#প্রেমময়নেশা(The story of a psycho lover)
#পর্ব-২২(বিয়ে স্পেশাল)
#Jannatul_ferdosi_rimi(লেখিকা)
ঘুমের মধ্যে হঠাৎ অনুভব করি। আমি কিছুতে বসে আছি আর সেইটা নড়ছে। আস্তে আস্তে চোখে খুলে নিজেকে গাড়িতে আবিষ্কার করে আমি ভড়কে গেলাম। আমি গাড়িতে কীভাবে। পাশে উনাকে দেখতে পেয়ে খানিক্টা ভরশা পেলাম। উনি খুব মনোযোগ সহকারে ড্রাইভিং করে যাচ্ছে। বাতাসে উনার তামিল হিরোদের মতো চুলগুলো উড়ছে। আমাকে দেখে উনি বলে উঠলেন- রিমিপরীর ঘুম ভাজ্ঞলো তাহলে? আমি অবাক হয়ে বলে উঠলাম- আমি তো আমার নিজের বাড়িতে নিজের ঘরে ছিলাম। এখানে কীভাবে? অয়ন বাঁকা হেঁসে বলে উঠে- আমি নিয়ে এসেছি! আমি বলে উঠলাম- কিন্তু কেন? অয়নঃ দেখো কালকে আমাদের বিয়ে। তারমানে শুধু আজকে রাতের জন্য আমি তোমার লাভার আর তুমি আমার!
আমি ভ্রু কুচকে বলে উঠলাম-
লাভার না সাইকো লাভার। প্রতিউত্তরে অয়ন মুচকি হেঁসে বলে উঠলো- শুধুমাত্র আজকের জন্য তোমার সাইকো লাভার কিন্তু কালকে থেকে তোমার সাইকো স্বামী আর তুমি আমার মিস্টি বউ।
উনার মুখে বউ ডাক শুনে আমি মনে এক আলাদা শিহরণ বয়ে গেলো। এই লোকটা কালকে থেকে আমার স্বামী ইসসস🙈🙈!!
রিমিঃ কিন্তু এখন আমরা কোথায় যাচ্ছি আর আপনিই বা আমাকে এইখানে কীভাবে আনলেন।
অয়নঃ ভাবলাম শেষবার এর মতো আমাদের প্রেমিক-প্রেমিকার লাস্ট নাইট টা সেলিব্রেট করলে কেমন হয়? আর আপনাকে কীভাবে আনলাম আপ্নাএ বারান্দার দিয়ে পাইপ বেয়ে।
আমি অবাক হয়ে বলে উঠলাম-
আমাকে নিয়ে অই পাইপ বেয়ে আপনি নিচে নেমেছেন?
অয়ন ঃ তোহ? তোমার অই বাপ কি আমাকে যেতে দিতো? যাহ শ্বশুড় পেয়েছি প্রথম প্রথম তো আমাকে সহ্য করতেঅ পারতো নাহ।
রিমিঃ আম যদি পড়ে যেতাম?
অয়ন ডোন্ট কেয়ার একটা ভাব নিয়ে বলে উঠে-
আমি থাকতে কি আমার রিমিপরীকে পড়তে দিতাম? কিন্তু তুমি যা ভাড়ি।
আমি মুখ ফুলিয়ে ফেললাম অয়ন শব্দ করে হেঁসে উঠলো-
অয়ন আমাকে একটি লেকের পাড়ে নিয়ে আসলো!
জানুয়ারি মাস রাতের সময় কুয়াশায় আচ্ছন্ন পড়েছে.। নরম ঘাসের উপর পা দিয়ে আমি আর অয়ন হেটে যাচ্ছি আমার গাঁয়ে একটা চাঁদর তাও কিছুটা শীত লাগছে অয়ন সেটায় হয়তো বুঝে গেলো। অয়ন তার জ্যাকেট আমাকে পড়িয়ে দিলো।
আমি বলে উঠলাম- আপনার শীত লাগবে তো!
অয়ন বলে উঠলো- এইটুকুতেই আমার কিচ্ছু হবেনা।
আমি আমার জ্যাকেট দিয়ে আমাকে ও অয়নকে দুজনকেই ঢেকে দিলাম।অয়ন মুচকি হাঁসলো। আমরা দুজনেই একই জ্যাকেটের ভিতরে। কি সুন্দর মুহুর্ত। আচ্ছা এই মুহুর্ত যদি এখানেই থেমে যেতো?
আমার কথা শুনে অয়ন আমার দিকে ঝুকে বলে উঠলো- তাহলে আমার রিমিপরীকে আমি আমার বাড়িতে নিয়ে যাবো কীভাবে আমার বউ করে?
আমি বলে উঠলাম- আমি জানিনা কিন্ত মনে হচ্ছে এই মুহুর্তে আমি আর নাও পেতে পারি।
অয়ন আমার হাত টাকে শক্ত করে ধরে বলে-
আমি আছি তোমার সাথে। এইভাবে সারাজীবন থাকতে চাই!
আমি বলে উঠলাম- যদি আমাকে কোনোদিন ভুলে যান! অয়ন আমার কপালের সাথে নিজের কপালে
ঠেকালো!
অয়ন মিহি কন্ঠে বলে উঠে- আমি নিজেকে ভুলে যেতে পারি! কিন্তু আমার রিমিপরীকে নাহ।
অয়নের মিহি কন্ঠে আমার এক আলাদা অনুভুতির সৃস্টি হলো। আমার চোখ থেকে অজান্তেই টুপ করে জল গড়িয়ে পড়লো-
এতোটা ভালোবেসে কবে বেসে ফেললেন আমাকে?
অয়ন প্রতিউত্তরে শুধু মুচকি হাঁসি উপহার দিলো।
রাত প্রায় ২টো
জানালার ঘেসে দাঁড়িয়ে আছে সুমাইয়া। ভাবতেই অবাক লাগছে কালকে তার ছোট্র বোনটির বিয়ে হবে। কত ছোট ই ছিলো তার বোনটি এইতো তার মনে পড়ে যায় সেদিন ই তার ছোট্ট বোনটি তার হাত ধরে হাটা শিখেছিলো। আর কাল তার বিয়ে অবাক করার বিষয়। আচ্ছা রিমির ঘরে একবার গেলে কেমন হয়? নিজের মনকে পরিবর্তন করে ফেলল সুমাইয়া না থাক। এখন একটু ঘুমাক। তখনি সুমাইয়ার ফোনে অচেনা নাম্বার থেকে কল আসলো।
সুমাইয়া হ্যলো বলে উঠলো-কিন্তু অপাশ থেকে কেউ কিছু বলছেনা। সুমাইয়া জানে কে ফোন করেছে হ্যা ফারহান করেছে সে সিউর তাই সেও চুপ করে চোখ বন্ধ করে ফেলল।
এদিকে ফারহান চোখ বুঝে সুমাইয়ার নিশ্বাসের শব্দ অনুভব করতে লাগলো।।
গাড়ি এসে থামলো আমাদের বাড়ির সামনে।
আমি বলে উঠলাম-
এখন কী হবে?
অয়ন বলে উঠে- এখন আর কি হবে যাও নাকি আরো থাকতে চাও আমার সাথে তাহলে আমার সমস্যা নেই( দুস্টু হেঁসে)
আমি বলে উঠলাম- আমার দরকারও নেই।
এখন কীভাবে যাবো দরজা দিয়ে তো যেতে পারবো নাহ সবাই জেনে যাবে।
অয়নঃ একটা কাজ করো পাইপ বেয়ে উঠে পড়ো।
রিমিঃ ইসস আমি পড়ে গেলে তখন আপনি আমাকে কোলো তুলে দিয়ে আসুন উপরে
অয়নঃ মানে এখন আমি আবার যাবো?
রিমিঃ হুম কে বলেছো আমাকে এইভাবে আনার। এখন আপনাকেই দিয়ে আসতে হবে।
অগত্যা অয়ন আমাকে পৌছে দিতে বাধ্য হয়।
এইসব ভাবতে ভাবতে অয়ন মুচকি হেঁসে দেয় সত্যি তার বউটা একটা বাচ্ছা।
তখনি তার ফোনে একটি কল আসে
অয়ন খানিকটা অভিমান এর সুরে বলে উঠে-
আপনি কে ভাই? এই নাম্বার কেন ফোন করেছেন আপনাকে ঠিক চিনতে পারছিনা
অইপাশ থেকে শব্দ করে হাঁসির শব্দ আসে
পুরুষকন্ঠে বলে উঠে-
তুই তো জানিস দোস্ত আমাকে নিজের ডক্টর এর প্যাক্টিস এর জন্য আমেরিকা আসতে হয়েছে নাহলে আমি তোর বিয়েতে নিশ্চই থাকতাম।
অয়নঃ তুই আর আমাকে কিছুই বলিস না। আমি তো তোর বন্ধু ই নাহ
—–তুই আমার বন্ধু কম ভাই বেশি প্লিয রাগ করে থাকিস না আমি তাড়াতাড়ি পারি বাংলাদেশে আসছি ভাবি আর তোর জন্য।
অয়ন চুপ থাকে।
–এইবার প্লিয মন খারাপ করিস না আমার ভালো লাগেনা। এইভাবে গুমড়োমুখো হয়ে কি বিয়ে করবি? তখন দেখবি ভাবি বিয়েটাই ক্যানসাল করে দিবে।
অয়ন হেঁসে উঠে-
–এই না হলে আমার দোস্ত। শোন ভাবি সম্পর্কে কিছু একটা বল।
অয়ন ঃ তোর ভাবি সে তো আমার মায়াবতীরে তার প্রেমে পড়ে আমি একেবারে সাইকো হয়ে গিয়েছি। একদম বাচ্ছা জানিস। আমার রিমিপরী।
—রিমিপরী বাহ
অয়নঃ হুম রে তুই তো পায়েল এর ব্যাপারে সবই জানিস। রিমিপরী আমার লাইফ এ ইঞ্জেল হয়ে এসেছে।
অপাশ থেকে কেউ মুগ্ধ হয়ে শুনছে
—তাহলে একবার তো ভাবি কে দেখতেই হবে যে আমার দোস্ত তাকে পুরো সাইকো বানিয়ে দিলো।
অয়নঃ আমি অনেক অনেক ভালোবাসি জানিস।
আমি চাই আমার রিমিপরী সবসময় ভালো থাকুক অনেক ভালোবাসি যে তাকে।
—এতোটা ভালোবেসে ফেললি তাকে।
অয়নঃ আমি রিমিপরী মানুষ টায় এমন যাকে সব টুকু দিয়ে ভালোবাসা যায়। যে কেউ তার প্রেমে পড়তে বাধ্য।
—— তার মানে আমিও প্রেমে পড়ে যেতাম(মজা করে)
অয়নঃ খবরদার রিমিপরীকে শুধুই তার সাইকোই ভালোবাসতে পারে।
অইপাশ থেকে শব্ধ করে হাঁসির শব্দ শুনা গেলো।
অয়ন নিজেও হেঁসে দিলো।
।।।।
।
।
।
।#প্রেমময়নেশা(The story of a psycho lover)
#পর্ব-২৩(বিয়ে স্পেশাল-২)
#Jannatul_ferdosi_rimi(লেখিকা)
সকালে পুরো চৌধুরী বাড়িতে যেনো বিয়ের ধুম লেগেছে। রুশান সব সামলাচ্ছে।রুশনি খাবারের দিকটা দেখছে। সানা হলুদের অনুষ্ঠান সামলাচ্ছে।মিসেস কলি সব আত্বীয় ও অতিথিদের সাম্লাচ্ছে।কাজ অনেক বেশি। চৌধুরী বাড়ির বিয়ে বলে কথা কম কাজ নাকি। সবাই হিমশিম খাচ্ছে।অয়ন এখনো ঘুমাচ্ছে। কাল রাতে রিমির সাথে অনেকক্ষন বাইরে থেকেছে তাই সকালে ঘুমিয়ে নিচ্ছে। কিছুক্ষন এর মধ্যেই হলুদ এর অনুষ্টান শুরু হবে। মিসেস কলি খেয়াল করলো আজকে পায়েলকে দেখা যাচ্ছেনা। অসুস্হ মেয়েটা কোথায় গেলো?কাল থেকে ঘর থেকেও বের হচ্ছেনা। তাই সে তাড়াতাড়ি পায়েল এর ঘরের দিকে গেলো। কিন্তু একি দরজা তো খুলা পায়েল কোথায়? মিসেস কলি ঘরে গিয়ে দেখে ঘরে কেউ নেই। পুরো ফাঁকা।পায়েল এর লাগেজ টা তো নেই। তার মানে কি পায়েল চলে গিয়েছে নাকি? সে তাড়াতাড়ি অয়নের ঘরে যায়। অয়ন আরামে ঘুমাচ্ছিলো। মিসেস কলি তাকে তাড়াতাড়ি ডেকে তুলে। এতে অয়ন খানিক্টা বিরক্ত হয়। সে ঘুম থেকে হায় তুলতে তুলতে বলে উঠে- মা আরেকটু ঘুমাতে দাও প্লিয।
মিসেস কলিঃ কি ঘুমাতে দিবো।পায়েলকে কোথাও দেখছিনা ।
অয়ন ঘুমমিশ্রিত কন্ঠে বলে উঠে-
দেখো গিয়ে অন্য কোথায় আছে। আমাকে ডিস্টার্ব করোনা ঘুমাতে দাও। মিসেস কলি বলে উঠেন-
পায়েল এর ঘরে তার লাগেজ টাও নেই।
এইবার অয়ন উঠে বসে বলে উঠে-
মানে? ও কোথায় গেলো?
মিসেস কলিঃ সেটাও আমি বুঝতে পারছিনা। তুই আমার সাথে আয়।
মিসেস কলির সাথে অয়ন পায়েল এর ঘরে গিয়ে দেখে সত্যি পায়েল কোথাও নেই। তার একটি জিনিসপত্র ও ঘরে নেই।
অয়ন টেবিল এর কাছে গিয়ে দেখে একটা চিঠি-
অয়ন খুলে দেখে –
পায়েল এর হাতে লেখা।
অয়ন আমি আসলে কি দিয়ে সহ্য করবো বুঝতে পারছি না। আমি নিজের ভুল বুঝে তোমার কাছে ফিরে আসতে চেয়েছিলাম কিন্তু দেখি তোমার লাইফে রিমি অলরেডি চলে এসেছি। আমি সহ্য করতে পারিনি তাই আমি মিথ্যে অসুখের নাটক করি। যাতে তুমি আমার কাছে ফিরে আসো। কিন্তু কালকের ঘটনা থেকে আমি বুঝে গিয়েছি। রিমি তোমার জন্য কি তাই আমি সব ছেড়ে চলে যাচ্ছি বিদেশে। তুমি আর রিমি ভালো থেকো। তোমাদের বিবাহ জীবন সুখের হোক। পারলে আমাকে ক্ষমা করে দিও।
ইতি তোমার অতীত,,
পায়েল।
পায়েল এর চিঠি পড়ে অয়ন চুপ হয়ে গেলো।
এদিকে
রিমির বাড়িতে,,
আমাকে হলুদের সিল্কের শাড়ি পড়ানো হয়েছে শাড়িটি খুব সুন্দর। মাথায় খোপা করা।পার্লার থেকে সাজানো হয়েছে।
সুমু আমার কাছে এসে বলে উঠে-
বিয়ের কণে কে তো অনেক সুন্দর লাগছে।
আমি বলে উঠলাম-
বিয়ের সব বউকেই একটু আক্টু ভালো লাগে্। এতে নতুন কী?
সুমু আমার আমাকে একটু ভালো করে দেখে বলে উঠলো-
সবার মুখে কি আর তোর মতো মায়া থাকে। তুই তো পরী। আমার অয়ন ভাইয়ার রিমিপরী।
আমি লজ্জায় মাথা নিচু করে ফেললাম।
সুমু হেঁসে বলে উঠলো-
আমার লজ্জাবতী বোন দেখি লজ্জাও পায় ।
রিমিঃ দূর তুমিওনা
সুমুঃ হুম এইবার আয়! গাঁয়ে হুলুদের সময় হয়ে যাচ্ছে। আমি মাথা নাড়াই।
সুমু আমাকে নিয়ে স্টেজের দিকে যায়। বাবা অতিথি আপ্পায়ন করছে। মা ও খালা চাচিরা মিলে আমার গাঁয়ে হুলুদ লাগিয়ে যাচ্ছে। তারপর আমার বান্ধুবিরাও লাগিয়ে দিচ্ছে। বাবা আমাকে লাগাতে গিয়ে কেঁদেই দিলেন আমিও কেঁদে দিলাম। বাবার কাছে আমি খুব আদরের। আজ অন্য বাড়ির বউ হয়ে যাবো সবার কাছেই এই মুহুর্ত টা কষ্টের।
বাবাঃ আমার মা তুই সবসময় ভালো থাক।
মাও কেঁদে যাচ্ছে। সুমুর চোখেও জল।
এদিকে।
অয়ন কে একেবারে ফারহান আর বাকিরা বন্ধুরা মিলে ভুত বানিয়ে ফেলেছে। অয়ন অগ্নিদৃস্টি নিক্ষেপ করে বলে উঠে-
শালা এটা কী করলি তোরা?
ফারহানঃ দেখ বিয়ের বরকে এইভাবেই দিতেই হবে
অয়নঃ আমারও সময়ও আসবে।
ফারহান হেঁসে উঠলো।
।।।।।দুই পক্ষের হলুদ অনেক সুন্দর ভাবে সম্পর্ণ হলো।
—+++
পার্লার থেকে স্টাফ এসে আমাকে সাজিয়ে যাচ্ছে।
অয়নের সেই বেনারশি পড়িছি আমি শুধুমাত্র আমার সাইকোটার জন্য একেবারে নববধু সাজে।
সোনার অলংকার আমার গাঁয়ে পড়ানো হচ্ছে।
সাজানো শেষ হলে আমি আয়নায় নিজেকে দেখে নিজেই ক্রাশ খাচ্ছি। সবাই আমার দিকে মুগ্ধ হয়ে তাঁকিয়ে আছে।
তখনি আমার ফোনে অয়নের ফোন আসে। আমার কেন যেনো খুব লজ্জা লাগছে। আমি কাঁপাকাঁপা হাতে ফোন তুলি।
রিসিভ করার সাথে সাথেই আমার বুকে ঢিপঢিপ করে আওয়াজ করে যাচ্ছে।
অয়ন বলে উঠলো-
সাজানো কম্পলিট?
আমি ছোট্ট করে বলে উঠি-
হুম
অয়ন এক্সাইটেড হয়ে বলে উঠে- আমার রিমিপরীকে বধু সাঁজে দেখার জন্য
আমার তর সইছে নাহ। এক্ষুনি চলে আসতে মন চাইছে।
আমি হেঁসে দিলাম।
অয়নঃ আজই আমাদের অপেক্ষার শেষ আমার রিমিপরী।
ফোন রাখার সাথে সাথেই আম্মু আমার কাছে এসে ছলছলে চোখে বলে উঠে-
বাহ আমার মেয়েটাকে একেবারে রানি লাগছে।
সুমু এসে বলে উঠে-
রানি না বলো অয়ন ভাইয়ার রিমিপরী!
মা মুচকি হেঁসে বলে উঠে-
আমার ছোট্ট মেয়েটা আজ অন্যের বাড়ির বউ হয়ে যাবে। ভাবতেই কান্না পাচ্ছে।
আমি মাকে জড়িয়ে ধরে কান্না করে দেই।
সুমু বলে উঠে-
আরে ভাই। ম্যাকাপ নষ্ট হয়ে যাবে তোহ। একেবারে পেত্নি লাগবে। তখন দেখবি ভাইয়া তোকে ভুত মনে করে পালিয়ে যাবে(মজা করে)
আমি স্পষ্ট দেখতে পারছি সুমুর চোখে জল। আমি সুমুকেও জড়িয়ে ধরলাম।
।।।।।।
কিছুক্ষন এর মধ্যে বাইরে থেকে শব্দ এলো বর এসেছে।
সবাই ছুটে চলে গেলো। প্রথমে গাড়ি থেকে অয়ন বেড়িয়ে গেলো। সাথে সাথে বড় কার্পেট বের হয়ে গেলো। অয়ন কার্পেটে পা রাখার সাথে সাথেই ফুলের বর্ষন শুরু হলো।
অয়নকে দেখে সবাই হা হয়ে রইলো।
গোলাপী গোল্ডেন শেরওয়ানী পড়েছে অয়ন চোখে কালো সানগ্লাস হাতে বড় তলোয়ার। আমি একেবারে উনাকে দেখে হা হয়ে রয়েছি আমার হবু বর একেবারে দেখি তামিল হিরোদের ফেল করিয়ে ছাড়বে ইসস🤭!!
সাইন্ড বএক্স এ বেজে যাচ্ছে
💕
Tere ghar ayya mein ayya tujko lena
dilke badleme dil ka najrane leke 💕
tere ghar aaya mein aaya tujko lena
dil ke badle mein dil ka najrane leke
mere har darkan meya bole hain sun sun
sajaan ji ghar ayye sajan ji ghar ayye
dulhan yeeo sarmayee sajan ji ghar ayye
গানের সাথে তাল মিলিয়ে অয়ন ও তার বন্ধুরা নেচদ যাচ্ছে আমি জানালে থেকে দেখছি আর মুচকি হাঁসছি।
অয়নকে স্টেজে বসানো হলো।
কাজি এখনো পৌছেনি। ২ ঘন্টা এখানো বাকি বিয়ে পড়ানোর। বিয়ে পড়ানোর পরে কণেকে স্টেজে আনা হবে। অয়ন অপেক্ষা করছে আর কিছু সময় পরেই তার রিমিপরী তার সুম্পুর্ন হবে।
ফারহান সুমাইয়াকে দেখে যাচ্ছে।
মিসেস কলি ও রুশনি আসেনি।
তাদের ভাষ্যমতে তাদের বিয়েতে আসাএ নিয়ম নেই।
অয়ন অনেক রিকুয়েষ্ট করেছিলো কিন্তু সে ব্যর্থ। সানা সিল্ফি তুলাতে ব্যস্ত। রুশান ও আশরাফ সাহেব নিজেদের মধ্যে কথা বলে যাচ্ছেন।
তখনি অয়নের ফোনে একটা কল আসে।
সুমু তাড়াতাড়ি রিমির ঘরে এসে বলে উঠে-
তুই জানিস কি হচ্ছে?
আমি বলে উঠলাম- কিহ
সুমুঃ অয়ন ভাইয়া নাকি হসপিটালে যাবে এখন
আমি অবাক হয়ে বলে উঠলাম- কিহ?
আশরাফ সাহেবঃ কিন্তু বাবা আজ তোমার বিয়ে
আজ না গেলে কি নয়.?
অয়নঃ আসলে আংকেল হসপিটালে একটি পেশেন্ট এর অবস্হা ক্রিটিকাল আমি ছাড়া সেই ওটি কেউ করতে পারবেনা
রুশানঃ কিন্তু তোমার জন্য আজকে একটি ইম্পোর্টেন্ট দিন আজকে যেওনা
অয়নঃ একটা মানুষের জীবন-মরনের বিষয়। তাছাড়া এখনো যথেষ্ট সময় আছে। আমি ওটি টা করে এসে পড়বো।
তখনি আমি ছুটে চলে এলাম। রিমিকে দেখে অয়ন যেনো থমকে গেলো। একে কাকে দেখছে সে তার রিমিপরীকে। এই সাজেই তো সে তার রিমিপরীকে দেখতে চেয়েছিলো। অয়নের মিস্টি মায়াবতী বউ।
অয়ন যেনো ঘোরের মধ্যে চলে গিয়েছে। হার্ট বিট জোড়ে জোড়ে বিট করছে।
তাও অয়ন নিজেকে সাম্লে নিলো।
মা এসে বলে উঠে- তুই এখানে আসতে গেলি কেন?
আমি বলে উঠলাম- আমার মনে হয় উনার যাওয়ার দরকার।
সবাই আমার দিকে অবাক দৃস্টিতে তাঁকিয়ে থাকে
বাবাঃ তুই কি বলছিস আজকে তোদের বিয়ে।
আমি বলে উঠলামঃ মানুষের জীবনের থেকে বিয়ে বড় নয় আর তার থেকেও বড় কথা উনি ডক্টর মানুষের জীবন বাঁচানোও উনার কর্তব্য।
আমি জানি উনি ওটি শেষ করে ফিরে আসবেন
অয়ন আমার কাছে এসে আমার হাত টা শক্ত করে ধরে বলে উঠে-
ধন্যবাদ আমার রিমিপরী আমাকে সাপোর্ট করার জন্য। এই না হলে আমার বউ। আমি কথা দিচ্ছি আমি ফিরে আসবো যথাসময়ে।
আমি বলে উঠলামঃ
আমার বিশ্বাস আছে আপনার উপর।
অয়ন ঃ আমার জন্য অপেক্ষা করো রিমিপরী।
রিমিঃ সারাজীবন করবো
অয়ন আমার হাত ধরে শব্দ করে চুমু খায়
এই বলে অয়ন চলে যায় কেউ তাকে আটকাতে পারলো না অয়নের কেন জানি এখন তার রিমিপরীকে ছেড়ে যেতে ইচ্ছে করছেনা কিন্তু সে নিরুপায় তারও কর্তব্য আছে।
আমি অয়নের যাওয়ার পানে চেয়ে রইলাম
এদিকে আমার মন ও মানছেনা উনাকে যেতে দিতে
কিন্তু আমি জানি উনি ঠিক ফিরে আসবেন।
#প্রেমময়নেশা(The story of a psycho lover)
#পর্ব-২৪
#Jannatul_ferdosi_rimi(লেখিকা)
(প্রথমে কিছু কথা বলে নেই।আপ্নারা সবাই নিয়মিত পাঠক পাঠিকা তাই আপ্নারা সবাই জানেন একজন লেখিকা যখন গল্প লেখে তখন সব কিছু আগে থেকে ভেবে তারপর একটি গল্প লেখে। পর্ব ২৩ পড়ার পর থেকে আমাকে নানানজন নানান কথা বলছেন কেউ বলছে বিয়ে দেওয়ার পরে করতেন।পায়েলকে কেন গল্পে আনলেন?আবার অয়নের কিছু হলে গল্পই পড়বো নাহ। আপনাদের কমেন্টে আমি অনেক হতাশ হয়েছি আপনাদের কাছ থেকে এইটা আশা করিনি। আপনাদের কথা অনুযায়ী আমি যদি আমার প্লট চেঞ্জ করি আমার গল্প তো ছন্নছাড়া হয়ে যাবে। আর এখুনি আপনার এতো হতাশ হচ্ছেন কেন? গল্পের কিছুই শুরু হয়নি এখনো মাত্র প্রথম অধ্যায় চলছে এখনো দ্বিতীয় অধ্যায় বাকি আছে। তাই আশা করি সবাই গল্পটির শেষ পর্যন্ত থাকবেন। গল্পেতে কিছু টা হলেও ভিন্নতা পাবেন)
রিমি অয়নের পথ পানে চেয়ে আছে এখনো। রিমির মা রিমির কাছে এসে বলে উঠে- তোর উচিৎ ছিলো ছেলেটাকে আটকানো। আমি মায়ের দিকে তাকিয়ে বলে উঠলাম- একজন মানুষের থেকে বিয়ে আগেনা
মা বলে উঠলো- আরো অনেক ডক্টর আছে তো।
আমি বলে উঠলাম- উনি তো বললেন অনেক ক্রিটিকাল পেশেন্ট। উনি ছাড়া ওটি টা কেউ পারবেনা। মা বলে উঠলো-বুঝিনা তোদের ব্যাপার বাপু। মিসেস কলিকে সবটায় ফোনে বলছে সানা। মিসেস কলি বলে উঠেন- তোরা ওকে আটকাবি নাহ। সানা বলে উঠলো- বাবা। আশরাফ আংকেল সবাই যেতে মানা করেছিলো ভাইয়াই চলে গেলো।
মিসেস কলি ঃ রিমি কি করছে? সানা বলে উঠলো- জুনিয়ার ভাবির কথা আর নাই বা বললাম। ভাবিই উল্টো আটকানোর বদলে ভাইয়াকে যেতে বলেছে। মিসেস কলি দীর্ঘশ্বাস ফেললেন সত্যি যেমন ছেলে তেমন ছেলের বউ। মিসেস কলি বলে উঠলো- আচ্ছা আমি অয়নকে ফোন করে নিচ্ছি দেখি কোথায় আছে। এইভাবে বিয়ের আসর থেকে যাওয়ার কোনো মানেই হয়না। সানা তাড়াতাড়ি ফোনটা রেখে চলল স্টেজ এর দিকে।
সুমুর বসে ছিলো ফারহান এসে বলে উঠলো-
চিন্তা করোনা অয়ন ঠিক চলে আসবে। ফারহানকে দেখে সুমু নরেচরে উঠলো।
ফারহান সুমাইয়া হাত শক্ত করে ধরে বলে উঠলো-
কালকে রাতে আমি তোমাকে ফোন করেছিলাম তুমি জানতে না।
সুমাইয়া চুপ হয়ে রইলো।
ফারহানঃ নিরবতা সম্মতির লক্ষন।
তাহলে না কেটে ধরে রেখেছিলো।
সুমাইয়া ঃ জানিনা
প্রতিউত্তরে ফারহান হেঁসে দিলো।
ফারহানঃ আমাকে কি প্লিয একবার সুযোগ দাওনা
ফারহান আবারও বলে উঠলো-
যেদিন আমি থাকবো নাহ সেদিন আফসোস করবে।
সুমাইয়া ছলছলে চোখে ফারহান এর দিকে তাঁকিয়ে আছে।
ফারহান চলে যায়।
অয়ন কোনোরকম ফাস্ট ড্রাইভ করে হসপিটালের গেটে পৌছায়। হসপিটাল এর দাড়োয়ান অয়নকে বিয়ের সাজে দেখে বেশ অবাক হয়। তার ধারণামতে অয়নের এখন বিয়ের আসরে থাকা কথা। অয়নকে আসতে দেখে তিনি তাড়াতাড়ি অয়নের কাছে ছুটে যান। তিনি বলে উঠেন-
অয়ন স্যার আপনি এখানে এমন সময়ে?
অয়ন বলে উঠে-
হসপিটালে নাকি অনেক ক্রিটিকাল পেশেন্ট এডমিট হয়েছে তাই
দাড়োয়ান অবাকের সুরে বলে উঠে-
পেশেন্ট ভর্তি হয়েছে মানে কি?
আজ তো তেমন কোনো পেশেন্ট ভর্তি হয়নি
অয়নঃ ওয়াট(চিল্লিয়ে) কিসব যাতা বলছেন?
অয়ন তাড়াতাড়ি হসপিটালের গেটে ঢুকে সব নার্স ডক্টরদের ডাকতে থাকে।
সবাই অয়নকে এই অবস্হায় দেখে অনেক টায় অবাক হয়ে যায়
তারা অয়নের কাছে এসে বলে উঠে-ডক্টর অয়ন আপনি এই অবস্হায় কেন?
অয়ন বলে উঠে- আমাকে হসপিটাল থেকে ইনফোর্ম করা হয়েছে। একজন ক্রিটিকাল পেশেন্ট এডমিট হয়েছেন।
সবাই অয়নের কথা বেশ অবাক হয়েছে তা তাদের মুখেই স্পস্ট।
ডক্টর সৈকত বলে উঠে-
এইরকম কোনো পেশেন্ট আসেনি ডক্টর অয়ন।
অয়নঃ মানে কি এইসব এর আমাকে এই হসপিটাল থেকেই ইনফোরমেশন দেওয়া হয়েছে।
সৈকতঃ আচ্ছা তুমি নাম্বার টায় আরেকবার কল করে দেখো।
আমাদের মধ্যে তো এমন কেউ ই করে নাই।
অয়ন তাই করলো। ফোন হাতে নিয়ে নাম্বার টায় কল করে দেখলো এখন তা বন্ধ।
অয়ন ঃ নাম্বার টা তো অফ।
সৈকতঃ এইগুলো কেউ মজা করে করেনি তো?
ডক্টর ইসান বলে উঠে-
আজকে অয়নের বিয়ে তার বিয়ের দিনে এইরকম বাজে মজা কে করবে?
অয়ন হাত-মুসঠিবদ্ধ করে বলে উঠে-
আমি তো তাকে খুজেই বের করবো। আপতত আমার যাওয়ার দরকার।
ডক্টর সৈকতঃ আজকে তোমার বিয়ের দিন আসা ঠিক হয়নি অয়ন।
অয়নঃ আমারো তাই মনে হয়
ডক্টর ইসানঃ বেস্ট অফ লাক মাই বয়। তুমি এখন তাড়াতাড়ি যাও।
অয়নঃ ধন্যবাদ!
অয়ন তাড়াতাড়ি বেড়িয়া যায়।
অয়ন বেড়িয়ে যাওয়ার সাথে সাথেই আড়ালে একজন ছেলে ডক্টর কাউকে কল করে!
—-হ্যালো স্যার!
——-+++
—–জ্বী স্যার আপনার কথা মতো অয়ন চৌধুরীকে আনিয়েছি।
——-++++
হ্যা স্যার এখন অয়ন চৌধুরী গাড়িতে উঠবে
——–++++
—///আপনার প্ল্যান মাফিক সব হচ্ছে। এখন আমার টাকা টা
——-
—আমি আজই বাংলাদেশ এর বাইরে চলে যাচ্ছি নাহলে আমি পরে ধরা পড়ে যেতে পারি। আমার ডক্টরের লাইসেন্স ও চলে যেতে পারে।
——++++
—-ঠিক আছে। আমি আজই বেড়িয়ে পড়বো।
এই বলে সে ফোনটি কেটে দেয়।
এদিকে। আমি পাইচারি করে যাচ্ছি।চারদিকে
রুশান আংকেল আমার কাছে এসে বলে উঠে-
অয়ন মনে হয় আর কিচ্ছুক্ষন এর মধ্যেই চলে আসবে।
আমি বলে উঠলাম- আমারো তাই মনে হয়।
মুখে আমি যাই বলিনা কেন আমারোও এখন প্রচন্ড টেনশন হচ্ছে। কেমন যেনো ঠিক লাগছেনা। উনি কখন আসবেন।।
তখনি বাবা বলে উঠে- কাজি সাহেব চলে এসেছেন।
অয়ন কোথায়?
রুশানঃ আমি ফোন দিচ্ছি আমার মনে হয় এখুনি চলে আসবে।
এই বলে অয়নকে রুশান ফোন দিতে থাকে।
কাজি সাহেব এসে বলে উঠেন-
বিয়ের কণে কোথায়?
মা আমাকে নিয়ে স্টেজে বসিয়ে দেয়।
কাজি সাহেবঃ মেয়ে তো এসেছে কিন্তু বর কোথায়?
সবাই কি উত্তর দিবে বুঝতে পারছেনা
রুশান বলে উঠে-
বর হসপিটলের একটি ওটি টে আছে।
কিছুক্ষন এর মধ্যেই চলে আসবে।
কাজি সাহেবঃ আরে তাড়াতাড়ি করুন আমার আরো জায়গায় বিয়ে পড়াতে যেতে হবে।
আশরাফ সাহেবঃ জ্বী আমরা দেখছি।
এদিকে,,
একজন গাড়ি হাই স্প্রিডে চালিয়ে যাচ্ছে। তখনি সে খেয়াল করে তার গাড়ির ব্রেক ফেল হয়েছে আউট অফ কন্ট্রোল। বাংলাদেশে এসে এইরকম পরিস্হিতি তে পড়তে হবে সে ভাবেনি। খালামনির সাথে আজ দেখা করতে এসেছে সে কিন্তু একি এইটা কি হচ্ছে।।
সে যথাসম্ভব নিজেকে কন্ট্রেোল করার চেস্টা করছে।
কিন্তু পারছেনা
——
রুশান এসে বলে উঠে-
আমি ফোন করে যাচ্ছি কিন্তু অয়নকে ফোনে পাচ্ছিনা। আমি বসা থেকে উঠে দাঁড়াই।
আমি বলে উঠলাম- পাচ্ছেন না মানে কি?
রুশানঃ অনেক বার ট্রাই করলাম কিন্তু পাইনি আমি।
আশরাফ সাহেবঃ আমার মনে হয় হসপিটালে একবার খোঁজ নেওয়া দরকার আমি বরং ফোন দিয়ে দেখি
আশরাফ সাহেব ফোন দিতে যাবে তাএ আগেই রুশান বলে উঠে-
আমি দিচ্ছি। আপনার দেওয়ার লাগবেনা
আশরাফ সাহেবঃ ঠিক আছে।
সুমু এসে আমার পাশে দাঁড়ায়। সবার মুখেই চিন্তার ভাজ।
ফারহানঃ অয়নের ফোন অফ অয়ন তো এইরকম করার ছেলেনা
আমার চোখ থেকে পানি গড়িয়ে পড়লো।
সুমুঃ এইরে তুই কা্ঁদছিস কেন ভাইয়া ঠিক ফিরবে।
এদিকে অয়ন ও নিজের গাড়ির প্রতি কন্ট্রোল হারিয়ে ফেলেছে।
অয়নঃ আমার গাড়ির ব্রেক ফেইল হয়েছে ওহ মা গড!
নাহ আজকে আমাদের বিয়ে আমার রিমিপরী আমার পথ চেয়ে বসে আছে আমাকে গাড়ি থেকে বের হতেই হবে।
অয়ন নিজের সবোর্চ্চ চেস্টা করছে কিন্তু সে ব্যর্থ।
হঠাৎ অয়নের গাড়ির সামনে একটি গাড়ি চলে আসে। অয়ন তার চোখ বন্ধ করে ফেলে তখনি রিমির মুখ ভেসে উঠে অজান্তেই অয়নের চোখ বেয়ে জল গড়িয়ে পড়ে।
অয়ন অফুস্টস্বরে বলে উঠে-
অনেক অনেক ভালোবাসি আমার রিমিপরী!
তোমার সাইকো তোমাকে বড্ড ভালোবাসে। ভালো থেকো! তোমাকে দেওয়া কথা বোধহয় রাখতে পারলাম নাহ।
।
।
।
#প্রথম_অধ্যায়
চলবে।।।
(আশা করি সবাই আমার অবস্হা বুঝতে পারবেন)