দুষ্টু_বউয়ের_ডেভিল_বর part:3

দুষ্টু_বউয়ের_ডেভিল_বর part:3
writer: #Nurzahan_aker_allo

(আমি সরি কিছু সমস্যার কারনে নায়ক-নায়িকার নাম টা বদলাতে হয়েছে।)
সাদনান সাওয়ার নিয়ে ওয়াশরুমে থেকে বের হয়ে দেখে,নুর সোফার উপর বসে ফোনে কিছু করছে।সাদমান আর নুরকে কিছু না বলে নিজের মত রেডি হয়ে, একবার নুরের দিকে তাকিয়ে বললো,,
সাদনানঃএই যে ম্যম আপনি কি নিচে যাবেন? নাকি এখানেই বসে থাকবেন?
নুরঃ হুম যাচ্ছি চলুন,আপনার জন্যই আমাকে আপনার ভাবিরা আমাকে এখানে বসিয়ে রেখে গেছে
সাদমননঃ তুমি পারোও বটে,তবে তুমি সকালবেলা যা করলে এর হিসাব টা তোলা রইলো।সময় করে হিসাব টা বরাবর করে নিবো।আর এভাবে মুখ বাকা করবে না দেখবে একদিন সত্যি সত্যি মুখ বাকা হয়ে যাবে
নুরঃএই আপনি সামনে থেকে সরুন তো, কানের কাছে বকবক করেই যাচ্ছে সেই কখন থেকে
সাদনান আর নুর একসাথে নিচে গেল,ওদের দেখে সাদমানের বাবা -মা নুরের সাথে কথা বললো।সাদমানের বাসায় সাদমানের এক কাজিন থাকে,আর তার নাম সারোয়ার হাসান শুভ,,,, ,এখান থেকে পড়াশোনা করে,কেউ দেখে বলবে না এটা সাদনানের কাজিন,ওরা সব সময় একে অপরের খুব close,,কিন্ত শুভর একটা সমস্যা, উনি কথা বলতে গিয়ে কথা আটকে যাই।আমরা যাকে তোতলা বলে থাকি,,,।নুরকে দেখে শুভ হেসে নুরের সাথে কথা বলতে শুরু করে,,,
শুভঃতো তো তোমাকে ভাবি বলবো না,তু তু তুমি আম আমার ছো ছোট,,,।তো তো তোমাকে রাঙ্গাবনু বলে ডাকবো কে কে কেমন,,,
নুরঃআ আ আচ্ছা,
সাদনানঃওর মাঝে মাঝে কথা আটকে যাই,তবে তোমার কেন কথা আটকালো,তুমিও কি,,,,,?
নুরঃআরে না ভদ্রতা দেখালাম,কারন সকালবেলা বাপি বলছে যে যেমন ভাবে কথা বলবে,তার সাথে যেন ভদ্রতা দিয়েই কথা বলি,,,, ।
শুভঃ রাঙ্গাবনু তো খুব দু দু দুষ্টু
সাদনানের বাবা মা ও হেসে দিল,সাদনানের মা নুরকে কাছে টেনে বললো,,,
সাদনানের মাঃআমার একটা মেয়ের সখ ছিলো বাট আল্লাহ আমাকে দেয় নি,তো আমি এটা মন থেকে ভেবেছি যে আমার ছেলের বউকে আমি আমার মেয়ে করে রাখবো,,।
নুরঃওকে ডান বাট আমি কিন্ত তোমরা সাথে ঝগড়া করবো,তুমি আমাকে শাষণ করবে, আবার দুইজন একসাথে মিলে ঘুরতে যাবো,ফুচকা খাবো,শপিং করবো,,
সাদনানের মাঃ আচ্ছা তাই হবে,,
নুরঃ মাম্মা আজ থেকে তুমি আমাকে খাইয়ে দিবে, জানো তো আমার মাম্মা ওই দুর আকাশের তারা হয়ে গেছি ।আমি কখনো মাম্মামের আদর পাই নি,,
সাদনানের মাঃএবার তোকে একটা মারবো,,ফাজিল মেয়ে,, তুই না এখনই বললি, আমি তোর মাম্মা তাহলে এভাবে বলছিস কেন?
নুরঃদাড়াও আগে খেয়ে শক্তি করে নেয়,তারপর না হয় আমাকে মেরো কেমন,,,
বাকিরা একসাথে
সবাই একসাথে খেতে বসলো,নুরকে ওর মাম্মা খাইয়ে দিচ্ছে, আর নুর বকবক করেই যাচ্ছে, আগে এই বাড়িতে কথা বলার মত কেউ ছিল না।এখন একজনকে পেয়েছে তাই সাদনানের মায়ের খুশির শেষ নেই।নুর একবার সাদনানের দিকে তাকিয়ে দেখে,সাদনান খুব মনোযোগ দিয়ে খাবার খাচ্ছে, নুরের মুখে এবার শয়তানি হাসি ফুটে উঠলো,,
*নতুন নতুন রোমান্টিক গল্প পেতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: “নিঃস্বার্থ ভালোবাসা”*
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন



নুরঃজানো মাম্মা আমি দারুন দারুন রেসিপি রান্না করতে পারি,,
মাম্মাঃতাই নাকি?,,বাহ আমার মেয়ে বলে কথা।তা কি কি রান্না জানিস তুই,,?
সাদনানঃ
নুরঃ কেঁচো ভুনা,টিকটিকির বারবিকিউ,মাছের মাথা দিয়ে সেমাই,ব্যাঙের ঝাল ফ্রাই,,আর লাল পিপড়া দিয়ে ফ্রাইড রাইস,,
উপস্থিত সবাইঃ
মাম্মাঃএত ভাল ভাল রেসিপি আমাদের আর এসব খাওয়ার বয়স নাই,এক কাজ কর মা, সাদনান এসব ডিশ খেতে খুব পছন্দ করে।তুই এসব ডিশ রান্না করে ওকেই খাওয়াস কেমন

শুভঃহুম হুম হুম এটাই বেটার হবে
সাদমানের বাবাঃআমিও এসব খাবো না মা,তুই সাদনানকে খাওয়াবি কেমন
নুরঃ আচ্ছা বাবা
সাদনানঃ ও এগুলো কি বলছে এসব?আর তোমরা ওর কথায় সায় দিচ্ছো পাগলের মত ।
সাদনান কোন রকম খেয়ে ওখান থেকে উঠে পড়লো,সাদনান ভাল করেই বুঝতে পেরেছে, নুর শয়তানি করে এসব বলছে,যাতে ও খেতে না পারে।আজ অনেক কাজ ওদের বাসায় আজ ওদের রিসিপশনে জন্য যে যার কাজে বিজি হয়ে পড়ছে।নুর একা একা বসে থেকে কি করবে ভেবে, সাদনানের মা ওকে ওদের ছাদে গেল নিয়ে গেল,খুব সুন্দর ছাদটা চারদিকে বিল্ডিং আর বিল্ডিং এদের বাসার এরিয়াটা অনেক বড়, ওদের বাগানে বিভিন্ন ফলের গাছ লাগানো আছে।আর ছাদের চার পাশ টা ফুলের গাছে ভরা,দেখেই বোঝা যাচ্ছে কেউ খুব যত্ন করে এগুলো লাগিয়েছে।একটা খুব সুন্দর দোলনা সহ বসার জায়গা আছে।চারপাশটা মনোমুগ্ধকর একটা পরিবেশ,,,
নুর খুব মনোযোগ দিয়ে চারপাশটা হেটে হেটে দেখছে,,।
মাম্মাঃনুর তুই এখানেই থাক,তোর বাবা ফোন করছে, আমি দেখে আসি আমাকে ডাকছে কেন?
নুরঃ আচ্ছা মাম্মা,তারতারি এসো,,
মাম্মাঃহুম যাবো আর আসবো কেমন,,তুই দুষ্টুমি করিস না কেমন।
নুর মনে মনে এত ভাল আর মনোমুগ্ধকর পরিবেশ,একটা সেলফি না তুললে এটা নিজের প্রতি নিজের অবিচার করা হবে।নুর রেলিং এর পাশে দাড়াতেই, নাকে একটা বোটকা গন্ধ আসে,সে এতোই সেলফি তোলায় বিজি যে,ওর কোন হুশ ওর নেই।নুরের হাতে বেধে কিছু একটা নিচে পড়ে গেল,আর নিচে থেকে কেউ চিৎকার করে উঠলো,,,।কে চিৎকার করে দেখার জন্য নুর নিচে তাকাতেই ওর,,

সাদনানের বাবা একটা কাজে ওকে বাইরে যাওয়ার জন্য বললো সাদনান রেডি হয়ে যাচ্ছিলো হঠাৎ উপর থেকে মাথায় কি যেন পড়লো?সাদনান চোখ মুখকুচকে জোরে একটা চিৎকার দিল,,সাদমানের মা ওর কাছে দৌড়ে গেল আর,,
সাদনানঃমাআআআআা কার এত বড় সাহস আমার মাথার উপর গোবর ফেলে।
উপর থেকে নুর এটা দেখেঃ
চলবে,,,
(গল্পের নায়ক/নায়িকাদের নাম দিয়ে না,আমার গল্প পড়ে বিচার করবেন গল্পটি কেমন হয়েছে,আশা করি আপনাদের পাশে পাবো,, আর বানান ভুল হলে নিজ দায়িত্বে ঠিক করে নিবেন)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here