কলঙ্কের ফুল পর্ব ২৩

#কলঙ্কের_ফুল
#পর্ব_২৩
#Saji_Afroz
.
.
.
সকালে ৮টা….
আরিফের সাথে অফিসে যাওয়ার সময় সালেহা চৌধুরীর ডাকে দাঁড়িয়ে পড়ে আদি।
-হুম মা বলো?
-তোদের বোন কতো বড় কাণ্ড করেছে জানিস?
.
দুই ভাই অবাক চোখে তাকিয়ে একই সাথে জিজ্ঞাসা করলো-
কি করেছে?
-প্রেম করেছে, প্রেম।
.
মায়ের কথা শুনে দুই ভাই নিশ্চুপ হয়ে যায়।
.
সালেহা চৌধুরী তাদের দিকে তাকিয়ে হেসে বলে উঠেন-
এতো সিরিয়াস হওয়ার দরকার নেই। ছেলেটা ভালো পরিবারের এক মাত্র ছেলে। চাকরিও করে।
.
আরিফ মায়ের উদ্দেশ্যে বললো-
তোমাকে কে বলেছে দিবা প্রেম করছে?
-একটু আগে সেই বলেছে।
-কি বলো!
-হুম, আমাকে বলেছে তার বাবাকে রাজী করানোর দায়িত্ব আমার।
-বাবা কি বলেছে?
-আসতে বলেছে ছেলের পরিবারকে।
-এতো ভালো খবর!
-হুম। তারা আজ সন্ধ্যায় আসবেন। তাই তোরা তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরবি।
.
মায়ের কথা শুনে আদি বলে উঠলো –
তা নাহয় আসবো, কিন্তু কই সে?
-কে?
-তোমার মেয়ে। দুই দুইটা ভাইকে ফাকি দিয়ে সে প্রেম করে ফেললো আর আমরা বুঝতেই পারলাম না।
-নিজেরাও প্রেমের তালে থাকলে বুঝবি কি করে?
-মা!
-আরে মজা করলাম। দিবা ঘুমোচ্ছে। কাল সারা রাত নাকি ঘুম হয়নি।
আচ্ছা তোরা আয় এখন।
.
আদি খেয়াল করলো মিলি এসে দাঁড়িয়েছে দরজার পাশে। প্রতিদিন অফিসের উদ্দেশ্যে বেরুনোর সময় আরিফের জন্য মিলি এসে দাঁড়ায়।
মাত্র কয়েকদিন হলো আদি অফিসে যাচ্ছে। এই কয়েকদিনে মেহেরীকাও তার জন্য এসে দাঁড়াতো। তবে আজ সে আসেনি।
বেরুনোর সময় মেহেরীকাকে দেখতে না পেয়ে কষ্ট হচ্ছে আদির। কেনো যেনো মনে হচ্ছে আজ ভয়ংকর কিছু একটা হতে চলেছে।
.
.
.
আদিয়াত আর রাজীবের মাঝে খুব সহজেই রাজীবকে বেছে নিয়েছি আমি। অথচ আদিয়াত বিপদে পাশে ছিলো আমার, আশ্রয় দিয়েছে, ভালোবাসা দিয়েছে। তাকে কি খুব বেশি কষ্ট দিয়ে ফেললাম?
হয়তো হ্যাঁ। কিন্তু আর কিইবা করার আছে আমার! সত্যিটা জানলে সে নিজেই হয়তো অপমান করে তাড়িয়ে দিতো আমায়। তাছাড়া আমি রাজীবকে অনেক বেশি ভালোবাসি, রাজীবও আমায় ভালোবাসে। সব দিক থেকে আমার চলে যাওয়াটায় ভালো রাজীবের কাছে।
নাহ, আর ভাবা যাবেনা কিছু।
.
আপনমনে এসব ভেবে ভেবে মেহেরীকার চোখ বেয়ে পড়ছে অশ্রুজল।
.
-বউ মা?
.
শ্বাশুড়ির ডাকে উড়না দিয়ে তাড়াহুড়ো করে চোখের পানি মুছতে মুছতে মেহেরীকা বললো-
আসুন মা।
.
মেহেরীকার পাশে সালেহা চৌধুরী বসে শান্ত গলায় বললেন-
কাঁদছো কেনো?
-নাতো…
-মিথ্যে বলে লাভ নেই, আমি দেখেছি। কি হয়েছে? আদি কিছু বলেছে?
-না মা, সে কিছু বলেনি।
-তাহলে?
.
মেহেরীকাকে চুপ থাকতে দেখে সালেহা চৌধুরী বললেন-
আচ্ছা বাদ দাও, যা বলতে এসেছিলাম। আজ দিবাকে দেখতে আসবে।
-কে?
-ও যাকে পছন্দ করে তার পরিবার।
-পছন্দের কথা বলেছে?
-হ্যাঁ।
-খুব ভালো খবর মা। আপনারাও ওর পছন্দের মূল্য দিচ্ছেন শুনে খুশি হলাম।
.
.
.
জীবনটা এমন কেনো! যা চাই তা পাইনা, যা পাই তা চাইনা। আবার যা চাই তা পেয়েও হারিয়ে ফেলি।
বড় অদ্ভুত এই জীবন।
মানুষ মাত্রই ভুল। তবে এই জীবনে তার ভুলের মাশুল হিসেবে মেহেরকে হারাতে হয়নি এটাও কম কিসের!
কিন্তু আম্মা? তিনি কেনো বুঝছেন না করে মেহের বিহীন আমি অসম্পূর্ণ!
আদৌ কি আম্মা বুঝছে না?
নাকি সুপ্তির কথা ভেবেই এমনটা করছে?
যে কারণই হোক না কেনো,
এবার আর এসব ভাবা যাবেনা।
মেহেরকে বিয়ে করে বাসায় এনে যা ভাবার ভাবতে হবে।
.
বিয়ের কথা মনে পড়তেই চিন্তার জগৎ থেকে বেরিয়ে আসে রাজীব।
ফোন হাতে নিয়ে ডায়াল করে মেহেরীকার নাম্বারে।
.
.
সারারাত না ঘুমানোর কারণে চোখটা লেগে এসেছিলো মেহেরীকার।
রাজীবের ফোনে চোখ জোড়া খুলে ফোন কানে নিয়েই বলে উঠে-
বলো আদিয়াত?
-আদিয়াত! আমি রাজীব।
.
ফোনের স্ক্রিনে না তাকানোর কারণে মেহেরীকা বুঝতে পারেনি কার কল এসেছে। তবে কেনো যে ফোন কানে নিয়েই সে আদিয়াত এর কথা বলেছে নিজেরি জানা নেই।
.
-কি হলো মেহের?
.
রাজীবের প্রশ্নে চিন্তার জগৎ থেকে বের হয়ে মেহেরীকা বললো-
না কিছুনা।
-ঠিক আছো তুমি?
-হু।
-আজ বিকেলেই বেরিয়ে যেও ওই বাড়ি থেকে।
-আজই?
-হুম, কেনো? কোনো সমস্যা?
-না মানে, আজ দিবাকে পাত্র পক্ষ দেখতে আসবে।
-কে দিবা?
-আদিয়াত এর ছোট বোন।
-তো?
-বাড়িতে অনেক কাজ আজ।
-তুমি কি নিজেকে ওই বাড়ির বউ ভাবতে শুরু করেছো?
-না।
-তাহলে কাজের মেয়ে?
-না!
-হুম, আশ্রিতা তুমি ওই বাড়ির। আশ্রিতা বললেও ভুল হবে। ডিল হয়েছিলো ওই বাড়ির ছেলের সাথে তোমার।
তাই তোমার এতো কিছু না ভাবলেও চলবে।
-হুম।
-আমি বিকেলে নিতে আসবো তোমায়। বাসার সামনে এসেই ফোন দিবো। ঠিক আছে?
-হুম।
.
.
.
দুপুর ৩টা…
ভাত খেয়ে নিজের রুমে এসে শুয়ে পড়লো দিবা।
অপেক্ষা করছে কাঙ্ক্ষিত সন্ধ্যার।
এই অপেক্ষার প্রহর যেনো শেষ-ই হচ্ছেনা।
কখন যে সন্ধ্যে হবে, কখন তার পিকুর দেখা পাবে!
.
ভাবতে ভাবতে নিজের ফোন হাতে নিয়ে ডায়াল করে পিকুর নাম্বারে দিবা।
-হ্যালো?
-সময়টা থেমে আছে তাইনা পিকু?
-তাই বুঝি?
-হুম। কবে যে সন্ধ্যে হবে!
-আজই হবে। আর ৩-৪ঘন্টা বাকি।
-কি! এতো বেশি! ৩-৪বছর!
-আরে পাগলি বছর না, ঘন্টা বাকি বললাম।
-সন্ধ্যে লাগবেনা। এখন চলে আসো।
-এখন!
-হুম এখন।
-আরে আমি অফিসে এখন।
আর বেশিক্ষণ নেইতো। একটু পরেই সন্ধ্যে হয়ে যাবে।
-হুম।
-আজ শাড়ি পরবে দিবা?
শাড়ি পরতে হবে?
-কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। তবে আমাকে দেখানোর জন্য পরতেই পারো।
-নিশ্চয় পরবো।
.
.
.
আজ সময়টা এভাবে দ্রুত চলে যাচ্ছে কেনো?
একটু আগেও বেলা ১টা ছিলো। দেখতে দেখতেই ৩টা বেজে গেলো!
রাজীব ফোনে জানিয়েছে বিকেল ৪টাই বের হতে হবে।
আর মাত্র ১ঘন্টা এই বাড়িতে থাকতে পারবে সে।
.
এসব কথা ভেবে ছোট্ট একটা নিঃশ্বাস ফেলে ড্রয়ার খুলে আদির দেওয়া নীল শাড়িটি বের করে মেহেরীকা।
বিছানার পাশে গিয়ে ফোনটা হাতে নিয়ে ডায়াল করে আদির নাম্বারে।
.
.
মেহেরীকার ভাবনায় বিভোর হয়েছিলো আদির মন।
আজ সারাদিন তার সাথে কথা বলতে না পেরে বড্ড অস্থির লাগছে তার।
একবার কি ফোন করে কথা বলে নিবে সে? কিন্তু মেহেরীকা যদি রিসিভ না করে?
.
নানারকম প্রশ্ন মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে আদির।
কিন্তু ফোনের রিং টোনের শব্দে স্ক্রিনের দিকে তাকাতেই চমকে যায় সে।
দেরী না করে রিসিভ করে বললো-
মেহের?
-কখন আসবে বাসায়?
-বিকেলে।
-৪টাই আসতে পারবে?
-কেনো?
-পারবে কিনা বলো?
-আচ্ছা আসবো।
-ঠিক আছে। রাখছি তাহলে।
-শুনো?
-হুম?
-কিছুনা।
.
.
.
-সাক্ষী হো আপাতত। বিয়ে পরে আবার নিশ্চয় ধুমধাম করেই করবো। আর হ্যাঁ আর কাউকে পাস কিনা দেখ।
.
-কিসের বিয়ে?
.
মায়ের কথায় পেছনে ফিরে চমকে যায় রাজীব।
মেহেরীকার সাথে বাড়ির পাশের পরিচিত কাজি অফিসে বিয়েটা সেরে নিবে ঠিক করেছে রাজীব। তাই সাক্ষীও জোগাড় করছিলো সে ফোনে কথা বলে।
তার আম্মা কি কিছু বুঝে ফেলেছে?
.
-কি হলো?
মায়ের কথায় শান্ত গলায় রাজীব বললো-
কিছুনা। আমি একটু আসছি।
-তুই কি মেহেরীকাকে আজ বিয়ে করবি?
.
মায়ের কথায় নিজের জায়গায় দাঁড়িয়ে পড়ে রাজীব।
আমতাআমতা করে বলে-
কি যে বলোনা আম্মা!
-তোর মা আমি। যেদিন প্রথম মেহেরীকার প্রেমে পড়েছিলি সেদিনও আমি বুঝেছিলাম। বুঝিনি?
-হুম।
-আজও বুঝছি, আজ তুই মেহেরীকাকে বিয়ে করবি।
.
রাজীবকে চুপ থাকতে দেখে কুনসুম হক বললেন-
ভুল করছিস তুই। আমার অবাধ্য হয়ে সুখি হতে পারবি? নাকি তাকে সুখে রাখতে পারবি?
-আম্মা!
-আর কিছু বলার নেই তোকে। আমাকে কষ্ট দিয়ে সুখে থাকতে পারলে তুই থাক।
.
.
.
-এই নীল পরীটা কাদের বাড়ির বউ?
.
সালেহা চৌধুরীর প্রশ্নে মুচকি হেসে মেহেরীকা বললো-
মা আমি কোনো সাহায্য করতে পারি?
-সবই দোকান থেকে আনতে পাঠিয়েছি দাড়োয়ান কে বলে। তবে আসরের নামায শেষে হাত নাস্তা বানাতে হবে কিছু। তখন না হয় সাহায্য করো।
-ঠিক আছে।।
.
মেহেরীকা পুরো বাড়িটা ঘুরে ঘুরে দেখছে।
বাড়ির প্রতিটা মানুষের সাথে কথা বলছে।
আজ তার শেষ দিন এই বাড়িতে। খুব বেশিই মনে পড়বে এই বাড়ির সকলের কথা তার।
.
.
.
-আরে আদি! মাত্র ৩.৩৫বাজে। এতো তাড়াতাড়ি বাসায় গিয়ে কাজটা কি? আমরা সন্ধ্যায় গেলেই তো হয়।
-মা তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরতে বলেছেনা?
-তাড়াতাড়ি মানে সন্ধ্যায় ফিরতে বলেছে। এতো তাড়াতাড়ি না।
-আমার অফিসে মন বসছেনা ভাইয়া। চল না প্লিজ?
-ওকে বাবা! চল।
.
.
.
ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলো দুপুর ৩.৫০।
আর মাত্র ১০মিনিট বাকি!
রাজীব চলে আসবে ৪টাই। তবে কি তার আর আদিয়াত এর সাথে দেখা হবেনা?
ভাবতেই চোখ বেয়ে চলে আসে অশ্রুকণা।
নিজের রুমের মাঝে এসে চোখ বুলিয়ে দেখতে থাকে সে সারারুমটি।
দেখতে দেখতে চোখ যায় আয়নার দিকে।
আদিয়াত এর পছন্দের শাড়িটা পরেছে সে। আদিয়াত কি তা দেখবেনা!
.
আদির মুখে শুনেছিলো মাত্র ১৫-২০ মিনিট এর দুরুত্ব তাদের অফিস। তাহলে সে তাড়াতাড়ি আসতে বলা স্বত্তেও কেনো আদি দেরী করছে এতো!
যাওয়ার আগে আদিকে একটা ধন্যবাদও কি দিতে পারবেনা সে!
.
.
.
কুনসুম হক ধীর পায়ে সুপ্তির রুমে প্রবেশ করে দেখলেন সে কাঁদছে।
-রাজীব কোথায় গিয়েছে তুই জানিস?
.
কুনসুম হকের গলার আওয়াজ শুনে সুপ্তি বললেন-
না।
-মেহেরীকাকে বিয়ে করতে।
-ওহ!
-তুই কিভাবে এতো স্বাভাবিকভাবে বসে আছিস সুপ্তি?
-দুইটা ভালোবাসার মানুষ এক হতে চলেছে। আমি এতে কি বলবো বলো!
-তুই কিছু না বললেও এতো সহজে আমি কিছুই মেনে নিবোনা। ওইরকম একটা মেয়ে আমার বাড়ির বউ আমি কিছুতেই হতে দিতে পারিনা।
-ফুফু!
.
.
.
রাজীবের পাশে গাড়িতে উদাসীনভাবে বসে আছে মেহেরীকা।
এতো তাড়াতাড়ি কিভাবে সময়টা চলে গেলো!
আর আদিয়াত এর সাথেও শেষ বারের মতো দেখাটাও হলোনা।
কেনো এলনা আদিয়াত?
একদিনই তাড়াতাড়ি ফিরতে বলেছে, কি এমন ক্ষতি হতো আজ তাড়াতাড়ি ফিরলে?
সেতো আসেনি একটা ফোনও দেয়নি।
একটা ফোন অন্তত দিতে পারতো সে!
.
এসব কথা ভেবে আদিয়াত এর উপর অভিমান করে নিজের মোবাইল সুইচড অফ করে দেয় মেহেরীকা।
.
তার দিকে তাকিয়ে রাজীব বললো-
কাউকে বলে এসেছো?
-দিবা দেখেছিলো বের হওয়ার সময়। বলেছি পরে বলবো কোথায় যাচ্ছি।
-আদিয়াত কি বললো?
-দেখা হয়নি তার সাথে।
.
আবারো নিশ্চুপ হয়ে যায় দুজনে।
নীরবতা ভেঙ্গে রাজীব বললো-
প্রায় চলে এসেছি আমরা।
-হুম।
-কারটা ভাড়া করেছি। বিয়ে করতে যাচ্ছিতো।
-হুম।
-তোমাকে এই নীল শাড়িটাই খুব ভালো লাগছে।
-আদিয়াত উপহার দিয়েছিলো।
-ওহ তাই!
-হুম।
-কাকে যেনো দেখতে আসবে আজকে?
-দিবাকে। ওর বফ এর পরিবার। জানো দিবা মেয়েটা কি মিষ্টি!
-তাই নাকি?
-হু। শুধু ও না। ওই বাড়ির সকলেই খুব ভালো।
-কে কে আছে?
-আছেতো। মা, এইরকম ভালো মনের মানুষ পৃথিবীতে খুব কমই রয়েছে। বাবা একটু গম্ভীর তবে পরিবারের সবাইকে অনেক ভালোবাসেন। তারপর বড় ভাইয়া আরিফ, একদমই সরল মনের একটা মানুষ। আর উনার বউ মিলি মানে ভাবী উনার কথা কি বলবো! এতো মজার একটা মানুষ৷ তুমি যদি কথা বলো তুমিও উনার ভক্ত হয়ে যাবে।
-আর আদিয়াত?
.
রাজীবের মুখে আদিয়াত এর নাম শুনে চুপ হয়ে যায় মেহেরীকা।
.
-কি হলো?
.
রাজীবের ডাকে ছোট্ট একটা নিঃশ্বাস ফেলে বললো সে-
আদিয়াত তো একটা বাচ্চা স্বভাবের ছেলে। পবিত্র মনের মানুষ।
-সবাই এতো ভালো, থেকে যেতে ওখানে। চলে এলে কেনো?
আদিয়াত এর সাথে সংসার করতে, ভালোই হতো।
.
রাজীবের প্রশ্নে অবাক চোখে তাকিয়ে মেহেরীকা বললো-
আমি তোমাকে ভালোবাসি রাজীব!
-মনে সেই ভালোবাসাটা আদৌ আছেতো? নাকি মুখের ভালোবাসা?
.
.
.
রাজীবের প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে মেহেরীকা ড্রাইভার এর উদ্দেশ্যে বললো-
ড্রাইভার? গাড়ি থামান তাড়াতাড়ি।
.
.
.
মিলির ফোন বেজে চলেছে।
রান্নাঘরে বসে শ্বাশুড়ির সাথে পিঠে বানাতে ব্যস্ত ছিলো সে।
ফোনের রিং টোনের শব্দ পেয়ে হাত ধুঁয়ে মোবাইল হাতে নিয়ে স্ক্রিনে তাকিয়ে দেখলো আরিফের ফোন।
-হ্যালো মিলি?
-কি ব্যাপার? তোমার গলার স্বর এমন লাগছে কেনো? সব ঠিক আছেতো?
-আসলে একটা এক্সিডেন্ট হয়েছে।
-এক্সিডেন্ট!
.
ইচ্ছে আছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here