#না_চাইলেও_তুই_আমার_02
#Writer_Sarjin_Islam [ সারজীন ]
#Part:5
মিরা নীলার দিকে তাকায়। নীলা একবার মিরার দিকে তাকিয়ে অন্য দিকে চোখ ঘুরিয়ে বলতে শুরু করে।
—” অভ্রর সাথে আমার প্রথম দেখা হয় একটা পার্টিতে। আমাদের চোখাচোখি হয় কয়েকবার কিন্তু কেউ কারো সাথে কথা বলিনি। তারপর আর ওর সাথে দেখা হয়নি। এই ঘটনার মাস দুয়েক পর ভার্সিটিতে থেকে খাগড়াছড়ি টুরে যাই। খাগড়াছড়ি যাওয়ার দুইদিন পর ওর সাথে আবার দেখা হয় রেস্টুরেন্টে। আমি ফ্রেন্ডদের সাথে ছিলাম আর ও এসেছিলো বিজনেস মিটিংয়ে। তারপরের দিন সকালে ঢাকায় চলে আছি আমরা। কিছুদিন এইভাবে কেটে গেলে একদিন রাতে অচেনা নাম্বার থেকে ফোন আসে, রিসিভ করে জানতে পারি ওটা অভ্রর নাম্বার, অভ্র কোনো ভাবে আমার ফোন নাম্বার মেনেজ করেছে, এরপর শুরু হয় আমাদের ফোনে কথা বলা। হঠাৎ করে একদিন অভ্রর দেখা করতে চায়, আমিও যাই দেখা করতে, কিছু বুঝে ওঠার আগেই ও আমাকে প্রপোজ করে ফেলে। প্রথমে আমি ওকে না করে দেই কিন্তু ও নাছর বান্দা, অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে আমাকে রাজি করায়।
নীলা একটুকু বলে থামে, মিরা নীলার দিকে তাকিয়ে বলে,
—” তারপর কী হলো?”
—” তারপর আমাদের মধ্যে সবকিছু ঠিকঠাক ই চলছিলো কিন্তু আমি ওর পরিচয় ভালো ভাবে জানতাম না। একদিন কী মনে করে ওর পরিবারের কথা জানতে চাই, ও বলে ওর বাবার নাম ফাহিম আহামেদ আর ওর দাদার নাম মুনির আহামেদ।”
মিরা কপাল কুঁচকে বলে,
—” এরা আবার কারা?”
—” মুনির আহামেদ হলো তোর নানা আর ফাহিম আহামেদ তোর বড় মামা।”
—” ও বাবা এদেখি একটা পর একটা চমক দিয়েই চলেছে। তারপর কী হলো?”
—” তারপর আর কী আমি আর অভ্রর সব সময় ভয়ে ভয়ে থাকতাম কখন এই দুই পরিবারের সবাই সবটা জেনে যায় এই ভয়তে। অভ্র আমার পরিচয় আগে থেকে জানেও আমাকে ভালোবেসেছে।”
মিরা এবার প্রচন্ড বিরক্ত হয়ে বলে,
—” তাহলে সুইসাইড করছিলে কেনো?”
—” কিছুদিন আগে অভ্র আমাকে বলছিলো ওদের বিজনেসের জন্য ওকে কিছুদিনের জন্য জার্মান যেতে হবে কিন্তু ও জার্মান যাওয়ার কয়েকঘণ্টা আগে বর্ষা ইশা নামে একটা মেয়ের ফেসবুকে একাউন্ট থেকে অভ্রকে ট্যাগ করে Got Engaged দিয়ে স্ট্যাটাস দেয়, তা দেখে আমার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ে, আমি অভ্রকে ফোন দেই কিন্তু অভ্রর ফোন বন্ধ ছিলো, তখন অভ্রকে ভুল বুঝি। অভ্র আমার সাথে চিট করছে, নানান কথা মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিল তখন ভুল বসতো সুইসাইড করি। হসপিটালে থেকে বাড়ি ফিরে ঠিক করি আর অভ্র নামক খারাপ মানুষটার কথা ভাববো না, এখন থেকে নিজের জন্য বাঁচবো, নিজের পরিবারের জন্য বাঁচবো। কিন্তু কাল সন্ধ্যার পর অভ্র নিজে আমাকে ফোন করে, ধরবো না মনে করেও আবার কী মনে করে ফোন টা ধরি, ফোন ধরে ওকে যা নয় তাই বলি, ও সবকিছু শুনে বলেছিলো বর্ষা ইশা হলো ওর ছোট চাচির ভাইয়ের মেয়ে। ও কেনো এমন করেছে অভ্র তা জানে না, ও না কী দেশে ফিরে ইশার সাথে কথা বলবে।”
নীলা থেমে মিরার দিকে তাকিয়ে দেখে মিরা মাঠে শুয়ে আছে আর ওর পাশে ওর পাশে নীলার ফ্রেন্ডরা বসে আছে গালে হাত দিয়ে। সিজা নীলা দিকে তাকিয়ে মিমিকে বলে,
—” আমাদের নীলা কত বড় গাঁধী চিন্তা করে দেখ মিমি সামান্য একটা ফেসবুক স্ট্যাটাস দেখে না হলে কেউ সুইসাইড করে?”
নীলা ওর কথা শুনে মাথা নিচু করে আছে। অনি বলে,
—” সবকিছু তো বুঝলাম কিন্তু মিরার নানাবাড়ির সাথে তোদের কিসের ঝামেলা?”
মিরা ওদের কথা মাঝে বলে,
—” আরে ঝামেলা না ওটাকে বিশ্ব যুদ্ধ বলে।”
মেঘ অবাক হয়ে বলে,
—” মানে?”
নীলা আবার বলতে শুরু করে,
—” মামা মামী মানে মিরার বাবা মা দুজন দুজনকে ভালোবেসে বিয়ে করেন। তাদের ভালোবাসার কথা দুই পরিবারের সবাই জানতো কিন্তু মিরার নানা মামীকে মামার সাথে বিয়ে দিতে রাজি ছিলো না। তিনি চেয়েছিলেন তার বন্ধুর ছেলের সাথে বিয়ে দিতে। মামী তার বাবার বিরুদ্ধে গিয়ে মামাকে বিয়ে করে তাই আজ পর্যন্ত মামীর বাবা না তাদের সাথে কোনো কথা বলছে না কারো সাথে কোনো যোগাযোগ রাখছে।”
মিমি হতাশার সুরে বলে,
—” নীলা রে তুই আর ছেলে পেলিনা প্রেম করার জন্য? আগের প্রবলেম শেষ করার আগেই নতুন আরেকটা প্রবলেম শুরু হয়ে গেছে।”
নীলা মন খারাপ করে বলে,
—” আমি জানতাম না কী ও ঐ বাড়ির ছেলে? তাহলে ওর থেকে একশো হাত দূরে থাকতাম।”
রাতুল বলে,
—” এখন মন খারাপ করে কী হবে! এখন ভাব এই সমস্যার সমাধান কী হবে?”
মিমি বলে,
—” রাতুল একদম ঠিক কথা বলছে। এখন তাই করতে হবে!”
হঠাৎ করে মিরা বলে উঠে,
—” যার জন্য এই সমস্যা তাকে এখন কিছু না বলতে পারলে আমি শান্তি পাবো না।”
—” কার কথা বলছিস তুই?”
মিরা ফোন হাতে নিয়ে বলে,
—” তোমার ইডিয়েটের দাদার মেয়ের বরের কথা বলছি।”
মিরার কথা শুনে সবাই হা করে তাকিয়ে আছে। মিরা ওদের দিকে না তাকিয়ে ফোন করে ওর পাপা কে।
__________________________________________
মিহান দুদিন হলো চট্টগ্রামে এসেছে। কাজের ব্যস্ততায় কারো সাথে কথা বলা হয়ে উঠেনি। আজকের মধ্যে কাজ শেষ করতে পারলে কাল সকালে রওনা দিবে ঢাকার উদ্দেশে। মিহানের শত ব্যস্ততার মাঝেও সময় করে ফোন করে ওর মমকে।
—” হ্যালো মম।”
—” হ্যা মিহান কেমন আছিস তুই? ঠিক মত খাওয়া দাওয়া করছিস তো?”
—” মম তুমি আমাকে নিয়ে চিন্তা করো না আমি একদম ঠিক আছি। এখন বলো তোমরা কেমন আছো?”
—” তোদের নিয়ে চিন্তা করবো না তো কাদের নিয়ে চিন্তা করবো? আর আমরা সবাই ভালো আছি।”
—” অনু কোথায় কলেজে?”
—” হ্যা। আর কিছু বলবি?”
—” না আর কী বলবো? কেনো কী করবে এখন?”
—” তোর পাপা ফোন করছিল, অফিসে যেতে হবে কী কাগজে না কী সিগনেচার করা লাগবে।”
—” আচ্ছা, সাবধানে যেও রাখি এখন।”
—” হুম। তুইও সাবধানে থাকিস।”
—” স্পেশাল কেউ?”
মিহান কারো কথা শুনে পিছনে তাকিয়ে দেখে ডাক্তার শিশির। মিহান হালকা হেসে বলে,
—” হুম খুব স্পেশাল।”
—” সে কে?”
—” মম।”
ডাক্তার শিশির হতাশার সুরে বলে,
—” অহহহ, আমি মনে করেছি আপনার মনের মানুষ।”
ডাক্তার শিশিরের কথা শুনে মিহান হাসে।
—” সে যাইহোক আপনার মনের মানুষ আছে?”
মিহান হাসি থামিয়ে বলে,
—” আছে তো।”
—” নিশ্চয়ই খুব ভালোবাসেন একে অপরকে?”
মিহান আনমনে বলতে থাকে,
—” সে বাসে কী না জানি না কিন্তু আমি তাকে খুব ভালোবাসি। আমি জানি সে তার কথা রাখবে আমার কাছে ফিরে আসবে। একবার সে আমার ভালোবাসার সীমানায় পা রাখুক তারপর দেখি সে কী করে আমার ভালোবাসার মায়া জাল থেকে বের হয়। সে শুধু আমার!
চলবে ________
#না_চাইলেও_তুই_আমার_02
#Writer_Sarjin_Islam [ সারজীন ]
#Part:6
সবে মিটিং শেষ করে ক্লইন্টদের সাথে কথা বলছিলো মিরার পাপা। ফোনের শব্দে পকেট থেকে ফোন বের করে স্ক্রিনে তাকিয়ে দেখে মিরা ফোন করেছে। খুশি মনে ফোন রিসিভ করে কিছু বলার আগেই ওপাশ থেকে মিরা বলতে শুরু করে,
—” ঐ মাম্মার বর!”
মিরার পাপা বুঝে গেছে মিরা কোনো কারনে তার উপর রেগে আছে।
—” কী হয়েছে মামনি রেগে আছিস কেনো?”
—” কেনো আবার তোমার জন্য।”
মিরার পাপা অবাক হয়ে বলে,
—” আমি আবার কী করলাম?”
—” কী করলাম মানে? পৃথিবীতে এতো মেয়ে থাকতে তোমাকে ঐ ডাকাত বাড়ির মেয়েকে বিয়ে করতে হলো?”
—” কোথায় আমি ডাকাত বাড়ির মেয়েকে বিয়ে করেছি? আমি তো তোর মাম্মাকে বিয়ে করছি!”
—” আমি তোমার শ্বশুর বাড়ির কথা বলছি। কে বলেছিলো তোমাদের পালিয়ে বিয়ে করতে?”
মিরার কথা শুনে মিরার পাপা কাশতে শুরু করে।
—” কী হলো কথা বলছো না কেনো?”
—” হঠাৎ করে তোর কী হলো? আমার শ্বশুর বাড়ি নিয়ে পড়লি কেনো?”
—” নতুন করে কী হবে? যা হওয়ার তো সব হয়ে গেছে!”
—” আমি তোর কথা কিছু বুঝতে পারছি না মামনি?”
—” তোমার বোঝাও লাগবে না। এখন রাখো ফোন, রাতে কথা হবে।”
মিরা ফোন রেখে দিলে, মিরার পাপা বিড়বিড় করে বলে,
—” ফোন করে কি যে বললো কিছুই বুঝলাম না।মেয়েটা কখন কি যে করে নিজেই জানে না। পাগলী একটা।”
__________________________________________
মিরা ফোন রেখে নীলার দিকে তাকায়, মিরা তাকানো দেখে নীলা ঘাবড়ে গিয়ে বলে,
—” কী হলো তুই আমার দিকে এভাবে তাকিয়ে আছিস কেনো?”
—” পাগল হবো আমি তোমাদের যন্ত্রণায় আমি পাগল হয়ে যাবে।”
—” আমি আবার কী করলাম?”
—” না তোমরা কেউ কিছু করোনি সব আমি করেছি। একটা কথা ভালো করে শুনে নেও তোমার ঐ ইডিয়েটকে যদি আমার পছন্দ না হয় তাহলে ওকে এমন মার মারবো না, আর যদি পছন্দ হয় দরকার হলে দুই বাড়ির বিপক্ষে গিয়ে আমি তোমাদের বিয়ে দেবো।”
নীলা করুন চোখে তাকিয়ে বলে,
—” তুই আমাকে ভয় দেখাছিস কেনো?”
মিরা মাঠ থেকে উঠে সোজা হয়ে বলে,
—” ভয় দেখালাম কোথায় আমি শুধু আমার মনের কথা বলছি।”
—” তোর মনে যা আসে তাই তো করিস তুই, আর মামার সাথে ফোনে রাগারাগী করলি কেনো?”
—” মাথা কেমন কেমন করছিলো তাই!”
নীলা কোমরে হাত দিয়ে চোখগুলো ছোট ছোট করে মিরার দিকে তাকায়। এরমধ্যে মিরার ফোন বেজে উঠলে মিরা ফোন নিয়ে সাইডে চলে যায়। নীলার বন্ধুরা এতক্ষন হতবাক হয়ে মিরাকে দেখছিলো, রাতুল মিনমিনে গলায় বলে,
—” নীলা তুই ওর বড় বোন না কি ও তোর বড় বোন?”
—” জানিনা রে! ওর মন মত কিছু না হলে ও আমার বড় বোন হয়ে যায়।”
সিজা বলে,
—” মিরা ওর বাবার সাথে এভাবে কথা বলে উনি কিছু বলে না?”
নীলা হেসে বলে,
—” বলে তো।”
অনি মিমির দিকে একবার তাকিয়ে পরে নীলার দিকে তাকিয়ে বলে,
—” কী বলে, একটু আগে মিরা ই তো ফোনে ধমকা ছিলো।”
নীলা মুখে হাঁসি নিয়ে বলে,
—” বলতে গেলে মিরা প্রায় দিনই মারামারি করে। মিরা কখন কি করে সব খবর মিরা বডিগার্ড মানে ডেনি ভাইয়া মামি আর মামার কাছে পৌঁছে দেয়। মারামারি করে মিরা চলে যায় সোজা মামার অফিসে, মিরা অফিসে যাওয়ার আগে ই ডেনি ভাইয়া ফোন করে মামা মামী কে সব কিছু বলে। মামা অফিসে মিরার জন্য ওর পছন্দের চকলেট আর আইসক্রিম রেডি করে রাখে, মিরা গেলেই মামা সবকিছু বের করে ওর সামনে দেয়, আর মিরার খেতে খেতে মামাকে ডেস্ক্রিবেস করে বলে কীভাবে কীভাবে মেরেছে।”
রাতুল আড়চোখে মেঘকে দেখে মিমিকে বলে,
—” মিমিরে আমাদের মেঘের পছন্দ আছে বলতে হবে!”
রাতুলের কথা শুনে সবাই হা হা হা করে হেসে দেয়। মিরা এরমধ্যে এসে ওদের এমন করে হাসতে দেখে বলে,
—” কী নিয়ে এতো হাসাহাসি করছো তোমরা?”
নীলা কথা ঘুরানোর জন্য বলে,
—” মেঘকে নিয়ে হাসাহাসি করছে। ছার সেসব কথা, কে ফোন করেছিলো?”
—” ডেনি ভাইয়া।”
—” সে কোথায়?”
—” একটা কাজে পাঠিয়েছি।”
—” অহহহ।”
—” আপু তুমি কি এখন এখানে থাকবে না বাড়ি যাবে?”
—” এখন বাড়ি যাবি কেনো ঘুরবি না?”
—” না আজ আর ঘুরবো না। পরে একদিন ঘুরবো।”
—” আচ্ছা চল তাইলে।”
মিরা নীলার বন্ধুদের দিকে তাকিয়ে বলে,
—” বায় গাইস!
নীলার বন্ধুরা সবাই একসাথে বলে,
—” বায়।
নীলা ওদের দিকে তাকিয়ে বলে,
—” চলিরে পরে কথা হবে।”
মিরা আর নীলা ওখান থেকে চলে আসে। বাড়িতে এসে সবার সাথে কিছুক্ষণ কথা বলে ফ্রেশ হতে চলে যায় দুজনে। বেশ কিছুক্ষণ পর মিরা শাওয়ার নিয়ে নিচে নামে। হল রুমে কাউকে না দেখে, মিরা উঁকি দিয়ে দেখে ফুপি আর দাদি কিচেনে কাজ করছে। মিরা সোফায় বসে টিভি দেখতে শুরু করে। এরমধ্যে ডোর বেল বাজলে সার্ভেন্ট গিয়ে দরজা খুলে দেয়, মিরা তাকিয়ে দেখে ডেনি এসেছে। ডেনিকে দেখে মিরা টিভি বন্ধ করে বলে,
—” এতো দেরি হলো যে ডেনি ভাইয়া?”
—” আমি এখানকার রাস্তাঘাট তেমন চিনি না তার উপরে সব ডিটেইল কালেক্ট করতে দেরি হয়ে গেছে।”
—” ঠিক আছে। এবার সবকিছু বলো।”
—” মেম ছেলেটা নাম মিহান চৌধুরী। আকাশ চৌধুরী আর মায়া চৌধুরীর বড় সন্তান মিহান চৌধুরী।মিহানের ছোট বোন আরিশা চৌধুরী সবাই সংক্ষেপে অনু বলে ডাকে। মিহান পেশায় একজন নামকরা ডাক্তার। মিহানের হাতে গোনা কয়েকজন বন্ধু আছে। মেয়েদের সাথে একদম কথা বলে না। সব সময় নিজের অ্যাটিটিউড নিয়ে থাকে। কোনো বাজে অভ্যাস নেই। যাদের যাদের কাছে জিজ্ঞাসা করছি তারা এক কথায় বলছে, মিহানের মত না কি ছেলে হয় না। তার বোন অনু — এই কলেজে পড়ে। মিহান নিজের বোনকে অনেক ভালোবাসে। মিহান হসপিটালের কাজে কিছুদিনের জন্য চট্টগ্রাম গেছে। এক কথায় বলতে গেলে তারা হ্যাপি ফ্যামিলি। আর সবার ফোন নাম্বার, ফেসবুকে একাউন্ট, ছবি সবকিছু আমি ইমেইলে করে আপনার ফোনে পাঠিয়ে দিয়েছি।
— থ্যাংক ইউ ডেনি ভাইয়া। আমার এতো বড় কাজটা করে দেওয়ার জন্য।
—” কিন্তু মেম এই মিহান চৌধুরী দিয়ে আপনি কী করবেন?”
ডেনির কথা শুনে মিরা মুচকি হেসে দেয়।
চলবে….🍁
হ্যাপি রিডিং। ধন্যবাদ!