দুষ্টু_বউয়ের_ডেভিল_বর part:4

দুষ্টু_বউয়ের_ডেভিল_বর part:4
writer:Nurzahan akter allo

.
সাদনান উপরের দিকে তাকিয়ে দেখে, নুর বএিশ পাটি দাত বের করে ওর দিকে তাকিয়ে, গগন ফাটিয়ে হাসি দিচ্ছে। সাদমানের মা ও নুরের হাসি দেখে হাসতে শুরু করছে,সাদনান রাগে দুঃখে হনহন করতে করতে উপরে চলে গেল।সাদনান ওর রুমে না গিয়ে সোজা ছাদে চলে গেল, ছাদে গিয়ে দেখে নুর সেলফি তুলতে খুব বিজি।
নুর বিভিন্ন পোজ দিয়ে,হেলেদুলে সেলফি নিচেছ।সাদনান কোন কথা না বলে,নুরকে গিয়ে জড়িয়ে ধরলো,আর সাদনানের মাথা নুরের গালে আর গলায় ঘষে দিল।আর সাদনানের মাথার গোবর নুরের গলায় আর গালো লেগে গেল।সাদনানের এমন কাজে নুর অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে,,।
সাদনান নুরকে ছেড়ে দিয়ে, নুরের দিকে তাকিয়ে ভ্রু নাচিয়ে,,।
সাদনানঃএই যে আমার দুষ্টু বউ, এই গোরবের পারফিউম টা কেমন লাগছে তোমার।
নুরঃঅসভ্য ছেলে তুই এটা কি করলি?
সাদনানঃযা বাবা আমি আবার কি করলাম?তুমি আমাকে এত ভাল একটা পরিস্থিতির সাথে পরিচয় করে দিলে,তোমাকেও এর থেকে কিছু না দিলে তোমার সাথে অন্যায় করা হতো,,
নুরঃকুওা,বানর,সাদা ভাল্লুক, ডাইনোসরের তিন নাম্বার বাচ্চা, তোকে এবার কি শিক্ষা দেয় তুই দেখ?
সাদনানঃসে পরে দেখা যাবে,আগে এটা বলেন তো আপনার এখনকার অনুভূতি টা কেমন?আপনার এখনকার অনূভূতিটা যদি আমার সাথে সেয়ার করতেন,(নুরের মুখের সামনে হাত মুঠো করে)
নুরঃআমার অনুভূতি আপনাকে খুব তারাতারি বোঝাবো,,ডেবিল জামাই।
সাদনানঃ আমার সাথে লাগতে আসলে, এবার থেকে এরকমই হবে। এই যে দুষ্টু বউ এবার এই ডেভিল বর এর আসল রুপ দেখবে,,
নুর রাগে হন হন করতে করতে নিচে চলে গেল,সাদনানও সাথে গেল,সাদনান রুমে ঢোকার আগেই নুর ডোর লক করে দিল। সাদনান ডেকেও নুরকে দিয়ে ডোর খোলাতে পারলো না,নুর আগে সাওয়ার নিলো।
তারপর সাদনানের সব কাপড় গুলোকে বের করে পানিতে ঢুবিয়ে রাখলো।
ওদিকে সাদনান শুভ এর রুমে গিয়ে সাওয়ার নিলো,আর টাওয়াল পড়ে বসে রইলো।আর বার বার উকি দিয়ে নুর ডোর খুলছে কি না?
সাদনানঃআরে ইয়ার এবার তো রুম থেকে বের হও,আজ না জানি আমার ইজ্জতের ফালুদা না করে ছাড়ে।আজ বাড়িতে কত মানুষ, আমি এভাবে কিভাবে বের হবো,।উফফ এই শুভ গাধাটাও আসছে না,,,।
নুরঃআজ আমিও দেখবো তুই কেমন করে ড্রেস পাস।আমার সাথে লাগতে আসা,দাড়া তোর সাতার কাটার ব্যবসথা করছি আমি,,।
নুর সাদনানের রুমের বারান্দায় গিয়ে দেখে এক জোড়া ময়নাপাখি,কথা বলতে পারে কি না দেখার জন্য নুর ওদের খাঁচায় টোকা দিল।ওমনি দুষ্টু বউ (নাভ) ইউ,,,দুষ্টু বউ নাভ(লাভ) বলে চেচাঁমেচি শুরু করলো।নুর ওদের কথা শুনে মুছকি হেসে,ভ্রু কুচকে ওদের দিকে রাগি চোখে তাকিয়ে,,
নুরঃএসব তোদের কে শেখালো?ওই ফাজিল টা তাই না,,
তবে তোদের দেখে মনটা একটু ভাল হয়ে গেল।
নুর শাড়ি পড়তে পারে না এজন্য ইস্কাট আর একটা লেডিস শাট সাথে ওড়না পেচিয়ে ড্রয়িংরুমে গেল।ওখানে গিয়ে দেখে কয়েকটা বাচ্চা বসে বসে খেলছে,আর একটা বাচ্চা নুরকে দেখে ফোকলা দাতে হাসি দিল।
নুর ওই বাচ্চাটার কাছে গিয়ে দেখে,বাচ্চাটার হাতে অনেকগুলো চকলেট
।নুর বাচ্চাটাকে কোলে নিয়ে খুব আদর করলো,আর অনেকসময় ধরে বাচ্চার গাল গুলো খুব করে চটকে দিল ।বাচ্চার কাছে থেকে অনেকসময় ধরে চকলেট গুলো হাতানোর চেষ্টা করেও,নুর কিছুতেই চকলেট গুলো নিতে পারলো না।
একসময় জোরে একটা চিমটি দিল,আর বাচ্চাটা চিৎকার করে কেঁদে উঠলো।আর সাদনজন শুভকে ডেকে নতুর করে ড্রেসে আনিয়েছে,তারপর সে ড্রেসগুলো পড়ে বের হয়েছে ।আর কাজের মেয়েকে দিয়ে ওর ভেজা কাপড় গুলো ছাদে শুকাতে দিতে বলে এসেছে।
সাদনান নিচে নেমে ওপাশ দিয়ে যাচ্ছিলো,বাচ্চা টা এক দৌড়ে গিয়ে, সাদনানের কোলে উঠে,,

বাচ্চাঃ (চিৎকার করে)
সাদনানঃআরে আমার মিমি সোনাটা কান্না করে কেন?আরে আম্মু কান্না করে না সোনা,কি হয়েছে বলোতে আমাকে, কান্না করছো কেন?
মিমিঃতোমাল বুউতে তককেট দেয়নি,তাই আমাকে কুতুস কলে তিমটি(চিমটি)দিয়েছে।আমি কুব ব্যাতা(ব্যাথা)পেয়েতি।
সাদনানঃএ ও আমার দেখার বাকি ছিল।ছোট্ট একটা বাচ্চার থেকে চকলেট কেড়ে খাওয়ার জন্য,,,।এই মেয়েকে নিয়ে আর কত লজ্জায় পড়তে হবে আল্লাহ জানে,,।এটা কেউ জানতে পারলে,কত হাসাহাসি করবে,,,একটা বাচ্চার থেকে চকলেট কেড়ে খেতে চায়,, ।
মিমিঃ আমি দেয় নি
সাদনানঃহুম খুব ভাল করছো, ও চায়লে ওকে একদম চকলেট দিবে না কেমন।আমি একটু পর তোমাকে আরো চকলেট এসে দিবো কেমন,,
মিমিঃআততা(আচ্ছা)
সাদনান মিমিকে কোল থেকে নামিয়ে, নুরকে খুজতে থাকতে। একটা সময় নুরকে রান্নাঘরের দেখতে পায়,ওর মায়ের সাথে গল্প করছে আর কি যেন খাচ্ছে? সাদনান রান্নাঘরে গিয়ে,একবার নুরের তাকিয়ে ওর মাকে কফি দিতে বললো।আর নুরের দিকে তাকিয়ে দেখে নুর মাংস, পরোটা খাচ্ছে খুব তৃপ্তি করে।
নুর একবার সাদনানের দিকে তাকিয়ে মুখ ভেংচি দিয়ে, আবার খাওয়াতে মনযোগ দিল।মুখ ভেংচি দিতে গিয়ে একটা ভীষম খেলে নুর,সাদনান নুরের সামনে পানি ধরলো,নুর না খেয়ে মুখ ঘুরিয়ে নিল।সাদনান নুরের আর একটু কাছে গিয়ে বললো,,
সাদনানঃপানিটা খাও তা না হলে সবাইকে বলে দিবো তুমি মিমির থেকে চকলেট কেড়ে খেতে চেয়েছিলে।
নুরঃ দুষ্টু বাচ্চাটা বলে দিয়েছে,এবার ওকে আর দুইটা চিমটি দিবো,আমার সাথে দেখা হলে,,
নুর সাদনানের হাত থেকে পানির গ্লাসটা নিয়ে,একবারে পানিটা খেয়ে নিল।তারপর সাদনানের দিকে রাগি চোখে তাকিয়ে,একটা গোটা পরোটা নিয়ে,ঝোল নিয়ে সাদনানের মুখটা চেপে ধরে, মুখের মধ্যে পরোটা টা ঢুকিয়ে হনহন করতে করতে রান্নাঘর থেকে চলে গেল নুর।সাদনানের মা একটু হেসে রান্নাঘর থেকে চলে গেল,আর সাদনান মুখে পরোটা নিয়ে হাবলার মত দাড়িয়ে আছে,,,।নুর এটা করবে সাদনান ভাবতে পারে নি,,।
ওদিকে নুর যাওয়ার সময় একটা মুটকি না মানে একটা নুাদুস -নুদুস ,মহিলার সাথে ধাক্কা খেল আর মহিলাটা বুঝতে পারে নি, এটাই নতুন বউ এজন্য একটু কিছু কথা শুনিয়ে দিল।আর নুর রেগে গিয়ে,,
নুরঃওই মুটকি তুই কি চোখে কম দেখিস?একটু কম খা শরীরে এত মাংস হয়েছে যে,ওই চোখ দুটোইও মাংসতে ঢেকে যাচ্ছে আর এখন চোখেও কম দেখিস।
চলবে,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here