কাজের মেয়ে যখন আদরের বউ পর্ব ৭+৮

কাজের মেয়ে যখন আদরের বউ
পর্ব : ৭+৮
#writer: DaRun NayEm (Rejon)
– হুমম বাবা বল ( বাবা কাছে এসে)
– একটা কথা বলার জন্যে তোমার জন্য অপেক্ষা করছিলাম।
– হুমম বল বাবা।

বাবা এমন একটা কথা বললো যেটা শুনে সবাই অবাক দৃষ্টিতে চেয়ে আছে বাবার দিকে।
– সামনের মাসের দশ তারিখ রেজন আর জান্নাতের বিয়ে। মানে আর বিয়ের ১ মাস ৭ দিন বাকি রইল।
আমি বাবার কথাটা শুনে ডানার দিকে একদৃষ্টিতে তাকালাম ডানা দেখলাম মাথা নিচু করে আছে।
আমি বাবার কথাটা কিছুক্ষন শুনা মাত্র উঠে চলে আসলাম রুমে।
রুমে এসে বিছানাতে শুয়ে অস্ফুট ভাবে কান্না করতে থাকি। 👁 ৷ চোখের জলে ভিজতে থাকে আমার বালিস খানা।
কতক্ষণ পড়ে দেখলাম আম্মুর আগমন ঘটল আমার রুমে। অগ্রসর হতে লাগল আমার দিকে। কিছুসময় পড়ে বুঝলাম কেউ একজন হাত বুলাচ্ছে মাথায়। বুঝার আর বাকি রইল না কে আমার হাত বুলিয়ে দিচ্ছে।
আমি পিছন ফিরে আম্মুকে জড়িয়ে ধরলাম। জড়িয়ে ধরে ডুকরে ডুকরে কান্না করতে লাগলাম।
– কান্না বন্ধ কর বাবা।
– আম্মু আমার কি কোন কিছু চাওয়া পাওয়ার অধিকার নেই ❓
– আমি বেঁচে থাকতে তোর বিয়ে জান্নাতের সাথে হতে দিব না। তোর বাবা যদি আমার কথা না রাখে তাইলে তোর আর ডানার বিয়ে আমি নিজে দাঁড়িয়ে তোদের বিয়ে দিব নয়তো তোদের পালিয়ে যেতে সাহায্য করব। আমি যেদিন ডানাকে প্রথম দেখেছিলাম সেদিনই আমার ইচ্ছা তোর বউ করে নিয়ে আসব। মেয়েটির আচার আচরণ আমাকে মুগ্ধতা করে ফেলেছিল। ডানাকে আমার এই বাসায় আনার মূল কারণ যাতে সবার মন জয় করে নিতে পারে।
– এই অল্প সময়ে মেয়েটি সবার মনই জয় করে নিয়েছে। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে তোর বাবার ওয়াদা দেওয়া।
– থ্যাংকু আম্মু। ( আম্মুর গালে একটা পাপ্পা দিয়ে দিলাম)
– ভাত নিয়ে এসেছি তাড়াতাড়ি খেয়ে নে। খাওয়ে দিতেছি আমি হ্যা কর।
– হুমম।
( আম্মুর খাওয়া দেওয়ার কথা শুনে ডানার খাওয়ে দেওয়ার কথা মনে পড়ে গেল। )
– আম্মু আমাকে খাওয়ে দিচ্ছে আর আমি আম্মুকে কিছু কথা বলছি।
– আম্মু তুমি এতো ভাল কেন বলতে পারো ❓
– পাগল ছেলে এটা আবার কেমন প্রশ্ন ❓
– আম্মু আমার অহংকার হচ্ছে তোমার মতো মা পেয়ে ।
– কি বলিস এসব পাগল ছেলে।
– সত্যি বলছি আম্মু ।
– তোকে খাওয়ে দিয়ে আবার অভিমানি মেয়েকে খাওয়ে দিতে হবে। মুখ গোস্বা করে বসে আছে।
আম্মু খাওয়ে দেওয়া শেষ করে আম্মুর শাড়ির আঁচল দিয়ে আমার মুখটা মুছে দিয়ে চলে গেল।
।।
।।
।।

আমি বিছানায় হেলান দিয়ে বই পড়ছি কতক্ষণ পড়ে বুঝতে পারলাম আমার 📱 ফোনের টন বাজতেছে ।
📱 ফোনের স্কিনের দিকে তাকিয়ে দেখি বস নামটা ভাসতেছে।
কিছুটা বিরক্তিকর মনোভাব নিয়ে ফোন রিসিভ করলাম।
– আসসালামুয়ালাইকুম স্যার। কেমন আছেন?
– ওয়ালাইকুমুস সালাম। ভাল আছি। তুমি ❓
– আমিও ভাল আছি স্যার।
– এই তুমি আমাকে স্যার স্যার বলছ কেন ❓
– তাইলে কি শ্যালিকা বলবো ( কিছুটা হাসি মুখে)
– তুমি তোমার হবু স্ত্রীর সাথে এই ব্যাবহার করছ কেন?
– কি বলছেন স্যার ❓ আপনি আমার হবু স্ত্রী হবেন কেন❓ স্যার আমি আপনার অফিসের সামান্য কর্মচারী । ভুল করে হয়তো আমার কাছে ফোন চলে এসেছে। নাম্বারটা ভাল করে চেক করেন।
– এই তুমি আমার সাথে মজা নিচ্ছো কেন ❓
– কি বলেন স্যার আপনি আমার অফিসের বস আপনার সাথে কি আমি মজা নিতে পারি ❓
– তুমি কি আমাদের বিয়ে সম্পর্কে কিছুই জানো না ❓
– আমাদের বিয়ে মানে ❓ ( না জানার ভান করে)
– তুমি কি কিছুই জানো না নাকি অভিনয় করছো ❓
– মানে ❓
– তোমার বাবা মানে আমার হবু শ্বশুর আজকে তোমার আর আমার বিয়ে ঠিক করে গিয়েছে।
– মানে কিসের বিয়ে ❓ ( না জানার ভান করে)
– তোমার আর আমার বিয়ে।( কিছুটা উৎসাহ নিয়ে)
– দেখেন স্যার আমি আপনাকে বিয়ে করতে পারব না।
– কেন ❓
– কারণ আমি একজনকে ভালবাসি।
– কিহহহহহহহ।
– হুমম।
– কে সে ❓
– ডানা।
– ডানা মানে তোমাদের বাসার কাজের মেয়েটা❓
কথাটা শুনে মনটা খারাপ হয়ে গেল।
– কে বলছে আপনাকে ডানা সম্পর্কে এসব বাজে কথা ❓
– তোমার বাবা।
– ডানা যেই হোক না কেন আমি তাঁকে ভালবাসি এটাই তাঁর পরিচয় । বিয়ে করতে হলে আমি তাকেই করব।
– তোমার দৃষ্টি শক্তি এতো নিচে কেন ❓
– আমার ব্যাক্তিগত বিষয় নিয়ে কেউ নাক না ঘামালে খুশি হব।
– তুমি যেটাই বল না কেন বিয়ে তো আমি তোমাকেই করব।
– সেই সম্পর্ক কোন ভাবেই তৈরী করা আমার পক্ষে সম্ভব না।
– ওকে সেটা সময় আসলে দেখা যাবে।
– হুমম বাই। সময়ের অপেক্ষায় থাকলাম।
– হুমম বাই। গুড নাইট।
– গুড নাইট।
।।
জান্নাতের সাথে কথা বলা শেষ করে ডানাকে ফোন দিলাম। ডানা ফোন রিসিভ করার পরে।
– এই ডানা।
– কোন কথা বলছে শুধু চুপ হয়ে আছে।
– এই কি হলো কথা বল না কেন বাবু ❓
– আপনি প্লিজ জান্নাতকে বিয়ে করে নেন। ( কিছুটা কান্নাজড়িত কন্ঠে)
– মন থেকে বলছো ❓
– না !!!!!!!!!
– তাইলে কেন এই কথা গুলো বলছ ❓
– খুব ভালবাসি তোমাকে।
– হুমম জানিতো।
– আমার সঙ্গ প্লিজ ছেড়ে দিও না।
– পৃথিবী পুরোটা চেন্স হয়ে যেতে পারে কিন্তু আমার ভালবাসা একফোঁটাও কমবে না কোনদিন ।
– আই লাভ ইউ।
– আই লাভ ইউ টু বাবু।
– বাবু কালকে অফিস আছে এখন ঘুমাও।
– ওকে বাবু গুড নাইট
– গুড নাইট বাবু।
।।
তারপর ডানাকে বিদায় জানিয়ে হারিয়ে গেলাম ঘুমের রাজ্যে।
সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি ডানা চা হাতে দাঁড়িয়ে আছে।
– গুড মর্নিং বাবু।
– মর্নিং বাবু।
– তোমার চা বাবু ( আমার দিকে এগিয়ে দিয়ে)
– চা টা হাত থেকে নিয়ে একটানে ডানাকে জড়িয়ে নিলাম বুকের সাথে।
– কি করছ এসব ❓ কেউ দেখে ফেলবে তো।
– দেখলে দেখুক গাঁ আমার বউকে আমি আদর করছি তাতে আর কি আসে যায় ❓
– বয়েই গেছে তোমার বউ হতে।
– কেন হবে না আমার টুনির আম্মু ❓
– হুমম। হতে তো চাই কিন্তু !!
– কি কিন্তু?
– কিন্তু আমার সেই আশা পূরণ হবে না !!!!!
– বাজে কথা বলবে না কিন্তু বলে দিলাম। আমার জীবন দিয়ে হলেও আগলিয়ে রাখব তোমায়।
– সত্যি ❓
– হুমম।
– বাবু ফ্রেশ হয়ে খাওয়া দাওয়া করে অফিসে যাও।
– ওকে বাবু।
ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে সবাইকে বিদায় জানিয়ে বেড়িয়ে গেলাম অফিসের উদ্দেশ্যে।
কতক্ষণ বাদে পৌঁছে গেলাম অফিসে।
অফিসে গিয়ে আমি বিস্মিত না হয়ে পারলাম না।
সবাই দেখলাম আমাকে দাঁড়িয়ে ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানাচ্ছে। কিন্তু কিসের জন্যে অভিনন্দন জানাচ্ছে সেটা আমার অজানা……………….

চলবে

কাজের মেয়ে যখন আদরের বউ
পর্ব : ৮
#writer: DaRun NayEm (Rejon)
ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে সবাইকে বিদায় জানিয়ে বেড়িয়ে গেলাম অফিসের উদ্দেশ্যে।
কতক্ষণ বাদে পৌঁছে গেলাম অফিসে।
অফিসে গিয়ে আমি বিস্মিত না হয়ে পারলাম না।
সবাই দেখলাম আমাকে দাঁড়িয়ে ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানাচ্ছে। কিন্তু কিসের জন্যে অভিনন্দন জানাচ্ছে সেটা আমার অজানা।
কতক্ষণ পড়ে ম্যানেজার এসে বলল।
– স্যার আপনাকে জান্নাত স্যার ডাকছে তাঁর কেবিনে।
– ওকে আসতেছি আপনি যান ।
কোন কিছু না ভেবেই কিছুক্ষন পড়ে উদ্দেশ্যে স্থল জান্নাত স্যারের কেবিনে রওনা দিলাম।
কেবিনের সামনে দাঁড়িয়ে।
– আসতে পারি স্যার ❓
– তুমি আবার ভিতরে আসতে অনুমতি নিচ্ছো কেন ❓
– মানে ❓
– স্ত্রীর কেবিনে আসতে কি স্বামীর অনুমতি লাগে ।( মৃদু হেসে)
– কিভাবে আমি আপনার স্বামী হলাম ❓( রাগী দৃষ্টিতে)
– আমরা এখনও স্বামী স্ত্রী হয়নি কিন্তু কিছু দিন পড়ে তো হয়ে যাব।
– আমি আগেও বলেছি এখনও বলছি এই বিয়ে করাটা আমার পক্ষে কোন ভাবেই সম্ভব না।
– সেটা সময়ে ব্যবধানে দেখা যাবে।
-স্যার একটা প্রশ্ন ❓
– হুমম।
– স্যার অফিসে কি সব হচ্ছে আমার সাথে কিছুই বুঝতে পারছি না। একটু বুঝিয়ে বলবেন প্লিজ।
– তোমাকে আজ থেকে আমার পি.এ বানিয়ে নেওয়া হয়েছে।
– কোন অপরাধে আমাকে এতো বড় শাস্তি দিলেন স্যার ❓
মানে ❓
– আমি কি এমন মহান কাজ করলাম যার জন্যে আমাকে এতো বড় শাস্তি দেওয়া হলো।
– তোমার অপরাধ তুমি আমার স্বামী এই জন্যে তোমাকে পি.এ বানিয়ে নেওয়া হয়েছে।
– আমাকে হঠাৎ করে এই পোস্টে দেওয়ার কারণ ভাল ভাবে একটু বুঝিয়ে বলেন ❓আমার তো কোন যোগ্যতা নেই এই পোস্টে আসার।
– তোমার কিছু মাত্র যোগ্যতার নিরিখে এই পোস্টে তোমাকে স্থান করে দেওয়া হয়েছে ।
– কি আমার সেই যোগ্যতা গুলো জানতে পারি কি ?
– তুমি আমার হাজবেন্ড এটাই তোমার সব থেকে বড় যোগ্যতা ।
– আচ্ছা আপনি আমার মতো ক্ষ্যাত ছেলের মধ্যে কি এমন দেখলেন যার জন্যে আমাকে বিয়ে করতে পর্যন্ত চাচ্ছেন।
– প্রথম দিক হলো আমার বাবার দেওয়া ওয়াদা। আর দ্বিতীয় দিক হলো তোমার যে বডি ফিটনেস সেটা যে কোন মেয়েকে আকর্ষণ করবে।
– আমি যতটুকু বুঝার বুঝে নিয়েছি আমায় পি. এ বানানোর মূল কারণ আমাকে ডানার থেকে দূরে সরিয়ে রাখার।
– ম্যানেজার সাহেব ( জান্নাত)
– জ্বি স্যার বলেন ।
– রেজন সাহেব কে তাঁর কেবিনে নিয়ে সব কাজ গুলো বুঝিয়ে দেন।
– ওকে স্যার।
– হুমম।
– তুমি এখন তোমার কেবিনে যেতে পারো। ( কিছু হাসি মুখে)
তাঁরপর নিরব ভঙ্গিতে কেবিনে চলে আসলাম।
ম্যানেজার সাহেব সব কাজ গুলো বুঝিয়ে দিচ্ছেন।
কতক্ষণ পড়ে ম্যানেজার সাহেব সব বুঝিয়ে দিয়ে চলে গেল।
কিছুক্ষণ পড়ে ফোন টা বের করে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলাম ফোন টার দিকে ।
দেখলাম ডানার ২৯ টা মিসকল ৮৮ টা মেসেজ।
আমি এতো গুলো ফোন আর মেসেজ দেখে চিন্তায় পড়ে গেলাম। না জানি ডানার কোন বিপদ হলো না তো। অজানা একটা ভয় কাজ করছে নিজের মধ্যে। আর ডানার সব কয়টা মেসেজ ছিল একই। এই বাবু ফোন রিসিভ কর প্লিজ ।
তাড়াহুড়ো করে ফোন দিলাম ডানাকে। ডানা ফোন রিসিভ করার পরে ।
– এই বাবু কি হয়েছে ❓( কিছুটা আতংকিত হয়ে)
– তোমার কি হয়েছে আগে সেটা বলো বাবু ❓
– আমার আবার কি হবে ❓( অবাক কন্ঠে)
– তাইলে এতো বার ফোন, টেক্সট করলাম কিন্তু কোন আশানুরুপ রিপ্লাই পেলাম না তোমার থেকে ।
– তাই বলে এতো বার ফোন,টেক্সট করতে হয় ❓
– আসলে আমার মধ্যে একটু ভয় কাজ করছিল তোমার কোন বিপদ হলো না তো। তাঁর জন্যে বার বার ফোন করছিলাম।
– এতো ভালবাস ❓
– হুমম।
– কেন এতো ভালবাসো ❓
– উত্তর টা অজানা।
– জানার চেষ্টা কর।
– পারব না। শুধু এতো টুকো জেনে রাখো তোমাকে পাগলের মত ভালবাসি।
– যদি কোন দিন হারিয়ে যাই।
– তুমি হারিয়ে গেলে আমিও হারিয়ে যাব। অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাবে না আমার। বিলুপ্ত হয়ে যাব আমি।
– এতো ভালবাসা কিন্তু ঠিক না।
– কেন ❓
– বেশি ভালবাসলে কষ্ট পেতে হয় গো বাবু ।
– তোমাকে ভালবেসে পাওয়ার জন্যে শত কষ্ট মেনে নিতে প্রস্তুত আমি ।
– যদি কষ্ট টা বিফলে চলে যায় ❓
– তাহলে হারিয়ে যাব দূর অজানায়। যেখান থেকে কেউ ফিরে আসে না কোন দিন কোন ভাবে ।
– যদি কষ্ট টা বিফলে না যায় ❓
– তাহলে তো তোমাকে নিয়ে সুখের সাগরে ভাঁসবো সারাজীবন।
– আস্থা রাখতে পার আমি তোমার সঙ্গ হয়ে থাকব সারাজীবন। শত বাধা অপেক্ষা করে হলেও জীবন সাথী হিসেবে থাকব তোমার পাশে।
– হারিয়ে যাবে না তো ❓
– কখনও না ।
– ভালবাসবে তো এভাবে সারাজীবন ❓
– হুম৷
– সত্যিই
– হুমম রে বাবু।
কিছুটা সময় নিরব থেকে।
– একটা পাপ্পু দাও না প্লিজ বাবু ( কিছুটা রোমান্টিক গলায়)
– যাহ ফাজিল।
– কিভাবে ফাজিল আমি ❓
– তুমি শুধু আমার ফাজিল। অন্য কারো না।
– তাই বুঝি বাবু ❓
– হুমম রে জান।
– তোমার ফাজিল কে একটু আদর করো না ।
– তুমি রয়েছ অফিসে কিভাবে আদর করব গো ❓
– পাপ্পু তো দাও একটা।
– আজ না গো অন্য দিন দিব পাপ্পু ।
– প্লিজ প্লিজ প্লিজ প্লিজ।
– ওকে বাবা দিচ্ছি রে।
– হুমম দাও।
– কোথায় দিব গো পাপ্পু ❓
– লিপ।
– লিপ বাদে দিই বাবু ❓
– না রে সোনা ময়না ।
– ওকে তুমি ফোন টা ঠোঁটের কাছে নাও।
– ওকে ।
– দিলাম কিন্তু প্রস্তুত থাক।
– হুমম প্রস্তুত গো ।
– কামড় দিও না কিন্তু আবার।
– ওকে হালকা করে দিব।
।।
কতক্ষণ পড়ে কিস দেওয়া শেষ করে।
– এই তুমি কামড় দিলে কেন❓( ডানা)
– কখন দিলাম গো ❓
– ব্যাথা পেলাম যে।
– হুমম হালকা করে দি…………………
কথাটা শেষ না করেই সামনে তাকিয়ে দেখি জান্নাত স্যার মাযায় হাত দিয়ে রাগী চেহারা নিয়ে দরজায় হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে………………………………………

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here