দুষ্টু_বউয়ের_ডেভিল_বর part:9

দুষ্টু_বউয়ের_ডেভিল_বর part:9
writer: #Nurzahan_akter_allo

সাদনানঃwhat,,
নুরঃআপনার what এর মায়েরে বাপ,আপনি এত জোরে ব্রেক করলেন কেন?উফ মাথায় ঠুয়া লাগলো তো আমার ।
সাদনানঃঠুয়া আবার কি?আর এসব আজিব কথা তোমার মাথায় আসে কি করে?
(ওই যে লেখিকা সাহায্য করে )
নুরঃঠুয়া মানে মাথায় হুট করে কিছু সাথে ব্যাথা লাগা,ভদ্র পোলা কিছু বোঝে না
সাদনানঃতোমার কালো ছেলে পছন্দ আগে বলবে না,আর আমাকে গান দিয়ে বুঝিয়ে দিলে আমি দেখতে কিউট একটা ছেলে তাই তো,আর কেউ নজর যাতে না দেয় এজন্য গান টা গাইলে তাই তো আগে বলবে না তুমি জেলাস ফিল করছো
নুরঃএকদম বাজে কথা বলবেন না,আপনাকে নিয়ে জেলাস ফিল করতে আমার বয়েই গেছে,,
সাদনানঃবুঝি বুঝি সবই বুঝি
নুরঃআমার মাথা আর আপনার মুন্ডু বুঝেন

ওদের দেরি করে বের হওয়ার জন্য সন্ধ্যা
হয়ে গেছে,সাদনান ড্রাইভ করছে আর নুর সিটের সাথে মাথা লাগিয়ে বাইরের দিকে তাকিয়ে আছে,সাদনান নুরের মুখের দিকে বার বার তাকাচ্ছে কারন আজকে জোসনা রাত, আর বাইরে চাদের আলোটা নুরের মুখে এসে লাগছে,নুরের বাপিদের গাড়িটা চলে গেছে,নুর একদৃষ্টিতে রাতের আকাশ দেখছে।আজ বাইরের পরিবেশ খুব সুন্দর, আকাশে অনেক তারা ঝিকমিক করছে,সাদনানের গাড়িটা একটা নির্জন রাস্তা দিয়ে যাচ্ছে, চারদিকে ঘুরঘুটে অন্ধকার।নুর চারপাশ টা দেখে,সাদনানের দিকে একটু সরে আসলো,এতক্ষণ একদম গাড়ির জানলা ঘেষে বসে ছিল।সাদনান এবার হেসে দিল,,

সাদনানঃ
নুরঃ
সাদনান এবার গাড়িটা বেশ নির্জন জায়গায় থামিয়েঝে আর নুরের সিট বেল্ট খুলে দেওয়ার জন্য সাদনান নুরে খুব কাছে আসে, বাট নুর অন্য কিছু মনে করে।
নুর এজন্য সাদনানের বুকে হাত দিয়ে সাদনান কে আটকায় ওর কাছে আসার জন্য সাদনান আর কিছু বলে না,গাড়ি থেকে নেমে নুরের পাশের গাড়ি গেট খুলে দেয়।নুর নামতে চায়ছিলো না বাট সাদনান নুরের হাত টেনে বের করে নুরকে নামায়,আর নুর সাদনান কে গালি দিতে থাকে,,,
*নতুন নতুন রোমান্টিক গল্প পেতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: “নিঃস্বার্থ ভালোবাসা”*
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন



নুরঃএই অসভ্য ছেলে আপনি এটা কোথায় নিয়ে আসলেন।ওহহ আমাকে আপনি বেচে দিবেন না তো,ওহহ বাপি তোমার মেয়ে কে মনে হয় আর দেখতে পাবে না গো বাপী,এই ছেলেটা আজ আমাকে মনে হয় মেরে ফেলবে
সাদনানঃএই মেয়ে এসব কি বলো এগুলো,,চুপ একদম চুপ,আর একটা কথা বলে সত্যি রাগ কনট্রোল করতে পারবো না তখন দুম করে লিপকিস করে দিবো তখন বুঝবে।
নুরঃ আচ্ছা আর কিছু বলছি না,ছি কি বাজে ছেলে,,

সাদনান নুরকে হাত দিয়ে ইশারা করে সামনে থাকা গাছগুলোর দিকে তাকাতে বলে,নুর সামনের দিকে তাকিয়ে দেখে শত শত জোনাকি পোকা একসাথে উড়ে বেড়াচ্ছে, নুর ওদিকে দৌড় দিল আর একটু সামনে গিয়ে দেখলো একটা নদীর পাড়।সাদনান নুরের পেছনে পেছন গেল,নুর খুশিতে লাফানো শুরু করছে কারন খুব মনোমুগ্ধকর একটা পরিবেশ,,,,
সাদনান এসে নুরের পাশে দাড়ালো,আর নুর আবার সাদনানকে বকতে শুরু করলো,সাদনান নুরের মুখে চেপে ধরলো আর কিছু বলার আগেই সাদনান নুরকে পাশের একটা গাছের সাথে চেপে ধরে,সাদনান একদম নুরের শরীর ঘেষে দাড়িয়ে আছে আর নুরের দুইহাত সাদনান একহাত দিয়ে ধরে আছে,সাদনান নুরের দিকে তাকিয়ে দেখে,চাদের আলোয় নুরকে খুব মোহনীয় লাগছে,আর সাদনানকে নুরের ঠোঁটটা বেশি টানছে সাদনান কিছু না ভেবে নুরের ঠোঁটে ঠোট বসায় ।
নুর সাদনানের হাত থেকে নিজের হাত ছুটানোর জন্য চেষ্টা করছে, কিন্ত সাদনানের সাথে পেরে উঠছে না।সাদনানের কোন ঘোর লেগে গেছে,,, সাদনানের ঠোঁটে নুর কামড়ে ধরে, সাদনান চোখ বন্ধ করে নেয়।এবার সাদনান নুরকে ছেড়ে দেয়,আর এক দৌড়ে গাড়ির কাছে গিয়ে সিটে বসে পড়ে,,,নুর এভাবে যাওয়াতে সাদনানের নিজের মধ্যে খুব গিলটি ফিল করে,,,।সাদনান ওর ঠোঁটে হাত দিয়ে দেখে রক্ত, সাদনান রুমাল দিয়ে ঠোঁট মুছে গাড়ির কাছে যাই।

সাদনানঃ(সরি আসলে আমি এরকমটা করতে চাই নি,আমি নিজেকে কনট্রোল করতে পারি নি,আর তোমার সাথে যখনই কথা বলি তুমি ফালতু কথা বলে মাথা খারাপ করে দাও,এজন্য আমি রেগে গেছি।আমাকে মাফ করে দাও, আমি আর এরকম করবো না।)
মনে করো না উপরের কথা গুলো এখন তোমাকে আমি বলবো,,,,নো ডিযার তোমাকে তো রোমান্টিক ডোজ দেওয়া কেবল শুরু করলাম,ঢেলে দেওয়ার দিন শেষ,ডোজ দেওয়ার বাংলাদেশ ।তোমাকে আমি সুন্দর একটা মূহুর্ত উপহার দিতে চেয়েছিলাম বাট আমি ভুলে গিয়েছিলাম তুমি সোজা পথে চলা মেয়ে না।(রেগে রেগে কথা গুলো বললো)
নুরঃআপনি যে অসভ্য একটা লোক, আপনি সেটা নিজে থেকেই প্রমান করলেন।আপনি আগেই বলতেন আমার শরীর ভালবাসেন,তাহলেই তো আমি আপনাকে সপে দিতাম।প্রথম রাতেই আপনি আপনার জানোয়ারের রুপ ধারন করতেন,কেন ভদ্র সেজে আছেন।নিজের ভদ্র রুপ ছেড়ে এখন জানোয়ারের রুপ বের হয়ে গেলো তো,
,।(চিৎকার করে)
সাদনান নুরকে ঠাস করে চড় মেরে দেই,কারন সাদনান নুরের এসব কথা শুনে আরো রেগে যাই।
সাদনানঃচুপ একদম চুপ,আর একটা কথা বললে এখানেই মেরে পুতে দিবো,তুমিই প্রথম মেয়ে যে আমাকে এত কথা শুনাও, তোমার জায়গায় অন্য কেউ থাকলে,তাকে কি করতাম নিজেও জানি না।
আমি তোমাকে ভালবাসি নুর, আর এজন্য তোমার এত কথা শুনি চেপে যাই, বাট আজ এখন থেকে ডেবিল রুপ দেখবে তুমি,আর আমি জানোয়ার না,তুমি আমার বিয়ে কথা বউ,বৈধ অধিকার নিয়ে তোমার শরীরে টাচ করছি আমি,,,।আমি জানোয়ার নাআআআআআআ ,(চিৎকার করে)

সাদনান আর কিছু না বলে গাড়ি স্টার্ট দেয়,আর খুব জোরে গাড়ি ড্রাইভ করা শুরু করে,নুর সাদনানের হাতের মার খেয়ে চুপ করে বসে আছে,আর ফুসফুস করে কাঁদছে। সাদনান নুরের দিকে তাকিয়ে একটা ধমক দিয়ে,,
সাদনানঃআর একবার যদি কান্না সাউন্ড আমার কানে আসে,তোমাকে কি করবো তুমি কল্পনাও করবো না ,ফাজিল মেয়ে সব সময় আমাকে রাগিয়ে না দিলে হয় না,
নুর আমার ভয় লাগছে, আপনি আস্তে ড্রাইভ করেন।
সাদনানঃতুমি কান্না থামাবে নাকি আরেক গালে দিতে হবে কোনটা,শুনতে পেলে নাকি আবার বলতে হবে!!!!!
নুরঃ শু শু শুনতে পেয়ে,,ছি
সাদনানঃহুমম মনে থাকে যেন,(নুরের দিকে রাগী চোখে তাকিয়ে )

ওরা ওদের বাসায় পৌঁছে গেল,সাদনান নুরকে এড়িয়ে যাচ্ছে ,নুর ওর বাসায় গিয়ে সবার সাথে টুকটাক কথা বলে ওর রুমে চলে গেছে,আর সাদনান একটু কাজ আছে বলে গাড়ি নিয়ে আবার বেরিয়ে পড়ে।
সাদনান আজ নুরের কথাতে খুব কষ্ট পেয়েছে,এক জায়গায় গাড়ি থামিয়েছে আর নিচে নেমে একটা গাছের পাশে দাড়িয়ে, নিজের হাতটা গাছের সাথে আঘাত করেই যাচ্ছে,সাদনানের হাত থেকে রক্ত ঝরছে,,বাট সাদনান থামছে না।
কারন আজ নুরকে এই হাত দিয়ে মেরেছে,,হাতের পাওয়া আঘাতের থেকে মনে পাওয়া আঘাত টা বেশি মনে হচ্ছে কারন নুর ওকে ওর শরীর পাওয়া কথা বলছে,সাদনানকে জানোয়ারের সাথে তুলনা করছে,,,এটা সাদনান মানতে পারছে না।
চলবে,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here