পরিসংখ্যান পর্ব ৯

#পরিসংখ্যান
পর্ব-৯
#tani_tass_ritt

রাহিয়া সাহের রুমে ঢুকে দেখলো তাহিয়া ফ্যানের সাথে ঝুলে ছটফট করছে।
সাহের দৌড়ে গিয়ে তাহিয়ার পা জড়িয়ে ধরলো। রাহিয়া যত যলদি সম্ভব তাহিয়ার গলা থেকে ওরনাটা খুলে ফেললো।

তাহিয়া সেন্সলেস।সাহের তাহিয়াকে কোলে নিয়ে বেরিয়ে পরলো হসপিটালের উদ্দেশ্যে।সাথে রাহিয়াও গেলো।

এইদিকে তাহিয়ার মা কেঁদে কেটে অস্থির।সাহেরের মা তাকে সান্তনা দিচ্ছে।কিন্তু কোনো লাভ হচ্ছেনা।আসলে যার উপর দিয়ে ঝড় যায় সেই বুঝে যে ঝরের তান্ডব কতখানি।

সাহের এবং রাহিয়া হসপিটালে পৌঁছে সাথে সাথে তাহিয়াকে এডমিট করালো।

রাহিয়া কেবিনের বাইরে দাড়িয়ে দাড়িয়ে কাঁদছে। সাহের নিচের দিকে তাকিয়ে দাড়িয়ে আছে।তার মনে ভেতর যে ঝড় বয়ে যাচ্ছে তা সবার অজানা।ভালোবাসার মানুষটাকে নিজের চোখের সামনে এতটা কষ্ট পেতে দেখে তার ভেতরটা ছাড়খার হয়ে যাচ্ছে।যেই মেয়ে সারাদিন হেসে খেলে বেড়াতো সে নাকি এখন মৃত্যুর পথে ভাবতেই সাহেরের চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পরলো।

এইদিকে নিরব রিমনকে ফোন করে বললো তাহিয়ার অপরাধীদের পাওয়া গিয়েছে।এখন তাহিয়ার শুধু জবান বন্দি লাগবে।

এই নিউজ পেয়ে রিমন প্রথমে তরিকে কল দিলো।কেননা রাহিয়াকে কল দেয়ার ভরসা পাচ্ছিলোনা।

তরি নিউজ টা পেয়ে মনে মনে শান্তি পেলো।সে রাহিয়ার ফোনে কল দিচ্ছিলো কিন্তু কলটা রিসিভ হলোনা।পরে রাহিয়ার মায়ের ফোনের কল দিলো।
“হ্যালো আন্টি”
এইদিকে রাহিয়ার মা কেঁদে কেটে অস্থির।
তরি বুঝতে পারছেনা কি হয়েছে।
সাহেরের মা ফোনটা নিয়ে তরির সাথে কথা বললো।
সব শুনে তরির মাথা ঘুরে গেলো।সে সাহেরেকে ফোনদিয়ে ঠিকানা নিয়ে রিমনকে কল দিলো। আধা ঘন্টার মধ্যে সে হসপিটালে পৌঁছে গেলো।

তাহিয়ার কেবিনের সামনে যেয়ে দেখলো রাহিয়া কাঁদছে। কিছুক্ষণ পর রিমনও চলে এলো।রিমনকে দেখে সাহেরের মেজাজ খারাপ হলেও সে নিজে কন্ট্রল করলো।

রিমন রাহিয়ার সামনে এসে দাড়াতেই রাহিয়া রিমনকে ধরে হাউমাউ করে কাঁদতে লাগলো।
“রিমন ভাই ও ঠিক হয়ে যাবে তো।আমার পিচ্চি বোনটার সাথে কারা এমন করলো।”

রিমন রাহিয়ার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে।
“প্লিজ শান্ত হও।ঐ শয়তানদের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। এখন শুধু তাহিয়ার জবান বন্দি লাগবে।”

এটা শুনে রাহিয়া রিমনের দিকে তাকালো।

“আমি ওদেরকে নিজের হাতে মারবো। ” সাহের বললো।

ডাক্তার এসে,
“ও এখন ভালো আছে।অল্পের জন্য বেঁচে গিয়েছে।প্লিজ ওকে একা রাখবেন না।” বলেই সেখান থেকে চলে গেলো।

সবাই তাহিয়ার কেবিনে গেলেও রিমন বাহিরে দাড়িয়ে রইলো।তাহিয়া যদি তাকে দেখে ঐদিনের মতো সিনক্রিয়েট করে। সে ভয়ে সে আর ভিতরে ঢুকলো না কিন্তু সে এখনো বুঝতে পারছেনা তাহিয়া তাকে দেখে এমন কেন করলো।

রাহিয়া তাহিয়াকে জড়িয়ে ধরে বসে আছে।তাহিয়া পাথরের মূর্তির মতো বসে আছে।সে যেনো কথাই বলতে জানেনা।তার এই চুপ থাকাই কেউ মেনে নিতে পারছে না।

এইদিকে রাহিয়ার ফোন বেজেই যাচ্ছে সেই কখন থেকে।
বিরক্ত হয়ে রাহিয়া ফোনটা নিয়ে দেখলো শাফিনের কল। সে ফোনটা কেটে দিলো।কিন্তু না শাফিন ফোন দিয়েই যাচ্ছে। বাধ্য হয়ে ফোনটা রিসিভ করলো।সে কেবিনের বাহিরে চলে গেলো কথা বলতে।

“হ্যালো”
“তুমি বেশি বাড় বেড়েছো তাইনা।সে কক্সবাজার থেকে তোমার নাটক দেখছি।আমার মা কে অপমান করার সাহস তুমি পাও কই থেকে?”

রাহিয়া তো আকাশ থেকে পরলো শাফিনের কথা শুনে।শাফিন তাকে কিছুই বলার সুযোগ না দিয়ে,

“আমার মা তাহিয়াকে দেখতে গিয়েছিলো আর তুমি তাকে অপমান করে বের করে দিলে।মা তো আমার আর তোমার বিয়ের কথাও তোমার বাসায় বলে এসেছিলো। আর তোমরা কি করলে ছি। তোমার অন্য কাউকে পছন্দ তুমি আমাকে বলতে।আমার মাকে অপমান করার রাইট তোমাকে কে দিয়েছে।খুব দেমাগ তোমার। দেখবো তোমার আর তোমার বোনকে কোন ভালো ঘরের ছেলে বিয়ে করে।”
বলেই শাফিন ফোন কেটে দিলো।রাহিয়াকে কিছু বলার সুযোগ ও দিলোনা।

রাহিয়ার হাত থেকে ফোনটা পরে গেলো।
রিমন বুঝতে চেষ্টা করছে রাহিয়ার কি হয়েছে।
রাহিয়া এবার চিৎকার করে কাঁদতে লাগলো।রিমন রাহিয়াকে ধরে আছে।
“ও এতো বড় বেইমান কিভাবে হতে পারলো।আমাদের ফ্যামিলির উপর দিয়ে এতো বড় ঝড় যাচ্ছে।আর ও আমার সাথে এমন করলো।”

রিমনের বুঝতে বাকি রইলো না রাহিয়া কার কথা বলছে।তার ইচ্ছা হচ্ছে ঐ শাফিনকে ভর্তা বানাতে।

দু মাস পর,
তাহিয়া এখন আগের থেকে অনেকটা স্বাভাবিক।টুকটাক কথাবার্তা বলে।কিন্তু তাকে কোনোভাবেই বাহিরে নিয়ে যাওয়া যায়না।তার বর্তমানের বেস্ট ফ্রেন্ড সাহের। এই ২ টা মাস সাহের ছায়ার মতো তাহিয়ার পাশে ছিলো। এমনকি সাহের সবাইকে বলেও দিয়েছে সে তাহিয়াকে বিয়ে করবে।শুধু তাহিয়াই জানেনা ব্যাপারটা। দু পরিবারের কারো কোনো আপত্তি নেই। সাহেরের পরিবার খুশি মনেই তাহিয়াকে এক্সেপ্ট করেছে। কেননা এমন দূর্ঘটনা যে কারো লাইফে হতে পারে তার মানে এই না সে খারাপ হয়ে যাবে।

বিকেলে সাহের তাহিয়ার বাসায় গেলে রিমনকে দেখতে পায়।রিমনকে দেখে তার মনে ধক করে উঠে। তাহিয়াকি তাকে ভুলে যাবে।

“আরে সাহের কেমন আছো? রিমন বললো।”
সাহের চোখ মুখ শক্ত করে,
“আপনি কখন এসেছেন?”
“এইতো মাত্রই।তাহিয়া ডেকেছে।”

সাহেরের মাথা ঘুরছে এখন।তাহিয়া কি এমন বলবে।
রাহিয়াকে সবাইকে তাহিয়ার রুমে ডেকে নিয়ে গেলো।

“আমি অনেক লাকি আমি তোমাদের মতো পরিবারে জন্মেছি। তা না হলে আজ হয়তোবা আমি আমার স্বাভাবিক জীবন ফিরে পেতাম না।ঐ জানোয়ার গুলো তো আমাকে শেষি করে দিয়েছিলো।আল্লাহর দোয়ায় আর তোমাদের জন্য আজ আমি ঠিক আছি।এতোদিন এগুলো বলতে চেয়েও আমি বলতে পারিনি।” বলেই তাহিয়া কেঁদে ফেললো।

রাহিয়া যেয়ে তাহিয়াকে জড়িয়ে ধরলো।
“তুই অনেক স্ট্রং রে অনেক স্ট্রং।” রাহিয়া বললো।

তাহিয়া রিমনের দিকে তাকিয়ে,
“রিমন ভাই ঐদিনের জন্য আমি সরি।আমার মাথা তখন ঠিক ছিলোনা।আমি আমার এই অবস্থার জন্য আপনাকে দায়ি করতাম।”

এটা শুনে উপস্থিত সবাই খুব অবাক হলো।
“যেদিন আমার সাথে এই দুর্ঘটনা টা ঘটলো।ঐদিন আমি তোমার পিছু পিছু বেরিয়েছিলাম।তুমি যখন গাড়িতে উঠলে আমি তোমাকে পিছন থেকে অনেক ডেকেছি তুমি শুনোনি।আমি ভেবেছিলাম তুমি ইচ্ছে করে আমার ডাক শুনছোনা।আমার তোমাকে অনেক ভালো লাগতো।তোমার অবহেলা নিতে না পেরে আমি রাগ করে হাটা শুরু করি।আর তারপর যা হয়..”

বলেই আবার কান্না করতে লাগতো।

রাহিয়া তাহিয়ার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে। সাহেরের মাথা কাজ করছে না কিছু।রিমন এবার বুঝতে পারছে তাহিয়ার তার প্রতি ভালোলাগা ছিলো।

“ঐটা শুধুই আমার আবেগ ছিলো আমি তা বুঝতে পেরেছি। সবাই আমাকে মাফ করে দাও। আমি এই কদিনে উপলব্ধি করতে পেরেছি আমি কত বড় বোকামি করেছি।”

এবার রিমন এসে তাহিয়াকে জড়িয়ে ধরলো।
“আমি ঐদিন তোর ডাক শুনতে পাইনি রে আমাকে মাফ করে দে পিচ্চি।”

তাহিয়া আড় চোখে তাকিয়ে দেখলো সাহের তাহিয়ার দিকে রাগি লুক নিয়ে তাকিয়ে আছে।দেখেই বুঝা যাচ্ছে বেচারা জ্বলছে।ব্যাপারটায় তাহিয়া বেশ মজা পেলো।

রাতে রাহিয়া ছাদের রেলিং ধরে দাড়িয়ে আছে।ঐদিনের পর থেকে তার আর শাফিনের সাথে যোগাযোগ হয়নি।তার ইচ্ছেও করেনা যোগাযোগ করতে।

তাহিয়ার জোড়াজুড়িতে রিমন আজ এই বাসায়ই থেকে গিয়েছে।রিমন সিগারেট খাওয়ার জন্য ছাদে উঠে দেখে রাহিয়া দাড়িয়ে আছে। রিমন যেয়ে রাহিয়ার পাশে গিয়ে দাড়ায়।
“ছাদে একা একা কি করছিস? ”
“কিছুনা।”
“আমার তোকে কিছু বলার ছিলো।আমি আর এটা নিজের মধ্যে রাখতে পারবোনা।”
রাহিয়া এবার চমকে যায়।

“আমি তোকে ভালোবাসি।তুই কি আমার হবি?”

এটা শুনে রাহিয়ার মাথায় আকাশ ভেঙে পরে।এটা কিভাবে সম্ভব।রিমনকে নিয়ে সে তো এমন কিছু ভাবেনি কখনো।

“তুমি কি বলছো এগুলো।?” কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বললো রাহিয়া।

“যা বলছি ঠিক বলছি।”

” দেখো আমি তোমাকে কোনোদিন ঐ নজরে দখিনি।প্লিজ আমাকে মাফ করে দাও।আর ভুলেও কোনোদিন আমার সামনে এগুলো বলবেনা। আমার দূরে থাকবে।”বলেই রাহিয়া সেখান থেকে চলে গেলো।

রিমন রাহিয়ার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে।
“আমার ভালোবাসা প্রত্যাখ্যান করলি। চিন্তা করিস না আমি আর কোনোদিন তোর সামনে আসবোনা।এম্নিতে আমি তোদের থেকে অনেক দূরে চলে যাবো আর কদিন পর।তাই তোকে আমার মনের কথাটা বললাম।” মনে মনে বললো রিমন।

সে আকাশের দিকে তাকিয়ে একের পর এক সিগারেট শেষ করতে লাগলো।

ঐদিন রাতে রাহিয়ার আর ঘুম হলোনা।সে তরিকে সব জানালো ফোন দিয়ে। তরি বরাবরের মতোই রিমনের সাপোর্ট নিলো। রাহিয়ার খুব রাগ হলো সে ফোনটা বন্ধ করে দিলো।

সকালে উঠে রিমনকে পুরো বাড়ি খুঁজেও আর পাওয়া গেলোনা। রাহিয়ার বুঝতে বাকি রইলোনা রিমন চলে গিয়েছে।
★★★★★★★★

এইদিকে মাহিদ তরির সাথে কথা বলার চেষ্টা করলেও তরি কোনোভাবেই রাজিনা মাহিদের সাথে কথা বলতে। কেনোনা শাফিন রাহিয়ার সাথে যা করেছে তারপর থেকে তরি শাফিন রিলেটেড কারোসাথেই যগাযোগ রাখতে চায়না।

মাহিদ অনেকবার নিজের ফিলিংস তরিকে বুঝাতে চেষ্টা করেছে।তরি আসলেই বুঝেনি নাকি বুঝতে চায়নি তা জানা নেই মাহিদের।

মাহিদের দাদা ফোন দিয়েছে আজই তাকে বাড়ি যেতে হবে।মাহিদ কিছুটা আন্দাজ করতে পারছে তার দাদা কি করতে চাচ্ছে।

মাহিদ অনেক কিছু ভেবে তরিকে কল দিলো। প্রথম্বার রিসিভ হলোনা।আবার দিলো।২য় বার ৩ টা রিং হওয়ার পর তরি রিসিভ করলো।

“কেমন আছো?”
“এতক্ষণ ভালোই ছিলাম।কিন্তু আপনি কল দেয়ার পর আর ভালোনেই।”

মাহিদ জোরে জোরে হাসতে লাগলো।ভাব এমন তরি খুব মজার কথা বলেছে।
“আপনি এমন বেহায়ার মতো হাসছেন কেনো?”
“তুমি ই তো আমাকে বেহায়া বানিয়েছো।”

তরি কিছু বললো।

“আমি শেষবারের মতো তোমাকে কিছু বলতে চাই।”
“কিন্তু আমি কিছুই শুনতে চাইনা।দয়া করে আমাকে আর ফোনদিবেন না।” বলেই তরি ফোনটা কেটে সুইচডঅফ করে দিলো।

মাহিদ ফোনের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইলো।জামা কাপড় গোছগাছ করতে লাগলো।বিকেলের বাসে তাকে চিটাগং যেতে হবে।

এইদিকে তরির কেমন যেনো পাগল পাগল লাগছে।সে কি অতিরিক্ত করে ফেলছে।শাফিনের দোষের শাস্তি কি মাহিদকে দিয়ে ফেলছে।নাহ আর কিছু ভাবতে পারলো না সে।ঘরির দিকে তাকিয়ে দেখলো দুপুর ১ টা বাজে।কিছুক্ষণ পর ই তার রাহিয়াদের বাসায় যেতে হবে।

★★★★★★★

মাহিদ বিকাল ৫ টার গাড়িতে রওনা দিলো চিটাগং এর উদ্দেশ্যে।তার নিজেকে বড্ড অসহায় লাগছে।

হঠৎ তার ফোনটা বেজে উঠলো।শাফিন কল দিয়েছে।

“হ্যালো ভাই”
“আমি যাতে তোর মুখে ভাই কথাটা আর না শুনি। তুই নিজের কপাল পুরালি সাথে আমারটাও।”
“উফ তুই আবার ঐ ব্যাপার নিয়ে পরে আছিস।ওরা কেউই আমাদের যোগ্য না বুঝলি।রাহিয়া যেভাবে আমার মাকে অপমান করেছে।ঐ তরিও ঐরকমই হবে। আর..”

শাফিন আর কিছু বলতে পারলো না।তার আগেই মাহিদ ফোনটা কেটে দিলো। মাহিদের প্রচন্ড মেজাজ খারাপ হচ্ছে।

রাত ১ টায় সে চিটাগং পৌছালো। বাড়ি যেয়ে দেখে এলাহিকান্ড।পুরো বাড়িতে লাইটিং করা।মাহিদের আর কিছু বুঝতে বাকি রইলোনা।

মাহিদের দাদা মাহিদকে দেখে খুশিতে জড়িয়ে ধরলো।
“দাদুভাই আমি জানতাম তুমি আমার কথা ফেলতে পারবেনা।কাল তোমার আর রুপশার বিয়ে।”

মাহিদ যে অবাক হলো এমন নয়।সে এটাই আন্দাজ করতে পেরেছিলো।

মাহিদ কিছু না বলে নিজের রুমে চলে গেলো। আজকের পর থেকে সব শেষ হয়ে যাবে ভাবতেই তার বুকে চিন চিন ব্যাথা হচ্ছে।

খুব সকাল বেলা মাহিদের ঘুম ভেঙে গেলো। জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখলো রুপশা দাড়িয়ে আছে।অনেকদিন হয়েছে তার রুপশার সাথে দেখা বা যোগাযোগ কিছুই নেই।কোন মুখ নিয়ে সে রুপশার সামনে যাবে বুঝতে পারছেনা।তাও অনেকটা সাহস নিয়েই সে রুপশার কাছে গেলো।

রুপশা বলে ডাক দিতেই রুপশা পিছে ফিরে তাকালো।
রুপশাকে দেখে মাহিদ চমকে গেলো।

চোখের নিচে কাল,অনেকটা রোগা দেখা যাচ্ছে রুপশাকে।কেমন যেনো উদাসীন লাগছে।দেখেই মনে হয় কতকাল সে ঘুমায়না।

“এমা তোর এই অবস্থা কেন?”
রুপশা মাহিদের দিকে তাকিয়ে মুচকি একটা হাসি দিলো।
“আমাদের সবার জীবনটা কেমন হয়ে গেলো তাইনা। এখন শুধু শেষটা দেখার পালা।” বলেই সে সেখান থেকে দ্রুত চলে গেলো।রুমের দরজা লাগিয়ে চিৎকার করে কাঁদতে লাগলো।

দুপুর ৩ টা,
রুপশা বউ সেজে বসে আছে।পাশে মাহিদ বসা।কাজি তাদের বিয়ে পড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।

★★★★★★★★★
এইদিকে শাফিন তার মায়ের রুমের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় কিছু কথা শুনতে পেলো।যা শুনে তার পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে গেলো।সে নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারছেনা।

চলবে…….

(আর দুটো পর্বে শেষ করে দিবো।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here