে উঠে মদের নেশায়।
আবিরের বন্ধু গুলো আর কেউ নয়..তারা হচ্ছে- ড: শামীম, ল- ইয়ার অনিক, ডিরেক্টর নাবিল। তিন জানোয়ার গুলো আলিশাকে ক্ষতো বিক্ষতো করে ভোগ করে তারা। নির্মমভাবে শারীরিক অত্যাচার চালাই তারা। শরীরের এতো টুকু শক্তি নেই আলিশা যে দাঁড়াতে পারবে!!

এদিকে আবির চিন্তায় পরে যায়.. আলিশা কে ছেড়ে দিলে তাকে হয়তো সহজে ছাড়বে না, ছাড়বে রুহানোও সব কিছু জেনে যাবে সে আলিশার থেকে।
মনে মনে ডিসিশন নিয়ে ফেলে আবির,,,আলিশাকে মেরে ফেলবে…..

ধাঁরালো ছুরি হাতে নিয়ে আবির রুমে ঢুকে সাথে তার বন্ধুরা।
ভয়ার্ত চোঁখে তাকিয়ে তাকে আলিশা। নগ্ন শরীর নিয়ে যন্ত্রণায় উঠে দাঁড়াতে পারছে না। কফ করে আলিশাকে ধরে ফেলে সবাই। নাবিল দুই পা চেপে ধরে, হাত দুটি চেপে ধরে অনিক, মাথা চেপে ধরে ড:শামীম, ছুরি হাতে দাঁড়িয়ে তাকে আবির। শরীর মুচড়াতে লাগে আলিশা।
ভয়ে আতঙ্কে আলিশার কলিজা শুকিয়ে যাচ্ছে আবিরের হাতে ধাঁরালো চকচকে উঠা ছুরি দেখে।
আলিশা – প্লিজ আবির.. আমাকে মেরো না। আমার প্রাণ ভিক্ষা চাইছি আবির প্লিজ আমায় মেরো না। আমি কাউকে কিছু বলবো! দয়া করে ছেড়ে দাও আমাকে।।
রাগে তিক্তে শামীম কে ধমক দিয়ে আবির বলে – ওর চোঁখ মুখ ভালো করে ধরে রাখ।
শামীম সেটাই করে। আলিশা দস্তাদস্তি করতে লাগে নিজেকে ছুটাতে কিন্তু পারেনি আলিশা নিজেকে রক্ষা করতে।
আবির ছুরি চালিয়ে দেয় আলিশার গলায়। রক্তে ভিজে যায় সবাই। আলিশার দেহটা ছটফট করে লাফাতে লাগে। গলায় গড়গড় করে আওয়াজ হচ্ছে। তবুও হাত পা ছাড়েনি কেউ। দেহ থেকে মাথাটা আলাদা করে নেয় আবির। পৈশাচিক হাসি দিয়ে উঠে সবাই। ছটফট করতে করতে আলিশা মারা যায়।
নিসংশয় নির্মমভাবে মেরে ফেলে আলিশাকে। কেনো মারলো আলিশাকে? আবির কে ভালোবাসেনি সে কারণে নাকি টাকার লোভে? আমরা জানি ত্যাগ করার মাঝে ভালোবাসা থাকে কিন্তু তাকে মেরে ফেলা নয়।

আলিশার লাশটা কে বস্তায় করে বেঁধে গাড়ি করে নিয়ে যায় দূরে কোথাও জঙ্গলে। চার বন্ধু মিলে গর্ত করে অন্ধকার রাএে ফুঁতে ফেলে আলিশার অস্তিত্ব।
কলঙ্কের দাগ কেটে দেয় আলিশার নামে রুহানের কাছে আবির। ভুল বুঝে আলিশা কে। রুহানের মনে রুপ নেয় আলিশার প্রতি ঘৃণা। উপাদি পায় বেইমান বিশ্বাসঘাতক হিসাবে।
আলিশার পরিবার মেয়ের কলঙ্কের দাগ মেনে নিতে না পারাই আত্মহত্যা করে আলিশার বাবা মা, সমাজের মানুষদের ঘৃণায় লাঞ্ছিত হয়ে তারা একাজ করে।
রুহান মনে প্রাণে বিশ্বাস করে আলিশা এ কাজ করতে পারে না কিন্তু আবিরের ষড়যন্ত্রের মায়া জালে রুহান বিশ্বাস করে আলিশা একটা নষ্টা মেয়ে। নাবিলের দেওয়া গ্রাফিক ভিডিও যা আলিশার যৌন সঙ্গম ভিডিও দেখে রুহান তা বিশ্বাস করা ছাড়া উপায় নেই।।
রুহান আজও পথ চেয়ে আছে আলিশার জন্য,, একটা কথা জিঙ্গাস করতে চাই – কেনো আমাকে স্বপ্ন দেখেছিলে ভালোবাসে ঘর বাঁধার? কেনো মিথ্যে ছলনায় ঠকিয়েছো আমার ভালোবাসা কে?
কিন্তু আলিশা আর ফিরে এলো না সে দিনের পর থেকে।
আসবে কি করে তাকে যে নির্মমভাবে মেরে ফেলা হয়েছে। কেউ জানেনা আলিশার নির্মম মৃত্যুর রহস্যের কথা। জানে সবাই আলিশার কুকীর্তি ভিডিওর কথা।

***((এতোক্ষণ আলিশা তার মৃত্যুর কথা বলছিল))

আলিশার মুখে তার নির্মম মৃত্যুর কথা শুনে ডুঁকরে কেঁদে উঠে রুহান ও মাইশা।
এতো দিন আলিশাকে মিথ্যে ভুল বুঝে ঘৃণা করে আসছে রুহান, আজ সত্যিটা জেনে চিৎকার করে কাঁদতে সে।
আলিশার চোঁখ যায় দরজার দিকে.. দেখে রুহানের বাবা মার চোঁখে পানি! ভুল বুঝতে পারে তারাও।।
মাইশা সান্ত্বনা দেয় রুহান কে! নিজেকে শক্ত হতে বলে।
রুহান কান্নার স্বরে আলিশাকে প্রশ্ন করে – আমার দেওয়া আংটি টা তোমার কাছে ছিল, তাহলে মাইশার হাতে আংটি টা এলো কিভাবে…?
রুহানের কথা শুনে মাইশা এই আংটির রহস্য বলতে শুরু করল………….((আংটির রহস্য আগামী পর্বে))
.
চলবে……..

((ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন))

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here