ধূসর প্রেমের অনুভূতি পর্ব -১৫

#ধূসর_প্রেমের_অনুভূতি
#ফারহানা_ছবি
#পর্ব_১৫
.
.
.
আমি অনেক চেষ্টা করেও সেদিন ফারহাকে বাঁচাতে পারি নি কিন্তু সেদিন ফারহা নিজে নিজেকে বাচাঁতে সক্ষম হয়৷ ফারহা সেদিন নিজেকে বাঁচাতে বিয়ারের বোতল ভেঙে নিগ্রো ছেলে গুলোকে আঘাত করে৷ ফারহা তখন নিজেকে বাঁচাতে এতোটাই মরিয়া হয়ে উঠেছিলো যে ছেলে গুলোকে মারাত্নক গভীর ভাবে আঘাত করে৷ ছেলে গুলো নেশাগ্রস্ত থাকায় নিজেদের কে বাঁচাতে সক্ষম হয়নি কিন্ত ছেলে গুলো সেদিন ফারহার আঘাতে মৃত্যু ঘটে ৷ এটাই ছিলো ফারহার জীবনের ধসের শুরু আদিল৷

” মানে আপুকে পুলিশে ধরেছিলো?”

” পুলিশে ধরার পূর্বে কিং ফায়ারের লোক ফারহা ফারিহা আর আমাকে তুলে নিয়ে যায়৷ আসলে ছেলে গুলো কিং ফায়ার যে কিনা একজন টেরোরিস্ট ৷ ছেলে গুলো কিং ফায়ারের হয়ে কাজ করতো৷ আর এভাবে খুন হওয়ায় কিং ফায়ার আমাদের পুলিশের এজেন্ট ভেবে তুলে নিয়ে যায়৷ ওখানে আমাদের চারদিন একটা অন্ধকার রুমে বন্দি করে রেখেছিলো৷ ওই চারদিন আমাদের কোন খাবার বা পানি দেয় নি ওরা৷ কিন্তু হঠাৎ পাচঁদিনের মাথায় কিং ফায়ার নিজে এসে আমাদের সামনে দাড়ায় ৷

রাফি তনুকে আটকে দিয়ে বলে,” তনুপু কিং ফায়ার তোমাদের চারদিন বাঁচিয়ে রেখেছিলো কেন? না মানে ওরা তো ওদের শত্রুদের বাচিঁয়ে রাখে না?”

” ইউ আর রাইট রাফি কিন্তু এখানে একটা কথা আছে ৷ এই টেরোরিস্টরা নিজেদের স্বার্থ ছাড়া এক পাও এগোয় না৷ সেখানে আমাদের মতো এশিয়ান মেয়েদের কি করে ছেড়ে দিবে? ফারহা যেভাবে ছেলে গুলো কে মেরেছিলো সেটা দেখে কিং ফায়ার রাগে না বরং আমাদের সাথে ভিষণ নরম হয়ে কথা বলে৷ সে দিন কিং ফায়ার ফারহা আর ফারিহার সামনে এসে রিভলবার ফারিহার মাথায় তাক করে বলে৷ ”

” মিস ফারিহা আর ইউ রেডি ?”(কিং ফায়ার)

” আমাকে কেন মারবেন আপনি? আমি তো আপনার লোকদের মারি নি?” কাঁপা কাঁপা গলায় উওর দিলো ফারিহা৷

” আই নো বেবি ইউ আর নট আ কালপিট ৷ বাট ইউ নো বেবি তোমাকে যে মরতেই হবে৷ ” কিং ফায়ার উদ্ভুত ভাবে হাসতে লাগলো৷ ফারহা তনু দুজনে ভয়ার্ত চোখে তাকিয়ে আছে কিং ফায়ারের দিকে হঠাৎ করে ফারহা তার অদম্য সাহস নিয়ে কিং ফায়ারের হাত থেকে রিভালবার ছিনিয়ে নিয়ে কিং ফায়ারের দিকে তাক করে বলে,” নাও ইটর্স মাই ট্রার্ন কিং ফায়ার৷ এশিয়ান মেয়ে ভেবে দূর্বল ভেবে তোমার বোকামি টা না প্রকাশ করলেও পারতে৷ ”

কিং ফায়ার ফারহার সাহস দেখে রহস্যময় হাসি দিয়ে বলে উঠলো ,” ইউ ফারহা রাইট? ”

” ইয়েস আ’ম ফারহা”

” ইয়াহ ফারহা খান ৷ ডটার অফ ফায়েজ খান ৷ বাংলাদেশের বিশিষ্ট শিল্পপতি ইউর ড্যাড রাইট সুইটহার্ট?”

ফারহা তার শুকনো ঠোঁট জোড়া জিব্বাহ দিয়ে ভিজিয়ে বলে, ” ইয়েস বাট আপনি কি করে জানলেন?”

” ওহ বেবি একটা তুমি একবার আপনি বলা বন্ধ করে তুমি বলো৷ আর এতো কিছু জানলাম কি করে? কিং ফায়ারের কাছে কিচ্ছু অজানা নয় মিস ফারহা খান৷ এখন কাজের কথায় আসি৷ আমি চাইলে তোমাদের তিনজনকে এখানে শেষ করে দিতে পারি বাট আই ডোন্ট ডু দিস ৷”

ফারহা রিভলবারের ট্রিগারে আঙ্গুল রেখে বলে , কে কাকে শেষ করবে সেটা তো আমার হাতের রিভালবার বলবে কিং ফায়ার ৷”

” সিলি গার্ল ৷ আমার ডেরায় এসে আমাকে মারবে? হা হা হা নিজের আশে পাশে একটু চোখ বুলিয়ে নিও বেইব৷”

তনু ফারহা ফারিহা আশে পাশে তাকিয়ে দেখে অনেক গুলো লোক তাদের দিকে আগ্নিয় অস্র তাক করে দাড়িয়ে আছে ৷ ফারহা জানে নিজে এখনে কিছু করতে পারবে না যা করার বুদ্ধি খাটিয়ে করতে হবে৷ এদিকে ফারিহার কোন হেলদোল নেই সে নিজের মতো বসে আছে৷ ফারহা রিভলবার নামিয়ে কিং ফায়ারের দিকে এগিয়ে যেতে পেছনের লোক গুলো শুট করতে নিলে কিং ফায়ার ইশারায় বারণ করে৷ ফারহা কিং ফায়ারের সামনে দাড়িয়ে বলে,” আপনার লোকেরা আমাকে অসন্মান করতে চেয়েছিলো বিধায় আমি ওদের কে মারতে বাধ্য হয়েছিলাম এতে আমার কোন দোষ নেই কিন্তু আপনি এভাবে আমাদের তুলে কেন এনেছেন? কি চাই আপনার?”

” যদি বলি তোমাদের, তখন কি করবে?”

” নিজেকে শেষ করে দিতে দু’বার ভাববো না৷ ”

” তাহলে বাংলাদেশে তোমার মম ড্যাড তোমার প্রিয় কাজিন’স তাদের কে যে আমার লোকেরা আমার একটা নির্দেশে মেরে দিতে দু’বার ভাববে না মিস ফারহা৷ ”

কিং ফায়ারের কথা শুনে ফারহার পুরো শরীর কাঁপছে ৷ কি করবে ভেবেই মাথা ঘুরছে ফারহা৷ তনুরও একি অবস্থা , মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে তনু, অনেক কষ্ট করে লন্ডনের মাটিতে পা রেখেছে পড়া শুনা করবে বলে ৷ আর এখন এমন ঝামেলায় পড়ে গিয়ে তনু যেন অথৈই সমুদ্রে হাবুডুবু খাচ্ছে৷ কিন্তু এখন কিং ফায়ারের কথা মানা ছাড়া যে তনুর কোন পথ খোলা নেই এটা তনু বুঝতে পেরেছে৷

ফারহা আবার ও কিং ফায়ারকে প্রশ্ন করে,” আপনি আমাদের মতো সামান্য মেয়েদের কাছে কি চান কিং ফায়ার ? ”

” বললাম না তোমাদের চাই৷ আর তোমরা মটেও সাধারণ নও বেবি ৷ তোমরা সাধারণের মাঝে অসাধারণ৷ যাদেরকে আমি এতোদিন ধরে খুজে বেড়াচ্ছি তাদের কে পেয়ে হাড়িয়ে যেতে দিবো এটা তুমি ভাবলে কি করে বেবি?”

” যা বলতে চান ক্লিয়ার করে বলুন কিং ফায়ার৷”

” ওকে দেন তোমাদের সহজ ভাষায় বুঝিয়ে বলছি৷ আজ থেকে তোমরা তিন জন আমার হয়ে কাজ করবে ৷”

” অসম্ভব ” এক সাথে ফারহা তনু বলে উঠলো ৷ কিন্তু এর মাঝে ফারিহা বসা থেকে উঠে কিং ফায়ারের গলা জড়িয়ে ধরে বলে,” আমি তোমার হয়ে কাজ করবো সুইটহার্ট বাট এর পরিবর্তে আমার মানি চাই৷”

কিং ফায়ার ফারিহার কথা শুনে ঠোঁটের কোনে বাঁকা হাসি ফুটে উঠলো আর অন্য দিকে ফারহা আর তনুর মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়লো ফারিহার কথা শুনে৷

ফারহা তনু ফারিহাকে কিং ফায়ারের কাছ থেকে সরিয়ে এনে বলে,” ফারিহা তুই কি পাগল হয়ে গেছিস? কি বলছিস এই সব?”

” সাটআপ ফারহা , আমি আমার ডিসিশন নিয়েছি আর তোরা তোদের , এখানে পাগল হওয়ার কি আছে৷ আমার মানি চাই কিন্ত তোদের মানি চাই না তো করিস না কাজ কিন্তু আমাকে বাধা দিতে আসিস না তোরা তাহলে এর ফল ভালো হবে না৷”

ফারিহার কথা শুনে তনু ফারহা দুজনে স্তম্ভিত ৷ কারো মুখে কোন কথা নেই৷ ফারিহা কিং ফায়ারের সামনে গিয়ে আবার বলতে লাগলো ,” কিং ফায়ার আমি আপনার দলে যোগ দিতে চাই ৷ কিন্তু আমার বোন আর বান্ধবী যোগ দিবে কিনা জানি না ৷ তবে আমি কাজ করবো আপনার সাথে৷”

কিং ফায়ার ফারহা আর তনুর দিকে বাঁকা চোখে তাকিয়ে ফারিহাকে বলতে লাগলো,” সুইটহার্ট তোমার বোন আর বান্ধবীও তোমার মতো আমার সাথে কাজ করতে রাজি হবে যাস্ট ওয়ান সেকেন্ড৷ ”

কিং ফায়ারের ইশারা পেতে হ্যারি তার ফোনে একটা ভিডিও অন করব তনুর হাতে দেয়৷ তনু ভিডিও টা দেখে ধপ করে বসে পরে বলে উঠলো ,” আ,, আমি রাজি কিং ফায়ার ৷ আমি আপনার সাথে কাজ করতে রাজি৷”

ফারহা প্রথমে কিছু বুঝতে না পারলেও হ্যারি তার ফোনটা যখন ফারহার হাতে দেয় তখন ফারহা বিস্ময় হয়ে তাকায় কিং ফায়ারের দিকে, ফারহার দৃষ্টি ভঙ্গি কিং ফায়ার দেখে বলে,” নাও ইউ টেল মি বেবি? আমার দলে যোগ দিবে কি দিবে না? যদি উওর হ্যাঁ হয় তাহলে তোমার মম ড্যাড আর কাজিনস বেঁচে যাবে৷ আর যদি না হয় তাহলে আমার একটা ফোন কলে পেতে ওরা তোমার মম ড্যাড আর কাজিনদের এখুনি শেষ করে দিবে৷ ”

ফারহা চোখ বন্ধ করে দীর্ঘ শ্বাস ফেলে কিং ফায়ারকে বলে , ” আমি রাজি৷ তবে একটা কথা আপনাকে আমি শুরুতেই জানিয়ে দিচ্ছি আমার এই দেশে আশার মূল কারণ স্টাডি ওা কম্পিলিট করতে চাই৷”

“হুয়াই নট ৷ তোমরা তোমাদের স্টাডি চালিয়ে যাও৷ আর একটা কথা এই দলে তোমাদের আসল নাম চলবে না ৷ এখানে ঢুকলে সবার নতুন নামে অভিসেক হয় ৷ আজ থেকে তুমি (ফারহা) আরু আর তুমি(ফারিহা)মারু আর তুমি তনু তোমার নাম হলো জেরি ওকে?”

” ওকে ৷”

” হ্যারি ওদের কে হোস্টেলে পৌছে দিয়ে এসো৷”

” ওকে কিং ফায়ার ৷”

৩২.
____________

” ছিঃ ফারিহাপু ছিঃ তুমি এতোটা নিচ ৷ এতো নিকৃষ্ট আরে তুমি তো বোন নামের কলঙ্ক৷ তোমার মতো নোংরা মেয়ে আমি জীবনে দ্বিতীয়টা দেখেনি৷ আর ফারহা আপু তুই কেন ওকে বাচিঁয়ে রেখেছিস এখনো? মেরে দিস নি কেন? ওর মতো মেয়ের তো বেঁচে থাকার কোন অধিকার নেই৷ ” রাগে ফুসতে ফুসতে বললো আদিল৷

এদিকে রাফি এতোটাই রেগে গেছে যে নিজের হাতে ফারিহাকে মারার জন্য উদ্ধত হয়৷ কিন্তু তনু রাফিকে আটকে দিয়ে বলে , ” শান্ত হও রাফি ৷তোমাকে কিচ্ছু করতে হবে না যা করার ফারহা করবে৷ ফারিহার জন্য আমাদের জীবনটা নষ্ট হয়ে গেছে আর ওকে আমরা ছেড়ে দিবো এটা ভাবলে কি করে?”

” তাহলে এতো গুলো বছরে কেন মারো নি এই নোংরা মেয়েটিকে?”

” কারণ আমরা সঠিক সময়ের অপেক্ষায় ছিলাম৷ হুট করে যদি ওকে আমরা মেরে দিতাম তাহলে কিং ফায়ার বুঝে যেত ফারিহাকে আমরা মেরেছি৷ কারণ ফারিহাকে মারার জন্য ওর কাছে আগে পৌছাতে হতো তাদের কিন্তু ফারিহাকে শেষ করতে বাইরের কেউ পারবে না৷ ওকে শেষ করতে হলে নিজেদের লোক প্রয়োজন ছিলো ৷ আর আজ তা পেয়ে গেছি ৷ উহু এটা ভেবো না যে ওকে আমরা শেষ করবো৷ ওকে আমরা না বরং কিং ফায়ার নিজের হাতে শেষ করবে৷ ”

” কিন্তু কিভাবে তনুপু?” (আদিল)

ফারহা তনুকে ইশারা করতে তনু রুম থেকে বেড়িয়ে গিয়ে দু’মিনিট পর একটা ইনজেকশন নিয়ে ফিরে আসে৷

ফারিহা দাঁত কিড়মিড় করে ফারহার দিকে তাকিয়ে বলে,” এক বার আমি ছাড়া পাই ফারহা , তোকে আমি নিজের হাতে শেষ করবো৷ সেবার তোকে ছেলে গুলোর হাতে তুলে দিয়ে ভেবেছিলাম ওরা তোকে রেপ করে মেরে ফেলবে কিন্তু তার আগে তুই ছেলে গুলোকে মেরে ফেললি৷ জানিস ছোট্ট বেলা থেকে তোকে আমার সহ্য হতো না৷ সব কিছুতেই তোকে সমান ভাগ দিতে হতো৷ সেটা খাবার হোক বা খেলনা বা মম ড্যাডের ভালোবাসা৷ যেটা আমি কখনো চাইতাম না৷ শুধু চাইতাম সবটা শুধু আমি পাবো৷ মজার কথা কি জানিস? তোর মেঘরাজকে আমিও ভালোবাসতাম কিন্তু মেঘ বরাবর তোকে ভালোবাসতো৷ আচ্ছা আমরা তো জমজ তাহলে আমাকে কেন ভালোবাসতে পারলো না মেঘ? কেন? কি খুত আছে আমার ভিতরে? আমরা তো একি রকম দেখতে তাহলে? তাই প্লান করলাম এবার তোকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিবো কিন্তু দেখ তোকে তো সরাতে পারলামই না বরং তুই কিং ফায়ারের ডান হাত হয়ে গেলি ৷ আর মেঘকেও পেয়ে গেলি আর আমি কি পেলাম? বল কি পেলাম?”

ফারহা শীতল গলায় বলে উঠলো ,” মৃত্যু ৷”

ফারহার এমন শীতল গলা শুনে ফারিহা চমকে উঠলো৷ ফারহা ফারিহার হাতে ইনজেকশন টা ইনজেক্ট করে দিয়ে সবাই কে বলে,” আদিল রাফি তনু তোরা দ্রুত তোদের জিনিস পত্র নিয়ে বেড়িয়ে যা ফ্লাট থেকে , তোদের কোন জিনিস যেন এখানে পড়ে না থাকে ৷ আর রাফি এই ফ্লোর + মেইন গেটের কাছে থাকা সি সি ক্যামেরা ফুটেজ ডিলিট করে দিবে৷ আমরা যে এখানে এসেছিলাম তার যেন কোন প্রমান না থাকে ৷ এভ্রিথিং ইজ ক্লিন এন্ড নিড থাকে যেন ৷”

” ওকে দি৷ কিন্তু এই মেয়েটাকে (ফারিহাকে উদ্দেশ্য করে) কি করবে?”

” ফারিহা এখানে থাকবে৷ বাকিরা দ্রুত বের হও ৷”

ফারহা ফারিহার হাত পায়ের বাধন খুলে দিয়ে ফারহাকে ধরে বেড রুমে নিয়ে গিয়ে শুইয়ে দিয়ে আগের রুমটা ক্লিন করে ফেলে৷

এদিকে রাফি আদিল বাকি কাজ সেরে তনু আর ফারহাকে নিয়ে খান মন্জিলে প্রবেশ করে৷

অন্যদিকে হ্যারি ফারিহাকে ট্রেস করে তার লোকজন নিয়ে আদিলের ফ্লাটে ফারিহাকে নেশাগ্রস্থ অবস্থায় পায়৷ হ্যারি ফারিহাকে ওই অবস্থায় তুলে নিয়ে যায়৷

________________

৩৩.

অপারেশনে সাকসেসফুল হওয়া হেড কোয়াটার্সে সিনিয়র অফিসার তারেক শেখ ছোট্ট করে লাঞ্চের পার্টির ব্যবস্থা করে৷ মেঘের সেদিকে মন নেই ৷ মেঘের মনে ফারহা ফারিহাকে নিয়ে সন্ধেহটা যেন আরো দৃঢ় হয়ে উঠলো খান মন্জিলে ফোন করে ফারহা ফারিহা কাউকে না পেয়ে৷ মেঘ নিজের সন্ধেহ আর কৌতুহল দমিয়ে রাখতে না পেরে তারেক শেখের কেভিনের সামনে গিয়ে নক করে,,,
.
.
.
#চলবে……….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here