তোমাতেই শুরু তোমাতেই শেষ পর্ব -০৯

#তোমাতেই শুরু তোমাতেই শেষ
#পার্টঃ০৯
#Writer:#মারশিয়া_জাহান_মেঘ

রিকশা থেকে নামতেই স্যার কানে ফিসফিস করে বললো,নিজের খেয়াল নিজে রাখতে শিখো। এইটা বলেই স্যার রিকশাওয়ালাকে বললো,মামা যান। আর এইদিকে আমি চুপ করে দাড়িয়েই আছি। বাসায় ফিরতেই দুপুরের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম। বিকেল হতেই নিচে গেলাম। নিচে গিয়ে দেখি আব্বু কাউকে কলে বলছে, আমি মরে গেলেও ওর জীবন আমি তোর মতো একটা ছেলের হাতে তুলে দিবোনা। নেক্সট টাইম আর পিছু নিবিনা।

আমাকে দেখেই আব্বু কল কেটে দিলো।
আব্বু:মামনি তোমার এক্সাম কখন শুরু হবে?
আমি:এইতো বাবা কিছুদিন পর।
আব্বু: ঠিক আছে এইটূ বলেই আব্বু কেউ একজনকে কল দিতে দিতে চলে গেলো।

রওশানী আজকে খুব চুপচাপ বলে আমি আম্মুকে গিয়ে বললাম,,আম্মু রওশানীর কি হয়েছে গো? আম্মু কিছু বলার আগেই রওশানী সোফা থেকে বলে উঠলো,,কেমন বোন তুমি? যে তোমার বোনের জ্বর আর তুমি জানোনা [মনটা খারাপ করে]
আমি তখন ওর কাছে গিয়ে দুই হাত দুই কানে ধরে বললাম সরি বোন আমার। আসলে আপুতো ভার্সিটিতে ছিলাম তাই জানিনা৷ [ কানটা ছেড়ে আমি রওশানীকে জড়িয়ে ধরে আদর করতে লাগলাম ]

রাতে খাবার খেয়ে উঠতে যাবো এমনিতি আব্বু বললো রৌদ্রানী…আহিরের নাম্বারটা নিয়ে যাও।
আমি তখন আব্বুকে বললাম কোন আহির আব্বু?
আব্বু: তোমার রফিক আংকেলের ছেলে।
আমি অবাক হয়ে বললাম কেনো আব্বু? আহির ভাইয়ার নাম্বার দিয়ে আমি কি করবো?
আব্বু আমার হাতে নাম্বারটা দিয়ে চলে গেলো। আর আমিও কিছু না বলে চলে এলাম।রাতে একটা আননোন নাম্বার থেকে কল আসতেই কলটা ধরলাম।

অচেনা:কেমন আছো রোদেলা?
আমি:Excuse me I’m Roudrani Not Rodela.
অচেনা:আমি না হয় রোদেলায় ডাকবো।কেমন আছো?
আমি: কে আপনি?
অচেনা:আহির।
আমি অবাক হয়ে বললাম আহির ভাইয়া!আমার নাম্বার কে দিছে আপনাকে?
আহির ভাইয়া:আংকেল।
আমি সত্যিই আজ অবাক হচ্ছি বাবা কোনো ছেলেকে আমার নাম্বার! [ মনে মনে]
আহির ভাইয়া:কি হলো রোদেলা?
আমি:না ভাইয়া কিছুনা। আজ রাখি ঘুম পাচ্ছে। এইটা বলেই কলটা কেটে দিলাম৷ ফোনটা রাখতেই আরেকটা নাম্বার থেকে কল দিলো। কল ধরতে বিরক্ত লাগছে অনেবার দিচ্ছে বলে অবশেষে ধরলাম।
আমি: এই দেখেন না কল ধরিনা!কে আপনি [রেগে]
অচেনা:নেক্সট টাইম ওই আহিরের সাথে কথা বললে তোমার কি অবস্থা আমি করবো তুমি নিজেও জানোনা রৌদ্রানী [রেগে] এইটা বলেই কেটে দিলো। আমি চমকে উঠলাম লোকটা আমাকে থ্রিট দিলো?কে লোকটা! আবার কল দিতেই ফোন অফ বললো।

সকালে ভার্সিটিতে যাবো এমন সময় মিমি কল দিয়ে যা বললো তাতে আমি প্রায় সেন্স হারিয়ে ফেলি। তাড়াতাড়ি ভার্সিটিতে গেলাম। আম্মু পিছন থেকে ডাকছে না শুনেই তাড়াতাড়ি ড্রাইভার আংকেলকে বললাম,আংকেল তাড়াতাড়ি যাও। ভার্সিটিতে যেতেই দেখলাম আমার সব বান্ধবীগুলো একসাথে মুখ কালো করে বসে আছে। আমি গিয়ে নীলাশাকে থাপ্পড় মারলাম। আমার থাপ্পড় দেওয়াতে সব বান্ধবীগুলো অবাক।

আমি নীলাশাকে রেগে বললাম,,তোর বিয়ে হয়েছে আজকে ১মাস আমাদের কাউকে বলার প্রয়োজন মনে করিসনি? আমরা তোর কেউনা তাইনা? এতোটা পর? তোর বিয়ে হয়ে গেছে আর আমরা কেউ জানিনা?[ এক নিশ্বাসে কথা গুলো বললাম ] মিমি সুমাইয়া তনয়া ইশিতা আমাকে থামিয়ে বললো প্লিজ রৌদ্রানী মাথা ঠান্ডা কর।

নীলাশা গালে হাত দিয়ে দাড়িয়ে আমার দিকে কাঁদো কাঁদো ফেইস নিয়ে বললো,প্লিজ রোদ্রানী বিশ্বাস কর সবকিছু এতো তাড়াতাড়িই হয়ে গেছে যে আমি তোদের কাউকে কিছু বলতে পারিনি। হঠাৎ বাবা এসে বললো আমার বিয়ে..সেইদিন আমিও অবাক হয়েছিলাম। কিন্তু বাবার মুখের দিকে তাকিয়ে আমাকে বিয়েটা করতেই হয়েছে [ হোট করে বসে কান্না করতে করতে]
তনয়া ইঠে গিয়ে বললো,সরি নীলাশা আমরা কেউ তোর পজিশনটা বুঝার চেষ্টা করিনা। আর রৌদ্রানীর মাথা ঠান্ডা হলে সব কিছু ঠিক বুঝে নিবে ওহ। এরপর আমাকে সবাই এইটা সেইটা বলে বুঝিয়েছে। আমি তারপর নীলাশা জড়িয়ে বললাম,সরি দুস্ত। তোর বিয়ে হয়ে গেছে শুনে আমার তোর উপর অনেক অভিমান হয়েছিলো তাই রাগের মাথায় থাপ্পড় মেরেছি সরি[ কানে ধরে]
নীলাশা: হয়েছে হয়েছে চল ক্লাসে যায়।
সুমাইয়া: ওই জিজু তোকে নিয়ে যাবে কখন?
নীলাশা:এক্সামের পর। আচ্ছা চল এইবার। সবাই একসাথে ক্লাসে গেলাম।

ক্লাস করে বেরিয়ে আসতেই দেখলাম আহির ভাইয়া গাড়ি নিয়ে দাড়িয়ে আছে। আমি আর বাকি সবাই গেলাম ওইখানে,আমি বললাম আরে আহির ভাইয়া কেমন আছেন?
আহির ভাইয়া : ভালো আছি রোদেলা। আংকেল বললো তোমাকে নিয়ে যেতে।
আমি বললাম ওহ আচ্ছা।
মিমি:কেরে ওনি?

আমি আহির ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে বললাম ওহ আপনার সাথেতো আমার বান্ধবীদের পরিচয়ই করানো হলোনা। ওরা বান্ধবী। তনয়া,সুমাইয়া,নীলাশা,ইশিতা আর ওহ হচ্ছে মিমি [ হাত দিয়ে সবাইকে দেখিয়ে বললাম।

আহির ভাইয়া: Hi all
সবাই: Hlw Vaiya.

তনয়া বললো,আচ্ছা রোদ্রানী তুই যা আমরা বরং আসি। আমিও ওদের সবার থেকে বিদায় নিয়ে গাড়িতে বসলাম।

আর এইদিকে….কেউ একজন মনে মনে বলছে..I kill You Mr Ahir for My Doll

চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here