তোমাতেই শুরু তোমাতেই শেষ পর্ব -০৮

#তোমাতেই শুরু তোমাতেই শেষ
#পার্টঃ০৮
#writer:#মারশিয়া_জাহান_মেঘ

ক্লাসে গিয়ে ব্যাগ রেখে আবার বাইরে এসেছি আমরা। আজকে কিছুটা তাড়াতাড়ি চলে এসেছি আমরা সবাই।হাতে লাল টুকটুকে গোলাপ নিয়ে হাঁটু গেড়ে বসে আছে একটা ছেলে আমাদের সামনে। ঠিক কাকে প্রপোস করবে তা আমরা কেউ বুঝতে পারছিনা। তনয়ার দিকে ফুলটা এগিয়ে দিয়ে বললো,,Hey Miss Orange Girl…Do yOu Love me?

আমরা সবাই অবাক হয়ে আছি। অন্যদিকে এক জোড়া চোখ চোয়াল শক্ত করে এগিয়ে আসছে ছেলেটার দিকে। নীল ভাইয়া এসে ছেলেটার শার্টের কলার চেপে বললো, কি ভালোবাসিস ওকে? ভালোবাসিস তাইনা? এইটা বলেই ইচ্ছে মতো ছেলেটাকে মারছে নীল ভাইয়া। অবশেষে তনয়া গিয়ে অনেক জোর করো আটকায় নীল ভাইয়াকে।
তনয়া:কি হচ্ছে কি ছাড়ুন ওনাকে ছাড়ুন বলছি [হাত টা ছাড়ানোর চেষ্টা করে ]
নীল ভাইয়া ছেলেটাকে ছেড়ে দিয়ে বললো,নেক্সট টাইম যেনো ওর আসে পাশে না দেখি।[চোখ রাঙিয়ে ]

নীল ভাইয়া তনয়ার দিকে রাগি লোকে তাকিয়ে থেকে বললো,অনেক শখ না? ছেলেদের প্রপোস পেতে? তাহলে ভার্সিটিতে না এসে সেজেগুজে পার্কে ঘুরলেইতো হয় [এইটা বলেই রেগে চলে গেলো নীল ভাইয়া]
আমরা সবাই অবাক হয়ে গেছি নীল ভাইয়ার এমন ব্যবহারে। ইশিতা অবাক হয়ে বললো,এই আমি কি দেখলাম? আমার ভাইয়া এমন করেছে!তনয়ার জন্য? তার মানে কি ভাইয়া…ইশিতা কথা থামিয়ে আমাদের দিকে তাকিয়ে বললো,আচ্ছা আমি যা ভাবছি তোরাও কি তা ভাবছিস?
আমরা সবাই বললাম হুম ঠিকি ধরেছিস আমরাও এইটাই ভাবছি যে নীল ভাইয়া কি তনয়ার প্রেমে টেমে পড়লো নাকি?
তনয়া এখনো ওই যায়গায়ই চুপচাপ দাড়িয়ে আছে মন খারাপ করে। আর বার বার নীলের মুখে শোনা পার্কে যাওয়ার কথাটা বাজছে।

আমরা সবাই খেয়াল করলাম তনয়া চুপ হয়ে দাড়িয়ে আছে। তাই আমি বললাম এই চল তনয়ার কাছে যায়।

নীলাশা: এই তনয়া সত্যি করে বলতো সামথিং সামথিং!?
তনয়া রেগে তাকিয়ে বললো তোদেরকে আমি..এইটা বলতেই আমরা সবাই দৌড়ে পালাচ্ছি আর তনয়া আমাদের পিছু ছোটছে।

ক্লাসের ঘন্টা দিতেই আমরা সবাই ক্লাসে বসে পড়লাম। স্যার আসতেই দাড়িয়ে সবাই সালাম দিলাম।
রোদ স্যার: সবাই বসো। আমরা সবাই বসতেই স্যার বলতে লাগলো, আজকের পর থেকে কাউকে যদি কলেজের গেইটে দাড়াতে দেখি তাহলে তাকে…রিকেন্টলি পানিশমেন্ট দেওয়া হবে। স্যারের কথা শুনতেই আমি সহ আমার বান্ধবী গুলা ঢুক গিললো। এর মধ্যে ইশিতা তো সাবধানে চলার শপথ নিয়েই নিয়েছে নয়তো এই বজ্জাত স্যারতো আবার ওর ফ্রিয়েন্সির বন্ধু..যদি বলে দেয় কিছু তাই।ক্লাস শেষ করে আমরা বের হয়েছিলাম ঘুরতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে। এর মধ্যেই নীল ভাইয়া এসে ইশিতাকে জোর করে নিয়ে চলে গিয়েছে। যদিও আমরা সবাই বুঝতে পারছি নীল ভাইয়া তনয়ার সাথে রাগ দেখিয়ে এমন করছে। তাই আর কারো ঘুরতে যাওয়া হলোনা। সবাই যার যার রাস্তা ধরে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হলো। বাবার গাড়ি আজকে আসতে লেইট হবো তাই আমি রিকশার খুঁজছি। ধুর আজকে কোনো রিকশায় পাওয়া যাচ্ছেনা। হঠাৎ আমার সামনে রিকশায় বসে রোদ স্যার বলছে,রৌদ্রানী তুমি রিকশায় উঠো আমিতো ১০০ ভোল্টের ঝটকা খেলাম। আমতা আমতা করে বললাম না স্যার আমি ঠিক রিকশা পেয়ে যাবো।

রোদ স্যার: এই তোমাকে উঠতে বলছিনা? স্যারের ধমকে স্যারের পাশে বসতে হয়েছে৷ অনেক সংকোচ লাগছে তাও কি আর করা এই বজ্জাত স্যারটাতো, ধমক দিয়ে দিয়ে কথা বলে।

চলবে….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here