কাজের মেয়ে যখন আদরের বউ পর্ব ৫+৬

কাজের মেয়ে যখন আদরের বউ
পর্ব : ৫+6
#writer: DaRun NayEm (Rejon)
তারপর ডানা সব খাবার খাওয়ে দিল আস্তে আস্তে। খাওয়া শেষ হয়ে গেল
খাওয়া শেষে ডানা আমাকে পানি খাওয়া দিচ্ছে।
এমন সময় কারো কথা শুনতে পেয়ে ডানার হাত থেকে পানির গ্লাসটা নিচে পড়ে গিয়ে ভেঙে গেল।
– ভালোতো ভাল না। ( আব্বু)
– আসলে আব্বু………..
– আমাকে আর কিছু বলতে হবে না । আমি যা বুঝার বুঝে নিয়েছি। ( কথা আটকিয়ে দিয়ে )
– আমি একটু রেজনের সাথে একা কথা বলতে চাই (ডানাকে উদ্দেশ্যে করে)
ডানা মাথা নীচু করে বাহিরে চলে গেল।
– তোমার সাথে ওই কাজের মেয়েটির সম্পর্ক কি?
– কিচ্ছু না।
– আমি কিন্তু মিথ্যা বলা পছন্দ করি না ( ধমক দিয়ে)
– আসলে বাবা………………. ( মাথা নীচু করে)
– কি আসলে ( রাগী চেহারায়)
– আমি ডানাকে ভালবাসি
– কি বললে আবার বল তো ( না শুনার ভান করে)
– বাবা আমি ডানাকে ভালবাসি।
– তুমি মনে হয় ভুলে যাচ্ছ তুমি তোমার বাবার সাথে কথা বলছ।
– স্যরি!!!!!!!!!
– মেয়েটিও কি তোমাকে ভালবাসে?
– জানি না । কিন্তু আমি তাকে প্রচন্ডরকম ভালবেসে ফেলেছি।
– এই কিছুটা সময়ের মধ্যে কিভাবে তুমি তাকে ভালবাসতে পারলে।
– এসব মাথা থেকে ঝেড়ে ফেল। না ছাড়া কিন্তু এর পরিনাম খারাপ কিছু হতে পারে।
– নিশ্চুপ হয়ে আছি
– আমি জানি মেয়েটি ভাল স্টুডেন্ট। খুব ভাল দেখতে, অনেক সুন্দর তার ব্যাবহার তাই বলে আমাদের সোসাইটির সাথে তাকে মিলানো সম্ভব না।
– বাবা আমরা যদি আমাদের সোসাইটির সাথে মেয়েটিকে মানিয়ে নিতে চেষ্টা করি। ( মাথা তুলে)
– সেটা সম্ভব না।
– কেন বাবা?
– কারণ তোমার যে অফিসের বস তাঁর সাথে তোমার বিয়ে দিব এটা অনেক আগেই ঠিক করে রাখা হয়েছে।
– মানে?
– মানে তোমার যখন জন্ম হয় তখন আমার বন্ধু আশরাফের সাথে কথা দিয়েছিলাম তাঁর যদি মেয়ে হয় তাইলে তাঁর সাথে তোমার বিয়ে দিব।
– আর আমার বন্ধুর আশরাফের মেয়ে হচ্ছে তোমার অফিসের বস জান্নাত।
– বাবা আমি ওই মেয়েকে বিয়ে করতে পারব না।
– কেন?
– কারণ ওই মেয়ের সাথে আমার যায় না ।
– তাইলে কার সাথে যায় এই কাজের মেয়ের সাথে। ( রাগী কন্ঠে)
– যার কোন বংশ পরিচয় নেই তাঁর সাথে তোমার কিভাবে যায় ?
– বাবা প্লিজ এই বিয়েটার কথা আর এগিয়ে নিয়ে যেও না। আমার পক্ষে এই বিয়ে করা সম্ভব না !!!!!
– আমি আমার বন্ধুকে বলে যত তাড়াতাড়ি পারি তোমাদের বিয়ের ব্যবস্থা করছি। তুমি প্রস্তুত থাক।
– তাইলে আমার চাওয়া পাওয়ার কোন দাম নেই তোমার কাছে ।
– না নেই।
– আমার কাছে আমার সম্মানই বড়। যেটা একবার হারিয়ে গেলে আর হাজার চেষ্টা করেও ফিরে পাওয়া সম্ভব না।
বাবা কথাটা বলেই আমার রুম থেকে বেড়িয়ে গেল।
ডানাও নিজের অবস্থান থেকে নিজের রুমে চলে গেল। আসলে ডানা এতো সময় দরজার পাশে দাঁড়িয়ে সব কথা শ্রবণ করে নিয়েছে। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কথা গুলো শুনছিল আর কেঁদে কেঁদে চোখের পানিতে বুক ভাসিয়ে দিচ্ছিল।
রেজন অস্ফুটে ভাবে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে।
রেজন ভাবতে থাকে জীবনের প্রথম কাউকে ভাল লাগল। কিন্তু সেই ভাল লাগার মূল্য থাকল না পরিবারের কাছে। 😭😭
।।
।।
।।
কিছুদিন এভাবেই কেটে গেল। ডানা এখন আর আমার সাথে ওইভাবে কথা বলে না। প্রয়োজন ছাড়া কোন প্রকার কথা বলতে চায় না। আমার থেকে সবসময় দূরত্ব বজায় রেখে চলে।
আমি এখন নিয়মিত অফিসে গেলেও জান্নাতের থেকে দূরে দূরে থাকার চেষ্টা করি। আমার সাথে কথা বলতে চাইলেও আমি সেভাবে কথা বলি না।
।।
আজ ডানার এইচএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট হওয়ার কথা। ডানাকে আজ সারাক্ষণ দেখছি অস্থিরতায় কাটাচ্ছে।
আজ ডানার মায়ের স্বপ্ন পূরণ হওয়ার দিন।
কিছুক্ষন বাদে ডানা ফোনের এসএমএস থেকে জানতে পারল সে এ প্লাস পেয়েছে। ডানা আজ যেন খুশিতে আত্মাহারা হয়ে যাচ্ছে। অনেক্ষণ বাদে ডানার মুখ ফোকাসে দেখাচ্ছে। সাত পাঁচ না ভেবে চলে গেলাম ডানার কাছে।
– কি হয়েছে ডানা তোমার ?
– তোমার খুশিমাখা মুখ হঠাৎ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে গেল যে।
– আমার কথা শুনে অস্ফুট ভাবে কান্না করে দেয় ডানা ।
– প্লিজ ডানা কেঁদো না । কি হয়েছে বল?
– আজ আমার এই খুশির দিনে আম্মু আমার পাশে নেই ( কিছুটা কান্না থামিয়ে)
– দেখ ডানা কারো বাবা মাই সারাজীবন বেঁচে থাকে না। প্লিজ এটা নিয়ে মন খারাপ করো না।
– কেন আমার আম্মুকেই নিয়ে গেলে আল্লাহ তুমি না ফেরার দেশে ।
– ভাল মানুষকে বেশিদিন দুনিয়াতে আল্লাহ পাক রাখেন না।
– আমার আম্মু ডাকার মতো কেউ থাকল না এই পৃথিবীতে ।
– কে বলছে তোর আম্মু ডাকার মতো কেউ নেই আমি বেঁচে নেই এই পৃথিবীতে। ( আম্মু)
– এখন থেকে তুই আমাকে আম্মু বলে ডাকবি ।
আম্মুর কথাটা শুনে আম্মুকে ডানা জড়িয়ে ধরে কান্না করে দেয়।
– এই পাগল মেয়ে কান্না করছিস কেন এই খুশির দিনে। আজকের দিনে কান্না করতে নেই।
– বাইরে গিয়ে একটু ঘুরে আয় মনটা ভাল লাগবে।
– এই রেজন।
– হুমম আম্মু বল।
– যা ডানাকে নিয়ে একটু বাহিরে থেকে ঘুরিয়ে নিয়ে আয় ।
– না আম্মু আমি কোথাও যাব না। যাইতে ভাল লাগছে না। (ডানা)
– আমি যাইতে বলছি যা ( কিছু ধমকের সুরে)
– ওকে আম্মু।
তারপর ডানাকে সাথে নিয়ে বেড়িয়ে গেলাম কিছুটা সময় ঘুরতে।
দুজন এক রিক্সা করে যাচ্ছি কিন্তু কেউ কোন প্রকার কথা বলছি না।
আমাদের দুজনের মাঝে অনেকটা দূরত্ব বজায় রয়েছে। দুজন দূরত্ব বজায় রেখে চলছি নির্জন রাস্তা দিয়ে ।
নিরবতা ভেঙে আমি শুরু করলাম।
– অভিনন্দন।
– কিসের জন্যে?
– তুমি পরীক্ষায় ভাল রেজাল্ট করেছ সেটার জন্যে।
– থ্যাংকু
– ওয়েলকাম।
তারপর দুজন রিক্সায় করে লেকের ধারে চলে আসলাম। দুজন পাশাপাশি হাঁটতেছি কিন্তু আমাদের মধ্যে নিরবতা রয়েই গেছে।
– আচ্ছা ডানা ।
– হুমম।
– আমার জন্যে কি তোমার কোন ফিলিং কাজ করে না।
– আপনার বিয়ে কবে?
– আমি যেটা বলছি সেটার উত্তর দাও।
– আপনার বিয়েতে আমি খুব সাজবো ।
– ডানা আমার কিন্তু খুব রাগ হচ্ছে !!!!!!!!
– তো আমি কি করতে পারি?
– তোমার কিছুই করার নেই ( অভিমানে সুর)
– আমার আবার কি করার থাকবে?
– ডানা আই লাভ ইউ ( কিছুটা থমকে)
– আপনার কি মাথা ঠিক আছে। কি সব আবল তাবল বলছেন৷
– ডানা আমি কিন্তু সিরিয়াস
– আমিও তো সিরিয়াস ভাবেই কথা গুলো বলছি। আপনার পাগলী গুলো বাদ দেন।
– আমি যদি তোমার না হই তাইলে আর কারো হবো না।
– আপনি কি সব পাগলের মতো বলছেন?
– আমি সিরিয়াস।
– আপনি প্লিজ আপনার পরিবারের পছন্দের মেয়েকেই বিয়ে করে নিন ।
– আমি তো একবারই বলেছি আমি তোমার না হলে অন্য কারো হবো না।
– দেখেন এটা সমাজ মেনে নিবে না।
– দরকার পড়লে আমরা এই সমাজের বাহিরে চলে যাব। যেখানে ধনী গরিব কোন ভেদাভেদ থাকবে না। যেখানে ধন সম্পদ নিয়ে কোন প্রকার মাথা ব্যাথা থাকবে না।
এমন কোথাও যাব যেখানে আমাদের সম্পর্ক বাঁধা না পড়ে।
– আপনি আবেগের বসে কি সব বলছেন?
– দেখ ডানা এই অল্পতেই তোমাকে খুব ভালবেসে ফেলেছি। তোমাকে ছাড়া আমি বাঁচতে পারব না।
– এটা শুধু মাত্র আপনার মোহ।
– ডানা বিয়ে করবে আমায়?
ডানা যে কথাটা বলল সেটা আমি শুনার প্রস্তুত ছিলাম না………………….

চলবে

কাজের মেয়ে যখন আদরের বউ
পর্ব : ৬
#writer: DaRun NayEm (Rejon)
– আপনি আবেগের বসে কি সব বলছেন ❓
– দেখ ডানা এই অল্পতেই তোমাকে খুব ভালবেসে ফেলেছি। তোমাকে ছাড়া আমি বাঁচতে পারব না।
– এটা শুধু মাত্র আপনার মোহ।
– ডানা বিয়ে করবে আমায়❓
ডানা যে কথাটা বলল সেটা আমি শুনার প্রস্তুত ছিলাম না..
-আপনি যেটা বলছেন সেটা কোন ভাবেই গ্রহণ যোগ্য করা আমার কাছে সম্ভব না । আপনি প্লিজ এই সমস্ত বিষয় গুলো মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন। তাতেই মঙ্গল ( ডানা)
– আচ্ছা ডানা তুমি তোমার বুকের বাঁ পাশে হাত দিয়ে বলতো আমার প্রতি তোমার একফোঁটা হলেও ভালবাসা আছে কি না ❓
– আমি আগেও বলছে এখনও বলছি আপনি আমার থেকে যেটা পেতে চাচ্ছেন সেটা কোন ভাবেই আমার দেওয়া সম্ভব না।
– এটা কি তোমার মনের কথা ❓
– হুমম।
ভালবাসা নিয়ে কোন দিন মিথ্যা বলতে নেই।
– হুমম জানিতো।
– তাইলে কেন ভালবাসা নিয়ে মিথ্যা বলছ❓
– আচ্ছা আপনি আমার মতো এতো নগ্নতার মাঝে কি এমন দেখেছেন যেটার জন্যে আমায় ভালবাসেন ❓
– তোমাকে প্রথম দিকে আমি দেখতে বা বুঝতে পারিনি। পড়ে যখন তোমার শ্রী, সৌন্দর্য ও মাধুর্য দেখলাম তখন তোমার প্রেমে মুগ্ন হয়ে গিয়েছি।
– আপনি বুঝেন না কেন নিয়তি আপনার সাথে আমার সঙ্গ করে পাঠায় নি।
– আমার পরিবার যদি তোমায় মেনে না নেয়। তখন আমি আমার পরিবারকে ত্যাগ করতে পারি তোমাকে পাওয়া জন্যে । হারিয়ে যেতে পারি দূর অজানায় তোমাকে নিয়ে ।
– আপনি সত্যি আমায় কষ্ট দিবেন না তো কোন দিন। পাশে থাকবেন সারাজীবন ❓
– সারা জীবন তোমাকে আগলিয়ে রাখব আমার বুকের ভেতর।
– সারাজীবন কষ্ট নিয়ে মানুষ হয়েছি। কিন্তু আপনি কষ্ট দিলে সেটা মেনে নিতে পারব না হয়তো ।( কান্নাভেজা কন্ঠে)
– সুখে দুঃখে সারা জীবন পাশে থাকব তোমার।
– সুখ আমার কপালে সারাজীবন সহ্য হয়নি। হয়তো এখনও সহ্য হবে না।
– যদি আমি তোমার পাশে থাকি সারাজীবন কিন্তু তোমার সুখ হয়লো না। তখন কি তোমার কষ্ট হবে ❓
হয়তো দামী কাপড় পরিহিতা অবস্থায় তোমাকে রাখতে পারব না। ভাল খাবার খাওয়াতে পারব না। ভাল জায়গায় স্থান করে দিতে হয়তো পারব না কিন্তু তোমার সাথে থাকব সারাক্ষণ।
– আপনি যদি আমার পাশে থাকেন সারাজিবন আপনি আমায় যে অবস্থায় রাখবেন সেই অবস্থায়ই থাকতে আমি প্রস্তুত। আপনি আমার পাশে থাকলে এটার চেয়ে বড় সুখ আমার জীবনে আর কিছু হবে না।
– আচ্ছা তুমি আমার টুনির আম্মু হবে? ( হাঁটু গেড়ে বসে হাতে মোবাইল নিয়ে )
( রেজনের স্বপ্ন তাঁর মেয়ে হলে নাম রাখবে টুনি)
– হি হি হি হি।
– হাসো কেন?
– জীবনের প্রথম কাউকে হাতে মোবাইল নিয়ে প্রপোজ করা দেখলাম। সবাই প্রপোজ করে হাতে 🌺 ফুল নিয়ে হাঁটু গেড়ে আই লাভ ইউ বলে । আর আপনি কি করছেন এটা ❓
– সবার ভালবাসা থেকে আমাদের ভালবাসা সম্পুর্ণ আলাদা । তাই আমাদের প্রপোজ ও আলাদা।
– তাই বলে 📱 মোবাইল কেন ❓ একটা ফুল 🌺 না হয় দিলেন একটা 🌿পাতা দিয়ে তো প্রপোজ করতে পারতেন।
– তোমাকে 📱 মোবাইল দিয়ে প্রপোজ করলাম তাঁর কারণ তোমার মোবাইল ছিল না। আর তোমাকে ফুল 🌺 দিয়ে প্রপোজ করলে হয়তো কিছুদিন ফুলটা যন্তে রাখবে তারপর ফেলে দিবে। কিন্তু 📱মোবাইল দিলাম এটা যখনই তোমার কাছে থাকবে তখনই তুমি যেই অবস্থায়ই থাক না কেন আমার কথা তোমার মনে হয়ে যাবে ।
– এতো বুদ্ধি আপনার মাথায় ❓
– হুমম গো।
– তুমি যদি আমায় তুমি করে বল তাইলে আজকেই শেষ কথা তোমার সাথে ( অভিমানের সুর)
– তুমি বলতে হবে কেন ❓ আপনি বললে সম্যাসা কি ❓
– আপনি বললে কেন জানি পর পর মনে হয় গো ।
– আমি তো আপনার পর ই ।
– কিহহহহ। আমি তোমার পর ❓ ( হাত ধরে বুকে টেনে নিয়ে)
– হুমম।
– এই পাবলিক প্লেসে কি করছেন এসব ❓ ( ডানা)

– কি করছি আমি ❓ কিভাবে পর আগে সেটা বল ❓
– ছাড়ও আগে তারপর বলছি ।
– হুমম।
– এখনও আমাকে ভালবাসি কথাটা বললেন না।
– বলতে পারি একটা শর্তে ।
– কি শর্ত ❓
– তুমি যদি তুমি করে আমায় না বল তাইলে ভালবাসি কথাটা বলব না ।
– ওকে তুমি করে বলছি।
– এখন ভালবাসি কথাটা বল।
– আমি তোমাকে মন প্রাণ উজাড় করে ভালবাসি গো।
– সত্যি ❓
– হুমম সত্যি।
– কত % ভালবাসো সত্যি বলো ❓
– ৯৫ %
– আর ৫ % ❓
– পরে হবে।
– এই ৫% বৃদ্ধি না করলে আমি তোমাকে বাসব না ভাল।
– আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পাবে।
– এখনই বাঁড়াও নাছাড়া আমায় পাওয়া যাবে না।
– ওকে ১০০% সত্যি ভালবাসি তোমায়।
– ধন্যবাদ।
– ধন্যবাদ কেন ❓( রাগী লুক)
– ১০০% ভালবাসা দেওয়ার জন্যে।
– তুমি তো বললে না?
– কি বলব গো ❓
– ভালবাসি।
– ভালবাসি ভালবাসি ভালবাসি তোকে।
– এই একটা পাপ্পু দাও।
– খবিশ।
– কিসের খবিশ ❓
– বিয়ের আগে এসব হারাম গো।
– তাইলে চল না আজকেই বিয়ে করে ফেলি।
– এই পাগল কি বল এসব।
– পাপ্পু পাওয়ার জন্যে হলেও চল বিয়ে করে ফেলি।
– সময় আসুক তারপর একটা সিধান্তে উপনীত হওয়া যাবে।
– ওকে চল বাসার দিকে যায়। সন্ধ্যা নেমে এসেছে।
– হুমম চল।
।।
।।
।।

তারপর একটা রিক্সা করে বাসায় যাওয়ার জন্যে প্রস্তুত হয়ে গেলাম।
দুজন রিক্সাতে পাশাপাশি বসে আছি। এখন আর দুজনের মাঝে বিন্দুমাত্র জায়গা নেই।
রিক্সা চলছে তাঁর নিজ্বব গতিতে।
আর আমরা চলছি আমার রোমান্টিক প্রেমের গতিতে ।
কতক্ষণ পড়ে বাসায় চলে আসলাম।
দুজন পাশাপাশি হেঁটে ভিতরে প্রবেশ করলাম।
ভিতরে গিয়ে দেখলাম আব্বু বসে অপেক্ষা করছে আমার জন্যে।
– এই রেজন এদিকে আয়?
– হুমম বাবা বল ( বাবা কাছে এসে)
– একটা কথা বলার জন্যে তোমার জন্য অপেক্ষা করছিলাম।
– হুমম বল বাবা।

বাবা এমন একটা কথা বললো যেটা শুনে সবাই অবাক দৃষ্টিতে চেয়ে আছে বাবার দিকে।

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here