প্রথম প্রেম পর্ব ৩১+৩২

#প্রথম_প্রেম
৩১ তম পর্ব

শাওন বারান্দায় বসে আছে, অথচ ভাই-বোন সবাই আড্ডা দিচ্ছে ঘরের ভিতরে,আজ সাগরের বিয়ে ঠিক হয়েছে। আগামী মাসের তিন তারিখ বিয়ে। ঘরের মধ্যে দুই রুম পাকা করা হয়েছে, পাকা করার পর প্রথম বাড়ী এসেছে, তবুও মনটা খুব বিষন্ন হয়ে আছে। বড় আপা ও বেশ হাসি মুখেই আছেন। কিন্তু কেন যেন এতো আনন্দের মাঝেও শাওন উদাস হয়ে বসে আছে।

শাওনের মা, ছেলের মাথায় হাত রেখে বললেন, কিরে বাপ এইখানে অন্ধকারে, কি করিস?
– কিচ্ছু না, এমনি।
– আসার পর থাইক্যা দেখতেছি, তুই কেমন চুপচাপ আছিস।
– টায়ার্ড লাগছে, আর কিছুই না।
– বউয়ের সাথে রাগ?
– বউ কে মা?
– উর্মি, তারে আমার বউ বউ লাগে।
– কি যে বলো!
– বাবা, রাগ করবা না, রাগ খুব খারাপ জিনিস।
– না মা, রাগ করিনি, ছোট আপু কোথায়? চলো যাই ঘরে।

উর্মি বিকাল থেকে দরজা বন্ধ করে আছে, অসহ্য একটু অনুভূতি হচ্ছে। কান্না ও আসছে, খুব!!
সে কি ভুল করেছে, খোঁজার চেষ্টা করছে। হ্যা এই কয়েকদিন সে অনিকের সাথে সময় দিয়েছে। ঘুরেছে অনেক, বাইক, গাড়ী, রিকশা দিয়ে। অনিক অনেক বুঝে ব্যাপার গুলো। কিন্তু অনিকের সাথে কখনোই প্রেমের বিষয় ছিল না। কিন্তু শাওন কেন এমন করছে? উর্মির ফোন বাজছে, অনিক কল দিচ্ছে, উর্মি একবার ভাবলো থাক, কল ধরার দরকার নেই, কিন্তু পরে মনে হলো না, কেন কল ধরবেনা, সে! অনিক শুধুই তার বন্ধু।
হ্যালো।
– কি হয়েছে তোমার?
– আমি বাসায় চলে এসেছি।
– মন খারাপ?
– না, এমনি ভালো লাগছেনা।
– তোমার ভাই কে নিচে দিও, আমি ফুচকা কিনেছি।
– না, লাগবেনা।
– কেন?
– এমনি!
– আজ কে ডেটিং বেশি হয়ে গিয়েছে? তোমার সেই প্রেমিক এসেছিল নাকি?
– সেই প্রেমিক মানে?
– যাকে তুমি এক সময় হিরো ভাবতে!
– অনিক, এভাবে বলবেনা। আমার ভালো লাগছেনা।
– আচ্ছা, আমি কি খুব খারাপ? যে একবার ভালবাসা যায়না? তুমি যতই না কর, উর্মি। তুমি এখন অনেকটাই আমাকে জায়গা দিয়েছ, তোমার হ্রদয়ে।
– ইয়েস, বাট এটা শুধুই বন্ধুত্ব।
– অবশ্যই না, তুমি আমাকে মিস কর, উর্মি। আমি জানি, কারণ তুমি আমাকে ভালবাস! ওই স্টুপিড শাওনের কথা ভেবে পুরোপুরি রাজী হতে পারছনা!
– অফকোর্স নট, হি ইজ মাই এভরিথিং। আমি রাখছি।

উর্মি কল কেটে দিয়েছে। কিছুই ভালো লাগছেনা তার।সে একজীবনে শুধু শাওন কেই ভালবেসেছে। কেন শাওন তাকে ভুল বুঝতেছে! মনে হচ্ছে ভেতরে সব কিছু ভেঙে শেষ হয়ে যাচ্ছে! উর্মির সব এলোমেলো লাগছে, কেন সে অনিকের সাথে এতো মিশতে গেল!

ঠিক দুইদিন পর উর্মি শাওনের সাথে দেখা করতে এলো। এই দুইদিনে দুজনের চোখ যেন ভেতরে ঢুকে গিয়েছে। আজ উর্মির প্রথমবারের মতো শাওন কে খুব ভয় লাগছে।

শাওন বললো উর্মি আমি শুধু গত দুই মাস কি করেছ? জানতে চাচ্চি? তুমি বলো? আমি সব মেনে নিব। আর হ্যা, হাইড করবেনা, বলো উর্মি।

উর্মি শক্ত হয়ে বসে আছে, কি বলবে সে? প্রতিদিন বাইকে করে ঘুরেছে, ফুচকা খেয়েছে? লং ড্রাইভে একদিন শাড়ী পরে গাজীপুর গিয়েছে সেটা? তার মন খারাপ কিছু ছিলনা, তবে সে ঘুরেছে। অনিক কে নিয়ে ক্লাস শেষে কোথাও না গেলে তার ভাল লাগতো না একদম। এটা ও সত্য! এসব শুনলে কি শাওন আর তাকে মেনে নিবে? সে কি তার এই ভুল, পাগলামি গুলি বুঝবে?

উর্মি?
– হুম।
– বলো?
– আমি বলতে পারবো না! আমাকে মাফ করে দাও প্লিজ। আমি আর কখনো এরকম করবো না।
– শেষ বার জিজ্ঞেস করছি বলবে?
– আমি সরি, প্লিজ। প্লিজ আমাকে মাফ করে দাও।

শাওন এক সেকেন্ড অপেক্ষা না করে দাঁড়িয়ে শুধু বললো, তোমাকে আজ থেকে চিরতরে মাফ করে দিলাম, তুমি মুক্ত। ডোন্ট ডিস্টার্ব মি।

সে আর পিছনে না তাকিয়ে সোজা হাঁটা শুরু করেছে। উর্মি পিছন থেকে ডাকছে, প্লিজ যেওনা। আমাকে মাফ করে দিও। প্লিজ একবার দাঁড়াও।

শাওন এতো কঠোর হতে পারে, উর্মি কখনো কল্পনা ও করেনি। উর্মি পিছন থেকে ডাকছে, আর হেঁটে হেঁটে আসছে। কিন্তু শাওন রাস্তায় উঠেই হলুদ ক্যাব দাড় করিয়ে, উঠে চলে গেল।

উর্মি সেখানে দাঁড়িয়ে আছে, মনে হচ্ছে, এই পৃথিবীতে সে একদম একা। তার চার পাশ শূণ্য হয়ে গিয়েছে। সে রিকশা ডেকে বসে আছে, ড্রাইভার জিজ্ঞেস করছে আপা কোথায় যাবেন? সে শুধু বলছে আপনি যান, আমি বলছি।

উর্মির হুড খোলা, উর্মি হাউমাউ করে কাঁদছে, আর অনবরত শাওন কে কল দিচ্ছে, এস.এম.এস দিচ্ছে। কিন্তু শাওন ফোন তুলছেনা। উর্মি সাইয়ারাকে কল দিল, আর হাউমাউ করে বলছে, আমার শাওন আমাকে ছেড়ে চলে যাচ্ছে। তুই কিছু কর, আমি মরে যাবো।
– তোকে কত বার বলেছি, তুই অনিকের সাথে এতো ডিপলি মিশবি না, তুই কথা শুনেছিস? অথচ তোদের ভার্সিটি বন্ধুরা সবাই বলাবলি করে, তুই অনিকের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছিস।
– তুই ও আজ এমন করছিস?
– কারণ, তুই এতো দিন ধরে মরিচীকার পিছনে দৌড়াচ্ছিস, কতবার বলেছি!
– হ্যা, হ্যা সব দোষ আমার, সব দোষ আমার।

উর্মি ফোন কেটে দিয়ে, মুখে হাত দিয়ে ঢেকে কান্না করছে…

শাওনের দুই চোখ লাল হয়ে গিয়েছে, মুখ ও লাল হয়ে শক্ত হয়ে গিয়েছে। মনে হচ্ছে আজ বৃষ্টি হলে কান্না লুকাতে সহজ হতো। শাওনের পুরো পৃথিবী আজ কেমন একা একা লাগছে।

উর্মি বাসায় এসেই শিরিন কে কল দিল, তার পুরো মুখ লাল হয়ে আছে, রুনা খানম বাসায় নেই, উদয় বলছে কি হয়েছে আপু?
– মাথা ব্যাথা। আমি রুমে যাচ্ছি, আমি ঘুমাবো, ডাকবি না।

শিরিন তিন রিং হওয়ার পর কল ধরলো।
– হ্যালো।
– আপা, আপা প্লিজ আপনি বলেন আমাকে সাহায্য করবেন, প্লিজ?
– কি হয়েছে উর্মি?
– শাওন আমাকে ছেড়ে চলে যাচ্ছে আপা!
– তুমি কি বলছো? আমার ভাই তো এরকম ছেলে না! কি হয়েছ বলো?
– আপা, আমি শাওন কে না জানিয়ে আমার এক ফ্রেন্ডের সাথে কিছুদিন ঘুরাঘুরি করেছি, কিন্তু এটা শুধুই ফ্রেন্ড আপা। কিন্তু ও আমাকে ভুল বুঝে আমাকে ছেড়ে চলে যাচ্ছে।
– তুমি কাঁদবেনা, শোনো, শাওনের সাথে কথা বলছি। এজন্যই আমার এমন হাসিখুশি ভাই দুই দিন মন মড়া হয়ে ছিল বাড়ীতে। আচ্ছা, আমি ওকে কল দিচ্ছি চিন্তা করনা!
– আপা, আমি আপনার পায়ে পড়ি আপা।
– আমি তো বললাম, আমি আছি। তুমি চিন্তা করনা। তবে, ভালবাসায় লুকোচুরি ঠিক না।
– আমি ভুল করেছি আপা।
– কাঁদবেনা উর্মি। তোমার গলা ধরে এসেছে। তুমি রেস্ট নাও আমি কল দিচ্ছি।

উর্মি বালিশ ধরে কেঁদেই যাচ্ছে, আর ভাবছে শাওন তার আপার কথা রেখে আবার আগের মতো হয়ে যাবে তো…নাকি সব কিছুই আজই শেষ? উর্মি কেঁদেই যাচ্ছে, অপেক্ষায় আছে আপার ফোনের।
#প্রথম_প্রেম
৩২ তম পর্ব।

শাওন এখন রমনা পার্কে বসে আছে, সন্ধ্যা হবে কিছুক্ষণ পরেই। বাস ছাড়বে রাত নয়টায়। রাজীব ফোন দিয়ে জরুরি ভিক্তিতে দেখা করতে হবে বলেছে৷ এজন্য শাওন এখানে এসেছে। রমনার পাশেই রাজীবের অফিস, তাই তার অপেক্ষা করছে সে।

শাওন দেখছে, কত কত জুটি বসে আছে, হাসছে, কথা বলছে। নির্ভরতায় প্রিয় মানুষ টির হাত ধরে কেউ কেউ হাঁটছে। এসবই কি মিথ্যা? সে তো কখনো তার উর্মিকে ঠকায় নি? তবে কেন তার উর্মি তাকে এভাবে কষ্ট দিল।
শাওনের দুঃখে ভেতর ফেটে যাচ্ছে।

শাওনের ফোন বাজছে, ফোন দিয়েছেন শিরিন। ফোন ধরতেই ইচ্ছে করছেনা। কারণ নিশ্চয়ই উর্মি সব জানিয়েছে। তাই তিনি ফোন দিচ্ছেন।

দুই বার কল দেওয়ার পর শাওন ফোন রিসিব করলো।

হ্যালো
– শাওন, তুই বাসে উঠেছিস?
– না, রাত নয়টায় বাস।
– কি করছিস এখন?
– বসে আছি।
– তুই উর্মির সাথে কি করেছিস?
– আপা, তুই এসবের মধ্যে ঢোকার দরকার নেই। আর তুই বুঝবি না আপা!
– কি হয়েছে বলবি? মেয়েটা তোকে পাগলের মতো ভালবাসে।
– আপা, আমি এখনো এই মেয়েটাকেই সবচেয়ে বেশি ভালবাসি, তাই ওর কথা আর কিছু বলতে চাইনা।
– ছোট মানুষ, ভুল করেছে।
– আপা, প্লিজ আপা, তুই এই বিষয়ে আর কথা বলিস না। রাখি, পরে কল দিব।

উর্মি এই নিয়ে দুইশো তিন বার কল দিয়েছে শাওনকে। কিন্তু শাওন কল রিসিব করেনি, কারণ শাওন মিথ্যা একদম পছন্দ করেনা।

শাওনের ফোন আবারও বাজছে, শাওন এখন কল ধরলো,
হ্যালো?
– শাওন আমি কি মরে যাবো?
– তুমি কি চাও, আমি ফোন বন্ধ করে দেই?
– তুমি আমাকে মাফ করে দাও, প্লিজ।
– দিয়ে দিয়েছি, আর উর্মি তুমি অনিক কে নিয়ে ভালো থাক, হি ইজ ইউর রাইট চয়েজ।
– আমি ভুল করেছি।
– আচ্ছা, রাখছি। প্লিজ ডোন্ট ডিস্টার্ব মি।

রাজীব এসে বললো এখানে কেন মশার কামড় খাচ্ছিস? চল, পাশে একটা রেস্টুরেন্ট আছে যাই!
– না এখানেই বসি।
– তুই কেন এমন বিষন্ন হয়ে আছিস?
– এমনি!
– উর্মির সাথে কিছু হয়েছে?
– না, দোস্ত!
– উর্মি কিন্তু আমাকে টেক্সট করেছে, যেন তোকে বোঝাতে পারি।
– দেখ, কত্ত ফাউল, সবাইকে কল দিয়ে জানাচ্ছে। আমি ওকে আমার মনের সর্বত্র রাখি, সম্মান দেই। তার অসম্মান হোক এরকম কথাও কখনো বলিনা। আর সে ভুল করে, মহান সেজে সবাইকে কান্নাকাটি করে ফোন দিচ্ছে! এটাই কি তোর জরুরি দরকার?
– বাদ দিয়ে দেয়, তোদের দুজনের দুজনকে দরকার। বাদ দিয়ে দেয় সব, ভুলে যা।
– তুই কি মেনে নিতে পারতি?
– ভাইরে ভুল স্বীকার করেছে তো?
– তাকে আমি বলেছিলাম, সে যেন, সব আমাকে বলে, আমি সব বাদ দিয়ে দিব। কিন্তু সে বলেনি, সে নাকি বলতে পারবেনা। বিশ্বাস কর আমার আজ সবকিছু অচেনা লাগছে।
– আমি তোকে একটা রিকুয়েষ্ট করি, রাখবি?
– না, এই ব্যাপারে করিস না বন্ধু।
– কথা শোন, যদি উর্মি তোকে নিজে থেকে সব জানাতে চাচ্চে, তবে শুনবি। আর, এটা খবর রাখবি সে কি আবারও ওই ছেলের সাথে মিশছে কিনা? যদি না মিশে, তাহলে না বললেও তুই মাফ করে দিস। কারণ এটা বয়েসের দোষ ছিল ভেবে নিবি।কিন্তু যদি আবারও ওই ছেলের সাথে ঘুরাঘুরি করে৷ তবে মনে রাখিস সে আর তোর নেই।আমি এই মুহুর্তের কথা বলছি না৷ দেখ দুই/তিন দিন সে কি করে।
– আমার কিছুই ভালো লাগছেনা।
– আমার কথা শোন, ধৈর্য ধর, আর মুখ হাত ধুয়ে নেয়, কি অবস্থা হয়েছে! সেইভ করিস নি! কেমন লাগছে। চল, হালকা কিচ্ছু খাই, আরে ব্যাটা উঠ।

রুনা খানম মেয়ের দিকে তাকিয়ে বললেন, কিরে কি হয়েছে তোর? চোখ মুখ ফোলা কেন?
– মাথা ব্যাথা করছে,
– নাকি প্রেমে ছ্যাকা খাইছিস? কার প্রেমে ছ্যাকা খাইলি? এমন কান্নাকাটি করছিস।
– আমি প্রেম করিনি, যাও এখন প্লিজ।
– না, তুমি প্রেম করনি। বয়স ১৬ হওয়ার আগেই প্রেম করেছ, আর তুমি প্রেম করনি।
– আম্মু প্লিজ।
– প্লিহ প্লিজ করিস মুখ হাত ধুয়ে খেতে আয়।
– আমার ক্ষিদে নাই, যাও
– চুপ করে টেবিলে আয়। আমি ভাত দিচ্ছি।

উর্মি টেবিলের ড্রয়ার খুলে তার শাওনের সব চিঠি পড়ছে, কত সুন্দর করে কবিতা লিখে পাঠাতো। সে সব কিছু হাতে নিয়ে কাঁদছে। কেন সে অনিকের সাথে ঘুরতে গেল? কেন? উর্মি ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদছে। গলা ভেঙে গিয়েছে। এতো কষ্ট হচ্ছে।

শাওন বাসে বসতেই সাইয়ারা কল দিয়েছে।
হ্যালো,
-ভাইয়া আমি।
– বলো সাইয়ারা।
– ভাইয়া, উর্মি খুব কান্নাকাটি করছে, বিশ্বাস করেন, আপনি এতো হার্ড হয়ে যাবেন আমি বুঝিনি। আমি ভেবেছি, আপনি ওকে বকা দিবেন, ও ঠিক হবে। কিন্তু এতো শক্ত হলেন কেন? আমার ভুল হয়েছে আপনাকে বলা। প্লিজ ভাইয়া ওকে মাফ করে দিন।
– সাইয়ারা থ্যাংক ইউ, তুমি না বললে, আমি আমার মানুষ টাকে চিনতাম না।
– ভাইয়া৷ ও বুঝে করে নাই।
– তাহলে, তুমি আমার একটা কথা রাখবে?
– বলেন?
– আগামী ৩ দিন এর মধ্যে, সে অনিকের সাথে যায় কিনা? দেখা করে কিনা? এই জিনিস আমাকে জানাবে। কিন্তু তুমি ওকে আবার এই কথা বলবে না, যে আমি তোমাকে বলেছি। তাকে তারমতো থাকতে দাও।
– ভাইয়া আপনি কি ও দেখা না করলে মাফ করে দিবেন।
– না, না। আমি অবজারবেশনে রাখছি। কিন্তু তুমি যদি ওকে জানাও, আর সে সব জানে, তাহলে আমি ভাববো তুমি তার বান্দবীর ভালো চাওনা, এবং আমার কথা ও রাখলেনা।

– আমি কথা দিলাম।
– আমিও বিশ্বাস করলাম, আগামী তিন দিন পর তোমার সাথে কথা হবে, এখন আমি গাড়ীতে, রাখছি।
– জি।

শাওনের বাস দ্রুত গতিতে ছুটছে, তার মন পরে আছে সেই কোয়ার্টারে তার প্রিয় মানুষটির ভাবনায়। শাওন ভাবছে এটা কি উর্মির নিছকই একটা ভুল? নাকি সে তার থেকে মুক্তি নিয়ে নিচ্ছে। তিন দিন পরে কি সত্যি সব বুঝা যাবে? অধীর অপেক্ষায় সে, যেন খবর আসবে, উর্মির এটা ভুল ছিল, সে তাকেই প্রাণ ভরে ভালবাসে। আসবে তো এমন খবর? সেই ভাবমায় ভাবছে শাওন….

চলবে…
আন্নামা চৌধুরী।
১৩/১০/২০২১
চলবে…

আন্নামা চৌধুরী।
১০.১০.২০২১

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here