কালোরাত পর্ব ১

ফারজানাঃ প্লীজ আমাকে ছেড়ে দিন এমন করেন না খুব কষ্ট হচ্ছে আমার ( কান্না করতে করতে )
জুয়ায়েদঃ আমি তো ছাড়ার জন্য তোরে আনি নাই ( রাক্ষসি ভাব নিয়ে )
ফারজানাঃ প্লীজ ছাড়ুন আমার খুব কষ্ট হচ্ছে ।
জুনায়েদঃ তোর কষ্ট হলে আমার কিছুই করার নেই ।
ফারজানাঃ প্লীজ ছাড়ুন প্লীজ আমার না খুব ব্যাথা করছে ( কান্না করতে করতে )
জুয়ানায়েদঃ ব্যাথার ওষুধ খেয়ে নিবি তাহলে কিছুই হবেনা ।
ফারজানাঃ এমন করছেন কেনো , আমার হাত পা কেনো বাধছেন ?
জুনায়েদঃ একটু পরেই তুই বুঝতে পারবি কেনো এমন করছি ।
ফারজানাঃ প্লীজ আমায় ছেড়ে দিন আমার খুব ভয় করছে ।
জুনায়েদঃ চুপ কর না হলে তোর খবর আছে ।


উনার এক ধমকে থেমে গেলাম ।
উনি আমাকে এখন বিছানায় বেধে রেখেছেন কিন্তু আমি কিছুই বুঝতেছিনা কি জন্য এমন করছে । এমন ভাবে বেধেছে আমার হাত পা কেটে যাচ্ছে কিন্তু এই অমানুষ টার একটুও মায়া হচ্ছে না । আমাকে বেধে অমানুষ টা বাইরে গেলো ।

আর
এই অমানুষ টা আর কেউ না তিনিই আমার স্বামী আর আমি তার স্ত্রী ।
মনে মনে ভাবছি মা বাবা কি দেখে এই অমানুষ টার সাথে আমার বিয়ে দিয়েছে ।
অমানুষ টা দেখতে সেই ভয়ংকর । যে কেউ দেখলেই ভয় করবে কিন্তু আবার যে কেউ দেখেই প্রেমে পড়ে যাবে ।
ধুর আমি কি ভাবছি অমানুষ টা আমাকে বেধে কোথায় চলে গেলো ।
এটা বাসর না জেল খানা কিছু বুঝতে পারছিনা ।
আর আমাদের বাসর ঘর টা একদম ওপরের তলায় মানে ব্লিডিং এর শেষে । এখন যদি আমি চিৎকার করি কেউ শুনবেনা কারন আমার শশুর শাশুড়ি সবাই নীচ তলায় থাকে । জানিনা এই অমানুষ টা সব বদ্ধি করে এখানে বাসর ঘর সাজিয়েছে নাকি । অমানুষ টা গেলো তো গেলোই আসেনা কেন আর এই দিকে আমার হাত পা ছিড়ে যাচ্ছে ।
এমন ভাবে বেধেছে যেনো নড়াচড়া করলে আমারই বেশি কষ্ট হয় ।

কিছুক্ষন অমানুষ টা হাতে মদের বোতল আর কি যেনো আর নিয়ে আসছে রুমে ।

আমার পাশে এসে আমার দিকে তাকিয়ে হাঁসতেছে কিন্তু কেন হাসছে জানিনা । এ কি আমার শাড়ী টান দিয়ে খুলে ফেলেছে । অনেক মানা করার পরেও শুনেনা না অমানুষ টা । শাড়ী টা জড়ো করে আগুন ধরিয়ে দিলো কিন্তু কেন আগুন লাগালো বুঝলাম না ।
যতক্ষন শাড়ী টা পুড়তে ছিলো ততোক্ষন আমার হাত ধরে ছিলো । এমন ভাবে হাত ধরে আছে যেনো মনে হচ্ছে মানুষ টা অনেক ভালো কিন্তু সেটা আর বেশিক্ষন থাকলো না । …
বিছানা থেকে উঠে সিগারেট ধরালো যেটা দেখলে আমার সব চেয়ে খারাপ লাগে । এক দিন আমার বাবা সিগারেট খাচ্ছিলো এটা আমি সহ্য করতে পারছিলাম না তাই আব্বুর হাত থেকে সিগারেট কেড়ে নিয়ে আমার মুখে দিয়েছিলাম । মেয়ের এমন ব্যবহার দেখে আমার বাবা আজ পর্যন্ত আর কোনো দিন আর সিগারেট মুখে দেইনি ।
আর সে সিগারেট ধরিয়ে এখন অমানুষ টা আমার মুখে ধোয়া ছাড়ছে ।
হটাৎ করে আমার বুকে সিগারেট চেপে ধরলো আমি ছাড়া পাওয়ার জন্য অনেক আকুতি মিনতি করলাম কিন্তু কিছুই কাজ হলো না । সে সিগারেটের ছ্যাকা দিয়েই যাচ্ছে । খুব কষ্ট হচ্ছে আর খুব কান্না করছি কিন্তু অমানুষ টার একটুও মায়া হচ্ছে না ।

ফারজানাঃ প্লীজ আমাকে ছাড়ুন অনেক কষ্ট হচ্ছে ।
জুনায়েদঃ এই কষ্টে কিছুই হয় না ।
ফারজানাঃ প্লীজ ছাড়ুন অনেক কষ্ট হচ্ছে তো মনে হচ্ছে শরীর টা পুঁড়া যাচ্ছে ।
জুনায়েদঃ এতেই হাপিয়ে গেছিস এই দেখ তো আমার তাহলে কতো কষ্ট হয়েছে ( তার জামার বোতাম ছেড়ে দিয়ে ) ।।

যেই তার জামার খুলে ফেলেছে আর সেটা দেখে অবাক না হয়ে পারলাম না কারন এই অমানুষ টার বুকে সিগাড়েটের আগুনে আমার নাম লেখা আছে । অনেক জাগায় শুধু ফারজানা লেখা । আর লেখা টা দেখেই আমি একদম স্তব্ধ হয়ে যায় । …

এটা দেখে আমি ভয়ে চোখ বন্ধ করে ফেলি । আসলে সে অমানুষ না হলে এভাবে কেউ নিজেকে কষ্ট দেই ।
এবার অমানুষ টা চোখ খুলতে বলে আর হাতে দেখি মদের বোতল । আমাকে কি মদ খাওয়াবে নাকি , আল্লাহ্‌ এই অমানুষ টার হাতে থেকে আমাকে বাছাও প্লীজ ।


হ্যা মনের কথা টায় সত্য হলো এবার জোর করে আমার মুখে মদের বোতল চেপে ধরলো আমি অনেক ছাড়ানোর চেষ্টা করলাম কিন্তু কিছু করতে পারলাম না এই অমানুষ টার শরীরে যে অনেক শক্তি । অনেকক্ষন পরে ছাড়লো , কেমন যেনো মাথা টা ঘুরতেছে । টেবিলের ওপর থেকে কি জন্য নিয়ে আসলো । ওহ এটা ত মলম আর নিয়ে এসে পোড়া জাগায় লাগিয়ে দিচ্ছে । আমার মুখ টা ভালো করে মুছিয়ে দিলো । তারপর পা হাতের বাধন খুলে দিলো কিন্তু আমার উঠে বসার শক্তি টা আর নেই । মনে হচ্ছে পুরা পৃথিবী আমার ওপর ভর করেছে ।
তারপর অমানুষ টা তার বুকে আমার মাথা রেখে আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে । এটা দেখে তারপর সব রাগ চলে গেলো । কেনো জানি তাকে ভালোবাসতে ইচ্ছে করছে । মেয়েরা এমন কেনো তাদের স্বামী তাদের যতোই কষ্ট দিক তারপর যদি একটু ভালোবাসে তাহলে সব কষ্ট ভুলে যায় । আমার সব চিন্তা মিথ্যা বানিয়ে সে কিছুক্ষনের মধ্যে আমার শরীর টা একদম রাক্ষসের মতো ছিড়েফুরে তার ভোগের পন্য বানিয়ে ফেললো ।
।।
অমানুষ টা অনেকক্ষণ আমায় কষ্ট দিলো । আমিও বাধা দিতে পারছিনা । আমার শরীরে এতো জোর নেই যে এই অমানুষ টার সাথে পারবো আর কেমন যানি একটা নেশা নেশা ভাব লাগছে । যতক্ষন জ্ঞ্যান ছিলো ততোক্ষন অমানুষ টা আমার শরীর টা ভোগ করতে ছিলো । …
যখন জাগা পাই ততোক্ষনে সকাল হয়ে গেছে আর জাগা পেয়ে তো আমি অবাক আমাকে একটা সুন্দর নীল শাড়ী পরানো হয়েছে । মনে হয় আমার শাশুড়ি পরিয়েছেন কিন্তু রুমের দোরজা টা তো আটকানো আর অমানুষ টা আমার পাশেই ঘুমাচ্ছে ।


কিছুক্ষন পরে দেখি দোরজায়া কেউ ধাক্কা দিচ্ছে । অনেক কষ্টে বিছানায় থেকে উঠে দোরজা খুলে দেখি আমার পুচকে ননোদ ডাকতে এসেছে ।
বললাম ফ্রেশ হয়ে নিছে যাচ্ছি । ফ্রেশ হয়ে অমানুষ টাকে ডেকে গেলাম ।
ফ্রেশ হয়ে নিছে গেলাম অনেক কষ্ট করে । অমানুষ টা রাতে অনেক কষ্ট দিয়েছে ।
সবার সাথে কথা বলা শেষে যেই আমার মুখে খাবার তুলেছি তক্ষনি অমানুষ টা চিৎকার দিয়ে উঠেছে ।
আর সবাই কেমন যেনো চুপসে গেছে ।
কারোর মুখের আর হাঁসি নেই কেমন যেনো সবাই ভয়ে ভয়ে আছে । …
একটু পর আমার শাশুড়ি আম্মু সাহস করে বললো …


শাশুড়িঃ বাবা কি হয়েছে
জুনায়েদঃ ও নিজের হাতে কেনো খাচ্ছে আমি কেনো আছি …


…… চলবে ………
……
কেমন লাগলো লাইক কমেন্ট করে জানিয়েন ।



গল্পঃ— কালো রাত
লেখকঃ জুনায়েদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here