#নিয়তি
#লেখিকা-👇
#সেলিনা_আক্তার_শাহারা
#পর্ব—১৭
____________________
তুর্জ বেশ আয়েস করে চেয়ারে বসে খাচ্ছে, মনটা বেশ ভালো নন্দিনি সব সত্যিটা জেনেছে, মনটা বড়ই শান্ত, এবার সে ভালোবাসুক বা নাই বাসুুক,
আমার কাছে তো থাকবে এতেই অনেক…….
সোহাম বাড়িতে আসেনি…
সালাম সাহেবের সাথে কথা বলে ডাক্তারদের কাছ থেকে উনার বাড়ি জাওয়ার ব্যাপারে আলাপ করে নিয়েছিলো দুই ভাই,
সালাম সাহেব বেশ খুশি হয়েছিলো কারন পুরো ছেলের দায়িত্ব পালন করছে ওরা.
ডাক্তার জানায় বাড়িতে নিয়ে জেতে পারেন এটা তেমন বড় কোন অপরেশন নয়.
সালাম সাহেব আর কহিনুর বেগম কে বাড়ি পৌছে দিয়েছে.
নন্দিনিও আজকের রাতটা মা বাবার সাথে থাকতে চেয়েছিলো তাই জোর করা হয় নি..
তুর্জ আর সোহাম চলে গেলেও একটা চিন্তা রয়েছে নন্দিনি রাগ হয়ে বাড়ি থেকে বের হয়েছে এখন বাড়িতে কি করে ঢুকাই??
এমনিতে গেলে এনির সন্দেহ হবে!!!!
~~~~~
রাতে সবাই ঘুমিয়ে গেছে তুলিকে সোহাম দিয়ে গিয়েছিলো নন্দিনির কাছে..
কিছুক্ষন তুর্জের সাথে ফোনে কথা বলে শুয়ে পরেছে তারা,
না তেমন প্রেমালাপ নয় ফোনেও ঝগরাই করেছে।
নন্দিনি শুধু বলেছিলো এত ক্ষন কোথায় ছিলেন কখন থেকে কল দিয়ে জাচ্ছি ধরছেন না যে…….
তুর্জ শুধু একলাইন কথা বলার সোজগ পেয়েছিলো..
আমিতো এনির রুমে ছিলাম ওর নাকি ভয় ভয় লাগছিলো তাই কিছুক্ষন——!
বাস হয়ে গেলো আর কিছু বলার চান্স হয় নি তুর্জের যা নয় তাই বলে গেছে নন্দিনি লুচ্চা লোক অন্য মেয়ের ঘরে তর রাতে কি দারা কাল আসি তার পর তর এক দিন কি আমার একদিন..
তোকে আমি সয়তান ইতর বদমাইশ…
তুর্জের কানের কাছে মোবাইল ধরে সব শুনছে তাও উওর দিচ্ছেনা কারন এই বকাঝকার মাঝে যে নন্দিনির ভালেবাসা লুকিয়ে আছে.
মুখ ফুটে না বললেও তার বলা প্রতিটা শব্দে তুর্জের জন্য অঢালা ভালোবাসার প্রকাশ পায়।
….
অনেক রাত হয়েছে উল্টো পাশ ফিরে শুয়ে আছে সপ্না,
আজকাল সোহামের অবহেলা দেখে আর সপ্নাও তেমন কথা বলে না। কি বলবে এই মানুষটা এত টা পাল্টেছে এখন দেখলেও কেমন অচেনা মনে হয়।
সোহামের চোখ দুটো এখন বন্ধ হয় নি..
সোহাম বড় নিশ্বাস নিয়ে সপ্নার কাছে এসে খুব ধিরে ধিরে মাথায় হাত বুলিয়ে ডাকছে “”
সপ্না এই সপ্না দু এক ডাক দিতেই সপ্না চোখ খুলে অবাক একি সোহাম আমায় ডাকছে চোখে নোনা জলে ছল ছল,, সপ্নার চোখের পানি মুছে দিয়ে সপ্নার বুকে মাথা রেখে বললো জাবে???
সপ্না একবারের জন্য জিজ্ঞাস করে নি কোথায়, কারন সোহামের সাথে তো সে বনবাসেও জেতে রাজি, সোহাম সপ্নাকে কোলে তুলে ছাদের দিকে ছোটছে..
সপ্না অবাক নয়নে সোহামের দিকে তাকিয়ে আছে আজ বহু দিন পর সোহামের কোলে উঠে ভালোবাসার শিহরনের অনূভুতি প্রকাশ পাচ্ছে.।।।।
সপ্নাকে নিয়ে ছাদের এক কোনায় মাথা রেখে শুয়ে আছে সোহাম,
পরম আবেশে সোহামের মাথা বিলি কাটছে সপ্না, সোহাম বার বার কিছু বলতে চাইছে তবে কথা তার কন্ঠ নালিতেই জেনো আটকা পরেছে…
এই যে আমায়ও কি একটা রাজকন্যা বা রাজকুমার এনে দিবে??
সোহামের কথায় সপ্নার চোখ আরো ভিজে এসেছে, সত্যি বলছে তো সে বাবা হতে চায় তো…!
সারা রাত সপ্নাকে বুকে জরিয়ে ছাদেই শুয়ে ছিলো সোহাম।
~~~~~~~~~~~~~~~
সকালে নাস্তা সেরে তুর্জ তার রুমে বসে আছে আর ভাবছে নন্দিনিকে কিভাবে আনা জায়.
সোহাম ও অফিসে যান নি কারন বাড়িতে এত বড় কান্ড হচ্ছে তার জন্যই।
বাহিরে চেচামেচির আওয়াজে দুই ভাই নিজেের রুম ছেরে বেরিয়েছে।…..
নন্দিনি এসেছে ওকে দেখেই এনি কিছুটা রেগে গেলে নন্দিনিও চার পাচঁ কথা মুখের উপর বলে দেয়।
আমি আমার স্বামীর কাছে এসেছি কোন পর পুরুষের কাছে নয়,আর আজকালের মেয়ে রা তো পর পুরুষ নিয়ে রাত কাটিয়েও লজ্জা পায় না, তাহলে আমি এখানে আসলে লজ্জা কিসের।
তুর্জ হাবলার মত দারিয়ে আছে, সপ্না নন্দিনিকে দেখে জানে জান পেয়েছে,
তুর্জকে ধাক্কা দিয়ে সোজা রুমে চলে গেছে নন্দিনি, শিলা বেগমের খুশির সিমা নেই,
সোহাম হালকা হাসি দিয়ে আবার রুমে চলে গেছে…
….
নন্দিনি কোমরে শাড়ির আচলটা গুজে রান্না ঘরে কাজ করছে…
কাজের মেয়েকে ডাক দিয়ে সপ্না বললো এই বাড়ির সমস্ত আবর্জনা বাহিরে ফেলে আয় তো..
কাজের মেয়েটাও কম নয় সেও বেশ মজা করে বললো ভাবি এনি জা মোডা আমি একলা ওরে উঠাইয়া বাইরে নিয়া ফালাইতে পারতাম না, আপনারাও আহেন…….
এনি বাহিরে দারিয়ে সব শুনছে এত অপমান তার সজৎ হচ্ছেনা এর বদলাতো নিবেই।এনি কি জিনিষ তা এবার টের পাবে এই বাড়ির মানুষ গুলো।
নন্দিনি হাতের কাজ সেরে রুমে বসে ভাবছে ছবি গুলো পেতে হলে ওর রুমে গিয়ে জিনিস পএ চেক করতে হবে।
তাহলে জদি কোন কিছু পাওয়া জায়…
~~ সপ্না এ বিষকে কিছুই টের পায় নি, তবে নন্দির জন্য বড় কষ্ট হচ্ছে তুর্জটা কিনা এমন করল/ ও তো এমন ছেলেই নয়…
সব জানতে হবে আমার. তবে এর জন্য এনির একটু কাছে জেতে হবে খুব কাছে…
~~
রাতে তুর্জ তুলিকে নিয়ে শুয়ে আছে নন্দিনি সারা রুম পায়চারি করেই যাচ্ছে।
তুলিকে ঘুম পাড়িয়ে নন্দিকে ডাক দিয়ে কাছে এনে বসিয়ে ওর চোখের দিকে তাকিয়ে আছে…
নন্দিনি তুর্জের এই চোখের দিকে তাকাতে পারছে না চোখ জোরা কিছু অন্য রকম সাজ সেজেছে..
তোমার মনে কে আছে জানতে চাই না, সারা জীবন সে রয়ে জাবে নাকি আমারও একটু জায়গা হবে?? তা জানিনা, তাই শুধু চাই যতক্ষন আমার শ্বাস চলবে তুমি আমার বৌ হয়ে আমার কাছে থাকবে,, আমি সারাটা জীবন তোমায় দূর থেকেই ভালো বেসে জাবো।
শুধু ছেরে যেও না…
তুর্জের কথায় নন্দিনি হতবাক এই মানুষটা কি বলছে,কেন যাবো উনায় ছেরে কেন? এখন তো আমাদের জীবনে আরো এক জন আসতে চলছে তাহলে এখনও কেন এত ভয়!!
আমায় নিয়ে এত ভয় পাবেন না এতটা মাস যখন জাইনি তাহলে আর যাবো কি করে,চলে গেলে আমাদের মেয়েকে স্কুলে কে নিয়ে জাবে??
কে আমার রাগ সইবে ??
আর তেতুল কে এনে দেবে?? আমাদের রাজকন্যাকে নিয়ে কে খেলা করবে???
নন্দিনির কথা শুনে তুর্জ যে কতটা শান্তি পেয়েছে তাতো নন্দিনিও বেশ বুঝতে পেরেছে,
আর শেষ বাক্যটায় একটু বিচলিত ছিলো,
শেষ বাক্যটা ছিলো — আমি আপনায় ভালোবাসি কি বা না বাসি আপনি ভালোবেসে জাবেন তো..
আমি চলে জেতে চাইলেও আপনি আটকে রাখবেন তো???
তুর্জের ভিতরটা একটু মুচর দিচ্ছে এ কেমন কথা ওর!!!
তুর্জ আর দেরিনা করে নন্দিনিকে টান দিয়ে নিজের বুকে ফেলে বললো ঠিক আছে তাই হবে, তুমি এখন ঐখানে ঘুমাতে যাচ্ছিলে কিন্তু আমি আটকে নিজের কাছে রেখে ছি, তবে ভালোবাসতে বলছিনা শুধু এই শূন্য বুকটা মাথা পেতে শুয়ে পরো বাস তাতেই হবে…
তুর্জের বুকে শুয়ে শুয়ে তুর্জের বুকের লোম গুলো টানছে, বেশ ব্যাথা পেলেও কিছুই বলছেনা তুর্জ..
অনেক ক্ষন পর তুর্জ উঠে নন্দিনির পেটের কাপরটা শরিয়ে পেটে মুখ লুকিয়ে আদর করছে,
এটা কি হচ্ছে?
তুর্জ নন্দিনির দিকে তাকিয়ে দেখে চোখ গুলা রসোগুল্লার মত হয়ে আছে,
একটা ঢুক গিলে নন্দিকে সাহস করে বললো তুমি রাগ করছে কেন??
এখানটায় যে আছে আমি তো তাকে একটু আদর করছি!!
নাকি তেমায় আদর করছিনা বলে রাগ হচ্ছে??
নন্দিনি আরো চোখ পাকাতেই তুর্জ পেট থেকে মাথাটা উঠিয়ে বললো এত রাগো কেন, কখনোতো রোমান্টিক মুডেও থাকতে পারো নাকি…
তোমার জন্য আমার মেয়েটাও এমনই হবে কারন মায়ের পেট থেকেই মায়ের সব গুন পায়,
আর তোমার গুন গুলো জদি পায় তাহলে তো উপায় নেই, আমার মত ওর স্বামীকেও এই কস্ট ভুগ করতে হবে…
বাহ বা আমি রোমান্টিক মুডে না থাকলেও কি আমার কাছে কেউ জোর করে আসেনা নাকি?
নন্দিনির পশ্নে তুর্জ জোরে হেসে বললো এইতো কথাটা বললে জোর করেছি বলেই আজ..
থাক তবে তুমিতো চাও জোরই করি, কারন কখনো তো ইচ্ছা করে আসবে না…
নন্দিনি মুখ ভেংচি দিয়ে অন্য দিকে ফিরে বললো,তা কেও তো আর রুমে দেখতে পারছিনা যে আপনি জোর করতে এলে বাধা দিবে;;;
তুর্জ খুব স্পিডে নন্দিনির বুকে এসে জরিয়ে ধরেছে,
এটার মানে বুঝবে না এমন মানুষতো কমই আছে ইচ্ছা নেই না আছে তা জানা নেই তবে এটা নিমন্ত্রনই বলা জায়,
একটু ভালোবাসার জন্য কত টা খা খা করে বুকটা তা তো কেও জানেনা…
নন্দিনিকে জরিয়ে ধরে কপালে মুখে বেশ চুমুতে ভরিয়ে দিচ্ছে তুর্জ…
নন্দিনির চোখ বেয়ে পরা পানি তুর্জকে ছোয়ার আগেই মুছে নিয়েছে,
এই মানুষটা নিজের ভালোবাসার লোকটাকে হারিয়ে আমায় আকরে ধরতে চাইছে,আর আমিও চলে গেলে হয়তো জিন্দা লাশ হয়ে জাবে।
এতটা কষ্ট সজৎ করে যখন উনির বাচাঁর জন্য আলো খুজছে,তাহলে সেই ভন্ড প্রতারকের জন্য, আমি আমার বাচাঁর আলো শেষ করব কেন…
চোখের পানি মুছে নন্দিনিও তুর্জকে জরিয়ে ধরেছে এই প্রথম ভালোবাসার শিহরন পাচ্ছে তুর্জ নন্দিনির কাছ থেকে।
দুজনের মুখে কথা না থাকলেও চোখ গুলো অন্য কিছুই বলছে,
তুর্জকে ধাক্কা দিয়ে নিজের উপর থেকে শরিয়ে নিয়ে আবার অন্যদিকে ফিরে শুয়ে পরলো নন্দিনি,
তবে রেহাই পেলেতো!!
তুর্জ তো সেই আগের মত কাছে টেনে এনে বলছে জোরটা মনে হয় আজকেও করতে হবে…..
ঠিক আছে তাই হক বলেই নন্দিনিকে কাছে টেনে নিয়েছে…
~~~~
সকাল সকাল সবার ঘুম ভেংগে গেলো, তবে মহারানি এনির ফরমাইশ পূরন করতে করতে বেচারি কাজের মেয়ে ক্লান্ত একটু পর পর এটা দাও ওটা দাও,
বাবারে বাবা এই মাইয়ার পেডে এত খাওন কেমনে লয়…
কাজের মেয়ের মুখে এমন কথা শুনে ফিক করে হেসেই দিলো শিলা বেগম।,
অথচ আবার সব মনে হতেই শিলা বেগমের উজ্জল মুখটা মলিন হয়ে গেলো,কি হচ্ছে এই বাড়িটাতে আর যে পারছিনা বড্ড হাপিয়ে গেছি,।
তুর্জ নাস্তা সেরে কোর্টে চলে গেছে, তবে এনি বিয়ের ব্যাপারটা জিজ্ঞাসা করতেই তুর্জ বলে দিয়েছে, আরে আমার না হয় ত্বিতিয় বিয়ে,
কিন্তু তোমার তো প্রথম!! গল্পের লেখিকা সেলিনা আক্তার শাহারা।
তো ধুম ধাম না করে শহরের মানুষ না জানিয়ে কি করা জায়??তো সবাইকে দাওয়া আরো কত কাজ আছে এতে তো একটু টাইম লাগবে নাকি?
এনিতো মহা খুশি বাহ ধুম ধাম করে বিয়ে তো ভাবাই হয় নি..
~~~
নন্দিনিতো সেই কখন থেকে চান্স খুজছে এনির রুমে ঢুকার,কারন ওখানে গেলেই সব কিছু পাওয়া জেতে পারে,!!
তবে যখনই একটু সোজগ পায় তখনই তুর্জের কল চলে আসে,
কত বার ধমক দিয়ে ফোন কেটেছে তাও বার বার ফোন দিয়ে নন্দিনিকে জ্বালিয়ে মারছে।
তাও কাল রাতের কথা বলে বলে,
এবারের ফোন টা রিসিভ করেই ঝাঝালো কন্ঠে বলে উঠলো,
এনি নয় মনে হয় আপনি আমার শত্রু,
তুর্জ ধর ফর করে একটু নড়ে বসে বললো এই এমনটা বলার কারন??
আপনার কোন কাজ নেই নাকি।কোর্টের সব কি ঘুমিয়ে গেছে নাকি??
তুর্জ ধম ফাটানো হাসি হেসে বললো আরে আমি তো রাস্তায় বাড়িতে আসছি, তাই রেডি থেকো…
রেডি থেকো মানে এই কোথায় যাচ্ছি আমরা,..
নন্দিনির এমন উৎসুক পশ্নে তুর্জ ,
ছোট্ট উওর দিলো, ওমা কোথায় আবার বেড রুমে…
তো রেডি থেকো….
কি বেহাইয়া মানুষরে দুই বাচ্চার বাপ তাও এত ভং করে জেনো কচি যুবক, বলেই নন্দিনি লাইন টা কেটে দিলো।
~~~~~
কিছু ক্ষন পরই এনি ছাদে চলে গেছে কারো সাথে ফোনে কথা বলতে বলতে,ওপাশে কে ছিলো তা জানার প্রয়োজন মনে করল না।
এই সোজগটাই খুজছিলো নন্দিনি তাই ঝট করে ওর রুমে ঢুকে ওর আলমারি লাগেজ সব খুজা শুরু করলো…সব তন্ন তন্ন করে খুজেও তেমন কিছুই পেলোনা। যাতে এনিকে জব্দ করতে পারে।
কিন্তু কিছু না পেয়ে… হতাশ হয়ে উঠে দারাতেই পিছন থেকে কেও বলে উঠলে,
এখানে কিছু পাবেনা নন্দিনি…..
গলাটা শুকিয়ে এসেছে নন্দিনির কি বলবে তা বুঝতে পারছেনা, জ্বিভ দিয়ে ঠোটটা ভিজিয়ে, পিছন ফিরে তাকাতেই
আবারও বলে উঠলো এই ছবি গুলে খুজছিলে তো…….
নন্দিনির চোখ কপালে ভা ভাবি আপনি মানে ইয়ে কিসের ছবি….
চলবে…..
(ভুল ত্রুটি মাফ করবেন।)
কেমন লাগলো মতামত জানাবেন।
আমি এতটা লিখতে পারি আপনারা তো একটু কমেন্ট করে উৎসাহ দিতে পারেন।
ধন্যবাদ।