#গোধূলি_বেলায়
#পর্ব_2
আনন্দি আনুসমির সাথে যোগাযোগ করল প্রায় একসপ্তাহ পর। ফোন করেই জিজ্ঞাসা করল সে আনন্দির সাথে মিট করতে আগ্রহী কি না। আনুসমি কথা না বাড়িয়ে সোজাসোজি বলল,, কবে মিট করতে চান বলুন?
আনন্দি কিছুটা ভেবে বলল,, নেক্সট উইক থেকে তোমাদের সামার ভ্যাকেসন শুরু হবে। আমরা তখনই মিট করি?
– প্রত্যেক সামার ভ্যাকেসনে আমি আর বাবা ট্যুরে যায় সো ওই সময়টা আমি ব্যস্ত থাকি।
আনন্দি চুপ করে থাকল। আনুসমি কি যেন ভাবল খানিকটা সময়। তারপর বলল,, তবে প্রথমের কয়েকটা দিন আমি ফ্রি। চাইলে তখন দেখা করতে পারেন।
– আচ্ছা তাহলে তোমার ভ্যাকেসন শুরুর পরে দিন মিট করি আমরা?
– আচ্ছা কোথায় অাসতে হবে বলুন?
– তোমার কোথাও আসতে হবে না। আমার গাড়ি তোমাকে বাড়ি থেকে নিয়ে আসবে।
– ফর ইওর কাইন্ড ইনফরমেশন আমাদের বাসাতেও কিন্তু গাড়ি আছে।
– তা আছে আমি জানি। কিন্তু তুমি যেহুতু আমার সাথে দেখা করতে আসছ তাই এটা আমার দ্বায়িত্বের মধ্যে পড়ে।
– জীবনে কখন কোন দ্বায়িত আপনি পালন করেছেন যে আজ দ্বায়িত্ব শিখাচ্ছে।
আনন্দি মৃদু হাসল। ফোনের এপার থেকে আনুসমি তা বুঝল কি না কে জানে। তারপর আনন্দি বলল,, সকাল দশটায় আমার গাড়ি পৌছে যাবে তুমি রেডি থেক।
– আচ্ছা রাখছি তাহলে এখন।
– আমার সাথে কি আর একটু কথা বলা যাবে?
আনুসমি কাঠকাঠ গলায় বলল,, না। তারপর খট করে লাইনটা কেটে দিল। আনন্দি ওপর পাশ থেকে শুধু একটা দীর্ঘশ্বাস নিল।
আনন্দির বড্ড দম বন্ধ লাগছে। কেন তার সাথেই শুধু এমনটা হয়? কেন আজ সব থাকতেও ও এই পুরো পৃথিবীটাতে একা। মানুষ বলে সন্তান হল অসময়ের অবলম্বন। মৃত্যু সময় পাশে থাকার একটা দৃড় খুটি। কিন্তু ও তো ওর শেষ সময়ে ওর সন্তানকেও পাশে পাচ্ছে না। এই পুরো পৃথিবীতে কেউ নেয় ওর। আচ্ছা আনন্দির বাবার মৃত্যুর সময় ওকে পাশে পায় নি। এটারই কি প্রতিদান দিচ্ছে ওকে প্রকৃতি। কথায় আছে প্রকৃতি কারও হিসার বাকি রাখে না সবার কর্মফল তার নিজ জীবনে ফেরত দেয়, হয়তো সেজন্যে।
আনন্দি কখনও চায় নি ওর মেয়ের ভাগ্য ওর মতো হোক তাই তো আনুসমিকে ছেড়ে এতোদুরে চলে গেছিল ও। কিন্তু তাই বলে আজ শেষ সময়ে নিজের মেয়েকে কাছে পাবে না এটা মেনে নিতে পারছে না আনন্দি। এটাও হয়তো ওর সাথে থাকা দুর্ভাগ্যের জন্য হচ্ছে।
প্রচন্ড কাঁদতে ইচ্ছা করছে আনন্দির। গলা ফাটিয়ে চিৎকার করে কাদতে ইচ্ছা করছে। কিন্তু ওর কাঁদার বয়স অনেক আগেই পেড়িয়ে গেছে। এবয়সে এসে ওর এভাবে কাঁন্না মানায় না। আনন্দি ওর সব কাঁন্নাগুলোকে হজম করে নিল বুকের মধ্যে। না জানি আরও কত কষ্ট এভাবে চাপা পড়ে আছে ওর বুকে।
রবিবারের দিন সকাল ঠিক দশটায় আনন্দির গাড়িটা এসে থামল ময়ুরাক্ষী নামক বাড়িটার সামনে। এই সুবিশাল বাড়িটাতেই থাকে সমাপ্তরা। আনুসমি বাইরে গাড়িটা দাড়ানো দেখে একবার নিজের হাতের ঘড়ির দিকে তাকালো। মনে মনে আউরালো, বাহ্ পারফেক্ট টাইম সেন্স তো মহিলার। একেবারে দশটাই এসেছে গাড়িটা। আনুসমি গিয়ে গাড়িতে উঠে বসল।
আনুসমিকে নিয়ে গাড়িটা চলতে শুরু করল। অনুসমি লক্ষ করল গাড়িটা শহরের পথ ছাড়িয়ে এক নির্জন নিরিবিলি রাস্তা দিয়ে চলছে। আনুসমির খটকা লাগল গাড়িটা এদিকে যাচ্ছে কেন? এদিকটাই ও কখনও যায় নি। আনুসমি একবার ড্রাইভারকে জিজ্ঞাসা করবে মনে করল এরই মধ্যে ওর ফোনে অনন্দির কল আসল। আনুসমি ফোনটা ধরল প্রায় সাথে সাথে। আনন্দি বলল, কোন প্রশ্ন করবে না। ড্রাইভার যেখানে নিয়ে যাচ্ছে চুপচাপ যাও। আমি অপেক্ষা করছি তোমার জন্য মাই প্রিন্সেস।
– আপনি কি আমাকে কিডন্যাপ করার প্লান করছেন?
আনন্দি হাসল, বেশ শব্দ করে হাসল। তারপর বলল, তোমার হঠাৎ এমন কেন মনে হচ্ছে?
– আপনার এবং আপনার ড্রাইভারের গতিবিধি আমার ঠিক লাগছে না।
– কেন?
– আপনি আমার সাথে কোন রেস্টুরেন্টে বা পার্কে মিট করতে পারতেন যেমনটা আমরা আগের বার করেছিলাম। কিন্তু আপনি আমাকে না বলে অচেনা একটা রাস্তা দিয়ে কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন যেটা আমি চিনি না পর্যন্ত।
এবারও হাসল আনন্দি তবে অতোটা জোরে না। তারপর বলল, তুমি যা মন করছ তেমন কিছু নয়। আমি শুধু তোমার সাথে একান্তে কিছু সময় কাটাতে চাইছি। সেটা শহরের সেই কোলাহলে সম্ভব হতো না তাই একটু নিরিবিলিতে আনা।
– আমি কিন্তু মোটেও আপনার সাথে সময় কাটাতে যাচ্ছি না। আমার কিছু প্রশ্ন আছে অাপনার কাছো শুধু সেগুলোর উত্তর জানতে চাইছি।
– সব হবে আগে এসো তো আমার কাছে আমার পিচ্চি পুতুলটা।
-আপনি আমাকে এসব নামে ডাকবেন না তো এসব নামে আমাকে শুধু আমার বাবা ডাকে।
– আ’ম ওয়েটিং ফর ইউ সোনা। বাই,, বলে ফোনটা কেটে দিল অানন্দি।
আনুসমি জানালা দিয়ে বাইরে তাকলো। মন্দ না, কি সুন্দর প্রকৃতিক পরিবেশ। এর আগে ও ওর বাবার সাথে নানা দেশে ট্রাভেল করেছে কিন্তু কেন যেন মনে হচ্ছে এই জায়গাটা যে কোন ফরেন কান্ট্রির থেকে শতগুনে ভাল। এজন্যেই হয়তো কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখিছিলেন,
বহু দিন ধ’রে বহু ক্রোশ দূরে
বহু ব্যয় করি বহু দেশ ঘুরে
দেখিতে গিয়েছি পর্বতমালা,
দেখিতে গিয়েছি সিন্ধু।
দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া
ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া
একটি ধানের শিষের উপরে
একটি শিশিরবিন্দু।
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (স্ফুলিঙ্গ হতে সংগ্রহীত)
কি সুন্দর রাস্তা, রাস্তার পাশে লাইল করে নানা ধরনের লতানো গাছ । সেগুলো ধুলোতে নোংরা হয়ে আছে কিন্তু তবুও মনে হচ্ছে যেন আলাদা একটা সৌন্দর্য আছে সবকিছুতে। কেন যেন এই নোংরা গ্রামাঞ্চলটাকে আজ ওর ভীষন সুন্দর লাগছে। মনে মনে বলল,, পছন্দ আছে উনার, দেখা করার জন্য এটা মনের মতো জায়গা চুজ করেছেন।
আনুসমি গাড়ি থেকে নেমে দেখল একটা গ্রামের মতো এলাকা। তার একপাশে সগৌরবে দাড়িয়ে আছে একটি বিশাল বাড়ি।বাড়ির নাম “শান্তির নীড়” । আনুসমির বাড়িটা দেখে যেন চোখ ছানাবড়া হয়ে গেছে। গাড়ি থেকে নেমেই একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে বাড়িটির দিকে।
– বাড়িটা তোমার পছন্দ হয়েছে?
একটা নারী কন্ঠ শুনে পাশে তাকালো আনুসমি। দেখল আনন্দি বেশ হাসি হাসি মুখে তার পাশে দাড়িয়ে আছে। আনুসমি কিছু না বলে বাড়ির দিকে হাটা দিল। আনন্দিও গেল পিছু পিছু। মেয়েটা হয়তো এই একটা গুনই ওর মায়ের পেয়েছে। যে কোন অনুভুতিকে মনের মধ্যে দাফন করার অসীম ক্ষমতা। কোন আনন্দ যেমন সে কারও সামনে প্রকাশ করতে পারে না তেমন নিজের কান্নাটাও কারও সামনে প্রকাশ করতে পারে না। মেয়েটাও হয়েছে একই, কখন কি ভাবে বাইরে থেকে বোঝার কোন উপায় নেয়।
আনুুসমি বাড়ির মধ্যে গিয়ে দেখল একটা বয়ষ্ক লোক সোফায় বসে অনেকগুলো পেপার ঘাটাঘাটি করছে। আনুসমি আনন্দির দিকে তাকিয়ে বলল,, ইনি কে?
– বলছি তুমি আগে ফ্রেস হয়ে কিছু খেয়ে নাও। অনেকটা পথ জার্নি করে এসেছ।
আনন্দি একজন মধ্যবয়স্ক মহিলাকে ইশারা করতে তিনি আনুসমিকে নিয়ে গেলেন। আনুসমি বাড়িটা যতো দেখছে ততটাই অবাক হচ্ছে। যেন রাজা মহারাজাদের আমলের কোন বাড়িতে ও এসে পড়েছে। বাড়ির সব আসবাবপত্র গুলো যেন ইউনিক। বাড়িটা যে নিঃসন্দেহ আনুসমির পছন্দ হয়েছে তা বলাই বাহুল্য।
আনুসমি ফ্রেস হয়ে এসে দেখল আনন্দি ঐ বয়ষ্ক লোকটার সাথে কথা বলছে। আনুসমিকে দেখে বলল,, এসে গেছে আমার বাচ্চাটা। খাবার দিতে বলি? কি খাবে তুমি?
আনুসমি একটু ঠোঁট বাকা করে হাসল তারপর বলল, কেমন মা আপনি যে নিজের মেয়ে কি খেতে পছন্দ করে তাও জানেন না?
– আমি সেই সুযোগটা পেলে তোমাকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মা হয়ে দেখিয়ে দিতে পারতাম। যা হোক বাদ দাও। কি খাবে বল?
– থামুন তো। আপনার এই বড় বড় ডাইলোগ আমার সামনে বলবেন না।
এর মধ্যে সেই বয়স্ক লোকটি প্রথম কথা বলল,, নিজের মায়ের সাথে তুমি এ কি ভাবে কথা বলছ আনুসমি।
– আমি এই মহিলার সাথে কিভাবে কথা বলব তা আপানার বলে দিতে হবে না। আমার বাবা আমাকে বড়দের সম্মান করতে শিখিয়েছে তাই আমি আপনার সাথে কোন খারাপ ব্যবহার করতে চাই না। ভাল হবে আপনি আমাদের মধ্যে না আসলে।
আনন্দি চোখের ইশারায় লোকটিকে থামতে বলল। লোকটি আর কিছু বলল না তবে মাথা ঝাকিয়ে বিরবির করে কি যেন বলল তা আনুসমি শুনল না। আনন্দির দিকে তাকিয়ে বলল,, আমি এখন কিছু খাব না।
– সে কি কেন?
– আনুসমি কাঠকাঠ গলায় বলল, সকালে ব্রেকফাস্টের পর আমি একেবারে লাঞ্চ করি। এর মধ্যে আর কিছু খাই না।
আনন্দির মুখ দেখে মনে হল সে বড় আসাহত হয়েছে। তবুও মুখে একটা হাসি টেনে বলল,, বেশ আমি তাহলে খালাকে বলে দিচ্ছি দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা করতে। এখন তুমি এখানে আসো তো।
আনুসমি ধীর পায়ে এসে আনন্দির পাশের সোফায় বসল। তারপর তীক্ষ চোখে আনন্দি আর ঐ লোকটাকে দেখতে লাগল। আনন্দি ঐ লোকটাকে দেখিয়ে দিয়ে বলল, উনি আমাদের ফ্যামিলি উকিল। আমি আমার বাবার কিছু সম্পত্তি পেয়েছিলাম। তাই আমি চাই সেগুলো আমার একমাত্র সন্তানের নামে করে দিতে। তার জন্য উনি এসেছে।
– আমি আপনার কোন সম্পত্তি নিতে আগ্রহী না।
– কেন? তুমি তো আমাকে পছন্দ কর না। আমার সম্পত্তি আবার কি দোষ করল।
– আমি আপনার সম্পত্তি নিলে আমাদের সম্পর্কটা এই সম্পতি কেন্দ্রীক হয়ে যাবে তাই আমি চাই না।
– আমাদের মধ্যে তো কোন সম্পর্কই নেই তোমার মতে। যদিও আমি তোমার জন্মদাত্রী মা, তবুও তুমি তা মানো না। বলে নিজের চোখের দুফোটা পানি মুছে নিল। তারপর বলল,, তবে এটা হলে ক্ষতি কি?
– আমি আপনার সাথে কোন প্রকার সম্পর্ক স্থাপন করতে চাই না আপনি বুঝতে পারছেন না কেন?
আনন্দি আবারও হাসল তারপর আনুসমির দিকে তাকিয়ে বলল,, আমি মারা গেলে আমার সব সম্পত্তি আমার সন্তানের নামে হবে। আর তুমি যেহেতু আমার একমাত্র সন্তান তাই এটার হকদার একমাত্র তুমি। এখন তোমার যা ইচ্ছা করতে পার। তুমি এই সম্পত্তিগুলো কোন চ্যারেটি ট্রাস্ট বা অনাথ আশ্রম বা মসজিদে যে কোন জায়গায় দান করতে পার। এতো যদি তোমার কাছে আমার একটু হলেও পাপ কমে।
আনুসমি কিছু বলল। আসলে ওর এখন কি বলা উচিত ও বুঝতে পারছে না। এমনিতে তো কারও সামনে ওর কথার অভাব পড়ে না কিন্তু আজ এই মহিলার কথার উত্তরে ও কি বলবে খুজে পেল না। অনেকক্ষণ ধরে ভাবল কিন্তু কিছুই খুজে পেল না।
এর মধ্যে আনন্দি সেই পেপারগুলো আনুসমির সামনে ধরলে সে বিনা বাক্য বায়ে সই করে দিল। সই করার পরে ওর হঠাৎ মনে হল এটা ও কি করল। কেন করল ও সইটা? কেন বলল না আমি করব না?
কোন জবাব পেল না এগুলোর। ও এক ধ্যানে ভাবতে লাগল কি হয়ে গেল হঠাৎ করে ওর। ও কি মা নামক এই মহিলাটার উপর দুর্বল হয়ে গেল? এতোদিন ধরে জমিয়ে রাখা রাগ আর ঘৃণা গুলো কি আজ এক নিমিসে নিঃশেষ হয়ে গেল? কিন্তু কোন উত্তর পেল না। ও চাইলো রাগ করতে, রাগ করে কিছু কড়া কথা শুনিয়ে দিতে কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে তা আর পারল না।
সব কাগজ পত্রে সই শেষ হলে ওই লোকটা চলে যায়। আনুসমি ঘড়িতে তাকিয়ে দেখল ওর দুপুরে খাওয়ার সময় হয়ে গেছে। আনন্দি আনুসমির দিকে তাকিয়ে বলল, খেতে চল। খাবার রেডি।
আনুসমি টেবিলের সামনে এসে আরও অবাক হয়ে যায়, টেবিল ভর্তি সব ওর পছন্দের খাবার। একটু আগে ওর পছন্দ অপছন্দ জানে না বলে ও আনন্দিকে কতোগুোলো কথা শুনালো অথচ এখনই দেখে টেবিল ভর্তি ওর পছন্দের খাবার। আনুসমি আনন্দির দিকে তাকিয়ে বলল,, আপনি কি করে জানলে এগুলো আমার পছন্দের খাবার?
– ছোটতে তুমি এগুলো খেতে পছন্দ করতে। জানি না এখন তোমার পছন্দ অপছন্দ গুলো পাল্টিয়েছে কিনা। তবুও সেগুলোই রান্না করেছি। যদি তোমার ভাল লাগে।
– ধন্যবাদ, এগুলো সব আমার পছন্দের খাবার। আর আমার পছন্দ আপনার মতো খনিকে খনিকে বদলে যায় না। কিন্তু এতোদিনেও আপনার এগুলো মনে আছে?
আনন্দি হেসে বলল, সন্তানের কোন কিছুই মায়েরা ভুলতে পারে না। আমার এখনও মনে আছে তুমি যখন প্রথম আমার কোলে এসেছিলে তারপর থেকে তোমার সাথে কাটানো সব কথা। বস আমি আজ তোমাকে নিজ হাতে খাইয়ে দেব।
আনুসমি না করতে গিয়ে থেমে গেল। ওর বাবা বলেছিল আনন্দি ওর মা, উনার কিছু শখ আহ্লাদ থাকতে পারে আনুসমিকে নিয়ে। আনুসমি যেন সেগুলো পুরন করে। তাই অনুসমি আর কোন প্রতিবাদ না করে চেয়ার টেনে বসে পড়ল।
আনন্দির যেন বিশ্বাস হচ্ছে না তার মেয়ে কোন প্রতিবাদ ছাড়ায় ওর হাতে খেতে রাজি হয়ে গেছে। সেও খুশিতে একপ্রকার লাফাতে লাফাতে খাইয়ে দিতে লাগল আনুসমিকে।
চলবে,,,
জাকিয়া সুলতানা