প্রথম প্রেম পর্ব ১১+১২

#প্রথম_প্রেম
১১তম পর্ব।

উর্মি খুব মেজাজ খারাপ করে বাসায় ঢুকেছে। তার মাথা থেকে কিছুতেই যাচ্ছেনা, যে শাওন রিকশায় কার সাথে ছিল। মুখ লাল হয়ে আছে রাগে। তোফায়েল সাহেব বাসার নিচে নামিয়ে দিয়ে আবার অফিস চলে গিয়েছেন।

রুনা খানম বললেন কি রে, তোর কি পরীক্ষা ভালো হয়নি? এমন প্যাচার মতো মুখ করে আছিস।
– পরীক্ষা খুব ভালো হয়েছে, নাইন্টি আপ পাবো।
– আমি প্রিপোজিশন দুইটা নিয়ে কনফিউশনে আছি। মিস কে কল দিব। তুমি ফোনের তালা খুলে দাও। আর একটু লেবু পানি দাও।
– দিচ্ছি, এখনই কথা বলবি?
– হ্যা।
– দিচ্ছি, কিন্তু, শাওন কে কল দিবিনা।
– তুমি এখানে থাক তাহলে! সব সময় এক কথা কেন বলো।
– আচ্ছা, নে কথা বল। আমি লেবু পানি নিয়ে আসছি।
– হুম।

উর্মি শাওনের নাম্বার ডায়াল করতে এক রিং হতেই শাওন ফোন ধরে ফেললো হ্যালো?
– এই, সাথে মেয়েটা কে?
– পরীক্ষা কেমন হয়েছে আগে বলো?
– যেটা প্রশ্ন করেছি সেটা বলো।
– আমার মামাতো বোন, আপুর বিয়ে তাই কিছু কেনাকাটা করতে বের হয়েছিলাম।
– তোমার আপু।
– হ্যা, সাদিয়া আপু, ইডেনে মাস্টার্স পড়ে বলেছিলাম তোমাকে।
– হুম, মনে পড়েছে। সজিব আংকেল উনাদের বাসায় থাকতেন।
– হ্যা। মোহাম্মদপুর বাসা।
– আচ্ছা, উনাকে এতো ছোট লাগে কেন? মনে হয় তোমার ছোট!
– হ্যা৷ আপুর বয়স বুঝা যায়না। মাথা ঠান্ডা হয়েছে?
– শোন, সাদিয়া আপু ঠিক আছে, আর কোন কাজিন নিয়ে রিকশায় উঠবেনা, মনে থাকবে?
– এতো হিংসা কেন! আমি একদিন যখন বলেছি আমি তোমার, শুধুই তোমার।
– আমার অন্য কারো সাথে ভালো লাগেনা, তোমাকে।
– আচ্ছা। বাই দ্যা ওয়ে, ফোনের তালা খুললে কিভাবে?
– সে অনেক কথা। আমার আজ তোমাকে দেখতে ইচ্ছে করছে।
– যেদিন রেজাল্ট হবে, ঠিক তার পরের দিন আমি তোমার সাথে দেখা করবো। এখন রেখে দাও, না হয় আবার সমস্যা হবে।
– আমার সারাদিন কথা বলতে ইচ্ছা হয়।
– আচ্ছা, বলবো। এখন ভালো করে পরীক্ষা দাও, আজে বাজে চিন্তা করে সময় নষ্ট করবেনা। রাখি।
– হুম।

উর্মি হাসিহাসি চেহারা নিয়ে রান্নাঘরে গিয়ে বললো আম্মু মিস বলেছেন দুইটা আন্সার ঠিক আছে।
– যাক, ভালো হয়েছে। আমি এখনই যাচ্ছিলাম, তোর লেবু পানি রেডি।
– থ্যাংক ইউ।
– দুই মার্ক্স এর জন্য এমন করে চেহারা করেছিস নাকি?
– দুই অনেক নাম্বার, তুমি নুঝবেনা।

পরীক্ষার পর, উর্মি বললো সে দূরে কোথাও ঘুরতে যাবে। তার বাসায় বন্দি বন্দি লাগে। তোফায়েল সাহেবের একই কথা জিপিএ ফাইভ পেলেই কক্সবাজার ট্রিপ হবে৷ আপাতত সে যেন গল্পের বই পড়ে সময় কাটায়।

উর্মির সারাদিন সময় কাটে বিভিন্ন ধরেনের গল্পের বই পড়ে, টিভি দেখে। আর বাবা ঘরে আসলে দুই তিনটা ম্যাসেজ করতে রে শাওন কে, বাবা বাসায় না থাকলে সপ্তাহে এক দুই দিন সাইয়ারা শাওন কে কলে এনে দেয়, তখন হালকা পাতলা মাঝে মাঝে কথা হয়।

উর্মি শুধু চিন্তা করে, কবে রেজাল্ট হবে! ককক্সবাজার যাওয়ার জন্য নয়, শাওনের সাথে পরের দিন দেখা হবে সেইজন্য!

দেখতে দেখতে উর্মির রেজাল্টের দিন, চলে আসলো। এবং সকাল থেকে উর্মির চিন্তায় অস্থির লাগা শুরু হয়েছে। উর্মি বাবাকে ফোন রেখে যেতে বলেছে, কারণ সে এস.এম.এস দিবে, রেজাল্ট জানার জন্য। তাই আজ ফোন টা উর্মির হাতে।

উর্মি আজ সকাল থেকেই শাওনের সাথে চ্যাটিং করছে। শাওন বলছে সে, সাইবার ক্যাফেতে বসে আছে। রেজাল্ট পাবলিশ হওয়ার সাথে সাথে জানাবে। বার বার শাওন লিখছে, তুমি কেন এতো চিন্তা করছো, আমি দেখছি তো! আমি জানি আমার উর্মিমালা খুব ভালো রেজাল্ট করবে। কিন্তু উর্মির শুধু মনে হচ্ছে যদি রেজাল্ট খারাপ হয় তবে, সবাই বলবে শাওনের জন্য রেজাল্ট খারাপ হয়েছে। অথচ সে যে দিন রাত এক করে পড়েছে, এটা কেউ বলবেনা।

শাওন কিছুক্ষণ পরে জানালো, উর্মি সত্যি সত্যি জিপিএ ফাইভ পেয়েছে। এবং বললো আমি খুব খুশি উর্মি। তুমি সবাইকে জানাও কাল দেখা হবে, কনগ্রেচুলেশন।

উর্মি তার মাকে জড়িয়ে ধরে চিৎকার করে বললো আম্মু আমি জিপিএ ফাইভ পেয়েছি। বাবাকে অফিসে জানাও। রুনা খানম মেয়েকে জড়িয়ে ধরে আছেন। এবং আনন্দে কাঁদছেন আর মেয়ের কপালে চুমু আঁকছেন, বলছেন আমার সোনামা, আমার মন আজ ভরে দিয়েছিস মা। আজ মনে হচ্ছে তোকে সব দিয়ে দেই, আমার যা আছে।

তোফায়েল সাহেব বিশ কেজী মিষ্টি পুরো কোয়ার্টারে বিলি করে দিয়েছেন। মেয়ের পছন্দের সকল খাবার কিনে এনেছেন। আর মেয়েকে ছোট্ট বাচ্চার মতো কোলে করে আদর করছেন।

উর্মি রাতে খাবার পরে বললো বাবা, কাল আমরা স্কুলে যাবো, ম্যামদের সাথে দেখা করবো। আজ আমি ভয়ে স্কুলে যাইনি। তারপরে বেইলি রোডে ঘুরবো, দুপুরে লাঞ্চ করে আসবো। প্লিজ না করো না।
– ওকে ডান।

রুনা খানম বললেন আনি যাই সাথে।
– আম্মু, বাবা ডান বলছে প্লিজ না করো না। প্লিজ!

শাওন আজ খুব খুশি, মনে হচ্ছে ভারমুক্ত হয়ে গিয়েছে। শাওন তার প্রিয় ডাইরি লিখছে,

প্রিয় উর্মিমালা,
জানো আজ আমি কত টা খুশি, কি ভাবে বুঝাবো। তুমি ভালো রেজাল্ট করেছো, পরিবার কে খুশি করেছো, এজন্য কেউ আজ আমাদের সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেনি। একদিন সত্যি সত্যি তোমার বাবা-মা জানবেন তাদের মেয়ের পছন্দ খারাপ ছিল না! শাওন উর্মি কে সত্যি কত টা ভালবাসে৷ সেটা শুধু শাওন জানে। উর্মি, প্লিজ কলেজে উঠে বদলে যেওনা। আমি শুধু তোমাকে আমার করে চাই। ভালবাসি, তোমায় আমি, আমার জীবনের চেয়ে বেশি।

শাওন ডাইরী বন্ধ করে প্ল্যান করছে এই অবুঝ মেয়েটার জন্য কি সুন্দর উপহার কিনবে, যদিও সব মিলিয়ে পাঁচ শো টাকার এক নোট আছে। কিন্তু ইচ্ছে করছে কত কিছু কিনতে, তাকে খুশি করতে। কাল সারাদিন সাথে উর্মি থাকবে, ভাবা যাচ্ছেনা, মনে হচ্ছে স্বপ্ন।

রাত চারটা বাজে, উর্মির এক ফোটা ঘুম নেই, মনে হচ্ছে আজ রাত পরেও তার সেই আকাংখিত দিন। যেদিন সারাদিন সে থাকবে, শাওনের সাথে। একটু একটু লজ্জা ও লাগছে। ফোনের মতো কথা কি সামনা সামনি বলতে পারবে! কত কিছু মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে…..
#প্রথম_প্রেম
১২ তম পর্ব

উর্মি খুব সাধারণ ভাবেই বাসা থেকে বের হয়ে স্কুলে গেল। সকল স্যার-ম্যাম দের সাথে দ্রুত দেখা করে আধা ঘন্টার মধ্যে বেড়িয়ে আসলো সাইয়ারা এবং উর্মি।

উর্মি সাইয়ারার ফোন হাতে নিতেই দেখলো নীল পাঞ্জাবী পরে দাঁড়িয়ে আছে শাওন। উর্মির দেখেই যেন কেমন লজ্জা লাগছে।

শাওন সামনে এসে বললো কনগ্রেচুলেশন।
– থ্যাংক ইউ।
– কেমন আছ?
– ভালো আছি

সাইয়ারা বললো ভাইয়া, আপনারা চলে যান, আমি বিকেলে উর্মি কে পিক করে নিব, এখানে এক সাথে দাঁড়াবেন না, স্কুলের সব দাদুরা উর্মি কে ভালো করে চিনে, ইভেন আংকেল আন্টির নাম্বার ও আছে।
– তুমি ও চলো…
– কাবাব মেয় হাড্ডি হবো নাকি? আসছি… বান্দবী আসছি রে।

শাওন বললো কোথায় যাবে?
– তুমি সি.এন.জি নাও, আমি বলছি।
– হুম।

শাওন সি.এন.জি নিল, বললো এখন বলো কোথায় যাবে?
– যেখানে আমি শান্তিতে দুই ঘন্টা তোমার সাথে কথা বলতে পারবো।
– ধানমন্ডি লেইক যাবে?
– ওকে।

উর্মি শাওন দুজন পাশাপাশি বসে আছে, সামনে বড় লেইক। এখানে সবাই জোড়ায় জোড়ায় বসা। শাওনের বেশ অস্বস্থি লাগছে। কিন্তু বার বার উর্মি কে দেখছে কি অপরুপ সুন্দর মেয়েটি! সে কি সত্যি সারাজীবন তার সাথে থাকবে!

উর্মি বললো কি চুপ করে থাকবে?
– আমার আসলে এখানে খুব অস্বস্তি লাগছে। এসব জায়গায় কখনো আসিনি।
– আমার তো খুব ভালো লাগছে। তুমি অনেক নিষ্টুর!
– কেন?
– তুমি কি একবারও দেখা করেছিলে?
– উর্মি, আমি মনে করিনা যে, দেখা করাই সব। কিংবা সারাদিন কথা বললেই প্রকাশ পায় ভালবাসা। বিশ্বাস টাই আসল, আমি জানি উর্মি শুধুই আমার! আর তুমি ও জানবে শাওন শুধুই তোমার।
– তুমি একদম রোমান্টিক না, শুধু দার্শনিক দের মতো উপদেশ দাও। এখন বলো, আমি কোন কলেজে ভর্তি হবো?
– যেখানে তোমার ভালো লাগে, যে কলেজ ভালো, সেখানেই।
– কম্বাইন্ডে ভর্তি হলে হিংসে করবেনা?
– আগেই তো বলেছি ১০০% বিশ্বাস করি, তাহলে কম্বাইন্ডে পড়লে সমস্যা কি!

রুনা খানমের বার বার অস্থির লাগছে, মেয়েটা শাওনের কাছে যায়নি তো? তিনি ও তো স্কুল পালিয়ে কত বার জাহিদ ভাইয়ের সাথে দেখা করেছেন। উর্মি ও কি তাই করছে? উনি, চিন্তা করলেন শাওন কে একটা কল করা যায়, উর্মির রেজাল্ট জানানোর জন্য। নাকি বলবেন যে, এখন বাসায় এসে মিষ্টি খেয়ে যাও। যদি আসার জন্য রাজী হয় তাহলে বুঝতে হবে, তার উর্মির প্রতি এখনো দূর্বলতা আছে। এবং এই মুহুর্তে সে উর্মির সাথে নেই। আর যদি না বলে, তাহলে কিছুই বুঝা যাবেনা।

রুনা খানম ল্যান্ড ফোনের পাশ থেকে ডাইরী নিলেন, এবং শাওনের নাম্বারে ডায়াল করলেন।

শাওনের ফোনের রিং বাজছে, শাওন পকেট থেকে ফোন বের করতেই চমকে উঠলো।

বললো উর্মি তোমাদের বাসার ফোন! তুমি চুপ করে থাক আমি রিসিভ করছি।

উর্মির ভয়ে হাত পা কাঁপা শুরু হয়ে গিয়েছে। মনে হচ্ছে মাথা ঘুরিয়ে পরে যাবে।

হ্যালো। আসসালামু আলাইকুম
– ওয়ালাইকুম আসসালাম। শাওন নাকি?
– জি, কে বলছে?
-আমি তোমার রুনা ভাবী, উর্মির আম্মু।
– জি ভাবী বলুন।
– কোথায় তুমি?
– কেন বলুন তো?
– উর্মি জিপিএ ফাইভ পেয়েছে। বাসায় আসো, আজকে দুপুরে খেয়ে যাবে। আর মিষ্টি খেয়ে যাবে।
– আমি তো বাড়ী যাচ্ছি।
– আজকে?
– জি, রওনা হয়েছি।
– ওহ! তাহলে অন্য একদিন বাসায় আইসো।
– জি। চেষ্টা করবো।

শাওন বেশ ভাব নিয়েই কথা বললো এটা ঠিক আছে। কিন্তু বাড়ী কি সত্যি যাচ্ছে! কারণ গাড়ীর তেমন আওয়াজ নাই। দুপুরের পর, মুন্নি ভাবীর কাছে খবর নেওয়া যাবে।

শাওন বললো তোমার আম্মু খুবই চালাক। আমি তো ভয় পেয়ে গিয়েছি।
– একদিন বের হয়েছি, তাই আম্মুর গোয়েন্দা গিরি শুরু হয়ে দিয়েছে। আমাকে পানি দাও, পানি খাবো।
– পিচ্চি মেয়ে প্রেম কর, এজন্যই তো এমন করেন আমার রুনা ভাবী।
– মজা নাও না?
– সত্যি তো বললাম।

উর্মি দুপুর পর্যন্ত সেখানেই ছিল, তার কাছে মনে হচ্ছিল আজ সময় অনেক দ্রুত চলে যাচ্ছে। উর্মি পরে দুপুরে খাওয়ার জন্য রেস্টুরেন্টে গেল, এবং দুজনে দুটি বিরিয়ানি খেয়ে, আবার হেঁটে হেঁটে ধানমন্ডি লেইকে এসে বসলো। তখন ঘড়িতে সাড়ে তিন টা বাজে।

শাওন বললো উর্মি আমি খুব খুশি হয়েছি তুমি ভালো রেজাল্ট করেছো। বড় কোন গিফট তো আবার বাসায় নিয়ে যেতে পারবেনা। তাই ছোট্ট একটা গিফট আছে। নিয়ে যাবে, আর এভাবে দেখা করা ঠিক না। প্রেম মানেই মানুষের মনে যে চিত্র আছে খারাপ অনেক কিছু, আমি চাই সেটা যেন না থাকে। পবিত্র ভালবাসা পবিত্র থাকবে।
– ওহ, তুমি কি আর এইচ.এস.সি পাশ করার পর আবার দেখা করবে?
– আধা ঘন্টা কিংবা পনেরো মিনিটের জন্য দেখা হতেই পারে। কিন্তু এভাবে সারাদিন দেখা করবো, এইচ.এস.সি পাশের পর। আমার ও ফোর্থ ইয়ারের এক্সাম সামনে, রেজাল্ট হয়ে গেলে জব করতে হবে নাকি?
– জবের জন্য কি ঢাকার বাইরে চলে যাবে?
– সেটা তখন বুঝা যাবে। আগের ঘটনা মনে আছে? তো? শান্ত হয়ে থাকো। আমি আছি,বার বারই বলছি আমি আছি। আর সাইয়ারাকে কল দাও, পিক করতে বলো।
– এই তোমার সারাদিন? চার ঘন্টা ও হয়নি।
– দেখা হয়েছে, কথা হয়েছে। এখন বাসায় চলে যাও, না হয় আমার রুনা ভাবী আবার কল দিবেন।
– আমার আম্মু তোমার ও আম্মু৷ ভাবী কি?
– হুম, তা তো ঠিক। কল দাও সাইয়ারা কে।

উর্মি মায়ের ফোনের পর থেকে ভয়ে আছে, তাই আর কিছু না বলেই সাইয়ারার সাথে বাসায় চলে এলো। শাওন এক বক্স আইস্ক্রিম সাইয়ারা কে কিনে দিল, যেহেতু বসে খাওয়ার স্কোপ ছিল না!

উর্মির বাসায় আসতে আসতে মনে হচ্ছে, কি গিফট দিয়েছে শাওন? খুব দ্রুত খুলতে ইচ্ছে করছে।

বাসায় কলিংবেল দিতেই উদয় দরজা খুলে দিল, উদয় দরজা খুলছে দেখে উর্মি বেশ অবাক হলো। কারণ বাসায় দুজন মানুষ থাকলেও উদয় অপেক্ষা করে অন্যজন দরজা খুলে দিবে।

উর্মি বললো আম্মু কোথায়?
– সজিব আংকেল দের বাসায়।
– ওহ।

উর্মির ভেতর কেঁপে উঠলো, নিশ্চয়ই তিনি জিজ্ঞেস করতে গিয়েছেন যে, শাওন বাড়ী যাচ্ছে কিনা! কি হবে এখন? চিন্তায় অস্থির লাগছে। এখন গিফট খোলার চিন্তার বাদ দিয়ে এই চিন্তা মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে কি হবে এখন। মুন্নি যে কি বলছেন কে জানে…..

চলবে…

আন্নামা চৌধুরী।
০৫.০৮.২০২১
চলবে….

আন্নামা চৌধুরী।
০২/০৮/২০২১

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here