প্রেমময় প্রহর পর্ব ২

প্রেমময় প্রহর (deewana 2)
Urme prema (sajiana monir)
পর্ব :২

সকাল থেকে সায়রা সব কিছু গোছাচ্ছে যদিও তার মন সায় দিচ্ছেনা তারপর ও সে সব করছে ।শুধুই তার রিদ্ধিদির জন্য !
এই অবস্থায় বোনটাকে একাও ছাড়তে পাড়ছেনা না সে ।
নিজের মনের সাথে অনেকটা যুদ্ধ করেই সে যাচ্ছে ।
মনের কোনে কোথাও ভয় কাজ করছে তার এতদিন আরসাল থেকে সে দূরে ছিল কিন্তু এখন তো সারাক্ষন তার চোখের সামনেই তাকে থাকতে হবে ।সে কি করে থাকবে তার মনে বেশ ভয় কাজ করছে ।
অনেকটা ভয় নিয়েই নিজের সব কিছু পেকিং করছে ।
এদিকে রিদ্ধি রুমে প্রবেশ করে সায়রাকে এমন বেখেয়ালীতে দেখে বলতে লাগে
-“সায়রা তুই এখনো রেডি হোসনি !
ঐ দিকে যাওয়ার সময় হয়ে যাচ্ছে ।”
হঠাৎ রিদ্ধির এমন কথায় সায়রার ধ্যান ফিরে সায়রা তারাহুরো করে ব্যাগে কাপড় ডুকতে ডুকতে বলে
-“এই তো দি আর ৫ মিনিট !
আমি এখনই জটপট রেডি হয়ে নিচ্ছি ।”
বলেই সায়রা তারাতারি করে রেডি হয়ে নেয়।সবাই থেকে বিদায় নিয়ে নিচে নেমে বাড়ির সামনে দাড়ায় রিদ্ধি আর সায়রা ।হঠাৎ ই স্প্রিডে গাড়ি এসে তাদের সামনে থামায় এমন ভাবে গাড়ি আসায় সায়রা বেশ ঘাবড়িয়ে যায় !
সায়রা তেড়ে গাড়ির সামনে যায় ড্রাইভারকে কিছু বলতে কিন্তু গাড়ির কালো গ্লাস তাই কিছু দেখা যাচ্ছেনা ।
তাই সায়রা গাড়ির কাচেঁ হাত দিয়ে নক করে ।
নক করতেই ভিতরের থাকা লোক গ্লাস খুলে দেয় ।ভিতরের লোককে দেখে সায়রার চোখ কপালে উঠে যায় কারন ভিতরে আর কেউ না আরসাল রয়েছে ।ভয়ে সায়রার হাতপা কাপঁছে !
আরসালের ঠোঁটের কোনে বাকাঁ হাসি ।আরসাল গাড়ির স্টার্রিং ধরে সায়রার দিকে তাকিয়ে বলে
-“কিছু বলার আছে ?”
সায়রা ভয়ে নিচের দিকে তাকিয়ে না বোধক মাথা নাড়ায় ।
রিদ্ধি দেরি না করে জটপট করে গাড়ির পিছনে সিটে বসে পড়ে ।সায়রা রিদ্ধির সাথে পিছন সিটে বসতে গেলে আরসাল কড়া গলায় বলে উঠে
-“আমাকে কি ড্রাইভার মনে হয় ?”
তা শুনতেই সায়রা থেমে যায় ।রিদ্ধি ছোট মুখ করে বলতে লাগে
-“সায়রু তুই তো জানিস আমি সামনে সিটে বসতে পারিনা ।
তুই সামনে বসনা বোন !”
সায়রা কাদোঁ কাদোঁ ফেস করে একবার রিদ্ধির দিকে তাকায় একবার সামনের সিটের দিকে তাকায় ।তার কাছে এমন মনে হচ্ছে যে কেউ তাকে নরকে ডেলে দিচ্ছে । চিৎকার করে কান্না করতে ইচ্ছে করছে তার ।যদি পারতো তাহলে এখন দৌড় দিয়ে বাড়িতে গিয়ে বেডের নিচে ডুকতো কিন্তু তা তো আর হবেনা !
আস্তে আস্তে সায়রা সামনে আরসালের পাশের সিটে বসে ।সায়রা বসতেই আরসাল সায়রার একদম কাছে এসে সিট বেল্ট বেধেঁ দেয় ।আরসালকে এত কাছে আসতে দেখে সায়রা চোখ মুখ খিচেঁ বন্ধ করে ফেলে আরসাল সায়রার এমন প্রতিক্রিয়া দেখে ঠোঁটের কোনায় কামড় দিয়ে নিজের হাসি আটকিয়ে দূরে সরে যায় ।
আরসাল দূরে সরে যেতেই সায়রা বড় বড় শ্বাস নিতে লাগে ।আরসাল বাকাঁ হেসে গাড়ি স্টার্ড দেয় ।
গাড়ি নিজ গতিতে চলছে আরসাল গাড়ি চালানোর ফাকেঁ ফাকেঁ সায়রাকে দেখছে ।
খুব সাধারন ভাবেই রয়েছে সায়রা কিন্তু আরসালের কাছে এই সাধারণ সায়রাকেই বেশ অসাধারন লাগছে ।
বাতাসে সায়রার চুল গুলো উড়ে বার বার আরসালের মুখে এসে লাগছে ।কানের দুল গুলোও যেন তার সাথে পাল্লা ধরে দুলছে ।মায়াবী চোখ গুলোতে কাজল দেওয়ায় আরো মায়া ফুটে উঠে ।গোলাপি ঠোঁটগুলো আর ডান গালের তিলটা যা আরসালকে সব সময় টানে !
যতবার তার দিকে তাকায় ততই যেন তার প্রেমে পড়ে বুকের ভিতরটা নাড়া দিয়ে উঠে ।
বার বার তার মনে শুধু একই প্রশ্ন উঠছে
-“উপরওয়ালা তাকে কি দিয়ে বানিয়েছে যে তার মধ্যে এত মায়া ।তার কাছে আসলেই তার চোখের নেশায় পড়ে যায় !”
আরসাল চাইলেও সায়রার থেকে নিজের চোখ সরাতে পারছেনা ড্রাইভিং এর ফাকেঁ ফাঁকে সায়রাকে দেখে যাচ্ছে !
অন্যদিকে সায়রার যেন ধম বন্ধ হয়ে আসছে সে বার বার শুধু সময় দেখছে কখন বাসায় পৌছাবে আর আরসাল থেকে কখন দূরে সরে যাবে ।সে আরসালের পাশে এক মুহূর্তের জন্যও থাকতে চাইছে না !

গাড়ি এসে বড় প্রাচীর ঘেরা বাড়ির সামনে থামলো ।গাড়ি দেখতেই দাড়োয়ান তারাতারি করে বাড়ির গেইট খুলে দেয় ।আরসাল গাড়ি নিয়ে একদম ভিতরে চলে আসে ।এই বাড়িতে সায়রা এই প্রথম আসেনি এর আগেও ২ বার রিদ্ধির বিয়ের সময় এসেছে কিন্তু সে সময় আর এখনকার মধ্যে বেশ পার্থক্য রয়েছে অনেক কিছু পরিবর্তন করেছে তার বদলে নতুন অনেক কিছু যোগ হয়েছে ।
সায়রা গাড়ি থেকে সবটা চোখ ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখতে ।গাড়ি থামতেই তার ধ্যান ফিরে ।
গাড়ি থেকে নামতেই কেউ ঝড়ের গতিতে এসে সায়রা জরিয়ে ধরে এমন হওয়াতে সায়রা বেশ চমকিয়ে যায় ।
হ্যা মেয়েটা আর কেউ নয় আরসালে চাচাতো বোন সায়রি।
সায়রি জরিয়ে ধরে বলে
-“ভাবিপু জানো তোমাকে কতটা মিস করেছি ?
আই মিস ইউ আ লর্ড ।
কতবার রিদ্ধি ভাবিকে বলেছি তোমাকে নিয়ে আসতে কিন্তু ভাবি তোমাকে আনেনি ।
এট লাস্ট তুমি এসেছো এবার একসাথে খুব মজা করবো ।”
সবগুলো কথা রিদ্ধি একদমে বলে সায়রা ড্যাব ড্যাব চোখে সায়রি কে দেখছে আর ভাবছে এত কথা কেউ একসাথে কি করে বলতে পারে !
এসব ভাবতে ভাবতেই হঠাৎ মাথায় কারো স্পর্শ টের পায় সায়রা পিছনে ঘুরে দেখে আরসালের মা মুনতাহা বেগম ।
মুনতাহা বেগম মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে বলতে লাগে
-“এই বুঝি এই মায়ের কথা তোমার মনে পড়লো ?”
সায়রা সালাম দিয়ে মুখে হাসির রেখা টেনে বলতে লাগে
-“মাকে কি কখনো ভুলা যায় !
আমি সব সময় আপনাকে মনে করি আন্টি কিন্তু ব্যস্ততার জন্য যোগাযোগ করা হয়না !”
মুনতাহা বেগম সায়রার কপালে ঠোঁট ছুয়িঁয়ে বলতে লাগে
-“এবার আর যেতে দিবোনা সারাজীবনের জন্য নিজের কাছে রেখে দিব নিজের মেয়ে করে !”
সায়রাকে বাড়ির ভিতরে নিয়ে যায় ।ভিতরে যেতেই দেখে আরসালের দাদা দাদী সায়ন আদি সায়নের মামি মামাতো বোন সবাই বসে আছে ।আদি সায়রা কে দেখে দৌড় দিয়ে এসে খুশিতে জরিয়ে ধরে ।সে বেশ খুশি নিজের মাম্মাম কে পেয়ে ।রিদ্ধি আর সায়নের পর যদি আদি কাউকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসে তা হল সায়রাকে ।
সায়রা ভিতরে গিয়ে সবাইকে সালাম দিয়ে সবার সাথে কুশল বিনিময় করে ।সবাই সায়রার সাথে বেশ স্বাভাবীক ভাবে কথা বলে শুধু সায়নের মামী ছাড়া ।সায়নের মামী নিলুফা বেগম সায়রাকে বাড়িতে ডুকতে দেখেই তার মুখ কালো হয়ে যায় ।নিজের রাগটাকে দমিয়ে সে সেখান থেকে চলে যায় ।ব্যপারটা সায়রার চোখের আড়াল হয়নি এমন এটা প্রথমবার না এর আগেও তিনি সায়রার সাথে বেশ খারাপ ব্যবহার করেছে ।কিন্তু সায়রা কোন বারই উনার রাগের কারন খুঁজে পায়নি ।তিনি সায়রা কে খুব একটা পছন্দ করেনা ।সায়নের বাবা মা ১২ বছর আগে গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যায় ।তখন থেকেই সায়ন আর সায়রিকে আরসালের বাবা মা দেখাশোনা করে নিজের সন্তানের মত মানুষ করে ।আর মাঝে মাঝে সায়নের মামা মামীও আসতেন তাদের দেখতে ।অনেক আগে থেকেই এই বাড়ির সাথে সায়রাদের বাড়ি বেশ ভালো সম্পর্ক কারন সায়রার দাদা আর আরসালের দাদা বেশ ভালো বন্ধু সায়রাদের বাসায় প্রায়ই আরসালরা যাওয়া আসা করতো !
তাই সায়রা আগে থেকেই সবটা জানতো ।

রিদ্ধি সায়রাকে দোতলায় গেস্ট রুমে নিয়ে আসে কারন এখন থেকে সায়রা এখানেই থাকবে ।সায়রা চারদিকে চোখ বুলিয়ে দেখছে পুরোটা রুম বেশ সুন্দর ভাবে সাজানো প্রত্যেকটা ফার্নিচার বেশ দামি ।রুমের সাথেই বড় বারান্ধা রয়েছে সব মিলিয়ে খুব সুন্দর করে গোছানো ।
কিন্তু সায়রা একটু অবাক হলো কারন তার রুমের সাথে পাশের রুমে বারান্ধা এডজাস্ট করা !
সায়রা পিছনে ঘুরে রিদ্ধি কে জিগাসা করবে ঐটা কার রুম তার আগেই রিদ্ধি বলতে শুরু করে
-“জানিস বালিকা বধূ তুই এই রুমে থাকবি বলে এই পুরোটা রুম আরসাল ভাইয়া নিজের মন মত ডেকোরেশন করছে ।বারান্ধায় তোর পছন্দের সব রকম ফুল গাছ রয়েছে । এই বাড়ির অন্যান্য রুম থেকে একদম আলাদা ভাবে সাজিয়েছে ।তোর যাতে কোন প্রকার অসুবিধা না হয় তাই সব রকম ব্যবস্থা উনি করে রেখেছে ।”
আরসাল নামটা শুনতেই সায়রার মেজাজ খারাপ হয়ে যায় ।যদি ভালোই না বাসে তাহলে এত আদিক্ষেতা কিসের তার ?
কেন এইসব করে সবার সামনে জাহির করতে চায় যে সে সায়রাকে ভালোবাসে তার খুব কেয়ার করে যদিও সত্যি পুরোই ভিন্ন !
সায়রা রিদ্ধি দিকে তাকিয়ে বলে
-“দি তুমি তো জানোই আমি জার্নি একদম করতে পারিনা অনেক টায়ার্ড লাগছে আমি একটু রেস্ট নিতে চাই ।”
রিদ্ধি সায়রার হাতে হাত রেখে মুচকি হেসে বলে
-“অকে একটু রেস্ট নিয়ে নে !
আমি পরে আসছি ।”
বলেই রিদ্ধি চলে যায় ।সায়রা দরজা লক করে বেডে গা এলিয়ে দেয় ।তার এটা ভাবতেই কান্না আসছে তাকে এ বাড়িতে ২৪ ঘন্টা আরসালের সামনে থাকতে হবে ।ইচ্ছে করছে চিৎকার করে ব্যা ব্যা করে কান্না করতে ।
বেশ কিছুক্ষন আরসাল থেকে কিভাবে দূরে থাকবে তা ভেবে বেড থেকে উঠে পড়ে ফ্রেস হতে ।

শাওয়ার নিয়ে বের হয়ে সায়রা আয়নার সামনে দাড়িয়ে নিজের পিঠের ফিতাটা বাধাঁর চেস্টা করছে ।সায়রার ভেজা চুল থেকে টপটপ করে পানি ঝড়ছে তাতে পিঠ ভিজে আছে পিঠে পানির বিন্দুগুলো মুক্তর মত ঝলমল করছে ।
কেউ সায়রাকে বারান্ধা থেকে নিজের মন উজাড় করে দেখে যাচ্ছে তার কাছে অসম্ভব সুন্দর লাগছে এই মুহূর্তটাকে সে নিজের চোখের মাঝেই বন্ধি করে রাখতে চাইছে ।তার নেশাভরা দৃষ্টি সায়রার দিকে নিক্ষেপ করছে তার শ্বাস খুব দ্রুত উঠানামা করছে বুকের মাঝে চিনচিন ব্যথা করছে ।বুকের বাঁ পাশে সে হাত রেখে চোখ বন্ধ করে বলতে লাগে
-“তুমি আমার কল্পনা
চঞ্চলা হৃদয়হরণী
তুমি শুভ্র, তুমি স্নিগ্ধ
ওগো রূপমোহিনী !”
হঠাৎ সায়রার মনে হলো কেউ তার দিকে তাকিয়ে আছে সে সাথে সাথে পিছনে ফিরে তাকায় কিন্তু কাউ কে সে দেখতে পায়না ।সায়রার মনের মধ্যে এক ভয় কাজ করছে আস্তে আস্তে সে বারান্ধার দিকে এগিয়ে যায় ।কিন্তু সেখানে সে কাউকে দেখতে পায়না ।
একটু আগেই তো মনে হচ্ছিলো যে এখানে কেউ ছিল তাহলে এত দ্রুত কোথায় চলে গেল !
সায়রার মনে অনেক প্রশ্ন জাগে ।এমন সময়ই কাজের লোক এসে জানায় নিচে রিদ্ধি লান্চ করতে ডাকছে সায়রা নিচে চলে যায়।

বিকেলে সায়রির ফ্রেন্ডসার্কেল আসে সবাই একত্রে গার্ডেনে আড্ডা দিচ্ছিলো সেখানে রিদ্ধি সায়ন সবাই ছিল ।সায়রিও সায়রাকে নিয়ে যায় তার ফ্রেন্ডসার্কেলের সাথে পরিচয় করাতে ।সায়রি এক এক করে সবার নাম বলছে সায়রাও তাদের সাথে কুশল বিনিময় করছে !
সায়রির এক ছেলে বন্ধু সায়রাকে বেশ খুটিয়ে খুটিয়ে দেখছে সায়রার দিকে অন্যরকম দৃষ্টিতে তাকাচ্ছে হঠাৎই সবাইকে অবাক করে দিয়ে সায়রার দিকে হাত বারিয়ে বলল
-“হায় ।
আমি আরফি “
সায়রা হেন্ডশেক করার জন্য হাত বাড়াবে তার আগেই কেউ পিছন থেকে সায়রার হাত আটকিয়ে ধরে নিজের হাতের মাঝে নিয়ে নেয় সায়রা ঘাড় ঘুরিয়ে দেখে আরসাল , চোখে ভয়ংকর রাগ ।সায়রার ভয়ে চোখ বড় বড় হয়ে যায় ।ভয়ে সায়রা একদম সেজা হয়ে দাড়িয়ে যায় ।ঐ ছেলের বাজে ভাবে তাকানো আরসালের চোখের আড়াল হয়নি ।আরসাল সায়রার কমোড় ধরে একদম নিজের কাছে টেনে বুকের সাথে মিশিয়ে নেয় ।
রিদ্ধিও ভয়ে ঢোক গিলে ।সায়ন মাথা চুলকাতে চুলকাতে নিচু স্বরে বলে
-“আব তো এ্য গায়া !”
আরসাল নিজের রাগ চেপে মুখে হাসির রেখা টেনে দাতেঁ দাতঁ চেপে সায়রার দিকে তাকিয়ে বলে
-“উনি সায়রা
মিসেস সায়রা আরসাল খানঁ ।
আর কিছু জানার আছে ?”
ছেলেটি আরসালের রাগি চোখ দেখে ভয়ে তারাতারি মাথা নাড়িয়ে না বলে ।
আরসাল সায়রার হাত ধোরে টেনে বাড়ির ভিতরে নিয়ে যেতে লাগে আরসালের এমন ব্যবহারে সেখানে থাকা সবাই হা করে তাকিয়ে থাকে ।

আরসাল সায়রাকে টেনে হিচড়ে রুমে নিয়ে এসে বেডে ছুড়ে মারে ।সায়রা ভয়ে ঢোক গিলে বেড থেকে উঠে আস্তে আস্তে দেয়ালের সাথে ঘেষে দাড়ায় ।
ভয়ে মনে মনে বলতে লাগে
-“আমার সারাজীবন এই টানা হ্যাচড়াতেই যাবে !
কোন শয়তানের পাল্লায় পড়লাম আমি ।”
আরসাল ধপ করে দরজা বন্ধ করে দেয় এতে সায়রার বুক কেপেঁ উঠে ।আরসাল ভয়ংকর রেগে আছে সে আস্তে আস্তে সায়রার দিকে এগিয়ে আসছে ।
আরসাল যত এগোচ্ছে সায়রার হার্ট বিট ততই বাড়ছে ।মনে হচ্ছে এখনই হার্ট বাহিরে বেড়িয়ে আসবে ।

চলবে……..❤️

Plz সবাই সবার মতামত জানাবেন 😊😊😊

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here