#গোধূলী_বেলার_স্মৃতি (Unexpected Story)
#পর্ব-৩০
#Jannatul_ferdosi_rimi (লেখিকা)
—“কাজল আই নিড ইউ। তোকে এখন আমার খুব করে প্রয়োজন। এখুনি দেখা করতে চাই। আমি গাড়ি নিয়ে ওয়েট করছি। তাড়াতাড়ি চলে আয়। ”
আমি মৃদ্যু হাঁসলাম ছোট সাহেবের
মেসেজ দেখে। সত্যি ছোটসাহেব ও পারেন। এখনোও সন্ধ্যে হয়নি। সাড়ে পাঁচটা হয়নি এখনো। বাবা চলে আসার আগে, আমাকে তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে আসতে হবে। মাথায় ওড়না পেঁচিয়ে নিলাম। যাতে কেউ না দেখে। লুকিয়ে লুকিয়ে প্রেমের সত্যি আলাদা একটা মজা আছে। কথাটা ভেবে-ই’
আমি বাড়ির বাইরে বের হতে-ই’ ছোট সাহেবের দিকে আমার নজর যায়। ব্লাক কটন শার্ট পড়ে আছেন।
দেখে বুঝা-ই’ যাচ্ছে অফিস করে-ই’ সরাসরি এখানে চলে এসেছেন। আমি উনার দিকে আরেকটু এগিয়ে গেলাম। ঘেমে একাকার হয়ে গিয়েছেন। বরাবরের মতো চুলগুলো কপালে লেপ্টে রয়েছে। উনার দিকে নজর সরছে-ই’ নাহ।
ছোটসাহেব আমাকে দেখে ক্লান্তমাখা হাঁসি দিলেন।
আমি বলে উঠলাম,
—“আপনাকে দেখে ক্লান্ত মনে হচ্ছে ছোটসাহেব। ”
উনি চুলগুলো সাইডে সরিয়ে বললেন,
—“অফিসে কাজের যা প্রেশার পড়েছে। তোকে ঠিক বলে বুঝাতে পারবো নাহ। কালকে-ই’ তো আমাকে বেড়িয়ে পড়তে হবে প্রযেক্টের উদ্দেশ্যে। ”
আমি নিজের ওড়না বের করে উনার ঘামটুকু মুছিয়ে দিয়ে, উনার গাড়ি থেকে বোতল বের করে উনার হাত ধরিয়ে দিলাম।
—-“পানি টুকু খাওয়ার সময় নেই। অথচ আমার সাথে দেখা করার ঠিক সময় আছে আপনার। ”
ছোটসাহেব আমার কথা শুনে হেঁসে বললো,
—-“জানেমান কি করবো বল? তোকে দেখার জন্যে আমার মনটা যে সবসময় উতলা হয়ে উঠে। তোর মায়াবী মুখখানায় একটিবার তাঁকালে-ই’ আমার সকল ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। ”
—–“আহা রাফসিন শেখ রুদ্রিকের কবি কবি ভাব। ”
উনি কিছুটা ঠাট্টার ছলে বললেন,
—-“প্রেমের জন্যে মানুষ কত কি হয় বলতো? কেউ হয় দেবদাস আবার কেউ হয়ে উঠে আমার মতো কবি। ”
—-“তা কবি সাহেব আমাকে যদি কৃতার্থ হয়ে বলিবেন হঠাৎ আমাকে ডেকে পাঠালেন যে? ”
—“অবশ্য-ই’ আপনাকে বলিবো। তার আগে চলুন সামনের দিকটায়। ”
কথাটি বলে-ই’ ছোট সাহেব আমার হাত ধরে সামনের দিকে হাটতে লাগলেন। রাস্তায় তেমন লোক নেই। আমাদের বাড়িটা কিছুটা নির্জন হওয়ায়,লোক এখানে তেমন দেখা যায়না। বাড়ির পিছনে ছোট্ট একটি নদী বয়ে যায়।
আমি একেঅপরের হাত ধরে পুকুরের পাশে বেঞ্চে তে বসে পড়লাম।
সে এক বিদায়বেলা সূর্য ডোবার পালা দিনের সব কিছু শেষে সবচেয়ে ভাল মুহূর্ত হল পুকুরের পাড়ে সূর্যাস্ত দেখা। যাকে বলে গোধূলীর বেলা। নদীর সেই মন ভোলানো দৃশ্য সহজে কোন মানুষ কে দুর্বল করতে পারে।
——“কি সুন্দর দৃশ্য কাজল। মনটা-ই’ ভালো হয়ে উঠে। ”
—-“সুবর্ণরেখাতে সূর্যাস্ত দেখার এই অনুভূতির সাথে অন্যকিছুর সত্যিই কোন তুলনা হয়না। ”
ছোট সাহেব কিছুটা হতাশার সুরে বললেন,
—-“এই এক সপ্তাহ আমার কীভাবে কাটবে জানিনা। যেখানে তোকে নিজের চোখের আড়াল করে-ই’ মনে হয় তোকে হারিয়ে ফেলেছি। তোকে হারিয়ে ফেলার তীব্র ভয় আমার ভিতরে সবসময় কাজ করে। হয়তো ভালোবাসি বলে। ”
আমি উনার কাঁধে মাথা দিয়ে বললাম,
—-“আমাকে ভালোবাসেন বলে-ই নিজের ভালোবাসার উপর ভরসা রাখুন। ভালোবাসায় ভরসার জায়গাটা সব থেকে বড় গুরুত্বপূর্ণ। আপনার কাজল শুধুমাত্র আপনার হয়ে-ই’ থাকবে। এইটুকু ভরসা রাখুন ছোটসাহেব। ”
ছোটসাহেব আমার নিজের থেকে ছাড়িয়ে,কিছুটা
বিরক্তি হয়ে বললেন,
—–“সবকিছু-ই’ ঠিক আছে,কিন্তু এখন যেহুতু আমরা প্রেম করছি সো এখন আমি তোর কোনো ছোটসাহেব নাহ বুঝেছিস? আমাকে রুদ্রিক বলে ডাকবি। ”
–‘না ‘ বলে আমি উঠে দাঁড়ালাম।
ছোট সাহেব ও উঠে দাঁড়িয়ে বললেন,
—-“কি হলো? ”
আমি মুখটা বেঁকিয়ে বললাম,
—“আপনি আমার ছোটসাহেব। তাই আপনাকে ছোটসাহেব বলে-ই’ ডাকবো হুহ। ”
উনি ধমকে বললেন,
—-“আমার মুখের উপর কথা বলিস তুই? এই রাফসিন শেখ রুদ্রিকের মুখের উপর কথা বলার সাহস কোথা থেকে পাস তুই? ”
আমি অবাক হয়ে বললেন,
—“ছোটসাহেব আপনি আবার আগের মতো থ্রেট দিচ্ছেন? ”
উনি বাঁকা হেঁসে বলে,
—-“জানেমান তুমি যদি সোজা পথে না হাটো তাহলে আমাকে তো আগের রুদ্রিক হয়ে-ই’ যেতে-ই’ হবে।”
আমিও নাছরবান্দা হয়ে বললাম,
—“বলবো নাহ। ”
—–“আমিও রাফসিন শেখ রুদ্রিক তোর মুখ থেকে রুদ্রিক ডাক বের করে-ই’ ছাড়বো। ”
কথাটি উনি আমার কোমড় চেপে ধরে আমার ঠোট ছোট্ট করে কামড় বসিয়ে দেন। আমি ‘আহ ‘ করে উঠি।
উনি বাঁকা হেঁসে বললেন,
—“আরো কয়েকটা লাভ বাইট লাগবে জান? ”
আমি ঠোটে হাত বুলিয়ে কিছুটা রাগান্বিত সুরে বললাম,
—-“আমার ঠোটের বারোটা বাজিয়ে বলছে লাভ বাইট হুহ। ”
—-“যদি নিজের ঠোটের তোরেটা না বাজাতে চাস,তাহলে তাড়াতাড়ি রুদ্রিক বলে ডেকে ফেল। ”
—-” অসভ্য লোক। বলবো নাহ হুহ। ”
কথাটি বলে-ই’ আমি দৌড় দিলাম। নাহলে উনি কি করতেন আল্লাহ-ই’ জানে। রুদ্রিক হেঁসে উঠে।
আমি পিছনে তাঁকিয়ে ছোটসাহেব বাঁকা দাঁতের হাঁসিখানা দেখে নিলাম। কি অসাধারন প্রানবন্ত হাঁসি তার। এই লোকটা আমাকে ভালোবাসে ভাবতে-ই’ শরীরে আলাদা শিহরন বয়ে যায়।
________
রুদ্রিক আজকে শেখ অফিসে এসেছে। তার পিপির সাথে দেখা করতে। আফজাল শেখ নিজের ছেলেকে দেখে কিছুটা খুশি হয়ে এগিয়ে গিয়ে বললেন,
—-“রুদ্রিক হঠাৎ তুমি অফিসে এসেছো যে….
আফজালের কথা শেষ হওয়ার আগে-ই’ রুদ্রিক তাকে এভোয়েড করে চলে যায়। এতে আফজাল শেখ কিছুটা ব্যাথিত হয়।
রুদ্রিক ইশানি শেখের রুমে গিয়ে বললেন,
—“পিপি আসবো? ”
রুদ্রিককে দেখে ইশানি শেখে হেঁসে বললেন,
—“রুদ্রিক আমার বাচ্ছাটা হঠাৎ কি মনে করে? ”
ইশানি শেখের কথায় রুদ্রিক বলল,
—“পিপি আসলে আজকে আমি এক সপ্তাহের জন্যে জন্যে ভার্সিটির একটা ট্রিপে যাচ্ছি। ”
(রুদ্রিক ভাই মিথ্যে কথা বলো কেন পিপিকে 😤)
রুদ্রিকের কথায় ইশানি খুশি হলো। এই তো সুযোগ। রুদ্রিক নেই এই সুযোগে ইশানি নিজের কাজটা করে নিবে।
—-“ওকে আমার বাচ্ছাটা টাকা লাগবে তাইতো ওকে আমি দিচ্ছি।”
—“নাহ পিপি আমার টাকা লাগবে নাহ। আমি জাস্ট তোমাকে জানাতে এসেছিলাম। আমি তো থাকবো নাহ। তুমি যদি কাজলের বাবার সাথে আমাদের বিয়ের কথা বলে নিতে তাহলে ভালো হতো। ”
ইশানি শেখ রুদ্রিকের কাছে এগিয়ে গিয়ে বলল,
—“রুদ্রিক আমার বাচ্ছাটা তুমি নিশ্চিন্তে নিজের ট্রিপে যাও। আমি ভেবেছিলাম আজকে-ই’ কাজলের বাবার সাথে কথা বলবো। ”
রুদ্রিক ইশানিকে জড়িয়ে ধরে বলে,
—“তোমাকে কি বলে থ্যাংকস জানাবো আমি জানিনা,বাট ইউ আর দ্যা বেস্ট পিপি। লাভ ইউ। ”
—-“লাভ ইউ টু। ”
—-“ওকে আমার এখন গাড়িতে উঠে যাওয়ার সময় হয়ে যাচ্ছে। আই হেভ টু গো। ওকে বায় পিপি। ”
ইশানি শেখ মিষ্ট হেঁসে বললেন,
—-“টেক কেয়ার মাই চাইল্ড।”
রুদ্রিক বেড়িয়ে যায়।
আফজাল শেখ বের হয়ে মতিউর রাহমানের কাছে গিয়ে বলে উঠে,
—-“মতিউর তোমার নাকি কয়দিনের জন্যে ছুটি লাগবে?”
মতিউর রাহমান (কাজলের বাবা) বলে উঠেন,
—“বড় সাহেব আসলে আমি আমার কাজলের জন্যে বিয়ে ঠিক করেছি। ছেলে ভালো একটা কম্পানিতে চাকরী করে। ফ্যামেলিও অনেক ভালো। আমি চাইছি খুব তাড়াতাড়ি আমার মেয়েটার বিয়ে দিতে। তাই আর কি কয়েকটা ব্যস্ত থাকবো আসতে পারবো নাহ। এইরকম একটা ভালো ছেলে আমার মতো ড্রাইভারের মেয়েকে বিয়ে করতে চেয়েছে এর থেকে ভালো আর কি হতে পারে বলুন ছোটসাহেব?”
আজফাল শেখ বললেন,
—“এইভাবে বলো না মতিউর। আমাদের কাজল যথেষ্ট গুনবতী এবং লক্ষী মেয়ে। তাকে যে কেউ নিজের বাড়ির বউ করতে চাইবে। তুমি বরং ছুটি নাও কয়েকদিন এর জন্যে।
আফজাল শেখের কথার মাঝে-ই’ ইশানি শেখ এসে বললেন,
।—-“মতিউর তোমার সাথে আমার কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা আছে। আমার কেবিনের ভিতরে এসো। ”
মতিউর শেখ মাথা নাড়িয়ে ইশানির শেখের কেবিনে চলে গেলেন।
মনটা আজ ভিষন খারাপ। ছোটসাহেব আজকে চলে যাবেন ঢাকার বাইরে। সদর দরজার পাশে দাঁড়িয়ে আছি। উদ্দেশ্য একটিবার ছোটসাহেবকে চোখের দেখা দেখতে পাওয়া। আমার প্রতিক্ষার অবশান ঘটিয়ে চলে এলেন। উনি গাড়ি থেকে বেড়িয়ে এলেন। সাদা শার্টে ফরমাল ড্রেসাপে ধারুন মানিয়েছে। আমার ছলছলে চোখে উনার দিকে তাঁকিয়ে রইলাম।
(লেখিকা -রিমি)
রুদ্রিক কাজলের দিকে তাঁকালো। মনে হচ্ছে এখুনি কেঁদে দিবে। রুদ্রিক কিছু না ভেবে কাজলের দিকে এগিয়ে গিয়ে, কাজলের হাতজোড়া ধরে বলে উঠলো,
—“আমি খুব তাড়াতাড়ি ফিরে আসবো ততদিন নিজের খেয়াল রাখবি ওকে? ”
আমি কোনোরকম মাথা নাড়ালাম। ছোট সাহেব আমার চোখের জল মুছে দিয়ে বললেন,
—“একদম কাঁদবি না। তোর কান্না আমার সহ্য হয়না
বুঝিস না কেন? ”
–“আমি একদম কাঁদছি না। “(কান্নার সুরে বললাম)
ছোট সাহেব কিছুটা থেমে মিহি কন্ঠে বললেন,
—” কাজল তুই কালকে বলছিলি না? সম্পর্কে ভরসার জায়গাটা সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ? একটা কথায় সবসময় মনে রাখবি, যেকোনো কঠিন পরিস্হিতিতে সবসময় স্ট্রং থাকবি। সবসময় মনে রাখবি তোর রুদ্রিক সবসময় তোর সাথে আছে। আমাদের ভালোবাসাকে আগলে রাখার জন্যে সবকিছু করতে পারে তোর রুদ্রিক। শুধু তুই ভেঙে পড়বি না। আমার উপর শুধু ভরসা রাখবি। ভালোবাসি। ”
কথাটি বলে-ই’ রুদ্রিক কাজলের কপালে গভীর ভালোবাসার স্পর্শ একেঁ দিয়ে, গাড়ির দিকে এগিয়ে গেলো।
ছোটসাহেবের কথাগুলো শুনে কেমন যেনো লাগছিলো। উনি কী কিছু বুঝাতে চাইছিলেন। আপাতত সেসব বিষয় মাথা না ঘামিয়ে আমি আলতো সুরে বলে উঠলাম,
—“নিজের খেয়াল রাখবেন। ভালোবাসি রুদ্রিক। ”
কাজলের মুখে ‘রুদ্রিক ‘ নাম শুনে রুদ্রিকের মুখে হাঁসি ফুটে উঠলো।
রুদ্রিক গাড়িতে বসে গাড়ি স্টার্ট দিলো। অনেক কাজ আছে তার। কিছু একটা ভেবে সে রহস্যময় হাঁসি দিলো।
ছোটসাহেবের গাড়ি চোখের আড়াল হতে-ই’ আমার চোখ বেয়ে নোনাজল গড়িয়ে পড়লো।
#গোধূলী_বেলার_স্মৃতি (Unexpected Story)
#পর্ব-৩১ (বিবাহ বিভ্রাট)
#Jannatul_ferdosi_rimi (লেখিকা)
–“শুভ্ররাঙাপরী কি জানে? তার মায়াবী মুখখানা না দেখতে পেয়ে তার রুদ্রিকে হাল বেহাল হয়ে যাচ্ছে।”
সে কি জানে? তার রুদ্রিকের বুকের ভিতরে জমে থাকা ভালোবাসার অগ্নিশিখা দাও দাও করে জ্বলছে শুধুমাত্র তার প্রিয়তমাকে দেখার প্রয়াশে। রুদ্রিকের চোখে আজ অজস্র তৃষ্ণা শুধুমাত্র তার প্রিয়তমাকে ঘিরে। উদ্দেশ্য একটিবার চোখের দেখার দেখতে পাওয়া। ”
রুদ্রিকের কথা শুনে লজ্জায় আমার গালদুটো যেনো লাল হয়ে যাচ্ছে। ফোনের ওইপাশ থেকে রুদ্রিক কিছুটা নেশাক্ত কন্ঠে বলে উঠে,
–“আমি জানি কাজল এখন তোমার লাল টকটকে গোলাপের মতো গালগুলো লজ্জায় লালা আভা ধারণ করেছে। আয়নার সামনে নিজেকে একপলক তাঁকিয়ে দেখো তোমার রুপের প্রতিটা কণা যেনো আয়নায় খুব নিখুঁতভাবে ধরা দিচ্ছে। ”
ছোটসাহেবের মুখে ‘তুমি ‘ ডাকটি শুনে আমার মনে ভালোবাসার সুর বয়ে গেলো। আমি আয়নায় না তাঁকিয়ে-ই’ বললাম,
—“রুদ্রিক থাকতে তার ‘শুভ্ররাঙাপরীকে ‘আয়না দেখতে হয়না। রুদ্রিকের শুভ্ররাঙাপরীর রুপকে আয়নার থেকেও নিখুঁতভাবে বর্ননা করার ক্ষমতা রাখেন আপনি রুদ্রিক সাহেব। ”
রুদ্রিক হাঁসে। যাকে বলে মন ভোলানো হাঁসি। সেই হাঁসির শব্দে আমার কানে বেঁজে চলেছে।
তনয় আজ ঠিক করেছে সে সিলেটে ফিরে যাবে। সে অনুযায়ী সে নিজের সবকিছু প্যাক করে ফেলেছে।
কাজলরেখা তো তাকে এখন চায়না। কাজলরেখা তো রুদ্রিককে ভালোবাসে,তাহলে সে কেনো শুধু শুধু
কেনো কাজলের ভালোবাসার মাঝখানে বাঁধা হয়ে দাঁড়াবে?
নিতিয়া শুধু দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সবকিছু দেখে যাচ্ছে।
সে জানে তার তনয়ের ভাইয়ের সবকিছু মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে,কিন্তু কি আর করার? সময়ের সাথে সাথে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে কথাটি ভেবে-ই’ নিতিয়া এগিয়ে এসে বলে,
—“ভাইয়া আমাদের বাস চলে আসবে চলো। ”
তনয় নিজের কাঁধের ব্যাগটা নিয়ে বলে,
—“চল। ”
কথাটি বলে তনয় বেড়িয়ে যাবে তখনি মতিউর রাহমান বাড়িতে ঢুকে বলে,
–“তনয় বাবা তোমরা কোথায় যাচ্ছো?
—-“সিলেটে চলে যাচ্ছি। মিঃ রুদ্রিক এবং কাজল একেঅপরকে ভালোবাসে,আপনি নিশ্চই শুনেছেন।তাহলে শুধু শুধু আমরা এখানে থাকবো বা-ই’ কেন?”
নিতিয়ার কথা শুনে মতিউর রাহমান গম্ভীর সুরে বললেন,
—-“সবকিছু-ই’ আমি শুনেছি। আমার মেয়ে ছেলেমানুষি করছে।বাবা হয়ে নিজের মেয়ের ছেলেমানুষিকে প্রশ্রয় দেওয়ার কোনো মানে-ই’ হয়না। ”
তনয় বলে উঠে,
—“এইসব কি বলছেন আংকেল? কাজলের ভালোবাসাকে অন্তত ছেলে-মানুষির সাথে তুলনা করে, কাজলের ভালোবাসাকে ছোট করবে নাহ। ”
কাজলের বাবা এইবার কিছুটা অসহায় কন্ঠে বললেন,
—- আফজাল শেখ আমার বড় সাহেব হওয়া পর্যন্ত ঠিক আছে,কিন্তু বেয়াই হওয়াটা একেবারে-ই’ অসম্ভব। আফজাল শেখের সাথে আমার মালিক এবং সামান্য কর্মচারীর সম্পর্কে। আমি জানি নিজের সীমার বাইরে কোনো কিছু-ই’ ভালো নয়। আমি নিজের সীমা লঙ্গন করতে চাইনা। ”
—-“কিন্তু আংকেল….
তনয়ের কথার মাঝে-ই’ মতিউর রাহমান বললেন,
“আমি বাস্তবতাকে খুব কাছ থেকে দেখেছি তনয় বাবা। বাস্তবতা খুব কঠিন। আমার মেয়েটা এখনো পুরোপুরিভাবে বাস্তবতাকে চিনতে পারেনি। ছোটসাহেব আমার মেয়েকে কিছুতে-ই’ ভালোবাসতে পারেনা। ছোটসাহেব বড়লোকের ছেলে হওয়া সুবাধে
নানারকম মেয়েদের সাথে টাইম পাস করে,হয়তো আমার মেয়েকেও সে টাইম পাসের বস্তু মনে করেছে।কিন্তু বাবা হয়ে নিজের মেয়েকে টাইম পাসের বস্তু হতে কীভাবে হতে দেই?
(লেখিকাঃ জান্নাতুল ফেরদৌসি রিমি)
তাছাড়াও আমার মেয়ের সুপাত্র হিসেবে তনয় তুমি একদম ঠিক আছো। আমার মেয়ের এই ছেলেমানুষীকে আর প্রশ্রয় দিলে বিরাট বড় ক্ষতি হয়ে যাবে,তাই আমি চাইছি কালকের মধ্যে-ই’ তোমার এবং কাজলের কাবিন টা সেরে ফেলতে। তারপর না হয় তোমার বাবা-মাকে নিয়ে বড় করে বিয়ের অনুষ্টান করবো।
তনয় চমকে গিয়ে বলে,
—-” বিয়ের কাবিন তাও কালকে? ”
—“হুম। ”
—“কিন্তু আমি জানি কাজলরেখা রুদ্রিককে ভালোবাসে। কাজলরেখা কিছুতে-ই’ রাজি হবে নাহ।”
—-“আমি কাজলকে রাজি করাবো। ”
মতিউরের কথা শুনে তনয় মাথা নিচু করে বলে,
—-“ক্ষমা করবেন আংকেল। কাজলের অনুমতি ব্যতিত এই বিয়ে সম্ভব নয়। ”
মতিউর রাহমান তনয়ের হাত ধরে বলে,
—“আমাকে এইভাবে আশাহত করো নাহ তনয়। তুমি তো বুঝতে পারছো কী হতে পারে? তুমি কী জানো ছোটসাহেবের সাথে আরেকটি বড় বিসনেজম্যান ইকবাল শেখের মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়েছে? সামনের মাসে তাদের এন্গেজমেন্ট।”
—-“ওয়াট? ” (তনয় বলল)
—“ছোটসাহেব আমাকে মেয়েকে ব্যবহার করেছে।
শেষে শুধু আমার মেয়েটা-ই’ কষ্ট হবে। তাই সময় থাকতে আমাদের এইসব কিছু আটকাতে হবে। অনেক আশা নিয়ে এসেছি তোমার কাছে। আমাকে তুমি ফিরিয়ে দিও নাহ বাবা। ”
মতিউর রাহমানের অসহয় মুখের দিকে তাঁকিয়ে
তনয় মাথা নাড়িয়ে ‘হ্যা’ বলে। মতিউর রাহমান নিশ্চিন্ত হয়।
এদিকে,
রুদ্রিক নিজের হাঁসি থামিয়ে বললো,
—-“আচ্ছা আমাদের বিয়ের পর বাসররাতের প্ল্যান কী হবে? ”
উনার এইরকম উদ্ভুট প্রশ্নে আমি খানিক্টা মেকি রাগ দেখিয়ে বললাম,
—“সবসময় আপনার শুধু দুষ্টুমি দূর ভালো লাগে নাহ। কখন না কখন বিয়ে হবে তার ঠিক নেই আর আপনি আছেন নিজের বাসর রাত নিয়ে। ”
উনি নিশব্দে হেঁসে কিছুটা আস্তে করে বললেন,
—-” সবকিছু-ই’ ভাগ্য কাজল । কখন কি হয়ে কে কি বলতে পারে বল? জীবন তো অদ্ভুদ। জীবন মুহুর্তে-ই’ নিজের গতি পরিবর্তন করতে পারে।
রুদ্রিকের এই কথাটা আমার কানে লাগলো খুব করে। আমি কিছু বলবো তার আগে-ই’ রুদ্রিক বলে উঠে,
—“কাজল আমার খুব ইচ্ছে আমাদের যখন বিয়ে হবে,তখন আমাদের বাসররাতে তুই ঠোটে ঘাড়ো করে লিপ্সটিক পড়বি সাথে সেই শুভ্র রংয়ের শাড়ি। তোর লাল টকটকে গালগুলোর সাথে একদম মানাবে।
চোখে একদম কাজল দিবি নাহ। সৃষ্টিকর্তা মনে হয় অনেক সুন্দর করে যত্নসহকারে তোর চোখে সৃষ্টি করেছে। তাই তোর আখিজোড়ায় কাজল পড়ার প্রয়োজনীয়তা নেই। ”
আমি নিজের চোখগুলো বন্ধ করে শুধু অনুভব করছি।
রুদ্রিক আরো কিছু বলতে যাবে তার আগে-ই’ একজন স্টাফ রুমে এসে বলে,
—“স্যার আপনার খাবার টা। ”
রুদ্রিক বলে উঠে,
—“আপনি রেখে যান। ”
কাজল ফোনের ওইপাশ থেকে শাসনের সুরে বলে উঠে,
—“আপনি এখনো নিজের খাবার খাননি? এতো অনিয়ম করলে কীভাবে হয়? না খেয়ে কথা বলে যাচ্ছেন? ”
—“তোকে ফোন না করে ইনফর্ম না করলে তো
তুই টেনশনে করতে করতে নাজেহাল হয়ে যেতি।
রুদ্রিক বিকাল বেলাতে-ই’ চট্টগ্রামে পৌছে গিয়েছে।
আপাতত রুদ্রিক একটি ফাইভ স্টার হোটেলে উঠেছে।
চট্টগ্রামের এসএস কম্পানির সাথে-ই’ আজ রাতে-ই’ তাদের মিটিং আছে।
আমি বলে উঠলাম,
—-“আপনার মিটিং কখন? ”
—-“আজ রাতের দিকে। মিটিংয়ের দায়িত্ব আমার হাতে একবার মিটিংটা সাকসেসফুল হয়ে গেলে আমাদের কম্পানি বিরাট বড় একটা ওর্ডার পাবে।”
—-“যেহুতু রাফসিন শেখ রুদ্রিক মিটিংয়ের দায়িত্বে আছে। তাহলে নিশ্চই সাকসেসফুল হবে। কিন্তু আপনি নিজের টাইম টু টাইম খাবার খেয়ে নিবেন।”
রুদ্রিক বলে উঠে,
—“ম্যাম আপনি একদম চিন্তা করবেন না। আমি ঠিক মতো খেয়ে নিবো। ”
আমি আরো কিছু বলতে যাবো তখনি আমার রুমে প্রবেশ করেন।
—“রুদ্রিক বাবা এসেছে। আমি রাখছি বায়। অল দ্যা বেস্টা। ”
রুদ্রিক মু্ঁচকি হেঁসে বলে,
—“ওকে বায়। ”
কথাটি বলে আমি ফোন কেটে দেই।
বাবা আমার কাছে এগিয়ে এসে বললেন,
—“কার সাথে কথা বলছিলি তুই নিশ্চই ছোট সাহেবের সাথে? ”
—-“হুম। ”
বাবা রাগে চিৎকার করে বললেন,
—-“তুই কী রুদ্রিককে ভালোবাসিস? ”
বাবার চিৎকারে মা ও ছুটকি ছুটে চলে আসে।
আমি মাথা নিচু করে বলে উঠি,
—-“হ্যা আমি ছোটসাহেবকে ভালোবাসি। ”
—-“তোর একটিবার কথা বলতে মুখে আটাকালো নাহ। শেষে কিনা মালিকের ছেলের সাথে প্রেম? ছিহ কাজল ছিহ। তুই কি ভাবতে পারছিস? ছোটসাহেব তোকে ব্যবহার করছে দিনের পর দিন।”
—-“বাবা তুমি আর যাই বলো ছোটসাহেবের ভালোবাসাটাক ছোট করো নাহ। উনি যেমন-ই’ হোক নিজের ভালোবাসাকে যথাযথ মর্যাদা দিতে জানে উনি। ”
—-“নিজের বাবা-মায়ের সামনে ভালোবাসার কথা বলছিস? একটুও কী লজ্জা নেই তোর?”
আমি কটাক্ষ করে উত্তর দিয়ে বললাম,
—-“ভালোবাসা খুব পবিত্র বাবা। আমার কিসের লজ্জা থাকবে? আমি তো লজ্জা করার মতো কিছু করেনি। ভালোবেসেছি অন্যায় করেনি। ”
সঙ্গে সঙ্গে বাবা নিজের সর্বশক্তি দিয়ে আমার গালে চর বসিয়ে দেন। আমি ছিটকে মাটিতে বসে পড়ি। বাবার চরের তীব্রতা এতোটা-ই’ ছিলো যে, আমার ঠোট বেয়ে রক্ত গড়িয়ে পড়ছে।
বাবা দ্বিগুন চিৎকার করে বললেন,
—“তোকে স্বাধীনতা দিয়েছিলাম বলে আজ তোর এই পতন ঘটেছে। বাবা হিসেবে তা আমি মেনে কীভাবে নিবো? আমি এখন এই ভুল আর করবো নাহ। কাজলের মা তোমার মেয়েকে প্রস্তত হতে বলো। কালকে তনয়ের সাথে তোমার মেয়ের কালকে বিয়ে। এই বিয়ে তোমার মেয়েকে যেকোনো মূল্যে করতে-ই’ হবে। কথাটি যেনো কানে ভালো করে ঢুকিয়ে নেয়।
(লেখিকাঃ জান্নাতুল ফেরদৌসি রিমি)
বাবার কথা শুনে আমি একপ্রকার স্তব্ধ হয়ে গেলাম। কালকে আমার বিয়ে?
কথাটি বলে কাজলের বাবা গটগট করে রুম থেকে বেড়িয়ে গেলেন। কাজলের মা ও তার পিছনে ছুটতে শুরু করলেন।
চলে যাওয়ার আগে কাজলের বাবা রুমের দরজা বন্ধ করে দিয়ে যায়।
কাজলের সাথে তনয়ের বিয়ে কথাটি শুনে ছুটকির বুকের ভিতর কেমন যেনো করে উঠলো। তার কেনো যেনো মানতে কষ্ট হচ্ছে তনয় ভাইয়ের সাথে কাল তার আপাইয়ের কথাটি ভেবে ছুটকি ও দৌড়ে গিয়ে তার রুমের দরজা বন্ধ করে দেয়। তার কেনো যেনো খুব কান্না পাচ্ছে।
কাজলের বাবা বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছেন।
কাজলের মা কাজলের বাবার কাঁধে হাত রেখে বললেন,
—“মেয়েটা বোধহয় ছোটসাহেবকে সত্যি ভালোবাসে। তুমি মেয়েটাকে এইভাবে ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়েটা না দিলেও পারতে। ”
কাজলের বাবা তার স্ত্রীর দিকে ছলছল চোখে তাঁকিয়ে বলে,
—-“আজ প্রথমবার নিজের মেয়ের গাঁয়ে হাত তুলেছি। আমার কী কম কষ্ট হচ্ছে বলো? আমি তো বাবা হিসেবে নিরুপায়। নিজের মেয়ের ভালোর জন্য হলেও আমাকে কঠোর থাকতে হবে। তুমি জানো? আজকে ইশানি মেম আমাকে ডেকে পাঠিয়ে কি বলেছিলেন?
—-“কি বলেছেন? ”
—“তাহলে শুনো। আজ ইশানি ম্যাম আমাকে নিজের কেবিনে ডেকে পাঠিয়েছিলেন তারপর…
—-“আমি সত্যি বিশ্বাস করতে পারছি নাহ আমার মেয়ে ছোট সাহেবের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে আছে। ”
মতিউরের কথা শুনে ইশানি হেঁসে বলে,
—“এতো অবাক হচ্ছো কেন? তুমি-ই’ তো তোমার মেয়েকে রুদ্রিকের পিছনে লেলিয়ে দিয়েছো।যাতে এতো বিরাট সম্পত্তি তোমরা ভোগ করতে পারো।
রুদ্রিক যেহুতু বাড়ির একমাত্র ছেলে এই সম্পত্তি সব তো রুদ্রিকের-ই’। তোমাদের লোভিদের আমার খুব ভালো করে-ই’ জানা আছে। ”
মতিউর সাহেব আশাহত কন্ঠে বললেন,
—“যা ইচ্ছে তাই বলুন,কিন্তু লোভি বলবেন নাহ ইশানি ম্যাম। তাছাড়া দোষ তো শুধু আমার মেয়ের নাহ। ছোটসাহেব ও আমার মেয়ের সাথে সম্পর্কে জড়িয়েছেন। ”
ইশানি শেখ হু হা করে হেঁসে বলে উঠে,
—“রুদ্রিক হলো আফজাল শেখের একমাত্র ছেলে। কত মেয়ের সাথে-ই’ তো সে টাইমপাস করেছে৷ কাজল ও রুদ্রিকের কাছে টাইমপাসের একটি জায়গা মাত্র। ”
মতিউর উঠে দাঁড়িয়ে বললেন,
—“কি বলছেন কি? ”
ইশানি শেখ হেঁসে বললেন,
—“একদম ঠিক বলছি। তাছাড়া বিসনেজম্যান ইকবাল শিকদারের মেয়ের সাথে রুদ্রিকের সামনের মাসে এন্গেজমেন্ট। এখন তুমি ভেবে দেখো নিজের মেয়ের কি করবে। ”
মতিউর রহমান ভাবতে পারেনা সে এখন কি করবে।
তখনি তার তনয়ের কথা মনে পড়লো।
ইশানি শেখ মনে মনে হাঁসেন যাক কাজ হয়েছে তাহলে। বাকি কাজটা মতিউর নিজের হাতে-ই’ করবে।
________
কাজলের মা কাজলের বাবার কথা শুনে কিছুক্ষন থম মেরে বসে রইলো। কাজলের বাবা ঠিক-ই’ বলেছে। নিজের মেয়ের সুখের জন্যে হলেও বিয়েটা জরুরী।
বাবা চলে যেতে-ই’ আমি কোনোরকম উঠে দাঁড়িয়ে দ্রুত সহকারে ফোনটা হাতে নিয়ে রুদ্রিককে ফোন দিলাম। যেকরে-ই’ হোক রুদ্রিককে সবকিছু জানাতে হবে।
এদিকে,
রুদ্রিক নিজের টাই টা গলায় ভালো করে বেঁধে নেয়। কিছুক্ষন পরে-ই’ মিটিং শুরু হয়ে যবে। রুদ্রিকক কাউকে ফোন করে।
—–“জ্বী স্যার বলুন। ”
রুদ্রিক বলে উঠে,
—” যা যা করতে বলেছিলাম সব হয়ে গেছে তো? ”
————-
ওইপাশ থেকে এমনকিছু বললো যা শুনে রুদ্রিক কিছুটা বাঁকা বলে,
—“গুড ভেইরি গুড। আচ্ছা রাখছি।
টুট টুট টুট….।
রুদ্রিক ফোনটা কেটে সুইচড অফ করে দেয়। তারপর রহস্যময় হাঁসি দিয়ে মিটিং রুমে চলে যায়।
এদিকে আমি বার বার রুদ্রিকের নাম্বারে ফোন করে যাচ্ছি,কিন্তু রুদ্রিক ফোনটা-ই’ ধরছে নাহ। আমি রাগে ফোনটা ছুড়ে ফেলি। যা ভেঙে দুই টুকরো হয়ে যায়।
রুদ্রিক এদিকে ফোন ধরছে না ওদিকে কাল আমার বিয়ে। আমি কি করবো? কিচ্ছু বুঝতে পারছি নাহ।
দরজা টাও বন্ধ। ফোনটাও ভেঙ্গে গেলো। কোনো রাস্তা যে খোলা নেই আমার হাতে। আমার ঠোট বেয়ে রক্ত গড়িয়ে-ই’ পড়ছে। আমি ধপ করে মেঝেতে বসে দেয়ালে নিজের শরীর এলিয়ে দিলাম। আমি নিজের চুল খামছে ধরলাম। তনয় ভাইকে কিছুতে-ই’ বিয়ে করবো নাহ।
‘রুদ্রিক কোথায় আপনি? ”
কথাটি বলে আমি শব্দ করে কেঁদে উঠলাম।
বাকীটা আগামী পর্বে….
চলবে কী?
🙈আজকাল তো রিয়েক্ট দিতেও কিপটামি করেন
(হ্যালো বাচ্ছারা কেউ আগে-ই’ চিল্লাচিল্লি করিবেন নাহ। গল্পটা ইঞ্জয় করুন। আমার উপর ভরসা রাখুন।অনেক বড় কমেন্ট করেছে সো একটা ঘটনমূলক কমেন্ট করে দিয়েন খুশি হবো)
আসসালামুআলাইকুম 💙
লেখিকাঃ জান্নাতুল ফেরদৌসি রিমি
চলবে কী?
(বাকি দুই পর্বে শুধু ধামাকা চলবে)